Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Bengal Global Business Summit: ‘প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা’, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে তোপ সুকান্তর

    Bengal Global Business Summit: ‘প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা’, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (Bengal Global Business Summit) রাজ্যের জনগণের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা। বুধবার এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, রাজ্যের অবনতিশীল, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ঢেকে রাখতেই উদ্যোগ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    সুকান্তর তোপ (Bengal Global Business Summit)

    এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগণকে প্রতারণার পুরানো কৌশল এবং ঐতিহ্য বজায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার একটি প্রহসনের আয়োজন করেছেন – বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট – যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাংলার জনগণকে বিভ্রান্ত করা।’ তিনি লিখেছেন, ‘২০১৫ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে তথাকথিত এই সম্মেলন শুধুমাত্র একটি জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী মেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার মাধ্যমে তৃণমূলের রাজত্বে বাংলার অবনতিশীল, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশকে ঢেকে রাখার পূর্ণ অপচেষ্টা চরিতার্থ করা হয়েছে।’

    কী বললেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ২০১৫ সালে প্রথম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে রাজ্যে শিল্প ধ্বংসের পথে এগিয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২১ হাজার ৫২১টি শিল্প ইউনিট বন্ধ হয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশ দফতরের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট। এই বিশাল সংখ্যক কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে।’ তিনি লিখেছেন, ‘একাধিক নামজাদা কোম্পানি বাংলা থেকে শিল্প গুটিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটানিয়ার মতো বড় প্রতিষ্ঠান-সহ ২ হাজার ২২৭টি নিবন্ধিত সংস্থা, যা উৎপাদন অর্থনীতি, কমিশন এজেন্সি ও বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছে। অর্থনৈতিক অবদান হ্রাস পেয়েছে।’ স্ট্যাটিস্টিক্স ও প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০-৬১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের জিডিপিতে ১০.৫ শতাংশ অবদান রেখেছিল এবং তৃতীয় স্থানে ছিল। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই হার নেমে এসেছে মাত্র ৫.৬ শতাংশে (Sukanta Majumdar)।

    পশ্চিমবঙ্গের পতন!

    বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, বিনিয়োগকারীদের নজরে ক্রমাগত পতন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের (Bengal Global Business Summit)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৭০ এর দশকে মুম্বইয়ের পরেই পশ্চিমবঙ্গ কোম্পানির সদর দফতরের জন্য কোম্পানিগুলির জন্য দ্বিতীয় পছন্দের জায়গা ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের মধ্যে বাংলার অবস্থান নেমে আসে অষ্টম স্থানে, যেখানে মুম্বই তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। সুকান্ত লিখেছেন, ‘বিনিয়োগকারীদের ওপর অত্যাচার হয়েছে রাজ্যে। কারণ হল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা লাগাতার জুলুমবাজি ও হেনস্থার মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, আইএফবি এগ্রোর নূরপুর কারখানায় সশস্ত্র হামলা ও তারপর কোম্পানিকে জোর করে ৪০ কোটি নির্বাচনী বন্ড প্রদানের জন্য বাধ্য করা – যা স্পষ্টভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে দুষ্কৃতীরাজের সব চেয়ে বড় উদাহরণ।’ বঙ্গ বিজেপির এই নেতার দাবি, এই তথ্যগুলিই প্রমাণ করে যে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট আসলে জনগণের করের টাকায় পরিচালিত একটি প্রতারণার উৎসব মাত্র। এটি মূলত একটি ধোঁয়াশা সৃষ্টি করার কৌশল, যার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের সরকার জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের আড়ালে বাংলার মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতারিত করে চলেছে।

    আক্রমণ শানালেন শুভেন্দুও

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “একটা কোম্পানিকে কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর একটা বাৎসরিক উৎসব হয়। এখনও পর্যন্ত যে কটা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছে, তাতে ১৪ থেকে ১৫ লাখ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। কিন্তু ১৪-১৫ টাকাও বিনিয়োগ হয়েছে দেখতে পাচ্ছেন কোথাও। উল্টো দিকে ২০২১ সালের পরে ডাবরের কারখানা পালিয়েছে। কেশরাম রেয়ন বন্ধ হয়েছে। নৈহাটি, ভদ্রেশ্বর জুটমিল, ডানকুনির বিস্কুট তৈরির কারখানা সব বন্ধ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন ঘনিষ্ঠ লোক রয়েছে। তাকে এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। টেন্ডার ছাড়াই বরাদ্দ হয় ৫০ কোটি টাকা। এই টাকা ঝাড়ার জন্য এটা করা হয়েছে।”

