Tag: Sindoor

  • Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Operation Sindoor: “সিঁদুর এখন বারুদে পরিণত,” রাজস্থানের সভায় বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা যে সিঁদুর ব্যবহার করি, তা এখন বারুদে পরিণত হয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলি ধ্বংস করে দিয়েছে।” রাজস্থানের বিকানেরে বৃহস্পতিবার এক জনসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেখানে প্রত্যাশিতভাবেই আসে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রসঙ্গ। তার আগে আসে ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও। ওই দিন বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এর ঠিক পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের ঘাঁটি।

    সিঁথির সিঁদুর (Operation Sindoor)

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা সেদিন সিঁথির সিঁদুর মুছে দিতে এসেছিল, তাদের আমরা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছি।” তিনি বলেন, “সেদিন জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে মেরেছিল, মুছে দিয়েছিল মহিলাদের সিঁথির সিঁদুর। জঙ্গিদের ছোড়া সেই গুলি কেবল পহেলগাঁওয়ের মাটিতেই লাগেনি, লেগেছিল ১৪০ কোটির হৃদয়ে। কিন্তু যারা ভেবেছিল ভারত চুপ করে থাকবে, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে আছে, আর যারা অস্ত্রে ভরসা করত, তারা আজ নিজেদের ঘরে লুকিয়ে রয়েছে, তারা আজ তাদেরই ধ্বংসস্তূপের নীচে। প্রতিটি রক্তফোঁটার দাম আদায় করে নিয়েছে ভারত।” তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পরে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সঙ্কল্প নিয়েছিলাম যে আমরা সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করব। আমরা তাদের কল্পনার চেয়েও বড় শাস্তি দেব। সন্ত্রাসবাদীদের মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে। আজ, আপনাদের আশীর্বাদ এবং দেশের সেনাবাহিনীর সাহসিকতায় আমরা সকলেই তা পূরণ করতে পেরেছি। আমাদের সরকার তিন সেনাকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিল। তিন সেনা মিলে ওদের নাস্তানাবুদ করেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “তিন বাহিনী মিলে এমন একটি চক্রব্যূহ তৈরি করেছে যে পাকিস্তানকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়েছে।”

    এই ভারত আগের ভারত নয়

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ভারত আগের ভারত নয়। এখনকার ভারত প্রতিশোধ নিতে জানে – তা যেমন কূটনৈতিকভাবে, সেমনই সামরিকভাবেও।” তিনি বলেন, “মাত্র ২২ মিনিটের মাথায় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করে দেয় আমাদের সেনা। যার জেরে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। এটাই নতুন ভারতের জবাব। এটাই অপারেশন সিঁদুর।” জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে মোদি সরকার যে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে, এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেনাকে সম্পূর্ণ ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয়েছে। তিন বাহিনী এমন একটা চক্রব্যূহ তৈরি করেছিল যে পাকিস্তান পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। যারা আগুন জ্বালাতে এসেছিল, তারাই এখন ছাইয়ের নীচে।”

    ২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২২ তারিখের হামলার জবাবে ২২ মিনিটে আমরা জঙ্গিদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছি (Operation Sindoor)। ২২ তারিখে ধর্ম বেছে বেছে খুন করা হয়েছে। দেশের শত্রুরা দেখে নিয়েছে, সিঁদুর যখন বারুদে পরিণত হয়, তখন ফল কী হয়!” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা প্রতিশোধ নয়, এটা ন্যায়ের নয়া রূপ (PM Modi)। এটা আক্রোশ নয়, এটা সমগ্র ভারতের প্রত্যয়। এটাই ভারতের নয়া স্বরূপ। আগে ঘরে ঢুকে আঘাত করেছিলাম। এখন সোজা বুকে আঘাত করেছি। এরপর আর ভারতে কোনও হামলা হলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে। এর পরেও সময় ঠিক করবে সেনা, আঘাতের উপায়ও ঠিক করবে তারাই।” পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার ভয় দেখানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পারমাণবিক বোমার এই ভুয়ো ভয়ে ভারত আর ভীত হবে না। আতঙ্কের গুরু এবং সন্ত্রাসকে সাহায্য করা সরকারকে আমরা আলাদা আলাদা করে দেখব না। আমরা তাদের একই হিসেবে দেখব। তাদের এই স্টেট, নন-স্টেটের খেলা আর চলবে না। গোটা বিশ্বে তাদের মুখোশ খোলার জন্য আমরা দল পাঠিয়েছি। আমরা এখন গোটা বিশ্বকে পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখাব।”

