Tag: SSC

SSC

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি (SSC Scam) মামলায় তথ্য চেয়ে গুগলকে (Google) চিঠি দিল সিবিআই (CBI)। জাল ওয়েবসাইট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগলের কাছে। জানা গিয়েছে, এই জাল ওয়েবসাইটেই অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে পাশ করার রেজাল্ট দেখানো হত। সেই কারণেই ওই জাল ওয়েবসাইট সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, দুটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    এসএসসি (SSC Scam) মামলা…

    এই দুটি ওয়েবসাইটে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেখানো হত তাঁদের নাম। টাকা নেওয়ার পরে ডিলিট করে দেওয়া হত সেই তালিকা। সেই কারণেই আইপি অ্যাড্রেস সহ যাবতীয় তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কিছু কর্মপ্রার্থী চাকরি পেলেও, অনেকেই পাননি। যদিও টাকা দিয়েছেন তাঁরা। যার অর্থ, প্রতারিত হয়েছেন তাঁরাও। কারা প্রতারিত হয়েছেন, কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তা জানতেই তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগুলের কাছে।

    সিবিআইয়ের দাবি, যাঁরা পরীক্ষায় (SSC Scam) ফেল করত, ওয়েবসাইটের দেওয়া রেজাল্টে তাঁকে পাশ দেখানো হত। সেই রেজাল্টের প্রিন্টআউটও দেওয়া হত। টাকা নেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যেত সেই নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটে .ইন রয়েছে। কিন্তু ভুয়ো ওয়েবসাইটে সেটাই .কম। জানা গিয়েছে, চাকরির জন্য যারা টাকা দিত, তাদের নাম তোলা হত ভুয়ো ওয়েবসাইটে। পরে সেটা দেখিয়েই আরও টাকা দাবি করা হত। যে ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ফুলে ফেঁপে উঠেছে দালালরা।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    এদিকে, পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। অন্তত হার্ড ডিস্কে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের (SSC Scam) ক্ষেত্রে অয়ন প্রার্থী পিছু লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন বলে অভিযোগ। নামে-বেনামে অয়নের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অয়ন সেই ফ্ল্যাটগুলির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। অয়নের প্রায় আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। সেই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sil) প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলল। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত অয়ন শীলের নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি ছুঁই ছুঁই। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে এমনটাই খবর। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তি হল অয়নের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতির আখড়া

    ইডি সূত্রের খবর, অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অন্য়তম আখড়া। অয়ন, তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেবল অযোগ্য প্রার্থী নয়, চাকরির বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেওয়ায়, জয়েনিং লেটার পাওয়ার পরও, চাকরিপ্রাপকের নাম প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    অয়নের নোটপ্যাড রহস্য

    অয়নের নোটপ্যাড থেকেও মিলেছে নানা তথ্য।  ইডি সূত্রে খবর, সাদা রঙের ২টি নোটপ্যাডই ছিল লাল ফিতেয় মোড়া। তাতে উল্লেখ রয়েছে একাধিক নাম। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় উঠে আসেন অয়নের ঘনিষ্ঠরাও। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম ভেসে এসেছে। শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা নামে এলআইসির এক প্রাক্তন এজেন্টের ব্যাপারেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তাঁর বাড়িও হুগলিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যুক্ত অয়ন এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় গঠিত হয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) সিট। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশেই গঠিত হয়েছিল সিট। এবার সেই সিটেরই সদস্য ধরমবীর সিংহ (Dharambir Singh) চাইলেন স্বেচ্ছাবসর নিতে। ঘটনার জেরে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। ধরমবীর সিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। তিনিই জানিয়েছেন স্বেচ্ছাবসরের আর্জি। কিন্তু যেহেতু সিট গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া ধরমবীরের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয় সিবিআইয়ের। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিটে কয়েকজন বাঙালি অফিসার রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও এদিন আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলা…