    তৃণমূল জমানায় রাজ্যের শিল্পের অবস্থা ক্রমশ খারাপ (Bengal Global Business Summit) হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এজন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি নীতি। তৃণমূল সরকারের সেজ (SEZ) বিরোধী ও জমি অধিগ্রহণ বিরোধী নীতির ফলে বড় শিল্পপতিরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিমুখ হচ্ছেন। সেই (Sukanta Majumdar) কারণেই দিন দিন ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের যুবকরা (Bengal Global Business Summit)।

    রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৯ লাখ কোটি টাকারও বেশি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ সারা দেশে বিনিয়োগের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।”

  • Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja) বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাব্বির আলি। অভিযোগ, তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দিয়েছেন সরস্বতী পুজো করলে খুন করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এক আইন পড়ুয়াকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে। এই নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। মমতা সরকারকে এই ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় ইমেল মারফত কলেজের পড়ুয়ারা অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। একইসঙ্গে অভিযোগ জানানো হয়েছে কলেজের পরিচালনা সমিতিতে থাকা মালা রায় এবং দেবাশিস কুমারকে। এঁদের দুজনই আবার তৃণমূলের নেতা-নেত্রী। মালা রায় দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও বটে। পড়ুয়াদের (Saraswati Puja) করা সেই ইমেলেরই স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ফিরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    সমাজমাধ্যমে (Saraswati Puja) কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে এতদিন ধরে উগ্র ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের কাছ থেকে যে ধরনের হুমকি শোনা যাচ্ছিল, তা এখন আমাদের বাড়ির চারপাশেই শোনা যাচ্ছে। রাস্তার নাম ‘আনোয়ার শাহ’ হওয়ায় এলাকায় সরস্বতী পুজোর কোনও আয়োজন করা যাচ্ছে না! একটি ইসলামি মৌলবাদী দল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজে প্রবেশ করে ফতোয়া জারি করে চলে গিয়েছে। একটু ভেবে দেখুন- তুষ্টিকরণ চালানো অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে তারা কতটা সাহসী হলে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে? এক মুহূর্ত ভেবে দেখুন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে ঘটছে। তবুও তিনি কিছুই জানেন না!’’

    শুভেন্দু অধিকারীর বিবৃতি

    গতকাল বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সরস্বতী পুজো বন্ধ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরস্বতী পুজোয় কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে মন দিন।’’ এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। সনাতনীরদের একটা কর্মসূচি দেখে ওদের হিংসা হয়। তাই এই কথা বলছেন! বিরোধীরা তুষ্টিকরণের কাজ করছে। হরিণঘাটায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি সরস্বতী পুজো রুখছে, সেদিকটা দেখা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’

    ‘‘সাব্বির আলির দাপটে কলেজ যেতে পারি না’’, দাবি অধ্যক্ষের

    এই বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমি সাব্বির আলির দাপটে কলেজে যেতে পারি না। বাড়ি থেকে কাজ করতে হয়। কলেজে গেলেই ওর ছেলেরা আমায় হেনস্থা করে। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত বছর কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন দেখিনি। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। আছে অর্থনীতি। অর্থাৎ পয়সা খোলামকুচির মতো দাও। নয়ত ঝামেলা করবে।’’

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতিতে কোনও কালেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হত না। যদি কলকাতার বুকে মুখ্যমন্ত্রীর কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে বুঝতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু যেমন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি হয়ে গিয়েছেন, তেমন হিন্দু উদ্বাস্তু বাঙালি তৃণমূলের কারাগারের বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচাতে হবে। বাংলাকে তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি করতে হবে।’’

    এবিভিপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

    এই ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে আরএসএস-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সংঠনের রাজ্য নেতাদের সাফ কথা, আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি ও পুজো বন্ধ করার নিদান দিয়ে ফের একবার নিজেদের ছাত্রবিরোধী প্রমাণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবিভিপি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এমন অবস্থায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে টালিগঞ্জে নবীনা সিনেমা হলের বিপরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এবিভিপি।

