Tag: SSC

SSC

  • Abhijit Ganguly: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। রায় নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আর আদালতের এই রায় ঘোষণার পরই মুখ খুললেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) । এই ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা রয়েছে তাঁর। রায় শোনার পরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন।

    বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি (Abhijit Ganguly)

    প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ (Abhijit  Ganguly) বলেন, “যাঁরা যোগ্য প্রার্থী তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। তাঁদের ঠকিয়েছেন এই মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী। বঞ্চিতদের মধ্যে হিন্দু, মুসলমান সকলে আছেন। সকলের উচিত মমতাকে বয়কট করা। ওঁকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। আমার খারাপ লাগছে, এমন একজন মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে আছি। তিনি জোচ্চুরিকে প্রশ্রয় দেন। বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করা উচিত। যোগ্যদের বঞ্চিত করেছেন। তাতে হিন্দু-মুলসিম সকলেই ছিলেন। হিন্দু মুসলিম সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা। রাষ্ট্রপতি শাসনের অধীনে নির্বাচন হওয়া উচিত। আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা সাধারণত অবিচার থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিরাও সেই কাজ করেছেন। এখন আমাদের আনন্দের দিন নয়। আমি যখন বিচার করছিলাম, অনাচার ধরা পড়েছিল। আবার ধরা পড়েছে। উপযুক্ত রায় দিয়েছে আদালত।”

    আরও পড়ুন: ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

     মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন অভিজিৎ

    এসএসসি মামলার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অভিজিতের (Abhijit Ganguly)। তিনিই প্রথম এই মামলা শোনেন এবং ৮১৬১টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই নির্দেশ বহাল ছিল। পরে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখান থেকে এসএসসি মামলা আবার ফেরানো হয় হাই কোর্টে। বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে মে মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সাড়ে তিন মাসেই সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২০ মার্চ বিচার শেষে রায় স্থগিত রেখেছিল আদালত। এদিন আদালত রায় ঘোষণা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিশেষ বেঞ্চের রায় ঘোষণা সম্ভবত আজই

    Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বিশেষ বেঞ্চের রায় ঘোষণা সম্ভবত আজই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর সময়কালীন শিক্ষা দফতরের একটা বড় অংশ এবং তৃণমূলের অনেক নেতা-বিধায়ক জেলে রয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বঞ্চিত চাকরীপ্রার্থীরা। আজ সোমবার স্কুল সার্ভিস (SSC) সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণা করতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট।

    টানা শুনানি চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Recruitment Scam)

    শিক্ষক নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি (Recruitment Scam) ও বেনিয়মের অভিযোগে জেলে রয়েছেন (Partha Chattopadhyay) পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহার মতো প্রাক্তন শিক্ষাকর্তারা। সুবিচার পাননি বহু যোগ্য প্রার্থী। প্রায় ২৫ হাজার প্রার্থী এবার এই মামলায় আশার আলো দেখছেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই রায়ের উপরে। প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) কলকাতা হাইকোর্টকে (Calcutta Highcourt) বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করে মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল। নিষ্পত্তি করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৬ মাস। নভেম্বর মাসে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও সাব্বির রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয়েছিল শুনানি। কয়েক মাস ধরে টানা শুনানি চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। ৬ মাস পার হওয়ার আগেই রায় ঘোষণা হতে চলেছে আজ সোমবার। সকাল ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ রায় ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।

    ওএমআর শিটে (OMR Sheet) শূন্য পেয়েও চাকরি!

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এসএসসি, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম, দশম ও দ্বাদশ-একাদশে নিয়োগ সংক্রান্ত (Recruitment Scam) শুনানি চলছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “এই সব কটি ক্ষেত্রে ২৪,৬৪০ টি পদ ফাঁকা ছিল। দেখা যায় ২৫,৭৫৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়েছিল বহু ক্ষেত্রে। ছিল একাধিক অভিযোগ। ওএমআর শিটে (OMR Sheet) শূন্য অথবা এক পাওয়া সত্ত্বেও সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তালিকায় নাম না থাকা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মেধা তালিকার নীচে প্রার্থীদের চাকরি দিয়ে উপরের প্রার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ সহ নানান অভিযোগ ছিল শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। সেই সব বিষয়ই শোনার পর রায় দিতে চলেছে আদালত।”