    সিবিআইয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের সুপারিশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির (SSC Scam) তদন্তে সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় উপেন জানিয়েছিলেন, সিট গঠিত হলে সিটের সদস্যরা কেবল এই মামলারই তদন্ত করবেন। তাঁরা অন্য কোনও মামলায় ব্যস্ত হতে পারবেন না। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে প্রধানমন্ত্রীও প্রভাব খাটাতে পারবেন না। উপেন এও জানিয়েছিলেন, এই কেলেঙ্কারির তদন্তে তিনি সিবিআইকে সব রকম সহযোগিতা করবেন। এর পরেই উপেনের সুপারিশ মেনে গঠন করা হয় সিট।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির দুই মামলায় তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই আদালতকে জানিয়ে দেবে, সিটের সদস্য কারা। প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত চলাকালীন সিটের কোনও সদস্য অন্য কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই মামলা থেকে বেরিয়েও যেতে পারবেন না তাঁরা। আদালতের নজরদারিতে হবে পুরো মামলার তদন্ত (SSC Scam)। তাই ধরমবীর চাইলেই স্বেচ্ছাবসর নিতে পারবেন না। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: স্বস্তিতে জিতেন্দ্র তেওয়ারি! কয়লাকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ মতো আগেই সিটের সদস্যদের নাম জমা দিয়েছিল সিবিআই। তারা জানিয়েছিল, ছয় আধিকারিককে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তকারী দলের মাথায় রয়েছেন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। একজন পুলিশ সুপার, দুজন ডিএসপি এবং তিনজন ইনস্পেক্টর। তদন্তে কলকাতা শাখার প্রধান রাজীব মিশ্র ও পূর্বাঞ্চলের যুগ্ম অধিকর্তা বেণুগোপাল নজরদারি করবেন বলেও জানিয়েছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত নীলাদ্রি দাস বানিয়েছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও! জানুন রেট

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত নীলাদ্রি দাস বানিয়েছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও! জানুন রেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত নাইসা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাসের মোবাইল ফোনে রয়েছে গোপন তথ্যের ভাণ্ডার! এমনটাই অনুমান সিবিআইয়ের। মোবাইল ফোনটিকে গোপন তথ্যের ভাণ্ডার বলে মনে করছে সিবিআই। এবার ওই ভাণ্ডারের হদিশ পেতে তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআইয়ের আরও দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের নামের বেশ কিছু তালিকা ও অ্যাডমিট কার্ডের রোল নম্বর পাওয়া গেছে নীলাদ্রির মোবাইল ফোনে। মিলেছে বেশ কয়েকজন এসএসসি আধিকারিকের ফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। শুধু তাই নয়, ওএমআর সংস্থার প্রধান নীলাদ্রি দাস বানিয়ে ফেলেছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও।

    কোন চাকরির কত দাম

    সূত্রের খবর, প্রাথমিকে শিক্ষক পদে চাকরির রেট ছিল ১০ লক্ষ টাকা। মোটর ভেহিকলসে ইন্সপেক্টর পদে চাকরির জন্য ১২ লক্ষ, খাদ্য দফতরে ফুড সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরির জন্য ১১ লক্ষ, জেলাশাসকের দফতরে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ, পরিবহণ দফতরের অন্যান্য পদে চাকরির জন্য ৫ লক্ষ, রাজ্য পুলিশে চাকরির জন্য ৮ লক্ষ, সিভিক ভলান্টিয়ারের জন্য ৩০ হাজার, সেনাবাহিনীতে চাকরির জন্য ১৩ লক্ষ ও পুরসভায় ক্লার্কের চাকরির রেট ছিল দেড় লক্ষ টাকা।

    কোন কোন ধারায় মামলা রজু সিবিআইয়ের

    জানা গিয়েছে চার্জশিটে ধৃতের বিরুদ্ধে ১২০ বি ( অপরাধ মূলক ষড়যন্ত্র ), ২০১ (তথ্যপ্রমাণ লোপাট ), ৪২০ ( প্রতারণা ), ৪৬৭ (নকল ডকুমেন্টস তৈরি করা), ৪৬৮ (নকল নথি বানিয়ে ব্যবহার), ৪৭১ আইপিসি এবং প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্ট ৭ ও ৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্রের খবর, নাইসার আরও একাধিক আধিকারিকের উপরে এবার নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। তাদেরও দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

    কীভাবে চলত দুর্নীতি

    নীলাদ্রিকে গ্রেফতারের পর সিবিআই সূত্রেও দাবি করা হচ্ছে, চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের নাম SSC-র মাধ্যমে জানানো হত নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রিকে। এরপর তিনি ওয়েবসাইটে নম্বর বাড়িয়ে দিতেন। কিন্তু কমিশনের দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের সুপারিশ অনুযায়ী অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানোর পরও, ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আরও কয়েকজনের নম্বর বাড়িয়ে দিতেন নীলাদ্রি। সেই জাল ছড়িয়ে ছিল বিভিন্ন জেলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত অবমাননার মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান (SSC Chairman) সিদ্ধার্থ মজুমদার। ‘ভুল’-এর জন্য হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন তিনি। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যা করতে আমাদের ভুল হয়েছে।’

