Tag: spacex

  • Shubhanshu Shukla: ‘‘পৃথিবীকে বাইরে থেকে দেখার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়’’, মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে বার্তা শুভাংশুর

    Shubhanshu Shukla: ‘‘পৃথিবীকে বাইরে থেকে দেখার সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়’’, মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছে বার্তা শুভাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্লা-পক্ষ। আঠাশ ঘণ্টার জার্নি শেষে ভারতীয় সময় সন্ধে ছটার কয়েক মিনিট আগে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছেছেন শুভাংশু শুক্লা, পেগি হুইটসন, স্লাওজ উজনানস্কি ও টিবর কাপু। আগামী চোদ্দদিন এটাই ওঁদের ঘর। মাধ্যাকর্ষণ-শূন্য পরিবেশে দিন কাটানো মুখের কথা নয়। বাইরে থেকে খুব সহজ মনে হলেও মাথা ঝিমঝিম করছে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla)। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে নিজেই সে কথা জানালেন ভারতীয় মহাকাশচারী। তবে মহাবিশ্বের হাতছানির কাছে এ কিছুই নয়, দাবি ইতিহাস সৃষ্টি করা শুভাংশুর। ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন, আগামী ১৪ দিন আইএসএস-এ বসে যে গবেষণা তাঁরা করবেন, তার তুলনায় এই অস্বস্তি কিছুই নয়।

    মহাকাশে আলাপচারিতা

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিট নাগাদ আমেরিকার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশুরা (Shubhanshu Shukla)। প্রতি ঘণ্টায় ২৬,৫০০ কিলোমিটার গতি ছিল মহাকাশযানের। ২৮ ঘণ্টা পরে বৃহস্পতিবার আইএসএস-এ পৌঁছেছেন শুভাংশু, তাঁর তিনি সঙ্গী পোল্যান্ডের স্লায়োস উজনানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু, আমেরিকার পেগি হুইটসন। তাঁদের অপেক্ষায় বসেছিলেন আইএসএস-এর সাত মহাকাশচারী। পৃথিবী থেকে রওনা হওয়া চার মহাকাশচারীকে নিয়ে তাঁদের উদ্বেগও ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ (ভারতীয় সময়) শুভাংশুরা আইএসএস-এ পৌঁছোতেই তাঁদের জড়িয়ে ধরেন সেখানকার মহাকাশচারীরা। তাঁরা সেখানে ইতিমধ্যেই গবেষণা চালাচ্ছেন। চার জনকে অভ্যর্থনা জানিয়ে পানীয় দেওয়া হয় হাতে। সেই মুহূর্তের কিছু ছবি, ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রকাশ করেছে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্স। সেখানে দেখা গিয়েছে, আইএসএস-এ হাসতে হাসতে গল্প করছেন মহাকাশচারীরা।

    শস্য ফলানোই প্রধান কাজ

    ১৯৮৪ সালে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন রাকেশ শর্মা। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন। ৪১ বছর পর ফের ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেল ভারত। অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের নেতৃত্বেই রয়েছেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। আগামী ১৪ দিন তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা অনেক কাজ করবেন। শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla) সঙ্গে রয়েছে ৬ ধরনের ভারতীয় শস্যবীজ। সেই শস্য ফলানোই প্রধান কাজ। আগামীদিনে মহাকাশ অভিযানে এটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হবে কারণ মহাকাশেই ফল-মূল উৎপাদন করা সম্ভব হলে কষ্ট করে পৃথিবী থেকে খাবার বয়ে নিয়ে যেতে হবে না। মহাকাশে উৎপাদন হলে তার জিনগত বা পুষ্টিগত কোনও পার্থক্য তৈরি হয় কি না, তাও গবেষণা করে দেখা হবে। এছাড়াও শুভাংশু শুক্লা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন। মাইক্রোঅ্যালগি বা “ক্ষুদ্র শৈবাল” নিয়ে গবেষণা। মহাকাশে গেলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানবদেহের পেশি। মহাকাশে রেডিয়েশন ও মাইক্রোগ্রাভিটির প্রভাব এই অ্যালগির উপরে কী হয়, এর পুষ্টিগুণে কোনও পার্থক্য তৈরি হয় কি না, তা গবেষণা করে দেখা হবে।