    গুন্ডাগিরির অভিযোগ আগেও উঠেছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে

    উল্লেখ্য, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজো করলে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাব্বির আলি। এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন অধ‍্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের বিস্ফোরক অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলের নেতা সাব্বির আলি। একইসঙ্গে ওই পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। এর আগেই সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উচ্চ আদালত। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তাঁর শাগরেদরা ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটা থানা এলাকার নগরউখড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার হুমকি দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন। পুজো করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ১ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই আলিমুদ্দিন। এরপরে ফের সামনে এল দক্ষিণ কলকাতার ঘটনা।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তিতে আরতি করলেন সুকান্ত, লাখো প্রদীপে সাজল আত্রেয়ী

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তিতে আরতি করলেন সুকান্ত, লাখো প্রদীপে সাজল আত্রেয়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে এবারও বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর পাড়ে জ্বলে উঠল এক লক্ষ প্রদীপ। শুধু তাই নয়, বেনারস থেকে এসেছেন পুরোহিত। গঙ্গার মতো আত্রেয়ীর তীরে চলেছে আরতি ও বন্দনা। অপরপাশে আত্রেয়ীর বক্ষেই বসেছে ৫০ ফুটের রামের মূর্তি। চলছে বাজি প্রদর্শনী থেকে শুরু করে শিল্পীদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাবতীয় অনুষ্ঠান মূলত বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে সদর ঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Ram Mandir)

    বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন আবার বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এবং কচিকাঁচাদের নিয়ে রাম (Ram Mandir) সাজো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। গঙ্গা আরতি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আয়োজন নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে বালুরঘাটে গত বছরের মতো এবারও এক লক্ষ প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আত্রেয়ী নদীর তীরে এই প্রদীপের পাশাপাশি আরও নানা ধরনের চমক রয়েছে । রামলালার আলো আত্রেয়ী তীরে জ্বালো, এই মন তো নিয়েই আমরা এবারও প্রদীপ প্রজ্বলন করলাম। আমি নিজেও আছি।”

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    এক লক্ষ প্রদীপে সেজে উঠল আত্রেয়ী নদী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের (Ram Mandir) আত্রেয়ী নদীকে গঙ্গারূপে পুজো করেন বাসিন্দারা। তাই আত্রেয়ীর সদর ঘাটই এই লক্ষ প্রদীপে সাজানোর আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকালে বালুরঘাট শহরের থানা মোড়ের কাছে মিউজিয়ামের সামনে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হয়েছে। কচিকাঁচাদের নিয়ে রাম সাজো প্রতিযোগিতাও হয়েছে। দুই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের বিশেষ আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। এদিন সন্ধ্যায়ই সদরঘাটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন হল। তার পাশেই বেনারসের একঝাঁক পুরোহিত যজ্ঞ ও আত্রেয়ীতে আরতি করলেন। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Sukanta Majumdar) উদ্যোগে আরও বড় করে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একলক্ষ প্রদীপে সদর ঘাট সাজানো হয়েছিল। যা দেখতে শহরের বহু মানুষ ভিড় করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনে মদত দিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বিস্ফোরক অভিযোগ। উত্তর কলকাতা এবং সল্টলেকে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপনের মদত দিচ্ছে শাসক দল। এমনই অভিযোগ বিজেপির রাজ্য় সভাপতির । তিনি আরও বলেন, ‘‘এই বসতি স্থাপনের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। শুধু তাই নয়, যদি কোনও ব্যক্তি রোহিঙ্গাদের (Rohingya) বসতি স্থাপনের ছবি তুলতে যায় তাহলে তাদের ওপরে আক্রমণও করা হচ্ছে।’’

    তোপ দেগেছেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

    এই ইস্যুতে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি রবিবারই সাংবাদমাধ্যমকে বলেন,  ‘‘সারাদেশে জঙ্গি  সাপ্লাই (Rohingya) করার ঠিকা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্র সরকারের কাছে বিরোধী দলনেতা সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে আবেদনও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে পুলিশ দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে। সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন শুভেন্দু এবং বলেন, ‘‘সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারীও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।’’

