Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানালেন তিনি। অপর দিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য করে মমতাকে বলেন, “বিজেপি চুপ করে থাকবে না, শুধরে যান।”

    কী লিখেছেন চিঠিতে শুভেন্দু (Post Poll Violence)?

    রাজ্যের তৃণমূল একক ভাবে আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে জেলায় জেলায় সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুভেন্দু ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান রাজ্যপালকে। হিংসা কবলিত স্থান দ্রুত পরিদর্শন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা লেখেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে চিঠি সম্পর্কে লিখেছেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলা চালানো এখন পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন বিজেপি কর্মীদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল, একই ভাবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। যে গুন্ডারা বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি।”

    ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত?

    ফল প্রকাশের পর থেকে এই রাজ্যের জেলায় জেলায় হিংসা (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার থেকে ক্যানিং পর্যন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না৷ তাই ওদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। বিজেপি কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে জবাব দেবে, তখন কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। মমতা আপনি নিজে ২৯টা আসন পেয়েছিলেন। আপনিও একদিন বিরোধী ছিলেন। আপনার কাছে মাত্র ১টি আসন ছিল। তবে বিজেপির কাছে ১২ জনকে সাংসদ রয়েছে। আপনি প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদেরকে হারানোর অপচেষ্টা করেছেন। জেলাশাসককে চাপ দিয়েছেন আরেকবার গণনা করার জন্য। আপনি শুধরে যান। এখনও সময় আছে। আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা করা উচিত। কারণ তাঁরা বিজেপির ভোটার হলেও, আপনার রাজ্যের নাগরিক।”

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    সন্দেশখালিতে বাধা সুকান্তকে

    রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) বাদ গেল না উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাঁর বামুনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম। খবর শোনার পর আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে যান সুকান্ত। তাঁকে দেখে তাঁর গাড়ি আটকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকরা। একই সঙ্গে জয় বাংলা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। এরপর প্রশাসনের তৎপরতায় সঙ্গে সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের গাড়িগুলিকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: “পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি”, ভোটে হেরে বললেন দিলীপ ঘোষ

    Election Result 2024: “পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি”, ভোটে হেরে বললেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই বার বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল ১৮টি আসন। এইবারে ২০২৪ সালে নিজের জেতা কেন্দ্র মেদিনীপুর ছেড়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে ভোটে হেরেছেন (Election Result 2024) তিনি। বিজেপি পেয়েছে ১২টি আসন। নিজে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমি লড়াই করেছি, পরিশ্রম করেছি, সফল হতে পারিনি।” অপরে বর্তমান বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “পার্টির মধ্যে অবশ্যই আলোচনা করব। রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায় তো আমারই। কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্যই হয়তো হেরে গেলেন দিলীপদা।”

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Election Result 2024)?

    নিজের কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে হেরে (Election Result 2024) গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যখন বিজেপিতে আসি তখন পার্টি নতুন ছিল, আমি নতুন ছিলাম। কিন্তু পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এখন সারা ভারতে বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি সামনে ছিলেন, তাঁর ফলও আগের মতো ভাল হয়নি। আমি লড়াই করেছি, পরিশ্রম করেছিল। সফল হতে পারিনি, এটাই বলব। রাজনীতিতে ওঠানামা চলতে থাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি কোথায় ছিল, নীচে চলে গিয়েছিল। আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন, সরকারও গঠন করেছেন। লোকসভায় হেরেছেন, আবার উঠেছেন। আপডাউন মেনে নিতে হবে। বিশ্লেষণ করতে হবে। তবে পার্টির ভূমিকা থাকে। কিন্তু কার ভূমিকা ছিল আমি জানি না। পার্টি বলেছে আমি শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মী। আমাকে পার্টি নির্বাচনে লড়াই করতে বলেছে। আমি লড়াই করেছি।”

    আরও পড়ুনঃপুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    কী বললেন সুকান্ত

    বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট কেন্দ্রের জয়ী সাংসদ বিজেপির ফলাফল (Election Result 2024) নিয়ে বলেছেন, “পার্টির মধ্যে অবশ্যই আলোচনা করব। রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায় তো আমার রয়েছে। তবে সব সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারিনি। কিন্তু দায় তো আমাকেই নিতে হবে। আমি পিছু পা হব না। সিদ্ধান্ত হয়তো অন্য কেউ নেবে। তবে দায় আমাকেই নিতে হবে। আমার বিশ্বাস ছিল দিলীপদা জিতে যাবেন। তিনি আমাদের সকলের নেতা। আমরা সকলকে শ্রদ্ধা করি। তাঁর কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্যই হয়ত হেরে গেলেন।” আবার নিশীথ প্রমাণিকের হার সম্পর্কে বলেছেন, “কোনও কারণে হয়তো হেরে গিয়েছেন, তবে ভেবে ছিলাম জয়ী হবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্গণনা ধোপে টিকল না। বালুরঘাটে জয়ের ধারা বজায় রাখল বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হলেন। যদিও তাঁর এই জয় নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর টালবাহানা হয়েছে। তৃণমূলের নির্দেশ মেনে ফের গণনা হয়েছে। তবে, শেষ হাসি হেসেছেন সুকান্ত।

    পুনর্গণনার পরও জয়ী হলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বালুরঘাট লোকসভা আসনে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সারাদিন চলছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। মোট ১৮ রাউন্ড গণনা হয়েছে। ১৮ রাউন্ড গণনা শেষে ১০ হাজার ৩৮৬  ভোটে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রশাসন থেকে প্রার্থীদের ভোটের সংখ্যা ঘোষণা করেন। তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৫৬৪৬১০। আর বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৫৭৪৯৯৬ । রাত এগারোটার পর গঙ্গারামপুর বিধানসভার ২৫টি বুথে পুনর্গণনা চেয়েছিল তৃণমূল। সেখানে দশটা বুথে পুনর্গণনা শুরু হয়। তৃণমূলের দাবি, এই বিধানসভা এলাকায় ভালো ফল করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। রাত এগারোটার পর শুরু হয় পুনর্গণনা। রাত প্রায় দেড়টার দিকে জয়ী ঘোষণা করা হয় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে। সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। কাউন্টিং সেন্টার ছাড়ার আগে তিনটি বিধানসভা এলাকার সমস্ত ইভিএম পরীক্ষা করার দাবি তোলেন তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। সুকান্ত মজুমদার জয়ের পর কাউন্টিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে এই জয়কে জেলার মানুষের উদ্দেশ্যে সমর্পণ করেন।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    বালুরঘাটে আরও উন্নয়ন করব

    সুকাম্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) জয়ের পর আবির খেলে ও বাজি ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। জয়ের পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম আমি জিতব। আর জিতলামও। আমার এই জয় জেলার মানুষের জন্য। আমার জয় দেখে তৃণমূল পুনর্গণনা করেন। গভীর রাত পর্যন্ত পুনর্গণনা হবার পরও আমি ১০ হাজার ৩৮৬  ভোটে জয়ী হয়। আমি আমার এই লোকসভাতে আরও উন্নয়ন করব।

    ইভিএমে কারচুপি!

    এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, রাজনীতিতে হার জিত থাকবে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে তপন, গঙ্গারামপুর, বালুরঘাট এই তিনটি বিধানসভার ইভিএম পরীক্ষা করার দাবি তুলছি। আমার মনে হয়, এই ইভিএমগুলিতে কোনও কারচুপি করে রেখেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর জয়! আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করলেন বিজেপি কর্মীরা

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর জয়! আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করলেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) জয় নিয়ে দিনভর টানাপোড়েন চলল। রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রে ফল ঘোষণা করা হলেও এই কেন্দ্রে অজানা কারণে রাত দশটা পর্যন্ত ফল ঘোষণা করেনি প্রশাসন। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী।

    সুকান্তর জয়! আবির মেখে বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করলেন বিজেপি কর্মীরা (Sukanta Majumdar)