    গর্ব এবং উত্তেজনার মুহূর্ত

    আইএসএস-এ বসেই লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু বলেন, ‘‘এটা গর্ব এবং উত্তেজনার মুহূর্ত, মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে আমাদের ব়ড় পদক্ষেপ।’’ সেই সঙ্গে তিনি আবার মনে করিয়ে দেন তাঁর কাঁধে থাকা ভারতীয় পতাকার কথা। তাঁর কথায়, ‘‘গর্বের সঙ্গে কাঁধে তেরঙা পরেছি।’’ বুধবার যাত্রা শুরুর আগেও এই কথাই শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাঁধে লাগানো জাতীয় পতাকা মনে করাচ্ছে যে তিনি একা নন। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রবেশ করে সেখানকার বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানান শুভাংশু। তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর বাইরে থেকে পৃথিবীকে দেখার সুযোগ পাওয়াটা একটা সৌভাগ্যের বিষয়। যাত্রাটা অসাধারণ ছিল। অসাধারণ! মহাকাশে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু যে মুহূর্তে আমি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রবেশ করলাম, এই ক্রু সদস্যরা আমাকে এমন স্বাগত জানাল! তোমরা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জন্য তোমাদের ঘরের দরজা খুলে দিলে। আমি আরও ভালো বোধ করছি। এখানে আসার আগে আমার যা প্রত্যাশা ছিল তা অবশ্যই ছাপিয়ে গেছে। তাই তোমাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে আগামী ১৪ দিন বিজ্ঞান এবং গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ হবে। অনেক ধন্যবাদ।’’

    মহাকাশে বসেই গাজরের হালুয়া, আমের রস

    ১৪ দিনের এই অভিযানের গোটা সময়টা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই থাকবেন চার নভশ্চর। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। তবে, শুধু তো কাজ করলেই হল না, মহাকাশে খাবার খেতেও হবে শুভাংশুদের। এই খাবার খাওয়াও এক কষ্টসাধ্য কাজ, কারণ সাধারণ খাবার খাওয়া যায় না। বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবারই খেতে হয়। তবে ওই প্যাকেটজাত খাবার, শুকনো ফলের পাশাপাশি গাজরের হালুয়া, আমের রস ও মুগ ডালের হালুয়াও খাবেন শুভাংশু (Shubhanshu Shukla)। তাঁর জন্য এই খাবার বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করে দিয়েছে ইসরোর ডিফেন্স ইন্সটিটিউশন অব বায়ো ডিফেন্স টেকনোলজি। এই খাবারে কোনও প্রিজারভেটিভ দেওয়া নেই। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১ বছর পর্যন্ত ঠিক থাকবে এই খাবারগুলি। শুভাংশুর অভিযানের লাইভ সম্প্রচার লখনউয়ে তাঁর স্কুলে বসে দেখেন বাবা, মা, আত্মীয়, বন্ধুরা। ১৪ দিনের এই অভিযান আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের বৈজ্ঞানিক কৃতিত্বকে আরও মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • Shubhanshu Shukla: ‘ঠিক যেন শিশু, মহাকাশে হাঁটা-খাওয়া শিখছি…’, মহাশূন্য থেকে নমস্কার জানিয়ে বার্তা শুভাংশুর

    Shubhanshu Shukla: ‘ঠিক যেন শিশু, মহাকাশে হাঁটা-খাওয়া শিখছি…’, মহাশূন্য থেকে নমস্কার জানিয়ে বার্তা শুভাংশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবিশ্ব, মহাকাশে ভাসছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশ শুক্লা (Shubhanshu Shukla)৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটেয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছবে তাঁদের মহাকাশযান ক্যাপসুল ‘গ্রেস’। ইতিমধ্যে মহাকাশে প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটিয়ে ফেলেছেন চার নভশ্চর। সেখান থেকেই পৃথিবীর উদ্দেশে আরও এক বার বার্তা দিলেন শুভাংশু। শোনালেন মহাকাশে একটা গোটা দিন কাটিয়ে ফেলার অভিজ্ঞতা! মহাশূন্য থেকে দেশবাসীকে ‘নমস্কার’ জানান শুভাংশু। বলেছেন, মহাশূন্যে অভিকর্ষের ব্যাপক পার্থক্যের কারণে আবার এখন শিশুর মতো হাঁটতে শিখছেন ৷

    মহাকাশে কেমন লাগছে শুভাংশুর ?

    এই মিশনে দারুণ উত্তেজিত অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের পাইলট শুভাংশু শুক্লা ৷ তাঁর সহ-নভশ্চরদের সঙ্গে এই যাত্রায় সঙ্গী হতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞ ৷ আমেরিকার স্পেসএক্স সংস্থার মহাকাশ স্টেশনের লঞ্চপ্যাড থেকে তাঁদের রকেট উৎক্ষেপণের সময়ে একটা বিশাল ধাক্কা অনুভব করেছেন শুভাংশু-সহ অন্যরা ৷ এরপর একটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাকাশের পথে যাত্রা শুরু করে রকেট ৷ তখনও অস্বস্তি হচ্ছিল শুভাংশুর ৷ এরপর সময় যত গড়িয়েছে ততই প্রবল হয়েছে মহাশূন্যের নিস্তব্ধতা ৷ আর সঙ্গে মহাকাশের ভারশূন্য অবস্থা ৷ ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে মহাকাশ থেকে সরাসরি পৃথিবীর সঙ্গে কথোপকথন করেছেন চার নভশ্চর। অ্যাক্সিয়ম স্পেসের এক্স হ্যান্ডলেও সেই ভিডিয়োর সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে। সেখানেই শুভাংশু বলেন, ‘‘যখন যাত্রা শুরু হল, তখন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। খুব ভাল সফর ছিল। মহাকাশে পৌঁছোতেই অস্বস্তি শুরু হয়। শুনলাম, গত কাল নাকি আমি পড়ে পড়ে ঘুমিয়েছি!’’