    গত মাসেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা

    গত ডিসেম্বের উত্তর ২৪ পরগনায় ঘোজাডাঙা সীমান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে গ্রামে গ্রামে হিন্দু রক্ষা কমিটি তৈরির ডাক দেন শুভেন্দু। তখনও তাঁর মুখে শোনা যায়, মমতা সরকারের রোহিঙ্গা তোষণ। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতে রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা। হিন্দুদের অস্তিত্ব সঙ্কটে। তাই হিন্দুদের রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে গ্রামে গ্রামে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়তে হবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেছিলেন, “উনি (মমত বন্দ্যোপাধ্যায়) বুঝতে পারছেন ৩০ শতাংশ নিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে পারবেন না। ৭০ শতাংশ এক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিধানসভায় বাংলাদেশের হিন্দুদের পক্ষে কথা বলছেন। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে তোপ দেগে শুভেন্দু সেসময় বলেছিলেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। অথচ ইউনূসের সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছেন মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য। উনি যদি সত্যিই হিন্দুদের ভালো চান, তাহলে অবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে সিদ্দিকুল্লাকে বহিষ্কার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মমতাকে পরামর্শ, সরকারি হাসপাতালে অভিষেকের চিকিৎসা করান’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মমতাকে পরামর্শ, সরকারি হাসপাতালে অভিষেকের চিকিৎসা করান’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে নিজের পরিবারের সদস্যদের রাজ্যের এক-একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) চিকিৎসা করাতে পারেন ডায়মন্ড হারবারের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।” মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসায় গাফিলতি এবং দূষিত স্যালাইন ব্যবহারে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আরজি কর-কাণ্ডের পর এই ঘটনায় ফের আরও একবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগ চেয়েছে বিজেপি।

    হাসপাতালগুলি শুধু নামেই সুপার স্পেশালিটি (Sukanta Majumdar)!

    বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশাসনিক দায়কে চিকিৎসকদের ঘাড়ে ঠেলে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) রাজ্যের ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করেছেন। কিন্তু হাসপাতালগুলি শুধু নামেই সুপার স্পেশালিটি আসলে এগুলি সুপার ফ্লপ এবং কাজের কাজ কিছুই করেনা। মুখ্যমন্ত্রী কতগুলি নীল-সাদা হাসপাতাল করেছেন। দম থাকলে পরিবারের এক একজন ব্যক্তিকে এই সব হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কর্নাটকে নিষিদ্ধ কোম্পানির ওষুধ পশ্চিমবঙ্গে সরবরাহ এবং ব্যবহারে স্বাস্থ্যভবনের ভূমিকা নিয়েও আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ওই প্রসূতির সন্তান অসুস্থ ছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ মাঝরাতে ১০৮ বার গঙ্গায় ডুব, কঠোর ব্রত পালন, মহাকুম্ভে শুরু নাগা সাধু হওয়ার প্রক্রিয়া

    স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আর্থিক কোনও লেনদেন হয়েছে?

    সদ্যোজাতর মৃত্যু এবং স্যালাইন-কাণ্ড নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আক্রমণ করে করেন, “সাত দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। এটা মৃত্যু নয়, এটা একটা পরিকল্পিত খুন। মৃত্যুর জন্য দায়ী একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। দূষিত স্যালাইন ব্যবহারের আগে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে চিকিৎসকদের সতর্ক করা উচিত ছিল। নিজে কোনও দায়িত্ব নেবেন না, সব দোষ মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের ওপর চাপিয়ে দেবেন। নিজের দুর্নীতি ঢাকতে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি কার্যত শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন। আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুবাবু বলেছেন, ‘‘এই ভাবে সিআইডি তদন্ত করলে সত্যকারের কথা উঠে আসবে না। বরং দোষীদের আড়াল করা হবে। রাজ্যের প্রশাসন বরাবর এই অপরাধীদের ধরা নয় অপরাধীদের বাঁচানোর কৌশল করেছে, এইবারেও তাই হবে। একজন কর্মরত বিচারপতির অধীনে কমিশন গঠন করে গোটা ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। স্যালাইন উৎপাদনের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা রোগীর উপরে ব্যবহার করার জন্য কেন প্রয়োগ করার ছাড়পত্র দেওয়া হল? তাহলে কী এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যভবন কিংবা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আর্থিক কোনও লেনদেন হয়েছে?”

    সর্বত্র একটা টাকার চক্র চলছে!