    এদিন গণনার প্রথমদিকে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এগিয়ে থাকলেও পরে তৃণমূল প্রার্থী এগিয়ে যান। পঞ্চম রাউন্ড শেষে বালুরঘাট লোকসভা আসনে ২ হাজার ৪৮১ ভোটে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তারপর নবম রাউন্ডে বালুরঘাট লোকসভা আসনে দশ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। রাত দশটা নাগাদ ১৮ রাউন্ড শেষে প্রায় ১০ হাজার ভোটে সুকান্ত এগিয়ে রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার জয়ী হয়ে গিয়েছে ভেবে এদিন বিকেলের দিকে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা নরেন্দ্র মোদির মুখোশ পরে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেন। গোটা জেলার মানুষ মেতে ওঠেন জয়ের উল্লাসে।

    আরও পড়ুন: তমলুকে জয়ী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কাঁথিতেও ফুটল পদ্ম, ব্যাপক উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের

    প্রশাসন হারানোর চক্রান্ত করছে

    এদিকে গণনা হয়ে যাওয়ার পরেও শংসাপত্র দিতে দেরি করছে জেলা প্রশাসন। এমনই অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে যেহেতু বালুরঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস জিতে গেছে বলে ঘোষণা করেছেন, সেই কারণেই প্রশাসন আমাকে শংসাপত্র দিতে গড়িমসি করছে। আমাকে নানা কৌশলে হারানোর চক্রান্ত করছে। তবে, দলীয় এজেন্টের মাধ্যমে যে সব প্রাপ্ত রেজাল্ট সিট আমার কাছে এসেছে, তাতে আমি জয়লাভ করেছি। প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন করছি, দ্রুত গণনা শেষ করে জয়ের সার্টিফিকেট আমার হাতে তুলে দেওয়া হোক। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, আমরাই জিতব। আর নরেন্দ্র মোদি হবেন প্রধানমন্ত্রী। সুকান্ত মজুমদারের জয় নিশ্চিত। তাই আমরা সেই আনন্দে আবির ও বাজি ফাটিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনা কেন্দ্রে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গণনা কেন্দ্রে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রায় এক মাসের বেশি সময় বালুরঘাট কেন্দ্রে ইভিএমগুলি স্ট্রংরুমে বন্দি রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা  এতদিন রাত পাহারায় ছিলেন পালা করে। মাঝে একাধিকবার তৃণমূল প্রার্থী এসে ঘুরে গেছেন স্ট্রংরুম। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তিনি ভোটের পর আর স্ট্রংরুমে আসতে পারেননি। রবিবার রাতে তিনি স্ট্রংরুমে যান। কথা বলেন, নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে এবং দায়িত্বে থাকা বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে।

    গণনা কেন্দ্রে সিসিটিভির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন (Sukanta Majumdar)

    বালুরঘাট কলেজে স্ট্রংরুমে ইভিএম কতটা সুরক্ষিত রয়েছে তা দেখতে বিজেপি প্রার্থী বালুরঘাট কলেজে পৌঁছান। যদিও স্ট্রংরুম পর্যন্ত তিনি যাননি। সিসিটিভি দেখেই তিনি স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সিসিটিভি ঠিকমতো কাজ করে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা রেখেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, গণনার দিন তৃণমূল গোলমালের চেষ্টা করতে পারে। তবে, তাতে কোনও কাজ হবে না। কারণ, বিজেপি স্ট্রং রয়েছে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। অপরদিকে, মানুষের রায় বিজেপির দিকে গিয়েছে বলেই তিনি জানান। তিনি বলেন, আর ভোট পরবর্তী  হিংসার ঘটনা ঘটেই  চলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এক মাস রাখতে হবে বলে কমিশনে জানিয়েছি।

    আরও পড়ুন: “স্বামীকে বেধড়ক মারল তৃণমূল, মাথা ফাটিয়ে দিল আমার,” মুখ খুললেন বিজেপি কর্মীর স্ত্রী

    গণনা কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনে সুকান্ত

    বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, গণনা কেন্দ্রের সামনে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং গেটের সামনে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য কমিশনে জানিয়েছি। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুনর্নির্বাচনেও অশান্তি। বারাসতের কদম্বগাছিতে উত্তেজনা। বিজেপি নেতা গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল জানে তারা ভোট লুট ও গন্ডগোল ছাড়া তারা জিততে পারবে না। বিস্তীর্ণ এলাকা কাকদ্বীপ,কদম্বগাছি এই সব জায়গায় তৃণমূল অভয়ারণ্য করে রেখেছে। ইচ্ছে মতো ভোট লুট করছে।

    কাউন্টিং এজেন্টদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার!

