Tag: SSC

SSC

  • WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    WB School Service Commission: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসির আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এবার এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি উঠল। কমিশনের ১৭ নম্বর ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলাকারীদের দাবি, কমিশনের ১৭ নম্বর ধারা বাতিল করা হোক। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার, এসএসসি (SSC) এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে হলফনামা তলব করেছে হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল।

    এসএসসির (WB School Service Commission) আইন বদলের দাবি…

    সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিল হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, এসএসসির সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও আবার ৫৩। গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওএমআর শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯৫২ জনের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় (WB School Service Commission) যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। যদিও তাঁদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এঁদের সুপারিশপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। সেই সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চও। তার পরেই কমিশন ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে প্রথমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বাতিল করে নিয়োগপত্র।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে নিজের মতো প্রতিভাবান ভাবছেন! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    কমিশনের (WB School Service Commission) এই ১৭ নম্বর ধারা বাতিলের আবেদন জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কমিশনের এই ধারাকে অবৈধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। প্রসঙ্গত, এই ধারায়ই কোনও চাকরিপ্রার্থীর সুপারিশ বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া আছে কমিশনকে। যদি কোনও চাকরি প্রার্থীকে দেওয়া সুপারিশপত্রে কোনও ভুল থাকে তবেই কমিশন এই ধারা প্রয়োগ করতে পারে। প্রসঙ্গত, ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। তাঁদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের! হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জের এসএসসি-র গ্রুপ সি (Group C) পরীক্ষাতেও। গ্রুপ সি-তেও ওএমআর শিটের নম্বরে কারচুপি ধরা পড়েছে। প্রাপ্ত নম্বর শূন্য, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৭! প্রাপ্ত নম্বর ১, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৪! হাইকোর্টের নির্দেশ ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।  ৩৪৭৮ জনের মধ্য়ে ৩৬২ জনের নম্বরে কোনও রদবদল হয়নি। বাকী ৩১১৬ জনের মধ্যে ৮৬ জনের নম্বর কমে গিয়েছে এসএসসির মূল সার্ভারে। এদের নম্বর গাজিয়াবাদের ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এনওয়াইএসএ-র সার্ভারে বেশি বা কম ছিল। 

    তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি

    এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় স্পষ্ট নম্বরে কারচুপি করে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ছবি। প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া আছে সেই তালিকায়। পাশে পরপর কলামে লেখা – প্রকাশ হওয়া নম্বর ও আসল নম্বর। তার পাশের কলামে দেখানো হয়েছে, ঠিক কত নম্বরের তফাৎ রয়েছে। 

    এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এটা সংগঠিত, পরিকল্পিত দুর্নীতি (SSC Scam)। এসএসসির মান সম্মান এখন আর কিছু নেই। যে উদ্দেশে এসএসসি তৈরি হয়েছিল, সেটিকেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে এই দুর্নীতি হয়নি। উনি জানতেন না এটা হতে পারে না। আর যদি না জানেন তাহলে অযোগ্য হিসেবে তাঁর পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত’। এদিকে, গ্রুপ সি-র শূন্য পদে নিয়োগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে এসএসি। খুব শীঘ্রই হবে কাউন্সেলিং। এই মর্মে বিবৃতি প্রকাশ করল কমিশন। প্রথম দফায় হবে ৭৮৫ পদে নিয়োগ। ওয়েটিং লিস্ট থেকেই হবে নিয়োগ। কিন্তু ওইসব প্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হবে। কোনও অসংগতি থাকলে তাদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হবে না। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ৮৪২ জন চাকরিচ্যুত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।    

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়। সোমবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC West Bengal) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। শান্তনুর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর দাবি, শান্তনুর যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি সোনার খনি। সেখানে এমন অনেকের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমন কতজনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইডির আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, দেখলে চমকে যাবেন। তিনি জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর নথিও।

    ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব…

    শান্তনু যে প্রভাবশালী, এদিন আদালতে তার সপক্ষে যুক্তিজাল বিস্তার করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, শান্তনুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে দুজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনু (SSC West Bengal) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতেন। এদিন শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির প্রসঙ্গও উঠে আসে ইডির সওয়ালে। ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কীভাবে শান্তনু ৫১ কাঠা জমির মালিক, রিসর্ট, রেস্তোরাঁর মালিক হলেন?

