Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: “হিন্দুর নাম বাদ গেলে আমরা সরকারেই থাকতে পারব না”, অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “হিন্দুর নাম বাদ গেলে আমরা সরকারেই থাকতে পারব না”, অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার সিএএ ক্যাম্পে গিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মমতাকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ নিয়ে চক্রান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।” প্রসঙ্গত এই রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR) বিরোধিতা করতে গিয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সিএএ-তে কেউ যেন আবেদন না করে। তৃণমূলের দাবি, যদি আবেদন করেন তাহলে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে বিজেপি। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন সিএএ। কোনও ভাবেই নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। তাই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করে দেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব: সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার তাহেরপুরে অনুষ্ঠিত সিএএ ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য যান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “এসআইআরকে (SIR) ইস্যু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় ধরনের চক্রান্ত করছেন। নির্বাচন কমিশন রাজ্যের প্রশাসনের মাধ্যমে এসআইআরকে বাস্তবায়নের কাজ করছে। কমিশন সরাসরি নিয়ন্ত্রণ না করলেও রাজ্য সরকারের কর্মচারী, বিডিওরাই কাজ করছেন। কেউ কেউ আবার ইআরও হিসেবে কাজ করছেন।”

    একই ভাবে সুকান্ত সিএএ-এর বিভ্রান্তি নিয়ে বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বিজেপি আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করব। আপনাদের যাতে ভোটার লিস্টে নাম থাকে তার জন্য যা যা করার বিজেপি তা তা করবে। নরেন্দ্র মোদি সরকারও তাই তাই করবেন। অনেকে আপানাদের উল্টো পাল্টা বোঝাবে। বিজেপি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে বলে উসকাবে। বিজেপি কালিদাস নাকি? বিজেপিকে কারা ভোট দেয় সকলে জানে। যাদের গলায় কাঠের মালা, মাথায় সিঁদুর। যারা ভোট দেয় তাঁদের কি বিজেপি ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে? যদি তাই হয় আমরাই তো সরকারে থাকতে পারব না। আমি তো বগুড়া থেকে এসেছি। আমাদের জমি ওপারে কম ছিল না। আমার ঠাকুদা এসছিলেন যাতে ঠাকুমা রাতের বেলায় তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। তাই ভয়ের কিছু নেই।”

    প্রতি বুথে ১০-১৫ জন হিন্দুর নাম কেটে বাদ

    এদিন তৃণমূলের আইপ্যাকের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “তৃণমূলের আই-প্যাক টিমের মাধ্যমে ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে, যেখানে বেছে বেছে প্রতিটি বুথ থেকে প্রায় দশজন করে হিন্দু ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। যাদের নাম এসআইআরে নেই, তারা যেন সিএএ-র আওতায় আবেদন করেন। আজকের অনুষ্ঠান ক্যাম্পে সকলে সিএএ-র আওতায় আবেদন করুণ। তাদের রীতিমতো টার্গেট দেওয়া হয়েছে প্রতিবুথে যেন ১০-১৫ জন হিন্দুর নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়। এমনিই বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন যেহেতু এদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে তাই সুযোগকে ব্যবহার করবে। ফলে বিজেপির কর্মীদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। একজন হিন্দুর যেন নাম বাদ না যায়। ভারতে যদি হিন্দুদের নাম বাদ যায় তাহলে কাদের নাম থাকবে। ভারতবর্ষ আর ভারতবর্ষ থাকবে না। হিন্দুদের মহাপুণ্যভূমি এই ভারতবর্ষ তাই হিন্দু রক্ষার নামই হল ভারতবর্ষ রক্ষা। তাই ভারতকে রক্ষা করতে হিন্দুদের এক থাকতে হবে।”