    গণনা প্রস্তুতি নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেনা, গণনা নিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আমরা শুধু একটি বিষয় নিয়ে চিন্তিত আছি। বিভিন্ন জায়গায় কাউন্টিং এজেন্টদের বিভিন্ন মিথ্যে মামলা দিচ্ছে এবং পুরোনো কোনও মামলা দিয়ে তাঁদেরকে গণনার আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই রকম চেষ্টা পুলিশের পক্ষ থেকে চলছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচনা কমিশনকে জানিয়েছি। আমরা খবর পেয়েছি, আই প্যাকের লোকজন কাউন্টিং এজেন্ট হয়ে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারে। এই বিষয়টিও কমিশনকে জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    CAA: “মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম”, নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে বললেন নিউ বারাকপুরের দেবপ্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বুধবার থেকে নাগরিকত্ব (CAA) শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও অনেকে নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। যাঁরা শংসাপত্র পেয়েছেন, তাঁরা মূলত নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা।

    রাজ্যে প্রথম দফায় ৮ জন নাগরিকত্ব পেয়েছেন (CAA)

    শেষ দফায় বারাসত, বসিরহাট, দমদম, জয়নগরের মতো আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। এই সব কেন্দ্রে মতুয়া পরিবারের বসবাস রয়েছে। যাদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বুধবার এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি প্রথম দফার যোগ্য আবেদনকারীদের নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করেছে। যোগ্যদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় মোট ৮ জন নাগরিকত্ব (CAA) পেলেন। তারমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৭ জন রয়েছেন। আর নদিয়া জেলায় একজন রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কেরলে ঢুকে পড়ল বর্ষা, কয়েক দিনেই পৌঁছবে উত্তর-পূর্ব ভারতে

    প্রথম দফায় কারা পেলেন নাগরিকত্ব

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ৭ জন রয়েছেন। এরমধ্যে মৃণালকান্তি দাস ও তাঁর স্ত্রী শর্বরী দাস রয়েছেন। তাঁদের বাড়ি উত্তর দমদম পুরসভার বিরাটি। অনলাইনে কিছুদিন আগেই তিনি আবেদন করেছিলেন। বুধবারই নাগরিকত্ব পাওয়ার কাগজ তাঁরা হাতে পান। নিউ বারাকপুর লেলিনগড় এলাকার বাসিন্দা দেবপ্রসাদ গায়েনও বুধবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পেয়েছেন। গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর কেষ্টনগরের বাসিন্দা শান্তিলতা বিশ্বাস বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের কাগজ হাতে পান। এছাড়া নাগরিকত্ব পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন অনির্বাণ নন্দী, নিলয় ঘোষ এবং অর্ণব ঘোষ। প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। আর নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ভীমপুর আশানগরের বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডলও বুধবার নাগরিকত্বের (CAA) কাগজ হাতে পেয়েছেন।

    মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানালেন সকলেই

    দেবপ্রসাদ গায়েন নামে এক যুবক বলেন, ১৫ দিন আগে আমি অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। বুধবার আমি কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। এতদিন পর এই দেশের নাগরিক (CAA) হতে পেরে আমরা চরম খুশি। মোদিজি যে গ্যারান্টি দেন, তা রাখেন। আমাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনা তাঁর জ্বলন্ত উদাহরণ। মোদিজিকে শতকোটি প্রণাম জানাই। আমি সকলকেই বলতে চাই, যাঁরা এখনও সিএএ নিয়ে ভাবছেন, তাঁরা অনলাইনে আবেদন করুন। মোদিজির ওপর ভরসা রাখুন, হতাশ হবেন না। ঠাকুরনগরের বাসিন্দা তারক বিশ্বাস বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে আবেদন করেছিলাম। স্ত্রী কাগজ হাতে পেয়ে গিয়েছে। আমি খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব। শান্তনু ঠাকুর আর নরেন্দ্র মোদিকে হাজার কোটি প্রণাম জানাই। তাঁদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব আমরা।

