Tag: SSC

SSC

  • Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    Calcutta HC on SSC: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC on SSC)। আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে হাইকোর্টের নির্দেশ, যাঁরা সুপারিশ পত্র পেয়েছেন তাঁদের নিয়োগ পত্র দিতে নিষেধ করল আদালত। এদিন আদালতের প্রশ্নের মুখে পিছু হটল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাতারাতি ভোল বদলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) জানিয়ে দিল, বেআইনিভাবে যাঁরা বিভিন্ন স্কুলে (School) নিয়োগ হয়েছিলেন, তাঁদের কখনওই শূন্য পদে নিয়োগ করা যাবে না।

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের আবেদন প্রত্যাহার

    এদিন আদালতে মামলার শুনানিতে (Calcutta HC on SSC) কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, অবৈধভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন এবং যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের শূন্যপদে নিয়োগ করার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত নির্দেশিকা এসেছে। 

    সম্প্রতি আদালতে দাখিল করা নতুন চারটি হলফনামায় কমিশনের আবেদন ছিল যে রাজ্যের তৈরি করা শূন্যপদে যেন চাকরি বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর অন্যদিকে কমিশনের এই অবস্থানের উল্টো পথে হেঁটে রাজ্য জানায় তারা এই অবস্থানের বিপক্ষে, অযোগ্যদের নিয়োগের পক্ষে তারা নয়। আর এরপরেই কমিশন ও রাজ্যের আলাদা অবস্থানে আদালতে বিচারক বিশ্বজিৎ বসুর কাছে প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বিচারপতি জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কমিশনের প্রতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেই কেন? কমিশন ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এরপর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের জন্য কমিশনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য, সেই বিষয়ে আজ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta HC on SSC)।

    আরও পড়ুন: বাতিল হওয়া প্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন প্রত্যাহার কমিশনের, কেন জানেন?

    আদালতে কী জানাল পর্ষদ?

    বিচারপতি কমিশনকে প্রশ্ন করেন (Calcutta HC on SSC), ‘সবাইকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে?’ এর উত্তরে কমিশন জানায়, ‘হ্যাঁ, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। কর্ম শিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে  ৭৬৬ জনকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে।’ এরপর বিচারপতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন?’ এর উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কোয়েলি ভট্টাচার্য বলেন,  ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোনও নিয়োগপত্র দেয়নি।’

    আজ আদালতে (Calcutta HC on SSC) মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে রাজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ এরপর অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন যে ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক জমানাতে শিক্ষার অবক্ষয় হয়েছে। একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ আর এই কথাতে সহমত প্রকাশ করে জানালেন বিচারপতি বসু, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’

    এরপর শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্যকে। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও ৩০ নভেম্বর হবে এই মামলার  পরবর্তী শুনানি হবে জানানো হয়।

  • Justice Abhijit Ganguly: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    Justice Abhijit Ganguly: সকালে গরম, বিকেলে নরম…! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের উপরেই আস্থা বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে প্রথমে সিবিআইয়ের  (CBI) ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও দিনের শেষবেলায় সিবিআই তদন্তের উপরই আস্থা প্রকাশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। সোমবার দিনের শুরুতে সিবিআইয়ের গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও বিকেলে তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের উপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: ৬০০ দিন পেরোলো চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, আরও জোরদার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    এদিন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা কেন চাকরি পাননি তদন্ত করে তা সিবিআইকে জানাতে হবে। নইলে বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনের ওপর তাদের আস্থা উঠে যাবে। সিবিআইয়ের গঠিত সিটের কয়েক জন সদস্য ঠিক মতো কাজ করছেন না বলে সোমবার সকালে এই মামলায় পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  প্রয়োজনে ওই সদস্যদের পরিবর্তন করার কথাও বলেন তিনি। কিন্তু দুপুরে তিনি জানান, ‘বিচারব্যবস্থা যোগ্যদের কথা ভাবে। রাজ্যের ভবিষ্যতের কথা ভাবে। সিবিআইয়ের ওপর আমার আস্থা রয়েছে। কেন দেরি হয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি। সিবিআইকে নিজের জায়গা ধরে রাখতে হবে। অনেকে বলছেন মুড়ি মুড়কির মতো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। মুড়ি মুড়কির মতো দুর্নীতি হচ্ছে তাই সিবিআই। সিবিআই ম্যাজিক দেখাতে পারে। আশা করব তারা দেখাবে’।

    আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির মালিকও আম্বানি? জানুন কত টাকায় হচ্ছে হস্তান্তর 