    শিশুর মতো শিখছেন

    শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) ছাড়াও নাসার এই অভিযানে রয়েছেন পেগি হুইটসন, স্লায়োস উজ়নানস্কি-উইসনিউস্কি এবং টিবর কাপু। মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণ-শূন্য পরিবেশে হাঁটাচলা থেকে শুরু করে সব কিছুই নতুন করে শিখতে হচ্ছে তাঁদের। দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টার যাত্রাপথে কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন নিজেকে? এর উত্তরে শুভাংশ জানান, তিনি এখন কিছুটা ভালো বোধ করছেন ৷ ভালো করে ঘুমোচ্ছেন এবং নতুন এক বিশ্বে এক কৌতূহলী শিশুর মতো ক্রমাগত শিখে চলেছেন ৷ শুভাংশু বলেন, ‘‘শিশুর মতো হাঁটতে শিখছি! শিখছি কী ভাবে হাঁটতে হয়, কী ভাবে খেতে হয়!’’ মহাকাশের পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন শুভাংশুরা ৷ ক্যাপসুলে বন্দি থেকে প্রতি মুহূর্তে মহাশূন্যের নতুন নতুন দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং সহ-নভশ্চরদের সঙ্গে ভুলত্রুটিগুলিও সংশোধন করছেন ৷

    ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা

    ইতিহাস গড়েছে ভারত। রাকেশ শর্মার পর চার দশক ডিঙিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন ৩৯ বছরের ভারতীয় নভোচর শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)। বুধবার দুপুরে আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে চেপে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে পাড়ি দেন তিনি। মহাকাশ থেকে প্রথম বার্তায় আগেই শুভাংশু জানিয়েছিলেন ‘বর্ণনাতীত’ অভিজ্ঞতা। অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের (Axiom-4 mission) সফল উৎক্ষেপণের পর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা পৃথিবীতে পাঠানো প্রথম বার্তায় জানান, কাঁধে করে তেরঙা নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ চার দশক পর এক অনন্য ইতিহাসের পাতায় লিখতে চলেছেন তাঁর দেশ ভারতের নাম। মিশনের কন্ট্রোল রুমে পাঠানো প্রথম বার্তায় শুক্লা বলেন, এই অভিযান শুধু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা নয়, ভারতের মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা।

    শুভাংশুকে প্রধানমন্ত্রী মোদির শুভেচ্ছা

    শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) বলেন, , ‘‘নমস্কার, আমার প্রিয় দেশের মানুষ। কী মজার যাত্রা! ৪১ বছর পর আমরা আবার মহাকাশে পাড়ি দিলাম। দারুণ লাগছে! এখন আমরা পৃথিবীকে প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ৭ কিমি গতিতে প্রদক্ষিণ করছি। তেরঙা আমার কাঁধে রয়েছে। যা আমাকে বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, আমি আপনাদের সকলের সঙ্গে আছি। আমি চাই আপনারাও সকলে আমার এই যাত্রার সঙ্গী হন। আপনাদের বুক নিশ্চই গর্বে ফুলে উঠবে। মহাকাশে ভারতের মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। জয় হিন্দ! জয় ভারত!’’ শুভাংশুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘শুভাংশু শুক্লাই প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখবেন। তিনি নিজের কাঁধে ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছা, আশা, আকাঙ্ক্ষার ভার বহন করছেন।’’

  • Axiom Mission 4: তৈরি হল ইতিহাস, ৪১ বছর পর মহাকাশে ফের ভারতীয়, শুভাংশুদের নিয়ে ‘ড্রাগন’-এর সফল উৎক্ষেপণ

    Axiom Mission 4: তৈরি হল ইতিহাস, ৪১ বছর পর মহাকাশে ফের ভারতীয়, শুভাংশুদের নিয়ে ‘ড্রাগন’-এর সফল উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চল্লিশ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা। ৪১ বছর পরে মহাকাশচারী পেল ভারত৷ রাকেশ শর্মার পরে দ্বিতীয়বার কোনও ভারতীয় অন্তরীক্ষে পা রাখতে চলেছেন৷ আর তাঁর নাম শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)৷ স্থানীয় সময় ১২টা ১ মিনিটে আমেরিকার ফ্লরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উড়ান দেয় শুভাংশুদের মহাকাশযান। চার সদস্যের অভিযানের কমান্ডার হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাসার প্রাক্তন নভশ্চর তথা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের (Axiom Mission 4) মানব মহাকাশযানের ডিরেক্টর রেগি হুইটসন। এ ছাড়াও থাকছেন পোল্যান্ডের স্লায়োস উজনানস্কি-উইসনিউস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।

