Tag: Sri Lanka

Sri Lanka

  • Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সমীকরণ। চিনের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে ক্রমেই নয়াদিল্লির কাছাকাছি আসতে চাইছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই শ্রীলঙ্কায়ই দেশের বৃহত্তম হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport) গড়ে উঠেছিল চিনের সহায়তায়। বেজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পেই গড়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরেরই রাশ এবার যৌথভাবে হাতে নিতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা।

    ড্রাগনের দেশকে বার্তা! (Sri Lanka)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) যে ক্রমেই নয়াদিল্লির দিকে ঝুঁকছে, ড্রাগনের দেশকে সেই বার্তা দিতেই বিমানবন্দরটির (Hambantota Airport) পরিচালনার রাশ তুলে দেওয়া হল ভারত ও রাশিয়ার দুই কোম্পানির হাতে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে শৌর্য অ্যারোনটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (ভারত) এবং এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ রাশিয়া। এই দুই সংস্থাই বিমানবন্দরটি পরিচালনা করবে আগামী তিরিশ বছর।

    হাম্বানটোটা বিমানবন্দর

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয় হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের (Hambantota Airport)। এই বিমানবন্দর নির্মাণের সিংহভাগ খরচ দিয়েছে চিন। বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে (Sri Lanka) চড়া সুদে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল ড্রাগনের দেশের এক ব্যাঙ্ক। সেই ঋণ শোধ করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রশাসন। ২০১৬ সাল থেকেই বিমানবন্দরটি দেখভালের জন্য বাণিজ্যিক সঙ্গী খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত একবারও লাভের মুখ দেখেনি বিমানবন্দরটি। বরং যত দিন গিয়েছে, ততই সব চেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দরের তকমা পেয়েছে শ্রীলঙ্কার এই বিমানবন্দরটি। শেষমেশ ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা যৌথভাবে দায়িত্ব নিল বিমানবন্দরটি পরিচালনার।

    বিমানবন্দরের বেহাল দশা

    জানা গিয়েছে, এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থই পরিশোধ করা হবে চিনের ব্যাঙ্ককে। বিমানবন্দরটির পরিচালনার ভার নিতে চেয়ে আবেদন করেছিল পাঁচটি কোম্পানি। তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে দুটিকে। শ্রীলঙ্কার সরকারি মুখপাত্র বন্দুলা গুণবর্ধন বলেন, “ভারতীয় সংস্থাটির নাম শৌর্য অ্যারোনেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রাশিয়ান সংস্থাটির নাম এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট।” উদ্বোধনের প্রায় পর থেকেই ক্ষতির মুখে পড়ে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport)। প্রথম দিকে অবশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করত। সংখ্যায় কম হলেও, সচল ছিল বিমানবন্দর। পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে বিমান ওঠানামা। এক সময় বন্ধই হয়ে যায়। ধু ধু প্রান্তরে পরিণত হয় সাজানো গোছানো আস্ত বিমানবন্দর।

    আরও পড়ুুন: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    চিনা ঋণের ফাঁদ

    জানা গিয়েছে, একের পর এক দেশকে ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলছে চিন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চিন ঋণ দিয়েছে সব মিলিয়ে ১৬৫টি দেশকে। মার্কিন ডলারের অঙ্কে এর পরিমাণ হল ১.৩৮ ট্রিলিয়ন। চিনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে রাশিয়া। দেনার পরিমাণ ১৭০ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই রয়েছে ভেনেজুয়েলা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান। ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিমের দেশগুলির অভিযোগ, চিনা ঋণের ফাঁদ আসলে মৃত্যু ফাঁদ।

    আরও পড়ুুন: “মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট”, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে বললেন শাহ

    চাইলেই আর্থিকভাবে দুর্বল দেশগুলিকে চড়া সুদে ঋণ দেয় বেজিং। দেনা মেটাতে না পেরে যখন ভেঙে পড়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলির অর্থনীতির কোমর, তখনই হাত গুটিয়ে নেয় চিন। উপায়ান্তর না দেখে ড্রাগনের দেশের কাছে সারেন্ডার করে ঋণগ্রস্ত দেশগুলি। এভাবেই একের পর এক দেশের চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রের জলবন্দর হাম্বানটোটার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চিন (Sri Lanka)। সেখান থেকে এই বিমানবন্দরের (Hambantota Airport) দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেদিক থেকে দেখলে, ড্রাগনের দেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল ভারত ও রাশিয়া।

