Tag: Sonia Gandhi

Sonia Gandhi

  • Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটালেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেজে সিং। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকার সিয়াচেন হিমবাহ তুলে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানের হাতে (Congress Treachery Exposed)। ভারতীয় সেনার ওপর আস্থা না রেখেই এহেন সংবেদনশীল একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের অভিযোগ (Congress Treachery Exposed)

    জেনারেল সিং জানান, ২০০৬ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সেই সময় ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর ভরসা করতে পারেনি সরকার। জেনারেল সিংয়ের কথা যে নিছক গল্পকথা নয়, তার প্রমাণ প্রায় একই দাবি করেছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিবও। তিনিও জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সালে দুই দেশের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দুই দেশই সিয়াচেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছিল।

    কাঠগড়ায় ইউপিএ সরকার

    নানা দিক থেকে সিয়াচেন ভারতের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ঝড়-বৃষ্টি-তুষারপাত উপেক্ষা করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। এই সিয়াচেনকে রক্ষা করতেই হয়েছিল অপারেশন ‘মেঘদূত’। সেই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন আটশোরও বেশি জওয়ান। সেই সিয়াচেনকেই পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন ইউপিএ সরকার প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের মনমোহন সিং। জানা গিয়েছে (Congress Treachery Exposed), জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার পাক জঙ্গিদের সন্ত্রাস কড়া হাতে সামলাতে ব্যর্থ মনমোহন চেয়েছিলেন সীমান্ত সমস্যায় জর্জরিত সিয়াচেনকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে ভূস্বর্গে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। এর পুরো কৃতিত্ব কংগ্রেস নেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিলেন ইউপিএর শরিক দলের নেতারা। তবে তৎকালীন সেনা প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর আধিকারিকদের তীব্র বিরোধিতায় স্বপ্ন সফল হয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউপিএ সরকারের ওই স্বপ্ন সফল হলে আর সুরক্ষিত থাকত না ভারতের সীমান্ত। কারগিল যুদ্ধের সময় পাক সেনা যেভাবে সিয়াচেন দখল করতে চেয়েছিল, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে পারত ২০০৬ সালেই। সেক্ষেত্র গোটা কাশ্মীরের রাশ চলে যেত পাকিস্তানের হাতে।

    বড় প্রশ্ন

    ভারতীয় সেনার (Congress Treachery Exposed) ভূতপূর্ব জেনারেল বলেন, “প্রশ্নটা হল, যে সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হচ্ছেন জওয়ানরা, সেই সেনাই যখন সরকারকে পিছু হটার পরামর্শ দেয়নি, তখন কীসের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিল? এরকম ক্ষেত্রে সরকারের এই জাতীয় কাজ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিস্মিত করেছিল।” তিনি বলেন, “সিয়াচেনে ভারত যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তান। কারণ হাই অলটিটিউডে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনার রয়েছে। যা তাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সেনাদের নেই।” প্রাক্তন সেনা প্রধান বলেন, “ভারত সরকার এই প্রস্তাব (সিয়াচেন হিমবাহকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া) বিবেচনা করতে শুরু করলেও, আমার সঙ্গে একবারও কথা বলেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।” তাঁর অভিযোগ, পুরু বরফের চাদরে মোড়া সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে যেসব জওয়ান প্রাণ দিয়েছেন, কংগ্রেস সেই সব শহিদদের অপমান করার চেষ্টা করেছিল।

    বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন সিয়াচেন

    মনে রাখতে হবে, বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন হল সিয়াচেন। এই হিমবাহ প্রহরায় থাকা সেনা জওয়ানদের সব চেয়ে বড় শত্রু হল প্রতিকূল আবহাওয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৫ হাজার মিটারেরও বেশি। কখনও কখনও তাপমাত্রা পৌঁছে যায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রিতে। এখানে অক্সিজেনের মাত্র সমতলের প্রায় ১০ শতাংশ। তাই ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে পৌঁছলেই কমতে থাকে ওজন। বমি হতে থাকে। খিদে থাকেই না। সিয়াচেনে প্রায়ই ঘণ্টায় একশো মাইল বেগে ঝড় ওঠে। কখনও কখনও এই ঝড় টানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কঠিন নয়, কঠিনতম। সেসব বাধা-বিপত্তি-প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই বছরভর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন দেশপ্রেমিক ভারতীয় জওয়ানরা।

