Tag: ssc scam

ssc scam

  • Calcutta High Court: ফের স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি চাকরিহারাদের ভাতায়, হাইকোর্টের তোপের মুখে মমতা সরকার

    Calcutta High Court: ফের স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি চাকরিহারাদের ভাতায়, হাইকোর্টের তোপের মুখে মমতা সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির গ্রুপ-ডি এবং গ্রুপ-সি চাকরি হারাদের ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকার আরও একবার হাইকোর্টের তোপের মুখে। চাকরিহারাদের ভাতা দেওয়ার মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদের সময়সীমাকে আরও একবার বৃদ্ধি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা নির্দেশ দেন, চাকরি হারাদের আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জানুয়ারি সময় পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনও রকম ভাতা দিতে পারবে না । কোর্টের স্পষ্ট মত, যেখানে দেশের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দুর্নীতির (SSC scam) কারণে চাকরি বাতিল হয়েছে, সেখানে রাজ্য সরকার ভাতা দেবে কোন যুক্তিতে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের অধিকাংশ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ (Calcutta High Court)!

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। টাকার বিনিময়ে রাজ্য সরকার চাকরি বিক্রি করেছিল— এই মর্মে ১৮০০ জনের বেশি অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকাও প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ চাকরি প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতা-মন্ত্রীর সমর্থক বা ঘনিষ্ঠ। চাকারি হারাদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা সরকার গ্রুপ সি কর্মীদের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়। আর এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রথমে চলতি মাসের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবার সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষের আগেই পুনরায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করে দেন বিচারপতি সিন্‌হা।

    ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে?

    রাজ্য সরকারের দেওয়া ভাতার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রথম থেকেই কোর্টের (Calcutta High Court) স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, টাকার বিনিময়ে পেছনের দরজার দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছে তারা আর যাই হোক যোগ্য নয়। সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি এবং অযোগ্যদের কীভাবে সরকার পক্ষ ভাতা দেওয়ার নৈতিক অধিকার রাখতে পারে। অযোগ্যদের ভাতা দিলে কি পাওয়া যাবে? তবে রাজ্যের অবশ্য বক্তব্য ছিল চাকরিহারাদের সাময়িক আর্থিক সাহায্য প্রদান করতেই ভাতার ভাবনা। তবে এই বিষয়ে রাজনীতির একাংশের মত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনরকম আলোচনা ছাড়া এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। সেইসঙ্গে ওয়াকিবহাল মহলের মত, সরকার কীভাবে দাগিদের ভাতা দিতে পারে! এই ভাবনাটাই সম্পূর্ণ ভাবে দুর্নীতিকে (SSC scam) উৎসাহী করবে।

  • TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতায় পদোন্নতি বা চাকরি চালিয়ে যেতে হলে টেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক – এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেও টেট পাশ না করলে শিক্ষকতায় থাকা যাবে না। তবে যে সব শিক্ষক ২০০৯ সালের শিশুদের বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষা অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের টেট পাশ করার জন্য ২ বছরের সময় দেওয়া হয়েছে।

    টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যে শিক্ষকরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন না, তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন বা টার্মিনাল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের জন্য আবেদন করতে পারেন। আসলে ২০১১-র ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ঘোষণা করেছিল শিক্ষকপদে নিয়োগে যোগ্য হতে টেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে, যাঁদের অবসর পেতে আর পাঁচ বছর বাকি, তাঁদের জন্য ছাড়। তাঁরা টেট না পাশ করলেও চাকরি করে অবসর নিতে পারবেন। কিন্তু এই সময়ে পদোন্নতি পাবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এসেছে একাধিক মামলার প্রেক্ষিতে। তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য সরকারও এই বিষয়ে মামলা করেছিল। প্রশ্ন ছিল – শিক্ষকতার জন্য টেট আদৌ বাধ্যতামূলক কিনা। এনসিটিই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য যখন ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করেছিল, তখনই টেট চালু হয়।

    সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে করণীয়

    তবে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও টেট বাধ্যতামূলক হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য কয়েকটি ন্যূনতম শর্ত তৈরি করেছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। তারপর চালু করা হয়েছিল টেট। পশ্চিমবঙ্গেও টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়। যদিও পরীক্ষার পর দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এগোনো এবং দুর্নীতির অভিযোগে একাধিকবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