    এদিন রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, “স্কুলে যথেচ্ছ ভাবে বেতন নেওয়া হচ্ছে। আটটি স্কুলকে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে। একই ভাবে আরও বেশ কয়েকটি সরকারি স্কুল অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে। সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তাহলে শিক্ষা একটি ব্যবসায় পরিণত হবে। জেলায় জেলায় কীভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে সেই জন্য রাজ্য সরকারকে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। স্কুলের শিশুদের খাবারের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দেয়। তাই কোথাও কোথাও দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। আমি নিজে দিল্লিতে অভিযোগ করে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন জানাব। একটি কমিটি গঠন করে মুর্শিদাবাদ জেলায় পাঠানোর প্রস্তাব করব। স্বয়ং জেলাশাসকরা এই ধরনের কাজে প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছেন। সর্বত্র একটা টাকার চক্র চলছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার বিরাট অবনতি ঘটেছে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে একেবারেই ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হিসেবে চূড়ান্ত অপদার্থ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ে মেয়র ফিরহাদের পদত্যাগ দাবি সুকান্তর, কী বললেন তিনি?

    BJP: বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ে মেয়র ফিরহাদের পদত্যাগ দাবি সুকান্তর, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় এবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগ দাবি করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার জেরে তৃণমূল সরকারকে দুর্নীতি ইস্যুতে আবারও একবার তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। নিজের বিবৃতিতে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, কলকাতা কর্পোরেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কর্পোরেশনই আছে প্রত্যেকেই একটা নীতি মেনে চলে, ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ আপনার যে কোনও ধরনের প্ল্যান পাশ হয়ে যাবে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের জন্য কিছু মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, এমন অবস্থায় পদত্যাগ করা উচিত মেয়রের।’’

    মঙ্গলবার আচমকাই হেলে পড়ে (BJP)

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার বাঘাযতীনে হেলে পড়ে একটি আস্ত বহুতল। এই ঘটনা দেখে শিউরে উঠেছেন সকলে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা ওই বহুতলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কয়েকদিন ধরেই বহুতলটি হেলে পড়তে শুরু করেছিল। এই সময়ে বহুতলটিতে কাজ শুরু করা হয়। তখন তার আবাসিকদের ভাড়া বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার মেরামতির কাজ চলাকালীন আচমকা ফের হেলে পড়ে বহুতলটি। ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ।

    আরও পড়ুন: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    এত বড় কনস্ট্রাকশনে কোনও কাউন্সিলর পয়সা পায়নি, মানতে হবে?

    এই ঘটনায় এলাকাবাসীদের ক্ষোভও সামনে এসেছে। তাঁরা কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানাচ্ছেন যে, জলাজমির ওপরে বহুতলটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, মেয়রের পদত্যাগ দাবি করে সুকান্ত মজুমদার (BJP) আরও বলেন, ‘‘এত বড় কনস্ট্রাকশনে কোনও কাউন্সিলর পয়সা পায়নি, এটা আমাদের মেনে নিতে হবে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ওই কাউন্সিলরকে কান ধরে জেলের ভিতর ঢোকানো। কিন্তু উনি ঢোকাবেন না, সেটাও আমি জানি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু।” স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) ১৬৩তম জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর পৈত্রিক ভিটে শিমলা স্ট্রিটে গিয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি এখানে প্রায় ৩০ বছর আসছি। গোটা দেশ, বিশেষত বাংলা তাঁর জন্মবার্ষিকী পালন করেন। এদিন যখন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি, তখন আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু। সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে জীব সেবা করার মাধ্যমে আমরা শিবের সেবা করি। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার সেবা করার শিক্ষা আমাদের দিয়েছেন স্বামীজি।” স্বামীজির পৈত্রিক ভিটেয় গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে ভারত এগিয়ে চলেছে (Suvendu Adhikari)।”

    ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে স্বামীজির আদর্শ

    এদিন সকালে মিছিল করে শিমলা স্ট্রিটে যান শুভেন্দু, ইন্দ্রনীল খাঁ-সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা-কর্মী। শুভেন্দু প্রথমে স্বামীজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে করেন। তিনি বলেন, “ছাত্রাবস্থা থেকে আমি এখানে এসেছি। কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ হিসেবে এখানে এসেছি। বাড়িটির (স্বামীজির পৈত্রিক ভিটের) অন্দরের সংস্কারের কাজে ও কিছু নির্মাণের কাজে আমি কিছু অনুদানও দিয়েছি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, স্বামীজিরা তাঁকে এই অনুমতি দেওয়ায় তিনি খুশি। শুভেন্দু বলেন, “ভারতীয়দের ধমনীতে রয়েছে হিন্দু ও স্বামীজির আদর্শবাদ।” তিনি বলেন, “আমার শিমলা স্ট্রিটে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। ফলে এটি নিয়ে রাজনৈতিক খোঁচা দেওয়ার কারণ নেই।”

    আরও পড়ুন: নানা অছিলায় কুম্ভমেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশরা, জানুন অজানা কাহিনি

    এদিকে, এদিন স্বামীজিকে ‘ক্যাশ’ করার সুযোগ ছাড়েনি তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল। গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মিছিলে ভিড় জমাতে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় দলীয় স্তরে বার্তা পাঠিয়েছিল তৃণমূল। ওই বার্তায় বলা হয়েছিল, ১২ জানুয়ারির মিছিলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক (Suvendu Adhikari)। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের গায়ে লেগেছে মুসলমান তোষণের অভিযোগের কালি। সেই কলঙ্ক মুছতেই যাবতীয় আয়োজন তৃণমূল নেতৃত্বের (Swami Vivekananda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট, পুলিশে নালিশ জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তাঁর ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট, পুলিশে নালিশ জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ছবি লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট করার অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টি নজরে আসে খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতির। তিনি এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য জেলা সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sukanta Majumdar)

    বেসরকারি লোন দানকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ছবি দেওয়া রয়েছে। সেখানে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে সুদ ছাড়াই ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হচ্ছে মা, বোনেদের। আর এই ছবি সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে দেখা মিলতেই নড়েচড়ে বসেছে বিজেপির আইটি সেল। সুকান্ত মজুমদারের অ্যাসিস্ট্যান্ট পার্সোনাল সেক্রেটারি বিষয়টি প্রথমে নজরে আনেন। আর তারপরই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুকান্তবাবু। রাজনৈতিক কাজে এই মুহূর্তে জেলার বাইরে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই জেলা পুলিশ সুপারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর নাম ও ছবি অনুমতি ছাড়াই কেন ওই ঋণদানকারী সংস্থা ব্যবহার করছে তা জানতে চান। পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন,“আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে আমার ছবি অবৈধভাবে ব্যবহার করে একটি অ্যাপে ঋণ দেওয়ার একটি প্রকল্পের প্রচার করা হচ্ছিল। আমি দেখেছি ওই অ্যাপগুলোতে শুধু আমি নই, দেশের বহু মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রীদের ছবি নিয়ে তারা এইরকম অপপ্রচার করছে। তারা কম সুদে লোন দেবার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আমি এই বিষয়ে নিয়ে অভিযোগ করেছি। আমি আশা করছি পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: মাস্টারদার পুরো নাম ‘পুসপারাজ’ লিখল পড়ুয়া, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    West Bengal: মাস্টারদার পুরো নাম ‘পুসপারাজ’ লিখল পড়ুয়া, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা সংলগ্ন স্কুলের (West Bengal) ষষ্ঠ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল ‘মাস্টারদার পুরো নাম কী?’ উত্তর দেখে চক্ষু চরকগাছ। মাস্টারদা সূর্য সেনের বদলে উত্তর লেখা রয়েছে ‘পুসপারাজ’। ‘পুষ্পা’ বানানটিও ঠিকমতো জানে না ওই পড়ুয়া। নিয়োগ দুর্নীতির ফল একেবারে হাতেনাতে পাওয়া যাচ্ছে, এমনটাই বলছেন কেউ কেউ। মমতা জমানায় কীভাবে তৈরি হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড? তার প্রমাণ মিলেছে এমন খাতাতে। এমনটাও বলছেন কেউ কেউ। 

    তোপ সুকান্ত মজুমদারের (West Bengal)