    নাগরিকত্ব তুলে দেন সুকান্ত

    এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আগে সিএএ আবেদন করেছিলেন এমন ব্যক্তিদের হাতে সার্টিফিকেটও তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপি মণ্ডলস্তর পর্যন্ত সকল জায়গায় হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্যাম্প শুরু করেছে। আবেদনও পড়ছে ব্যাপক পরিমাণে। উল্লেখ্য নবদ্বীপ রাস পূর্ণিমার অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গিয়ে গিয়ে একদল দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়িতে হামলা চালায়। ঘটনার কথা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে গত কয়েকমাসের মধ্যে সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, সাংসদ রাজ্য বিস্তা-সহ একাধিক নেতাদের উপর আক্রমণের ঘটনা রাজ্য রাজনীতির পারদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের যদি ভোটের আগেই এতো টার্গেট করা হয় ভোটের সময় কি হবে? তা নিয়েই চিন্তিত রাজনীতির একাংশ।

  • Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Sukanta Majumdar: নবদ্বীপ থেকে ফেরার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলা, তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কনভয়ে হামলা চালাল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বুধবার নদিয়ায় পরপর কর্মসূচি ছিল সুকান্তর। সেখান থেকে ফেরার সময়ই এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার পিছনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর নিয়ে মিথ্যা প্রচার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের এক শ্রেণির মানুষকে উস্কে দিয়েছেন। যার ফলেই এই ধরনের হামলা হচ্ছে।

    আহত বিজেপি কর্মী হাসপাতালে

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের সরকার পাড়ায় বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সুকান্তর কনভয়ে থাকা একাধিক গাড়ি পিছিয়ে পড়ে ভুল রাস্তায় চলে যায়। তারপর নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি ঘোরানোর সময় হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের শ্রমিক সংগঠনের দফতর থেকে অনেকে সুকান্তর কনভয়ে থাকা গাড়িতে হামলা চালায়। তারা কনভয়কে বাধা দেয়, গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ছিল বলেও অভিযোগ। দলীয় কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পেয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত। তাঁর সঙ্গেই বিজেপি-র অনেক নেতা-কর্মীও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান।

    সুরক্ষার জন্য ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা!

    প্রথমে নদিয়ার তাহেরপুরে একটি কর্মসূচি ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিপেটা করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত। এরপর পৌঁছন নবদ্বীপে। বর্তমানে সেখানে রাশ উৎসব চলছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সুকান্ত নবদ্বীপে গিয়ে রাস উপলক্ষে শ্যামা মায়ের পুজো দেন এবং বিজেপির একটি বুক স্টলের উদ্বোধন করেন। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। এদিন কনভয়ে থাকা গাড়িতে এবং দলীয় কর্মীদের উপর হামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে সুকান্ত বলেছেন, “আমার দুই কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, রক্তের হিসেব আমরা বুঝে নেব। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে, বিজেপি নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে জানে। সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে আবার আমরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি করব। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই আমরা লড়ব। বার বার যদি আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়, তা হলে এ বার থেকে ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।”

    এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে

    কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে হামলা হয় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর। গুরুতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন খগেন মুর্মু। সেই ঘটনার পর এবার হামলার শিকার সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এটা নিত্যদিনের কাজ হয়ে গিয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেতাদের এই অবস্থা হলে কর্মীদের কী হবে! কেন্দ্রীয় সরকারের এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এরা থামবে না, এদের থামাতে হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলার পিছনে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় বিজেপি।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিকে গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার নদিয়া জেলার নবদ্বীপে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে তাঁর কনভয়ের একাধিক গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় বিজেপি নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপর্ণা নন্দী এবং নাদিয়া দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস আহত হয়েছেন। অর্জুন বিশ্বাস, শ্যামাপ্রসাদ বিশ্বাস এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মীরা গুরুতর জখম হয়েছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—যিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ‘অ্যান্টি-এসআইআর’ রাজনৈতিক কর্মসূচির সময় সমাজের একাংশকে উস্কে দিয়েছিলেন। এসআইআর প্রক্রিয়াকে এনআরসি বলে আখ্যা দিয়ে তিনি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “যে এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেই জেলার পুলিশ সুপার হলেন ‘কুখ্যাত আধিকারিক’ অমরনাথ কে., যিনি প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত প্রিভিলেজ কমিটির তলবেও হাজিরা দেননি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে আতঙ্কে রয়েছে। তাঁদের এই প্রতিক্রিয়াই শেষ পর্যন্ত বাংলায় তাদের বিদায়ের পথ আরও মসৃণ করবে।”

  • Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “মুসলিমদের ভয় নেই, ভারতীয়দের কেউ ছুঁতে পারবে না”, এসআইআরে অভয় বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে এসআইআর নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তীব্র ভাবে উত্তাল। তৃণমূলের তৈরি করা এসআইআর সম্পর্কিত বিভ্রান্তি আগুনে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অপর দিকে নিবিড় তালিকা সংশোধনে হিন্দুদের অভয় দিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বিজয় সংকল্প যাত্রা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ করলেন বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতা।

    চোর সরকারকে উৎখাত করবই (Sukanta Majumdar)

    এসআইআর নিয়ে কোনও ভয় নেই। চিন্তামুক্ত থাকতে বলেন রাজ্যবাসীকে। বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা বিজেপির সকল নেতৃত্ব মিলে ঠিক করেছি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোর সরকারকে উৎখাত করবই। আর তা হলেই আমাদের শান্তি হবে। নয়তো আমাদের শান্তি নেই। তৃণমূল এসআইআর নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা ভয় পাবেন না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল বলবে মুসলমানদের বাদ দিয়ে দিয়ে দেবে। আমি বলব মসুলিমদের কোনও ভয় নেই। ভারতীয় নাগরিকদের কেউ ছুঁতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে আগতদের চিহ্নিত করা হবে। ভারতীয়রা এই দেশে আছেন থাকবেন।”

    ধর্মীয় বিভাজনের চক্রান্তকে সমালোচনা করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “আমরা প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ, ওরা ছদ্মবেশী ধর্ম নিরপেক্ষ। আমরা লড়াই চাই না। নরেন্দ্র মোদি সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশ চান। সিএএতে আবেদন করে নিজেদের অধিকারকে রক্ষা করুন।”

    ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্ত মালদা জেলায় শরণার্থী হিন্দুদের কাছে বিরোধী দলনেতার গ্যারান্টি এবং আবেদন সিএএ-তে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবেদন করুন। ভোটার তালিকায় আপনার নাম থাকবে। আমি আপনাদের গ্যারান্টি থাকছি, সমস্যা হবে না। মমতা এবং তাঁর পুলিশ বলছে সিএএতে আবেদন করলে সব বন্ধ হয়ে যাবে। এটা ঠিক নয়। পেহেলগাঁওতে নিহত বিতান অধিকারীকে কেবলমাত্র হিন্দু বলেই খুন হতে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রীকে সিএএতে আবেদন করিয়ে আমরা ১৫ দিনের মধ্যে নাগরিকত্ব শংসাপত্র প্রদান করেছি।”

  • Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেব”, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেব”, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা উত্তর লোকসভার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে একযোগে ময়দানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেছে রাজ্য বিজেপি। একই ভাবে রাজ্যে লাগাতার নারী নির্যাতনের মতো ঘটনার প্রতিবাদে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সুকান্ত-শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    বদলাও হবে বদলও হবে (Suvendu Adhikari)

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলার বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পুলিশকে একমাস সময় দিয়েছি। তার মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে বিজেপি ট্রিটমেন্ট করবে। নাগরাকাটার বুকেই ট্রিটমেন্ট হবে। বিজেপিকে মারধর করে ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে না।” একই সঙ্গে মিছিলের শেষে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্যের নানা প্রান্তে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হচ্ছে অনেকেই। এই সরকার সম্পূর্ণ ভাবে আদিবাসী বিরোধী সরকার। মিছিলের শেষ মানে আন্দোলনের শেষ নয়। বদলা চাইলে বদল করতে হবে। ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদল নেবো। বদলাও হবে বদলও হবে।”

    তির-ধনুক নিয়ে মিছিল বিজেপির

    বঙ্গ বিজেপির এসটি মোর্চার ডাকে প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্বদেন বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পাশে স্বাভাবিক ভাবেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), রাহুল সিনহা, দীপক বর্মণ সহ আরও অনেকে। মহিলা নেত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আদিবাসী সমাজের অস্ত্রকে মিছিলে প্রতীকী প্রতিবাদ রূপে ব্যবহার করতে দেখাও যায়। প্রত্যেক নেতানেত্রীর হাতে ছিল তির, ধনুক। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা করে। এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। অভিযুক্তদের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়। বিজেপির স্পষ্ট দাবি অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূলের নেতা। আর তাই তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করছে না পুলিশ।

  • Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঠিক আগের মুহূর্তেই ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে পাশের হার নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এইবার টেটের ফলাফল ঘোষণায় জানা গিয়েছে পাশের হার ২.৪৭ শতাংশ। আগে পাশের হার বেশি ছিল কিন্তু এবার পাশের হার ঠিক কোন কারণে কম, তাই প্রশ্ন করেন সুকান্ত। আগে কি জল মেশানো হতো? এবার তাহলে কম হচ্ছে। যুবকদের কি মমতা সরকার চাকরি দিতে চাইছে না? অপর দিকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্‌হাকে (Chandranath Sinha) শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রেখেছে ইডির বিশেষ আদালত। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ কথা, “চন্দ্রনাথ নিয়ে আদালতের রায়ে আমরা মর্মাহত।”

    মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ফের উত্তাল। ২৪ সেপ্টেম্বরে টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে আগের বারের তুলনায় পাশের হার খুব কম। একই দিনে এবার ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ করা অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমেছেন। ২০২২ সালে টেটে পাশ করেছিলেন মোট ৫৭ হাজার। ২০২৩ সালে টেটে উত্তীর্ণদের সংখ্যা সেই বারের তুলানায় অনেক কম। এইবারে পাশের সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪ জন। মোট চাকরি প্রার্থী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৫৪ জন।

    তৃণমূলকে তোপ দেগে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই তৃণমূল সরকার রাজ্যের যুবক বেকারদের চাকরি দেবে না। ২০২২ সালে ৫৭ হাজার পাশ করল, ২০২৩-এ মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪! তাহলে কি আগে অতিরিক্ত করে পাশ করানো হয়েছিল? আগে তো অনেক বেশি করে পাশ হতো আর এবার এতো কেন কম হল? তাহলে কি আগে সবটাই দুর্নীতি করে করা হত? সরকারের মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার।” তবে তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, “তাঁর মন্তব্য অবৈজ্ঞানিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য। পাশের হার দিয়ে ফলাফল বিচার করা যায় না।”

    অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে

    ইডির বিশেষ আদালতে জামিন পেয়ে চন্দ্রনাথ (Chandranath Sinha)  বলেন, “বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি।” তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রাখাকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই ধরনের অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে তদন্ত। আদালতের রায়ে আমরা ভীষণ ভাবে মর্মাহত। কীভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে তার কারণ খোঁজ করতে হবে। আদালতের রায় যদিও বিচারাধীন বিষয় তবুও এই রায় রাজ্যবাসীর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

    তল্লাশি অভিযানে ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হেয়েছিল

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর ওপর। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে তিনি জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। নিজের বৌয়ের নামে বেনামে সম্পত্তি এবং আবাসন নির্মাণের ব্যবসা চালাতেন বলে একাধিক তথ্য আদালতে তুলে ধরেছে ইডি।

    চরম চাপে তৃণমূল

    উল্লেখ্য রাজ্যের তৃণমূল সরকার শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুর নিয়োগ, বালি-কয়লা-গরু-পাথরপাচার এবং নারী নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে চরম ব্যাকফুটে। দুর্নীতির দায়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে বন্দি। আরও একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা জেলে বন্দি বা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে তৃণমূলের দুর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ায় আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যে খুব সহজে তৃণমূল পাড় হবে না তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    Sukanta Majumdar: সুকান্তকে কেন আটকেছিল পুলিশ? কলকাতা বিমানবন্দরের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফরের দিন বিমানবন্দরে কেন আটকানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চাইল লোকসভার সচিবালয়। সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? এবার তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যকে রিপোর্ট তলব করবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ করেছে লোকসভার সচিবালয়। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে।