    যা বললেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান

    নম্বর বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করার জন্য গত ১৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আদালতের নির্দেশমতো শুক্রবার হাজিরা দিয়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানান, আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল। মামলাটি পুরনো বলে গোটা পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা এসএসসিকে খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। পদ্ধতিগত ত্রুটি দূর করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার কাজ কত দূর এগোল, তা আগামী শুক্রবার জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। সূত্রের খবর, নির্দেশ না থাকলেও ওই দিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দিতে পারেন এসএসসির চেয়ারম্যান। 

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    ২০১১ সালে উচ্চ প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকে কেন্দ্রে করে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর না দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এসএসসি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে আদালতে জানান সিদ্ধার্থবাবু। এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট। তারপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: স্থগিতাদেশে না হাইকোর্টের, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু স্কুলে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং

    SSC Scam: স্থগিতাদেশে না হাইকোর্টের, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু স্কুলে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে  স্কুলে গ্রুপ সি পদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং পর্ব। স্কুলে গ্ৰুপ সি বা তৃতীয় বিভাগের কর্মী নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগে বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে, চাকরি হারিয়েছিলেন গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন কর্মী। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিচ্যুতদের একাংশ। বুধবার চাকরিচ্যুতদের আবেদন খারিজ করে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে গ্রুপ সির ৮৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে এসএসসি।

    খেলা হবে স্লোগান

    এদিন আদালতে সিবিআই ও এসএসসি একসুরে জানায়, যে ওএমআর শিটগুলির ভিত্তিতে ৮৪২ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেগুলিকে বিকৃত করা হয়নি। নিশ্চিত হয়েই সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করেছে এসএসসি। বুধবার চাকরিহারাদের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‘এসএসসি-র বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর থেকে রেহাই পাওয়া উচিত নয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকেরও।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘সবাই তো এদের অনুমতি নিয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই সবার ভূমিকাই খতিয়ে দেখা উচিত।’’ এর পর আইনজীবী বলেন, ‘‘তার পর খেলা হবে।’’ যদিও ওই শব্দবন্ধ প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। এমনকী নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার (NYSA) ভূমিকাও খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত তিহাড় যেতেই বীরভূমের ‘ছোট কেষ্ট’দের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কী বললেন তিনি?

    সিবিআই এদিন আদালতে বলে, ‘নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আর্থিক দুর্নীতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সময় লাগলেও, তাড়াতাড়ি মাথার সন্ধান মিলবে। বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর বিকৃত, এরকম ভাবার কারণ নেই।’ এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, ‘OMR শিট পরীক্ষা করে দেখার পরই সুপারিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ আদালত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের পর নিয়োগ তালিকা দেখে নতুন করে যে কাউন্সেলিংয়ের কথা বলে, সেই তালিকাকে ‘জীবাশ্ম’ বলে মন্তব্য করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তার উত্তরে বিচারপতি তালুকদার এদিন বলেন, ‘‘জীবাশ্ম নয়। মিশরীয় জীবাশ্ম।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এবার এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি উঠল। কমিশনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের দাবি, কমিশনের ১৭ নম্বর ধারা বাতিল করা হোক। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার, এসএসসি (SSC) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল।

    এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি…

    সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিল হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, এসএসসির সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও আবার ৫৩। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯৫২ জনের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় (WB School Service Commission) যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। যদিও তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এঁদের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। তার পরেই কমিশন ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে প্রথমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বাতিল করে নিয়োগপত্র।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    কমিশনের (WB School Service Commission) এই ১৭ নম্বর ধারা বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কমিশনের এই ধারাকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। প্রসঙ্গত, এই ধারায়ই কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া আছে কমিশনকে। যদি কোনও চাকরি প্রার্থীকে দেওয়া সুপারিশপত্রে কোনও ভুল থাকে তবেই কমিশন এই ধারা প্রয়োগ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। তাঁদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জের এসএসসি-র গ্রুপ সি (Group C) পরীক্ষাতেও। গ্রুপ সি-তেও ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। প্রাপ্ত নম্বর শূন্য, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭! প্রাপ্ত নম্বর ১, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪! হাইকোর্টের নির্দেশ ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।  ৩৪৭৮ জনের মধ্য়ে ৩৬২ জনের নম্বরে কোনও রদবদল হয়নি। বাকী ৩১১৬ জনের মধ্যে ৮৬ জনের নম্বর কমে গিয়েছে এসএসসির মূল সার্ভারে। এদের নম্বর গাজিয়াবাদের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র সার্ভারে বেশি বা কম ছিল। 

    তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি

    এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ছবি। প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া আছে সেই তালিকায়। পাশে পরপর কলামে লেখা – প্রকাশ হওয়া নম্বর ও আসল নম্বর। তার পাশের কলামে দেখানো হয়েছে, ঠিক কত নম্বরের তফাৎ রয়েছে। 

    এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি (SSC Scam)। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত’। এদিকে, গ্রুপ সি-র শূন্য পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এসএসি। খুব শীঘ্রই হবে কাউন্সেলিং। এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল কমিশন। প্রথম দফায় হবে ৭৮৫ পদে নিয়োগ। ওয়েটিং লিস্ট থেকেই হবে নিয়োগ। কিন্তু ওইসব প্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও অসংগতি থাকলে তাদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে না। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ৮৪২ জন চাকরিচ্যুত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।    

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়। সোমবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC West Bengal) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। শান্তনুর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর দাবি, শান্তনুর যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি সোনার খনি। সেখানে এমন অনেকের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমন কতজনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইডির আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, দেখলে চমকে যাবেন। তিনি জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর নথিও।

    ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব…

    শান্তনু যে প্রভাবশালী, এদিন আদালতে তার সপক্ষে যুক্তিজাল বিস্তার করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, শান্তনুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে দুজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনু (SSC West Bengal) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতেন। এদিন শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির প্রসঙ্গও উঠে আসে ইডির সওয়ালে। ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কীভাবে শান্তনু ৫১ কাঠা জমির মালিক, রিসর্ট, রেস্তোরাঁর মালিক হলেন?

    আরও পড়ুুন: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন শান্তনু। অন্তত ইডির আইনজীবীর দাবি এমনই। শান্তনু গ্রেফতার হতেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেরায় কুন্তল শান্তনুকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও যে স্বীকার করেছেন, এদিন তাও আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।   

    প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুকে। দু দিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি চলে গিয়েছে। এরইমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  বড়সড় অনিয়ম সামনে এসেছে। কাউন্সেলিং ছাড়াই নবম-দশমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আর সেটা অন্যজনের রোল নম্বর ব্যবহার করেই কাউন্সেলিং ছাড়াই একজন বহাল তবিয়তে ইংরেজি শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। জানা গিয়েছে, ১২২১১৬৭৬০০০০০৩-এই রোল নম্বরটি সালমা সুলাতানার। তাঁর বাড়ি বোলপুর। তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে কখনও ডাকা হয়নি। অথচ তাঁর এই রোল নম্বরেই অন্য একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।  এসএসসি-র এই নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) বিষয়টি সামনে আসতেই খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে এসএসসি এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজনের রোল নম্বরে অন্যজনকে কী করে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। ফলে, এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করেছে। আর এই রোল নম্বর কারচুপি করে নিয়োগপত্র কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    নিজের রোল নম্বর চুরি হওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন  সালমা সুলতানা? Scam

    সালমা সুলতানা শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর পরীক্ষার যে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে তাঁর অ্যাকাডেমিক নম্বর ছিল ৩৩। আর লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটের নম্বর ছিল ৪৯। ২০১৮ সালে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়। তারপর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। কাউন্সেলিংয়ে তাঁকে আর ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে আদালত এসএসসি-র কাছে ওএমআর শিট চেয়েছিল। তাতে দেখা যায় তাঁর নম্বর ৪৮। চাকরি না পেয়ে কলকাতায় এসএলএসটি-র যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। সালমা সুলতানা বলেন, কাউন্সেলিংয়ে আমাকে ডাকা হয়নি। তারজন্য আক্ষেপ নেই। কিন্তু, কিছুদিন আগেই জানতে পারি আমার রোল নম্বরে অন্যজন চাকরি করছে। তাঁকে তো কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে? না হলে সে কী করে চাকরি পেল। আর ওই রোল নম্বর ধরে দপ্তর থেকে ডাকা হলে আমি জানতে পারব। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কোনও কাউন্সেলিং না করেই নিজের মনের মতো কাউকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি বিষয়টি জানতে পারিনি। আমাকে অন্ধকারে রেখে আমার রোল নম্বর ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে একজন শিক্ষকতা করছেন এটা হতে পারে না। এই দুর্নীতির (Scam)  বিরুদ্ধেই আমি সরব হয়েছি। সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share