Tag: SSC

SSC

  • SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন তিনিই। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। প্রসন্ন ও তাঁর পরিচিতদের ৯০টি সংস্থা রয়েছে বলেও দাবি ইডির।

    গ্রেফতার প্রসন্ন

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। মুক্তি পেয়েছিলেন জামিনে। এদিন রাতে ফের হলেন গ্রেফতার। এবার অবশ্য ইডির হাতে। মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হয় নগর দায়রা আদালতে। সেখানেই ইডির দাবি, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের (SSC Recruitment Case) কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। ওএমআর শিটে কারচুপিও করতেন বলে দাবি ইডির।

    ওএমআর শিটে কারচুপি

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, কেলেঙ্কারি থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন প্রসন্ন। মোট ২ হাজার ৮১জনকে অবৈধভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ১৩৫জনকে। আর একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ৯৪৬জনকে। অনেক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। ইডি আরও জেনেছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১৮৩জনকে। ইডির দাবি, এই অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রসন্ন। তাঁর অফিস থেকে ৩৯০টি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬-২০২১ সালের মধ্যে প্রচুর টাকার সম্পত্তি কিনেছেন প্রসন্নর পরিবার। তাঁর সংস্থার নামেও কেনা হয়েছে সম্পত্তি। কারচুপি করা হয়েছে সম্পত্তির দামেও। ইডি জানিয়েছে, প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ২০০টি। সেগুলিতেও জমা করা হয়েছে প্রচুর নগদ টাকা।

    আরও পড়ুুন: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    প্রসন্নর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ। তিনি একজন মিডলম্যান। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে প্রসন্নকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা, নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার্থীদের দাবি মতো, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেখার সুযোগ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও এসএসসি পরীক্ষার্থী (নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি) চাইলে নিজেদের ওএমআর শিট দেখতে পারবেন।

    কী বলল আদালত

    পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেখতে হলে অবশ্য সিবিআইয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। মঙ্গলবার বিকেল ৪টের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা। ওএমআর শিট নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে, তা-ও তাঁরা আদালতে জানাতে পারবেন। এসএসসির মামলার এই ওএমআর শিটগুলি গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করেছিল সিবিআই। পরে সেগুলি হাইকোর্টে জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ বার সেই উত্তরপত্রগুলিই পরীক্ষার্থীদের দেখার সুযোগ করে দিল হাইকোর্ট। 

    আরও পড়ুন: রেশন মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    এসএসসি-তে  নিয়োগ ‘দুর্নীতি’কাণ্ড নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। এই নিয়ে হাইকোর্টে চলছে একাধিক মামলাও। তিনটি পরীক্ষার নিয়োগে সাড়ে ৮ হাজার পদে বেনিয়ম হয়েছে। বেনজিরভাবে আদালতে হলফনামা দিয়ে আগেই  সেকথা জানিয়েছে এসএসসি (SSC)। এর মাঝেই সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) দেখার সুযোগ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু উত্তরপত্রই নয়, সিবিআই এবং এসএসসির তরফে আদালতে এই সংক্রান্ত যে নথি জমা দেওয়া হয়েছে, চাইলে ত-ও দেখতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে নথি দেখতে গেলে আবেদন করতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন কেউ যদি মামলা সম্পর্কিত কোনও তথ্য আদালতে জমা দিতে চান, তা হলে তাঁরা তা দিতে পারেন বলেও আদালত জানিয়েছে। সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখবে হাইকোর্ট। ১৯ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য সামনে এল। এবার ভুতুড়ে চাকরি ধরা পড়ল। যে চাকরি গুলি সম্পর্কে এসএসসি নিজেই জানে না। অথচ বহাল তবিয়তে মাস পোহালে বেতনও তুলছেন ওই ভুতুড়ে শিক্ষকরাও। জানা গিয়েছে ৫৮ জন শিক্ষকের চাকরি পাওয়া নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ রয়েছে খোদ এসএসসির কাছে। কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, ওই ৫৮ জন শিক্ষকের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। ওই শিক্ষকদের পার্সোনালিটি টেস্ট, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এমনকি নিয়োগের প্যানেলও তাঁদের নাম ছিল না। ফলে তাঁরা কী ভাবে চাকরি পেলেন তা নাকি এসএসসি জানেনা।

    কীভাবে পাওয়া গেল ৫৮ জনের সন্ধান?

