Tag: Sri

  • Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    Sri Aurobindo: শ্রী অরবিন্দ প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রী অরবিন্দ ঘোষ (Sri Aurobindo) কেবল কবি, দার্শনিক এবং যোগীর গুণাবলীই ধারণ করেননি, বরং তিনি প্রকৃত অর্থেই ছিলেন এক বিপ্লবী ও দূরদর্শী চিন্তাবিদ। তিনি ছিলেন ভারতের (Bharat) পূর্ণ স্বরাজ দাবি করা প্রথম দিকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অন্যতম। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এক বিপ্লবী সংগ্রামের নেতৃত্বও দেন। যদিও তিনি ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছিলেন, তবুও সেই শিক্ষাকে মানবকল্যাণে এবং ভারতের জনগণকে বোঝাতে ব্যবহার করেন যে, ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ হল বিপ্লব। তবে তাঁর বিপ্লবের ধারণা ছিল ‘দিব্যত্ব’ ও মাতৃভূমির ঐক্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে।

    ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক (Sri Aurobindo)

    আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ‘সমন্বিত যোগে’র পথপ্রদর্শক এবং এই নীতির এক সমসাময়িক ব্যাখ্যাতা, যা মানব চেতনাকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নিরাকার আলোর সঙ্গে সাকার আলোর সংযুক্তি ঘটায়। অরবিন্দ যোগাভ্যাসকে অভ্যন্তরীণ জাগরণ ও সচেতন মনের বিকাশের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে গুরুত্ব দেন। মহান এই দেশপ্রেমিকের ভাবনা একই সঙ্গে অতীতের এক জীবন্ত দলিল ও সংরক্ষিত নথি, যা ভারতের বর্তমান অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দ্বিধাবিভক্ত পরিস্থিতিতে অনুপ্রেরণাদায়ক দিকনির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, তাঁর ভারত-ভাবনা ছিল সভ্যতাকে একতার রূপে দেখা, যা সংস্কৃতির দ্বারা পুষ্ট এবং গভীরতর চেতনার দ্বারা প্রণোদিত। তিনি ভারতের উপলব্ধি ও দেশের মানুষের ঐক্যের পথে একাধিক ধারণা দিয়েছেন। কারাবাস পর্বে যখন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তাঁকে নির্মমভাবে শোষণ করেছিল, তখন তিনি যোগ, ভগবদ্গীতা পাঠ এবং মন ও আত্মার জাগরণকে দিব্যত্ব লাভের একমাত্র (Bharat) পথ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন (Sri Aurobindo)।

    ভারতীয় ঐক্যের কথা

    অরবিন্দ যখন ভারতীয় ঐক্যের কথা বলেছিলেন, তখন তিনি কখনওই জোরজবরদস্তি বা অভিন্নতার মাধ্যমে ঐক্য বোঝাননি, বরং বৈচিত্র্যের অন্তরে নিহিত আধ্যাত্মিক ঐক্যের প্রতি জাগরণের কথা বলেছেন। ভারতীয় প্রতিভা সবসময়ই অগণিত বৈচিত্র্যকে কঠোর অভিন্নতা বা যান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণ ছাড়াই এক জীবন্ত সত্তায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। দ্য আইডিয়াল অফ হিউম্যান ইউনিটি গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ভারত একটি জৈবিক ঐক্য, যা সহস্রাব্দ ধরে অভিন্ন আধ্যাত্মিক আদর্শ, দার্শনিক অনুসন্ধান এবং সাংস্কৃতিক স্মৃতির দ্বারা লালিত হয়েছে—ইতিহাসের দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া কৃত্রিম কোনও কাঠামো নয় (Sri Aurobindo)। একজন জাতীয় নেতার কাজ এবং একটি জাতির ভূমিকা হল জাতির সমষ্টিগত চেতনাকে তার প্রকৃত সত্তার প্রতি জাগ্রত করা, কেবল প্রশাসনিক সংহতি প্রতিষ্ঠা করা নয়।

    অরবিন্দের দর্শন

    অরবিন্দের দর্শন স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় যে, ঐক্য কেবলমাত্র ভৌতিক বন্ধনে রক্ষা করা যায় না, বরং তা হতে হবে একটি গভীর ভিত্তির ওপর, যা অভিন্ন সাংস্কৃতিক চেতনায় স্থাপিত। এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক আমাদের সময়ে, যখন মতাদর্শগত ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন জাতির ঐক্যের বুনোটকে হুমকির মুখে ফেলছে। অরবিন্দর মতে, একজন জাতীয় নেতার কাজ হল জনগণের অন্তর্লোককে জাগিয়ে তোলা। এই জাগরণ আসবে মানবতার মূল ভিত্তিকে পুনরায় গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে, যার মূল রয়েছে বিশ্বাসে এবং প্রতিকূল সময়েও ঐক্যবদ্ধভাবেই থাকবে (Bharat)। অরবিন্দর মতে, একটি জাতির সংস্কৃতি হল তার সাহিত্য, শিল্প, নীতি ও চিন্তায় গভীর আত্মপ্রকাশ। ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে তাঁর প্রভাবশালী প্রবন্ধসমূহে তিনি যুক্তি দেন যে ভারতের আসল শক্তি তার সেই ক্ষমতায়, যেখানে সে নতুন প্রভাবকে গ্রহণ করতে পারে নিজের মৌলিক পরিচয় হারানো ছাড়াই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়েও ভারত টিকে থাকতে ও নিজেকে পুনর্জীবিত করতে পেরেছে এই গতিশীলতার কারণে, কঠোর নিয়মানুবর্তিতার কারণে নয় (Sri Aurobindo)।

