মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগের চেয়ে ঢের বেশি দ্রুত গতিতে ঘুরছে পৃথিবী। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদিও এই গতি (Earths Rotation Speed) বৃদ্ধির পরিবর্তন দৈনন্দিন জীবনে বোঝা যায় না, তবে এটি প্রতিদিনের দৈর্ঘ্য মিলিসেকেন্ডের ভগ্নাংশে ছোট করে দিচ্ছে। তাই বিশ্বের টাইমকিপাররা এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৯ সালের মধ্যে কো-অর্ডিনেটেড ইউনিভার্সাল টাইম থেকে এক সেকেন্ড বিয়োগ করা হতে পারে (Days Getting Shorter)।
পারমাণবিক ঘড়ি (Earths Rotation Speed)
ছয়ের দশকে পারমাণবিক ঘড়ির মাধ্যমে সময় গণনা শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবার, পৃথিবীকে সময় যোগ না করে বিয়োগ করতে হতে পারে। এটি সময় গণনায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এখানে মানুষ তার ঘড়িকে পৃথিবীর প্রকৃতিক ছন্দের সঙ্গে মানানসই করতে গিয়ে এক ব্যতিক্রমী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে, যা দেখায় পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গতিশীলতার কাছে মানুষের সবচেয়ে নিখুঁত প্রযুক্তিও কতটা অরক্ষিত।
পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি বাড়ছে
পৃথিবীতে একটি দিন সাধারণভাবে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টার হয়ে থাকে। তবে এটি কখনওই একটি নির্দিষ্ট ধ্রুবক ছিল না। পৃথিবীর ঘূর্ণন বিভিন্ন ভূ-ভৌগোলিক, জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ও বায়ুমণ্ডলীয় প্রভাবের কারণে বদলায়। তবে ২০২০ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করছেন যে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ফলে দিনের দৈর্ঘ্য মিলিসেকেন্ডের ভগ্নাংশে কমে যাচ্ছে। এটা মানুষ টের পায় না, কিন্তু পারমাণবিক সময় পরিমাপে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ (Earths Rotation Speed)।
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস জানিয়েছে, এই প্রবণতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত রয়েছে এবং এ বছর ৯, ১২ এবং ২২ জুলাই এবং ৫ অগাস্টে পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি রেকর্ড ভাঙতে পারে। ৫ আগস্ট পৃথিবী তার স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ১.৫১ মিলিসেকেন্ড দ্রুত এক পূর্ণ (Days Getting Shorter) আবর্তন সম্পন্ন করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই প্রবণতা বজায় থাকে, তবে ২০২৯ সালেই ইতিহাসে প্রথমবার এক সেকেন্ড সময় বিয়োগ করতে হতে পারে, যাতে পারমাণবিক সময় পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান দ্রুত ঘূর্ণনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারে (Earths Rotation Speed)।