    রায় প্রকাশে অস্বস্তিতে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার রায় এলে তা শাসকপক্ষের (TMC) মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। ভোটের মরশুমে রায় ঘোষণাার প্রভাব পড়তে পারে লোকসভা নির্বাচনে। রায় ঘোষণার পর বিরোধীরা সুর চড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগে আগে থেকেই বেসামাল শাসক শিবির। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে একাধিক নেতার নাম জড়ানো থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে বেসামাল তৃণমূল নেতারা। শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তালিকা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত নানা স্তরে দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর সরাসরি যোগের বিষয়ে সামনে আসছে। দুর্নীতির অভিযোগে বিরোধীদের নিশানায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত শাসকদলের নেতানেত্রী ও তাঁদের বন্ধু-বান্ধবীর ঘর থেকে টাকা পয়সা, সোনা, গহনা উদ্ধারের ঘটনায় দলের ভাবমূর্তিতে যে ধাক্কা লেগেছে, তা নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কেউ ধরা পড়লেই দায় ঝেড়ে ব্যক্তিগত দুর্নীতির অভিযোগ বলা হয় শাসকের মুখপাত্রদের তরফে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই মামলার (Recruitment Scam) রায় অবশ্যই রাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শাসকদলের ছোট, বড়, মাঝারি, অনেকেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আশা করব কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর যোগ্যরা চাকরি পাবেন এবং বঙ্গে যোগ্যদের চাকরি পাওয়ার জন্য আর লক্ষ লক্ষ টাকা কাউকে ঘুষ দিতে হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের বাজারে উলট পুরাণ সিউড়িতে! তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের বিজেপির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “এই মামলায় (Recruitment Scam) তৃণমূল কংগ্রেসকে হেয় করার চেষ্টা হয়েছিল। এর মধ্যে রাজনীতিও ছিল। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টিকেই রাজ্য গুরুত্ব দিয়ে ভেবে দেখবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগ্য প্রার্থীদের জন্য যথেষ্ট সহানুভূতিশীল।” প্রসঙ্গত যোগ্যদের চাকরি হোক, এই দাবি নিয়ে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে একাধিক দফায় বৈঠক করেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতির কথাও বলেছেন। কিন্তু যোগ্য ও বঞ্চিতদের চাকরি মিলছে কোথায়, প্রশ্ন চাকরি প্রার্থীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে শতাধিক অভিযুক্ত! ১৭০০০ পাতার নথি-সহ চার্জশিট ইডির

    Recruitment Scam: এসএসসি দুর্নীতিতে শতাধিক অভিযুক্ত! ১৭০০০ পাতার নথি-সহ চার্জশিট ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দিল ইডি। এসএসসির নবম-দশম, একাদেশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতিতে বৃহস্পতিবার ইডির বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ৩০০ পাতার মূল চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। তালিকায় রয়েছে এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, প্রসন্ন রায় সহ ১৮ জন এবং ৯০ টি সংস্থার নাম। 

    চার্জশিটে কী বলা হয়েছে

    ইডি মনে করছে, এই মামলায় (Recruitment Scam) একাদশ-দ্বাদশ অযোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা ১১২০ জনের কাছাকাছি। নবম-দশমে সেই সংখ্যা ৯৪৬ জনের কাছে। এই মামলায় একাধিক মিডলম্যান জড়িত রয়েছে বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। মূল চার্জশিটের পাশাপাশি ১৭ হাজার পাতারও বেশি নথি আদালতে জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার শান্তিপ্রসাদ ও প্রসন্ন রায়-সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দাখিল করেছে। এছাড়াও প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যুক্ত ৯৩টি সংস্থার বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে মূল পাতার সংখ‌্যা প্রায় ৩০০। যদিও নথি-সহ ১৭ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়। সাক্ষীর সংখ‌্যা ২০ জনেরও বেশি। চার্জশিটে উল্লেখ করা আছে যে, ২৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। নগদ ও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রসন্ন রায় তাঁর নিজের এজেন্টদের মাধ‌্যমে বিপুল টাকা তুলতেন। প্রত্যেকটি জেলা থেকেই বিপুল টাকা তোলা হয়। এর পর সেই কালো টাকা ৯৩টি ভুয়ো সংস্থার মাধ‌্যমে সাদা করা হয়। এই চক্রের কাণ্ডারী ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এমনই অভিযোগ ইডির।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পরীক্ষা! প্রথম পর্বের প্রচার শেষ, শুক্রে ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ

    ইডির দাবি

    নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Case) অভিযোগে ২০২২ সালের ১০ অগস্ট এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার আগে ওই বছরের ৩ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছিল শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে। গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছিল শান্তিপ্রসাদকে। অভিযোগ, তাঁর আমলেই মূলত নিয়োগ দুর্নীতি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান গ্রেফতার, শোরগোল