    আরও পড়ুুন: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন শান্তনু। অন্তত ইডির আইনজীবীর দাবি এমনই। শান্তনু গ্রেফতার হতেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেরায় কুন্তল শান্তনুকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও যে স্বীকার করেছেন, এদিন তাও আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।   

    প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুকে। দু দিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি চলে গিয়েছে। এরইমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  বড়সড় অনিয়ম সামনে এসেছে। কাউন্সেলিং ছাড়াই নবম-দশমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আর সেটা অন্যজনের রোল নম্বর ব্যবহার করেই কাউন্সেলিং ছাড়াই একজন বহাল তবিয়তে ইংরেজি শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। জানা গিয়েছে, ১২২১১৬৭৬০০০০০৩-এই রোল নম্বরটি সালমা সুলাতানার। তাঁর বাড়ি বোলপুর। তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে কখনও ডাকা হয়নি। অথচ তাঁর এই রোল নম্বরেই অন্য একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।  এসএসসি-র এই নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) বিষয়টি সামনে আসতেই খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে এসএসসি এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজনের রোল নম্বরে অন্যজনকে কী করে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। ফলে, এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করেছে। আর এই রোল নম্বর কারচুপি করে নিয়োগপত্র কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    নিজের রোল নম্বর চুরি হওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন  সালমা সুলতানা? Scam

    সালমা সুলতানা শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর পরীক্ষার যে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে তাঁর অ্যাকাডেমিক নম্বর ছিল ৩৩। আর লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটের নম্বর ছিল ৪৯। ২০১৮ সালে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়। তারপর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। কাউন্সেলিংয়ে তাঁকে আর ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে আদালত এসএসসি-র কাছে ওএমআর শিট চেয়েছিল। তাতে দেখা যায় তাঁর নম্বর ৪৮। চাকরি না পেয়ে কলকাতায় এসএলএসটি-র যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। সালমা সুলতানা বলেন, কাউন্সেলিংয়ে আমাকে ডাকা হয়নি। তারজন্য আক্ষেপ নেই। কিন্তু, কিছুদিন আগেই জানতে পারি আমার রোল নম্বরে অন্যজন চাকরি করছে। তাঁকে তো কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে? না হলে সে কী করে চাকরি পেল। আর ওই রোল নম্বর ধরে দপ্তর থেকে ডাকা হলে আমি জানতে পারব। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কোনও কাউন্সেলিং না করেই নিজের মনের মতো কাউকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি বিষয়টি জানতে পারিনি। আমাকে অন্ধকারে রেখে আমার রোল নম্বর ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে একজন শিক্ষকতা করছেন এটা হতে পারে না। এই দুর্নীতির (Scam)  বিরুদ্ধেই আমি সরব হয়েছি। সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের মিলল বিস্ফোরক তথ্য! কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে। কাউন্সেলিং ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছে ইংরেজি শিক্ষক পদে। বীরভূমের চাকরিপ্রার্থী সালমা সুলতানার রোল নম্বরে নিয়োগ করা হয়েছে অন্যজনকে। এটা জানতে পেরে হতবাক কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ঘটনার জেরে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পেশ হতে পারে রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, এসএলএসটিতে উত্তীর্ণ হন সালমা সুলতানা। ইন্টারভিউও দেন। অথচ তার পর আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য এ পর্যন্ত ডাকা হয়নি তাঁকে। যদিও তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশ ও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

    নিয়োগকাণ্ড (Recruitment Scam)…

    নিয়োগে (Recruitment Scam) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফেঁসে গিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতাও। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ ডি-র কয়েকশো কর্মী। আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। প্রকাশের দুই মেয়ে মাম্পি ও শম্পার চাকরি গিয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন জামাই বিপ্লব দাসও। মাম্পি চাকরি করতেন হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে। শম্পা ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। আর কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ক্লার্কের পদে ছিলেন বিপ্লব।

    আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা সামসুর রহমানেরও। তিনি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। প্রায় ফাঁকা ওএমআর শিটেই চাকরি জুটেছিল তাঁর। যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের নামের যে তালিকা এসএসসি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন, তাতে ৫৫১ নম্বরে রয়েছে সামসুরের নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    চাকরি খুইয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণবও। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ সি-র (Recruitment Scam) চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের অর্ণব। পরীক্ষায় পাশ করে কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারভিউয়ে সফল হয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চাকরি পান তিনি। দুর্গাপুর প্রোজেক্টস টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে বছর পাঁচেক চাকরি করার পর হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ান তিনি। চাকরি হারিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টুম্পা মেটেও। ডানকুনির বামুনারির বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্বামীও তৃণমূল নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জেরে গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হলো। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাল এসএসসি। শনিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ওই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দুপুর ৩ টের মধ্যে নিয়োগপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। 

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগ

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই ‘গ্রুপ সি’-তে চাকরি করছেন ৫৭ জন। শুক্রবার এই তথ্য পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন এটাও কি শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার কাজ? যাঁরা বেআইনিভাবে কাজ করছেন তাঁদের নিয়োগ (SSC Scam) বাতিলের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী তাঁরা যেন শনিবার থেকে স্কুলে ঢুকতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশের পরই তৎপর হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রথম দফায় ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ৮৪২ জন গ্রুপ সি (Group C) কর্মীর চাকরি বাতিলের (SSC Scam) নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৮৪২ জনের মধ্যে ৭৮৫ জনের কাছে এসএসসির সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র আছে। তাই প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওই সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা এবং পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অপর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কমিশনের সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যে হেতু এসএসসি সুপারিশপত্র দেয়নি, তাই ওই ৫৭ জনের চাকরি কলকাতা হাই কোর্ট বাতিল করেছে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিক এসএসসি। সেই নির্দেশ মতোই কাজ করে এসএসসি। ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল, এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন, তার তথ্য তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় কেউটে বের করল ইডি (ED)! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে কুন্তলকে এদিন ফের তোলা হয় আদালতে। ইডি জানায়, ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে ২০০ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। ইডির দাবি, প্রাথমিক থেকে নবম দশম শ্রেণির ওই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিজের এজেন্ট মারফত টাকা নিয়েছিলেন হুগলির ওই যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিপত্র যাচাই করে আরও এক নারীর সঙ্গে বিপুল অর্থ লেনদেনের হদিশও পেয়েছে ইডি।

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam)…

    ইডির আইনজীবীর দাবি, এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল প্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা (SSC Scam) করে নিয়েছিলেন। কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি যাচাই করার পর এক মহিলাকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির এক সূত্রের দাবি, ২০২০ সাল থেকে এই মহিলার সঙ্গে কুন্তলের ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, শুধু প্রাইমারি নয়, আপার প্রাইমারি এবং নবম দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকেও টাকা তুলেছেন কুন্তল। চাকরি প্রার্থীদের থেকে সংগৃহীত ১৬ কোটির থেকে কিছু টাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই টাকার পুরোটাই নগদে লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের জেল হেফাজত…

    ইডি সূত্রে দাবি, কেবল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই নয়, বিএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে। তা করতে গিয়ে পার্থর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের প্রভাব প্রতিপত্তিকেও কাজে লাগানো হয়েছে। এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের এক যুব নেত্রীকে কুন্তল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তিনটি লাগোয়া ফ্ল্যাট ভেঙে একটি বানানো হয়েছিল। ওই অভিনেত্রীকে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই রাজ্য যুব সম্পাদকের পদের শিকে ছেঁড়ে কুন্তলের ভাগ্যে। এদিন কুন্তলকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক তাঁকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শূন্যপদে নিয়োগের কথাও বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গ্রুপ ডি-র ১৯১১টি শূন্যপদে আপাতত নতুন নিয়োগ করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও সঞ্জয় করলের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তাতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    গ্রুপ ডি (Group D)…

    বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধ, কর্মজীবনে প্রাপ্য বেতন ফেরত দেওয়া ও স্কুলে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে তাঁরা কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকরি খোয়ানো ১৯১১জন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বেতন বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি বাতিলের ওপর কোনও নির্দেশ বা স্থগিতাদেশ দেয়নি। শুক্রবারই হাইকোর্টে মামলাটির ফের শুনানি হওয়ার কথা। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেন চাকরি খোয়ানোদের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন (Group D), তাঁদের মধ্যে ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল। আদালতে এ কথা স্বীকারও করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের মধ্যে ১৯১১ জন চাকরি করছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই ১৯১১ জনের ওএমআর শিট কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেন। এদিকে বহু স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের কাজ ভাগ করে করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Scam: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    Recruitment Scam: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন তিনি। বুধবার কলকাতার সার্ভে এলাকায় সেই শান্তিপ্রসাদ সিনহার বেনামি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ টাকা এবং সম্পত্তির নথি। ১ হাজার ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকাও উদ্ধার হয়েছে ওই ফ্ল্যাট থেকে। এই শান্তিপ্রসাদ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক। এদিন তাঁর বেনামী ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেই খোঁজ মেলে বিপুল সম্পদের।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) অন্যতম মাথা ছিলেন এই শান্তিপ্রসাদ। কোন কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পাবেন, তা চূড়ান্ত করতেন তিনিই। চাকরি বিক্রির দালালরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকারও করেছেন। গত বছর অগাস্টে তাঁকে গ্রেফতার করার পর দফায় দফায় জেরা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেই ঝুলি থেকে বের হতে থাকে একের পর এক বেড়াল।

    বিবৃতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত চলছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন তল্লাশি চালানো হয়। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে অগাস্ট মাসে শান্তিপ্রসাদ ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এঁরা দুজনেই এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা। এই মামলায় সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল, তাতে শান্তিপ্রসাদের নাম ছিল এক নম্বরে, চার নম্বরে ছিলেন অশোক। হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও নাম ছিল শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের।

    আরও পড়ুুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসির একটি উপদেষ্টা কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই কমিটির মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমেই ভুয়ো নিয়োগের সুপারিশ করা হত।

    এদিন শান্তিপ্রসাদের বেনামী ফ্ল্যাট থেকে যে সোনা উদ্ধার হয়েছে, তার বাজার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ লক্ষ। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দেড় হাজার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকাও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এ সবের উৎস জানতে জেলে গিয়ে জেরা করা হবে শান্তিপ্রসাদকে। তাঁর আর কত বেনামী সম্পত্তি রয়েছে, জানতে চাওয়া হবে তাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Mondal: ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন! ইডির হাতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপসের ডায়েরি

    Tapas Mondal: ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন! ইডির হাতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপসের ডায়েরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাপস ও কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ ও নীলাদ্রি ঘোষ। অভিযোগ, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল।

    মুখোমুখি জেরা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগে জেরায় তাপস দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষকে নাকি ১৯ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সোমবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘তাপস-কুন্তল-নীলাদ্রি সবাই টাকা তুলেছেন। কার কাছ থেকে কত টাকা তুলেছেন এবং সেই টাকা কার কাছে দিয়েছেন? তা জানতে ধৃতদের হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন’। তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তলকে  ১৯ কোটি ৪৩ লক্ষ ব্যক্তিগতভাবে ধার দেননি তাপস। অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য ওই টাকা তুলেছিলেন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটের ৩২৫ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তাপস!

    আরও পড়ুন: টাকা দিলেই মিলত সার্টিফিকেট! একাধিক বিএড কলেজ খুলে এভাবেই উপার্জন করতেন তাপস

    তাপসের ডায়েরি

    এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রের খবর, তাপসের একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব রয়েছে। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা একের পর এক নাম। রয়েছে নানান জায়গারও উল্লেখ। বেহালা থেকে পাঁশকুড়া, ‘হাই কোর্ট’ থেকে ‘আরবানা’। এই সব ব্যক্তির নাম আর স্থান রহস্যই এখন সমাধান করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাপস কার সঙ্গে, কবে, কোথায় টাকার লেনদেন করেছেন, তারই হিসাব রয়েছে এই ডায়েরিতে। সব চেয়ে বেশি বার লেখা হয়েছে ‘কুন্তল ঘোষ’-এর নাম। তবে কোথাও বিশদে কিছু বলা নেই।  ইডির দাবি, ডায়েরিতে যা লেখা রয়েছে, তা নিশ্চিত ভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত। ডায়েরির পাতায় ‘নোট’ লিখে রাখার মতো করে নানা হিসেব রয়েছে। হিসেব রয়েছে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ থেকে ২০২১-২০২২ পর্যন্ত নানা সময়ের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share