Tag: Stock market crash

Stock market crash

  • Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    Stock Market Crash: রক্তাক্ত শেয়ার বাজার! চার হাজার পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, কেন এমন হাল? রইল ৫ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক দেশের উপরে বিরাট অঙ্কের শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জেরে রক্তক্ষরণ গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash)। বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে ওয়াল স্ট্রিটে। ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের আশঙ্কা ছিল ১৯৮৭ সালের ‘ব্ল্যাক মানডে’র মতোই শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নামতে পারে। সোমবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে শুরু করেছে বিশ্বের বাজারে। চিনের সাংহাই কম্পোজিট ইন্ডেক্স ৪.২১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে জাপানের নিক্কেই সূচক। দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপির সূচক পড়েছে ৪.৮ শতাংশ। হংকংয়ের শেয়ার বাজার পড়েছে ৯ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়া এবং তাইওয়ানের শেয়ার বাজার যথাক্রমে ৬ এবং ৯.৮ শতাংশ পড়েছে। শেয়ার বাজারে (Share Market) রক্তক্ষরণের একই ছবি দেখা যেতে পারে ভারত এবং আমেরিকাতেও। সবমিলিয়ে, ব্ল্যাক মানডের সেই বিপুল ধসের স্মৃতি আবারও ফিরছে বিশ্বের বাজারে।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে পতন

    ভারতের শেয়ার বাজারেও (Stock Market Crash) নামল ধস। সোমবার বাজার খুলতেই একধাক্কায় প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়ল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক সেনসেক্স। হাজার পয়েন্ট পড়েছে নিফটিও। বেলা গড়াতে বাজারের হাল খানিকটা ফিরলেও রক্তক্ষরণ অব্যাহত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া হারে শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করার পরেই নিম্নমুখী ভারতের শেয়ার বাজার। লাগাতার পড়েছে সেনসেক্স-নিফটির সূচক। তবে সোমবার বড়সড় পতন হবে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে, সেই আশঙ্কা ছিলই। আশঙ্কা সত্যি করে বিরাট পতন হল শেয়ার বাজারে। সপ্তাহের শুরুতে সোমবার বাজার খুলতেই দেখা যায়, প্রায় চার হাজার পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। ৩৯৩৯.৬৮ পয়েন্ট পড়ে ৭১ হাজারের ঘরে নেমে যায় সেনসেক্স। প্রায় ৩.৯ শতাংশ পতন হয়েছে সোমবার সকালে।

    ধাক্কা নিফটি-সেনসেক্সে

    ট্রেন্ট, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, জেএসডব্লিউ স্টিল, শ্রীরাম ফিনান্স- একের পর এক সংস্থার শেয়ারের দাম হুহু করে পড়ছে। ৪ থেকে ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে গাড়ি-আইটি সংস্থাগুলির শেয়ার। ৭ শতাংশ পড়েছে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার শেয়ার। এই সময়ের মধ্যে নিফটিও ১,১৬০.৮ পয়েন্ট কমে ২১,৭৪৩.৬৫ এ পৌঁছোয়। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের কারণেই শেয়ার বাজারে এই রক্তক্ষরণ। শুধু দালাল স্ট্রিট নয়, রক্তাক্ত সমগ্র এশিয়ার স্টক মার্কেটই। মার্কিন শেয়ার সূচক ন্যাসড্যাক এবং ডাও জোন্স-এও বড় ধস নেমেছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতি ঘোষণার পর পরই। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ভারতের শীর্ষ ৩০টি সংস্থার মিলিত সূচক ২,৫০০ পয়েন্টেরও বেশি কমে। বিনিয়োগকারীদের ১৯ লক্ষ কোটি টাকা এক নিমেষে উধাও হয়ে যায় সপ্তাহের প্রথম দিনেই। বিএসই তালিকাভুক্ত শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টাটা স্টিল (-১০%), টাটা মোটরস (-৭.৮৬%), ইনফোসিস (-৬.৯৮%), টেক মাহিন্দ্রা (-৬.৩৬%) এবং এল অ্যান্ড টি (-৬.৪৫%)। পরে অবশ্য কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার।

    ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Stock Market Crash) ধসের প্রধান ৫টি কারণ

    ১. বৈশ্বিক বাজারে বিক্রির প্রবণতা: বিশ্বের প্রায় সব দেশের বাজারে সোমবার ধস নেমেছে। যার মূল কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিতে কোনও ছাড়ের লক্ষণ না থাকা। তিনি রবিবার বলেছেন যে, শুল্ক একটি ‘ওষুধ’ হিসেবে কাজ করছে এবং তিনি আশা করছেন যে বিদেশি সরকারগুলো শুল্কের হার কমানোর জন্য ব্যাপকভাবে অর্থ প্রদান করবে। ট্রাম্প বলেছেন, “আমি চাই না কিছুই নষ্ট হোক। কিন্তু কখনও কখনও কোনও কিছু ঠিক করতে ওষুধের প্রয়োজন হয়।” এর পরিপ্রেক্ষিতে, এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাপক ধস নেমেছে। বিশেষ করে এশিয়ায়, তাইওয়ান ওয়েটেড ১০ শতাংশ এবং নিক্কেই ৭ শতাংশ কমেছে।