    বিমানবন্দরটির হাল ফেরে কিনা, এখন তা-ই দেখার (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • UPI: দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও মরিশাসে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু করলেন মোদি

    UPI: দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ও মরিশাসে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শ্রীলঙ্কা ও মরিশাসেও ভারতের ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) চালু হয়ে গেল। দুপুর ১টা নাগাদ একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ভারতের ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস পরিষেবা চালু করা হয়। এদিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জগন্নাথ এবং শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির অনিল বিক্রমসিংহ। প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারেও সম্প্রতি ইউপিআই ব্যবস্থা চালু হয়।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসে ফের ভাঙন! দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি?

    ইউপিআই ব্যবস্থা (UPI) চালু করার পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত বছর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের ভারত সফরের সময় দুই দেশ একটি ভিশন ডকুমেন্ট গ্রহণ করেছিল। আর্থিক সংযোগ বাড়ানো এর একটি মূল অংশ ছিল। গত বছর মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জগন্নাথের সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কা ও মরিশাস এই ঘটনা থেকে লাভবান হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ভারতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। আমাদের ছোট্ট গ্রামের ক্ষুদ্রতম ব্যবসায়ীও ডিজিটাল পেমেন্ট করছে. কারণ এতে সুবিধার পাশাপাশি গতিও রয়েছে।’’ 

    লেনদেনে সুবিধা হবে নাগরিকদের

    প্রসঙ্গত, এই পরিষেবা (UPI) চালু হওয়াতে দুই দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেকটাই উন্নত হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর ফলে ওই দুই দেশে ভ্রমণকারী ভারতীয় নাগরিকরা এবং ভারতে ভ্রমণকারী মরিশাস ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা ইউপিআই-এর সুবিধা ভালোভাবে নিতে পারবেন। সম্প্রতি ফ্রান্সে ইউপিআই ব্যবস্থা চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি মরিশাসে এদিন একসঙ্গে রূপে কার্ডের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থাও চালু করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ইস্যুতে ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার নিজেদের বন্দরে একটি চিনা জাহাজকে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিদেশমন্ত্রী আলি সবরি সোমবারই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, নিয়ম মেনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সঙ্গে আলোচনা করেই ওই চিনা জাহাজকে নোঙর করতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার এই অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    চিনা আবেদন খারিজ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, ‘শি ইয়ান-৬’ নামে একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই আবেদনকে খারিজ করে শ্রীলঙ্কার  প্রশাসন। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী আলি সবরি বলেন, ‘‘বেশ কিছুটা সময় ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভারত নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করেছি। ভারত-সহ আমাদের একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই এসওপি তৈরির সময় কথা বলা হয়। এই এসওপি মেনে ভেসেল নোঙর করলে আমাদের সমস্যা নেই। না মানলে সমস্যা রয়েছে।’’

    বন্ধু রাষ্ট্রের পাশেই শ্রীলঙ্কা

    আর্থিক সংকটে থাকাকালীন শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) প্রভূত সাহায্য করেছিল ভারত। সেসময় থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ জোরালো হয় দুই দেশের। তাই স্বাভাবিবভাবেই দুর্দিনের বন্ধুকে ভোলেনি শ্রীলঙ্কা। চিনা জাহাজকে নোঙর করতে না দেওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’নামের একটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরে নোঙর করেছিল। সেই সময় ভারতে তরফ থেকে কড়া বার্তা সামনে আসে বিদেশমন্ত্রীদের জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, বিশেষত তার সঙ্গে যদি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলে নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Sri Lanka: শ্রীলঙ্কার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে যোগ দিতে কলম্বো পৌঁছলেন ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী

    Sri Lanka: শ্রীলঙ্কার ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে যোগ দিতে কলম্বো পৌঁছলেন ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার কলম্বোতে নামলেন ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরন।

    আরও পড়ুন: বাজেটে বাংলার জন্য রেলের রেকর্ড বরাদ্দ! ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকার ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

