Tag: SSC

SSC

  • Tapas Mondal: টাকা দিলেই মিলত সার্টিফিকেট! একাধিক বিএড কলেজ খুলে এভাবেই উপার্জন করতেন তাপস

    Tapas Mondal: টাকা দিলেই মিলত সার্টিফিকেট! একাধিক বিএড কলেজ খুলে এভাবেই উপার্জন করতেন তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক বিএড কলেজ (SSC Case) খুলে দুর্নীতি চক্র চালাতেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal Background)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপসের বিএড কলেজে না এলেও মিলত সার্টিফিকেট।  মোটা টাকা দিলে বাড়িতে বসেই পাওয়া যেত শংসাপত্র। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) গ্রেফতার (Arrest) হওয়ার পর প্রকাশ্যে আসছে তাঁর একের পর এক কুকীর্তি। সূত্রের খবর, বাম আমলেই চিটফান্ড কোম্পানি খুলেছিলেন তাপস। ওড়িশা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন জেলও খাটেন। নিয়োগ-দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালীর নাম নিয়ে তাঁর ছেলেকে অপহরণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তাপস।

    একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজ

    পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার আদি বাসিন্দা তাপস মণ্ডল। পাঁশকুড়ায় রাসবিহারী কলেজ অফ এডুকেশন নামে একটি বিএড কলেজ স্থাপন করেন তিনি। এখন সেই কলেজের দেখভাল করছেন তাপস মণ্ডলের আত্মীয় প্রভাকর জানা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডলই প্রথম রাজ্যে একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজ তৈরি করেছেন। পাঁশকুড়া থানা এলাকার পাতাদা গ্রামে তাপসের ভাই একটি বিএড কলেজ দেখভাল করেন। যেটির নাম মিনার্ভা অ্যাকাডেমি। তাপস মণ্ডলের ভাই বিভাস মণ্ডল এই কলেজটির দায়িত্বে রয়েছেন। তাপস গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর আত্মীয়েরা গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রামের বাড়ি তালাবন্ধ। তাপস মণ্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা রাণী মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, ”মা কালীর দিব্বি খেয়ে বলছি আমি কিচ্ছু জানি না।” তাঁর কথা অনুযায়ী, তাপস মণ্ডলের কোনও কাজ, কোনও ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও তথ্যই তাঁর কাছে নেই।

    আরও পড়ুন: কালিয়াচক ধর্মান্তরের ঘটনায় সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার

    চিটফান্ড সংস্থা

    সূত্রের খবর, আটের দশকে পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাপস তৈরি করেছিলেন, চিটফাণ্ড সংস্থা ‘মিনার্ভা ফিনান্স কোম্পানি’। অভিযোগ, ব্য়াঙ্কের থেকে বেশি হারে সুদের টোপ দিয়ে, বাজার থেকে তাপস তুলেছিলেন কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, অবিভক্ত মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি এমনকী ওড়িশা পর্যন্ত প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন তাপস। তৈরি করেছিলেন, সাত জনের বোর্ড অফ ডিরেক্টরস। সোসাইটির রেজিস্ট্রেশনও করিয়েছিলেন। কিন্তু আমানতকারীদের প্রাপ্য় টাকা ফেরত না দেওয়ায় তাপসকে গ্রেফতার করেছিল ওড়িশা পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Calcutta High Court: দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হন! ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর পর এসএসসি প্রসঙ্গে অভিমত হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হন! ‘লেডি ম্যাকবেথ’-এর পর এসএসসি প্রসঙ্গে অভিমত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এবার বাল্মীকির সঙ্গে তুলনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগে অনিয়মের জন্য অযোগ্য নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করতে এসএসসি-কে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।  শুধু তাই নয়, তাঁদের নাম, রোল নম্বরের পাশাপাশি এবং বাবার নাম ও স্কুলের তথ্যও উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল।  আদালতের নির্দেশ মতো এসএসসি সেই কাজে এগিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, রত্নাকর যদি বাল্মীকি হতে পারেন, তবে কমিশন নিজেদের পরিবর্তন করলে ক্ষতি কী?