    আরও পড়ুুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    সারা বছরে সিয়াচেনে বরফ পড়ে ৩০-৪০ ফুট উঁচু। মাসের পর মাস স্নান না করেই থাকেন জওয়ানরা। কারণ স্নান করলেই বিপদ। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। অক্সিজেন কম থাকায় অনেক জওয়ান হারিয়ে ফেলেন স্মৃতি। শরীরে থাবা বসায় তুষারক্ষত। এই ক্ষতের জেরে হাত-পা-আঙুল খোয়ানোর নজিরও রয়েছে। বিশেষ হেলিকপ্টারে করে এখানে থাকা সেনাদের পৌঁছে দেওয়া হয় রসদ। সেই কাজটাও করতে হয় ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে। কারণ না হলেই পাক গোলায় ধ্বংস হয়ে যাবে হেলিকপ্টারটিই।

    প্রাক্তন সেনাপ্রধান বলেন (Congress Treachery Exposed), “দেশের সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতে আত্মবলিদান দিচ্ছেন সেনারা। কিন্তু দুঃখের কথা কী জানেন, কংগ্রেস সরকার এটা ভুলে গিয়েছে। সিয়াচেনের অছিলায় ভারতের এই ভূখণ্ডটিকে পাকিস্তানকে উপহার দিতে প্রস্তুত ছিল তারা। সিয়াচেন হিমবাহ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ভেবেছিল কংগ্রেস সরকার। শান্তি ফেরাতেই এটা করতে চেয়েছিল তারা। তবে এর চেয়ে বোকা বোকা সিদ্ধান্ত আর কিছুই হতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নির্বাচনে জিততে না পেরে ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন”, সোনিয়াকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “নির্বাচনে জিততে না পেরে ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন”, সোনিয়াকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। লোকসভার পরিবর্তে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। রবিবার রাজস্থানের জালোরে বিজেপির প্রচার সভায় সোনিয়াকেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    সোনিয়াকে কটাক্ষ মোদির (PM Modi)

    তিনি বলেন, “যাঁরা নির্বাচনে জিততে পারেননি, তাঁরা ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁরা রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন।” প্রসঙ্গত, মাত্র এক মাস আগেই রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন সোনিয়া। রাজ্যসভায় যাওয়ার আগে তিনি ছিলেন রায়বেরিলির সাংসদ। দু’দশক ধরে এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। পাঁচ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন আমেঠির। এদিন দলীয় প্রার্থী লাম্বারাম চৌধুরীর সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। লাম্বারামের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী অশোক গেহলেটের ছেলে বৈভব গেহলট। এই কেন্দ্রটি বিজেপির শক্তঘাঁটি। গত দু’দশক ধরে এই কেন্দ্রে ফুটছে পদ্ম।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস দক্ষিণের এক নেতাকে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে। তিনি কি কখনও রাজস্থানের কথা বলেছেন? না। আপনারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকেও রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে আপনারা রাজস্থানে দেখেছেন? এখন আবার আপনারা আর একজন নেতাকে বাঁচাতে চাইছেন।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা রাজনীতিতে লড়াই করতে পারেননি, তাঁরা লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। পরে রাজ্যসভা থেকে সংসদে গিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী সোনিয়ার নাম না নিলেও, তাঁর কটাক্ষ-বাণের অভিমুখ যে সোনিয়া গান্ধীর দিকেই, তা জলের মতো স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    বর্তমানে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন কংগ্রেসের ছয় প্রতিনিধি। এঁরা হলেন, সোনিয়া গান্ধী, নীরজ ডাঙ্গি, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, কেসি বেণুগোপাল, প্রমোদ তিওয়ারি এবং মুকুল ওয়াসনিক। এঁদের মধ্যে রাজস্থানের বাসিন্দা একমাত্র ডাঙ্গি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজস্থানবাসী কংগ্রেসকে শাস্তি দিয়েছিলেন প্রথম দফার নির্বাচনে।” রাজস্থানের ২৫টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে শুক্রবার প্রথম দফায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ১২টিতে। সামনের শুক্রবার হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “রাজস্থান দেশপ্রেমে ভরপুর। এ রাজ্য জানে কংগ্রেস কখনও শক্তপোক্ত দেশ গড়তে পারবে না। এ দেশও চায় না কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার হোক। দেশবাসী চান না, ২০১৪ সালের আগের জমানা ফিরুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Congress: আরও দু’টি আয়কর নোটিশ কংগ্রেসকে, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    Congress: আরও দু’টি আয়কর নোটিশ কংগ্রেসকে, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও দু’টি আয়কর নোটিশ পেল কংগ্রেস (Congress)। শনিবার এমনই দাবি করা হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির তরফে। কংগ্রেসের দাবি, ২০১৪-’১৫ ও তার পরের অর্থবর্ষের জন্য আয়কর দফতর জরিমানা ধার্য করেছে ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এর আগে ১৯৯৪-’৯৫ অর্থবর্ষ এবং ২০১৭-’১৮ থেকে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের জন্যও নোটিশ পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। সব মিলিয়ে কংগ্রেসকে জরিমানা বাবদ আয়কর দফতরে দিতে হবে ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা।