    সোমবার এই মামলার শুনানিতে আদালতে OMR শিট দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। কিন্তু এদিন সেই রিপোর্ট গ্রহণ করেননি বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টে মানিক ভট্টাচার্য এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করায় রিপোর্ট সেখানে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। আবেদনে বলা হয়, প্রতিবাদকে দুর্ভোগ বানানো যায় না। ট্রাফিকের সমস্যা তৈরি হতে দেওয়া যায় না। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    SSC Scam: ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা কত জানতে ফের বৈঠকে বসছে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভুয়ো শিক্ষক খুঁজতে বৈঠক ডাকল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ১৮ অক্টোবর বিকেল পাঁচটায় ওই বৈঠক হবে। গ্রপ সি, গ্রুপ ডি ও নবম দশমে ভুয়ো শিক্ষকের প্রকৃত শিক্ষকের সংখ্যা কত, তা খুঁজে বের করতেই হবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। ভুয়ো নিয়োগের (SSC Scam) সংখ্যা খুঁজে বের করে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে (High Court)।

    ব্যাপক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল এসএসসির নিয়োগে (SSC Scam)। তার জেরে হয় মামলা। তদন্তে নামে সিবিআই। সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত জানিয়েছে, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর সাদা উত্তরপত্র জমা পড়েছিল। কোনও কোনও উত্তরপত্রে মাত্র পাঁচ-ছটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে কমিশন এবং পর্ষদকে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, কতজনকে বেআইনিভাবে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং কতজন অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, সিবিআইয়ের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কমিশনকে সেই সংখ্যা খুঁজে বের করতে হবে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মামলাকারীদের আইনজীবীরাও।

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে মাস্টারমাইন্ড পার্থই, কী বলছে সিবিআই চার্জশিট?

    নবম দশমে ঘুরপথে কতজন চাকরি পেয়েছেন, তা খুঁজে বের করতে গত মাসের শেষের দিকে একবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন কমিশন, পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। কমিশনের তরফে হাজির ছিলেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। ওই বৈঠকে ১৩ হাজার নামের তালিকা দিয়েছিল পর্ষদ। সেই তালিকার ভিত্তিতে রিপোর্ট তৈরি করেছিল কমিশন। ওই রিপোর্টই পেশ করা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও ফিরদৌস শামিম জানান, তদন্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া ভুয়ো নিয়োগ (SSC Scam) সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যাটা ঠিক কত, তা খুঁজে বের করাই উদ্দেশ্য এই বৈঠকের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Calcutta Highcourt: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    Calcutta Highcourt: এসএসসি শিক্ষকদের বদলির নিয়ম ‘বদলের’ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recduitment Scam)  নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে রাজ্যে, তখন শিক্ষকদের বদলির নিয়ম (Teachers Transfer Law) পালটে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। 

    ১৯৯৭ সালের এসএসসির আইনের (SSC Law) ১০বি ধারা অনুযায়ী, ৫ বছরের কম চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে বদলির সুযোগ ছিল না। এমনকী, শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও নিয়মে বদলি আটকে যেত। সেই নিয়মের বদল ঘটালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ৬ সপ্তাহের মধ্যে বদলির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, ‘অসুস্থতা কি ডাকবিভাগে বলে আসে? যে কোনও সময় যে কেউ অসুস্থ হতে পারেন।’

    আরও পড়ুন: বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা মমতার, কে বাদ যাবেন, কে ঠাঁই পাবেন?

    কোন আবেদনে আইন বদল?

    বর্ধমান আউশগ্রামের হাতকিরিনগর বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা পাস করে চাকরিতে যোগ দেন। ওই স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন হামিদা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে হামিদা খাতুনের বাড়ি৷ ফলে, যাতায়াত মিলিয়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয় তাঁকে। স্ত্রী রোগ সংক্রান্ত বিশেষ সমস্যা রয়েছে তাঁর।  চিকিৎসকরা জানান, শারীরিক কারণে এত দীর্ঘ পথ যাতায়াত করা তাঁর পক্ষে একেবারেই উচিত নয়।  

    ২০২১-এর ২৪ অগাস্ট হামিদা খাতুন বদলির জন্য আবেদন করলে তা বাতিল করে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসির বদলির এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন হামিদা, সুদেষ্ণা বেরা, মাফুজা খাতুন-সহ অনেকেই। এদিন মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, অসুস্থতা কি জানিয়ে আসে? যে কোনও সময় মানুষ অসুস্থ হতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: চালু হয়ে গেল সিউড়ি-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস, জনতার মুখে জগন্নাথ-স্তুতি

    এর আগেও, ২০১৭ সালেও এসএসসির বদলির নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন স্নিগ্ধা দত্ত নামে এক শিক্ষিকা। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্য করেছিলেন, ‘গোলি মারো রুলো কো।’  তারপরেও কিন্তু বদলির নিয়ম পাল্টায়নি।

  • Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    Arpita Mukherjee: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপদে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সংকটে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও (Arpita Mukherjee)। পার্থের পাশাপাশি এবার অর্পিতার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অর্পিতার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কই নেই। 