    অবশেষে সফল উৎক্ষেপণ

    সাতবার বাধার পর অবশেষে সফল হল উৎক্ষেপণ। স্বপ্নের শুরু। মহাকাশ স্টেশনের পথে উড়ে গেল শুভাংশুদের মহাকাশযান। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২টা ১ মিনিট নাগাদ শুভাংশুদের নিয়ে উড়ান দেয় স্পেস এক্সের মহাকাশযান ‘ড্রাগন’। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের সাহায্যে ড্রাগনকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন) পৌঁছাবেন শুভাংশুরা। এদিন কাউন্ট ডাউন শেষ হতেই দেখা যায় মহাকাশযানটি অগ্নি উদগীরণ করতে করতে উপরে উঠছে। সেই মুহূর্তে চারপাশ হাততালি ও হর্ষধ্বনিতে ভরে যায়। ফ্যালকন-৯ ড্রাগনকে অরবিটে পৌঁছে দেওয়ার পর প্রথম স্টেজটি ফিরে আসে নির্ভুল ল্যান্ডিংয়ে। দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ড্রাগন এগিয়ে যায়। এবার তার গন্তব্য- আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন।

    মহাকাশে কতদিন থাকবে কী করবে শুভাংশুরা

    ১৪ দিন তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকবেন। সেখানে অন্তত ৬০টি পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন তাঁরা। নাসা এবং ইসরোর যৌথ উদ্যোগে দলটি এই কাজ করবে। শুভাংশু ভারতের নিজস্ব স্পেস মিশন ‘গগনযান’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এই অভিযানের মাধ্যমে। প্রথমে ঠিক ছিল, ২০২৫ সালের ২৯ মে শুভাংশুদের (Shubhanshu Shukla) অভিযান হবে। এরপর ৮ জুন, ১০ জুন, ১১ জুন, ১৯ জুন ও ২২ জুন উৎক্ষেপণের তারিখ নির্ধারিত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই কোনও না কোনও কারণে মহাকাশযাত্রা সম্ভব হয়নি। বারবার পিছিয়েছে অভিযান। শেষমেশ মঙ্গলবার নাসা জানায়, বুধবার ওই অভিযান হতে চলেছে। সেইমতো শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি। শুরু হয় প্রহর গোনার পালা। অরল্যান্ডোর এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার সকালে উৎক্ষেপণের ঘণ্টাখানেক আগেও আচমকা প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিয়েছিল মহাকাশযানে। জানা গিয়েছে, কোনও কারণে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য মহাকাশযানে আপলোড হচ্ছিল না। কিন্তু কিছু ক্ষণের চেষ্টায় সেই ত্রুটি সংশোধন করে নেন বিজ্ঞানীরা। তার পর নির্ধারিত সময়ে অবশেষে এদিন মহাকাশে পাড়ি দিলেন শুভাংশু সহ চার মহাকাশচারী।

    উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে মহাকাশে

    নাসার ‘অ্যাক্সিয়ম-৪’ নামে (Axiom Mission 4) এই অভিযানের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফ থেকে প্রাথমিক ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল দুই গগনযাত্রী শুভাংশু শুক্লা এবং প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ারকে। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ছেলে শুভাংশু ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন। মূল মহাকাশচারী হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ৩৯ বছরের শুভাংশুকে। তাঁর বিকল্প হিসাবে রাখা হয় প্রশান্তকেও। সেই মতো গত বছরের আগস্ট থেকে অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়াও শুরু করে দিয়েছিলেন দু’জনে। শুরুতে কথা ছিল, ২০২৫ সালের ২৯ মে শুভাংশুদের অভিযান হবে। কিন্তু বাদ সাধে আবহাওয়া, যান্ত্রিক ত্রুটি-সহ নানা কারণ। পরেও একাধিক বার সেই অভিযান পিছোতে বাধ্য হয় নাসা। বার সাতেক দিনক্ষণ বদলানোর পর অবশেষে বুধবার সেই অভিযান হল। মিশন সফল হলে শুভাংশু হবেন ভারতের দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি মহাকাশে পা রাখবেন। ১৯৮৪ সালে উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা প্রথম ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন। তার ৪১ বছর পর ইতিহাস গড়লেন শুভাংশু।

    গর্বিত শুভাংশুর মা

    বায়ুসেনার ক্যাপ্টেন হওয়ায় এর আগে এএন-৩২, জাগুয়ার, হক, মিগ-২১, সু-৩০-সহ নানা ধরনের যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে শুভাংশুর (Shubhanshu Shukla)। কিন্তু মহাকাশযান এই প্রথম! এজন্য দীর্ঘ দিন ধরে স্পেসএক্স এবং ‘অ্যাক্সিয়ম স্পেস ইনকর্পোরেশন’-এর কাছে প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে তাঁকে। শুভাংশুর মা আশা শুক্লা ছেলের এই কৃতিত্বে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এটা ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না… গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার জন্য আমরা মোটেও ভীত নই… আমরা আনন্দিত, আমরা খুব গর্বিত।”