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে কমিশন জানিয়েছিল, “অনেক ভুল হয়েছে। এখন সংশোধন করার সময় এসেছে। আমরা তাই করছি।” শুক্রবার এই মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই নবম-দশম শ্রেণির ৯৫২ জন শিক্ষকের মধ্যে কিছু ব্যক্তির আইনজীবী বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন এখন সব এজলাসে গিয়ে সাধু সাজছে। নিজেদের যুধিষ্ঠির বলে প্রমাণ করতে চাইছে। এমন ভাব করছে যেন তারা কোনও ভুল করেনি। এই সবকিছুই কমিশনের ভুলের জন্য হচ্ছে।” এরপরেই বিশ্বজিৎ বসু পালটা প্রশ্ন করেন, “আমাদের দেশের পুরাণ অনুযায়ী দস্যু রত্নাকর পরে বাল্মীকি হয়েছিলেন। এটা ভালো লক্ষণ। অসুবিধা কোথায় ?

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    বৃহস্পতিবার গ্ৰুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি-র আইনজীবীর দাবি ছিল, ‘‘যা ভুল হয়েছে, তা সংশোধন করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। আদালতকে সব তথ্য দিয়ে সাহায্য করছি। আমাদের যুধিষ্ঠির হতে গত দেড় বছর লেগেছে।’’ একই ভাবে নবম-দশম শ্রেণির মামলাতেও নিজেদের ভুল শোধরানোর কথা জানিয়েছে এসএসসি। যা দেখে বিচারপতি তালুকদার লেডি ম্যাকবেথের সঙ্গে এসএসসি-র তুলনা করেন। প্রসঙ্গত, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সেই পদে নিয়োগের জন্যও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়দানের তিন সপ্তাহের মধ্যেই সেই নির্দেশ কার্যকরী করার কথাও বলা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    Recruitment Scam: ‘পাঁচ বছর চাকরি করেছি, বেতন ফেরত দেব কেন?’, হাইকোর্টে গ্রুপ ডি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ বছর চাকরি করেছি। স্কুলে নিজের শ্রম দিয়েছি। বেতন (Salary) ফেরত দেব কেন? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন চাকরি (Recruitment Scam) হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এর আগে চাকরি হারানো ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মী চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এবারও ফের দ্বারস্থ হলেন ডিভিশন বেঞ্চের। তবে এবার তাঁরা আদালতে গিয়েছেন বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ২ হাজার ৮২৩ জন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, এই ২ হাজার ৮২৩ জনের মধ্যে ১ হাজার ৯১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে আইন অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে এসএসসিকে বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন ধরে নেওয়া বেতনও ধাপে ধাপে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকছেন না শুভেন্দু! কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এই ১ হাজার ৯১১ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশও এসএসসিকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, আমার বিশ্বাস, বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে, তাঁরা অন্য কোনও চাকরির পরীক্ষায় আর কখনও বসতে পারবেন না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক ওই দিনই চাকরি খোয়ান (Recruitment Scam) ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি স্টাফ। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জের, চাকরি হারাচ্ছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওএমআর শিট এবং সার্ভারে দেদার নম্বরের ফারাক রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়াতে চলেছেন নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষক। সোমবার ওই ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করার কথা ঘোষণা করে এসএসসি।

    এসএসসির বিজ্ঞপ্তি

    দিন দু’য়েক আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশ বাতিল করে দিয়েছিল। গ্রুপ ডি-র পর এবার চাকরি বাতিল নবম-দশমের।  নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা এর আগে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। এসএসসির সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট আইন মেনে ২০১৬ সালের নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে ‘অযোগ্য’ ৮০৫ জনেরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে পর্যায়ক্রমে। সেই মতো প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিল হওয়ার পথে। পর্যায়ক্রমে আরও অযোগ্য প্র্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে।

    আরও পড়ুন: জটে জমি আটকে রেল-৬: একযুগ অতিক্রান্ত! বিশ বাঁও জলে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জ রেলপ্রকল্প

    উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কমিশন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নবম- দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ২০১৮ সালে মেধা তালিকা প্রকাশ করে চাকরির সুপারিশপত্র দেয় কমিশন। অভিযোগ, চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই যোগ্য ছিলেন না। প্রসঙ্গত, সিবিআই দাবি করেছিল, ওএমআর শিটে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওএমআর শিটে কেউ পেয়েছেন ৪, কেউ পেয়েছেন ২৬, অথচ তাঁদের সকলকে ৫৩ নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে।ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে এসএসসির পরীক্ষায় বসা ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর বিরুদ্ধে। 

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল

    কমিশন নিয়োগ দুর্নীতির কথা স্বীকার করার পরেই হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, এসএসসি নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওই ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল করুক। এই প্রক্রিয়া ৭ দিনের মধ্যে শুরু করার নির্দেশও দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু এদিন সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল এসএসসি, জারি বিজ্ঞপ্তি

    SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯১১ গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করল এসএসসি, জারি বিজ্ঞপ্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) এক নয়া মোড়। ১৯১১ জন অবৈধভাবে চাকরি প্রাপকের চাকরি বাতিল করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালতের নির্দেশের আধ ঘণ্টার মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তারা। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গ্রুপ ডি পদে কর্মরত ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন। এই চাকরি প্রাপকদের যে বৈধ পদ্ধতিতে চাকরি হয়নি তার প্রমাণ পেয়েছে আদালত। আর তারপরই এই নির্দেশ। আদালতের তরফে এই নির্দেশ আসার পরেই ওই গ্রুপ ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ জারি করে এসএসসি৷

    আজ মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে স্পষ্ট নির্দেশ দেন, এই যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল (SSC Scam) করা হল, এদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে সিবিআইকে। এদের আজ থেকেই স্কুলে ঢোকা বন্ধ। এদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শিক্ষানবিশ পদে কর্মী নিয়োগ করবে কলকাতা মেট্রো, জানুন বিস্তারিত 

    উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্ত নেমে সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে বেশ কিছু ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেখানে দেখা যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে সেখানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ৪ হাজার ৪৮৭ জন ইতিমধ্যে গ্রুপ ডিতে নিয়োগপত্র পেয়েছেন, ২৮২০টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছে। সিবিআই সেই বিস্তারিত তথ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিয়েছিল।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত বাংলা

    এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) উত্তাল বাংলা৷ প্রাথমিক থেকে এসএসসি, শিক্ষক থেকে গ্রুপ ডি কর্মী, সব নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে যোগ্য  চাকরিপ্রার্থীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই৷ আর যেহেতু পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ, তাই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ ইতিমধ্যে এই দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো হেভিওয়েটদের গ্রেফতার করেছে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত করা হল এসএসসির (SSC) তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। ওই মামলায় (SSC Scam) শুক্রবার তাঁকে শোনানো হল কঠোর ‘সাজা’। সাজার কথা শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, যতদিন না এই মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন নিজের ডক্টরেট উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না সুবীরেশ। ব্যবহার করতে পারবেন না স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও।

    কারচুপি…

    শুক্রবার ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের জন্য এসএসসিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলার সূত্রেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, কার নির্দেশে এতজনকে বেআইনিভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে? তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য কমিশনের তদানীন্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, যতক্ষণ না সুবীরেশ ভট্টাচার্য নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করছেন, ততদিন তিনি তাঁর পিএইচডি, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছেন, নাম না বললে ধরে নেব, সুবীরেশ ভট্টাচার্যই দুর্নীতির (SSC Scam) মাথায়। প্রয়োজনে তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যযের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে বলে মনে করে আদালত।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এত বড় একটা দুর্নীতি, অথচ তাতে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কোনও যোগ থাকবে না, এটা হতে পারে না। তাই সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে এই মামলায় যুক্ত করতে হবে। কারণ তাঁর আমলেই এই সব নিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ওপরেও কেউ রয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সেই মাথার নাম বলতে হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে। না হলে তিনিই দোষী (SSC Scam) বলে মনে করা হবে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য যদি নাম বলতে ভয় পান, তাহলে সিআরপিএফ দিয়ে তাঁকে নিরাপত্তা দিতে হবে। বিচারপতি বলেন, প্রয়োজনে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের পরিবারকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এদিনই গ্রুপ ডি মামলায় ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    SSC Scam: চাকরি বাতিল ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর, ফেরত দিতে হবে বেতনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিল (SSC Scam)! তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বেতন বাবদ এতদিন যে টাকা তাঁরা নিয়েছেন, সেটাও ফেরত দিতে হবে তাঁদের। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সিবিআই (CBI) তাঁদের জেরাও করবে। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। শুক্রবার এসএসসিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ১ হাজার ৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। বিচারপতি বলেন, আমার বিশ্বাস বেআইনিভাবে দুর্নীতি করে এই সব প্রার্থীদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই কর্মীদের সুপারিশ প্রত্যাহার করে নিল এসএসসি। এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীদের আইন মেনে অবিলম্বে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    এসএসসি…

