Tag: Space

Space

  • Kolkata: মহাকাশ থেকে কেমন দেখায় তিলোত্তমাকে? কলকাতার নতুন ছবি প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

    Kolkata: মহাকাশ থেকে কেমন দেখায় তিলোত্তমাকে? কলকাতার নতুন ছবি প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে কেমন দেখায় এই দেশকে? কেমনই বা দেখায় তিলোত্তমাকে (Kolkata)? বিজ্ঞানীরা পাঠালেন পূর্ব ভারতের ছবি। সুজলা-সুফলা মাটি এবং বহমান নদীর সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। 
    এই ছবিতে আলাদা করে নজর কেড়েছে শহর কলকাতা। ২০৬ বর্গ কিমির কলকাতাকে বেশ চেনা যাচ্ছে। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হুগলী নদী। কলকাতার ঠিক পাশেই শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ। সুন্দরবনকেও দেখাচ্ছে অসাধারণ। ছবিটির সঙ্গে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বাসস্থান, বিশাল ম্যানগ্রোভ অরণ্যের কথা। বিবৃতিতে ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা লিখেছে, ‘‘এটি সুসংরক্ষিত জঙ্গলকে বিশ্ব হেরিটেজের তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এটি বেঙ্গল টাইগারের আঁতুড়ঘর। এখানে বিশাল ম্যানগ্রোভ জঙ্গল রয়েছে।’’

    দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ অংশই সবুজ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকমের নীল রঙের আঁকিবুঁকি রয়েছে ছবিটিতে (Kolkata)। ওই অংশে নদী ও জলাশয়ের আধিক্য। খয়েরি রঙের আভাও দেখা গিয়েছে ছবিতে। চাষের বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র ওই রঙে ধরা পড়েছে।

    আরও পড়ুন: তিন উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করার লক্ষ্যে সফল উৎক্ষেপণ ইসরোর    

    ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কোপারনিকাস সেন্টিনেল ২ মিশনে এই ছবি তোলা হয়েছে। এই মিশনে পৃথিবীর নানা অংশের ছবি তোলা হয়ে থাকে। মহাকাশ থেকে আমাদের পৃথিবীকে (Kolkata) কেমন দেখায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে তা নিরীক্ষণ করাই এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য। জমি ও জলভাগের সমস্ত অংশেই উপগ্রহে তোলা ছবি খতিয়ে দেখে পৃথিবীর পরিবর্তনের স্বরূপ বোঝাই বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য।

    ছবিটি কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-২ মিশন একই কক্ষপথে দুটি অভিন্ন উপগ্রহের নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ। প্রতিটি স্যাটেলাইট একটি উদ্ভাবনী ওয়াইড সোয়াথ হাই-রেজোলিউশন মাল্টিস্পেকট্রাল ইমেজার বহন করে। 

    উল্লেখ্য, এর আগে ফেসবুকে দীপাবলির আগে একটি ছবি ভাইরাল (Kolkata) হয়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছিল ছবিটি দীপাবলির আগে মহাকাশ থেকে তোলা ভারতের ছবি। ভাইরাল ছবিতে আলোকোজ্জ্বল ভারতের মানচিত্র দেখা যাচ্ছিল। ছবিটিকে ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করছিলেন, এই মনে করে যে এটি দীপাবলির উৎসবের ছবি। কিন্তু পরে জানা যায়, ছবিটি ভুয়ো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

           
      

  • Solar Wind: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী! হঠাৎ আছড়ে পড়ল সৌর ঝড়

    Solar Wind: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী! হঠাৎ আছড়ে পড়ল সৌর ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার ধেয়ে এসেছে সৌর ঝড় (Solar Wind)। চলতি মাসের ৭ অগাস্ট অর্থাৎ রবিবার সূর্যে সৃষ্টি সেই ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল। প্রায়ই সৌর ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, এতে কোনও আশ্চর্যের বিষয় নেই, কিন্তু এবারের এই সৌর ঝড় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ এই ঝড়টি একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। এই ঝড়ের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার ছিল।

    সাধারণত বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে, সৌর কলঙ্কের কারণেই সৌর ঝড় তৈরি হয়। আর এই সৌর ঝড়ের কারণেই পৃথিবীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থায়। বিদ্যুৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেন, এর ফলে প্রযুক্তির সাহায্যে চলা অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এবারের সৌর ঝড়ে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি পৃথিবীর।

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    মনে করা হয় যে, যখন সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের দ্বারা উচ্চ শক্তিযুক্ত কণা এবং প্লাজমার প্রবাহকে আটকে রাখা যায় না, তখন তা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে ও সৌর ঝড় ঘটে। সূর্যের মধ্যে উজ্জ্বল প্যাচ দেখা যায়। এই প্যাচগুলো ‘করোনাল হোল’ নামে পরিচিত। করোনাল হোল হল সূর্যের বায়ুমণ্ডলের এমন একটি এলাকা যেখানে আমাদের নক্ষত্রের বিদ্যুতায়িত গ্যাস বা প্লাজমা শীতল বা কম ঘন। এই ধরনের গর্তগুলি ওই প্লাজমাকে বাইরের দিকে পাঠিয়ে দেয়। আর সেই প্যাচ বা গর্তগুলো থেকেই এই কণাগুলি বেরিয়ে এসে সৌর ঝড়ের সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা আবার এগুলো ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন। কারণ এইসব পর্যবেক্ষণের পরেই বিজ্ঞানীরা মহাকাশের আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়াও কবে সৌর ঝড় পৃথিবীর বুকে আসতে চলেছে, কতটা শক্তিশালী হতে পারে সৌর ঝড়, এসব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকেন বিজ্ঞানীরা।

    গত রবিবারের প্রথম দিকে, নাসার ডিপ স্পেস ক্লাইমেট অবজারভেটরি (DSCOVR) হালকা সৌর বাতাসের প্রবাহ লক্ষ্য করেছে। যদিও এই সৌর ঝড়ের আসল কারণ জানা যায়নি। এবারের সৌর ঝড় জি২ মাত্রায় আছড়ে পড়েছিল। প্রসঙ্গত, সৌর ঝড় বা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়কে জি স্কেলে (G-Scale) পরিমাপ করা হয়। জি স্কেলের ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে। পেনসিলভানিয়ায় অনেকে সৌর ঝড়ের ফলে সৃষ্টি হওয়া মেরুপ্রভা বা অরোরা দেখতেও পেয়েছিল।

LinkedIn
Share