  • EtherealX: বিশ্বে প্রথম! বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ তৈরি করল পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট রকেট

    EtherealX: বিশ্বে প্রথম! বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ তৈরি করল পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট রকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম সম্পূর্ণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য মিডিয়াম-লিফট লঞ্চ ভেহিকল তৈরি করল বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক স্টার্টআপ ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন গিল্ড (EtherealX)। ভারতের প্রযুক্তি নগরীর এই সাফল্য এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম মহাকাশ সংস্থা ইলন মাস্কের স্পস এক্সও (SpaceX) অর্জন করতে পারেনি। ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারতের বেসরকারি মহাকাশ শিল্পে এক শক্তিশালী সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ইসরোর প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার মানু জে. নায়ার, শুভায়ু সরদার এবং প্রশান্ত শর্মার হাত ধরে ভারতের এই সংস্থার পথ চলা শুরু। এই সংস্থার তৈরি প্রধান রকেট রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1), যে কোনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত। এই রকেট ইসরোর (ISRO)-এর বর্তমান রকেটগুলোর থেকেও উন্নত, বলে দাবি প্রস্তুতকারকদের।

    নতুন প্রযুক্তি, নতুন দিগন্ত

    রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1)-এর সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো এর দুটো ধাপ—বুস্টার এবং আপার স্টেজ—উভয়কেই পুনর্ব্যবহারযোগ্যভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। যেখানে স্পেস এক্স সহ বহু সংস্থাই উচ্চতাপে পোড়া আপার স্টেজ ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন একটি বিপরীতমুখী কৌশল নিয়েছে। তারা এই প্রবল তাপকে রকেটের নিজস্ব ইঞ্জিন চালানোর জন্য ব্যবহার করছে। সংস্থার সিইও মানু নায়ার বলেন, “পুনঃপ্রবেশ তাপের সঙ্গে যুদ্ধ না করে, যদি তা দিয়ে ইঞ্জিন চালানো যায়—তবেই তো আসল উদ্ভাবন।” আদতে এই স্টার্টআপটির লক্ষ্য হল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা, যেখানে রকেটের বুস্টার এবং উপরের স্তর উভয়কেই পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এটি একটি উদ্ভাবনী ধারণা, যা আগে কেউ সফলভাবে করতে পারেনি।

    তাপ নয়, শক্তিতে রূপান্তর

    রকেটের আপার স্টেজ পুনরুদ্ধারের প্রধান সমস্যা হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় সৃষ্ট তাপ। এই তাপ ঠেকাতে সাধারণত হিট শিল্ড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে। নায়ার বলছেন, “আমরা এই তাপকে ঠেকানোর পরিবর্তে সেটিকে কাজে লাগানোর একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি। এই তাপ দিয়ে আমরা ইঞ্জিন চালাতে পারি, এটাই আমাদের নতুন ফিড সাইকেল।” এর ফলে, এই রকেট প্রতি কেজি উৎক্ষেপণে খরচ হবে মাত্র ৩৪০ থেকে ২০০০ মার্কিন ডলার— যা স্পেস এক্স-এর আটভাগের এক ভাগ। অতএব কম খরচেই রকেট লঞ্চ সম্ভব হবে।

    ভারতের স্পেস রেনেসাঁয় বেঙ্গালুরুর নেতৃত্ব

    ভারতের মহাকাশ প্রযুক্তিতে যে নবজাগরণ ঘটছে, তার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বেঙ্গালুরু। ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ বলেছিলেন, “আজ ছোট স্যাটেলাইট বানানো হয় ঠিকই, কিন্তু আমি আশা করি একদিন ৪-৬ টন ওজনের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটও ভারতেই তৈরি ও উৎক্ষেপণ হবে।” এই দিক দিয়ে বেঙ্গালুরু এখন ভারতের স্পেস হাব হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে ইউরোপ, জাপানসহ একাধিক দেশের সংস্থার সঙ্গে ১১০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন (EtherealX)। বর্তমানে প্রতিরক্ষা ও বৈজ্ঞানিক দিক থেকে বিশ্বের বহু দেশ এখন চিন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প খুঁজছে। এক্ষেত্রে ভারত হয়ে উঠছে সেই বিকল্প। ইন্দো-ইউএস স্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন, মহাকাশ প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা লজিস্টিক্সের নতুন বিশ্বজোটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।

    ২০২৭-এর দিকে নজর

    রেজর ক্রেস্ট মার্ক-১ (Razor Crest Mk-1)-এর প্রযুক্তিগত ডেমো লঞ্চ হতে চলেছে ২০২৬ সালে। এই রকেটটির পূর্ণাঙ্গ লঞ্চ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৭ সালের মার্চে। ইতিমধ্যে তারা ১.২ মেগা-নিউটন ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী বেসরকারি রকেট ইঞ্জিন হতে চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি তহবিল থেকে প্রাথমিক ৫ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে তারা। আগামী দিনে আরও বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র বিশ্ব জয়

    ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন (EtherealX)-এর প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মডেলে তৈরি হচ্ছে। প্রায় সব যন্ত্রাংশই ভারতেই উৎপাদিত, কিছু বড় ও জটিল উপাদান বর্তমানে আউটসোর্স করা হলেও ভবিষ্যতে তা ভারতেই উৎপন্ন করার কথা জানিয়েছেন সংস্থার সিইও। নায়ার মনে করেন, স্পেস এক্স-এর মতো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে গেলে মূল বাধা শুধু পুঁজি। তবে বর্তমানে মোদি সরকারের আমলে মহাকাশ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ছে। সরকার নিজেও সেক্টর-ফোকাসড ভেঞ্চার ফান্ড তৈরি করেছে। ইথেরিয়াল এক্সপ্লোরেশন দেখিয়ে দিচ্ছে, শুধুমাত্র লঞ্চ সাইট হিসেবে নয়, একটি লঞ্চ শক্তি হিসেবেও বিশ্ব মানচিত্রে ভারতের উঠে আসা সম্ভব।

  • Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    Spy Satellites: মহাকাশে ভারতের ৫২টি গোয়েন্দা উপগ্রহ! ২২,৫০০ কোটি টাকার বাজেট, বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সুরক্ষায় আসছে আরও গতি। ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর কেন্দ্রের মোদি সরকার দেশের গোয়েন্দা সক্ষমতা জোরদার করতে একটি বৃহৎ স্যাটেলাইট প্রকল্প (Spy Satellites) শুরু করেছে। ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ নামের এই প্রকল্পটির জন্য ২২,৫০০ কোটি টাকা (প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার) বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি (CCS) প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই কৃত্রিম উপগ্রহপুঞ্জের (Satellite Constellation) মাধ্যমে নজরদারির ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ভারত।

    কেন এই পদক্ষেপ

    এই প্রকল্পে সরকারকে পথ দেখাতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। এমন ৫২টি স্যাটেলাইট (Spy Satellites)  লঞ্চ করতে চলেছে ইসরো, যারা মেঘ ভেদ করেও স্পষ্ট দেখতে পারবে। রাতের আকাশও বাধা হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্ত কড়া নজরে রাখতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এখন অন্তত ১০টি স্যাটেলাইট সারাক্ষণ দেশের সুরক্ষার জন্য কাজ করে চলেছে।

    নয়া প্রকল্পের হালচাল

    ‘স্পেস বেসড সার্ভেইল্যান্স (SBS-3)’ প্রকল্পের আওতায় ৫২টি গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের একটি কনস্টিলেশন (Satellite Constellation) বা নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। এর মধ্যে ৩১টি তৈরি করবে তিনটি বেসরকারি সংস্থা — অনন্ত টেকনোলজিস, সেন্টাম ইলেক্ট্রনিক্স, এবং আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস, বাকি ২১টি তৈরি করবে ইসরো (ISRO)। আগে এই প্রকল্প শেষ করতে চার বছর সময় নির্ধারিত ছিল, কিন্তু এখন সেই সময়সীমা কমিয়ে ১২ থেকে ১৮ মাস করা হয়েছে। ইলন মাস্কের স্পেসএক্স (SpaceX) এই প্রকল্পে আন্তর্জাতিক সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইটগুলো (Spy Satellites) ধাপে ধাপে তৈরি ও উৎক্ষেপণ করা হবে। অনন্ত টেকনোলজিসের মতো কোম্পানিগুলো নিজস্বভাবে কিছু স্যাটেলাইটের ডিজাইন ও নির্মাণ করবে, যার জন্য তারা আগেই প্রযুক্তিবিদদের আকৃষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইসরোর সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার ব্যবহৃত হবে। উৎক্ষেপণের জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে — ইসরোর ভারী রকেট এলভিএম৩ অথবা স্পেসএক্সের রকেট। প্রতিটি উৎক্ষেপণের আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন আবশ্যক।

    কী কাজে ব্যবহৃত হবে স্যাটেলাইটগুলি

    স্যাটেলাইটগুলি মূলত ভারতের সীমান্ত নজরদারিতে (Spy Satellites) ব্যবহার হবে, বিশেষ করে পাকিস্তানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য। পাশাপাশি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ — যেমন বন্যা ও ভূমিকম্পের সময় — জরুরি সহায়তা প্রদানেও এই স্যাটেলাইটগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রকল্প ভারতের জন্য এক বিশাল অগ্রগতি। এটি শুধুমাত্র সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করবে না, বরং দেশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ভারতের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর জন্য এটি এক সুবর্ণ সুযোগ। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক মানের প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় মহাকাশ খাত আরও এগিয়ে যাবে।