    Bankura: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান গ্রেফতার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দপুর ব্লকের শালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ তথা স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সেখ সিরাজউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হল। নিজের সরকারি পদ ব্যবহার করে স্ত্রীকে বেনিয়মে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি রাজ্য পুলিশের সিআইডির হাতে গ্রেফতার হন। শুক্রবার বাঁকুড়া তোলা হলে বিচারক ২৭ মার্চ পর্যন্ত সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    কী অভিযোগে গ্রেফতার? (Bankura)

    স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বাতিল হওয়া প্যানেলের ভিত্তিতে নিজের স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে ২০১৯ সালে বেআইনিভাবে প্যানেলভুক্ত করে চাকরি পাইয়ে দেন তৎকালীন শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিন। পরে, শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বাঁকুড়া (Bankura) সদর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিআইডি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ নাগাদ বাঁকুড়ার ধরেই ইন্দপুর ব্লকের ভাতড়া শ্রীদুর্গা একটি বিদ্যায়তন হাইস্কুল থেকে সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষিকা জেসমিন খাতুনকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, স্ত্রীর গ্রেফতারির আগে থেকেই শেখ সিরাজউদ্দিন নিজের আগাম জামিনের চেষ্টা চালান। তবে আদালতে তা মঞ্জুর না হওয়ায় তিনি আত্মগোপন করেন বলে খবর। অন্যদিকে, এ সবের মধ্যেই শালডিহা কলেজের একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক শুরু হলে নড়েচড়ে বসে সিআইডি। অভিযুক্ত শেখ সিরাজউদ্দিনকে সিআইডি গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী রবীনকুমার দে বাঁকুড়া (Bankura) আদালত চত্বরে বলেন, ‘বেআইনিভাবে কে নিজের স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনের নামে অভিযোগ ওঠে। এরপরেই তদন্তভার নেয় সিআইডি। এবার অভিযুক্তকে সিআইডি গ্রেফতার করে। শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। আদালত পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। গতকাল সোমবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। নভেম্বর মাসেই তাঁকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে প্রসন্নকে জামিন দিলেও, শীর্ষ আদালত তখন জানিয়েছিল নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্ত একইভাবে চলবে। প্রসন্ন রায়ের জামিনের আগে গত নভেম্বরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও নীলাদ্রি ঘোষকে। সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে সুপ্রিম নির্দেশে মুক্তি পেলেও, এবার ইডির জালে পড়লেন প্রসন্ন। এদিন দিনভর জেরার পরে তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি।

    জানুয়ারি মাসেই প্রচুর নথি উদ্ধার হয় প্রসন্নর বাড়ি থেকে

    ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসেই প্রসন্নর (Prasanna Roy) ফ্ল্যাট, অফিস-সহ মোট সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেসময় প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। সেই নথির ভিত্তিতে প্রসন্নকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। তবে জানুয়ারি মাসে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। সোমবার ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    নামে-বেনামে ৮০টির উপর সংস্থা

    ইডি এবং সিবিআই সূত্রে খবর, নামে-বেনামে কমপক্ষে ৮০টিরও বেশি সংস্থা রয়েছে প্রসন্নর (Prasanna Roy)। আরও জানা যাচ্ছে, প্রসন্নর স্ত্রী এবং নিজের নামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন প্রসন্ন। সিবিআইয়ের দাবি, প্রসন্ন একজন ‘মিডলম্যান’। তাঁর হাত ধরেই টাকা পৌঁছাত। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল। বিধাননগর, নিউটাউন সমেত একাধিক জায়গায় প্রসন্নর সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সিবিআইকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মনে করাল হাইকোর্ট, নিয়োগ-তদন্ত শেষ কবে?

