Tag: State Election Commission

State Election Commission

  • Panchayat Vote: রাজ্যে আসছে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী, কমিশনকে জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    Panchayat Vote: রাজ্যে আসছে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী, কমিশনকে জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ কোম্পানির পরে আসতে চলেছে আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী। আগেই জানা গিয়েছিল মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী ধাপে ধাপে আসেব। সেই মতো এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী অবিলম্বে বিভিন্ন জেলায় জেলায় যাবে। ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী কোথায় কত মোতায়েন হবে, তা নিয়েই একটা জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। অমিত শাহের মন্ত্রক এনিয়ে কমিশনকে চিঠিও পাঠায়। জানা গিয়েছে, সোমবার বাহিনী মোতায়েন নিয়ে একটা প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দিয়েছে কমিশন। সেই তালিকা অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ারের জন্য ৬ কোম্পানি, বাঁকুড়ায় ২৪ কোম্পানি, বীরভূমে ১৯ কোম্পানি, কোচবিহারে ১৪ কোম্পানি, কোচবিহারের ১৪ কোম্পানি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬ কোম্পানি, দার্জিলিংয়ে ৫ কোম্পানি, হুগলি ১২ কোম্পানি, হাওড়ায় ১০ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছে।

    বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কবে মিলবে?

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই যেন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে বাংলা। শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাম ছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। ভোট ঘোষণার পর থেকে ঝরেছে ১০টি তাজা প্রাণ। মঙ্গলবারও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা। এমতো অবস্থায় মালদায় বাহিনীকে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্য প্রশাসনের ওপর ক্রমশই ভরসা হারচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের ধারণা, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীই মানুষকে ভোটাধিকার দিতে পারে।’’ সূত্রের খবর, বাহিনী ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোডাল অফিসার বিএসএফের আইজি ও সিআরপিএফের ডেপুটি কম্যান্ড্যান্টের সঙ্গে কমিশন চার দফা বৈঠকও করে।  বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কবে মিলবে? বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেটা বুধবার স্পষ্ট হতে পারে। ওই দিন বাহিনী সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে।

    কী বলছে বিজেপি?

    বাহিনী ইস্যুতে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাহিনী বিষয়ে জটিলতা থাকল কী থাকল না তা নিয়ে সাধারণ মানুষ চিন্তিত নয়। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই শাসক দল নিজের কাজ দেখিয়েছে। ওদের লক্ষ্যই হল লুঠ করা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট করা। এর জন্যই রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছিল না। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বাকী ৪৯৫ কোম্পানি বাহিনী যদি কেন্দ্র দিয়েও দেয় তাহলে তা কি দ্রুত মোতায়েন সম্ভব?’’ একদফার ভোট নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। শমীকের কথায়, ‘‘একদিনে ভোট (Panchayat Vote) করিয়ে মানুষকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর ক্ষমতা এই নির্বাচন কমিশনের আছে? এগারো দিনে ৯ জন খুন হয়ে গেল। এই হচ্ছে এই রাজ্যের পরিস্থিতি।’’ 

    আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বিজেপি, তৃণমূল ব্যস্ত কোন্দলেই

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “বিদেশে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন কীভাবে?” কমিশনকে প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নবাণের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক হিংসা। ইতিমধ্যেই হিংসার বলি হয়েছেন ৭ জন (অবশ্য প্রশাসনের দাবি ৫ জন)। শাসক দল তৃণমূলের হিংসার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। কোথাও আবার হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশি প্রহরায় মনোনয়নপত্র পেশ করতে গিয়েও হিংসার শিকার হয়েছেন বিরোধীরা।

    আদালতের প্রশ্নবাণ

    রাজ্যের এই হিংসার আবহেই সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তৃণমূলের এক প্রার্থী। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, “এটা কীভাবে সম্ভব হল? তাঁর আরও প্রশ্ন, সশীরের উপস্থিত না থেকেও কি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়? যদি তাই হবে, তাহলে এত প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে মার খেলেন কেন? আর ওই প্রার্থীই বা বিদেশে থেকে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন”