    বীরভূমি রাজস্থান

    তিনি (PM Modi) বলেন, “পাঁচ বছর আগে যখন বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক হয়েছিল, তখন আমার প্রথম জনসভা হয়েছিল রাজস্থানে। এটা বীরভূমি। অপারেশন সিঁদুরের পরেও আমার প্রথম জনসভা হল বীরভূমি রাজস্থানের বিকানেরে (Operation Sindoor)।” এদিন বিকানের সফরে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন নাল এয়ার ফোর্স স্টেশনে। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এখানেই হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। সেই হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে ভারতীয় বাহিনী। সেখানে সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশংসা করেন ভারতীয় বাহিনীর মনোবলের। এদিন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের আওতায় পুনর্নির্মিত দেশনোক স্টেশন। এর পাশাপাশি, তিনি উদ্বোধন ও সূচনা করেন ২৬ হাজার কোটি টাকার একাধিক রেল প্রকল্পের (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে চুরু-সাদুলপুর নয়া রেললাইন এবং পাঁচটি রেলপথের বিদ্যুদয়নও (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় দল, কেন বেছে নেওয়া হল এই ৩৩ দেশকে?

    Operation Sindoor: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় দল, কেন বেছে নেওয়া হল এই ৩৩ দেশকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে বিশ্বের ৩৩টি দেশে প্রতিনিধি দল (All Party Delegation) পাঠাচ্ছে ভারত। শুধু তা-ই নয়, এই প্রতিনিধি দল পাঠানোর (Operation Sindoor) আরও একটা উদ্দেশ্য আছে, সেটা হল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর বিশ্বের দরবারে ঐক্যবদ্ধ ভারতের চেহারাটা তুলে ধরা। সেই ‘মহাভারতের যুগ’ থেকে বিপদের সময় ভারত যে এক হতে পারে, বিশ্বমঞ্চে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়াও এই প্রতিনিধি দল পাঠানোর আর একটা উদ্দেশ্য।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি। প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দেয় জঙ্গিদের মাথারা। পাক জনগণের ভিড়েও মিশে গিয়েছে কয়েকজন। তার পরেও পাকিস্তান বারবার দাবি করছে, সন্ত্রাস কিংবা জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। অপারেশন সিঁদুরে ভারতের বিজয় নিয়েও মিথ্যা বক্তব্য পরিবেশন করে চলেছে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    খোলা হবে পাকিস্তানের মুখোশ

    পাকিস্তানের এই মিথ্যা বলার অভ্যাস এবং দেশটি যে আদতে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর এবং জঙ্গি তৈরির কারখানা, বিশ্বের দরবারে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে ভারত সরকার তৈরি করেছে ৭টি সংসদীয় প্রতিনিধি দল। প্রতিটি প্রতিনিধি দলেই শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে একাধিক সাংসদ রয়েছেন। রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ৮ জন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতও। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য-সহ মোট ৩৩টি দেশে পৌঁছবে এই প্রতিনিধি দলগুলি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, রবিবারের মধ্যেই প্রতিনিধি দলগুলি তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে। এই প্রচার অভিযান চলবে ১০ দিন ধরে। অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন কংগ্রেসের শশী থারুর, বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ ও বৈজয়ন্ত পাণ্ডা, জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে, ডিএমকের কানিমোঝি ও করুণানিধি, এনসিপির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। এই উদ্যোগের সমন্বয় করছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

    যে দেশগুলিতে যাবে প্রতিনিধি দল

    ভারত যে ৩৩টি দেশ বেছে নিয়েছে, সেগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, রাশিয়া, ইজরায়েল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার (All Party Delegation), স্পেন, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইটালি, সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর (Operation Sindoor), ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, নাইজিরিয়া, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপিন্স।

    গুরুত্বপূর্ণ ২৫

    জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ২৫টি দেশ ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ১৫টি দেশ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হবে আরও ৫টি দেশ। আরও ৫টি দেশ রয়েছে, যারা প্রভাবশালী। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত দেশের কাছে যাচ্ছি, যাদের সংখ্যা ১৫।” বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা ষড়ঙ্গী বলেন, “আমরা এমন পাঁচটি দেশেও যাচ্ছি, যারা শীঘ্রই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হবে। কিছু নির্দিষ্ট দেশকে বাছাই করা হয়েছে, যাদের কণ্ঠ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্ব সহকারে শোনা হয়। এই দেশগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিনিধিরা ২৫টিরও বেশি দেশে যাচ্ছেন।” তিনি জানান (Operation Sindoor), ১৫টি দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। বাকি ১০টি হল অস্থায়ী সদস্য। প্রতি দু’বছর অন্তর বদলে যায় এই অস্থায়ী সদস্যপদ (All Party Delegation)। জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা-র নেতৃত্বে গঠিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হলেন অপরাজিতা। এই দলটি যাবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং সিঙ্গাপুরে। ইতিমধ্যেই তাঁরা রওনা দিয়েছেন জাপানের উদ্দেশে।

    পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। যে ১০টি দেশ অস্থায়ী হিসেবে নির্বাচিত হয়, তাদের মেয়াদ দু’বছর। পাকিস্তানের টার্ম শেষ হতে আরও ১৭ মাস বাকি। ভুবনেশ্বরের সাংসদ অপরাজিতা বলেন, “আমাদের সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিভিন্ন দলের সাংসদরা এক সঙ্গে বিভিন্ন দেশে যাবেন এবং সেখানকার আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন, আমাদের অবস্থান তুলে ধরবেন। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদ প্রচারে পাকিস্তানের পদ্ধতির নিন্দাও করবেন। এটা আমাদের দায়িত্ব (Operation Sindoor)।” তিনি বলেন, “এই প্রতিনিধি দল বিশ্বের কাছে বার্তা দিতে চায় যে ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।”

    তৃণমূলের কৌশলী চাল!

    যে সাতটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে, তার একটি দলে নাম ছিল সাংসদ তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের। তবে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর মুসলমানদের অত্যাচার এবং (All Party Delegation) পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার পরেও মুখ খোলেননি পাঠান। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণে ইউসুফের বদলে ওই প্রতিনিধি দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ইউসুফকে ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাঠানো হলে মুসলমানদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ধস নামতে পারে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে (Operation Sindoor)। অতএব…

  • IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    IMF: ৫০টি শর্ত পূরণ হলে তবেই পাকিস্তান পাবে ঋণ, ভারতের চাপেই কি এই সিদ্ধান্ত আইএমএফের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানকে ভারতীয় মুদ্রায় আট হাজার কোটি টাকার বাড়তি ঋণ মঞ্জুর করেছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (IMF)। ইতিমধ্যেই প্রথম দু’কিস্তির টাকাও পেয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ (Operation Sindoor)। তবে পরের কিস্তির টাকা দেওয়ার আগে ইসলামাবাদের ওপর ১১টি নতুন শর্ত চাপিয়েছে আইএমএফ। শনিবার এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও প্রকাশ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ঋণের জন্য পাকিস্তানকে আগে থেকেই ৩৯টি শর্ত দিয়ে রেখেছিল আইএমএফ। পরে আরও ১১টি শর্ত চাপানোয় মোট শর্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। এই সবক’টি শর্ত পূরণ করলেই ঋণের পরবর্তী কিস্তির টাকা হাতে পাবে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    আইএমএফের রিপোর্ট (IMF)

    আইএমএফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ২০২৬ অর্থবর্ষের বাজেট আইএমএফের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে এবং তাতে সংসদীয় অনুমোদন নিশ্চিত করতে হবে। পাকিস্তানের ফেডারেল বাজেটে ১৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেখিয়েছে আইএমএফ। এর মধ্য শুধু উন্নয়নের জন্যই খরচ করতে বলা হয়েছে ১.০৭ লাখ কোটি টাকা। পাকিস্তানের যে প্রদেশগুলিতে নয়া কৃষি আয়কর আইন বাস্তবায়ন করার কথা, সেখানে আয়কর রিটার্নের প্রক্রিয়াকরণ, করদাতাদের শনাক্ত করা এবং নথিভুক্ত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়েছে। এজন্য জুন মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের সুপারিশ অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকারকে একটি নির্দিষ্ট প্রশাসনিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে। প্রশাসনিক দুর্বলতাগুলিকে চিহ্নিত করে সংস্কারের পরিকল্পনা জনসমক্ষে তুলে ধরাই এর উদ্দেশ্য। ২০২৭ সালের পরে অর্থনৈতিক সেক্টরে পাকিস্তানের পরিকল্পনা কী হবে, তার একটি রূপরেখাও তৈরি করতে বলা হয়েছে পাকিস্তানকে। এই রূপরেখাও প্রকাশ করতে হবে।

    চারটি নয়া শর্ত

    শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের ওপর আরোপ করা হয়েছে আরও চারটি নয়া শর্ত। চলতি বছরের ১ জুলাইয়ের মধ্যে পাকিস্তান সরকারকে বার্ষিক বিদ্যুৎ শুল্ক পুনর্নির্ধারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। পাকিস্তানে বিদ্যুতের ঋণ পরিশোধের বাড়তি খরচের সর্বোচ্চ সীমা ইউনিট প্রতি ৩.২১ টাকা। জুন মাসের মধ্যে আইন করে (Operation Sindoor) এই সীমা তুলে দিতে হবে। সরকারের ভুল নীতির কারণেই যে পাকিস্তানের ওপর ঋণের পাহাড় প্রমাণ বোঝা চেপেছে, তাও জানিয়ে দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের তরফে পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা তাদের উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক, বহিরাগত এবং সংস্কারের লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে (IMF)।

    হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির

    বস্তুত, হাঁড়ির হাল হয়েছে পাক অর্থনীতির। ঋণের ভারে ধুঁকছে শাহবাজ শরিফের দেশ। বাজেট করতে গেলেও বিশ্বের দুয়ারে দুয়ারে হাত পাততে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তার পরেও পূর্ণ উদ্যমে জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে তারা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার জন্য ১১টি শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। এই শর্তে রাজি হলে পাকিস্তান অবিলম্বে হাতে পাবে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। ফলে বেলআউট প্যাকেজের আওতায় তাদের মোট ঋণের অঙ্ক দাঁড়াবে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও, আরএসএফের আওতায় আরও প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ।

    আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্ট

    শনিবার আইএমএফ প্রকাশিত স্টাফ লেভেল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যদি অব্যাহত থাকে বা এর আরও অবনতি হয়, তাহলে কর্মসূচির আর্থিক, বহিরাগত ও সংস্কার লক্ষ্যগুলির ঝুঁকি বেড়ে যাবে (IMF)। গত দুসপ্তাহে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রতিক্রিয়া সেভাবে হয়নি। শেয়ার বাজার তার বেশিরভাগ লাভ ধরে রেখেছে এবং মধ্য গতিতে এগোচ্ছে (Operation Sindoor)।

    অপারেশন সিঁদুর

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পরেই ব্যাপক অবনতি হয় ভারত-পাক সম্পর্কের। এই জঙ্গি হামলার পক্ষকাল পরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। হামলা এবং পাল্টা হামলার জেরে টানা চার দিন উত্তপ্ত থেকেছে সীমান্ত। শেষমেশ গত ১০ মে দুই দেশ রাজি হয় সংঘর্ষ বিরতিতে। এরই মাঝে পাকিস্তানের জন্য বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ (IMF)।

    প্রসঙ্গত, ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানের জন্য বিপুল ঋণের অনুমতি দিয়েছে আইএমএফ। শনিবার জানা গিয়েছে পাকিস্তানকে বেলআউট ফান্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে (Operation Sindoor) আইএমএফের তরফে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ভারত এবং আন্তর্জাতিক চাপের ফলেই শেষমেশ করা হল শর্ত আরোপ (IMF)।

  • Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    Operation Sindoor: অপারেশন সিঁদুরে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) পাকিস্তান যে নাস্তানাবুদ হয়েছিল, সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে তা জানে তামাম বিশ্ব। তবে সেই অপারেশন নিখুঁত করতে গিয়ে ভারত ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল পাকিস্তানকে (Pakistan)। ভারতের পাঠানো পাইলটবিহীন ছদ্ম বিমানের মোকাবিলা করতে যখন ব্যস্ত পাক সেনা, সেই সময়ই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানে ভারত। ৯ মে রাতে ও ১০ মে ভোরে একের পর এক পাক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। যার জেরে দেশে যুদ্ধবিমান মজুত থাকলেও, সেগুলি ওড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল ইসলামাবাদ। কারণ, রানওয়েতে বিশাল গর্ত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তার পরেই একপ্রকার বাধ্য হয়েই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় ভারতকে। বিশ্বকে শান্তির ললিত বাণী শোনায় যে ভারত, সেই ভারতই সাড়া দেয় পাকিস্তানের প্রস্তাবে। তারই ফসল এই সংঘর্ষ বিরতি। বিভিন্ন সূত্র মারফত এমন খবর পেয়েছে সংবাদ মাধ্যম। ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে, কীভাবেই বা সাজানো হয়েছিল পাক বধের ঘুঁটি, কীভাবে পাকিস্তানকে কার্যত লেজেগোবরে করে ছেড়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত?