    ট্যুইটে কী লিখলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী

    এ বিষয়ে ট্যুইটে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী লেখেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে যোগ দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে। ধন্যবাদ জানাই শ্রীলঙ্কার সরকারকে এমন  উষ্ণ অভ্যর্থনার আয়োজন করার জন্য। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এদিন ট্যুইট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    কী কী আলোচনা হবে

    বিদেশমন্ত্রকের প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর শ্রীলঙ্কা সফরে অনেক বিষয়েই আলোচনা হতে চলেছে। সেদেশের রাষ্ট্রপতি রামিল উইকরেমেসিংঘে এবং বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকের কথা রয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর।

    প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলাই ভারতের অন্যতম নীতি। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে রয়েছে চিন, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান,  আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ এশিয়াতে শান্তি বজায় রাখতে ভারত সর্বদাই এই দেশগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলে। ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কও বেশ ভাল। এক দেশ অপর দেশের জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজার রাখার পক্ষপাতি।

    আরও পড়ুন: চলতি বছর থেকেই দেশে চালু হাইড্রোজেন ট্রেন! দার্জিলিঙে চলবে কবে? রেলমন্ত্রী বললেন…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      

  • T20 World Cup: নাম মনে রেখো! কেন টুইট সচিনের?

    T20 World Cup: নাম মনে রেখো! কেন টুইট সচিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) আগেই ঘটে গেল অঘটন। নামিবিয়ার কাছে ৫৫ রানে লজ্জাজনক হার হল শ্রীলঙ্কার মতো অভিজ্ঞ দলের। কে ভেবেছিল ভারত, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জেতা শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়বে?
    নামিবিয়ার অতি বড়ো সমর্থকও হয়তো ম্যাচের এমন ফল আশা করেনি।

    নামিবিয়ার এই ঐতিহাসিক জয়ের পরেই ট্যুইট করেন ‘ক্রিকেটের ঈশ্বর’ সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। তিনি লিখলেন, ‘নামিবিয়া আজ ক্রিকেট বিশ্বকে বলে দিল, ‘নাম’ মনে রেখো’।

    [tw]


    [/tw]

    গিলংয়ের কার্দিনিয়া পার্কে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করেছিল নামিবিয়া। জবাব দিতে নেমে শ্রীলঙ্কা ১৯ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ১০৮ রানে।
    ব্যাট হাতে নামিবিয়ার শুরুটা কিছুটা স্লো হলেও ; কিন্তু শেষ দিকে এসে গতি বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কার সামনে ১৬৪ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় তারা। এই নতুন অনভিজ্ঞ দলটি শ্রীলঙ্কার সামনে রানের পাহাড় খাড়া করায় স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচটিতে উত্তেজনা ছড়ায়।

    [tw]


    [/tw]
    কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কা পুরোপুরি ব্যাকফুটে। নামিবিয়ান বোলিংয়ের সামনে বলতে গেলে দিশেহারা অবস্থা হয় লঙ্কান ব্যাটারদের।
    ৪০ রানের মধ্যেই চলে যায় দলের প্রথম চার উইকেট। প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র ধনঞ্জয় ডি সিলভাই দুই অঙ্কের রান করেন। তাও সেটি উল্লেখ করার মতো নয়। এরপর ভানুকা রাজাপক্ষ (২১ বলে ২০) ও অধিনায়ক দাসুন (২৩ বলে ২৯) মরা গাঙে জোয়ার আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা যখন ফেরেন, তখন শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ৮৮। অথচ ৭৬ রানে চার উইকেট হারানো নামিবিয়াই কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রান তুলতে পেরেছিল।

    [tw]


    [/tw]
    এর পরে কোনও ব্যাটসম্যানই আর নামিবিয়ার বোলিং এর সামনে দাঁড়াতে পারেননি। হাসারাঙ্গা ৪, চামিকা করুনারত্নে ৫, প্রমোদ মধুশান শূন্য, দুষ্মন্তে চামিরা আউট হন ৮ রান করে। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন ১১ নম্বর ব্যাটার মহেশ থিকসানা।

    [tw]


    [/tw]

