Tag: SIR in Bengal

  • SIR in Bengal: রাজ্যের আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তুতির নির্দেশ, চলছে প্রশিক্ষণ! পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু এসআইআর

    SIR in Bengal: রাজ্যের আধিকারিকদের দ্রুত প্রস্তুতির নির্দেশ, চলছে প্রশিক্ষণ! পুজোর পরেই রাজ্যে শুরু এসআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR in Bengal) আবেদনপত্র (Enumeration Form) ছাপানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক(CEO) মনোজ কুমার আগরওয়াল। রাজ্যে মোট ভোটারের দ্বিগুণ ফর্ম ছাপানো হবে। সিইও দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ১৫ কোটি ফর্ম ছাপানো হবে। এত সংখ্যক ফর্ম একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ছাপানো সম্ভব নয়। তাই কোন কোন জেলায় ফর্ম ছাপানো যাবে, সেই তথ্য জানতে চাইল সিইও দফতর। মঙ্গলবার এসআইআরের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের একটি প্রশিক্ষণও দেন সিইও মনোজ আগরওয়াল। সেখানেই এই নির্দেশ দেন তিনি।

    আবেদনপত্র ছাপানোর নির্দেশ

    সিইও-র দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে এখন প্রায় ৭.৬৫ কোটি ভোটার রয়েছেন। তার দ্বিগুণ সংখ্যক ফর্ম (SIR in Bengal) ছাপানো হবে। এক জন ভোটারের জন্য ছাপানো হবে দু’টি করে আবেদনপত্র। একটি থাকবে ভোটারের কাছে। অন্যটি বুথ লেভেল আধিকারিকরা (বিএলও) নিয়ে আসবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতিটি ভোটারের নাম-সহ তথ্য দেওয়া ফর্ম অনলাইনে আসবে। সেই সব ফর্ম এলেই ছাপানোর কাজ শুরু করতে হবে। এত সংখ্যক ফর্ম একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ছাপানো সম্ভব নয়। তাই কোন কোন জেলায় ফর্ম ছাপানো যাবে, সেই তথ্য রাজ্যের আধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছে সিইও-র দফতর। সিইও-র দফতর জানিয়েছে, কোনও জেলায় ছাপানোর ব্যবস্থা না-থাকলে কলকাতা থেকেই আবেদনপত্র ছাপিয়ে তা ওই জেলায় পাঠানো হবে। সিইও দফতর জানাচ্ছে, বিহারের ক্ষেত্রে একটি জায়গা থেকেই ফর্ম ছাপানো হয়েছিল। এখানে জেলায় জেলায় ফর্ম ছাপানোর কাজ হবে। কারণ, দ্রুত কাজ করতে হবে।

    আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ

    আবেদনপত্র (SIR in Bengal) ছাপানো হলেই পঞ্চায়েত স্তরে তা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ২০২৫ এবং ২০০২ সালের তালিকা মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এর পরে রাজ্যের প্রায় দু’কোটির বেশি পরিবারের সদস্যদের নাম, তথ্য মিলিয়ে দেখতে হবে। এই শনাক্তকরণের কাজ হলেই এসআইআর সংক্রান্ত কাজের ৭০ শতাংশ শেষ হয়ে যাবে। বিহারের চেয়ে আবেদনের ফর্মে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। বিহারের মতোই ফর্মের তথ্য প্রায় ৯৫-৯৭ শতাংশ একই থাকবে। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ দেন। বিহারে কী ভাবে এই প্রক্রিয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে রাজ্যের প্রায় চার হাজার আধিকারিক যোগ দেন। প্রশিক্ষণে ছিলেন ইআরও (ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এইআরও (অ্যাসিসট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এডিএম এবং কয়েক জন জেলাশাসক। পুজোর আগে ৭৫ হাজার বুথ লেভেল অফিসারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সিইও দফতর জানিয়েছে, আগামী ২১-২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই প্রশিক্ষণের কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হবে।

  • SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    SIR: পুজোর পরেই বাংলা-সহ গোটা দেশে শুরু হতে পারে এসআইআর, দিল্লিতে সিইও-দের বৈঠকে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর পরেই দেশ জুড়ে শুরু হতে পারে এসআইআর। আগামী ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। এর পরে রয়েছে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দেশ জুড়ে ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা এসআইআর (SIR) শুরু করতে পারে তারা। সূত্রের খবর, বিহার নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর শুরু হয়ে যেতে পারে। বুধবার, কনফারেন্স কাম ওয়ার্কশপে মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এসআইআর নিয়ে তাদের প্রস্তুতি কতটা। তাতে অধিকাংশ আধিকারিকই জানান যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গ্রাউন্ডওয়ার্ক শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবরেই এসআইআর শুরু হতে পারে।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনে বৈঠক

    বুধবার দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নিয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। অপর নির্বাচন কমিশনারেরা এবং নির্বাচন কমিশনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন। ওই বৈঠকে এসআইআর নিয়ে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি কেমন, তা খতিয়ে দেখা হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের একটি তালিকা তৈরি করতে বলেন যা এসআইআর প্রক্রিয়ার সময় ভোটারদের তথ্য যাচাইয়ে গণ্য করা হবে। যেমন উত্তর-পূর্বের রাজ্য বা উপকূল অঞ্চলে যেখানে আদিবাসী জনসংখ্যা বেশি, সেখানে তাদের তথ্য যাচাইয়ের জন্য বাসস্থানের সার্টিফিকেট বা জনজাতি পরিচয়ের সার্টিফিকেট গণ্য করা হবে।