    মনের কল্পনার ফসল

    তাঁর ভবানু মন্দির বইটি দিনের আলো দেখেছিল ১৯০৫ সালে। তাতে তিনি লিখেছিলেন, “একটি জাতি কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, নয় কেবল একটি বাক্যের অলঙ্কার, নয় মনের কল্পনার ফসল। এটি এক মহাশক্তি, যা গঠিত হয় সেই কোটি কোটি মানুষের শক্তি দিয়ে, যারা মিলে জাতিকে নির্মাণ করে।” তিনি বলেন, এই শক্তি টিকে থাকে সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের দ্বারা। যখন সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ও সংরক্ষণ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা শীর্ষে, তখন অরবিন্দের কৌশল একটি ভারসাম্য রক্ষা করে। তাঁর বক্তব্য, সভ্যতার ঐতিহ্যকে মর্যাদা দাও, কিন্তু তাকে এমনভাবে বিকশিত ও পরিবর্তিত হতে দাও যাতে আধুনিক বিশ্বের চাহিদা পূরণ করে, ফলে এটি একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে থাকে, জাদুঘরের নিদর্শন না হয়ে যায় (Sri Aurobindo)।

    যখন আমরা বলি সংস্কৃতি একটি জীবন্ত সত্তা, তখন তার মানে হল আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক নিয়ম, বিধি ও প্রথাগুলি পালন করি এবং এমন নতুন পথ খুঁজি যা সমগ্র সভ্যতার ঐক্যের পথে দিশা দেখাতে পারে। সভ্যতা একদিনে তৈরি হয় না। যখন আমরা হিন্দু সভ্যতার কথা বলি, তখন আমরা সেই সভ্যতার কথা বলি যা বেদ (Bharat) ও উপনিষদের আদর্শ ও নীতির উপর নির্মিত, নীতি শাস্ত্র এবং আমাদের পুরাণকথার ওপর প্রতিষ্ঠিত, যা এই সামষ্টিক চেতনার ভিত্তি (Sri Aurobindo)।

  • Sri Lanka: লবণ সংকটে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, সাহায্যের হাত বাড়াল মোদির ভারত

    Sri Lanka: লবণ সংকটে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, সাহায্যের হাত বাড়াল মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লবণ সংকটে (Salt Crisis) দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই অতি প্রয়োজনীয় বস্তুটির জন্য হাহাকার চারদিকে। যার ফলে গত কয়েক দিনে শ্রীলঙ্কায় নুনের দাম বেড়ে গিয়েছে তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে সমুদ্রতীটে জমে থাকা নুন ধুয়ে গিয়েছে। বৃষ্টির কারণেই খাবারযোগ্য এই খনিজ পদার্থটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রান্নাঘরের অতিপ্রয়োজনীয় এই উপকরণটির চাহিদার তুলনায় জোগান কম হওয়ায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রে। জোগান কম হওয়ায় নুনের দাম কেজি প্রতি বেড়ি গিয়েছে ১৪৫ টাকা পর্যন্ত। শ্রীলঙ্কার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মজুতদার ও কালোবাজারিরা নুনের জোগান কমিয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

    নুন আমদানিতে দেরি (Sri Lanka)

    নুন উৎপাদনকারীদের সংগঠনের মতে, শ্রীলঙ্কা সরকারের ৩০ হাজার মেট্রিক টন আয়োডিনযুক্ত নুন আমদানিতে দেরি হওয়ায় সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। উল্লেখ্য যে, শ্রীলঙ্কা বছরে প্রয়োজনীয় মোট নুনের ২৩ শতাংশ নিজেই উৎপাদন করে।পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলার কারণে সংঘাত বেঁধেছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। সেই সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) জানিয়েছিল, তারা কোনও দেশকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার জন্য তাদের ভূমি ও জলসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেবে না।

    বন্ধুত্বের প্রতিদান ভারতের 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই কারণেই ভারত তার এই প্রতিবেশী দেশটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। ভারতের তরফে শ্রীলঙ্কায় ৩ হাজার ৫০ মেট্রিক টন নুনের একটি চালানও ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। এই চালানের মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন নুন (Salt Crisis) উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন সরবরাহ করেছে। বাকি ২৫০ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছ থেকে (Sri Lanka)।

    মাত্র দু’বছর আগেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রবল ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়ে দেশটি। সেই সময় ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কাকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। আরও একবার সেই ভারতই পাশে দাঁড়াচ্ছে বন্ধুরাষ্ট্রের (Sri Lanka)।

LinkedIn
Share