    সোনিয়া গান্ধীর দলকে নোটিশ (Congress)

    বৃহস্পতিবারই ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা চেয়ে আয়কর দফতর নোটিশ পাঠিয়েছিল সোনিয়া গান্ধীর দলকে (Congress)। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ফের পাঠানো হল নোটিশ। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “শনিবার কংগ্রেসের দফতরে আবারও দু’টি আয়কর নোটিশ এসে পৌঁছেছে।” প্রসঙ্গত, শনিবারই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বিরোধী নেতাদের জেলে ভরে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপি কোটি কোটি টাকা চাঁদা পকেটে পুরে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে মোদি সরকার।

    অশনি সঙ্কেত দেখছে কংগ্রেস

    তার পরে পরেই আয়কর দফতরের তরফে ফের নোটিশ পাঠানোয় অশনি সঙ্কেত দেখছে কংগ্রেস। শুক্রবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ‘কর সন্ত্রাসে’র অভিযোগ এনেছিলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা নিশানা করেছিলেন বিজেপিকে। বলেছিলেন, কর সন্ত্রাস চালাচ্ছে মোদি সরকার।

    জানা গিয়েছে, প্রায় দশ বছরের ফাইল বের করে কংগ্রেসকে নোটিশ পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। সেই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে রিঅ্যাসেসমেন্ট দাবি করে মামলা করা হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তার পরেই ফের পাঠানো হয় নোটিশ। আয়কর বিভাগের একটি সূত্রের দাবি, পর পর কয়েক বছরে নির্বাচনী বন্ড বা অন্যান্য খাতে কংগ্রেস যে অর্থ আয় করেছে, তাতে কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের (Congress) কাছে সেই টাকাই চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ধার্য করা হয়েছে জরিমানাও।

    আরও পড়ুুন: “এটা পরিবার বাঁচাও, দুর্নীতি লুকাও সমাবেশ”, ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: প্রথম পর্যায়ে ৩৯ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ কংগ্রেসের, রাহুল লড়ছেন কেরলে

    Lok Sabha Election: প্রথম পর্যায়ে ৩৯ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ কংগ্রেসের, রাহুল লড়ছেন কেরলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্ধ্যায় লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় ৩৯ জনের নাম রয়েছে। দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, শশী থারুর এবং ভূপেশ বাঘেলের মতো কংগ্রেস নেতাদের নাম দেখা যাচ্ছে ওই তালিকায়। ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের একমাত্র আসন রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হন সোনিয়া গান্ধী। তবে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় রায়বেরিলির প্রার্থী (Lok Sabha Election) ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধী নিজেকে বর্তমানে রাজ্যসভায় সরিয়ে নিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, পরিবারতন্ত্র বজায় থাকবেই রায়বেরিলিতে এবং সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালের ভোটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।

    রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন

    কংগ্রেসের প্রকাশিত তালিকা (Lok Sabha Election) অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়েনাড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রসঙ্গত, আমেথিকে কংগ্রেসের দূর্গ বলা হতো একসময়। মোদি ঝড়ে সেই দূর্গ উড়ে যায় ২০১৯ সালে। গান্ধী পরিবারের খাসতালুক বলে পরিচিত আমেথিতে পরাস্ত হন রাহুল গান্ধী। জেতেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। কিন্তু ২০১৯ সালের মতো তিনি এবার আমেথি থেকেও রাহুল প্রার্থী হবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর তিরুঅনন্তপুরম থেকে লড়বেন। একইভাবে ছত্তিশগড়ের রাজনন্দগাঁও আসন থেকে  লড়বেন সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।

    কোন কোন রাজ্যের প্রার্থীর নাম রয়েছে প্রথম তালিকায়

    কংগ্রেসের প্রকাশিত তালিকায় থাকা (Lok Sabha Election) নামগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল, যিনি কেরালার আলাপুজ্জা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ২০০৯ সালে এই কেন্দ্রেরই প্রার্থী ছিলেন ভেনুগোপাল। এছাড়াও প্রকাশিত তালিকায় নাম রয়েছে ডি কে সুরেশের। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের ভাই সুরেশ লড়বেন বেঙ্গালুরু গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় প্রকাশিত তালিকায় দিল্লি, কর্নাটক, কেরল, তেলঙ্গানা, ছত্তিশগড়, লাক্ষাদ্বীপের, পাশাপাশি সিকিম, মণিপুর, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রার্থীদের নাম রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিজেপি প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল। তাতে ১৯৫ জনের নাম ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    Loksabha Vote: ২০১৯ সালে পরাস্ত হন রাহুল, আমেথি কেন্দ্র থেকে ফের বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য আমেথি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ২০১৪ সালে প্রথমবারের জন্য তিনি ভোটে দাঁড়ান একদা কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত আমেথি কেন্দ্র (Loksabha Vote) থেকে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সেবার জোর টক্কর দেন তিনি। হারেন অল্প ব্যবধানে। ২০১৯ সালে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে, আমেথি কেন্দ্র থেকে। প্রসঙ্গত, আমেথিতে নিজের জন্য একটি বাড়িও তৈরি করেছেন স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি সেই বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন স্মৃতি।

    একদা কংগ্রেসের গড় আমেথির পতন

    জানা যায়, ১৯৬৭ সালে আমেথি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি হয়। পরবর্তীকালে যা হয়ে ওঠে গান্ধী নেহেরু পরিবারের ঘাঁটি। ইন্দিরাপুত্র সঞ্জয় গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী প্রত্যেকেই আমেথি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালেই সেই গড় মোদি ঝড়ে কার্যত ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে স্মৃতি ইরানির কাছে পরাস্ত হন রাহুল গান্ধী।  রাহুল গান্ধী প্রথমবার জন্য আমেথিতে আত্মপ্রকাশ (Loksabha Vote) করেন ২০০৪ সালে। এবং সে বছর ভালো ব্যবধানে জেতেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রথম বারের জন্য তাঁর জয়ের মার্জিন অনেকটাই কমে যায়। পরাস্ত হন ২০১৯ সালে। তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় (Loksabha Vote) ফেরা সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাম মন্দির উদ্বোধনের পরে দেশজুড়ে বইছে গেরুয়া ঝড়। এক্ষেত্রে আমেথি কেন্দ্র বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব হবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    শনিবার বিজেপি প্রকাশ করে ১৯৫ প্রার্থীর নাম

    বিজেপি শনিবার যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ঠাঁই হয়েছে ৩৪জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। প্রার্থী করা হয়েছে ৪৭ জন তরুণ তুর্কিকেও। এদিন গেরুয়া শিবিরের যে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৮ জন মহিলাও রয়েছেন। এই ১৯৫ জন প্রার্থী ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ৩০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হয়েছে জন্মাষ্টমী, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: ৩০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে পালিত হয়েছে জন্মাষ্টমী, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দিয়েছিল। এরপর থেকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে উপত্যকায়। শনিবারে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ৩০ বছর পরে জন্মাষ্টমী পালন হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের লাল চৌকে। পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ভূস্বর্গ ক্রমশই উন্নতির শিখরে পৌঁছাচ্ছে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে। প্রসঙ্গত ৩৭০ ধারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।

