Tag: state

state

  • Jammu: ‘রোগ স্টেটে’র রোগ সারল না, শনি-রাতেও ভূস্বর্গে ছোড়া হল গুলি-গোলা

    Jammu: ‘রোগ স্টেটে’র রোগ সারল না, শনি-রাতেও ভূস্বর্গে ছোড়া হল গুলি-গোলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির পরে সবে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল জম্মু-কাশ্মীর (Jammu)। তবে ‘রোগ স্টেটে’র রোগ কী আর সহজে সারে? সারে না। পাকিস্তানও রয়েছে পাকিস্তানেই (Terrorist)। শনিবার ভূস্বর্গে সন্ধে নামতেই গোলা-বারুদের শব্দে ফের ছত্রখান রাতের নিস্তব্ধতা। যার জেরে রাতেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা লেখেন, “এ তো সংঘর্ষ বিরতি নয়। শ্রীনগরের আকাশ-হামলা প্রতিরোধ ব্যবস্থা এই মাত্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।”

    রাত নামতেই চলল গোলাগুলি (Jammu)

    এদিন রাত সওয়া ৮টা নাগাদ জম্মু সীমান্তে ফের গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আরএস পুরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিএসএফের সাব ইনস্পেক্টর মহম্মদ ইমতিয়াজ। বিএসএফ জানিয়েছে, একটি বর্ডার আউটপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমতিয়াজ সামনে থেকে বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। রাত ৯টা নাগাদ শ্রীনগরের লালচকের পাশাপাশি বাদামিবাগের সেনা ক্যান্টনমেন্ট, সাফাপোরার মতো এলাকায় শোনা গিয়েছে কান ফাটানো বিস্ফোরণের শব্দ। এদিন বিকেলে সংঘর্ষ বিরতির খবর শোনার পর ঝপাঝপ খুলতে শুরু করেছিল দোকানদানি। আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল ডাল লেকের হাউসবোটগুলি। পাকিস্তানের দিক থেকে গোলাগুলির ছুটে আসতেই ঝাঁপ পড়ে যায় দোকানে, হাউসবোটে। অন্ধকারে ডুবে যায় গোটা জম্মু-কাশ্মীর।

    পাকিস্তান রয়েছে পাকিস্তানেই!

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, শ্রীনগর-সহ উপত্যকার নানা এলাকায় ফের দেখা গিয়েছে ড্রোনের আনাগোনা। শ্রীনগরের বাটওয়ারায় ও অনন্তনাগে সেনার পরিকাঠামোকে নিশানা করতে আসা দুটি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সেনার তরফে। গত রাতেও শ্রীনগর বিমানবন্দরে হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান (Jammu)। এদিন ভোরে পাক সেনার গোলা সটান উড়ে এসে পড়ে রাজৌরির অতিরিক্ত জেলা উন্নয়ন কমিশনার রাজকুমার থাপার বাড়িতে। গোলার ঘায়ে মৃত্যু হয় তাঁর। তিনি একজন চিকিৎসকও ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, “গতকালই উনি উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। আমার ডাকা একটি বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন। আর আজ পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে ওঁকে আমরা হারালাম।” ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতিকে স্বাগত জানিয়ে ওমর বলেছিলেন, “আলোচনার পথ আগে খুললে অনেকগুলো প্রাণ বেঁচে যেত।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির প্রতিক্রিয়া, “অবশেষে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারবে মানুষগুলো।”

    সেই নিশ্চিন্তির ঘুম আর হল কই! যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই পাকিস্তান চালাল গোলাগুলি (Terrorist)। যার ভয়ে দিনভর সিঁটিয়ে কাটালেন উপত্যকাবাসী (Jammu)।

    পাকিস্তান যে আসলে রোগ স্টেট (Rogue State)!

  • GST: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    GST: জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জিএসটি (GST) বাবদ রাজ্যগুলির যাবতীয় বকেয়া প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিল কেন্দ্র। গতকাল এই মর্মে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

    সব মিলিয়ে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে মোট ৮৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। এই খাতে পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) সরকার পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের অর্থ দফতরে এ ব্যাপারে অর্ডারও পাঠানো হয়েছে।

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে বারবার কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নানা সময়ে। এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যকে দেওয়া হল প্রায় সাড়ে ছ’হাজার কোটি টাকা।   

    আরও পড়ুন : দেউলিয়ার পথে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক?   

    টাকা পেলেও, অভিযোগের অন্ত নেই নবান্নর। রাজ্যের দাবি, জিএসটি বাবদ বকেয়ার পরিমাণ ঢের বেশি। কেন্দ্রের তরফে টাকা পাওয়ার পর রাজ্য সরকার হিসেব করে এই বাবদ আরও টাকা চাইতে পারে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর।

    মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্যগুলি যাতে তাদের সম্পদ এবং মূলধন ব্যয় মসৃণভাবে পরিচালনা করতে পারে সেই জন্যই এই টাকা দেওয়া হয়েছে। জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিলে প্রায় ২৫ হাজার কোটি থাকা সত্ত্বেও সরকার পুরো অর্থ দিয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ কেন্দ্রের নিজস্ব সম্পদ, সেস সংগ্রহের মুলতুবি থাকা অর্থ থেকে দেওয়া হয়েছে।

    মোট ৮৬ হাজার ৯১২ কোটির মধ্যে জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা মূল্যের ক্ষতিপূরণ বকেয়া ছিল। ফেব্রুয়ারি-মার্চের জন্য বকেয়ার পরিমাণ ২১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। আর এপ্রিল-মে মাসে বকেয়ার পরিমাণ ১৭ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩১ মে পর্যন্ত যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যগুলির সুরক্ষিত রাজস্ব ১৪ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। অথচ সেস সংগ্রহ একই অনুপাতে বাড়েনি। রাজ্যগুলিকে টাকা দিতে কেন্দ্র ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা এবং পরের অর্থবর্ষে ১.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। ছেড়ে দিয়েছে সেস আদায়ের ঘাটতির অংশও। কেন্দ্র ঘাটতি মেটাতে তহবিল থেকে নিয়মিত জিএসটি ক্ষতিপূরণও দিয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির যৌথ প্রচেষ্টায় সেস সহ মোট মাসিক জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

     

LinkedIn
Share