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন পার্থ। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া ইস্তক তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূল থেকে। যা আদতে বহিষ্কারেরই শামিল। কারণ তদন্ত করে শেষ হবে তা কেউ জানে না। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর দাবি, আমার কোনও টাকা নেই। ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা যে তাঁর নয়, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার জন্য যে জোড়াফুল শিবিরের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হয়েছে, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন তৃণমূল নেতারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই শুরু হয়েছে অর্পিতার সঙ্গে দূরত্ব রচনার প্রয়াস।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    সম্প্রতি তৃণমূলের একটি কর্মসূচির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া পার্থের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন অর্পিতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে ওই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্য নেতানেত্রীরাও। সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ্যে এলেও, অর্পিতার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে তৃণমূল। ২২ জুলাই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ষড়যন্ত্রের শিকার। অর্পিতার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কও অস্বীকার করেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে টাকা এবং সোনা উদ্ধারের পর অর্পিতা তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন ওই টাকা এবং সোনা পার্থের। তবে দল তাঁকে সাসপেন্ড করায় তিনি যে যারপরনাই অখুশি, তা গোপন করেননি তৃণমূলের সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন : ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

  • Partha Chaterjee: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    Partha Chaterjee: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) লক্ষ্য করে জুতো ছুড়লেন এক মহিলা। জুতোর পাটিটা অবশ্য পার্থর গায়ে লাগেনি। মহিলার আফশোস, জুতোটা মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম।

    এদিন জোকা ইএসআই (ESI) হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে। নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও (Arpita Mukherjee)। ওই হাসপাতালেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন এক মহিলাও। খুব কাছ থেকে পার্থকে দেখতে পেয়ে পা থেকে এক পাটি জুতো খুলে আচমকাই ছুড়ে মারেন পার্থকে লক্ষ্য করে। জুতোর পাটিটা অবশ্য পার্থর গায়ে লাগেনি। লাগে গাড়িতে। এর পরেই আফশোস করতে দেখা যায় ওই মহিলাকে। বলেন, জুতোটা মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম।

    জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি আমতলা এলাকায়। তাঁর একমাত্র মেয়ে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করছে। কেন মারলেন জুতো? ওই মহিলা বলেন, রাগ ছিল। ওঁকে জুতো মেরে আমি শান্তি পেয়েছি। মালা দিয়ে বরণ করলে আপনাদের ভালো লাগত! এর পরেই গটগটিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করেন ওই মহিলা। পায়ের আর এক পাটি জুতো ফেলে খালি পায়েই হাঁটা দেন ওই মহিলা।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, পার্থ-অর্পিতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল হাসপাতাল চত্বর। রোগী, রোগীর আত্মীয়, সাংবাদ মাধ্যমের কর্মী সব মিলিয়ে ভিড়ে ভিড়াক্কার। সেই সময় ওই মহিলা তাঁর এক আত্মীয়কে নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। ভিড়ের চোটে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। তার পরেই উগরে দেন ক্ষোভ। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এভাবে হলে তা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে এটায় বোঝা যাচ্ছে, এই সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ কতটা!  

    প্রসঙ্গত, এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫০ কোটিরও বেশি নগদ টাকা এবং সোনা। তা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ।

    এদিনের ঘটনা কি তারই বহিঃপ্রকাশ?

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

  • SSC Scam Case: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    SSC Scam Case: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির (Ssc) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Patha Chatterjee) এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গ্রেফতারও করেছে ইডি (ED)। এমনই আবহে ফের প্রকাশ্যে এল আরও একটি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, অনিয়ম হয়েছে এসএসসির নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও। এ ক্ষেত্রেও মেধা তালিকার বাইরের অনেকের চাকরি হয়েছে। অভিযোগ শোনার পর বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার রয়েছে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ১৪ জুলাই নবম দশম শ্রেণির পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। অভিযোগ, এই মেধা তালিকা প্রকাশের সময় সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। মেধা তালিকায় নাম নেই অথচ চাকরি পেয়েছেন, এমনও হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের এও দাবি, মেধাতালিকায় ‘হাইজাম্প’ করেও চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। এই ঘটনার জেরে এসএসসিকাণ্ডে বিড়ম্বনা আরও বাড়তে পারে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। ওই দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে তাঁদের। সেই মামলার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের নয়া মামলা। এবং সেই এসএসসিকাণ্ডে।

    আরও পড়ুন : এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত

    এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দফায় দফায় প্রায় চোদ্দ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। টেট দু্র্নীতিকাণ্ডে তাঁকে জেরা করছে ইডি। বুধবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। সেই মতো এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। ছাড়া পান রাত ১২টা নাগাদ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁকে ফের জেরা করা হবে বলেও ইডি সূত্রের খবর।

     