    সীমান্ত সতর্কতায় ছদ্ম উপগ্রহ

    এখন পাক সীমান্ত এলাকায় নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হয় রিস্যাট টু বি। অনুপ্রবেশকারীদের ওপর সদা সজাগ দৃষ্টি রাখে এই উপগ্রহ। দীর্ঘ দিন ধরেই জাতীয় নিরাপত্তা এবং নজরদারি বৃদ্ধির জন্য ছদ্ম-উপগ্রহ তৈরিরও চেষ্টা চালাচ্ছেন এ দেশের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। অবশেষে সাফল্যও পেয়েছেন তাঁরা। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক এয়ারশিপের প্রথম সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও। বিশ্বের গুটিকতক দেশের হাতে রয়েছে এই প্রযুক্তি। সেই তালিকায় এ বার নাম উঠল ভারতের। অত্যাধুনিক এই এয়ারশিপ শত্রুর উপর নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে যাচ্ছে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

    অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পিছনে ইসরোর উপগ্রহ

    ইসরোর চেয়ারম‌্যান ড. ভি নারায়ণান সম্প্রতি বলেন, “পাকিস্তান-সহ দেশের ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত ইসরো মনিটর করছে অনবরত (Spy Satellites) । দেশের সবাই নিরাপদ।” ত্রিস্তরীয় সেনা দেশের নিরাপত্তার মূল পাহারাদার হলে তার সহচর হয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে যারা চূড়ান্ত সাফল‌্য এনে দিয়েছে তারা ইসরো। কারণ জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে সাফল্যের সঙ্গে মিসাইল হানা সম্ভব হওয়ার অন‌্যতম নেপথ‌্য কারিগর ছিল দেশের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কারণ জঙ্গিদের সঠিক অবস্থান জেনে দিয়েছিল বিগত দু-তিন বছরে মহাকাশে পাঠানো তাদেরই অন্তত ১০০টি উপগ্রহ (Satellite Constellation), যার মধ্যে ৫৬টি এই মুহূর্তে ঠিক উপর থেকে দেশের কোণায় কোণায় দৃষ্টি রেখে চলেছে।

  • SpaceX: দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিপ্লব! ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তি জিও-এয়ারটেলের

    SpaceX: দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিপ্লব! ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তি জিও-এয়ারটেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্কের সংস্থার (SpaceX) সঙ্গে চুক্তি করল ভারতের জনপ্রিয় দুই টেলিকম সংস্থা এয়ারটেল ও জিও (Airtel And Jio)। প্রথমে এয়ারটেলের চুক্তির খবর সামনে আসে মঙ্গলবার। এরপরেই স্পেস এক্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত করে জিও। দুই সংস্থার হাত ধরে এবার ভারতের বাজারে আসতে চলেছে স্পেস এক্স। জানা যাচ্ছে, এর ফলে স্টার লিঙ্কের হাই স্পিড ইন্টারনেট এবার দ্রুতই হাতে পেয়ে যাবেন ভারতীয় গ্রাহকরা। তবে এখানেই শেষ নয়, এবার থেকে ইলন মাস্কের সংস্থার ইন্টারনেট সংক্রান্ত সমস্ত উপাদানই মিলবে এয়ারটেল ও জিও-র স্টোর থেকে। এদেশে দোকান, বাজার, স্কুল, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র সমেত ভারতের বহু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এয়ারটেল ও মুকেশ আম্বানির সংস্থা জিও। দেশের অধিকাংশ গ্রামেই এই দুই সংস্থা নিজেদের মেলে ধরেছে। এবার এই দুই ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে স্পেস এক্স (SpaceX)। জানা গিয়েছে, এরফলে দেশের যে সমস্ত অংশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা শক্তিশালী নয়, সেখানে অতিদ্রুত পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    কী জানাল এয়ারটেল ও জিও?

    জিও-র তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘তাদের খুচরো বিক্রয়কেন্দ্র এবং অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে ইউজারদের স্টারলিঙ্ক (SpaceX) সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাও প্রদান করা হবে।’’

    এয়ারটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ভিত্তল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্পেস এক্সের (SpaceX) সঙ্গে কাজ করতে পেরে তাঁরা খুশি। এই চুক্তি নতুন মাইলস্টোন তৈরি করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে এরফলে ইন্টারনেটের খরচও এতে খানিকটা কমে যাবে।

    কী বললেন স্পেস এক্সের কর্তা?