    নামিবিয়ার হয়ে শ্রীলঙ্কার কাজটা কঠিন করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ডেভিড ওয়াইস। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে দু’টি উইকেট নেন তিনি। দু’টি করে উইকেট নেন বার্নার্ড স্কোলজ়, বেন শিকঙ্গো এবং ফ্রিলিঙ্ক। একটি উইকেট নেন স্মিট।
    যোগ্যতা অর্জন পর্বে শ্রীলঙ্কার গ্রুপে নামিবিয়া ছাড়াও রয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেই দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে শ্রীলঙ্কাকে। না হলে বিশ্বকাপের (T20 World Cup) মূল পর্বে ওঠার আশা শেষ হয়ে যাবে এশিয়া কাপজয়ীদের। শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ সোমবার। সে দিন আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে তারা। সে দিন নামিবিয়া খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    Maldives: চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মলদ্বীপ, ভারতকে চাপে রাখার কৌশল বেজিংয়ের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভারতকে চাপে রাখার কৌশল চিনের! এবার অবশ্য শ্রীলঙ্কা নয়, চিনা গুপ্তচর জাহাজ ঘাঁটি গাড়তে চলছে নয়া বন্ধু মলদ্বীপের (Maldives) রাজধানী মালেতে। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’ নামের ওই গুপ্তচর জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছে গিয়েছে।

    ভারত মহাসাগরে আসছে চিনা চর জাহাজ

    ৮ ফেব্রুয়ারি সেটি মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে পৌঁছবে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তবে চিনা চর জাহাজটি যে সামরিক উদ্দেশ্যে ভারত মহাসাগরে নোঙর করতে চলেছে, তা নিশ্চিত করা হয়েছে মলদ্বীপের চিনপন্থী মহম্মদ মুইজ্জু সরকারের তরফে। দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিনা গুপ্তচর জাহাজটি মলদ্বীপের জলভাগে কোনও গবেষণা করবে না। এর আগে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ঘাঁটি গেড়েছিল চিনা চর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এ নিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা মন কষাকষি হয়। তার পরেই চিনা গুপ্তচর জাহাজটিকে বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। ‘শিয়াং ইয়াং হং ৩’-ও হাম্বানটোটায় নোঙর করতে চেয়েছিল।

    শ্রীলঙ্কায়ও নোঙর করেছিল চিনা গুপ্তচর

    শ্রীলঙ্কার আপত্তিতে (Maldives) জাহাজটি ভিড়তে পারেনি হাম্বানটোটা বন্দরে। তবে ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ চিনের এই দুটি গুপ্তচর জাহাজ নোঙর করেছিল হাম্বানটোটায়। পরবর্তীকালে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনা গুপ্তচর জাহাজকে সে দেশের বন্দরে পা রাখতে দেয়নি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সরকার। মলদ্বীপের প্রশাসনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই জাহাজটি এলে মলদ্বীপের সঙ্গে তার সঙ্গী দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে। বন্ধু দেশ থেকে আসা জাহাজকে স্বাগত জানানোটা এ দেশের শতাব্দী-প্রাচীন একটি ঐতিহ্য।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির সেই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির হানা, শাহজাহান কোথায়?

    দীর্ঘদিন ধরে ভারত ছিল মলদ্বীপের পরম মিত্র দেশ। গত নির্বাচনে দেশের রশি যায় চিনপন্থী মুইজ্জুর হাতে। তার পর থেকে তিনি একের পর এক ভারত-বিরোধী পদক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রী। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে শেষমেশ সাসপেন্ড করা হয় ওই তিনজনকে। তাতে অবশ্য উন্নতি হয়নি নয়াদিল্লি-মালে (Maldives) সম্পর্কের। কারণ সেই চিনপন্থী মুইজ্জু। তাঁর এই চিন-প্রেমে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ভারত। এহেন আবহে চিনা চর জাহাজকে স্বাগত জানাল মুইজ্জু সরকার (Maldives)। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে চাপে রাখতে মলদ্বীপকে দিয়ে চর জাহাজকে স্বাগত জানানোর কৌশল আসলে বেজিংয়েরই ব্রেন চাইল্ড।   

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Chinese Spy Ship: মোদির কূটনীতির জয়, ১ বছরের জন্য চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ

    Chinese Spy Ship: মোদির কূটনীতির জয়, ১ বছরের জন্য চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ নিষিদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের কোনও গবেষণামূলক (পড়ুন গুপ্তচর) জাহাজকে (Chinese Spy Ship) এক বছরের জন্য তাদের কোনও বন্দরে প্রবেশ বা এক্সক্লুসিভ অর্থনৈতিক এলাকায় (ইইজেড) কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে ভারতকে আশ্বাস দিল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka India Relations)। 

