Tag: ssc scam

ssc scam

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি  নোটিশ

    SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বাতিল (SSC Scam) প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ‘মন্তব্য’ করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠাল ‘আত্মদীপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন দিল্লির আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত। নোটিসে তিনি জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ আদালতের রায় সকলকেই মেনে নিতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই রায় কার্যকর করবেন না বলেই দাবি ওই আইনজীবীর। তাঁর হুঁশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

    নোটিশে কী বলা হয়েছে

    নোটিশে দাবি করা হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্তব্যের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত ভাবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি অবমাননা করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে বাধ্য থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন করবেন না। যা স্পষ্টতই একটি ইচ্ছাকৃত কাজ। মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্য… একটা চক্রান্ত চলছে… একটা পরিকল্পনা চলছে। ৯, ১০, ১১, ১২-তে যাঁরা শিক্ষক, গেটওয়ে অফ হায়ার এডুকেশন তৈরি করছেন, তাঁরা অন্যদের খাতা দেখছেন, তাঁদের মধ্যে গোল্ড মেডেলিস্ট আছেন। তাঁদের জীবনেও ভাল রেজাল্ট ছিল। তাঁদের সবাইকে চোর বলে দিচ্ছেন। সবাইকে অযোগ্য বলে দিচ্ছেন। এই বলার অধিকার আপনাকে কে দিল? আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি।’’

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

    ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল সম্প্রতি বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার জন। এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারাদের একাংশকে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘আমি এই রায় মানতে পারছি না।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার যে নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাতে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে। নোটিসে লেখা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিলের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কারও চাকরি কাড়ার এই অধিকার কারও নেই। আমাদের প্ল্যান— এ রেডি, বি রেডি, সি রেডি, ডি রেডি আর ই রেডি। এই কথা বলার জন্য আমাকে জেলে, হ্যাঁ, ভরে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু আই ডোন্ট কেয়ার (আমি পরোয়া করি না)। আপনারা আপনাদের কাজ করুন। কে আপনাদের আটকাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্ট? সে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যা-ই বিকল্প হোক, আমরা করব।’’ এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতকে অবমাননার দায়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ও নবান্নে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

  • SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    SSC Scam: মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি দফতরের সামনে অনশন শুরু চাকরিহারাদের একাংশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিহারাদের একাংশ গতকাল বুধবার থেকে এসএসসি দফতরের সামনে অবস্থান শুরু করেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে তাঁরা অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন। বেলা ১১টা থেকেই শুরু হয়েছে অনশন। জানা যাচ্ছে, আপাতত চার শিক্ষক অনশনে বসেছেন। চাকরিহারাদের সাফ কথা, এসএসসি-কে মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে হবে। এ বিষয়ে ‘এসএসসি ২০১৬ প্যানেলের বৈধ চাকরিহারা সমাজ’ মঞ্চের তরফে সুমন বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, আত্মত্যাগের জন্য আমরা প্রস্তুত। তাই আমরা লাগাতার অনশন শুরু করতে চলেছি। আপনারা আসুন, সহযোগিতা করুন।’’

    মিরর ইমেজ প্রকাশ না করা পর্যন্ত চলবে অনশন

    বুধবারই কসবার ডিআই অফিস অভিযানে শিক্ষকদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে পুলিশের। লাঠি থেকে লাথি, চড়-ঘুষি কিছুই বাদ যায়নি। চাকরিহারাদের বক্তব্য, এসএসসি বলেছে যে তাদের কাছে মিরর ইমেজ আছে, আর তারা তা প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু কবে তা প্রকাশিত হবে সেনিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তাই যতদিন না পর্যন্ত মিরর ইমেজ প্রকাশ করা হচ্ছে, ততদিন অনশন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারারা। এদিকে আজ বৃহস্পতিবারই কসবা কাণ্ডে চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে জোড়া মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কসবা ডিআই-র করা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে, অপরটি কসবা থানার পুলিশের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে কারও নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি। অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি অভিজিতের

    চাকরিহারাদের অন্য একটি একটা অংশ ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’ এদিনই পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে এবং যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে শহরে মিছিলের ডাক দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবারই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসএসসি দফতরে গিয়েছিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। সেখানে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার পর এসএসসিকে ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশের জন্য দু’দিন সময় দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যথায় শনিবার থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