    কলকাতা হাইকোর্টে বৃহস্পতিবারই এসএসসির (SSC Scam) আইনজীবী দাবি করেছিলেন, গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, তাঁদের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কারচুপি যে হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। ওই ২ হাজার ৮১৯ জনের মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১ হাজার ৯১১ জন। শুক্রবার তাঁদেরই চাকরি বাতিলের সুপারিশ করল আদালত। এসএসসির আইনজীবীকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনারাই যখন বলছেন ২ হাজার ৮১৯ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, তা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আপনাদেরই করতে হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    প্রথমে আলাদাভাবে এই প্রার্থীদের নাম কমিশনের সাইটে আবারও প্রকাশ করুন। তার পর তাঁদের নিয়োগ বাতিল করুন। এজন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন বিচারপতি। দেশের কোনও সরকারি চাকরিতে এঁরা বসতে পারবেন না বলেও জানায় আদালত। আদালত এও জানায়, এঁদের সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে হলে তাঁদের আদালতের অনুমতি নিতে হবে। নিজেদের প্রমাণ করতে হবে নির্দোষ। ২০২১ সালে এসএসসি (SSC Scam) গ্রুপ ডি-রই ৬০৭ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিল আদালত।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: দুর্নীতির কথা কবুল এসএসসির! বাতিল হতে চলেছে ৮০০ শিক্ষকের চাকরি

    SSC Scam: দুর্নীতির কথা কবুল এসএসসির! বাতিল হতে চলেছে ৮০০ শিক্ষকের চাকরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দুর্নীতির কথা কবুল করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Scam)। সব মিলিয়ে আপাতত ৮০০র কিছু বেশি ‘শিক্ষকে’র (Teacher) চাকরি বাতিল হতে চলেছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক হিসেবে ইতিমধ্যেই চাকরি করছেন। অনেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। অনেকে আবার পেয়েছেন সুপারিশ পত্র। এঁরা সবাই ২০১৬ সালে নবম-দশমে শিক্ষক হিসেবে হয় নিযুক্ত হয়েছেন, নয় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে সার্ভার এবং ওএমআর শিটের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গিয়েছে। তাই বাতিল হচ্ছে এঁদের চাকরি। এদিকে, কয়েকজনের নম্বর বেড়েছে ৫৩ পর্যন্ত। যার অর্থ এই বঞ্চিতদের বাদ দিয়েই চাকরি দেওয়া হয়েছিল অযোগ্যদের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া কিংবা নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হবে পর্যায়ক্রমে। আগামী সপ্তাহেই এ ব্যাপারে নোটিশ জারি হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর।

    এসএসসি…

    ২০১৬ সালে এসএসসির (SSC Scam) নবম দশম শ্রেণির নিয়োগ তালিকায় ছিল মোট ৯৫২ জনের নাম। তাতে সুযোগ পাওয়া অনেকের সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের বিস্তর ফারাক। কারও কারও নম্বরের পার্থক্য ৫৩। সেই তালিকা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন করেছিলেন, কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে এসএসসি?

    এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, আমাদের বিধিতে আছে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে সুপারিশপত্র বাতিল করা যায়। ৮ ফেব্রুয়ারি এই মর্মে আদালতে হলফনামা জমা দিই। তা শুরু করতে রাজি। তিনি বলেন, ৮০০-র সামান্য বেশি সংখ্যা আমরা পেয়েছি, যাদের সুপারিশপত্র বাতিল করতে পারি। আগামী সপ্তাহ থেকে নোটিশ দিয়ে কাজ শুরু করব।

    আরও পড়ুুন: কয়লাকাণ্ডে উঠে আসছে হরিশ মুখার্জি রোডের একটি রেস্তোরাঁর নাম! মালিক কে? তদন্তে ইডি

    অতি সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি (SSC Scam) গিয়েছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তার পরেও চাকরি খুইয়েছেন একাধিক শিক্ষক। তবে এক লপ্তে ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি চলে যাচ্ছে, এ ঘটনা নেই বললেই চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এসএসসি-র আধিকারিকদের! তুলেছিলেন ১৯ কোটি টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা। অথচ কুন্তল ঘোষ নামের ওই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) একাধিক আধিকারিক। এর আগে হুগলির ওই যুবনেতার হুগলি ও কলকাতার নিউটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তখনই বাজেয়াপ্ত হয় বেশ কিছু কাগজ এবং পেন ড্রাইভ। ইডি সূত্রে খবর, সেই সব নথি থেকেই এসএসসির (Recruitment Scam) বেশ কয়েকজন আধিকারিকের নাম ও পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।

