Tag: Sri Lanka

Sri Lanka

  • Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে নাভিশ্বাস ওঠার দশা বাংলাদেশেরও (Bangladesh)। চিনের (China) কৌশলগত বিনিয়োগ, ঋণের ওপর চড়া হারে সুদ এবং বৃহৎ পরিসরের পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব অনেক দেশকেই আর্থিকভাবে অত্যধিক চাপে ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল করে তুলেছে। ঋণ সঙ্কট থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাঙন পর্যন্ত একাধিক দেশে গুরুতর চাপের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। উদ্যোক্তা রাজেশ সাওনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘এমনকি বাংলাদেশও এখন অরাজকতা ও অধোগামী সঙ্কটে পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি অর্থনীতির মধ্যে ৫টিই ধসে পড়েছে। এগুলি হল, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নেপাল।’’ যদিও এই তথ্য ওই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে না, তবে অন্তর্নিহিত চাপের যে সংকেতগুলি মিলেছে, তা বাস্তব।

    বাংলাদেশ (Bangladesh)

    দেশটিতে সব চেয়ে বেশি অভাব আইনশৃঙ্খলার। সহিংস বিক্ষোভ ও উগ্রপন্থার উত্থানে জর্জরিত। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারছে না। সেনাবাহিনী “স্ব-নির্মিত সঙ্কটের ব্যাপারে সতর্ক করেছে ইউনূস সরকারকে। মুদ্রাস্ফীতি উচ্চমাত্রায়। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয়েছে বিনিয়োগ। ২০২৫ অর্থবর্ষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে কমে হতে পারে ৩.৩–৩.৯ শতাংশ। যদিও দেশটির অর্থনীতি চালু রয়েছে, কিন্তু খুবই কষ্টে রয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। (Bangladesh)।

    শ্রীলঙ্কা

    মিতব্যয়ী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা উচ্চ দারিদ্র্য, মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্বল মুদ্রার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে দেশটি বৈদেশিক ঋণ শোধে ডিফল্ট করে এবং এখনও তাদের বিদেশি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চিনের কাছে বাকি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি সীমিত ফল দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে ঋণ পরিশোধ এখনও বড় ঝুঁকির (China)।

    মলদ্বীপ

    জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ হওয়ার আশা থাকলেও মলদ্বীপের সরকারি ঋণের প্রায় ২০ শতাংশই চিনের কাছে। দেশটির অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। তাই যে কোনও বাহ্যিক ধাক্কা ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। মলদ্বীপ-চিন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাণিজ্য ঘাটতি বাড়াতে পারে এবং স্থানীয় শিল্পগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে। সেখানে ব্যাপক বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্ব ভিত্তিও দুর্বল। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে চিনের ঋণ পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করলেও, এটি ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাই বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। অথচ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে না পারলে শিল্প হওয়া এক কথায় অসম্ভব। আর শিল্প না হলে, ঘুঁচবে না বেকারত্বও (Bangladesh)।

    আফগানিস্তান ও নেপাল

    আফগানিস্তানের অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন, অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল এবং দেশটি দারিদ্র্যে জর্জরিত। চিনের সম্পৃক্ততা এখানে সীমিত এবং ধীরগতির। আর নেপাল, কাগজে-কলমে স্থিতিশীল হলেও চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিং-সমর্থিত পরিকাঠামোর ওপর নির্ভরতা বাড়ছে (China)।

    বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ

    প্রসঙ্গত, চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভও। শি জিনপিংয়ের দেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কও তৈরি করছে এবং তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব স্থাপন করছে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, যা তাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে চিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। এই বিনিয়োগগুলি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পরিকাঠামোর উন্নতিতে সহায়তা করছে। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যাচ্ছে (Bangladesh)।

    রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার

    রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সহযোগিতা স্থাপন। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে ও নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে।

    সামরিক প্রভাবও বিস্তার

    চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে নিজেদের সামরিক প্রভাবও বিস্তার করছে। চিন পাকিস্তান ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছে, যা ভারত ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে (China)। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনবে (Bangladesh)।

  • Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ভারতের প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির (Ambulances) সে দেশের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে। ২০১৬ সালের পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলিন্দা জয়াটিস্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা হল ৩২২। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০ লাখ ২৪ হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, স্ট্রোক- এই সমস্ত কিছুতেই পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে।

    প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের (Sri Lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন, যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তারা দিতে পেরেছে তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণিতে আসছে। এই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণি আসলে কী? যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পৌঁছাতো তাহলে ওই রোগীদের কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। এই ৬৫ শতাংশ সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ। এভাবেই মোদি সরকারের সাহায্যের ফলে শ্রীলঙ্কার এত মানুষের জীবন বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেছে দ্বীপ রাষ্ট্র।