    স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। শাসকদলে বেশ কিছু রাঘববোয়াল থেকে মন্ত্রী-বিধায়ক এই মামলায় বর্তমানে গারদের অন্দরে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশ মতো তদন্তে উঠে আসা তথ্য এসএসসিকে পাঠানো হয় সিবিআই-এর তরফে। ওই তথ্য যাচাই করে বেআইনি নিয়োগ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান কোর্টকে জানায় এসএসসি। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে এসএসসি ৫৮ জন শিক্ষকের নাম আদালতে রিপোর্ট আকারে জমা দেয়। সেখানেই এসএসসি জানায়, নবম-দশম শ্রেণিতে ৪০ জন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা কী ভাবে চাকরি (Recruitment Scam)  পেয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁদের কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে । পরীক্ষা না দিয়েও অনেক অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার উঠল নতুন অভিযোগ। ৫৮ জনের ভুতুড়ে চাকরি। কী ভাবে তাঁরা চাকরির সুপারিশপত্র পেলেন তা খুঁজছে খোদ এসএসসিও। আগামী সপ্তাহে আবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: সাড়ে ৮ হাজার পদে নিয়োগে কেলেঙ্কারি, হাইকোর্টে কবুল এসএসসির

    Recruitment Scam: সাড়ে ৮ হাজার পদে নিয়োগে কেলেঙ্কারি, হাইকোর্টে কবুল এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা হয়েছে তিনটি। আর কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার পদে। অর্থাৎ শিক্ষক সহ এই সাড়ে ৮ হাজার প্রার্থী মোটা টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছেন’। যাঁরা মানুষ গড়ার কারিগর, স্কুলে যাঁরা নৈতিকতার পাঠ দিচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের, তাঁদের অনেকেই চাকরি পেয়েছেন অনৈতিকভাবে।

    দুর্নীতি কবুল 

    তিন পরীক্ষার নিয়োগে যে সাড়ে আট হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা জানাল এসএসসি। শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, কারচুপি হয়েছে ওএমআর শিটেও। রাজ্যের স্কুলগুলিতে যে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে ব্যাপক কেলেঙ্কারি হয়েছে, সে দাবি করেছে সিবিআইও। চাকরি প্রার্থী ও সিবিআইয়ের সেই দাবি যে নিছক গালগল্প নয়, এদিন এসএসসির হলফনামায়ই তা স্পষ্ট।

    কীভাবে চাকরি

    কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, নবম-দশমের তালিকায় ওপরে থাকাদের টপকে নিয়োগ হয়েছে ১৮৩ জনের। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে ১২২ জনকে। একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে ৩৯টি পদে। ৯৫২ জনের ওএমআর শিটে কারচুপির ঘটনাও চিহ্নিত করেছে এসএসসি। এর মধ্যে সুপারিশ করা হয়েছিল ৮২৩ জনের নাম। একাদশ-দ্বাদশে ওএমআর শিটে কারচুপির ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে ৯০৭ জনের। এর মধ্যে সুপারিশ করা হয়েছিল ৭৭১ জন প্রার্থীর নাম।

    আরও পড়ুুন: ঝাড়খণ্ডে রেললাইন উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা, ব্যাহত ট্রেন চলাচল