    এদিন পঞ্চায়েত সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। মামলাকারীর অভিযোগ, তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মহিরুদ্দিন গাজি হজ করতে সৌদি আরবে গিয়েছেন ৪ জুন। ভারত সরকারের হজ কমিটির তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। অথচ তাঁর মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার। মামলাকারীর যুক্তি, কীভাবে এই মনোনয়নপত্র গৃহীত হল? এটা বেআইনি। কারণ মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর প্রয়োজন। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) সিনহার মন্তব্য, “পরিস্থিতিটা একবার দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর এক দল বিদেশে বসে মনোনয়ন দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্রে প্রার্থীর স্বাক্ষর থাকা প্রয়োজন। তাহলে তিনি স্বাক্ষর করলেন কীভাবে?”

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    মামলাকারীদের দাবি, এই অনিয়মের পরেও মহিরুদ্দিন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার ফর্মে জানিয়েছেন, প্রার্থী সঠিক পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর পরেই কমিশনকে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, “কমিশনকে জানাতে হবে মনোনয়ন দেওয়ার সময় প্রার্থীদের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন কিনা? স্বাক্ষর কীভাবে করা হয়, তাও জানাতে হবে।” এই মামলায় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীন অভিবাসন ব্যুরোকেও যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি শুক্রবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    Panchayat Elections 2023: হাইকোর্টের গুঁতো! কেন্দ্রের কাছে আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনীর দাবি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের গুঁতোয় সম্বিত ফিরল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)! প্রথমে রাজ্যের ২২টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) জন্য কেন্দ্রের কাছে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার নেপথ্যেও ছিল হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের জোড়া ধাক্কা। কমিশন নামকাওয়াস্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার ‘চাল’ চালায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। সেখানে আর এক প্রস্থ ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা 

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার উদ্দেশে বলেন, “আপনি চাপ নিতে না পারলে ছেড়ে দিন।” বৃহস্পতিবারও পঞ্চায়েত সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় বিচারপতি অমৃত সিনহা কমিশনের উদ্দেশে বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) কি হচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার পদে কি তিনি (রাজীব সিনহা) এখনও বহাল আছেন? আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে!” তার পরেই কেন্দ্রের কাছে সব মিলিয়ে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগেই চাওয়া হয়েছিল ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার চেয়ে পাঠানো হল আরও ৮০০ কোম্পানি।

    সব বুথে বাহিনী নয়!

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথ হবে ৬১ হাজারেরও বেশি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন চেয়েছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্র এই পরিমাণ বাহিনী পাঠালেও, রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যাবে না।বুধবারই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল, এবার সেই সংখ্যক কিংবা তার বেশি সেন্ট্রাল ফোর্স ব্যবহার করতে হবে। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল ৮২০ কোম্পানি। তবে সেবার নির্বাচন হয়েছিল ৫ দফায়। এবার নির্বাচন হবে এক দফায়। তাই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া অসম্ভব।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী বসে সৌদি আরবে, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের হয়ে জমা পড়ে গেল মনোনয়ন!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কেন্দ্রের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মারল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একদিকে যেমন হাইকোর্টের নির্দেশ মান্য করা হল, তেমনি অন্যদিকে রাজ্যের সব বুথে মোতায়েন করা গেল না বাহিনী। বিরোধীদের মতে, যা আদতে রাজ্যের শাসক দলকে ‘সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার কৌশল মাত্র!