    প্রতিবেশী মায়ানমারেও সেবাকাজ চালিয়েছে ভারত

    সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এইরকম সফলতা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়কেই প্রতিফলিত করছে। সম্প্রতি মায়ানমারে ব্যাপক ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানে ভারত অপারেশন ব্রহ্মা চালিয়েছে। সে দেশে উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পাঠানো হয়েছে নানা রকমের ওষুধ সামগ্রীও। এর পাশাপাশি তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে মোট ৪৪২ টন খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ভারতের এমন সেবাকাজগুলিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই ইতিবাচক সম্পর্ক চায় দিল্লি।

  • India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    India Sri Lanka Relation: ভারতের সঙ্গে ২৫০০ বছরের পুরনো সম্পর্ক, মোদিকে পেয়ে আপ্লুত অনুরাধাপুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বিদেশনীতির অন্তঃস্থলে রয়েছে বৌদ্ধধর্ম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরে বারবার তারই প্রমাণ মিলেছে। ঠিক যেমন থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওয়াট ফো নামে বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা (India Sri Lanka Relation) সফরে গিয়ে অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দিরও দর্শন করলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজধানী ছিল অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura)। এই শহরের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ২ হাজার বছরের পুরনো। আগেও এখানে গিয়েছিলেন মোদি। দ্বীতিয়বার তাঁর এই মন্দির পরিদর্শনে আপ্লুত বৌদ্ধ সমাজ।

    বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফের একবার অনুরাধাপুরার মহাবোধি মন্দির (PM Modi in Anuradhapura) দর্শনে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক। বোধি বৃক্ষের সামনেও প্রার্থনা করেন মোদি। বিখ্যাত বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভদন্ত কে মেধঙ্কারা থেরো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার জয়া শ্রী মহাবোধি মন্দির পরিদর্শন করার জন্য ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, “এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির দ্বিতীয় বার অনুরাধাপুরায় আগমন। আমরা খুব খুশি। বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক গুরুত্বও উল্লেখযোগ্য। এখানে এসে বোধি দর্শন করা এবং আশীর্বাদ প্রার্থনা করা, এটা সবার মনেও আসে না। যারা ‘পুণ্য’ অর্জন করেছেন, কেবল তারাই এই চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হয়তো প্রথমবার এখানে এসে বোধি বৃক্ষের আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করেছিলেন, এবং সেই অনুভূতির কারণে তিনি দ্বিতীয়বার এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ‘রক্ষা সূত্র’ পরিয়ে স্বাগত মোদিকে

    এ দিন অনুরাধাপুরা (PM Modi in Anuradhapura) বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরে মোদিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) বায়ুসেনা। পরে মহা বোধি মন্দিরে যান তিনি। সেখানকার প্রধান পুরোহিত মোদির কব্জিতে বেঁধে দেন পবিত্র ‘রক্ষা সূত্র’। পরে ফেরার পথে আকাশ থেকে দেখতে পাওয়া রাম সেতুর দৃশ্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আজ রামনবমীর পুণ্য দিবসে, শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরার সময়ে আমি আকাশ থেকে রাম সেতুর পবিত্র দৃশ্য দেখতে পেলাম। ঐশ্বরিক যোগে রাম সেতু দর্শনের সময়েই দেখতে পেলাম অযোধ্যার রামলালার সূর্য তিলকও।’’ অনুরাধাপুরায় ভারতের সাহায্যে তৈরি দু’টি রেল প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রেল মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি সংস্থার তৈরি ওই দু’টি প্রকল্পকে শ্রীলঙ্কার পরিকাঠামোয় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে মনে করা হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে এই সফরের সময়ে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য শ্রীলঙ্কাবাসী ও সে দেশের প্রেসিডেন্ট দিশানায়েককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদি।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) এই বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্দেশ্য ছিল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনের দিকটি তুলে ধরা। বৌদ্ধধর্মের অন্যতম পবিত্র স্থান অনুরাধাপুরের মহাবোধি বৃক্ষে শ্রদ্ধাও জানিয়েছিলেন মোদি। এই মন্দিরটি ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার গভীর সভ্যতাগত সম্পর্কের এক উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, অনুরাধাপুরার মহাবোধি বৃক্ষটি খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে ভারত থেকে সঙ্ঘমিত্রা মহাথেরী দ্বারা শ্রীলঙ্কায় আনা বোধি গাছের শাখা থেকে জন্ম নিয়েছিল।

    ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম

    তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন সম্রাট অশোকের সময় থেকেই ভারতের বিদেশনীতির প্রাণকেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম। ২০২৪-এর ইন্ডিয়ান-এশিয়ান সম্মেলনে লাওসের প্রেসিডেন্টকে একটি পিতলের বুদ্ধমূর্তি উপহার দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ওই একই বছরে বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন ভারত থেকে পাঠানো হয়েছিল তাইল্যান্ডে। ২০২২-এ নেপালের লুম্বিনি পরিদর্শন করেন মোদি। ওই বছর বৌদ্ধধর্মের বেশ কিছু নিদর্শন পাঠানো হয়েছিল মঙ্গোলিয়ায়। ২০১৯ সালে মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি বুদ্ধ মূর্তি উন্মোচন করেন। ২০১৬-তে ভিয়েতনামে গিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মোদি। চিনের দা জিংসান মন্দির ও বিগ ওয়াইল্ড গুজ প্যাগোডা দর্শন করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। এছাড়া ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন জাপান সফরে যান, তখন তোজি ও কিংকাজু মন্দির দর্শন করে জাপানের সঙ্গে ভারতের বৌদ্ধধর্মের নিবিড় যোগ তুলে ধরেন।

    অনুরাধাপুরার সঙ্গে বুদ্ধ-গয়ার যোগ

    রাজা হর্ষবর্ধন যেমন বৌদ্ধ-মহাসম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন, ঠিক তেমনই প্রধানমন্ত্রী মোদির তত্ত্বাবধানে ভারতই প্রথম বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে বৌদ্ধধর্মের দর্শন নিয়ে আলোচনা করতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু জ্ঞানী মানুষ। বিশ্বের নানা সমস্যা সমাধানে বৌদ্ধ দর্শন কতটা তাৎপর্যপূর্ণ, তা নিয়ে ওই সম্মেলনে কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩-এ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও নরেন্দ্র মোদি দিল্লির বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কে বাল বোধি বৃক্ষও দর্শন করেন। বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্রে যে ভারত ও জাপানের এক বিশেষ যোগ আছে, তা বোঝাতেই ওই দর্শন করেছিলেন তাঁরা। ২০২৫ ফের শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) বৌদ্ধধর্মের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রির দাবি, অনুরাধাপুরায় (PM Modi in Anuradhapura) প্রধানমন্ত্রীর বোধিবৃক্ষ দর্শন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওই বোধিবৃক্ষের সঙ্গে যোগ রয়েছে বুদ্ধগয়ায় বোধিবৃক্ষের। যা দু’দেশের বিশেষ সম্পর্কের চিহ্ন।

     

     

     

     

     

  • India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    India Sri Lanka Relation: ভারত-বিরোধী কোনও শক্তি শ্রীলঙ্কার জমি ব্যবহার করতে পারবে না, মোদিকে আশ্বাস দিশানায়েকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বেগ বাড়াল চিনের। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার (India Sri Lanka Relation) সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহ একগুচ্ছ ইস্যুতে মৌ চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর প্রথম শ্রীলঙ্কা সফরে শনিবার কলম্বো পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গার্ড অফ অনারে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ সাক্ষর হয়েছে। প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, ডিজিটাল প্ররিকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং বাণিজ্য খাতে চুক্তি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কার। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বিস্তারের মধ্যেই এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিগুলি সাক্ষর হয়েছে। চিনের নাম না নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এদিন জানান, ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করতে দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদির উপস্থিতিতে তিনি ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন যে শ্রীলঙ্কা তার ভূমি ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রতিকূল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

    ভারত বিরোধী কোনও শক্তিকে আশ্রয় নয়

    শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলপথ ব্যবহার করে ভারতের নিরাপত্তার বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক। ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর কোনও কাজে শ্রীলঙ্কার মাটি এবং জলভাগকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। বস্তুত, গত কয়েক বছরে চিনের বেশ কিছু জাহাজ শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে, ভারত মহাসাগরে ঘুরপাক খেয়েছে। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের একাংশ ইজারা নিয়েছে চিন। এই পরিস্থিতিতে মোদির সঙ্গে বৈঠকে অনুরার এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    শ্রীলঙ্কায় রাজকীয় অভ্যর্থনা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে

    তিনদিনের সফরে শ্রীলঙ্কায় (India Sri Lanka Relation) গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানানো হয় তাঁকে। কলম্বোতে নমোকে স্বাগত জানান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক। তিনদিন পড়শি দেশে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মোদির। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমস্টেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মোদি। সেখান থেকেই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার সকালে মোদি পা রাখেন পড়শি দেশে। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী বিজিথা হেরাথ, স্বাস্থ্য ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নালিন্দা জয়তিসা, শ্রম মন্ত্রী অনিল জয়ন্ত, মৎস্য মন্ত্রী রামালিঙ্গম চন্দ্রশেখর, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী সরোজা সাবিত্রী পালরাজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী কৃষ্ণাথা আবেসেনা। সকলের থেকে রাজকীয় অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত মোদি।

    ভারত শ্রীলঙ্কা মউ স্বাক্ষর

    দীর্ঘ ৬ বছর পর শ্রীলঙ্কায় গিয়েছেন মোদি (India Sri Lanka Relation)৷ দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েক এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার ৭টি সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে প্রথম প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। এই ঐতিহাসিক চুক্তি উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা শেষে সই করা হয়৷ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সই করা স্মারকটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা প্রায় ৩৫ বছর আগে ত্রিনকোমালি এলাকা একটি শক্তি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য একটি চুক্তি শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে ভারতের বহুমুখী সহায়তার প্রসারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সই হওয়া ৭টি মউ

    ১. এইচভিডিসি আন্তঃসংযোগের বাস্তবায়নের জন্য (বিদ্যুৎ আমদানি/রফতানি)
    ২. ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সফল ডিজিটাল সমাধান শেয়ারিংয়ে
    ৩. ত্রিনকোমালি এলাকা শক্তি কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের পরিকল্পনা
    ৪. ভারত ও শ্রীলঙ্কার সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য চুক্তি
    ৫. শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলের জন্য বহুমুখী গ্রান্ট সহায়তার চুক্তি
    ৬. স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহযোগিতা চুক্তি
    ৭. ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া কমিশন এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় ঔষধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ফার্মাকোপিয়াল সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি হয়

    চিন্তা বাড়ল চিনের

    ভারত মহাসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে চিন। গবেষণার নামে ‘নজরদারি’ চালাতে সাগরে ঘোরাফেরা করছে একাধিক চিনা জাহাজ। ভারতের হাঁড়ির খবর বের করাই সেগুলোর লক্ষ্য বলে আশঙ্কা করা করা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে দিল্লি। শ্রীলঙ্কায় নোঙর করার চেষ্টা করছে চিনের ‘গুপ্তচর’ জাহাজ। এই আবহে মোদির এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা। তার মধ্যে ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে বেজিংয়ের।

    মৎস্যজীবীদের মুক্তি

    ভারতীয় মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে কখনও কখনও ভুলবশত শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করে যান। এমন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী এখনও শ্রীলঙ্কার জেলে বন্দি। ভারতীয় মৎস্যজীবীদের যাতে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়া হয়, সে কথাও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন মোদি। বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে অনুরাকে পাশে নিয়ে আবারও সেই কথা বলেছেন তিনি। মোদি বলেন, “মৎস্যজীবীদের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। তাঁদের (মৎস্যজীবীদের) দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত। তাঁদের নৌকাও ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।” পরে বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী জানান, ভারতকে আশ্বস্ত করা হয়েছে ১১ জন মৎস্যজীবীকে শীঘ্রই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে আরও মৎস্যজীবীকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশাবাদী তিনি।

  • Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    Donald Trump: চড়া শুল্ক হার আরোপ ট্রাম্পের, বিপাকে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, লাভ হতে পারে ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সরকার। এতদিন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। সেটাই বাড়িয়ে করা (India) হয়েছে ৩৭ শতাংশ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার পণ্যের ওপরও চড়া হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন এই দ্বীপরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ৪৪ শতাংশ। একলপ্তে এতটা শুল্কহার বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পোশাক ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার জয়েন্ট অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশন ফোরামের অ্যাডভাইজার তুলি কুরে বলেন, “আমাদের শোকবার্তা লিখতে হবে। ৪৪ শতাংশ কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।”

    ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা (Donald Trump)

    দুই দেশেরই ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, তাঁরা হয়তো আর বড় পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠতে পারবেন না। তাঁদের অর্ডার চলে যাবে কম শুল্কযুক্ত ও বড় শিল্প শক্তিসম্পন্ন দেশগুলিতে। বাংলাদেশের প্রধান দুই রফতানি বাজারের একটি হল আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য রেডিমেড পোশাকের একটি বড় অংশ রফতানি হয় এই দেশটিতে। আমেরিকায় ফি বছর বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রায় ৮৪০ কোটি মার্কিন ডলার, এর সিংহভাগই রেডিমেড পোশাক। গত বছর ট্রাম্পের দেশে বাংলাদেশ থেকে রেডিমেড পোশাক রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭৩৪ কোটি মার্কিন ডলার। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রিটেইলারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারী শাহিদুল্লা আজিমের খদ্দের। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম যে কিছু একটা আসছে, কিন্তু আমরা কখনওই এতটা সাংঘাতিক কিছু আশা করিনি। এটি আমাদের ব্যবসা এবং হাজার হাজার শ্রমিকের জন্য ভয়ঙ্কর।”