    সুকান্তর অভিযোগ

    ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বিমানবন্দরে প্রথম ব্যারিকেডেই তাঁর গাড়ি আটকান একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন কনস্টেবল। কিন্তু, একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুজিত বসুর গাড়িকে ৪ নম্বর ভিভিআইপি গেট দিয়ে যেতে দেওয়া হয়। কোনও বাধাই দেওয়া হয়নি। সুকান্ত চিঠিতে আরও লেখেন, তাঁকে আটকানোর কারণ জানতে চাইলে ওই পুলিশকর্মীরা জানান, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ঐশ্বর্য সাগরের নির্দেশে এই কাজ করেছেন। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, এতে স্পষ্ট যে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে আটকানো হয়েছে। স্বাধিকার ভঙ্গ ও লোকসভার মর্যাদাহানির অভিযোগ করেন তিনি। এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।

    শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে জলমগ্ন কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘শহর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের সময় নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি জানাই আমার আন্তরিক সমবেদনা।’’ সেই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে অনুরোধ করেছেন, সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু করতে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কাছেও আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দৃঢ় পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

  • Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় মঞ্চ খোলা ইস্যুতে তিনি দাবি করেছেন, প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্য নাকি তাঁকে দেখে ছুটে পালিয়েছিলেন। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র বিতর্ক। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে স্তম্ভিত কমবেশি সব মহলই। তিনি আরও বলেন, বিজেপির নির্দেশেই সেনাবাহিনী এই কাজ করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট বিবৃতি। অনেকেই বলছেন, দেশের সেনাবাহিনী আমাদের সুরক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা যেভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে, তা গোটা দেশের গর্ব। সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজন সাংবিধানিক পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কি মানায়?

    মঞ্চ খোলা ইস্যুতে সেনার বিবৃতি (Indian Army)

    ভারতীয় সেনা (Indian Army) মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগেই তাঁদের মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত করেনি উদ্যোক্তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় সেনাবাহিনী (স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ, কলকাতা) ময়দান এলাকায় দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। ৩ দিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২ দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে স্থাপন করা হয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো অপসারণের জন্য আয়োজকদের কাছে বেশ কয়েকবার অনুস্মারক পাঠানো হয়েছে কিন্তু এটি অপসারণ করা হয়নি। এরপর কলকাতা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঠামোটি সরিয়ে ফেলেছে।’’

    পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    অন্যদিকে, সেনাবাহিনীকে (Indian Army) এভাবে অপমান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি মন্তব্য করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।” সুকান্ত এই ইস্য়ুতে বলেন, ‘‘দিদি ভারতে কী করছেন? ওঁর পাকিস্তানে গিয়ে আসিফ মুনিরকে সাহায্য করা উচিত। ভারতীয় সেনা যদি দিদিকে দেখে দৌড়ায়, তাহলে ওঁর প্রয়োজন এখানে নেই, ওঁকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। দিদির অপব্যবহার হচ্ছে।’’

    দেশের সেনাবাহিনীকে চরম অপমান করেছেন, বললেন শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। আমরা সবাই জানতাম, আপনি একজন জাতীয়তাবাদ-বিরোধী। তবে যেভাবে আপনি বলেছেন, ‘ময়দানে পৌঁছানোর পর ২০০ জন সাহসী সেনা সদস্য পালিয়ে গেছেন আপনাকে দেখে’, এটা শুধু একটি বড় মিথ্যেই নয়—বরং দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি চরম অপমান। যে সেনাবাহিনীর সাহস ও আত্মত্যাগের কোনও তুলনা হয় না, যাঁরা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করেন এবং সংকটের সময় আমাদের সুরক্ষা দেন, তাঁদের নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করা লজ্জাজনক।”

    ক্ষমতার লোভে অন্ধ মমতা

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ময়দানে তৃণমূলের অস্থায়ী কাঠামো এক মাস ধরে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী (Indian Army) বারবার তা সরানোর কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ‘উদ্যোক্তা’র পরিচয় দিয়ে কখনোই সেই কাঠামো সরায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এখন নিজের মুখ রক্ষার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছেন। এটা নিছক নির্লজ্জতা। ক্ষমতার লোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতটাই অন্ধ করে দিয়েছে যে তিনি দেশের জওয়ানদের অসম্মান করছেন। এটা শুধু সেনাবাহিনীর নয়, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অপমান। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অপমানজনক মন্তব্য দেশের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করছে।”

    ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির কাছে তৃণমূলের মঞ্চ খুলতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঞ্চের ত্রিপল, বাঁশ ইত্যাদি খুলে সরিয়ে ফেলা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন, ‘‘বিজেপির কথায় চলছে সেনাবাহিনী। সেনাকে দিয়ে কাজ করালে দেশটা কোথায় যাবে? সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। যখন বিজেপি থাকবে না তখন পালাবে কোথায়? আমরা শনি-রবিবার কর্মসূচি করি। আমরা টাকাও দিয়েছি। আপত্তি থাকলে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারত। রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এই ঘটনার তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।’’

  • SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি দাগি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার (Trinamool Congress)। তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তা একপ্রকার দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কে নেই সেই তালিকায়! বিধায়কের পুত্রবধূ থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীদের আত্মীয়। যেমন ধরুন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ রয়েছেন তালিকার ১২৬৯ নম্বরে। একইভাবে ‘অযোগ্য’ তালিকায় (SSC) নাম আছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের। তাঁর নাম রয়েছে ৬৪৭ নম্বরে। তালিকার পাতা উল্টাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলার চিত্র একই রকম। সব জায়গাতেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি।

    বিজেপির আক্রমণ (SSC)

    এই ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘একটা চাকরিও কোনও নির্বাচিত সরকার অবৈধভাবে দিতে পারে না। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোটা ভারতবর্ষের সামনে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছে। আজ যাঁরা দাগি বলে চিহ্নিত হলেন, তাঁদের থেকেও মহাদাগি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘এই দাগিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছেন। কারও গয়নাগাটি, কারও জমি বিক্রি হয়েছে, আবার কারও গরু-বাছুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চাকরি পাওয়ার জন্য (SSC)।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা খোঁচা, ‘‘অযোগ্যরা এবার তালিকা প্রকাশ করুন, কোন কোন তৃণমূল নেতাকে কত টাকা দিয়েছেন।’’

    তালিকায় তৃণমূলের রমরমা (SSC)

    এসএসসি-র ‘অযোগ্য’ তালিকায় একের পর এক তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। তালিকার ১৩৬০ নম্বরে আছেন শতাব্দী বিশ্বাস, যিনি নিউ বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না বিশ্বাসের কন্যা। অযোগ্য তালিকায় নাম উঠেছে হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য বিভাস মালিক এবং তাঁর স্ত্রী সন্তোষী মালিকের। তাঁদের নাম যথাক্রমে ৩১৬ ও ১৩৩২ নম্বরে। হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা, এবং খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি নইমুল হক ওরফে রাঙার স্ত্রী নমিতা আদককেও ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসএসসি। বারাসাত ১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইশা হক সর্দারের ছেলে মহম্মদ নাজিবুল্লা রয়েছেন তালিকার ৭৯১ নম্বরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ১০ নম্বর জলচক অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি অজয় মাঝি আছেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকার ৩৯ নম্বরে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী রয়েছেন তালিকার ১০৪ নম্বরে। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কন্যা রোশনারা বেগমকেও চিহ্নিত করা হয়েছে ‘অযোগ্য’ হিসেবে। তালিকায় নাম রয়েছে কবিতা বর্মণের, যিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। মালদার মোথাবাড়ির তৃণমূল নেতা সামসুদ্দিন আহমেদের নামও রয়েছে এই তালিকায়। নাম রয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ এলাকার তৃণমূল নেত্রী সন্ধ্যা মণ্ডলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।

  • Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মেডিক্যালে ভর্তি বন্ধের বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যে এমবিবিএস-এর প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া (West Bengal)। একই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডেন্টালে ভর্তি। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার বিজ্ঞপ্তি। জানা যাচ্ছে, ওবিসি জটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিজের সামাজিক মাধ্যমে সুকান্তবাবু লিখেছেন, রাজ্যে মেডিক্যালে ভর্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। হঠাৎ করেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি ‘জরুরি বিজ্ঞপ্ত’রি করে অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিক্যাল-ডেন্টাল কাউন্সেলিং ও ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে রাজ্যের হাজার হাজার মেডিক্যালপ্রার্থী ও তাঁদের অভিভাবকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন (Sukanta Majumdar), রাজনীতির জন্য এক নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে তুষ্ট করতেই কি কাউন্সেলিং বন্ধ করে দেওয়া হল? সংরক্ষণের নামে কোনও বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কি এই পদক্ষেপ? তাঁর কটাক্ষ, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরীক্ষায় সফল ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

    মমতা সরকারকে আক্রমণ শুভেন্দুর (West Bengal)

    সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ এবং জয়েন্ট ফল না প্রকাশ করার ইস্যুতে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে তিনি বলেন, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।” তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি (OBC) তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে।

    উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে (Sukanta Majumdar)

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের এমন বিজ্ঞপ্তির ফলে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কতদিন এভাবে চলবে, এনিয়েও উঠছে প্রশ্ন, এবং তাদের বছর নষ্ট হবে কিনা, সে আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। তবে এখনও পর্যন্ত কী কারণে স্বাস্থ্য ভবন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করে বলা হয়নি। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, সপ্তাহখানেক আগেই এমবিবিএস ও বিডিএস (বিডিএস মানে ডেন্টাল)-এর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের কাজ রবিবার রাতেই মিটে গিয়েছিল। বুধবারেই এর ফল প্রকাশের কথা ছিল, অর্থাৎ ২০ অগাস্ট। জানা যাচ্ছে, এ রাজ্যে পাঁচ হাজারের বেশি আসন রয়েছে, যেখানে পছন্দের ভিত্তিতে নাম দাখিলের হিসেবে যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন ইতিমধ্যে ১১ হাজার পড়ুয়া। কিন্তু এর ঠিক পরেই স্থগিত করে দেওয়া হয় কাউন্সেলিং।

    অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন?

    এর ফলে একেবারে অনিশ্চয়তা শুরু হয় ১১ হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে। মেডিকেল পড়ুয়াদের ভর্তি থেকে শুরু করে বার্ষিক যে পরীক্ষা—সেটা সমস্তটাই সারাদেশের এনএমসির একটি গাইডলাইন মেনে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। এর জন্য দায়ী স্বাস্থ্য ভবন, কারণ গোটা দেশের সঙ্গে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। ভর্তি প্রক্রিয়াতে অচলাবস্থা। এই আবহে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অনেক মেধাবী পড়ুয়া রাজ্যের বাইরে পা বাড়াবেন, এবং রাজ্যের বাইরে কোনও জায়গায় তারা ভর্তি হবেন। অন্যদিকে জয়েন্টের ফল কবে প্রকাশ হবে? সে প্রশ্নেরও উত্তর মিলছে না। কারণ, ওবিসি জটিলতা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে পুরোটাই এখন অন্ধকারে চলছে।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’’, চাকরিহারা শিক্ষক সুমনের গ্রেফতারিতে গর্জে উঠলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি ভবন অভিযানের আগেই চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে আটক করার ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন বিরোধী দল বিজেপির নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুমন বিশ্বাসের আটককে ‘ব্রিটিশ আমলের দমন-পীড়ন’ বলে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। অনেকেই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আসলে দুর্নীতিগ্রস্তদের পক্ষে, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এরকম নির্লজ্জ এবং দু’কানকাটা সরকার এবং প্রশাসন আমরা আগে কোনও দিনও দেখিনি। যেভাবে এই ২৬ হাজার লোকের চাকরি গেল, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের লোভের জন্য, লালসার জন্য। এদের উচিত ছিল মাথা নিচু করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। এই যে একের পর এক শিক্ষকের অবস্থা খারাপ হচ্ছে, একজন আদিবাসী শিক্ষকের মৃত্যু ঘটল, আমার মনে হয় এটা মার্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক মার্ডার। সেই ভদ্রলোকের জীবন যাওয়ার পরেও যখন যোগ্য শিক্ষকরা তাঁদের চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য যখন আন্দোলনে নেমেছেন, সেই গণতান্ত্রিক শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে যেভাবে এই সরকার দমন-পীড়ন করছে, ব্রিটিশ আমলে স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্দোলনকে এভাবে দমন-পীড়ন করা হত। স্বাধীনোত্তর ভারতে এ ধরনের দমন-পীড়ন আমরা দেখিনি।”