    মমতাকে আক্রমণ করলেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যে কবে থেকে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট সিএএ (CAA) রূপায়ণ হতে দেব না বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যতই দাবি করুন না কেন, তিনি যে এ বিষয়ে কিছু করতে পারবেন না তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এক-এক করে যারা আবেদন করেছেন তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গণনাকেন্দ্রে ১০ ঘণ্টা কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনাকেন্দ্রে দশ ঘণ্টা মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে। এই ১০ ঘণ্টা দলীয় কর্মীদের। সেই সময় অন্য কিছু করা যাবে না। এমনকী দরকার হলে জল- বিস্কুট খেয়ে পড়ে থাকতে হবে। এমনই নির্দেশ দলীয় কর্মীদের দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    আগামী ৪ জুন লোকসভা আসনের গণনা। বালুরঘাট কলেজে করা হয়েছে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের স্ট্রংরুম। সাতটি বিধানসভার ইভিএম রাখা হয়েছে সেখানে। এবারে প্রায় ১৮ রাউন্ড ভোটগণনা হবে। প্রায় প্রত্যেক রাউন্ডে ১৪টি টেবিলে গণনা হবে। এই গণনাকেন্দ্রের অন্যতম বড় ভূমিকা দলীয় কাউন্টিং এজেন্ট। বিজেপির তরফে ১১০জন কাউন্টিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। তবে, এবারের গণনাকেন্দ্রে যারা ইংরেজি জানেন ও অঙ্কে সাবলীল তাঁদেরকে কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে রাখছে বিজেপি। বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দলীয় নেতৃত্ব ও কর্মীদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যেখানে সুকান্ত’র পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্য বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীরা। সেখানেই সুকান্ত দলীয় কর্মীদের গণনাকেন্দ্রের কাজ কী, তা খাতায় কলমে শেখান।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    গণনাকেন্দ্রে কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নিদান দিলেন সুকান্ত

    বৈঠকে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কথা অনুযায়ী এবারে প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে গণনা হবে। এই ১০ ঘণ্টায় কোনওভাবেই কাউন্টিং হল ছাড়া যাবে না। প্রয়োজনে চকোলেট ও জল খেয়ে মাঠে পড়ে থাকতে। বিগতদিনে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল গণনাকেন্দ্রে গন্ডগোল করার চেষ্টা করেছিল। এমনকী ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল গণনাকেন্দ্রের ব্যালট বক্স লুট করেছিল। তাই এবার সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। মাটি কামড়ে আমি ও দলীয় কর্মীরা গণনাকেন্দ্রে পড়ে থাকব।’ যদিও তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, ‘গণনাকেন্দ্রে কারচুপি তৃণমূল নয়, বিজেপি করে। এরা ইভিএমেও কারচুপি করে। হেরে গেলে তখন তৃণমূলের উপর দোষ চাপায় বিজেপি। এটা ওদের পুরানো অভ্যাস।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর সন্ন্যাসীদের অপমান করার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর সন্ন্যাসীদের অপমান করার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের গণনা। সেই গণনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদেরকে নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত গণনার প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার এই বৈঠক করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসক তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী আধিকারিক বিজিন কৃষ্ণা এদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের আত্রেয়ী মিটিং হলে এই বৈঠক হয়। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার এই বৈঠকের যোগ দেওয়ার জন্য এদিন কলকাতা থেকে বালুরঘাটে আসেন।

    গতবারের তুলনায় এবার লিড আরও বাড়বে! (Sukanta Majumdar)

    কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মূলত গণনাকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি আগে থেকেই শুরু করেছি। একবার ঝালিয়ে নেওয়া সব ঠিকঠাক আছে কিনা। এবার লিডের পরিমাণটা যেন গতবারের থেকে বাড়ে। গতবার তো ৩৪ হাজার লিড পেয়েছিলাম, এবার যেন তার থেকে বেশি লিড পায়। সেই জন্য এই বৈঠক। পাশাপাশি এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করা হল। এদিন জেলাশাসক সব দলের প্রার্থীদেরকে নিয়ে বৈঠক করেন। আমি বৈঠকে যোগ দিয়ে গণনা কেন্দ্রের কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বললাম।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    বাংলাদেশের সাংসদ খুনের তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় এজেন্সি!

    কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে খুন বাংলাদেশের সাংসদ। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যের ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি ভয়ঙ্কর জায়গায় আছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি চিন্তিত। বাংলাদেশের সাংসদের খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, রাজ্য গোয়েন্দার ব্যর্থতার কথা। বিদেশের অতিথিদের সুরক্ষা দিতে না পারা এবং রাজ্য গোয়েন্দারা কোনও খোঁজ খবর রাখে না, এই ঘটনায় সেটাই প্রমাণ করছে। বিদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধি একজন সাংসদ তার সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ পুলিশ। তাহলে রাজ্যের নাগরিকদের কি সুরক্ষা দেবে। দ্রুত খুনের কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশের উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া।

    ষষ্ঠ দফার ভোট নিয়ে সরব

    রাত পোহালেই বাংলায় ষষ্ঠ দফার ভোট জঙ্গলমহল সহ উত্তপ্ত নন্দীগ্রামও। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে কি না  সেতো ভোটের দিন দেখা যাবে। কিন্তু, বাস্তবিকতা এইটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছভাবে নির্বাচন করানোর। যদি তারা না পারে তাহলে নির্বাচন কমিশন থাকা, না থাকা একই ব্যাপার হল। নির্বাচন কমিশনকে কড়া হাতে এই দুষ্টদের দমন করতে হবে। যতই গুন্ডামি করুক সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রী সন্ন্যাসীদের অপমান করেছেন

    বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের উদ্যোগে সাধু সন্তদের খালি পায়ে স্বাভীমান যাত্রা। সনাতনীদের অপমানের প্রতিবাদ। এখনও ক্ষমা চাইলেন না মমতা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ধর্মের সন্ন্যাসীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, হিন্দুরা একত্রিত হয়ে ভোট দেয় না। এইটা যদি ইসলাম সমাজের কিছু হতো তাহলে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিতেন, কারণ তিনি জানেন ইসলাম গুরুর কথায় মুসলিমরা একত্রিত হয়ে ভোট দেয়। তাই, মুখ্যমন্ত্রী সন্ন্যাসীদের অপমান করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন”, রোড শোয়ে ভিড় দেখে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে  অর্জুন সিং জয়ী হয়ে দিল্লি যাবেন। ভোটের ফলাফলের পর আওয়াজ বন্ধ হবে অভিষেকের দাবি সুকান্ত মজুমদারের। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন, তারপরেই বারাকপুর কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রচারে ঝড় তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এমনিতেই এই লোকসভায় তৃণমূল বিজেপি, বাম সকলেই চুটিয়ে প্রচার করছে। বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর পর আবারও প্রার্থীর প্রচারে এলেন হেভিওয়েট নেতা।

    অর্জুনের সমর্থনে রোড শো (Sukanta Majumdar)

    বারাকপুরের দলীয় প্রার্থী অর্জুন সিংকে সঙ্গে নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে চেপে রোড শো করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি দলীয় প্রার্থীকে পাশে নিয়ে পলতা বাসস্ট্যান্ড থেকে রোড-শো শুরু করেন। এরপর ঘোষপাড়া রোড ধরে লালকুঠি,বারাকপুর স্টেশন হয়ে এস এন ব্যানার্জ্জী রোড ধরে চিড়িয়া মোড়ে গিয়ে রোড শো শেষ করেন। এদিন রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়ে। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পলতা, বারাকপুর সর্বত্র রাস্তায় জনগনের ভিড়ের কারণে রাস্তায় যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতবেন অর্জুন