  • Abhijit Gangopadhyay: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল! ‘‘উনি জোচ্চুরি করেছেন’’, মমতাকে তুলোধনা অভিজিতের

    Abhijit Gangopadhyay: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল! ‘‘উনি জোচ্চুরি করেছেন’’, মমতাকে তুলোধনা অভিজিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজেপি সাংসদকে ডাংগুলি কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এনিয়ে মমতাকে তুলোধনা করলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিজেপি সাংসদ দাবি করেন, জোচ্চুরি করেছেন মমতা। এরপাশাপাশি, মমতার পদত্যাগ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬,০০০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। প্রায় ১ বছর পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের সেই রায়কেই বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া জালিয়াতিতে কলঙ্কিত হয়েছে।

    কী বললেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)

    তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘ওই ভদ্রমহিলা আসলে জোচ্চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। ব্যাপক জোচ্চুরি করেছিলেন। ধরা পড়ে গেছেন। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে এখানে ব্যাপক দুর্নীতি আছে। আমি তো মনে করি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ত্যাগ করা দরকার। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন। আমাদের দফা এক দাবি এক মমতার পদত্য়াগ। মমতা যদি তাড়াতাড়ি পদত্যাগ করেন তো ভালো নাহলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাড়াতাড়ি তাঁকে ছুড়ে ফেলে দেবে। এদের দুর্নীতির জন্য় এত ছেলের সর্বনাশ হয়ে গেল। কিছু ছেলে যারা সঠিকভাবে চাকরি পেয়েছিল তাদেরটাও গেল। অথচ এটা আলাদা করা যেত। এটা আজও আলাদা করা যায়। আমরা ক্ষমতা পাই তাহলে আমরা করে দেখিয়ে দিতে পারি।’’

    এত বড় ধাক্কা এর আগে তিনি পাননি

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বিজেপি সাংসদ (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, ‘‘এত বড় ধাক্কা এর আগে তিনি পাননি। তিনি বলতে চেয়েছিলেন কৌশল যেটা ছিল সাড়ে ৫ হাজার ৬ হাজারের মতো চাকরি কেনার বিষয়টি ধরতে পেরেছিলাম। আমার রায়ে তাদের বাদ দিয়েছিলাম। তারপর তাঁকে যারা অ্যাডভাইস দিলেন কিছু প্রাক্তন জজ আছেন আরও কয়েকজন আছেন তাদের নাম বলতে চাই না এখন, তারা অ্যাডভাইস করলেন আপনি যারা ঠিকভাবে চাকরি পেয়েছেন আর টাকা দিয়ে পেয়েছেন তাদের জটটা ছাড়াবেন না। এতে বাধ্য় হবে সকলের চাকরি রেখে দিতে। কিন্তু তারা তো জানেন না যে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে। আমাদের নেতা শুভেন্দু বাবু বলেছেন এদের এখনও ধরা যায়। কারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এটা সুপ্রিম কোর্ট ধরা পড়েছেন।’’

    নবান্ন থেকে কী বলেছিলেন মমতা?

    প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের রায় বের হওয়ার পরেই মমতা বলেছিলেন, ‘‘প্রথম হাইকোর্টে যিনি এই জাজমেন্ট দিয়েছিলেন তিনি এখন জুডিশিয়ারি ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন। সম্ভবত না, সত্যিই হয়েছেন! সাম গাঙ্গুলি না ড্যাংগুলি! আমি ঠিক জানি না তাঁর আসল নামটা! পরে জেনে নেব! আজ তাঁরা কোন মুখে বড় বড় কথা বলেন? তাঁদের দায়বদ্ধতা নেই? দায়বদ্ধতা ছিল না? আমি বিশ্বাস করি, এটা বিজেপি করিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)।

    যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব

    প্রাক্তন বিচারপতির (Abhijit Gangopadhyay) কথায় ‘‘সেগ্রিগেশন (আলাদা ) করা সম্ভব তো ! আমি আজও এখানে দাঁড়িয়ে বলছি, সেগ্রিগেশন করা সম্ভব। আমরা ক্ষমতায় আসব, সেগ্রিগেশন করে দেখিয়ে দেব। উনি তো রেকর্ড লুকিয়ে ফেলতে পারবেন না। সে-রেকর্ড হাইকোর্টের কাছে আছে। আমার বেঞ্চেই তো ছিল সেই রেকর্ডগুলো। আমার উপরে ওনার এত রাগ একটাই কারণে, ওনার জোচ্চুরিটা প্রথম ধরেছিলাম আমি।’’

    সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ

    গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দেয়, সেই সম্পর্কে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত হল, ‘‘আমি আমার জয় হিসেবে দেখছি না। দুর্নীতির পরাজয় হিসেবে দেখছি। পশ্চিমবঙ্গে এবার দুর্নীতি করার আগে দুবার ভাববে।’’ যাঁরা যোগ্যভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের জন্যও আশ্বাসবাণী শুনিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। এক্ষেত্রে  অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত, ‘‘দুশ্চিন্তা করবেন না। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বিজেপি আপনাদের জন্য নিশ্চয়ই কিছু একটা করবে।’’

  • SSC Case: ‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি’, এসএসসি রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি দাবি শুভেন্দুর

    SSC Case: ‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি’, এসএসসি রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Case) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করল শীর্ষ আদালত। এক্স পোস্টে এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগ ও গ্রেফতারির দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনাকে ‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি’, বলে দাবি করেন তিনি।

    শুভেন্দুর দাবি

    গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে আচার্য সদন গিয়েছিলেন শুভেন্দু। যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথকীকরণের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন তিনি। এদিন এসএসসি মামলার রায়দান হতেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) সেদিনের ভিডিও সহ একটি পোস্ট করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সেই পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি। মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালত, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট বারবার এসএসসি-কে সময় দিয়েছে যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিরত শিক্ষকদের আলাদা করার জন্য। ৫ মে ২০২২ তারিখে এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের ক্যাবিনেট অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য বেআইনিভাবে সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছিল। বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি বিধায়কদের প্রতিনিধি দলকে সাথে নিয়ে এসএসসি ভবনে আমি নিজেও এই বিষয়ে সঠিকভাবে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম।’’ বিজেপি (BJP) বিধায়কের কথায়, তিনি সেবার যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। নাহলে অযোগ্যদের জন্য যোগ্যরা বিপাকে পড়বেন ও তাঁদের পরিবারগুলি ভেসে যাবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে সামাজিক সম্মানও নষ্ট হবে। শুভেন্দু লেখেন, ‘‘আজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়কে মান্যতা দিয়ে ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখল। অর্থের বিনিময়ে চাকুরিরত অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্যদের বলি দেওয়া হল। এর সম্পূর্ণ দায়ভার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জীর। অবিলম্বে মমতা ব্যনার্জীর পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবি করছি।’’

    বিজেপির বিরোধিতা

    শাসকদলের বিরুদ্ধে পথে নামার ডাক দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। বারবার সময় পাওয়া সত্ত্বেও চাল ও কাঁকর আলাদা করেনি এসএসসি। তারই খেসারত দিতে হল যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদেরও। রামনবমী মিটে গেলেই এ নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নামা বলে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।  আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচিও এদিন ফেসবুক পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানান। তিনি লেখেন, ‘‘সবার চাকরি খেল কে? চোর মমতা আবার কে। যোগ্য যাদের চাকরি গেল। এবার সবাই কালীঘাট চলো।’’

  • Partha Chatterjee: ‘‘একে নিতেই হবে’’, অযোগ্যদের ঢোকাতে নোট পার্থর! নিয়োগ মামলার চার্জশিটে সিবিআই

    Partha Chatterjee: ‘‘একে নিতেই হবে’’, অযোগ্যদের ঢোকাতে নোট পার্থর! নিয়োগ মামলার চার্জশিটে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য়ে কাদের নিতে হবে সেটা কার্যত ঠিক করে দিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই। প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ। চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ

    প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সংস্থা যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা চার্জশিট আকারে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানেই পার্থর (Partha Chatterjee) হাতের লেখার উল্লেখ রয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে, বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের নামের তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানেই পার্থের হাতের লেখা ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও সেই লেখা সিবিআই বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পার্থর ‘হাতে লেখা’ নির্দেশের ‘অনুলিখন’। সিবিআই জানিয়েছে, এক এক জন প্রার্থীর নামের ক্ষেত্রে এক এক রকম মন্তব্য লিখে দিতেন পার্থ। কোনও নামের উপরে লিখতেন ‘একে নিতেই হবে’ (মাস্ট বি টেক্‌ন), কোনও নামের উপরে লিখতেন ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে নিতে হবে’ (ওনলি ট্রেন্‌ড টু বি টেকেন)। প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জেলার নামও উল্লেখ করে দিতেন তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ। কোথাও লিখতেন ‘পুরুলিয়া’, কোথাও ‘বাঁকুড়া’। 

    আরও পড়ুন: স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন পথের সন্ধান দুই বাঙালি বিজ্ঞানীর, কেমন সেই পদ্ধতি?

    কীভাবে নিয়োগ

    ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রাথমিক মামলার তদন্তে বিকাশ ভবনে হানা দেয় সিবিআই। সেখানকার গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয় চাকরিপ্রার্থীদের নামের একটি তালিকা। ১৯ পাতার চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকায় ৩২৪ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর নাম ছিল। পরে তালিকা খতিয়ে দেখা যায়, আসলে সেখানে প্রার্থীসংখ্যা ৩২১। এঁদের প্রত্যেকের নাম প্রাথমিক স্কুলে চাকরির জন্য রাজনৈতিক প্রভাবশালী কোনও না কোনও ব্যক্তি সুপারিশ করেছিলেন। তালিকায় প্রার্থীদের নাম এবং রোল নম্বরের পাশাপাশি সেই প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। পার্থ (Partha Chatterjee) সেই তালিকায় নিজের মতদান করলে, পার্থর হাতের লেখা অনুসারে এক মহিলা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সেই তালিকা আবার নকল করতেন। এরপর সেই অনুলিখন পাঠিয়ে দেওয়া হত অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর কাছে। সে সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে ছিলেন মানিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Partha Chatterjee: ‘আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত’, জামিন চেয়ে সুপ্রিম দুয়ারে ভর্ৎসিত পার্থ

    Partha Chatterjee: ‘আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত’, জামিন চেয়ে সুপ্রিম দুয়ারে ভর্ৎসিত পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে সুপ্রিম দুয়ারেও (Supreme Court) ধাক্কা খেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি একজন দুর্নীতিবাজ বলে উল্লেখ করলেন বিচারপতি। এই ধরনের দুর্নীতিবাজদের জামিন দিলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাকি সবাই জামিন পেলে পার্থ কেন পাবেন না, শীর্ষ আদালতে প্রশ্ন তোলেন পার্থর আইনজীবী। এই প্রশ্ন শুনেই তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সূর্যকান্ত শর্মা। জানিয়ে দেন, বাকিরা কেউ শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। তাই অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করা উচিত নয় পার্থর।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন পার্থর আইনজীবী। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যরা জামিন পেলে পার্থ কেন পাবেন না, আদালতে পার্থর হয়ে সওয়াল করেন তিনি। এতেই কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি সূর্যকান্ত। পার্থর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনি নিজেকে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করবেন না। সবাই শিক্ষামন্ত্রী ছিল না, আপনি ছিলেন। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করার আগে আপনার লজ্জিত হওয়া উচিত। এঁরা সবাই আপনার সঙ্গেই কাজ করেছেন। আপনি মন্ত্রী ছিলেন।’’ বিচারপতি বলেন, ‘‘একজন মন্ত্রী হয়েও একাধিক লাভজনক সংস্থায় যুক্ত ছিলেন। তাঁর ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন সংস্থার নামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তিনি ভুয়ো সংস্থা খুলে তাতে ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ করেছেন। উনি খুব ভালো করে জানতেন যে তিনি নিজেই মন্ত্রী। তাই এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আর কারও নেই। আর তিনি নিজে তো নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেবেন না। আদালত ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় এই সব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।’’ এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, গোটা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখে জামিনের ব্যাপারে বিবেচনা করা হোক।

    আরও পড়ুন: ‘‘নৌসেনার অঙ্গীকার দেশের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করে’’, নৌ-দিবসে কুর্নিশ মোদি-শাহের