    এনিয়ে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কটাক্ষ (West Bengal) করে তিনি বলেন, “শিক্ষকরা যদি রাস্তায় থাকেন, আন্দোলন করতে বাধ্য হন, তাহলে এরকমই হবে। কোনও দিন পড়ুয়ারা মাস্টারদাকে ‘কেষ্টদা’ না ডেকে বসে।” প্রসঙ্গত, ক্লাসরুমের বেহাল দশা, শিক্ষকের অভাবের অভিযোগও সামনে আসে। এমন উত্তরপত্র সামনে আসতেই বোঝা গেল পড়ুয়াদের অবস্থা ঠিক কেমন? আদৌ কতটা পড়াশোনা হচ্ছে তাদের? এমন প্রশ্নও উঠছে।

    এক পড়ুয়া আবার বাবা-মায়ের ঝগড়া লিখেছে 

    তবে এখানেই শেষ নয়। নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে এক পড়ুয়া বাবা-মায়ের মধ্যে কবে ঝগড়া হিয়েছিল, সেই গল্প লিখে দিয়েছে। এধরনের ঘটনা আসলে সামনে আনছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার (West Bengal) বেহাল দশাকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহানন্দা কাঞ্জিলালের দাবি, ট্যাব দিয়ে শিক্ষার মান উন্নত করা যায় না। তিনি বলেন, ‘‘একজন শিক্ষিকা হিসেবে এগুলো দেখতে কষ্ট হয়। পরিকাঠামো উন্নয়ন দরকার। মিড ডে মিলেরও টাকা বাড়াতে হবে। তবেই সব ঠিক হবে।’’ অন্য এক শিক্ষাবিদের মতে, ‘‘এটা সামগ্রিক অবক্ষয়ের একটা চেহারা। গত এক দশকে শিক্ষক নিয়োগ সহ সব ক্ষেত্রেই খামতি রয়েছে। আর সেটা ধরা পড়ছে পড়াশোনার উপর। দিনের পর দিন যোগ্য শিক্ষকরা রাস্তায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছেন, সেই কারণেই যা হওয়ার তাই হচ্ছে। পড়াশোনার ওপর প্রভাব পড়ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    Amit Shah: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিনের সফরে শুক্রবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মাটিতে পা রাখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার ঠিক রাত ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইসঙ্গে বিমানবন্দর উপস্থিত থাকতে দেখা যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেও। প্রসঙ্গত অমিত শাহের এই সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হবে না বলেই জানা গিয়েছে। এবারের বঙ্গ সফরে তিনি সশস্ত্র সীমা বল বা এসএসবি-র অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপরে ফের আজ শুক্রবার বিকালে বিশেষ বিমানে দিল্লির পথে রওনা হবেন শাহ।

    দুপুর একটা পর্যন্ত প্যারেড গ্রাউন্ডে চলবে সশস্ত্র সীমা বলের নানা অনুষ্ঠান

    বৃহস্পতিবার রাতে বাংলায় (West Bengal) এসে এসএসবি-র সদর দফতরেই ছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। আর সকালে তিনি সেখান থেকেই যাবেন সশস্ত্র সীমা বলের প্যারেড গ্রাউন্ডে। প্রসঙ্গত, নেপাল এবং ভুটানে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী হল সশস্ত্র সীমাবল। আজ অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর সশস্ত্র সীমা বলের প্রতিষ্ঠা দিবস, সেই উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই যোগ দেবেন অমিত শাহ (Amit Shah)। দুপুর একটা পর্যন্ত প্যারেড গ্রাউন্ডে চলবে সশস্ত্র সীমা বলের নানা অনুষ্ঠান। এরপরে ফের অমিত শাহ এসএসবি-র সদর দফতরে ফিরে যাবেন। সেখানেই তাঁর মধ্যাহ্নভোজে সাড়ার কথা। সীমা সুরক্ষা বলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন শাহ।

    দুপুর ৩টে ১০ নাগাদ বাগডোগরা থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাবেন তিনি

    এরপর দুপুর ৩টে ১০ নাগাদ বাগডোগরা থেকে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাবে অমিত শাহের (Amit Shah) বিশেষ বিমান। প্রসঙ্গত, এর আগে গত মাসের ২৭ নভেম্বর বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বাংলার মাটিতে পা রেখেছিলেন অমিত শাহ। সেবার অবশ্য সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দলীয় কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবারে দলীয় কোনও কর্মসূচি হবে না বলেই জানানো হয়েছে। শুক্রবার বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে অমিত শাহের আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share