Tag: SSC recruitment scam

SSC recruitment scam

  • Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    Recruitment Scam: আরও ৪০ ‘অযোগ্য শিক্ষকের’ নাম, ওএমআর শিট প্রকাশ এসএসসি-র, দেখুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ছিল, সাদা উত্তরপত্র জমা দিয়েও ৪৩ নম্বর পেয়েছেন একাধিক পরীক্ষার্থী। নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের পরে ওএমআর শিটে বিকৃতির (OMR sheet Corruption) অভিযোগ ওঠে গ্রুপ ডি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রেও (Recruitment Scam)। শেষমেশ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ‘অযোগ্য শিক্ষকদের’ নামের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার এই নতুন তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তালিকায় নাম রয়েছে ৪০ জনের। তবে, এবার শুধু তালিকাই নয়। আদালতের নির্দেশে এই ৪০ জনের জমা দেওয়া ফাঁকা ওএমআর শিটও প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। 

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি! ওএমআর শিট সবার সামনে আনার নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী নিয়ে বিতর্ক

    পরীক্ষায় পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)-এর সার্ভারে দেখা যায়, গ্রুপ ডির সেই প্রার্থী পেয়েছেন ৪৩। সিবিআইয়ের পেশ করা নথি নিয়েই মঙ্গলবার সরব হয় কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতেই বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। কমিশনের ওয়েবসাইটে ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আরও ৪০ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের তালিকা ও ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়।

    মামলার প্রেক্ষাপট

    গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেছিলেন লক্ষ্মী টুঙ্গা। এই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মোট ২৮২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০০ জনের ওএমআর শিটেই এই বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ১০০ জন গ্রুপ ডি প্রার্থীর উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) জনসমক্ষে আনার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘যাঁদের নাম প্রকাশ করা হবে তাঁরা চাইলে মামলাও করতে পারেন। যদি তাঁরা মামলা করতে চান তো আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলা দায়ের করতে পারেন। তাঁদের এই মামলায় যুক্ত করা হবে।

    প্রকাশ্যে তালিকা—

    এর আগে, ১৮৩ জনের নামের তালিকা একইভাবে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশ করেছে কমিশন। এবার আদালতের নিয়ম মেনে ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (Recruitment Scam)।  

     

     

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    Recruitment Scam: ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ এখনই নয়, কেন বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এর মধ্যেই নবম-দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের (Recruitment Scam) তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর নির্দেশ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র নিয়েছেন এমন ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে (SSC)। তাঁদের নাম স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিনই পরে অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবারই প্রকাশ করতে হবে না অবৈধদের তালিকা। প্রসঙ্গত, ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করতে হবে বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই এবং এসএসসিকে যৌথভাবে সেই সব বেআইনি নিয়োগ খুঁজে বের করতে বলা হয়েছিল।

    বেআইনি নিয়োগ…

    বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Scam) কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে তার পরেও তারা কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দুর্নীতি রোধ করার পরিবর্তে হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চাইতে সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এটা আশ্চর্যজনক। অথচ তাদের উচিত ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে আদালতকে সাহায্য করা।

    এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, ২০১৬ সালের এই ১৮৩ জনের বেআইনি সুপারিশ খুঁজে পাওয়ার পরেও তা বাতিলের জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা? আর কী কী বেআইনি কাজ খুঁজে পেয়েছে কমিশন? ২০১৬ সালে নবম-দশমে নিয়োগের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৩ হাজারের নাম। নবম-দশমে নিয়োগের মেধা তালিকায় নীচে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: মিনাখাঁ, কেশপুর বিস্ফোরণে এনআইএ? সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র, জানাল হাইকোর্ট

    এদিন আদালতে এসএসসির আইনজীবী জানান, মূলত র‌্যাঙ্ক জাম্প করে সুপারিশের তথ্য খুঁজে পেয়েছে কমিশন। তালিকায় নীচের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের আগে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমনই অভিযোগ উঠেছিল।
    এদিকে, এদিনই অবৈধ নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুনানির সময় সিবিআই জানায়, ১৮৩ নয়, ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার মামলাগুলির বিস্তারিত শুনানি হবে। সেই শুনানির পরেই তিনি পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    SSC Scam: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই হুমকিতে কাজও হল। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) এই ইউ-টার্নে আদালতেরই জয় দেখছেন রাজ্যবাসী।

    অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায়…

    বৃহস্পতিবারই অতিরিক্ত শূন্য পদে নিয়োগের মামলায় এসএসসি কর্তৃপক্ষকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মেনে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। চলতি বছরের ১৯ মে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়। কমিশনের বক্তব্য ছিল, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের নিয়োগ করার জন্যই এই শূন্যপদ। এর জেরেই বিচারপতির রোষের মুখে পড়ে কমিশন। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেছিলেন, যদি এই অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির বিষয়ে রাজ্য সরকার ও এসএসসির অবস্থান যদি ভিন্ন হয়, তাহলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক। এমন কী এ বিষয়ে রাজ্য সরকার কমিশনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে রাজ্যকে।

    রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, তাহলে কি সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই কমিশন? রাজ্য ও কমিশনের বক্তব্য ও অবস্থান আলাদা হওয়ায় রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে, তা শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। সেই মতো এদিন কমিশন জানিয়ে দিল, বাতিল হওয়া প্রার্থীদের অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার করা হল।

    আরও পড়ুন: জামিন হল না পার্থ-সুবীরেশ সহ ধৃত ৭ জনের! এসএসসি কাণ্ডে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আদালতের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে ওই পদে পুনর্বহালের অগ্রাধিকারের আবেদন করেছিল এসএসসি। সেখানে তিরস্কৃত হয় কমিশন। পরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষক হিসেবে কখনওই নয়। কারণ তাহলে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    SSC Scam: সিটের দায়িত্ব নিচ্ছেন না অখিলেশ সিং, আদালতে জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদোন্নতি হয়েছে অখিলেশ সিংয়ের (Akhlesh Singh)। দিল্লি থেকে আসামে বদলি হয়েছেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর তাঁর বদলিতে অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে আসতে পারবেন না সিবিআইয়ের (CBI) প্রাক্তন ডিআইজি। বৃহস্পতিবার আদালতে একথা জানিয়ে দিলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। প্রসঙ্গত, বুধবারই সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিংহকে বিশেষ তদন্তকারী দলের (SIT) মাথায় বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhya)।

    সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান…

    যেহেতু অখিলেশ আসতে পারছেন না, তাই সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ডিআইজি পদমর্যাদার দক্ষ এক অফিসার রয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এসে বসানো যেতে পারে সিটের মাথায়। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, একজন নয়, ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন অফিসারের নাম দিন। সেখান থেকে একজনকে বেছে নেবে আদালত। বিচারপতি জানান, শুক্রবার এই বিষয়ে শুনানি হবে। আগের দিনই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সিটেও পরিবর্তন করেছিলেন তিনি। নতুন করে ‘সিট’-এ নিয়োগ করা হয়েছে অংশুমান সাহা (ডেপুটি এসপি), বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (ইন্সপেক্টর), প্রদীপ ত্রিপাঠি (ইন্সপেক্টর), ওয়াসিম আকরাম খান (ইন্সপেক্টর)। ২ অফিসারকে বাদ দিয়েছেন তিনি। এঁরা হলেন কে সি ঋষিনামল ও ইমরান আশিক। আদালতের নির্দেশ, এঁরা কোনওভাবেই এই সংক্রান্ত তদন্ত করতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার কেসি ঋষিনামল। অন্যদিকে, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসার ইমরান আশিক। এঁরা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ-ডি মামলায় সিবিআই তদন্তে অখুশি হাইকোর্ট, সিট পুনর্গঠন বিচারপতির