    ডামি যুদ্ধবিমান (Operation Sindoor)

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করতে ডামি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল ভারতীয় সেনা। পাইলটবিহীন এই যুদ্ধবিমানগুলি যে আদতে খেলনা বিমানের মতো, তা বুঝতে পারেনি পাক সেনা (Operation Sindoor)। ভারতীয় যুদ্ধ বিমানকে আঘাত করতে সক্রিয় হয় তারা। তখনই ভারতীয় সেনা জেনে যায় পাকিস্তানের লুকিয়ে রাখা রেডারের অবস্থান। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করে ভারত। তার জেরই সফল হয় অপারেশন সিঁদুর। ‘লক্ষ্য’ ও ‘বানশি’ নামে পরিচিত এই ডামি ইউএভিগুলি রাফাল, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ এবং জাগুয়ারের মতো ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলিকে অনুকরণ করতে পারে।

    পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া

    ভারত প্রথম থেকেই ঠিক করেছিল পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হবে আকাশ পথে (Pakistan)। উদ্দেশ্য, পাকিস্তানি বায়ুসেনাকে খোঁড়া করে দেওয়া। ভারতের হামলার মোকাবিলা করতে পাকিস্তান তাদের মেড ইন চায়না, এইচকিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের লঞ্চার ও রাডারগুলি দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করে। কয়েকটির অবস্থান ভারত আগে থেকেই জেনে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন কয়েকটি জায়গায়ও মোতায়েন করা হয়েছিল লঞ্চার ও রাডারগুলি। ভারত ডামি যুদ্ধ বিমান পাঠাতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাডার এবং লঞ্চার। সক্রিয় হয় এয়ার ডিফেন্স নেটওয়ার্কও। এইচকিউ-৯-ও সক্রিয় হয় (Operation Sindoor)।

    বেআব্রু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

    ব্যস, খেল খতম! পাকিস্তানের কোথায় কোথায় রাডার এবং লঞ্চার রাখা হয়েছে, তা জেনে যায় ভারত। তারপর করা হয় পদক্ষেপ। এর পরেই পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স রাডার, কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেমগুলিকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলে তৈরি হারোপ-সহ একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে শুরু করে ভারতীয় বাহিনী (Pakistan)। দূরপাল্লার একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যেই ছিল ব্রহ্মোস এবং স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্রও। এই হামলায় প্রায় ১৫টি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্ক্যাল্প, রাম্পেজ এবং ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই প্রথম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কোনও সংঘাতে ব্যবহার করা হল। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের পাঠানো ডামি যুদ্ধবিমানের টোপ গেলাই কাল হয়েছিল পাকিস্তানের। ভারতের পাতা ফাঁদে পা দিতেই এ দেশের সেনার কাছে ধরা পড়ে যায় তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঠিক অবস্থান। তার পরেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত করে ভারতীয় সেনা (Operation Sindoor)।

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ল ভারত

    পাক সেনাকে ঘোল খাইয়ে ছাড়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র নষ্ট করে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতির’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই প্রাচীরই রুখে দিয়েছিল পাকিস্তানের হামলা। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭জন হিন্দু পর্যটককে। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। পরে অবশ্য তারা অস্বীকার করে হামলার দায় (Pakistan)।

    এর পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে কোমর বাঁধে ভারতীয় সেনা। এই লক্ষ্যে ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। ৯-১০ মে রাতে ভারতের হানায় পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বায়ুসেনাঘাঁটিও আক্রান্ত হয়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, পাকিস্তানের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনাঘাঁটির মধ্যে ১১টি আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “ওই অভিযানে (Pakistan) ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল সেনা। তাতে রাতের অন্ধকারে দিন দেখেছে পাকিস্তান (Operation Sindoor)।”

  • Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    Operation Sindoor: “পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আক্রমণ করতে পারে ভারত”, দাবি প্রাক্তন মার্কিন সেনাকর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভারত।” অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) প্রেক্ষিতে কথাগুলি বললেন মার্কিন সেনার প্রাক্তন রণকৌশলবিদ (US Army Warfare Expert)।

    অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। পড়শি দেশের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটিকে দুরমুশ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির এই অপারেশন উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে তামাম বিশ্বে। এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত কেবল পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিই ধ্বংস করেনি, পাকিস্তানি বায়ুসেনার প্রায় এক ডজন বিমানঘাঁটিও ধ্বংস করেছে। তার পরেই অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুদ্ধবিশারদরা।

    মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জন স্পেন্সার বলেন, “যে চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে পাকিস্তান, তা ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারবে না।” স্পেন্সার বলেন, “পাকিস্তানের গভীরে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত সফলভাবে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি ড্রোন আক্রমণ এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র।”