    এদিকে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Panchayat Elections 2023) দাবিতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের রবীন্দ্রভবনে বিক্ষোভ দেখালেন ভোটকর্মীরা। তাঁদের দাবি, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই দাবিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার মামলাটি শোনা হবে। 

    ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের

    নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের দুই সিপিএম প্রার্থীর আর্জির ভিত্তিতে বিডিওর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। 

    কঠোর বিচারপতি

    এই মামলাতেই বুধবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই এই তদন্তভার রাজ্যের কোনও সংস্থাকে দেওয়া যাবে না। তারপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। ভোট (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতেও কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    একই সঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথা প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিন্‌হা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: ভোটের কাজে নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টে শিক্ষকরা

    Panchayat Elections 2023: ভোটের কাজে নিরাপত্তার দাবিতে হাইকোর্টে শিক্ষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কীভাবে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেবে এই প্রশ্ন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল শিক্ষকদের একাংশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েতে ভোটের কাজে পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের ব্যবহার করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ

    রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নিরাপত্তা আশ্বাস দিলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব ছিলেন শিক্ষকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের প্রশ্ন, রাজ্যের ৬১ হাজার বুথে ২২ কেন্দ্রীয় বাহিনী কি হবে? এই প্রশ্ন তুলেই এবার আদালতের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। হাইকোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষা অনুরাগী ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। এই সংগঠনের ৮০০ সদস্য। পোলিং অফিসার হিসেবে থাকছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, প্রত্যেকের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা ছড়িয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তাঁরা।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ

    পঞ্চায়েত ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের। মঙ্গলবার এই মর্মে রাজ্যের সব জেলাশাসক এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জেলা আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। চিঠি পাঠানো হয়েছে সব জেলার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন আধিকারিকদেরও। এর আগে পঞ্চায়েতের ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ার, অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার না করার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল বিজেপি। এই মামলায় কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ীই ভোটের কাজে স্থায়ী কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একান্তই প্রয়োজন দেখা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কাজে অস্থায়ী কর্মীদের ব্যবহার করা হবে।

    আরও পড়ুুন: বোমা ফেটে জখম ৫, রাজ্যের রিপোর্ট তলব জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    আইসি, বিধায়কের নামে এফআইআর 

    পঞ্চায়েতে মনোনয়ন নিয়ে ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিং থানার আইসি, এসডিপিও ও স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজুর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।  ১২ জুলাই এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। সেই সঙ্গেই আদালতের নির্দেশ, মামলাকারী সিরাজুল বারুইপুরের এসপি’র কাছে নিরাপত্তার আবেদন করবেন। তাঁর বাড়ির সামনে দু’জন সশস্ত্র কনস্টেবল এক সপ্তাহের জন্যে পাহারায় থাকবেন। ১৩ থেকে ১৬ জুন ক্যানিংয়ের বিডিও অফিস, হসপিটাল মোড়-সহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। সিরাজুলের অভিযোগ, ১১ জুন নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বিডিও অফিসের সামনে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের মদতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেলাগুলিতে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: জেলাগুলিতে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) লক্ষ্যে রাজ্যের ২২টি জেলায় ২১ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলছেন প্রত্যেক জেলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মনোনয়ন দিতে বাধা দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। বিরোধীরা নিরাপত্তা চেয়ে কমিশেনর দ্বারস্থ হয়েছিল। ভাঙড়, ক্যানিং, চোপড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলায় মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করেই রক্ত ঝড়েছে। তাই সতর্ক কমিশন।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আজ, শনিবার থেকেই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা জেলাভিত্তিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নজরদারির কাজ করতে শুরু করবেন। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাইল জেলাগুলির কাছ থেকে। সেই তালিকা ধরেই এই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা কাজ করবেন।  অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে রাজ্যের সিনিয়র আইএএস অফিসারদের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২২টি জেলায় ২১ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়োগ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের জানাতে পারবেন তাঁরা। এমনকী বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নাম–মোবাইল নম্বর–সহ বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকদের।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবার স্পর্শকাতর এলাকা, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়ে পাঠাল জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। ন্যূনতম ১০ শতাংশ স্পর্শকাতর বুথ এবং স্পর্শকাতর এলাকার তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবারের মধ্যেই সেই তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই তালিকার উপর নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের স্ট্র‌্যাটেজি। এমনকী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুথভিত্তিক ও অঞ্চলভিত্তিক তালিকা চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন, কেন জানেন?