    রায়দান স্থগিত

    কলকাতা হাইকোর্টে জামিন না পেয়েই সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর আড়াই বছর কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও চার্জশিটই জমা পড়েনি। এই মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর জেল হতে পারে, যার এক তৃতীয়াংশের বেশি সময় জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন পার্থ। এ প্রসঙ্গে পার্থর বয়স, শারীরিক অসুস্থতার কথাও আদালতে তুলে ধরেন পার্থর আইনজীবী। কিন্তু জামিনের সেই শুনানিতেই এদিন পার্থকে ভর্ৎসনা করল আদালত। এদিন এই মামলার শুনানি শেষ হলেও, রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ মামলায় প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) বড় পদক্ষেপ করল ইডি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের মামলায় ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট করেছে। যেখানে কয়েকশ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা বলা হয়েছে। 

    কত কোটা টাকার সম্পত্তি

    শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের নামে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে একাধিক হোটেল, রিসর্টও। বাজেয়াপ্ত করা মোট সম্পত্তির মূল্য ১৬৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ইডি যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে, তা মূলত প্রসন্ন এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকলেও একটি সংস্থার ভাগও তাতে রয়েছে। শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্তের তালিকায় রয়েছে। ইডি জানিয়েছে, ওই সংস্থাটি প্রসন্নই নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করতেন। এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ফলে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি মামলায় ইডির বাজেয়াপ্ত করা মোট অর্থ এবং সম্পত্তির মূল্য দাঁড়াল ৫৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। 

    ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ

    আদালতের নির্দেশে এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বিপুল আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। আর এই তদন্ত নেমেই ‘মিডলম্যান’ হিসাবে প্রসন্ন রায়ের খোঁজ পান আধিকারিকরা। দীর্ঘ জেরার পর সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন প্রসন্ন। অন্যদিকে, ইডির তরফেও বিষয়টির খোঁজ নেওয়া হয়। তদন্তকারীরা প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পান। যা একেবারে চমকে দেওয়ার মতো। প্রসন্ন, তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠদের মোট ২৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির ফরেন্সিক অডিট করিয়েছিল সিবিআই। চার্জশিটে ইডির দাবি, অ্যাকাউন্টগুলিতে ৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। ইডি আরও জানায়, প্রসন্নর স্ত্রীর আয়ের অন্য কোনও উৎস নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টেও দু’কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে কাকে, কীভাবে চাকরি দিয়েছেন অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়? নথি পেল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে (SSC Scam) বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ মলয় পিটের বিরুদ্ধে নানা নথি পেয়েছে সিবিআই। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতিতে বীরভূমের মলয় পিটের সঙ্গে কলকাতার কুন্তল ঘোষের মিল খুঁজে পাচ্ছে সিবিআই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মলয়ও কুন্তলের মতো মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন। 

    নিয়োগ-দুর্নীতিতে এনজিও যোগ

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মলয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। মলয়ঘনিষ্ঠ পূর্ব বর্ধমানের এক এনজিও (NGO) কর্তার কাছ থেকে উদ্ধার চাকরি প্রার্থীদের একের পর এক তালিকা। সিবিআই (CBI) জানতে পেরেছে, সেই তালিকার মধ্যে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ১৭ জন, যাঁরা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন এখনও চাকরি করছেন। এঁরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (SSC Scam) কর্মরত। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এনজিওটি একটি বিএড কলেজ চালায়। ওই এনজিও-র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সফিউল আলম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। 

    সফিউল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ

    ইতিমধ্যেই সফিউলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। এমনকী সফিউলের ই-মেল আইডিও ঘেঁটে বিস্ফোরক সব তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এ থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭টি ই-মেল (SSC Scam) পুনরুদ্ধার করেছে সিবিআই। প্রতিটিতেই রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। উদ্ধার হওয়া মেলের মধ্যে একটি আবার ২০১৭ সালের ১৩ই মার্চ করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার এবং একাধিক এনজিও –পরিচালক মলয় পিটের থেকে সফিউলের আইডিতেও ঢুকেছে ই-মেল। সেখানেও রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা।

    আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রথমে গরুপাচার মামলা। পরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) নাম জড়িয়েছে অনুব্রতঘনিষ্ঠ মলয়ের। ইতিমধ্য সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যখন মলয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই, সেই সময় তিনি নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, সফিউল জানিয়েছেন, যা ই-মেল তিনি করেছেন বা তাঁর কাছে এসেছে, সবটাই মলয়ের নির্দেশে। মলয়ের নির্দেশেই তালিকা পাঠানো হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    CBI: ওএমআর শিটের তথ্য উদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) দক্ষতায় অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ওএমআর শিটের আসল সার্ভার বা হার্ডডিস্কের তথ্য জানতে প্রয়োজনে যে কোনও সংস্থা বা বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। প্রসঙ্গত আদালতের তদন্তেই প্রাথমিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজাশেখার মান্থা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

    বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ (CBI)

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় এবার সিবিআইকে অলআউট ঝাঁপানোর নির্দেশ দেওয়া হল। ২০১৪ সালের ওএমআর ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে সিবিআইকে হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশ। এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের এক্সপার্টদের শরণাপন্ন হতে পারবে সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে নিতে হবে বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বা ব্যক্তিদের সাহায্য। শুক্রবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে এ সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    ওএমআর শিটের তথ্য চায় আদালত (High Court)

    এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সিবিআই তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে, ওএমআর শিটের ওরিজিনাল ডিস্ক নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আদালত জানতে চায়, এভাবে ডিস্ক নষ্ট করা যায় কি? নষ্ট করা গেলেও তথ্য উদ্ধার করা যায় কি না। আদালতের (High Court) ধারণা, তথ্য উদ্ধার করা যায়। ডিজিটাল রেকর্ড এত সহজে ধ্বংস করা যায় না। সে ব্যাপারে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা যে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।” প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাই ওএমআর শিট স্ক্যান করেছে।

    আরও পড়ুন : হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    এর আগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার আদালতে ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটেই বিপাকে পড়লেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পাঁচু রায় (Pachu Ray) । তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, করোনাকালে একই দিনে দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় ২৯ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় পুরপ্রধান ছিলেন পাঁচু রায়। তবে ওই নিয়োগের (Municipal Recruitment Scam) ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এখনও তদন্তের আওতাধীন রয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তির দিনেই ২৯ জনকে চাকরি ও নিয়োগ  (Pachu Ray)

    জানা গিয়েছে, একই দিনে ২৯ জনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়। একই দিনে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হয়, সেদিনই দেওয়া হয় নিয়োগপত্র। আবার সেদিনই চাকরিতে যোগদান করেন সকলে। গোটা প্রক্রিয়াটাই বেআইনি বলে দাবি করেছে ইডি। ইডির প্রশ্ন, তাহলে চাকরিতে নিয়োগের আগে নিয়ম মেনে মূল্যায়ন হল কী করে। ওই চার্জশিটে পাঁচুর রায়ের পাশাপাশি অয়ন শীলের নামের উল্লেখ রয়েছে। তবে এই দুর্নীতিতে অয়ন শীলের অর্থনৈতিক যোগাযোগ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

    নথির আড়ালে কোডওয়ার্ড (Municipal Recruitment Scam)

    প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। জানা যায়, করোনা কালে রাজ্যে অন্তত ৮০টি পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়। কোনও নিয়ম না মেনে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার পাশাপাশি স্বজন-পোষণের বিষয়টিও উঠে আসে। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতিতে প্রথম নাম শাসক দলের এক তৎকালীন পুরপ্রধানের। প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিস ও হুগলির বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে দিস্তা-দিস্তা ওএমআর শিট উদ্ধার হয় এবং একটি ২৮ পাতার নথির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় তাতে রয়েছে একাধিক পুরসভার নিয়োগপ্রার্থীদের তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। নথির মধ্যে ছিল একাধিক কোডওয়ার্ড।

    ৮০ পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি

    উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরানগর সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্য ছিল ওই নথিতে। এছাড়াও পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, ওয়ার্ড মাস্টার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, মজদুর, ক্লার্ক, হেল্পার, ড্রাইভার সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ছিল ওই নথিতে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঐ নথির ভিত্তিতেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের (Pachu Ray) নাম উঠে আসে। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে উঠে এল তাঁর নাম।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share