  • Jiban Krishna Saha: সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে জীবনকৃষ্ণের ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Jiban Krishna Saha: সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে জীবনকৃষ্ণের ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) নামে ও ঘনিষ্ঠদের নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ মিলিয়ে ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। গ্রেফতারের পর তাঁর, স্ত্রী টগরী সাহা এবং একাধিক আত্মীয়ের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক নগদ লেনদেন ও বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে এবার তলব করা হচ্ছে সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের, যাঁদের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকার লেনদেন (Jiban Krishna Saha)

    ইডির অনুমান, জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অন্তত ৭৫ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা এসেছে। এর মধ্যে কমপক্ষে সাতজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোট ৪৬ লক্ষ টাকা গ্রহণ করা হয়। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা সাহার স্ত্রী টগরী সাহার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। তদন্তে উঠে এসেছে, দুর্নীতির টাকা  খাটানোর জন্য একাধিক ব্যক্তি, আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের নামে জমি, ফ্ল্যাট এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এইভাবেই অবৈধ অর্থ লেনদেন ও সম্পত্তি গোপন রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা শেষমেশ ধরা পড়ে যায় তদন্তকারীদের নজরে।

    মোট প্রায় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে বিধায়ক টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি ইডির

    শুধু জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) ক্ষেত্রেই, ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি, যা বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট অঙ্কে লেনদেন করে গোপন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, প্রথম দফায় ২০ জন প্রার্থীর নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের আগামী সপ্তাহে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই জীবন কৃষ্ণকে টাকা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। মোট প্রায় ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে বিধায়ক টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের, এবং সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন এই প্রথম ২০ জন।

  • Abhijit Gangopadhyay: আবার একটা জালিয়াতি! এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: আবার একটা জালিয়াতি! এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্তমান বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ‘‘আবার একটা জালিয়াতি হতে চলেছে—এটা আগে থেকেই আন্দাজ করা সম্ভব।’’ প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার রাতে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সেখানে ১৮০৬ জনের নাম দেখা যায়। এনিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, এই সংখ্যাটা অনেক বেশি হওয়া উচিত। অন্তত পাঁচ থেকে ছয় হাজার।

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ভাবে রাজ্য সরকার পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে শুরু করেছে, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে প্রবঞ্চনা শুরু করে দিয়েছে, তাতে আমার তো মনে হয় না বিষয়টা স্বচ্ছ ভাবে হবে। এই পরীক্ষা স্কুল সার্ভিস কমিশনের হাত থেকে নিয়ে নেওয়া উচিত বা একটা সুপারভাইজারি বডি তৈরি করে এই কাজটা করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে স্বচ্ছতার জন্য লিস্ট বের করতে বলেছিল, সেটা হল না। রাজ্য কত রকমের ভাঁওতাবাজি চালাবে? সুপ্রিম কোর্টকেও ভাঁওতা দিচ্ছে।”এই তালিকার উপর কোনওভাবে নির্ভর করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি।

    কী কী পদ্ধতিতে দুর্নীতি হয়েছিল?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ (Abhijit Gangopadhyay) বুঝিয়ে দিয়েছেন, ঠিক কী কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে। তিনি বলেন, “ওএমআর শিটে নম্বর বদল হয়েছে। একদল পরীক্ষাতেই বসেনি, চাকরি পেয়ে গিয়েছে। লিস্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সুপারিশ করে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে একদলকে। এছাড়া এসএসসি যতজনকে সুপারিশ করেছিল, তার থেকে বেশি লোককে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সব তালিকা এখানে নেই।” তাঁর মতে, অযোগ্যদের সংখ্যা অন্তত পাঁচ থেকে ছ’হাজার (SSC)।

    স্বচ্ছতার সঙ্গে বের হয়নি তালিকা

    তালিকায় ওই দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকারা কোন স্কুলে কাজ করত, সেটাও দেওয়া হয়নি। তাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলছেন, “সুপ্রিম কোর্ট যে স্বচ্ছতার জন্য লিস্ট বের করতে বলেছিল, সেটা হল না। রাজ্য কত রকমের ভাঁওতাবাজি চালাবে? সুপ্রিম কোর্টকেও ভাঁওতা দিচ্ছে।” এই তালিকার উপর কোনওভাবে নির্ভর করা যাবে না বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘আবারও দুর্নীতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, পরীক্ষার সময় ওএমআর সরবরাহ এবং আলাদা সিল কভারে সেগুলি নিয়ে যাওয়ার কাজটা স্কুল সার্ভিস কমিশন ছাড়া অন্য কোনও অথরিটিকে দিয়ে করাতে হবে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকে দেখতে বলেছেন তিনি।

    কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর রায়েই বাতিল হয় ২৬ হাজার চাকরি

    ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানি করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়ের ভিত্তিতেই প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে এবং নির্দেশ দেয়, অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে। এই নির্দেশ অনুযায়ীই ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন করে পরীক্ষা আয়োজন করছে এসএসসি। কিন্তু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই সংস্থা (SSC) আগেও ভরসা রাখতে পারেনি—তাই পরীক্ষার দায়িত্ব এসএসসি-এর হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করছেন।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘জীবনকৃষ্ণ তো এজেন্ট, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে জানেন?’’ শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    Suvendu Adhikari: ‘‘জীবনকৃষ্ণ তো এজেন্ট, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে জানেন?’’ শুভেন্দুর নিশানায় অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি হেফাজতে তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। বিজেপির অভিযোগ, একাধিক বিধায়কদের দিয়ে তালিকা বানিয়ে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন এবং পরে তা তৃণমূলেরই শীর্ষ নেতাদের কাছে গিয়েছে। ঠিক এই দাবিই করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘প্রমাণ’ হিসেবে একটি ছবি (Photo) দেখিয়ে শুভেন্দু জানান, জীবনকৃষ্ণরা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।

    নিশানায় অভিষেক

    ছেলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জীবনকৃষ্ণের বাবা সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বলেন, জীবন বিধায়ক হওয়ার পরেই বেআইনি উপায়ে অঢেল সম্পত্তি করেছে! কার্যত এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর খোঁচা, ‘‘জীবনকৃষ্ণ আসল নয়।’’ তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, সে টাকা তুলেছে। কিছুটা নিজের কাছে রেখে বাকিটা ভাগাভাগি করেছে। এই প্রেক্ষিতেই একটি ছবি দেখিয়েছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে জীবনকৃষ্ণর সঙ্গে রয়েছেন সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ছবি কথা বলে। আর এটা পুরনো ছবি নয়, ১২ অগাস্টের। সমঝদারো কো ইশারা কাফি হ্যায়।’’

    চাকরি-বিক্রির এজেন্ট

    স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহা ও তাঁর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ আগেই মিলেছে। চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করে বিধায়ক হওয়ার পর ‘ঘুষের চাকরি’র নেটওয়ার্ক বানিয়ে ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। এমনই দাবি করেছে ইডি। বিধায়ক, তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের নামে আর কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে। শুভেন্দুর অভিযোগ, জীবনকৃষ্ণরা হিমশৈলের চূড়া মাত্র, কে কত টাকা তুলেছে, কোথায় গিয়েছে, ছবিতে সব স্পষ্ট, জীবনের মতো কালেক্টরদের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরা সবাই টাকা তুলে কালীঘাটে পৌঁছে দিত। ইডি সূত্রে দাবি, তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার আগে চাকরি-বিক্রির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার বিধায়ক হওয়ার পর ১০-১২ জনকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেন চাকরি-বিক্রির নেটওয়ার্ক। এই এজেন্টদের দিয়েই ‘ঘুষ দিলে চাকরি’ হবে বলে চাকরিপ্রার্থীদের টোপ দেওয়া হত।সূত্রের দাবি, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে, অযোগ্য়দের সরকারি চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কান টেনেছেন, এবার মাথাও টানতে হবে’’, জীবনকৃষ্ণ ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এনিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাও টানতে হবে।’’ সোমবারই তৃণমূল বিধায়ককে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী শনিবার ফের আদালতে তোলা হবে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে। এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে ধৃতের স্ত্রী, বাবার অ্যাকাউন্টে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বলছেন, বাবা গিফট করেছেন। স্ত্রী বলছেন, চাকরি করে আয় করা টাকা। এসবই মিথ্যা বলে দাবি করেন ইডির আইনজীবী।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    জীবনকৃষ্ণর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ সাহা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভাইপো, মানিক ভট্টাচার্যদের বড় এজেন্ট। বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলার তালিকা তৈরি করা, টাকা তোলা এবং একটা অংশ রাখা… এইসব কাজটাই করতেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। আমি অনেকবারই বলেছি জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) কাছে পড়ে থাকলে শুধু হবে না। কারণ জীবনকৃষ্ণ সাহা কান্দি, নবগ্রাম,খড়গ্রামের বিধায়কদের দিয়ে সেইসব এলাকা থেকে টাকা তোলা এবং সেই সব এলাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বন্দোবস্তটা করেছেন। কান টেনেছেন ঠিক আছে, এবার মাথাকেও টানতে হবে।’’

    আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল, সবাই দেখেছে

    তিনি আরও বলেন, ‘‘এর আগে পাঁচিলে ঝোলা, পুকুরে মোবাইল ফেলা, পাম্প মেশিন বসিয়ে জল তোলা। আজকেও কীভাবে পালাচ্ছিল। সবাই দেখেছে। শাসকদল যখন বলছে রাজনীতি করছে, তখন শাসকদলের একটাও বলা উচিত ছিল যে কেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ছুটে পালাতে গেলেন? তিনি যদি নিরাপরাধ হয়ে থাকেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকেন,তাহলে ফেস করা উচিত। কেন তিনি মোবাইল পুকুরে ফেললেন? প্রথমে তো অস্বীকার করছিলেন। তিনি যে অপরাধী সেটা আজ সবার সামনে প্রমাণ করে দিয়েছেন । শুধু ইডির কাছে নয়, ওটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে।’’

    এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘এর আগে এদের যখন গ্রেফতার করা হয় তখন কিন্তু কোন নির্বাচন ছিল না। মূলত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সেই গ্রেফতারি হয়েছিল। এমনকি চোর সরকার সেই গ্রেফতারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই দুর্নীতি তদন্ত সরাসরি হাইকোর্টের মনিটরিং-এ হচ্ছে। হাইকোর্ট একটি সিট বানিয়ে দিয়েছিল। এমনকি এই তদন্তের কে নেতৃত্ব দেবেন সেটাও সিবিআই হাতে ছিল না। সিবিআই কে তিনটের নাম জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। তার মধ্যে থেকেই একজনকে বেছে নেওয়া হয়।’’

  • Jiban Krishna Saha: ফোন ফেলাই হল কাল! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    Jiban Krishna Saha: ফোন ফেলাই হল কাল! নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতার করল ইডি। মুর্শিদাবাদের কান্দির আন্দিতে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সোমবারও ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকি, আবার নিজের মোবাইল ফোন বাড়ির পিছন দিকের ঝোপে ফেলে দেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। কে নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানেই চলবে জিজ্ঞাসাবাদ।

    মোট পাঁচ জায়গায় অভিযান ইডির

    সোমবার ভোরে মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। এসএসসি গ্রুপ সি এবং এসএসসি গ্রুপ ডি মামলাতে তল্লাশি অভিযানে নেমে জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) কান্দির বাড়ি-সহ মোট পাঁচ জায়গায় অভিযান চালান তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণের বাড়ি ছাড়াও ইডির দল যায় রঘুনাথগঞ্জে, তৃণমূল বিধায়কের শ্বশুরবাড়িতে। এ ছাড়া আন্দি মহীষ গ্রামের এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। ইডি গিয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। সেখানে ন’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও সোমবার সকাল থেকে তল্লাশি চলেছে। সম্পর্কে মায়া জীবনকৃষ্ণের পিসি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি ‘বিক্রি’র টাকা জীবনকৃষ্ণের অ্যাকাউন্টে এসেছে বলে প্রমাণ মিলেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি আত্মীয়-বন্ধুদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, সেই প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের ফোনই কাল জীবনকৃষ্ণের

    দু’বছর আগে সিবিআই। এবার ইডি। ফের ফোনই কাল হল জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) জীবনে। এদিন ইডি জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে পৌঁছতেই বাড়ির পিছনের দেওয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন নিয়োগ মামলায় জড়িত তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু তখনই ছুটে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাকড়াও করে তাকে। এমনকি, অতীতের পাঠ ‘ভুলে’ এদিন নিজের দু’টি ফোনকে ফের পুকুরের দিকে ছুড়ে দেন। লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পুকুরের জলে পড়ার পরিবর্তে পাড়ে ঝোপে আটকে যায় ফোনগুলি। উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, এর পরেও দু’টি মোবাইলের পাসওয়ার্ড বলতে চাননি বিধায়ক। পরে লক খুলে সেই মোবাইল দু’টি থেকে একাধিক নিয়োগ মামলা সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের গাড়িতে চাপায় ইডি। নবম-দশম, একাদশ দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিধায়ককে গ্রেফতার করে ইডি।

  • SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    SSC Scam: পরীক্ষায় বসতেই হবে চাকরিহারাদের! রাজ্যের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম দুয়ারেও শেষ রক্ষা হল না। এসএসসির (SSC Scam) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে যত পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়েছিল, তার সব ক’টি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। খারিজ রাজ্য এবং এসএসসির রিভিউ পিটিশনও। যার ফলে কলকাতা হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ই বহাল রইল। ফলে, পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া আপাতত আর কোনও উপায় রইল না চাকরিহারাদের কাছে।

    সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের ধাক্কা

    সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করেছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ পরীক্ষার প্রকৃত ওএমআর শিট মিলছে না। সিবিআই এবং বাগ কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে স্পষ্ট যে, দুর্নীতি হয়েছে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, চাকরিহারাদের একাংশ-সহ বিভিন্ন পক্ষ। ৫ অগাস্ট সেই নিয়ে শুনানি শেষ হয়। বিচারপতিদের চেম্বারেই চলে শুনানি। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ বার জানিয়ে দিল, পুনর্বিবেচনার আর্জি আদালতে শুনানির দরকার নেই। তারা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

    ২৬ হাজার চাকরি বাতিল বহাল

    গত ৩ এপ্রিল শীর্ষ আদালতের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছিল। নতুন করে ফের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট রায়ে আরও বলা হয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। আগে রায়ে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের আবেদন ছিল, এত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অনেক স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শূন্য হয়ে যাবে। ফলে ক্ষতি হবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের।

    পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের

    গত ১৭ এপ্রিল পর্ষদের ওই আবেদন মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। শর্তসাপেক্ষে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, দাগি অযোগ্যদের বাদ রেখে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকেরা স্কুলে যেতে পারবেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। ওই নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। পাশাপাশি, রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর অর্থ আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় বসতে হবে চাকরিহারাদের।

  • ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    ssc Scam: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের পাশে কেন বারবার দাঁড়াচ্ছে মমতা সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দাগি’ বা চিহ্নিত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া (ssc Scam) থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে—এই মর্মে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন, যদি কোনও অযোগ্য প্রার্থী ইতিমধ্যেই আবেদন করে থাকেন, তবে সেই আবেদন বাতিল করতে হবে। আদালত আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনেই নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে ৩০ মে এসএসসি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তার ভিত্তিতেই নিয়োগ এগোতে পারে—এই অংশে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি।

    রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা (ssc Scam)

    এই রায় কার্যত রাজ্য সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। কারণ, নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অযোগ্যদের সরাসরি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। কোর্টের রায় সামনে আসতেই অনেক প্রাক্তন চাকরিপ্রার্থী প্রশ্ন তুলেছেন—”যোগ্যদের বঞ্চিত রেখে রাজ্য কেন বারবার অযোগ্যদের পাশেই দাঁড়াতে চাইছে?” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। এরপর শিক্ষা দফতর নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ২০২5 সালের SSC-র বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করছে।

    অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই

    চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগ পরীক্ষায় (ssc Scam) অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, যদিও সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে তাদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন যোগ্য প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, SSC সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে এবং অযোগ্যদের সুযোগ দিয়ে যোগ্যদের সঙ্গে চরম অবিচার করা হয়েছে। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এই মামলায় রায় দেন, SSC-র সিদ্ধান্ত অনুচিত এবং অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অধিকার নেই। মামলাকারীদের আরও অভিযোগ, প্রায় ৪৪ হাজার শূন্যপদের যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং ২০১৬ সালের চাকরির নিয়মাবলি অনুসরণ না করেই জারি করা হয়েছে। তাঁরা দাবি করেন, ওই বছরের বাছাই প্রক্রিয়া ২০১৬ সালের নিয়মেই সম্পন্ন হওয়া উচিত এবং আবেদনকারীরাও সে সময়কার প্রার্থী হতে হবে। বয়সের ছাড় সংক্রান্ত নিয়মও মানা হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ করেছেন মামলাকারীরা।

    অযোগ্যদের পাশে রাজ্য

    তাঁরা এ-ও বলেন, ২০১৬ সালের নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছিল, যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। তাই নতুন প্রক্রিয়াও যেন পুরনো নিয়মনীতির আলোকে চলে—এমনটাই তাঁদের জোর দাবি।সোমবার আদালতে এসএসসি ও রাজ্য তাদের অবস্থান তুলে ধরে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও সরাসরি উল্লেখ নেই যে অযোগ্য প্রার্থীদের আবেদন করার অধিকার নেই।

    কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়, জানান বিচারপতি

    তবে এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কমিশনের কাছ থেকে এমন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।ফলত, আদালতের নির্দেশ—চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে—রাজ্য সরকার বারবার কেন অযোগ্যদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে?

    ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এরপরই চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দিয়ে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই অনুযায়ী ৩০ মে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যা চ্যালেঞ্জ করে ৯টি পৃথক মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে, রাজ্য ও এসএসসি ফের অযোগ্যদের পক্ষেই সওয়াল করে, যা আদালতের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

LinkedIn
Share