    আপত্তির কথা শ্রীসঙ্কাকে জানিয়েছিল ভারত

    গত জুলাই মাসের সাক্ষাতে চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship)  ইস্যুতে ভারতের অসন্তোষের কথা দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘের সমানে উত্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের নিরাপত্তাজনিত এবং কৌশলগত উদ্বেগকে যাতে সম্মান করা হয়, সেই অনুরোধও নয়াদিল্লির তরফে কলম্বোকে করা হয়েছিল। এর পরেই শ্রীলঙ্কার তরফে এই পদক্ষেপ করা হল। গত সপ্তাহে কূটনৈতিক মাধ্যমে ভারতকে এই স্থগিতাদেশের কথা জানানো হয় শ্রীলঙ্কার তরফে (Sri Lanka India Relations)। শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে সোমবার, অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই। 

    আগেও শ্রীলঙ্কায় আসে একাধিক চিনা গুপ্তচর জাহাজ

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, আগামী ৫ জানুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার, ভারত মহাসাগরের গভীর জলে ‘গবেষণা’ করার জন্য কলম্বো বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল চিনের জাহাজ ইয়াং হং ৩-এর (Chinese Spy Ship) । কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। বদলে আগামী ১ বছরের জন্য চিনা জাহাজের ঠাঁই নেওয়া স্থগিত করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন। মে মাস পর্যন্ত জাহাজটির সেখানে থাকার কথা ছিল বলে শ্রীলঙ্কাকে জানিয়েছিল চিন। এই প্রথম নয়। এর আগেও, গবেষণার নাম করে শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল চিনা গুপ্তচর জাহাজ। ২০২২ সালে চিনের নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’ শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল। এর পর গত বছর অগাস্ট মাসে দ্বীপরাষ্ট্রে ঘাঁটি গেড়েছিল পিএলএ-র জাহাজ ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’।

    লক্ষ্য ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারি

    বার বার চিনা গুপ্তচর জাহাজের (Chinese Spy Ship)  এভাবে শ্রীলঙ্কার বন্দরে আসাটা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি ভারত। গত বছর এই নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে কলম্বোকে সেই বার্তা দিয়েছিলস নয়াদিল্লি। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আপত্তির কথা (Sri Lanka India Relations)। চিন দাবি করে আসছিল, এই জাহাজগুলি একবারেই গবেষণামূলক। কিন্তু, ভারতের আশঙ্কা ছিল যে, পরমাণু এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপর নজরদারি করতেই বার বার শ্রীলঙ্কায় ভিড়ছে এই জাহাজগুলি। এই নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোট ৪৮টি চিনা বৈজ্ঞানিক গবেষণা জাহাজ মোতায়েন করা হল। পাশাপাশি, চিনা নৌসেনার অন্তত ২৫টি যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে। এই নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়ছিল। তবে, এবার শ্রীলঙ্কাকে পাশে পেল ভারত। যে কারণে, তীরে এসেও তরী ভেড়াতে পারল না চিন। একপ্রকার বাধ্য হয়েই এখন ভারত মহাসাগরের আরেকটি দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের দিকে এগোচ্ছে ওই জাহাজ।

    ভারতকে এখন চটাতে চাইছে না শ্রীলঙ্কা…

    শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্তকে ভারতের বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান নেতৃত্ব ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এখন চটাতে চাইছে না। কারণ, এখন দ্বীপরাষ্ট্রে বন্দর উন্নয়নে বড় বরাত পেয়েছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী। সেই প্রকল্পে আবার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ত, আর্থিক দুরবস্থার কবলে পড়া শ্রীলঙ্কার বিপদের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সাহাজ্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। সমুদ্রসীমা নিরাপত্তায় দ্বীপরাষ্ট্রের হাতে ডর্নিয়ার নজরদারি বিমান তুলে দিয়েছিল ভারত। পাশাপাশি, চিন (Chinese Spy Ship) নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে সম্প্রতি সাবধান করে আমেরিকাও। এমতাবস্থায়, এখন ভারতকে চটালে আখেরে তাদেরই যে প্রভূত ক্ষতি হবে এটা বুঝেছে লঙ্কা-প্রশাসন (Sri Lanka India Relations)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sri Lanka: রণতুঙ্গার বিতর্কিত মন্তব্য! জয় শাহের কাছে দুঃখপ্রকাশ শ্রীলঙ্কা সরকারের