    বর্নাঢ্য মিছিল শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, রোড শোয়ে ভিড় উপচে পড়েছে। এর থেকেই প্রমাণ গতবার অর্জুন সিং ১৪ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। এবার ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করে অর্জুন সিং দিল্লি যাবেন। রাজ্য সভাপতি দাবি, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এখন বড় বড় কথা বলছেন। ভোটের ফলাফল বের হলে তাঁর মুখ দিয়ে আওয়াজ বের হবে না। কারণ, মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফল, বের হলেই তা টের পাবে। তাছাড়া রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিশানায় অনেক ধেঁরে ইঁদুর আছে। তার মধ্যে একটা মোটাসোটা ইঁদুর এবার জেলে যাবে। তবে,সেটা কে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তাঁর কথায়,বাংলায় তৃণমূল সরকার আর থাকবে না। শীঘ্রই বিদায় নেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “৩০ এর বেশি সিট পেলে ছমাসের মধ্যে নবান্নে বসবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী”, ঘোষণা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “৩০ এর বেশি সিট পেলে ছমাসের মধ্যে নবান্নে বসবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী”, ঘোষণা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ এর বেশি সিট পেলে ছমাসের মধ্যে নবান্নে হবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। সাগরের জনসভায় জানালেন সুকান্ত মজুমদার। বুধবার বঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন বঙ্গে এসে তিনি মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেছেন। বুধবার মোট তিন জায়গায় রয়েছে তার প্রচার। তিনি প্রথম সভা করেন গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) হরিণবাড়িতে, এরপর দ্বিতীয় সভা করেন পাথরপ্রতিমায় ও তৃতীয় সভা করেন কুলপিতে। কিন্তু মথুরাপুর লোকসভার প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে প্রথম সভা গঙ্গাসাগর থেকেই চমকপ্রদ ঘোষণা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    সুকান্ত মজুমদারের ঘোষণা (Sukanta Majumdar) 

    এদিন সভা থেকে সুকান্ত মজুমদার জানান লোকসভাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তিরিশটার বেশি যদি বিজেপি প্রার্থী জেতে, তবে আগামী ছমাসের মধ্যে নবান্নে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসবে। আর বিজেপি যদি না জিততে পারে তাহলে সাগরকে (Gangasagar) সন্দেশখালি করে তুলবে। বিজেপি সরকার গঠন করলে ৩০০০ টাকা করে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার প্রদান করব। ইতিমধ্যে নরেন্দ্র মোদি পাঁচ বছরের জন্য বিনা পয়সায় রেশনের ব্যবস্থা করেছেন। কেন্দ্রে নতুন করে নরেন্দ্র মোদি আসলে ৭০ বছরের উপরে বৃদ্ধা যারা আছেন তারা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ পাবেন।  
    সুকান্ত বাবু (Sukanta Majumdar) আরো জানান তৃণমূল বউ চুরি থেকে পায়খানা চুরি কোনও চুরিই বাদ দিচ্ছে না। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জেলে যাওয়ার পর ওই এলাকার এক কাউন্সিলারের স্বামী বললেন আমার স্ত্রীকে চুরি করেছিল জ্যোতিপ্রিয়। এদিন সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন উক্তি করেন সুকান্ত। 

    আরও পড়ুন: “ডায়মন্ড হারবারে সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী অভিষেক-ভাইরাসের বিরুদ্ধেই লড়াই”, কটাক্ষ ববির

    অন্যদিকে সন্দেশখালি ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “সন্দেশখালি সমস্যা সমাধান হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন। যেভাবে সমস্ত সন্দেশখালির মহিলারা জাগ্রত হয়ে সমস্ত অভিযোগ আমাদের, আপনাদের সামনে এনেছে্‌ তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের টনক নড়ে গেছে। যেনোতেনো প্রকারে পয়সা দিয়ে হোক পুলিশ দিয়ে হোক তাদের যে বয়ান, তাদের যে অভিযোগ সেটাকে বদল করার জন্য চেষ্টা করছে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share