    জালিয়াতি হয়েছে গ্রুপ সি নিয়োগেও। অভিযোগ উঠেছে অনৈতিকভাবে চাকরি পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮০জন। এর মধ্যে এসএসসি সুপারিশপত্র দিয়েছে ৭৮৩জনকে। গ্রুপ ডিতে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে ২ হাজার ৮২৩ জনের ওএমআর শিটে। সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি হয়েছে বলেও হলফনামায় কবুল করেছে এসএসসি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দাবি, গ্রুপ সিতে সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি পেয়েছেন ৫৭ জন। গ্রুপ ডিতে এভাবে চাকরি পেয়েছেন ১৭০ জন। সব মিলিয়েই চাকরি ‘বিক্রি’ হয়েছে (Recruitment Scam) সাড়ে আট হাজার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Upper Primary: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    Upper Primary: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারি (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল দক্ষিণ কলকাতার হাজরাতে। হঠাৎ করেই সেই আন্দোলনের ঢেউ এদিন পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির খুব কাছেই। সেখানে বিক্ষোভকারীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?”  এরই সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। চাকরিপ্রার্থীরা এদিন একটা দাবি বারবার জানাতে থাকেন যে অবিলম্বে আসন সংখ্যা আপডেট (Upper Primary) করে নিয়োগ করতে হবে তাঁদেরকে। তাঁরা এও বলতে থাকেন যে মুখ্যমন্ত্রী অনেক আশ্বাস দেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন না।

    ১০ বছরের বঞ্চনা

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা ন্যায্য দাবি জানাতে এসেছেন, দশ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত। বিক্ষোভকারীদের এই কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালীঘাট চত্বর। শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে পুলিশ। এই ঘটনায় তুলে ধরছে পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব চিত্রকে এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ্য কর্মসংস্থানের (Upper Primary) বেহাল দশা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই বিক্ষোভ।

    ল্যাজেগোবরে অবস্থা শাসক দলের

    প্রসঙ্গত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারের চাকরি দাবিতে আন্দোলন করছেন আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা (Upper Primary)। শুক্রবার এই আন্দোলন পা দিয়েছে ৫৫৫ দিনে। এই দিনে হাজরায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী। তাঁরাই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে। অন্যদিকে বিকাশ ভবনের সামনেও এদিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন টেট পরীক্ষার্থীরা। একদিকে হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা রয়েছেন জেলে। তারই মাঝে এমন বিক্ষোভ চলছেই কলকাতায়। দিনকয়েক আগে মাথা মুণ্ডন করেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। বেশ ল্যাজে-গোবরে অবস্থা শাসক দলের। কোনও কোনও মহলের মতে এর প্রভাব পড়বে আগামী লোকসভার ভোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    Justice Amrita Sinha: ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’, বিস্ফোরক বিচারপতির স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি তদন্তের নামে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামীর ওপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো মিলে পরোক্ষ প্রভাব ফেলতে চেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামী চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, ‘তদন্তের নামে বয়ান লিখতে চাপ দিচ্ছে সিআইডি’। এতেই রাজ্যের বিচার বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য, এই বিচারপতির বেঞ্চে এসএসসি দুর্নীতি মামলা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব, লিপস এন্ড বাউন্ডস সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার মামলা রয়েছে। সবটা মিলিয়ে বিচার এবং বিচারপতিকে পরোক্ষ ভাবে চাপে রাখা হচ্ছে না তো! ঠিক এমনটাই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

    বিচারপতির স্বামী কী বলেছেন চিঠিতে (Justice Amrita Sinha)?

    কলকাতার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশেনকে লেখা চিঠিতে প্রতাপ চন্দ্র অভিযোগ করেন, “যে মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার পরিবর্তে বিচারপতি সিনহার বিষয়ে নানান তথ্য জানান চেষ্টা করছে সিআইডি অফিসারেরা, যাতে তাঁর স্ত্রীর (Justice Amrita Sinha) বিরুদ্ধে সাজানো কথা বলতে হয়, তার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা কুকথা বলে অভিযোগ করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি টাকা, বাড়ি গাড়ি দেওয়ার লোভ দেখানো হচ্ছে। টানা নয় ঘণ্টা ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সবটাই গভীর ষড়যন্ত্র।”

    কোন মামলায় বিচারপতির স্বামী অভিযুক্ত?