    অন্যদিকে, স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার গুইন শটওয়েল এয়ারটেলের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বলেন, ‘‘আমরা এয়ারটেলের সঙ্গে কাজ করতে খুবই খুশি। এয়ারটেলের টিম ভারতের টেলিকম ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। এই চুক্তি আমাদের ব্যবসার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’’ জিও-র সঙ্গে চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা জিও-র সঙ্গে কাজ করতে খুবই উত্তেজিত। এই চুক্তি আরও বেশি গ্রাহককে স্টারলিঙ্কের দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।’’

    দেশের ৭০ কোটি মানুষ বর্তমানে প্রচুর ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন

    স্পেস এক্স একটি বার্তা থেকে জানিয়েছে ভারতের মাটিতে সেরা দুটি টেলিকম সংস্থাকে তারা বেছে নিয়েছে। ফলে এখান থেকে আগামীদিনে তারা ভারতের মাটিতে ভালো ব্যবসা করার বিষয়ে আশাবাদী। দেশের বিভিন্ন শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামেও এই দুই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে শক্তিশালী ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হবে। প্রসঙ্গত, ভারতের মোট ৭০ কোটি মানুষ বর্তমানে প্রচুর ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এঁদের সকলেই আগামীদিনে আরও সস্তায় এবং উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কাজটি করবে স্পেস এক্স।

  • Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। এবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা এসএসএলভি (SSLV) তৈরিতে দুটি সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইসরোকে সাহায্য করবে আদানি গ্রুপের একটি সংস্থাও। এর মধ্য দিয়েই গৌতম আদানি গ্লোবাল স্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করবেন। এর ফলে আদানি (Gautam Adani) গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে।

    স্পেস সেক্টরে ভারতীয় বাজার তৈরির চেষ্টা

    ২০২৩ সালে স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের সফল উৎক্ষেপণের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই রকেট উৎপাদনের জন্য কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। আর এর পিছনে সরকারের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য ছিল ভারতের স্পেস সেক্টরের বাণিজ্যিকরণ করা। মনে করা হচ্ছে, সরকারের এটা ছিল বেসরকারিকরণের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। সরকার আশা করেছিল স্পেস সেক্টরের কিছুটা বেসরকারিকরণ হলে ভারতীয় সংস্থাগুলো এই সেক্টরে গোটা বিশ্বের বাজার আরও দ্রুত ধরতে পারবে। আর তাতে আখেরে লাভ হবে আমাদের দেশের অর্থনীতিরই। এই এসএসএলভির উৎপাদনের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য প্রায় ২০টি বেসরকারি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই দায়িত্ব পেয়েছে ৩টি সংস্থার মধ্যে একটি। যার মধ্যে রয়েছে ভারত ডায়নামিক্স ও হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এছাড়া তৃতীয় সংস্থা হিসাবে এই রকেট উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস। আর এই সংস্থাতেই অংশীদারিত্ব রয়েছে আদানি গ্রুপের অধীনস্ত সংস্থা আদানি ডিফেন্স সিস্টেমের।

    আদানির কৌশলগত পদক্ষেপ

    আদানি গ্রুপ (Gautam Adani) ভারতীয় স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (SSLV) তৈরির জন্য তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্য দুটি প্রতিযোগী হল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড (BDL) এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। যদি আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসকে চুক্তি প্রদান করা হয়, তবে তাদের সহযোগী আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস এর সাথে মিলে তারা এই পরবর্তী প্রজন্মের লঞ্চ ভেহিকেলগুলি দেশে তৈরি করার দায়িত্ব নেবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্বাচিত কোম্পানিকে ইসরোকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে দুটি এসএসএলভি লঞ্চ সফলভাবে সম্পাদনের জন্য ২৪ মাসের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদি এই প্রকল্পে আদানি গ্রুপ সফল হয়, তবে এটি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈচিত্র্য আনবে। আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। এবার এক্ষেত্রে কাজ করলে আদানি গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে প্রবেশের সুযোগ পাবে। এর ফলে ভারতের গ্লোবাল স্পেস প্লেয়ার হিসেবে অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

    এসএসএলভি কি?

    স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV) হলো একটি খরচ সাশ্রয়ী রকেট যা ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) দ্বারা তৈরি হয়েছে। এটি ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চের জন্য বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তৈরি। এই এসএসএলভি ৫০০ কেজি বা ১ হাজার ১০০ পাউন্ড পর্যন্ত ভরের স্যাটেলাইটকে লোয়ার আর্থ অর্বিট বা এলইও-তে প্রতিস্থাপন করতে পারে। যোগাযোগ, আবহাওয়া পূর্বাভাস, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি নানা কাজে স্মল স্যাটেলাইটগুলি সাহায্য করে।

    ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ

    মহাকাশের দৌড়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভারতীয় সংস্থা ইসরো পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে। কম খরচে মহাকাশে নিখুঁতভাবে স্যাটেলাইট পাঠানো সংস্থাগুলোর তালিকায় ক্রমাগত উপরের দিকে উঠে এসেছে ইসরো। আর এবার তারা এসএসএলভি (SSLV) বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল উৎপাদনের জন্য গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। কিন্তু সেদিক থেকে দেখতে গেলে, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এখনও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য  বেসরকারি সংস্থার নাম উঠে আসেনি। তবে এবার গৌতম আদানির সংস্থা এসএসএলভি তৈরিতে সাহায্য করলে ভারতেও মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি ছায়া পড়বে। একই সঙ্গে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ জানানোর পথে ধীরে ধীরে পা ফেলতে পারবেন গৌতম আদানি।

LinkedIn
Share