    স্পেন্সার বর্তমানে মডার্ন ওয়ারফেয়ার ইনস্টিটিউটের আরবান ওয়ারফেয়ার স্টাডিজের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ব্যবহৃত চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা ভারতের উন্নত সামরিক সক্ষমতার (Operation Sindoor) প্রমাণ। চিনা বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের তুলনায় দুর্বল। ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র চিনা ও পাকিস্তানি উভয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম হয়েছিল।” এর পরেই তিনি বলেন, “ভারতের বার্তা স্পষ্ট ছিল। এটি যে কোনও সময় পাকিস্তানের যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সব চেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনও জায়গা থেকে এবং সমুদ্রের সাবমেরিন থেকে, আকাশে যুদ্ধবিমান থেকে এবং স্থলে লঞ্চার থেকে নিক্ষেপ করা যেতে পারে (US Army Warfare Expert)। এটিই বিশ্বের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র যা চারটি উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    Operation Sindoor: জারি রয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’, সাফ জানাল ভারতীয় সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির সঙ্গে যে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) কোনও সম্পর্ক নেই, বায়ুসেনার একটি পোস্টেই স্পষ্ট হয়ে গেল তা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এখনও চলছে। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে বায়ুসেনা (IAF) জানিয়ে দিল, “অপারেশন সিঁদুর এখনও চলছে।” তবে এনিয়ে দেশবাসীকে কোনও রকম জল্পনা বা ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছে তারা।

    পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা (Operation Sindoor)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। যুদ্ধ বিরতি চললেও, সেই অভিযান যে জারি রয়েছে, এদিন তা জানিয়ে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলার পরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দেয়, ওই অভিযান শুধুই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিদের আস্তানা লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছিল। তাতে বেশ কিছু জঙ্গি নিহত হয়। সেই জঙ্গিদের শেষকৃত্যে পাক সেনার উপস্থিতির ছবিও তামাম বিশ্বের কাছে তুলে ধরে ভারত।

    অপারেশন সিঁদুর

    এদিন এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে লেখা হয়েছে, “অপারেশন সিঁদুরে নিজের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দেশের স্বার্থে নিখুঁতভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই কাজ করেছে তারা। সতর্কতা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেই অভিযান করা হয়েছে।” ওই পোস্টেই বায়ুসেনা জানিয়েছে, “এই অভিযান চলছে। সময়মতো সেই বিষয়ে তথ্য দেওয়া হবে। জল্পনা এবং ভুয়ো তথ্যে কান না দেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করছে আইএএফ।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের (Operation Sindoor) পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও ওই হামলায় জড়িত জঙ্গিদের হদিশ পায়নি ভারত। এই আবহেই শনিবার ঘোষণা হয় যুদ্ধবিরতি। তার জেরে দেশবাসীর একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারত যে অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছিল, তার কী হবে? ভারতীয় বায়ুসেনার পোস্টে এর উত্তর পেয়ে গেলেন প্রশ্নকর্তারা। সেনা সাফ জানিয়ে (IAF) দিয়েছে, জঙ্গি দমনের জন্য তাদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চলছে।

  • RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    RSS: “পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে,” বললেন প্রবীণ আরএসএস প্রচারক ইন্দ্রেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান এমন একটি দেশ যা জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের মধ্যে রয়েছে। দেশটি অচিরেই পাঁচভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে।” শুক্রবার ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রবীণ প্রচারক ইন্দ্রেশ কুমার। পহেলগাঁওকাণ্ডের প্রেক্ষিতে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই অপারেশনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।

    কী বললেন ইন্দ্রেশ (RSS)

    ইন্দোরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘জিএএফসিওএন-এবিসিআই নর্থ ইন্ডিয়া লিডারস কনফারেন্স’-এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “আমরা জানি না পাকিস্তানের কী হবে। কিন্তু মানুষ বলছে এই দেশ পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।” ইন্দ্রেশ কুমার ব্যাখ্যা করেন, ‘কিছু লোক মনে করে পাকিস্তান জন্মলগ্ন থেকেই হিংসা ও রক্তপাতের শিকার। তারা এও মনে করে যেহেতু দেশটি ইতিমধ্যেই ৮০ বছর পূর্ণ করে ফেলেছে, তাই এর অস্তিত্বের সময় হয়তো শেষের পথে। কারণ প্রতিটি সৃষ্ট বস্তুই এক সময় বিলুপ্ত হয় (RSS)।’

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা

    ভারতের সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “ভারত সনাতন সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা দেশ যার কোনও নির্দিষ্ট জন্মতারিখ নেই। সেখানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে নতুন রাষ্ট্র।” তিনি বলেন, “এই সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের যে নয়া রাষ্ট্রস্বত্ত্বা তার সঙ্গে কোনওভাবেই মেলে না।”

    অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ এই আরএসএস নেতা বলেন, “পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মহল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার দাবি উঠছে। সিন্ধু, বালুচিস্তান, পশতু অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের মতো এলাকাগুলো আলাদা হতে চাইছে। আর পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।” তাঁর মতে, এসব আন্দোলন পাকিস্তানের রাষ্ট্র হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি দেশবাসীকে জাতপাত, দলীয় রাজনীতি, ধর্মীয় গোষ্ঠী ও ভাষাভিত্তিক বিভাজন অতিক্রম করে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার আহ্বানও জানান। বলেন, “আমাদের নিজেদের মধ্যের পার্থক্য ভুলে একত্রিতভাবে সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে হবে এবং পাকিস্তানকে শক্ত বার্তা দিতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে জঙ্গি পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ গোটা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এটি আদতে (Operation Sindoor) সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জিরো টলারেন্স মনোভাবেরই প্রতিফলন (RSS)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, পাঞ্জাব-গুজরাট-রাজস্থানে জারি হাই অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র (Operation Sindoor) পর কমপক্ষে তিনটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে (Air Defence)। এই রাজ্যগুলি হল পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং গুজরাট। এই রাজ্যগুলিতে সব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে স্পর্শকাতর বিভিন্ন এলাকায়।

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। এই যে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে ভারত হামলা চালিয়েছে, সেগুলির মধ্যে কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডও রয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে  টার্গেট করে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি (Operation Sindoor)

    ৫৩২ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তবিশিষ্ট পাঞ্জাব প্রথম থেকেই কড়া সতর্কতার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার মন্ত্রী অমান আরোরা ঘোষণা করেন, সমস্ত সীমান্তবর্তী জেলাকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে এবং সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকারি অনুষ্ঠান-সহ সব ধরনের জনসমাবেশ বাতিল করা হচ্ছে। বিবৃতি জারি করে তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের মানুষ সেনার পিছনে একজোট হয়ে রয়েছে। জাতির অখণ্ডতা যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, পাঞ্জাবিরা জীবন দিতেও পিছপা হয় না।”

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এসবিএস নগর ও জলন্ধরে তাঁর নির্ধারিত মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাতিল করেছেন। এদিকে, পাঞ্জাব পুলিশকে দ্বিতীয় প্রতিরক্ষা সারি হিসেবে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। কোনও আকস্মিক ঘটনার মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব সমন্বয় রেখে চলছে বলেও জানান প্রশাসনের কর্তারা। আরোরা বাসিন্দাদের প্রতি সরকারি নির্দেশ সাবধানে মেনে চলতে এবং বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়ানো এড়াতে অনুরোধ করেছেন (Air Defence)।

    ধ্বংসাবশেষ মিলেছে পাঞ্জাবের গ্রামে

    এদিকে, পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এর পরপরই ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা সন্দেহভাজন পাকিস্তানি প্রজেক্টাইলগুলিকে সফলভাবে প্রতিহত করেছে। পাক ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষগুলি পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে পড়েছে। প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব রাজ্যটি পাক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার একেবারে গোড়ায় অবস্থিত। ফলে, এখানে হামলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

    ছুটি বাতিল

    এদিকে, রাজ্য পুলিশ সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে পাঞ্জাব। রাজ্য সরকার ছ’টি সীমান্তবর্তী জেলায় স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী ৬টি জেলা – ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, অমৃতসর, গুরুদাসপুর এবং তারন তারানের সমস্ত স্কুল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে (Operation Sindoor)। রাজস্থানে, পাকিস্তানের সঙ্গে ১,০৩৭ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে রাজ্য প্রশাসন জরুরি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ১০ মে পর্যন্ত কিশানগড় ও যোধপুর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার পাশাপাশি বিএসএফের শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সক্রিয় করা হয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট (Air Defence)।

    ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট

    বারমের, জয়সলমির, যোধপুর, বিকানের ও শ্রী গঙ্গানগর জেলার সব স্কুল, অঙ্গনওয়াডি ও কোচিং সেন্টার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জয়সলমিরে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টার জন্য ব্ল্যাকআউট করা হয়। এদিনের সমস্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এবং সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রক্ত ও জরুরি ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে। জ্বালানি স্টেশনগুলিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলি খালি করার পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা কালেক্টরদের সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল স্থান চিহ্নিত করে সুরক্ষিত করতে এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বলা হয়েছে (Operation Sindoor)।