    এরই পাশাপাশি, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং-কে ‘সিট’-এর প্রধান করা হয়েছে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই তদন্ত থেকে সরে যেতে পারবেন না। অন্য কোনও মামলায় তাঁকে যুক্তও করতে পারবে না সিবিআই। আদালতের অনুমতি ছাড়া বদলিও করা যাবে না। ৭ দিনের মধ্যে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল অখিলেশের। তার মধ্যেই বদলি হয়ে যাওয়ায় এদিন সিবিআই জানিয়ে দিল, অখিলেশ আসতে পারবেন না।

    সিবিআই সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিআইজি অখিলেশ সিং ২০২১ সালের ১৭ মে নারদকাণ্ডে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় (প্রয়াত) এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেফতার করেছিলেন। বগটুইকাণ্ড, ভাদু শেখ খুন, হাঁসখালিতে গণধর্ষণ, ঝালদা সহ একাধিক মামলার তদন্তও করেছেন তিনি। কয়লা পাচারকাণ্ড থেকে গরু পাচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তও করেছিলেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • SSC Group D: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    SSC Group D: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে’’, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে…’’। এবার এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group D) দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) আরেক বিচারপতি। 

    হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ সিবিআইয়ের

    শুক্রবার, এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতির একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) এজলাসে। সেখানে গ্রুপ-ডি (SSC Group D) নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই (CBI)। সেই রিপোর্ট দেখে বিস্মিত বিচারপতি বলে ওঠেন, ‘‘সাদা খাতায় চাকরি! ব্ল্যাঙ্ক OMR শিটে চাকরি! ভয়ানক বড় দুর্নীতি।’’ বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই দুর্নীতির ফল ভুগবে৷ এই দুর্নীতি কতটা গভীরে তা খুঁজে বার করা দরকার। কারণ এই দুর্নীতির ফলে ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যাবে!’’ 

    আরও পড়ুন: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    এসএসসি দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে একাধিকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এর আগে এই গ্রুপ ডি (SSC Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ২৯ সেপ্টেম্বর কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বলেছিলেন, ‘‘এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, গোটা হিমশৈল জলের নিচে আছে। ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এরা শিক্ষক, এরা সমাজ গড়ে, এরা অন্য কোন পেশায় নেই। আমি জানিনা এর শেষ কোথায়। আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেল খারিজ করা উচিত।’’ সম্প্রতি, পর্ষদকে (School Service Comission) তুলোধনা করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘রাজ্য ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক।’’

    তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতির

    এদিনও (SSC Group D) মামলার শুনানিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘‘এবার নিজের যোগ্যতায়ও যদি কেউ চাকরি পায়, তাহলেও ছাত্ররা শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। এই শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে।’’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্নও করেন, ‘‘দুর্নীতি ৭ না ১০ বছরের পুরনো কিছু জানা গিয়েছে? এই শিক্ষকদের কারণে একটা প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাবে। এবার বুঝতে পারছি কেন এই অতিরিক্ত শূন্যপদ। দেখতে হবে এই দুর্নীতি কত বছরের পুরনো।’’ 

    আগামী ২৪ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি৷

  • Tapas Mondal: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    Tapas Mondal: ইডির তলবে শেষ পর্যন্ত হাজিরা দিতেই হল তাপস মণ্ডলকে, চলছে জেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। চলছে জেরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যান তাপস। দুর্নীতি-কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তলব করেছিল ইডি। প্রথমে জানা গিয়েছিল যে, তিনি আজ ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না। কিন্তু তাঁকে পরে সময় মত উপস্থিত হতে দেখা যায়। তিনি রাজ্যের বাইরে ছিলেন বলে ইডির কাছে ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে তাঁকে হাজিরা দিতে আসতেই হয়।