    ইডি…

    ইডির আধিকারিকদের অনুমান, কুন্তল চাকরি প্রার্থীদের ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল জাল জয়নিং লেটারও। অভিযোগ, নকল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করেন ভুয়ো জয়েনিং লেটার তৈরি করতে কুন্তলকে সাহায্য করেছিলেন ওই আধিকারিকরা। তল্লাশি চালানোর সময় কুন্তলের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সময় কুন্তল জানিয়েছিলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে ওই ওএমআর শিটগুলি পেয়েছিলেন তিনি। কুন্তলের এই দাবি অবশ্য বিশ্বাস করেননি তদন্তকারীরা। তাঁদের ধারণা, তদন্তের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতেই মিথ্যে তথ্য দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির আধিকারিকদের অনুমান, এসএসসির আধিকারিকদের সাহায্যেই ওএমআর শিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁদেরও জেরা করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা, ১৪টি মন্দিরে ভাঙচুর, কী বলছে প্রশাসন?

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) ঘটনায় ইডির পাশাপাশি তদন্ত করছে সিবিআইও। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখ থেকে প্রথম শোনা যায় কুন্তলের নাম। তার পরেই কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠায় সিবিআই। পরে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ঘটনার তদন্তে নেমে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। এদিকে, দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের দুটি অ্যাকাউন্টে নগদ সাড়ে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। পরে দ্রুত সেই টাকা সরিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অনেকগুলি অ্যাকাউন্টে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত কুন্তলকে জেরা করে এবং বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখে এমনটাই জেনেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। আগাম পরিকল্পনা করেই দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার (Recruitment Scam) করা হয়েছে বলে ধারণা তাঁদের। ইডি সূত্রে খবর, স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা জেরায় স্বীকার করেছেন কুন্তল। নিজের শেয়ারটুকু রেখে সেই টাকা তিনি পাঠাতেন প্রভাবশালীদের কাছে। যেসব বাড়ি, ফ্ল্যাট কিংবা অফিস খুলে চাকরি প্রার্থী ও এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করতেন কুন্তল, সেগুলির দিকেও নজর রয়েছে ইডির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যার দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2023)। বাগদাত্রী দেবী শ্বেত পদ্মের উপর আসন পেতে থাকেন। মাঘী পঞ্চমীতে তাঁর আরধনায় মাতে ছোট থেকে বড়রা। বিদ্যা বিনয় দান করে। ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শেখায়। কিন্তু বাংলায় এখন শিক্ষা বিক্রি হয়। অর্থের বিনময়ে শিক্ষক কেনা-বেচা হয়। বিদ্যাকে ছোট করে অর্থের বিনময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ বাংলার অলি-গলিতে।  অভিযোগ উঠেছে,অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। ফেল করেও শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই শহর কলকাতায় এবার সরস্বতী পুজোর থিমে কোথাও খাঁচায় বন্দি বাগদেবী কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় তোলা হয়েছে তাঁকে।

    দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী

    সাধারণত এ রাজ্যে বিভিন্ন পুজোর থিমের মাধ্যমেই তুলে আনা হয় সাম্প্রতিক কালের আলোচিত-চর্চিত বিভিন্ন ঘটনাকে। বাংলায় সাম্প্রতিককালের সবথেকে আলোচ্য বিষয় শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’। তাই এবার শহরের বুকে সরস্বতী পুজোর থিম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। অভিনব এই থিমের নাম ‘বঙ্গে বিক্রি শিক্ষা’। কাকুড়গাছি রেল ব্রিজ সংলগ্ন এই পুজোর প্যান্ডেলে দেখা যাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যারের মডেল। সামনে টাকার ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল। ঠিক যেমনটা ইডির তল্লাশি অভিযানে দেখা গিয়েছিল। এই প্যান্ডেলে দেখানো হবে, দাঁড়িপাল্লায় রাখা হয়েছে সরস্বতীর মূর্তি ও টাকা। অর্থের ভারে হেলে গিয়েছে সরস্বতী। খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছে বইপত্র ও মা সরস্বতীকে। যার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এ রাজ্যে শিক্ষাকে বন্দি রেখেই অর্থের বিনিময় অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগামীর ভবিষ্যৎ।

    আরও পড়ুন: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    পৌষ পেরিয়ে বাংলার গায়ে এখন মাঘের আমেজ। স্কুলে স্কুলে বাণী বন্দনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে এই ধরনের থিম এনেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে যে অশিক্ষা বঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁর জন্য ধিক্কার জানানো হয়েছে। থিমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তাঁদের দাবিদাওয়াও তুলে ধরা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের মডেল তৈরি করে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দাবি দেওয়া সম্মিলিত প্ল্যাকার্ড। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

LinkedIn
Share