    ২. শুল্ক প্রভাব: ট্রাম্প প্রশাসন ১৮০টিরও বেশি দেশের উপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছে, যা বাজারে আরও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের শেয়ার বাজারে এই শুল্কের প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করা হয়নি, যার ফলে পরবর্তী সময়ে আরও পতন হতে পারে। এমকেয় গ্লোবাল বলেছে, “প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের শেয়ার বাজারে আরও অবনতি হতে পারে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রতি ভারতের সাড়া এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।”

    ৩. বৃদ্ধির ধীর গতি: এ নিয়ে উদ্বেগ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কের কারণে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে, যা কর্পোরেট লাভ কমিয়ে দেবে এবং গ্রাহক মনোভাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যেহেতু ট্রাম্প এপ্রিল ২ তারিখে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন এবং চিন ৩৪ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির উপর তার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। জেপি মরগান তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে দিয়েছে, বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে।

    ৪. বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীদের (FPI) তহবিলের প্রবাহে হ্রাস: গত মাসে ভারতীয় শেয়ার বাজারে বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা কেনাকাটা শুরু করলেও, এপ্রিল মাসে তারা আবার শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেছে। এপ্রিল মাসে ১৩,৭৩০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে, যার ফলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে যে, যদি ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অনুকূল চুক্তি না করতে পারে তবে বিদেশি তহবিল প্রবাহ আরও কমে যেতে পারে।

    ৫. আরবিআই মনিটরি পলিসি কমিটি (MPC): এপ্রিল ৯ তারিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বৈঠক এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিক কোম্পানি ফলাফলগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আরবিআই সুদের হার কমাতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ নিতে পারে। টিসিএস তার মার্চ ত্রৈমাসিক ফলাফল ১০ এপ্রিল প্রকাশ করবে। শেয়ার বাজারের ওপর এই ফলাফল প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতীয় বাজারের পতন এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনুমান, আগামী দিনে বাজারে আরও ঝুঁকি বাড়তে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগজনক।

    বিক্রির চাপ, সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রবণতা

    বাজারে এমন অস্থিরতা দেখা গেছে যে, প্রতিটি সেক্টরেই নেতিবাচক প্রবণতা ছিল। ব্যাঙ্কিং, টেকনোলজি, অটোমোবাইল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল—সবই বড় ধাক্কা খেয়েছে। এমনকি ঐতিহ্যগতভাবে নিরাপদ বলে বিবেচিত সেক্টরগুলোও বাজারের এই পতনে বাদ পড়েনি। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক স্পষ্ট, যেহেতু কোনও সেক্টরেই ইতিবাচক সংকেত ছিল না।

    বিশ্ব বাজারেও (Stock Market Crash) ধস, ভারতের আশা

    বিশ্ববাজারে এমন পতন শুধু ভারতেই নয়, অন্যান্য বড় বাজারেও দৃশ্যমান। এমএসসিআই এশিয়া এক্স-জাপান ইনডেক্স ৬.৮% কমেছে, জাপানের নিক্কেই ৬.৫% পড়ে গেছে। এদিনের ধসের পেছনে মূল কারণ ছিল শুক্রবার ইউএস ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ‘‘অপ্রত্যাশিতভাবে বড়’’ এবং এটি মার্কিন অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলবে। ড. বিজয়কুমার ভারতের জন্য কিছু আশার দিকও দেখছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য খুবই সীমিত, দেশের জিডিপির মাত্র ২ শতাংশের সমান, তাই ট্রাম্পের শুল্ক ভারতের অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না।’’ এছাড়াও, তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু সেক্টর যেমন ফাইন্যান্স, এভিয়েশন, হোটেল, সিমেন্ট, প্রতিরক্ষা এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কোম্পানিগুলি এই সংকটের মধ্যেও তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করবে। বিশ্ববাজারের অস্থিরতার প্রভাব ভারতীয় শেয়ার বাজারে (Share Market) বড় ধস সৃষ্টি করেছে, তবে এই পরিস্থিতি সাময়িক হতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন সেরা কৌশল হল ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’।

  • Stock Market: শেয়ার বাজার থেকে গায়েব ১১ লাখ কোটি, প্রভাব ফেলছে পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি!