    বাংলায় দু-দশক পরে এসআইআর

    আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গে শেষ এসআইআর হয়েছিল। ২০০২ সালের এসআইআর অনুসারে ভোটার তালিকা আগেই প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এলাকাভিত্তিক সেই তালিকা ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। এ বার দু’দশকেরও বেশি সময় পরে পশ্চিমবঙ্গে ফের এসআইআর শুরু করতে উদ্যোগী কমিশন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জনের উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া। এছাড়া যারা ঠিকানা বদল করেছেন বা একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে কিংবা ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণ নেই, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

    কীভাবে হবে এসআইআর

    বিহারের পর এবার সারা দেশে চালু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (Special Intensive Revision)। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হতে পারে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও দিনক্ষণ এখনও জানায়নি কমিশন। দিল্লিতে কমিশনের পক্ষ থেকে এদিনের বৈঠকে সমস্ত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি শেষ করতে হবে। তবে দেশজুড়ে একযোগে এই প্রক্রিয়া চালু হবে নাকি যেসব রাজ্যে আগামিবছর বিধানসভা ভোট রয়েছে, সেখানে আগে শুরু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বাংলায় প্রস্তুতি প্রায় শেষ

    পাঁচ রাজ্য—পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম, কেরল ও পন্ডিচেরি—আগামী বছরে ভোট, ফলে এই রাজ্যগুলিতে এসআইআর আগে চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জাতীয় কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজ্য প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও কর্মীবাহিনীও প্রস্তুত রেখেছে তারা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “২০০২ সালে বাংলায় ৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছিল। এবার অতীতের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আরও বেশি স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতির মাধ্যমে তালিকা সংশোধনের কাজ হবে।”

    অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা

    এই ভোটার তালিকার নিবিড় ও বিশেষ সংশোধনের মূল উদ্দেশ্য হল বিদেশি অবৈধ অভিবাসীদের জন্মস্থান পরীক্ষা করে তাদের নিজেদের দেশে ফেরৎ পাঠানো। বাংলাদেশ ও মায়ানমার-সহ বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে এই পদক্ষেপটি তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। অবশেষে, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার অখণ্ডতা রক্ষার জন্য তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের উদ্দেশে দেশজুড়ে এসআইআর চালু করতে চলেছে। সারা দেশে এসআইআর বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে যাচাইকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন, বলে জানিয়েছেন। কোনও সঠিক ভোটদাতার নাম বাদ পড়বে না বলেও আশ্বস্ত করেছে কমিশন।

  • SIR in Bengal: রাজ্যে পুজোর আগে হচ্ছে না এসআইআর, কবে থেকে শুরু ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন?

    SIR in Bengal: রাজ্যে পুজোর আগে হচ্ছে না এসআইআর, কবে থেকে শুরু ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যে হচ্ছে না এসআইআর (SIR in Bengal)। ভাইফোঁটার পর পশ্চিমবঙ্গে শুরু হবে এসআইআর, এমনটাই খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলায় কবে থেকে এসআইআর শুরু হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি এসআইআরের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এসআইআর করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এখনও তারিখ ঘোষণা না করলেও এসআইআর করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন।

    কেন পুজোর পরে এসআইআর

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য ন্যূনতম দশ দিন সময় লাগে। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই একপ্রকার ছুটি পড়ে যাচ্ছে পুজোর জন্য, ফলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কোনভাবেই এসআইআর করা সম্ভব নয়। রাজ্যে যেভাবে প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়ে রয়েছে তাতে বেশ কিছু জায়গার কাজ এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ করে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরও তাই পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। অতএব ভাই ফোঁটার পর নির্বাচন কমিশন এসআইআর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে বলে খবর।

    চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু

    নির্বাচন কমিশনের অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী নভেম্বর মাসে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন। বিহারের এসআইআর (SIR in Bengal) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এখনও শুনানি চলছে। তাই এই দুইয়ের মাঝে কোনোভাবেই পশ্চিমবঙ্গে পূজোর আগে এসআইআর কে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তবে, প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে রাজ্যের ১০০০ বিএলওকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। যেখান থেকে ওই তালিকা নিজেরন নাম দেখে নিতে পারবেন ভোটাররা। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনি আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা এসআইআর করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

  • Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ইআরও-সহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা নিয়ে নির্দেশ পালন করেনি নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সেই কথা মনে করিয়ে আবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য মুখ্যসচিবকে কমিশন (Election Commission of India) সুপারিশ করেছিল। বরখাস্ত এবং এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কেন কার্যকর করা হয়নি। সোমবার তিনটের মধ্যে এই নিয়ে উত্তর দিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বার্তা দিল কমিশন।

    চার অফিসারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা

    ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার এইআরও তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের এইআরও সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ২ দিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রামে এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সরকারি অফিসারদের বলব নিশ্চিন্তে থাকবেন। আমরা আপনাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব।”

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। সেই সঙ্গে কমিশনের (Election Commission of India) ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। এই আবহে চারদিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

LinkedIn
Share