    Calcutta High Court: সিবিআইকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মনে করাল হাইকোর্ট, নিয়োগ-তদন্ত শেষ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ সিবিআইকে নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক দু’মাস শেষ হতে আর বাকি রয়েছে কয়েকটা দিন মাত্র। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সেই কথা ফের একবার মনে করিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আগামী বছরের ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা তদন্তকারী সংস্থার।

    ২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে সিবিআইকে 

    বুধবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে ৯ জানুয়ারির মধ্যেই তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে অর্থাৎ আর ২০ দিনের মধ্যে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে। নভেম্বরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া এই নির্দেশের সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে যাবতীয় মামলা নিষ্পত্তি করারও সময় বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এবং সে ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় যে চূড়ান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জমা দেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনেই বুধবার নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে আদালতে পেশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার এই রিপোর্ট পাওয়ার পরে  হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ জানায়, চাকরিহারাদের কেউ চাইলে এই মামলায় যুক্ত হতে পারেন।

    মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তৈরি হয়েছে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেই চলছে যাবতীয় মামলার শুনানি। চলতি সপ্তাহের সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীকেও হাইকোর্ট জানায়, কিছু লুকোতে চাইছে এসএসসি। সোমবার তৃতীয় রিপোর্ট জমা দেয় এসএসসি, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। পরবর্তীকালে বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন ফের রিপোর্ট জমা দিল। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে এসএসসি, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে এসএসসি, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় চলছে সারারাজ্যে। তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। সোমবার এসএসসি-এর বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ওএমআর সিটে কারসাজি, নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে এদিন এসএসসিকে কার্যত ভর্ৎসনাও করে কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ ডিসেম্বর। ওই দিন এসএসসিকে একাধিক বিষয়ে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    হাইকোর্টে এসএসসির তৃতীয় রিপোর্ট

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এটা ছিল এসএসসি-এর জমা দেওয়া তৃতীয় রিপোর্ট। এবারেও এসএসসির রিপোর্টে সন্তুষ্ট হল না হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এখানে এসএসসি সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করেন দুই বিচারপতি। আদালতে নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে হলফনামা জমা দিয়েছিল এসএসসি। কিন্তু সেখানেও বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ যে কিছু লুকোতে চাইছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবং নিজেদের অবস্থান এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি এসএসসি। এমনটাই মত দুই বিচারপতির। বিচারপতি (Calcutta High Court) দেবাংশু বসাক এদিন প্রশ্ন করেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র নবম এবং দশমের নিয়োগের জন্য হলফনামা। এসএসসির গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের হলফনামা কোথায়? এসএএসসির বাছাই কমিটি থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হল?’’ বিচারপতি বসাক এদিন আরও বলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনারা অনেক কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন।’’

    আগেই ধরা পড়ে ৯৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে অনিয়ম 

    প্রসঙ্গত সিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে এবং হাইকোর্টের নির্দেশে নবম-দশমের নিয়োগে ৯৫২ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়। জানা যায় ওই ৯৫২ জনের ওএমআর সিটে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে এবং তা স্বীকারও করে নেয় এসএসসি। বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের এনিয়ে মন্তব্য, ‘‘এসএসসি বাছাই প্রক্রিয়া হয়েছে। ওএমআরশিট ম্যানিপুলেশন, গ্রুপ জাম্পিং এবং সুপারিশ ছাড়াই নিয়োগ পাওয়া নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান কী, তা আমরা জানতে চাই। হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূল চক্রী অনীত থাপা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের একবার শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনীত থাপা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    পাহাড় সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের সমস্ত জেলা স্কুল বোর্ড, জেলা রিক্রুটমেন্ট কমিটি গঠনের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে সমস্ত দায়িত্ব জিটিএ-র উপর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির কথা বলে বলেন, ‘এখানে নিয়োগের মূল চক্রী হলেন অনীত থাপা। জিটিএ-র প্রধান ছিলেন অনীত থাপা। টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।’ এছাড়াও শুভেন্দু আরও স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে অনীত থাপা পাঁচশোর বেশি শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ এসএসসির মাধ্যমে হয়নি। জিটিএ সরাসরি নিয়োগ করেছে। মাথা পিছু নিয়োগে ১৫ লক্ষ করে টাকা তিনি নিয়েছেন। সমস্ত তথ্য এবং নথি নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে যাবো।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে আরও বলেন, “এই শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি এবং ন্যূনতম যোগ্যতা মানা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকার বাধ্যবাধকতাকেও মানা হয়নি। তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ইউব্লিউএস সংরক্ষণের নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। শিক্ষক নিয়োগের সকল নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অনীতকে ১৯২ জন শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন। এটাও একটা বড় রকমের কেলেঙ্কারি।” তিনি জনজাতি বোর্ড নিয়ে বলেন, “পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ১২টি জনজাতি বোর্ড গঠন হলেও সব অকেজো হয়ে রয়েছে। আগামী মকর সঙ্কক্রান্তির পর পাহাড়ে বিরাট আন্দোলন শুরু করবো আমরা।”