    ভোপালে বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ

    রবিবারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাজির ছিলেন ভোপালে ‘প্রবুদ্ধ জনসম্মেলন’ নামের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘যখন আমি একজন পার্টির সাধারণ কর্মী ছিলাম প্রথম দিকে, তখন আশ্চর্য হতাম ৩৭০ ধারা সরানোর কথা ভাবলে। কিন্তু ৫ অগাস্ট ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ৩৭০ ধারা তুলে দিতে পেরেছে। একই দেশে দুটো সংবিধান চলতে পারে না, দুজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না এবং দুটি পতাকাও থাকতে পারে না। ৭০ বছর ধরে কংগ্রেসের তোষণনীতির কারণে ৩৭০ ধারা টিকে ছিল। ধারা ওঠার পরেই, ৩০ বছর পরে লাল চৌকে ফের জন্মাষ্টমী পালন হয়।’’

    আক্রমণ ‘ইন্ডি’ জোটকে

    এর পাশাপাশি অমিত শাহ (Amit Shah) আরও জানিয়েছেন যে জাতপাতের রাজনীতি, পরিবারতন্ত্র, তোষণ নীতি এবং দুর্নীতির ফাঁদে পড়েছিল দেশ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সমস্ত অপশক্তিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে সেই খাত থেকে দেশকে টেনে এনেছেন। এদিন অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘আমরা মহাভারতে দেখেছিলাম, সেখানে পাণ্ডব পক্ষ ছিল একদিকে, অপরদিকে ছিল কৌরব পক্ষ। বর্তমানেও দেশে একদল গ্রুপ আছে যেটি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে চলছে এবং অপরদিকে একটি জোট আছে যেটা চালাচ্ছে সাতটা পরিবার একসঙ্গে।’’ এদিন ‘ইন্ডি’ জোটকে নিশানা শানিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘তারা কখনও চায় না একজন গরিব পরিবার থেকে কেউ উঠে এসে প্রধানমন্ত্রী হোক। এ বিষয়ে তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সোনিয়া গান্ধী চান তাঁর ছেলে রাহুল প্রধানমন্ত্রী হোক। শরদ পাওয়ার চান তাঁর মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান তাঁর ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হোক। লালু যাদব চান তাঁর ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হোক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কংগ্রেসের ধীরজপ্রসাদ সাহু। ঝাড়খণ্ডের এই সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করেছে নগদ ২৫০ কোটি টাকা। এই ইস্যুতে এবার শুধু কংগ্রেস নয়, নতুন ‘ইন্ডি’ জোটকেই নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়া ওই জোটের মুখ বলে প্রচারিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “কংগ্রেস বলতে মনে রাখবেন কংগ্রেস কিন্তু একা নয়। মোদি বিরোধী যে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদেরকে I.N.D.I.A বলছে, তাদের লিডার হচ্ছে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতানেত্রী। এরা বাংলায় বিজেপির (BJP) বিরোধিতা করে বড় বড় কথা বলে, দেশ নাকি আম্বানি-আদানিদের বিক্রি করে দিয়েছে। আর ৬ই ডিসেম্বর থেকে যে কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে আইটি রেড চলছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। আলমারির থাকে থাকে সাজানো টাকা। ৬ই ডিসেম্বর ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে রেড চলেছে। বিভিন্ন লোকেশনে তাঁর সম্পত্তি রাখা ছিল। ৪০ জনের আইটি অফিসারের টিম রেড করে এবং এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর আগে এই রকম রেড করে এত টাকা উদ্ধার খুব কম উদ্ধার হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত। আরও টাকা উদ্ধার হবে। তাহলে কি এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী মহুয়া মৈত্র মহুয়া মৈত্র করছেন?”