    Panchayat Election 2023: এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ রাজ্য নির্বাচন কমিশনও। রাজ্যে পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে জানিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই আদালতের (Panchayat Election 2023) দ্বারস্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের কাছে নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কি আদৌ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর নজরদারি করার এক্তিয়ার আছে? জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি এ ব্যাপারে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট

    গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নয়া কমিশনার রাজীব সিনহা। ভোট হবে ৮ জুলাই। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। প্রথম দিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে তৃণমূলের দিকে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকেও কেন্দ্র করে নিত্য আসছে অশান্তির খবর। অশান্তির এই আবহেই গন্ডগোলের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একেই অতিসক্রিয়তা বলছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের যুক্তি, একটি স্বাধীন সংস্থার কাজের ওপর নজরদারি করতে পারে না অন্য স্বাধীন সংস্থা।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন

    সম্প্রতি মানবাধিকার কমিশনের তরফে (Panchayat Election 2023) পর্যবেক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করেই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তিনি। চিহ্নিত করবেন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিও। পরে রিপোর্ট দেবেন কমিশনকে। ওই এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বা পরে প্রয়োজনে মাইক্রো হিউম্যান রাইটস অবজার্ভার মোতায়েনের পরামর্শও দিতে পারেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকারীন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সেই পদক্ষেপ নিয়েই প্রশ্ন তুলল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুুন: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় রবিবার ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের জন্য পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। সেখানে ডব্লিউবিসিএস এবং আইএএস কর্তাদের নিয়োগ করা হয়। তাই আলাদাভাবে পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ২৭৩ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জরুরি নির্দেশিকা কমিশনের

    Panchayat Election 2023: ২৭৩ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জরুরি নির্দেশিকা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দামামা বেজে গিয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হতে পারবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ভোট পরিচালনার জন্য মোট ২৭৩ জন পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত আধিকারিকদের এই পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

    পঞ্চায়েত ভোটে ৮ দফা নির্দেশিকা

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হওয়ার জন্য ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কমিশনের তরফে বিভিন্ন জেলার ইলেকশন অফিসারদের ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়েছে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও মাপকাঠি। ১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট, কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টরা প্রার্থী হতে পারবেন না। মিড ডে মিল প্রকল্পের অধীনে যারা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর , লাইব্রেরিয়ান এবং কল্যাণী স্পিনিং মিলের যাঁরা প্রাক্তন কর্মী, শ্রম দফতরের অধীনে যাঁরা চুক্তিভিত্তিক এটেন্ডেড হিসেবে কাজ করবেন, তাঁরাও প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে থাকা প্রকল্প সহায়করা প্রার্থী হতে পারবেন। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ

    এরই মধ্যে ভোট (Panchayat Election 2023) পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করল কমিশন। প্রত্যেক পর্যবেক্ষককে একটি করে ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গণনাপর্ব সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্ত আধিকারিক সংশ্লিষ্ট ব্লকের ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন লত এ বারের ভোটের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে বিশেষ সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের। মঙ্গলবার থেকে পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হচ্ছে। ২৭৩ জন আধিকারিক প্রশিক্ষণ নিলেও ১৬ জন আধিকারিককে ‘রিজা়র্ভ’-এ রাখা হয়েছে। এই ১৬ জন আধিকারিককে ‘রিজা়র্ভ’-এ রাখার কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলেই এই আধিকারিকদের ব্যবহার করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB BJP: ‘দিদিকে বলো’-র ফোন নম্বরেই কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’! কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    WB BJP: ‘দিদিকে বলো’-র ফোন নম্বরেই কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’! কমিশনে যাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক সংস্থা এরাজ্যে শুরু করেছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। সরাসরি তৃণমূল নেত্রীকে অভাব অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা ছিল ওই কর্মসূচিতে। সামনে রাখা হয় একটি ফোন নম্বর ৯১৩৭০৯১৩৭০। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দোরগোড়ায় আবার চালু হয়েছে একটি সরকারি কর্মসূচি, যার পোশাকি নাম ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এখানেও একইভাবে নাগরিকরা অভিযোগ জানাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রীকে। বিতর্ক দানা বেঁধেছে কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ফোন নম্বর নিয়ে। এখানেও দিদিকে বলো কর্মসূচির নম্বর ৯১৩৭০৯১৩৭০ ব্যবহার করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। বিজেপির (WB BJP) দাবি, কেন্দ্র সরকার গত ১ মে, ১৮১ এই ফোন নম্বর রাখার প্রস্তাব দিলেও তা মানেনি নবান্ন। এহেন কর্মসূচি বন্ধের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জিও জানাতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই জানা গিয়েছে গেরুয়া শিবির সূত্রে।