    কী বলছেন বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বাংলাদেশের পোশাক সরবরাহকারীরা, যাঁদের ক্লায়েন্ট গ্যাপ ইনকর্পোরেশন এবং ভিএফ কর্প, বলেন, “ট্রাম্পের আচমকা ঘোষণার কয়েক (India) ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সরকারি সাহায্য চাইতে শুরু করেছি।” বিদেশি ক্রেতাদের ধরে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দরাদরি করতে ব্যবসায়ীরা নিজেদের দেশের সরকারি কর্তাদের চাপ দিচ্ছেন বলেও খবর। রেডিমেড পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশের ৪০ লাখ মানুষ। বার্ষিক জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১০ শতাংশ।

    সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি

    আজিম বলেন, “আমার কোম্পানিতে কাজ করেন (Donald Trump) ৩ হাজার ২০০ শ্রমিক। এক ধাক্কায় এতটা খরচ বেড়ে যাওয়ায় কমতে পারে অর্ডারের পরিমাণ। সেক্ষেত্রে আমার পাশাপাশি বিপদে পড়বেন আমার কোম্পানির শ্রমিকরাও।” বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি বলেন, “শুল্কের বোঝা থেকে সুরক্ষার জন্য আমরা শুক্রবারই সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছি। সরকারি কর্তারা আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।” এই অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি কারখানা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলাম বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য। বাণিজ্যের বিষয়ে ঢাকা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করছে। আশাকরি, আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যুর সমাধান হবে”।

    ভারতের পৌষমাস!

    বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। পাকিস্তানের পণ্যের ওপর আরোপ করা (India) হয়েছে ২৯ শতাংশ শুল্ক। চিনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ৩৪ শতাংশ। এই ‘বাণিজ্য যুদ্ধে’র জেরে (Donald Trump) বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার যখন সর্বনাশ, তখন ভারতের হতে চলেছে পৌষ মাস। পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ইভিন্সের আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরীর আশঙ্কা, “গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের পর থেকে আমেরিকার সরবরাহকারীরা বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের বাজারে বেশি খোঁজখবর করছে। এতে আদতে আরও বেশি করে লাভবান হবে ভারত। কারণ, তাদের ওপর ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেছেন ২৭ শতাংশ।” ইভিন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, তাদের ক্লায়েন্ট হিসেবে রয়েছে টমি হিলফিগার এবং লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কোম্পানি। তারা শার্ট, ডেনিম ও সুতো নিয়ে কাজ করে। চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে থাকবে।”

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে ভারতের অবদান ৬-৭ শতাংশ, যা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের তুলনায় অনেক কম (Donald Trump)। তবে, ইউনাইটেড স্টেটস ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গত বছরের রাজনৈতিক সংকটের জেরে শীর্ষ ৩০টি মার্কিন পোশাক ব্র্যান্ড বাংলাদেশের বদলে ভারতের (India) বাজারের দিকে ঝুঁকছে।

    ইউনূস শুনতে পাচ্ছেন?

  • PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    PM Modi: তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ৩ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর করবেন। এই সফরের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি ঘোষিত মহাসাগর নীতির অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোয় ভারতের লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সফর করা হচ্ছে। এই সামিট শেষে ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি শ্রীলঙ্কা সফর করবেন।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি (PM Modi)

    অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে একদিনের সংক্ষিপ্ত, অথবা সর্বাধিক দু’দিনের শ্রীলঙ্কা সফর করেছিলেন। এবার তিনি যাবেন তিনদিনের সফরে। কলম্বোর বাইরে সম্ভাব্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমার দিশানায়েকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রীলঙ্কা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এটি হবে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) তৃতীয় তাইল্যান্ড  সফর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর তাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফর এবং ৬ষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ভারতের ‘প্রথমে প্রতিবেশী’ নীতি, ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি, ‘মহাসাগর’ দর্শন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক দর্শনের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করবে।” ‘মহাসাগর’ বা “মিউচুয়াল অ্যান্ড হোলিস্টিক অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্রোথ অ্যাক্রস রিজিয়নস” দর্শন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মরিশাস সফরের সময়ই ঘোষণা করেছিলেন।

    বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন

    বিমস্টেকের (BIMSTEC Summit) সদস্য দেশগুলি হল ভারত, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল ও ভুটান। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের পর এটি হবে প্রথমবারের মতো বিমস্টেক নেতাদের মুখোমুখি বৈঠক। পঞ্চম (PM Modi) বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২২ মার্চ, শ্রীলঙ্কার কলম্বোয়। এই শীর্ষ সম্মেলনে নেতারা বিমস্টেক সহযোগিতাকে আরও গতিশীল করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “নেতারা বিমস্টেক কাঠামোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সক্ষমতা নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারত বিমস্টেকে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদার করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজীকরণ, স্থল, সামুদ্রিক ও ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন, খাদ্য, শক্তি, জলবায়ু ও মানব নিরাপত্তায় সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নকে উৎসাহিত করা, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা।” বিমস্টেক (BIMSTEC Summit) ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৩ এপ্রিল তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেটোংটান শিনাওয়াত্রার সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে, দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের অংশীদারিত্বের জন্য রূপরেখা তৈরি করবেন।

    প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কা সফর করবেন

    তাইল্যান্ড সফর শেষ করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) ২০২৫ সালের ৪ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার দিসানায়ক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এই দুই নেতা “একটি সম্মিলিত ভবিষ্যতের জন্য অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা” যৌথ দর্শনের অধীনে সম্মত সহযোগিতার অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এটি গৃহীত হয়েছিল শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির ভারত সফরের সময়। শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় হাইকমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত ঐতিহ্যগতভাবে শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি এবং শ্রীলঙ্কা সার্কে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের মধ্যে একটি।

    বাণিজ্য বিভাগের খবর

    বাণিজ্য বিভাগের খবর, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পণ্য বাণিজ্য ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভারতের রফতানির পরিমাণ ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর শ্রীলঙ্কার রফতানির পরিমাণ ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিভিন্ন ঋণ লাইন ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য একটি ঋণ সুবিধা দ্বারাও সমর্থিত ছিল। এফটিএ-র পরিধি (PM Modi) আরও বিস্তৃত করার জন্য এবং উৎপত্তির নিয়মগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য, পণ্য এবং পরিষেবা উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করে একটি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি সহযোগিতা চুক্তির (ইটিসিএ) প্রস্তাব করা হয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ভারত

    ২০২৩ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের সফরের পরে ফের আলোচনা (BIMSTEC Summit) শুরু হয়েছে দুই দেশের। এখানে ইটিসিএ নিয়ে আলোচনাও করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত ১৪ দফা আলোচনা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বশেষ আলোচনাটি হয়েছিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, কলম্বোয়। শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি, ভারত শ্রীলঙ্কায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম অবদানকারীদের মধ্যে একটি, যার মোট পরিমাণ ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতের প্রধান বিনিয়োগগুলি হল জ্বালানি, আতিথেয়তা, রিয়েল এস্টেট, উৎপাদন, টেলিযোগাযোগ, ব্যাঙ্কিং এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে (PM Modi)।

  • PM Modi: এপ্রিলের প্রথমেই শ্রীলঙ্কা সফরে মোদি, স্বাক্ষর হবে একাধিক মউ, উদ্বোধন করবেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের

    PM Modi: এপ্রিলের প্রথমেই শ্রীলঙ্কা সফরে মোদি, স্বাক্ষর হবে একাধিক মউ, উদ্বোধন করবেন সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এপ্রিল মাসের গোড়ায় শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গতকাল শনিবার এমনটাই জানানো হয়েছে কলম্বোর তরফে। যদিও নয়াদিল্লি এবিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। গতকাল শনিবার শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী বিজিতা হেরাথ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, এপ্রিল মাসের শুরুতেই দ্বীপরাষ্ট্র সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, এই সফরে শ্রীলঙ্কার পূর্ব ত্রিঙ্কোমালি জেলার সামপুরে একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনও করবেন মোদি। এই সফরে শ্রীলঙ্কা সরকারের সঙ্গে তাঁর একাধিক বিষয়ে সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করারও কথা রয়েছে।

    কী বললেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী?

    নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথাও উঠে আসে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে। শনিবার পেশ করা হয় শ্রীলঙ্কার বাজেট। সেই বাজেট অধিবেশনেই এমনটাই জানালেন শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী ভিজিথা হেরাথ। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন,‘‘আমরা ভারতের সঙ্গে বরাবরই মিত্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। সরকার গঠনের পরেই আমাদের প্রথম কূটনৈতিক সফর হয়েছিল ভারতের উদ্দেশেই। এবার সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এপ্রিল নাগাদ শ্রীলঙ্কায় আসছেন।’’ প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর গত বছরই প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী অনুরাকুমার দিশানায়েকে। সেই সফরে একাধিক বিষয়ে আলোচনা সম্পন্ন হয় দিল্লি এবং কলম্বোর মধ্যে। শ্রীলঙ্কার প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) এই সফরে সেই সমঝোতা আরও পাকাপোক্ত হতে চলেছে।

    ক্ষমতায় আসার পরে মোদির চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর

    ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্মত হয়েছিল এনটিপিসি। জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে সেই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রেরই উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসেন ২০১৪ সালে। ঠিক তার পরের বছরেই অর্থাৎ ২০১৫ সালে তিনি প্রথম শ্রীলঙ্কা সফর করেন। এরপর ২০১৭ ও ২০১৯ সালেও তিনি শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চতুর্থ শ্রীলঙ্কা সফর হতে চলেছে।

  • India-Sri Lanka Conflict: ভারতের মৎস্যজীবীদের উপর নির্বিচারে গুলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতকে তলব বিদেশমন্ত্রকের

    India-Sri Lanka Conflict: ভারতের মৎস্যজীবীদের উপর নির্বিচারে গুলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতকে তলব বিদেশমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পক প্রণালীতে ফের শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka Conflict) নৌসেনার হামলার শিকার ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। জলসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকায় নির্বিচারে গুলি চালায় শ্রীলঙ্কার নৌসেনা। মঙ্গলবার ভোরে আকস্মিক এই হানায় গুরুতর জখম হয়েছেন পাঁচ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। পাশাপাশি, শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনও শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বলে খবর।

    জেলেদের জীবন-জীবিকা নিয়ে সরব ভারত

    বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতের জলসীমা লঙ্ঘনের অপরাধে শ্রীলঙ্কার ডেল্ফট দ্বীপের (স্থানীয় নাম নেদুনতিভু) অদূরে পক প্রণালীতে এই হামলা চালায় শ্রীলঙ্কার (India-Sri Lanka Conflict) সশস্ত্র বাহিনী। এরপর জখম পাঁচজন সহ মোট ১৩ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী। আহত মৎস্যজীবীরা এখন শ্রীলঙ্কার জাফনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাফনার ভারতীয় কনস্যুলেট তাঁদের চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছে। ঘটনার জেরে আবার উত্তাপ ছড়িয়েছে নয়াদিল্লি-কলম্বো কূটনৈতিক সম্পর্কে। মঙ্গলবার ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারকে তলব করে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, জেলেদের জীবন-জীবিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তাঁদের পেশাগত বিষয়গুলিকে মানবিকভাবে বিচার বিবেচনার ওপর জোর দেওয়ার প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে কোনওভাবে বলপ্রয়োগ কাম্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এব্যাপারে দুই দেশকে সতর্কভাবে বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি বিবেচনার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে দিল্লি।

    ভারত বিরোধী জিগির

    প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের (India-Sri Lanka Conflict) জলসীমায় মৎস্যজীবীদের আক্রমণ এই প্রথম নয়। গত বছরও কচ্চতিভু দ্বীপের উত্তরে শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর টহলদারি জাহাজ ভারতীয় মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় দু’জন নিহত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ন্যাশনাল পিপল্‌স পাওয়ার (এনপিপি) নামের বাম জোটের নেতা অনুরাকুমার দিশানায়েক। সে দেশের রাজনীতিতে তিনি ‘ভারতবিরোধী’ এবং ‘চিনপন্থী’ হিসাবে পরিচিত। তার পর থেকেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রে নতুন করে ভারত-বিরোধী জিগির সৃষ্টির চেষ্টা শুরু হয়েছে।

  • Sri lanka: শ্রীলঙ্কার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিল ভারত

    Sri lanka: শ্রীলঙ্কার শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষির জন্য ২৩৭০ কোটি টাকার অনুদান দিয়ে পাশে দাঁড়াল ভারতের মোদি সরকার। সম্প্রতি ওই দেশের সাধারণ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রপতি অনুরা কুমারা দিসানায়েক প্রথম ভারত সফরে এসেছিলেন। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সৌভ্রাতৃত্ব আরও মজবুত করতে এই প্রচেষ্টা বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় আর্থিক ভাবে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল, এই অবস্থায় ভারতীয় সহযোগিতা শ্রীলঙ্কাকে বিরাট ক্ষতি থেকে পুনরায় উঠে দাঁড়াতে সুবিধা হবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কৃষির জন্য ৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে (Sri lanka)

    শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী নালিন্দা জয়থিসা জানিয়েছেন শিক্ষা খাতে ৩১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, স্বাস্থ্যের জন্য ৭৮ কোটি টাকা, কৃষির জন্য ৬২ কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে এই আর্থিক সহযোগিতা বিনিয়োগ করা হবে। ভারতের এই আর্থিক সহযোগিতা শ্রীলঙ্কার জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। কেন না বিগত বেশ কিছু দিন ধরে ওই দেশের আর্থিক সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ দেশটিকে ভীষণ ভাবে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে। ভারতের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গবেষকরা শ্রীলঙ্কার খারাপ সময় দ্রুত কাটার বিষয়ে দারুণ আশাবাদী।

    আরও পড়ুনঃ হিন্দুত্বের রাষ্ট্রনায়ক, ভারতবর্ষের গর্ব অটল বিহারী বাজপেয়ী

    ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ 

    ভারত এই মোটা অঙ্কের অনুদানের বাইরে আরও সাতটি লাইন-অফ-ক্রেডিট প্রকল্পে অর্থ প্রদানের জন্য ২০ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই ভাবে শ্রীলঙ্কার (Sri lanka) উত্তরে কানকেসান্থুরাই বন্দরকে পুনর্গঠনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই খাতে মোট খরচ করা হবে ৬১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রতিবেশী ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলির উপর চিনা আগ্রাসনকে ঠেকাতে ভারত এখন বিশেষ নজর দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশে অস্থিরতা ভারতের জন্য একটি মাথাব্যথা স্বরূপ। তাই আগ্রাসী শক্তির কবল থেকে প্রতিবেশীকে রক্ষা করা যেমন এক গুরুদায়িত্ব, ঠিক তেমনি বিপর্যস্ত আর্থিক ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিশেষ সহযোগিতা করাও ভারতের বিরাট কর্তব্য। বহু প্রাচীন কাল থেকেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক সংযোগ রয়েছে। ভারত সব সময় এই দেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    Hambantota Port: ‘ভারতের ক্ষতি হবে এমন কাজ করতে দেব না’, চিনকে বার্তা শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার ভূখণ্ড কোনওভাবেই ভারতের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হবে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে দেব না। সোমবার এমনই আশ্বাস দিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুর কুমার ডিসানায়েকা। এদিন ভারত-শ্রীলঙ্কা (Hambantota Port) যৌথ বিবৃতিতে ফের একবার শ্রীলঙ্কার অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। কলম্বোর এই আশ্বাস এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন চিন তার ‘মিশন ইন্ডিয়ান ওশান’ শুরু করেছে। ভারতকে টার্গেট করতেই বেজিংয়ের শ্যেনদৃষ্টি ভারত মহাসাগরে (Sri Lanka)।

    হাম্বানটোটা বন্দর (Hambantota Port)

    এই মহাসাগরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর। চিনের ঋণ শোধ করতে না পারায় শ্রীলঙ্কার ওই বন্দর নিয়ন্ত্রণ করছে চিন। সেখানে তাদের নৌবাহিনীর নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নোঙর করছে। গত দুবছরে, বেইজিং একাধিকবার তাদের ২৫ হাজার টনের স্যাটেলাইট এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ট্র্যাকিং জাহাজ ইউয়ান ওয়াং ৫ হাম্বানটোটায় মোতায়েন করেছে। এটি ভারতের স্বার্থের পরিপন্থী। কারণ শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের কাছাকাছি। এবং শ্রীলঙ্কার এই বন্দর কৌশলগতভাবে ভারত ও চিন দুপক্ষের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    ভারতের উদ্বেগ

    ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে, যখন নয়াদিল্লি কলম্বোকে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়, তখন শ্রীলঙ্কা প্রাথমিকভাবে বেজিংকে তাদের জাহাজের আসা পিছিয়ে দেওয়ার এবং এমনতর কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছিল। তার পরেও চিনের চর জাহাজ ভেড়ে হাম্বানটোটা বন্দরে। তারপর থেকে চিনের নজরদারি ও গোয়েন্দা জাহাজ নিয়মিতভাবে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে টহল দিচ্ছে এবং হাম্বানটোটায় নোঙর (Hambantota Port) করছে।

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    ২০১০ সালে চালু হয় হাম্বানটোটা বন্দর। শ্রীলঙ্কার তৎকালীন রিনল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রা বাড়ানোর তাগিদে এই বন্দর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। চিনের এক সংস্থাকে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তার পর থেকে চিনা চর জাহাজ নিয়মিতভাবে ভিড়ছে ওই বন্দরে। যা আদতে ভারতের মাথাব্যথার কারণ। ভারতের এই উদ্বেগ কাটাতেই শ্রীলঙ্কার অবস্থান (Hambantota Port) স্পষ্ট করে দিলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share