  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

  • SSC Scam: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    SSC Scam: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী নেই অর্পিতার আলমারিতে? হালকা থেকে ভারি সবরকম গয়নাই মিলবে সেখানে। এ যেন কোনও ছোটখাটো গয়নার দোকান! চোকার থেকে সীতাহার। মান্তাসা থেকে বাজুবন্ধ সবই রয়েছে। আছে সোনার কাঁকন থেকে কানের ঝোলা দুল। চাইলে মিলবে সোনার ঘড়ি, আংটি, পেনও।

    বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) অভিযানে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার (Belgharia) রথতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করেছে প্রায় পাঁচ কেজি সোনা। যার মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।  ইডি সূত্রে খবর,উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল সোনার বাট। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি সোনার আংটি। এ ছাড়াও অর্পিতার বাড়ি থেকে সোনার মোটা হার,রকমারি সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের বাজেয়াপ্ত করা সোনার মধ্যে রয়েছে দু’টি সোনার ঘড়িও। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে, ছ’টি মোটা মোটা সোনার কাঁকন (বালা)। যার প্রত্যেকটির ওজন ৫০০ গ্রাম। মিলেছে কানের ঝোলা দুল। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট কানের দুল, কাঁকন এবং একটি সোনার পেন। এর আগে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫৪ লাখ টাকার সোনার গয়না।

    আরও পড়ুন: যকের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি নগদ, ৪ কোটি মূল্যের সোনা

    বুধবার বেলা ১২টার কিছু ক্ষণ আগে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় ফ্ল্যাটে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। এর পর ১৯ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান শেষে টাকা ও গয়না উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দুপুর থেক টাকা গোনা শুরু হলেও তা শেষ হতে হতে ভোর হয়ে যায়। এর আগে শুক্রবার অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকেও ২১ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ এবং বহুমূল্যের গয়না ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকেরা। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

  • SSC scam: নবম-দশমে নয়া নিয়োগ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ! জানুন কী বলল হাইকোর্ট

    SSC scam: নবম-দশমে নয়া নিয়োগ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ! জানুন কী বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক-নিয়োগে দুর্নীতিতে রাজ্যের মুখ কালো হয়েছে বারবার। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে টাকার লেনদেনও দেখেছে রাজ্য। যাঁরা চাকরি পেয়েছেন বাতিল হয়েছে অনেকেরই নিয়োগ। তাই নতুন করে আবার  নবম-দশমের নিয়োগ তালিকা (Recruitment List) প্রকাশের নির্দেশ দিল  কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৬ অগাস্টের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার এসএসসি নিয়োগ নিয়ে একটি মামলায় এই রায় দেন তিনি। এর পাশাপাশি বিচারপতি জানতে চান, “নির্দিষ্ট অনুপাতের বাইরে অতিরিক্ত কাদের ডাকা হয়েছিল ইন্টারভিউতে? এই অতিরিক্ত প্রার্থীদের মধ্যে কারা নিয়োগের সুপারিশপত্র পেয়েছেন?” এছাড়া “এখনই সম্পূর্ণভাবে এসএসসির ডেটারুম খুলছে না”, বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    প্রসঙ্গত, SSC-র শিক্ষক নিয়োগে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। নতুন করে মামলার অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ উঠেছে, SSC-র নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। মেধা তালিকায় নাম না থাকা এবং মেধা তালিকার নীচের দিকে থাকা বেশ কয়েকজন হাইজাম্প করে তালিকার ওপরে উঠে এসেছেন। গত ১৪ জুলাই নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল SSC।

    আরও পড়ুন: মা স্বাভাবিক অভিভাবক, তিনিই ঠিক করবেন সন্তানের পদবি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

     

    এই পরিস্থিতিতে এদিন বিচারপতি জানান, “নবম দশমের যে বিস্তারিত মেধাতালিকা এসএসসি প্রকাশ করেছে সেখানে যে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতে ১৬ অগাস্টের মধ্যে হলফনামা জমা দেবে এসএসসি। সিবিআই এবং এনআইসি-র উপস্থিতিতে ডেটা রুম খুলতে পারবে এসএসসি।” অন্যদিকে এদিন যে সব চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলনে সামিল হননি তাদের উদ্দেশে হাইকোর্টের বার্তা, “বাড়িতে বসে আন্দোলন হয় না। আমি বঞ্চিত, অথচ আমি আন্দোলনে নেই, তাদের আবেদনে কেন সাড়া দেবে আদালত ? মোমবাতি নিয়ে মিছিল করলাম আর সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিলাম, এভাবে আন্দোলন হয় না।” বিচারপতি জানান,  তিনি নিজে বিচার ক্ষমতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেছেন, তাতে সমালোচিতও হয়েছেন। এর জন্য কোনও আক্ষেপ নেই। কিন্তু প্রকৃত ভুক্তভোগীদের আদালতে আসতে হবে।

     

LinkedIn
Share