    সম্পত্তি-বিবাদ মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগে সিআইডি তদন্ত করছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী প্রতাপচন্দ্র দের বিরুদ্ধে। এই মামলায় এই নিয়ে তৃতীয়বার তাঁকে তলব করা হয়েছে। জমা দিতে বলা হয়েছে মোবাইল। গত একমাসের মধ্যে ডিসেম্বরের ১, ১৬ এবং ২২ তারিখে ডাকা হয়েছে। অবশ্য আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতি হিংসার কারণে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে সিআইডি।

    সিআইডির দাবি

    সিআইডির এক কর্তা জানিয়েছেন, “তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আদালত জানিয়েছে কেউ যেন তদন্তের বাইরে না থাকে। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতা করছেন ওই বিচারপতির (Justice Amrita Sinha) স্বামী আইনজীবী। আমরা পদ্ধতি মেনেই কাজ করছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    SSC: এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়! কেন ৫ হাজার জনের চাকরি বাতিল? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে পাঁচ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এসএসসি-র অবস্থান স্পষ্ট নয়। হাইকোর্টের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনই অভিমত আদালতের।  বুধবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। হলফনামায় আদালতের ঘাড়েই দায় চাপায় এসএসসি। এতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তাঁর নির্দেশ চাকরি বাতিলের ‘অবস্থান’ প্রসঙ্গে নিজেদের মত ১৮ ডিসেম্বর মধ্যে স্পষ্ট করতে হবে এসএসসিকে। 

    কী বলল আদালত

    এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে এসএসসি জানিয়েছিল, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর তাই বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁদের। অন্যদিকে, আবার স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম কোর্টে জানায়, হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ায় বরখাস্ত করতে হয়েছে এই পাঁচ হাজার জনকে। উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আগামী ছয় মাসের মধ্যে যাতে শুনানি শেষ হয় সেই বিষয়টিও দেখার কথা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিশনকে তাঁদের  সুনির্দিষ্ট ‘অবস্থান’ জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই বিপুল সাম্রাজ্য! ২ জেলাতেই ১০০-র বেশি সম্পত্তি বাকিবুরের

    চাকরি বাতিল নিয়ে এদিন এসএসসি-র আগের হলফনামাও ফিরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, হাইকোর্ট যার পক্ষেই রায় দিক, তার ফলে কেউ না কেউ প্রভাবিত হবে। চাকরিহারাদের মধ্যে অনেক প্রার্থী আইন অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন আবার অনেকে ভুয়ো প্রার্থীও আছেন। যাঁরা সঠিক তাঁরা কেন ফল ভুগবে? এক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। যদিও কমিশন জানিয়েছিল তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশেই চাকরি বাতিল করেছে। তবে এতে সন্তুষ্ট ছিল না ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির নিজস্ব মত জানতে চায় আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    Calcutta High Court: ‘চাকরি আদালতে বিচারাধীন’, ২০১৬ সালে নিয়োগপ্রাপ্তদের নোটিশ দেবে এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী, এসএসসি’র তরফ থেকে নোটিশ পেতে চলেছেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের সমস্ত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৫৪৯ জন কর্মী চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে এসএসসি যে নোটিশ দেবে, তাতে লেখা থাকবে যে এই চাকরি আদালতের বিচারাধীন। প্রত্যেক চাকরিজীবী ডিসেম্বর মাসের বেতন পাওয়ার আগেই এই নোটিশ পাবেন এবং তাঁদেরকে এই নোটিশে সইও করানো হবে। প্রসঙ্গত, এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় রায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই পর্যবেক্ষণে এক বড় অংশের চাকরিজীবীদের ওপরে খাঁড়া ঝুলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    কী বললেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক?

    বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বলেন, ‘‘এই মামলার রায় যে দিকেই যাক, তার প্রভাব বিশাল সংখ্যক মানুষের ওপর পড়তে চলেছে। অথচ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে বিষয়টা না জেনেও থাকতে পারেন। তাই তাঁদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে যে তাঁদের নিয়োগ আদালতে (Calcutta High Court) বিচারাধীন রয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়ার আগে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকদের নোটিশ দিয়ে একথা জানাতে হবে। নোটিশে সই করিয়ে তা জমা দিতে হবে আদালতে। সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কি না তা আদালতকে জানাবেন নোডাল অফিসার।’’ প্রসঙ্গত, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালত ঘোষণা করেছে আগামী ১২ জানুয়ারি।

    বিশেষ বেঞ্চে চলছে শুনানি

    সুপ্রিম নির্দেশের পরই নিয়োগ দুর্নীতির শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি তাই চলছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বে গঠিত ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, তার সব কিছুর শুনানি শেষ করতে হবে। এছাড়াও আগামী ৯ জানুয়ারি নিয়োগ-দুর্নীতির সংক্রান্ত মামলার যাবতীয় তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে সিবিআই-কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bivas Adhikari: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে

    Bivas Adhikari: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে বুধবারে হাজিরা দিলেন বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari), যদিও আগেই তাঁকে সিবিআই কয়েকবার নোটিস দিলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েকবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে যে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিভাস। আরও জানা গিয়েছে যে বীরভূমের তাবড় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল তাঁর।

    নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস (Bivas Adhikari)

    বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি ছিলেন বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari)। তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়ে জানান, ‘কিছু নথি দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই হাজিরা দিতে এসেছি।” শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ পরিচয় ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন বিভাস। ২ থেকে ৩ টি বিএড কলেজের মালিক বলেও জানা গিয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরেই এই বিভাস অধিকারীর নাম উঠে এসেছিল। অনেক দিন ধরে তাঁর বিষয় নিয়ে খুব একটা সংবাদ আসেনি। বুধবারে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে গেলে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য তাঁর নলহাটির বাড়ি, কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি করেছিল সিবিআই অফিসাররা। জানা গিয়েছে তিনি নিজেকে অনুকূল ঠাকুরের ঋত্বিক বলে দাবিও করেন। নিজের আশ্রমকে ঢাল করে দুর্নীতির ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

    কী বললেন বিভাস অধিকারীর বক্তব্য

    স্কুল শিক্ষক নিয়োগের মামলায় অভিুযুক্ত বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari) বলেন, “২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় আমি অসুস্থ হয়ে পরি। গোপাল দলপতিকে আমি চিনি না। কুন্তলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই, চোর ডাকাতরা বাঁচার জন্য অনেকের নাম নিচ্ছে। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের জন্য আমি সবরকম সহযোগিতা করবো। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমিও চাই প্রকৃতি সত্য ঘটনা উঠে আসুক। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার আসব। আমাকে ডেকে নথি চাওয়া হয়েছিল, সব দিয়েছি। অবৈধ কোনও বিষয় আমার কাছে নেই।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” সোমবার এই ভাষায়ই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য বন্দি রয়েছেন জেলে। জেলে গিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা

    সিবিআইকে তিনি বলেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন!

    তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমার তো মনে হয় মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন। মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে গ্রেফতার করব না বলে বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই।” কেন মানিকের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে কি পদক্ষেপ করবেন? আপনারা মুখে বলছেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। কিন্তু আদতে আদালতকেই কাঁচকলা দেখাচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানান, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, মানিক সহযোগিতা করছেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না, এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? মানিক ভট্টাচার্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আগের রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন না কেন? ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল। এখন ২০২৩ সাল। এক বছর হয়ে গিয়েছে, কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্র দাখিল করেননি?”  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সবাই শুধু অপেক্ষা করে আছে, আমি কবে অবসর নেব। আমি অবসরে যাব না। মাঝে মাঝে ভাবছি, একটা পদযাত্রা শুরু করব। সুন্দরবন চলে যাব। কিছু বলব না, শুধু হেঁটে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share