    ভোরেই সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ

    প্রসঙ্গত, এদিনই এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড় অংশ। অভিযানের শুরু হওয়ার আগেই আটক করা হয় চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে (Suman Biswas)—এমনই অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে সুমন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ জানিয়েছে, তাঁকে আটক করা হয়েছে। এর আগে আজ ভোরেই আন্দোলনের অন্যতম আহ্বায়ক সুমন বিশ্বাসের ব্যান্ডেলের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। তাঁর পরিবার বলছে, ‘ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশ এসে বাড়িতে তল্লাশি চালায়,’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলেছে সুমনের পরিবার “চাকরি না পেয়ে প্রতিবাদ জানানো কি অপরাধ?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাসের ভাই

    সুমন বিশ্বাসের ভাই সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “দাদার এক বন্ধু ফোন করলেন। আদিসপ্তগ্রামে বাড়ি। তাঁর সঙ্গে হয়ত দেখা করে কলকাতা যাওয়ার ভাবনা-চিন্তা করেছিলেন। তিনি হয়ত যেতে দেননি। সে ব্যাপারটা আমি বলতে পারব না। কারণ, কাল রাতের পর আর ফোন হয়নি দাদার সঙ্গে। এখন এই মুহূর্তে খবর পেলাম, আদিসপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে দাদা হয়ত আন্দোলনের জন্য যাচ্ছিলেন ট্রেন ধরবে বলে। তখন এসে ধরল। যখন ধরছে দাদাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। সুমন বিশ্বাসকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। যখন জিজ্ঞাসা করছে, আপনার কোন থানা থেকে? কোনও সদুত্তর না দিয়ে তুলে নিয়ে চলে গেল। এবার কোন থানায় গেছে, আমার দাদার বন্ধু এখন বিভিন্ন থানায় বাইক নিয়ে ঘুরছে, কোন থানায় নিয়ে গেল। আমরা কি করব? ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে যোগ্য চাকরি পাওয়াটা কি তাঁর অপরাধ? আমরা কার কাছে যাব? এই সরকারের কর্মচারী হয়ে যদি এই সরকারের কাছে ধর্ষিত হতে হয় তাহলে আমরা কোথায় যাব?”

    কী বলছেন সুমন বিশ্বাস (Suman Biswas)?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বাতিল হয়েছে ২০১৬-এর এসএসসির গোটা প্য়ানেল! চাকরি হারিয়ে রাস্তায় বসেছেন যোগ্য শিক্ষকরাও। এই আবহেই যোগ্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে সোমবার ১৭ অগাস্ট এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেয় চাকরিহারা শিক্ষকদের একটা বড়ো অংশ। সুমন বিশ্বাস বলছেন, “বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে বলা হয়েছে কারা নাকি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করতে চায়। এই ধরনের কোনও বক্তব্য়ের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। এসএসি ভবন অভিযান হবেই। শেষ সময় পুলিশ প্রশাসন ভয় পেয়ে আমাদের আন্দোলনকে ভেঙেচুরে তুবড়ে দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা করছে কি না সেটা সময় বলবে।” শুধু সুমন বিশ্বাসই নন, এসএসসি অভিযানে যোগ দিতে আসা আরও দুই চাকরিহারাকেও করুণাময়ী থেকে আটক করেছে পুলিশ। চাকরিহারাদের একের পর এক আটক ও গ্রেফতারের ঘটনায় আন্দোলনকারীরা সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হবে। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন—সোমবার আন্দোলন স্থগিত থাকলেও তাঁরা নিজেদের দাবি থেকে এক ইঞ্চিও সরবেন না।

LinkedIn
Share