    Sri Lanka: রণতুঙ্গার বিতর্কিত মন্তব্য! জয় শাহের কাছে দুঃখপ্রকাশ শ্রীলঙ্কা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সভাপতি তথা বিসিসিআই সচিব জয় শাহকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা। এবার রণতুঙ্গার হয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমসিংহে।  গত ১৭ নভেম্বর জয় শাহকে ফোন করেছিলেন রণিল বিক্রমসিংহে। জানা যায়, জয় শাহকে রণিল জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে লঙ্কার সংসদে ক্ষমা চেয়েছেন রণিল নিজে এবং তাঁর মন্ত্রী কাঞ্চনা বীজশেখরা। উল্লেখ্য, বর্তমানে অর্জুন রণতুঙ্গা নিজে শ্রীলঙ্কার একজন সাংসদ। 

    শ্রীলঙ্কা সরকারের মত

    সূত্রের খবর, শ্রীলঙ্কার সংসদে দাঁড়িয়ে সেদেশের মন্ত্রী বীজশেখরা বলেন, ‘আমরা সরকার হিসেবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান জয় শাহের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের ত্রুটির জন্য তাঁকে বা অন্য কোনও দেশের দিকে আঙুল তুলতে পারি না। এই কাজটা অত্যন্ত অন্যায়ের।’ এরপরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে শ্রীলঙ্কা সরকার। 

    আরও পড়ুন: নিজে পারেননি, রোহিতরা পারবেন, আশাবাদী সৌরভ! ট্রফি ছোঁয়ার অপেক্ষায় দ্রাবিড়ও

    কেন দুঃখপ্রকাশ

    বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ের পর বিসিসিআই সচিবের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ছিলেন ১৯৯৬ সালের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। রণতুঙ্গা অভিযোগ করে বলেছিলেন, জয়ের নির্দেশে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডে বিপুল দুর্নীতি হচ্ছে। তাতে আখেরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সে দেশের ক্রিকেট। শ্রীলঙ্কার একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে জয়ের ভাল যোগাযোগ রয়েছে। সেই কারণে কর্তারা মনে করছেন, তাঁরা যা ইচ্ছা করতে পারেন। আদতে জয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট চালাচ্ছে। ওর নির্দেশেই সব চলছে। ভারত থেকে একটা লোকের চাপে ধীরে ধীরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ওর বাবা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সে জন্যই জয়ের এত ক্ষমতা।’’ রণতুঙ্গার মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি বিসিসিআই কর্তারা। তবে, বিশ্বকাপের মাঝে এ নিয়ে বিতর্কও বাড়ায়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorists: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    Khalistani Terrorists: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের (Khalistani Terrorists) আশ্রয় দিয়ে আরও গাড্ডায় কানাডার ট্রুডো সরকার। এবার শ্রীলঙ্কাও জানিয়ে দিল, জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে কানাডা। খালিস্তানি জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছে কানাডায়। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেশের। এবার শ্রীলঙ্কার নিশানায়ও ট্রুডো সরকার। যার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে ট্রুডোর দেশ।

    কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা দ্বীপরাষ্ট্রের

    জুন মাসে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন ট্রুডো। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি বলেন, “ট্রুডো (Khalistani Terrorists) মিথ্যা কথা বলেন। এর আগে কানাডা সরকার দাবি করেছিল শ্রীলঙ্কায় গণহত্যা হয়েছে বলে। সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। ট্রুডোর অভিযোগ তাই আমাকে অবাক করে না।”