    গত শনিবার তাপসবাবুর বারাসতের বাড়ি সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালান ইডির গোয়েন্দারা। তাঁর (Tapas Mondal) একাধিক শিক্ষক ট্রেনিং সংস্থার নামও সামনে এসেছে ও এই সংস্থা গুলোর মাধ্যমে চাকরি বিক্রির কারবার চালানো হত বলে দাবি করেছে ইডির তদন্তকারীরা। আর এই চাকরি বিক্রির মামলায় মানিক ভট্টাচার্যেরও হাত ছিল বলে দানি করেছে ইডি। ফলে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁকে আজ ইডির দফতের তলব করা হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: হাজিরার বদলে পাঠালেন ই-মেল! আজ ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন না মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ তাঁর (Tapas Mondal) হাজিরা দিতে আসার কথা ছিল না। তাই তিনি ইডির কাছে ই-মেলও করেন। কিন্তু তাপসবাবুর বক্তব্য গ্রহণ করেননি ইডির গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে বলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে এদিন বেলা ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তাপসবাবু। ইডি সূত্রের খবর, বিভিন্ন নথি দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। আরও জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিকের তাপসের সংস্থার একটি চুক্তি হয়েছিল। পরে অভিযোগ ওঠে, ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হলেও, তার ভিত্তিতে কোনও পরিষেবাই দেওয়া হয়নি। তবে এই চুক্তি কোন কারণে, সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর এবিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে জানা গিয়েছে। কীভাবে তাঁর ট্রেনিং সংস্থাগুলো থেকে ছেলেমেয়েদের চাকরি লোভ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হত, সেবিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, সূত্রের খবর।

    আবার অন্যদিকে দাবি করা হয়েছে যে, ২০১১ সালের পর থেকে তাঁর (Tapas Mondal) সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠে। গত কয়েক বছরে কীভাবে এত টাকা রোজগার, বিপুল সম্পত্তি, তার উৎসের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাই এদিকেও বিশেষ তদন্ত চালানো হচ্ছে ও এ নিয়েও জেরা করা হবে তাঁকে।

  • Recruitment Scam: ইডি হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য, মঙ্গলবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    Recruitment Scam: ইডি হেফাজতেই মানিক ভট্টাচার্য, মঙ্গলবার ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তত আরও একদিন ইডি (ED) হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার। সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হয়ে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, সিবিআই তদন্তের থেকে ইডি তদন্ত সম্পূর্ণ আলাদা। ইডি তদন্তে মানি ট্রেল উঠে এসেছে। কিন্তু রাজ্যের সওয়াল অভিযুক্তদের মতো মনে হচ্ছে। এদিকে, ওই মামলায় রক্ষাকবচ থাকলেও, কেন গ্রেফতার করা হল মানিককে, তা নিয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল ইডি। ইডির তরফে ওই হলফনামা জমা দেন তুষার।

    গত সপ্তাহেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনি রয়েছে ইডি হেফাজতেই। গ্রেফতারি এড়াতে রক্ষাকবচের জন্য সুপ্রিম কোর্টের শরণ নিয়েছিলেন মানিক। তবে গ্রেফতারির পর তাতে হস্তক্ষেপ করেনি দেশের শীর্ষ আদালত। তাই ইডি-দশাও ঘোঁচেনি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা শুনানি শেষে এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। আজ, সোমবার রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিনও স্থগিত হয়ে যায় রায়দান। এদিন সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে আরও এক দিন সময় চান। বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে। তার জেরেই ইডি হেফাজত বাড়ল মানিকের। মঙ্গলবার ফের হবে এই মামলার শুনানি। তবে এদিনই রায়দান হবে কিনা, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। পুজোর আগেই সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। যদিও রায় ঘোষণা হয়নি। তখনই মানিককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেয় আদালত। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি সিবিআই। এদিকে, ইডি হেফাজতে থাকলেও, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে মানিকের। সোমবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকার ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় মানিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    SSC Scam: সুবীরেশের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বদল! ফের জেল হেফাজত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠে আসল। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কথাতেই চাকরিপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর বদল করা হয়েছে, সোমবার এই অভিযোগ তোলা হয়েছে সিবিআই-এর তরফে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ভার্চুয়ালি আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। গতকাল মেয়াদ শেষে আলিপুর আদালতে ভার্চুয়ালি শুনানি হয়। সেখানেই এই অভিযোগ তোলেন সিবিআই-এর আইনজীবী। শুধু তাই নয়, অভিযোগের পাশাপাশি তাঁর হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনও করছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুবীরেশের জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। কিন্তু তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করা হয় ও তাঁকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুরের আদালতের বিচারক।