    নিশানায় মমতা

    সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর জোটের কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি টাকাকে এক লক্ষ টাকার থেকে কম মনে করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সার্টিফিকেট দেবেন পার্থ চ্যাটার্জির মতো, উনি চুরি করেননি, সৎ মানুষ, ওনাকে ফাঁসানো হয়েছে। আজকে তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বাংলা থেকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি এক সময় বঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে (যদিও সেটা প্রমাণও হয়নি) NDA ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজকে এই ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হওয়া ধীরাজ সাহু সম্পর্কে আপনার মত কী? আপনার দল কি পাশে দাঁড়াবে, নাকি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে? এই প্রশ্নের জবাব আপনারা দেবেন। এই প্রশ্ন জনগণের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। রাজনীতি মানেই কি টাকা নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়া? পরিবার-পরিজন-আত্মীয়-স্বজনকে দিনকে দিন বড়লোক করা? এই যদি রাজনীতি হয়, তবে কংগ্রেস সহ তার বিভিন্ন সহযোগী রাজনৈতিক দলকে গোটা দেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামী দিনে বাংলার জনগণও তৃণমূলের চোর সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।”

    চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার ১০০০ তম দিন

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, এসএলএসটি’র এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য। এঁদের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা চাকরি পাননি। এঁরা চাকরি পাবেনও না, কারণ এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানেন না ভ্যাকান্সি কত রয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কখনও বলছেন লক্ষাধিক, কখনও বলছেন ৭০০। যখন কোনও শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মত ও অবস্থান বারবার কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করেন, আমার মনে হয়, তাঁদের কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। এসএসসির কথা মানুষকে ভুলে যেতে হবে। ৫০০ টাকা ও হাজার টাকার উপঢৌকন নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে হবে।

    টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান

    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিজেপির নেতানেত্রী, সহকর্মীদের টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মানে ভাগাড়।তারা মুখ খুললে গন্ধ তো বেরোবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে তো চন্দনের গন্ধ আশা করা যায় না। জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছি, উনার বিরুদ্ধে এফআইআর করবার জন্য। কত মানুষকে স্তব্ধ করতে পারবেন, সেটাই দেখতে চাই। রহিম বক্সী সাহেবের দম দেখতে চাই, তিনি কত বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    National Herald case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র মামলায় (National Herald case) ৭৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র, এই সংবাদপত্রের প্রকাশনা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পরিচালক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া। এর পাশাপাশি রয়েছে লখনউয়ের নেহরু ভবনও। জানা গিয়েছে, এই সংস্থার ৭৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক রাহুল ও সোনিয়া গান্ধী। ইডি তদন্তে উঠে এসেছে যে অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের দখলে রয়েছে ৬৬১.৬৯ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তি।

    সংবাদপত্র কংগ্রেস নেতাদের কাছে ঋণ নিয়েছিল

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে জানা যায়। মনমোহন সিং সরকারের আমলে ২০১৩ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald case) সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ঠিক তার পরেই ২০১৪ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। স্বামীর মতে, ‘‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড নামের সংস্থা হল ন্যাশনাল হেরাল্ডের (National Herald case) প্রকাশনা সংস্থা। এই সংস্থার বাজারে ৯০ কোটি টাকার দেনা ছিল। এই দেনার বেশির ভাগই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া।’’

    ২০১৫ সালেই তদন্তের নির্দেশ দেয় দিল্লির আদালত

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্রটি (National Herald case) ২০০৮ সালেই বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় এটি অধিগ্রহণ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার মধ্যে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও। এর ফলে ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে চলে আসে। স্বভাবতই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কংগ্রেস নেতাদের কাছে নেওয়া ৯০ কোটি টাকা ঋণের সেই বোঝাও চাপে ইয়ং ইন্ডিয়ার ওপর। ঠিক এই সময়ের মধ্যেই দেনার টাকা আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়, এই যুক্তি দেখিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঋণের টাকা মকুব করে দেয়। এখানেই আপত্তি তোলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর যুক্তি ছিল, ‘‘কংগ্রেস রাজনৈতিক দল। কোনও রাজনৈতিক দলকে কর দিতে হয় না। আবার কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাকে (National Herald case) কোনও রাজনৈতিক দলের ঋণ দেওয়াটা তাদের এক্তিয়ারের বাইরে।’’ ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা হস্তান্তরের সময় কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, সেই তদন্তের জন্য ২০১৫ সালের শুরুর দিকেই নির্দেশ দেয় দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ৭৪তম জন্মদিনে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মোদির জন্মদিনের চুপ থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া-মমতার এহেন আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশিন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে দেশের প্রধানমন্ত্রী তো সাংবাধিনাকি পদ, তাই বিজেপি নেতা নয় বরং প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে তো শুভেচ্ছা জানানোই যেত! বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষের সাংবিধানিক পদ হল প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জন্মদিনে ন্যূনতম রাজনৈতিক সৌজন্যতাটুকুও দেখালেন না তৃণমূল সুপ্রিমো কিংবা কংগ্রেসের অন্তরআত্মা। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে নিন্দাও শোনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দেশের বিশ্বকর্মাদের খুঁজে বের করে, সাহায্য করতে হবে,’’ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন রাহুল- অভিষেক?