    ‘সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা’, বলল শ্রীলঙ্কাও

    তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রমাণ ছাড়াই আপত্তিকর অভিযোগ তোলেন বারংবার। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও একই রকম অভিযোগ তুলেছিল কানাডা। শ্রীলঙ্কায় গণহত্যা হয়েছে বলে ভয়ানক ও সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিল কানাডা। সবাই জানে, আমাদের দেশে কোনও গণহত্যা হয়নি।” ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিদায়ী হাইকমিশনার মিলিন্ডা মোরাগোদাও। কানাডার অভিযোগের পর ভারতের প্রতিক্রিয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা। তবে সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।” তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এই আবহে ভারতের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট দ্ব্যর্থহীন ও দৃঢ়। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে আমরা ভারতকেই সমর্থন করছি। আমার ৬০ বছরের জীবনে ৪০ বছর শ্রীলঙ্কায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হতে দেখেছি। আর এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ফলস্বরূপ আমি অনেক বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    রাশিয়ার তোপের মুখেও ট্রুডো প্রশাসন

    এদিকে, হিটলারের নাৎসি বাহিনীর এক বর্ষীয়ান সদস্যকে সম্মান জ্ঞাপন করা হয় কানাডার পার্লামেন্টে (Khalistani Terrorists)। ৯৮ বছরের ওই ব্যক্তি ইউক্রেনের বাসিন্দা। নাৎসি বাহিনীর সদস্যকে ট্রুডো সরকার সম্মান জানানোয় বেজায় চটেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “নাৎসির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিকে যেভাবে সম্মান জানানো হয়েছে, তা উদ্বেগ তৈরি করে। নাৎসি জমানার ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: সিরাজের অগ্নিবর্ষী বলে ছত্রখান শ্রীলঙ্কা, এশিয়া কাপে দ্বীপরাষ্ট্রে নয়া ইতিহাস ভারতের

    Asia Cup 2023: সিরাজের অগ্নিবর্ষী বলে ছত্রখান শ্রীলঙ্কা, এশিয়া কাপে দ্বীপরাষ্ট্রে নয়া ইতিহাস ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধরাশায়ী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) ছিনিয়ে নিল ভারত। এ নিয়ে অষ্টমবারের জন্য এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। মাত্র ৬.১ ওভারেই কোনও উইকেট না হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।

    ভারতের অনায়াস জয়

    এশিয়া কাপের রবিবাসরীয় এই ফাইনালে ১০ উইকেটে জয়ী হল ভারত। শুভমন গিল ও ঈষান কিষান রইলেন অপরাজিত। ভারতের ভয়ঙ্কর বোলিংয়ের সামনে প্রায় খড়কুটোর মতো উড়ে যায় শ্রীলঙ্কা বাহিনী। ১৫.২ ওভারে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল। হার্দিক পাণ্ড্যর দুই বল খেলেই সাজঘরে ফিরে যেতে হয় প্রমোদ মধুশানকে। তাঁর ঝুলিতে মাত্র ১ রান। হার্দিক পাণ্ড্যর বলেই আউট হয়ে যান মাথিশা পাথিরানা। হার্দিক পাণ্ড্যর বলে দুনিথ ওয়েল্লালাগের ক্যাচ নেন রাহুল। ১৭ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান কুশল মেন্ডিস। সিরাজের বলে অফস্টাম্প ছিটকে যায় দাসুন শনাকারের।

    আগুন ঝরানো বল সিরাজের

    বস্তুত, এদিন শ্রীলঙ্কার (Asia Cup 2023) ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে দেন সিরাজই। তাঁর প্রথম বলেই রবীন্দ্র জাডেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান পাথুম নিশাঙ্কা। তৃতীয় বলে সাদিরা সমারাবিক্রমাকে এলবিডব্লিউ করেন সিরাজ। চতুর্থ বলে ঈশানের হাতে অনায়াস ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান চারিথ আসালঙ্কা। শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান ম্যাচে সালালঙ্কা নায়ক হলেও, এদিন তাঁকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। ওভারের শেষ বলে ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে তুলে নেন সেই সিরাজই। মাত্র ৩৭ বলেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। হাতে চলে আসে এশিয়া কাপ।

    আরও পড়ুুন: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল
    এদিন ফাইনাল ম্যাচ হয় শ্রীলঙ্কার আর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে। এখানেই এদিন নয়া ইতিহাস লেখে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে কলম্বোয় মোট তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৮৬, ১৯৯৭ এবং ২০০৪। প্রতিবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ব্যতিক্রম কেবল এবারই। দ্বীপরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে এদিন গোহারা হারল শ্রীলঙ্কা। এদিন শুভমন ৬টি (Asia Cup 2023) বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ঈশানও। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর ফের কোনও বহুজাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share