    গুজরাটেও জারি হাই অ্যালার্ট

    গুজরাটের কচ্ছ জেলা-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভুজ ও রাজকোট বিমানবন্দর থেকে সব অসামরিক বিমান পরিষেবা তিনদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং এখন কেবলমাত্র সামরিক বিমান ব্যবহার করছে এই এয়ারবেসগুলি। জামনগর, হালার সৈকত এবং অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় মেরিন পুলিশ, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, টাস্কফোর্স কমান্ডোদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে নিরাপত্তা তল্লাশি (Operation Sindoor)। আহমেদাবাদ রেল স্টেশনেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রেলওয়ে প্রোটকশন ফোর্স, সরকারি রেল পুলিশ এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম যৌথ টহল দিচ্ছে। লাগেজ স্ক্রিনিং, অ্যান্টি-সাবোটাজ ড্রিল এবং ফ্ল্যাগ মার্চ চালানো হয়েছে (Air Defence)।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরকে ভারতের একটি কৌশলগত সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এর জেরে দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চরম সতর্কতা বজায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য ও প্রভাব, সর্বদলীয় বৈঠকে সব বলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সাফল্য এবং এর প্রভাব সম্পর্কে অবগত করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে খুন করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় গত দু’সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বৈঠক। কেন্দ্রের তরফে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং নির্মলা সীতারামন।

    বিরোধী দলগুলির তরফে যাঁরা ছিলেন (Operation Sindoor)

    বিরোধী দলগুলির তরফে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের টিআর বালু এবং সিপিআই(এম)-এর সাংসদ জন ব্রিটাস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমাজবাদী পার্টির রাম গোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিবসেনা (ইউবিটি)-র সঞ্জয় রাউত, এনসিপি-এপির সুপ্রিয়া সুলে, বিজেডির সস্মীত পাত্র, জেডি (ইউ) নেতা সঞ্জয় ঝা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এলজেপি (রামবিলাস) নেতা চিরাগ পাশোয়ান এবং (Operation Sindoor) এআইএমআইএম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

    কী বললেন কিরেন রিজিজু

    সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জবাবি হামলার পর রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে স্বচ্ছতা ও ঐক্য গড়ে তোলা।” মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ক্যাম্পে মিসাইল হামলা চালায়। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদ ও মুরিদকের লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিও ছিল। পহেলগাঁওয়ে ২৮ জন অসামরিক নাগরিকের হত্যার জবাবে ভারত করে অপারেশন সিঁদুর (All Party Meeting)। তাতেই ধ্বংস হয় পাকভূমে থাকা জঙ্গিদের ডেরা।

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলা সম্পর্কে নেতাদের অবগত করতে সরকার গত ২৪ এপ্রিল একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করেছিল। বর্তমান বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় সামরিক অভিযানের কৌশলগত ফল ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবগত করতে (Operation Sindoor)।

  • Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    Operation Sindoor: “ভারতীয় সেনা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে,” বললেন গর্বিত হালিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুরের প্রতিশোধ নিয়েছে।” কথাগুলি বললেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশির (Colonel Sofiya Qureshi) মা হালিমা কুরেশি। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালিয়েছে ভারত। বুধবার সকালে ভারতীয় সেনার এ সংক্রান্ত সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কীভাবে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে করে ধ্বংস করা হয়েছে উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংয়ের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সোফিয়াও। ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন হালিমা (Operation Sindoor)

    মেয়ের কাজে গর্বিত হালিমা। তিনি বলেন, “সোফিয়া দীর্ঘদিন ধরে তার বাবা ও জেঠুর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চেয়েছিল। তারা দুজনেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছে। ও (সোফিয়া) ছোট থেকেই বলত বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। দেশের সেবা করবে।” মেয়ের সাফল্যে খুশি সোফিয়ার বাবা তাজ মহম্মদ কুরেশিও। তিনি বলেন, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের মেয়ে আমাদের দেশের জন্য একটি মহান কাজ করেছে। পাকিস্তানের ধ্বংস হওয়াই উচিত। আমার দাদা, আমার বাবা এবং আমি – আমরা সবাই সেনাবাহিনীতে ছিলাম। এখন আমার মেয়ে আছে।”

    ‘এমন প্রতিশোধ আশা করিনি’

    সোফিয়ার ভাই মহম্মদ সঞ্জয় কুরেশি বলেন, “পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে গোটা দেশ অপেক্ষা করছিল, কবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে এভাবে যে প্রতিশোধ নেওয়া হবে, তা কখনওই আশা করিনি (Operation Sindoor)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ও (সোফিয়া) আমার আদর্শ। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমরা কখনওই এমন প্রতিশোধ আশা করিনি বা প্রেস কনফারেন্সটি একটি পরিবারের সদস্য কর্তৃক পরিচালিত হবে, তাও আশা করিনি। আমাদের পরিবারকে এমন একটি বড় সুযোগ দেওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও। এই জঙ্গি হামলার পর সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই বুধবার ভোরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম (Colonel Sofiya Qureshi) ছিল “অপারেশন সিঁদুর”। যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সোফিয়ার পরিবার (Operation Sindoor)।

LinkedIn
Share