    আদালত সূত্রে খবর, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়ের তরফে সুবীরেশের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। মূলত তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথাকেই তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী। বলা হয়, সুবীরেশের ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, সুবীরেশ জেলের খাবার খেতে পারছেন না- এ সব দিক বিচার করে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তাঁর আইনজীবী বলেন, জেলের খাবার খেতে না পারায় তাঁকে ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নন সোনালি চক্রবর্তী! তাঁর অপসারণেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট

    অন্যদিকে, সিবিআই-এর আইনজীবী এই শুনানি চলাকালীন অভিযোগ করেন যে, এসএসসি পরীক্ষায় চাকরীপ্রার্থীদের মার্কশিটের নম্বর তাঁর নির্দেশেই পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনার পেছনে তিনিই মূল ষড়যন্ত্রকারী। বিভিন্ন ‘ডকুমেন্ট’ পরীক্ষা করাও বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না বলে জানিয়েছেন সিবিআই।

    এছাড়াও সিবিআইয়ের আইনজীবী সাফ দাবি করেছেন, এই এসএসসি কেলেঙ্কারির ব্যাপারে পুরোপুরি জানতেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর কথাতেই সবকিছু করা হত। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী সুবীরেশের জামিনের বিরোধিতা করে সুবীরেশের জেল হেফাজত বাড়ানোর আবেদন করেছেন। কারণ তাঁদের মতে, সুবীরেশ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকারী। তিনি প্রভাবশালী। জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক তাঁকে। বিভিন্ন তথ্য যাচাই করা বাকি আছে। তাই এই পর্যায়ে জামিন সম্ভব না। এরপর দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেন বিচারক ও সিদ্ধান্ত নেন যে, এখনই জামিন দেওয়া হবে না এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে। তাই আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক আমান সিংহাল।

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subirtesh Bhattacharya)। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮-র মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

  • Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Manik Bhattacharya: শিক্ষক বদলিতে রয়েছে মানিকের হাত, সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য পেশ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল। ইডির দাবি, শিক্ষক বদলিতেও রয়েছে মানিকের হাত। টাকার বিনিময়ে পছন্দের স্কুলে শিক্ষক বদলি হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের হাত ধরেই। এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, নিজের সম্পত্তি নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য, এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি।

    নিজের সম্পত্তি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এবার পেশ করল ইডি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা সম্পূর্ণ ভুল। অর্থাৎ নদিয়ার পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যখন তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন তখন তিনি কমিশনকে যে সম্পত্তি সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছিলেন তা ভুল বলে মনে করে ইডি। এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সামনে এই তথ্য এসেছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি- সব মিলিয়ে সম্পত্তির পরিমাণ ২ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল বলে জানিয়েছিলেন হলফনামায়। কিন্তু একটি সংবাদ সংস্থাকে ইডির এক আধিকারিক বলেন, “তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই পরিস্কার হচ্ছে যে মানিক ভট্টাচার্য তাঁর হলফনামায় সম্পত্তির পরিমাণ কমিয়ে দেখিয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি অনেক বেশি।”

    অন্যদিকে আরও জানা গিয়েছে, মানিকের (Manik Bhattacharya)বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির নথি থেকেই মিলেছে শিক্ষক বদলির সুপারিশ, যা মানিক ভট্টাচার্যের নামে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। আর এই শিক্ষক বদলিতে মাথাপিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই সেই টাকা এখন কোথায়? তারই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মমতার নাম ইডির নথিতে, সব জানতেন মুখ্যমন্ত্রী