    অপরদিকে শুভেন্দুর সব অভিযোগকে অস্বীকার করে অনীত থাপা বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা, নিয়ম মেনে সব শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি কোনও ইস্যু না পেয়ে অপপ্রচার করছে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  •  Nabanna Abhijan: হুইল চেয়ারে করে নবান্ন অভিযান এসএসসি প্রার্থীর, হাওড়া ব্রিজেই আটকালো পুলিশ

     Nabanna Abhijan: হুইল চেয়ারে করে নবান্ন অভিযান এসএসসি প্রার্থীর, হাওড়া ব্রিজেই আটকালো পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তীব্র তোলপাড়। তৃণমূলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে নেতা, বিধায়ক এবং আমলা অনেকেই জেলে। অপর দিকে প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও যোগ্যপ্রার্থীরা নিয়োগ পাচ্ছেন না বলে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন এসএসসি, টেট উত্তীর্ণরা। প্রত্যেক দিনই যোগ্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রাপ্য চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দেখা করতে চাইছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দেখা করছেন না বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। এবার বিশেষ ভাবে সক্ষম এক চাকরি প্রার্থী মালদা থেকে ৩৮৫ কিমি নিজের হুইল চেয়ারে করে নবান্নে অভিযান (Nabanna Abhijan) করলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ তাঁকে রাস্তায় আটকে দেয়। নিখিলের দাবি “ভিক্ষা করে জীবন কাটাতে চাই না। চাকরি চাই।”

    কে এই বিশেষ ভাবে সক্ষম প্রার্থী (Nabanna Abhijan)?

    শারীরিকভাবে বিশেষ সক্ষম উত্তর মালাদার বসিন্দা নিখিল সরকার। তিনি এসএসসি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন কিন্তু চাকরি মেলেনি। সেই সঙ্গে প্রাথমিক পরীক্ষা টেটেও পাশ করেছিলেন। এই বছর তাঁর বয়সের শেষ সীমা। পরের বছর থেকে আর চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। রাজ্যের নিয়োগ নেই, তাই হুইল চেয়ারেই চাকরির আশা নিয়ে হাওড়া ব্রিজ পাড় হয়ে যেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে রাস্তায় আটকে দিয়েছে। যাওয়া হল না মুখ্যমন্ত্রীর (Nabanna Abhijan) কাছে। বলতে পারলেন না নিজের কথা।

    নিখিলের বক্তব্য

    মালদার বাসিন্দা নিখিল বলেন, “আমার এখন একটাই স্বপ্ন চাকরিটা লাগবে। আমি কোনও ব্যক্তিদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। দিদিকে এবার সামনাসামনি দেখাতে চাই।” মানসিক ভাবে অত্যন্ত শক্ত নিখিল। তিনি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছোট থেকেই তাঁর দুই পা তেমন ভাবে কাজ করেনা। হুইল চেয়ারই একমাত্র সম্বল। বাড়িতে এক দিদি রয়েছেন। তিনি দিদির সঙ্গেই থাকেন। নিখিল সমাজে সম্মানের পাত্র হয়ে বাঁচতে চান।

    গত ২৭ নভেম্বর মালদার মান্দাই গ্রাম থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এই বিশেষ ভাবে সক্ষম চাকরি প্রার্থী কী সত্যই নবান্নে (Nabanna Abhijan) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছাতে পারবেন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। তবে গ্রুপ সি মামলায় জামিন হলেও নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। তাই জামিন পেয়েও বের হওয়া হল না কল্যাণময়ের। এদিন তাঁকে ফের জেলে যেতে হল।

    ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকছেন কল্যাণময়

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে জেলেই থাকবেন অশোক সাহা, সুব্রত সামন্তরাও। প্রসঙ্গত, নিজাম প্যালেসের (Recruitment Scam) সিবিআই এর দফতরে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তাঁকে তলব করে সিবিআই। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর একাধিক বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রে সই করে তা শান্তিময়প্রসাদ সেনের কাছে কল্যাণময় পাঠাতেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসে।

    কী কী শর্ত চাপানো হল কল্যাণময়ের ওপর? 

    এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও, তাঁকে তদন্তে সাহায্য (Recruitment Scam) করার নির্দেশও দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এদিন জামিন দেওয়া হয়। এগুলি হল, তাঁকে কলকাতা পুরসভার এলাকাতেই থাকতে হবে। বিধাননগর কমিশনারেট ও পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় কল্যাণময় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁর যদি কোনও পাসপোর্ট থাকে তবে তা নিম্ন আদালতে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share