    Stock Market: শেয়ার বাজার থেকে গায়েব ১১ লাখ কোটি, প্রভাব ফেলছে পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির প্রথম দিনেই ভয়ঙ্করভাবে পড়ল সেনসেক্স ও নিফটির গ্রাফ। এর ফলে লগ্নিকারীদের মাথায় হাত। প্রসঙ্গত, এ দিন শেয়ার সূচকের (Stock Market) পতনের জেরে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাজার থেকে উড়ে যায় প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকা! লোকসান সামলে কত দিনের মধ্যে সেনসেক্স ও নিফটি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ইজরায়েলে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তেহেরান। অন্য দিকে ইরান সমর্থিক জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে লেবাননেও গ্রাউন্ড অপারেশন শুরু করেছে ইজরায়েল। এই যুদ্ধের সরাসরি প্রভাবে ভারতের শেয়ার বাজারে (Stock Market) পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বেড়েই চলেছে অপরিশোধিত তেলের দাম

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইজরায়েলি বায়ুসেনা ইরানের তেলের ভাণ্ডারকে নিশানা করলে অপরিশোধিত তেলের (Stock Market Crash) দর আকাশ ছোঁবে। সে ক্ষেত্রে ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশের অর্থনীতির ওপর তা প্রভাব ফেলতে পারে। লগ্নিকারীরা তাই পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে বাজার থেকে টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বেড়েই চলেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। ইতিমধ্যেই ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দর ব্যারেল প্রতি ৭৫ ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে। গত তিন দিনে খনিজ তেলের দাম ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    সেনসেক্স ও নিফটির পতন (Stock Market) 

    আজ বৃহস্পতিবার, বাজার (Stock Market) বন্ধ হওয়ার পর দেখা যায়, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) শেয়ারের গ্রাফ পড়েছে ১,৭৬৯.১৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ নামতে নামতে ৮২,৪৯৭.১০ পয়েন্টে গিয়ে থেমেছে সেনসেক্স। এর গ্রাফ ২.১০ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে। অন্য দিকে, আজ বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই) ৫৪৬.৮০ পয়েন্ট পতন হয়েছে। বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে এর শেয়ার সূচক নিফটি-৫০ দাঁড়িয়ে যায় ২৫,২৫০.১০ পয়েন্টে। অর্থাৎ এর গ্রাফের (Stock Market Crash) পতনের পরিমাণ ২.১২ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস 

    RBI: ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর ঘোষণা আরবিআই-এর, শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষ তো বটেই দেশে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আতঙ্কিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এই পরিস্থিতিতে এদিন রেপো রেট (Repo Rate) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন আরবিআই (RBI)-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। তিনি জানিয়েছেন, রেপো রেট (যে হারে অন্য ব্যাঙ্কের থেকে সুদ নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক) ৪০ বেসিস পয়েন্ট বা বৃদ্ধি করে ৪.৪০% করা হয়েছে।  

    গত মাসেই মুদ্রানীতি ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সময় অনেকেরই মনে হয়েছিল যে, এই মুহূর্তে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জমা টাকায় সুদের হার বৃদ্ধি করা উচিৎ। সেই কাজটিই একমাস পর করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শক্তিকান্ত দাস জানান, রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট (BPS) বৃদ্ধি করে ৪.৪০ শতাংশ করা হচ্ছে। 

    ২০১৮-র অগাস্টের পরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই ধরনের বৃদ্ধি এই প্রথম। রেপো রেট বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়ল। কারণ, এর ফলে ব্যাঙ্ক ঋণে সুদের হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    বর্তমানের মুদ্রাস্ফীতির চাপের কথাও এদিন অনলাইন সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। এই বৃদ্ধি না হলে অর্থনীতি সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রেপো রেট নিয়ে আরবিআই-এর পরবর্তী আলোচনার দিন জানানো হয়েছে ৮ জুন। সেই সময় পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

    এদিন ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (CRR) ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের যে পরিমাণ টাকা আরবিআই-এ গচ্ছিত থাকে সেটাই ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্ক কিংবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি ০.৫০% টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা থাকবে। নতুন ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও হল ৪.৫%।  

    বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন আরবিআই- এর মতোই রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে পারে  ইউএস ফেডারাল ব্যাঙ্ক (US Federal Bank)। আর এই জোড়া আশঙ্কাতেই ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছে শেয়ার বাজার। সেনসেক্সে ১৩০৭ পয়েন্ট বা ২.২৯% পতন হয়ে দাঁড়ায় ৫৫,৬৬৯। আর নিফটিতে ৩৯২ পয়েন্ট বা ২.২৯% পতন। দিনশেষে তা দাঁড়ায় ১৬,৬৭৮-এ।   

    যেখানে মার্চের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৯৫%, সেই সময় এপ্রিলে আরবিআই-এর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার সমালোচনা করেছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। আরবিআই-এর মুদ্রাস্ফীতির সহনশীলতার মাত্রা ছয় শতাংশ। পরপর তিন মাস যা ছয় শতাংশের ওপরে রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আগামী কয়েক মাসে দাম বৃদ্ধির চাপ আরও বাড়বে।

     

LinkedIn
Share