     অন্যদিকে রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এক লাইনে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে (Narendra Modi) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

    অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর এক্স হ্যান্ডেলে ওই একই কথা লেখা রয়েছে।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল এবং শরদ পাওয়ার

    বিরোধী নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pralhad Joshi: ‘‘গণতন্ত্রের মন্দিরকে নিয়ে রাজনীতি করছেন সোনিয়া’’, অভিযোগ প্রহ্লাদ জোশীর

    Pralhad Joshi: ‘‘গণতন্ত্রের মন্দিরকে নিয়ে রাজনীতি করছেন সোনিয়া’’, অভিযোগ প্রহ্লাদ জোশীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সংসদীয় দলের তরফ থেকে সোনিয়া গান্ধী চিঠি লিখেছিলেন নরেন্দ্র মোদিকে। সেখানে সোনিয়া গান্ধী অভিযোগ করেন, বিরোধীদের না জানিয়ে সংসদের অধিবেশন ডেকেছে সরকারপক্ষ এবং ‘ইন্ডিয়া বনাম ভারত’ সহ আরও ন’টি বিষয়ে আলোচনা করার আর্জিও জানিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। বুধবার সকালে সোনিয়া গান্ধীর এই প্রশ্নের জবাব সন্ধ্যাতেই খোলা চিঠির মাধ্যমে দিলেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi)। 

    খোলা চিঠিতে সোনিয়া গান্ধীকে কী বলেছেন প্রহ্লাদ?

    প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi) জানিয়েছেন, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কোনও আলোচ্যসূচি স্থির করেনি সরকার। পাশাপাশি সংসদের কাজকে রাজনীতিকরণ করছেন সোনিয়া, এমন অভিযোগও তুলেছেন প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi)। সংসদীয় মন্ত্রীর মতে, অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে চাইছেন কংগ্রেস নেত্রী। সোনিয়া গান্ধীর চিঠিকে দুর্ভাগ্যপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi)। গণতন্ত্রের মন্দিরকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী, এমন অভিযোগও শোনা যায় সংসদীয় মন্ত্রীর গলায়।

    সোনিয়াকে সংসদীয় নিয়ম মনে করালেন কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী

    “আপনি জানেন, সাংবিধানের ৮৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিয়মিত সংসদের অধিবেশন হয়। সময়ে সময়ে সংসদের প্রতিটি কক্ষে তাঁর উপযুক্ত সময়ে এবং স্থানে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি। নিয়ম অনুযায়ী, দুটি অধিবেশনের মধ্যে ছয় মাসের বেশি ব্যবধান রাখা যায় না। আমাদের সরকার সর্বদা যে কোনও বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। আপনি যে সমস্ত বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, সদ্য সমাপ্ত বাদল অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার সময় সেগুলি তোলা হয়েছিল। সরকার সেগুলির জবাবও দিয়েছে। অধিবেশনের আলোচ্যসূচি, রীতি মেনে উপযুক্ত সময়ে প্রকাশ করা হবে। আমি (Pralhad Joshi) আবারও জানাতে চাই, সরকারে যে দলই থাকুক না কেন, আজ পর্যন্ত সংসদীয় অধিবেশন ডাকার সময় আগে থেকে এজেন্ডা প্রকাশ করা হয়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share