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। এছাড়াও কয়েকদিন আগেই তাঁর ছেলের সংস্থার সঙ্গেও মানিকের যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মানিক পুত্র শৌভিকের কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও এটি পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছে এই সংস্থা। ফলে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা। এই টাকার কথাও তিনি তাঁর সম্পত্তির পরিমাণে উল্লেখ করেননি। এছাড়াও তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য সামনে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ ও টেক্সট মেসেজে। এবং এই অভিযোগগুলির পাশাপাশি এবার যুক্ত হল টাকার বিনিময়ে শিক্ষক বদলির অভিযোগও।

    ইডি সূত্রে খবর, যে সমস্ত নথি সামনে এসেছে তাতে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশ মিলেছে। এগুলোতে কয়েকজন শিক্ষকের নাম পাওয়া গিয়েছে, যারা পছন্দের স্কুলে বা বাড়ির কাছে স্কুলে বদলির জন্য আবেদন করেছে ও তাদের জন্য সুপারিশ এসেছে মানিকের (Manik Bhattacharya) কাছে। এই শিক্ষকদের পছন্দ মত স্কুলে ট্রান্সফার করানোর জন্য মাথাপিছু নিত ৬-৭ লক্ষ টাকাও। তবে কে এই সুপারিশ করত, কে নির্দেশ দিত, তা নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।

  • Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Manik Bhattacharya: ৫৩০টি বেসরকারি বিএড কলেজ থেকে প্রতিমাসে ‘হফতা’ যেত মানিক-পুত্রের কাছে! আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) সোমবার রাতেই ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এরপরে মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গতকাল ব্যাংকশাল আদালতে হাজির করানোর সময় সেখানেই তাঁর ছেলের অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার হদিস পাওয়ার তথ্য আদালতে জানায় ইডি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মানিক (Manik Bhattacharya)পু্ত্র শৌভিকের রয়েছে একটি কোম্পানি, আর সেই কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই এই টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের (Souvik Bhattacharya) নামে একটি প্রোপ্রাইটরশিপ তথা ব্যক্তি মালিকানার কোম্পানি ছিল। তার নাম ছিল অ্যাকুয়ার কনসালটেন্সি (Acuere Consultancy)। নামে বোঝা যাচ্ছে এই সংস্থা ম্যানেজমেন্ট ও কনসালটেন্সি পরিষেবা দিত কিন্তু আদতে কি তাই ছিল?

    ইডির দাবি, এটি একটি কনসালটেন্সি কোম্পানি হলেও পশ্চিমবঙ্গের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডি.এল.ইডি (D. El. Ed) কলেজ থেকে পরামর্শ দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা করে নিত এই সংস্থা। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস তথা ৭ মাসের মধ্যে ওই সংস্থা এইভাবে মোট তুলেছে ২ কোটি ৬৪ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে মিলল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি! টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্পষ্ট, কী রয়েছে সেই চিঠিতে

    প্রাইমারি চাকরিতে উত্তীর্ণ হতে প্রয়োজন প্রার্থীর প্রশিক্ষণ। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এই বেসরকারি কলেজগুলোর সঙ্গে মানিকের (Manik Bhattacharya) সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। এছাড়াও তারা অনুমান করেছে যে, হয়তো এইসব কলেজ থেকেই এক দুজন প্রার্থীকে টাকার পরিবর্তে চাকরিও দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিকের ছেলের এই কোম্পানির সঙ্গে মানিকের সম্পর্ক ও টাকার এই লেনদেনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইডি।

    তবে এখানেই থেমে নয়, গতকাল আদালতে আরও অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তল্লাশিতে একটি সিডি পাওয়া গিয়েছে, যাতে দুটি ফোল্ডার আছে। মানিকের (Manik Bhattacharya) কম্পিউটারের ২টি ফোল্ডারে ৬১ জনের নাম পাওয়া গেছে। ৬১ জনের মধ্যে ৫৫ জনের থেকে চাকরির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঘুষ দিয়েছে, তাঁরাই চাকরি পেয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে।

    এও দাবি করা হয়েছে যে, মানিক ভট্টাচার্যর বাড়ি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। যে চিঠি মানিক ভট্টাচার্য ও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো হয়েছিল। মাথাপিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে ৪৪ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এমনও উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। তাই ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, প্রাইমারিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share