    কী বলছে বিজেপি (WB BJP) নেতৃত্ব?

    রবিববারই এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। জগন্নাথের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের পরামর্শ ১৮১ নম্বর থাকলেও, দিদিকে বলো কর্মসূচির নম্বর জোরপূর্বক ব্যবহার করে তৃণমূল সরকার।’’ বিপুল টাকা এই প্রকল্পে খরচ হচ্ছে কিনা তা জানতে চেয়ে জগন্নাথের প্রশ্ন, ‘‘এই প্রকল্পে কি ১৬০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে?’’  কেন এই প্রকল্প কোনও সরকারি অফিসের বদলে সেক্টর ফাইভে চলছে এমন প্রশ্নও তোলেন জগন্নাথ। পর্দার আড়ালে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প যে আই প্যাক চালাচ্ছে, তা নিয়েও নাম না করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    শুক্রবারই এনিয়ে ট্যুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll 2023: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Panchayat Poll 2023: ‘সর্বদল বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা’! রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll 2023) একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, দাবি বিজেপির। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ১১ জুলাই গণনা। বৃহস্পতিবার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্‌‌হা। সর্বদল বৈঠক না করেই কেন হঠাৎ পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হল, এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা এর নিন্দা করছি, প্রয়োজনে আমরা কোর্টে যাব’। ‘সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকেই ভোট ঘোষণা, বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যা’, ট্য়ুইটারে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সরব বিরোধীরা

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) তারিখ নিয়ে দীর্ঘ জল্পনা চলছিল রাজ্যে। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেছেন নবনিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানিয়েছেন, ৯ জুন থেকে মনোনয়ন জমা শুরু। ১৫ জুন মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৭ তারিখ স্ক্রুটিনির শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য ২০ জুন পর্যন্ত সময় পাবেন পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীরা। এরপরই সরব হন বিরোধীরা। সর্বদল বৈঠক না ডেকে কীভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। 

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ট্যুইটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখলেন, ‘এই প্রথম একতরফাভাবে ভোট ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, উদ্দেশ্য স্পষ্ট। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll 2023) কারও প্রাণ গেলে দায়ী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং কমিশনার।’

    অমিত মালব্যও ট্যুইট করে আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘৫দিনে ৭৪ হাজার মনোনয়ন! শুরু হয়ে গেল রিগিং। বিরোধীদের মনোনয়নের পেশ না করার জন্য চেষ্টা। কেন ভোট দেখাতে চাইছেন, ফল ঘোষণা করলেই তো হয়!’ 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৮ জুলাই, জারি আদর্শ আচরণ বিধি

    আদালতের পথে, দাবি সুকান্তর

    বিজেপি সূত্রে খবর, ভোটের (Panchayat Poll 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরই জেলা এবং বিভাগীয় স্তরের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ওই বৈঠকে থাকার কথা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। কিন্তু অন্য কর্মসূচি থাকায় ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি শুভেন্দু। তবে পরে শুভেন্দুর সঙ্গেও কথা হয়েছে সুকান্তের। আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে এক মত হয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেছেন, ‘‘আমরা চাই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে ভোট হোক। শান্তিপূর্ণ ভোট, রক্তপাতহীন ভোট চাই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য আরও বেশি সময় দেওয়া দরকার। এটা ঠিক হয়নি। তাই আমরা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share