Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj)। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার সকালে এক ট্যুইটে মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে ৩৩ বছর বয়সী ওই যুবকের মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন শুভেন্দু। কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শুভেন্দু লেখেন, ‘এক রাজবংশী যুবককে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে মমতার পুলিশ। ট্রিগার হ্যাপি মমতা পুলিশ মধ্যরাত ২টো ৩০ মিনিটে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু তাঁকে পায়নি। এর পর ৩৩ বছর বয়সী রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করে তারা। এটা রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিকৃষ্ট নজির। রাজ্য যখন জ্বলছে, গণঅভ্যুত্থানের পথে এগোচ্ছে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজা নিরোর মতো আহ্লাদে রয়েছেন’।

    গতকাল কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কাছে রাধিকাপুর গ্রামে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর দাবি, বিজেপি নেতাকে ধরতে এসেছিল পুলিশ। তিনি বাড়িতে না থাকায় তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে মারতে মারতে গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। সেই সময় বিজেপি নেতার ভাইপো গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা জিজ্ঞেস করতেই গুলি চালায় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: স্কুলব্যাগে বিশ্ব বাংলা লোগো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    সুকান্তর দাবি

    সুকান্ত মজদুমদার (Sukanta Majumdar) এদিন কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) ও কালিয়াচক দুটি ঘটনাতেই পৃথক সিবিআই তদন্ত দাবি করেন। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) লেখেন, “বিস্মিত! কালিয়াগঞ্জে সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালিয়েছে পুলিশ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময়, যখন বাংলা জ্বলছিল, তখন ওই পুলিশ নীরব দর্শক হয়েছিল। সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Raiganj Rape: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায়! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে  দাবি পুলিশ সুপারের

    Raiganj Rape: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায়! ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে দাবি পুলিশ সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার মহম্মদ সানা আখতার জানিয়ে দিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেখানে  মৃত্যুর কারণ হিসেবে  বিষক্রিয়ার কথাই বলা হয়েছে। তবে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন মূল অভিযুক্ত সহ মোট দুজনকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছিল। তাদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের ৩০২ ও ৬ পকসো এবং এসসি-এসটি অ্যাক্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সুপার এদিন আরও বলেন, অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব (Raiganj Rape) ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। এগুলোয় কান না দেওয়ার জন্য তিনি সকলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিদিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    কী অভিযোগ উঠেছিল?

    শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়ায় এক নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ (Raiganj Rape) করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর (Raiganj Rape) বাড়িতে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধিদল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশকর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তাঁরা সন্তুষ্ট নন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে সুকান্ত, কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুকাণ্ডে রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। শুক্রবারই রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেছিলেন, ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ছাত্রীর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মৃতদেহের কাছে থেকে বিষের কৌট উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবারে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই ইস্যুতে আদালতে যাওয়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশ বলছে ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ কীভাবে এটা বলতে পারে? গ্রামবাসীরা বলছে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কুকর্ম করা হয়েছিল। তাঁরা দেখেছেন কী অবস্থায় পড়েছিল ছাত্রীর দেহ। মৃত ছাত্রীর পরিবার রাজি থাকলে সিবিআই তদন্তের জন্য হাইকোর্ট যাবে বিজেপি।

    জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে অবস্থান বিক্ষোভে কেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।  স্থানীয় বাসিন্দারাই পুকুরের ধার থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করেন। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রীর শরীর বিবস্ত্র ছিল। এরপরই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলাকার বাসিন্দারা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ আটকে রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকাল থেকে এলাকা একেবারে থমথমে ছিল। এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)  সঙ্গে আরও দুই সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, খগেন মুর্মু ছিলেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিধায়কও ছিলেন। তাঁরা মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তাঁরা আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায়  অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে এসে হাজির হয় বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এসপি অফিসে আসার খবর অনেক আগেই ফোন মারফৎ পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও এদিন সেখানে কোনও পুলিশ কর্তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। দফতের ঢোকার দরজা খোলা নিয়েও অভিযোগে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর এসপি অফিসের ভিতরে অবস্থান ও ধর্ণায় বসে প়ড়েন রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদ এবং বিধায়করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই ঘটনার তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নন।

    কালিয়াগঞ্জে আসছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম

    পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মৃতদেহ টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও টুইট করেছেন। অভিযোগ সামনে আসার পর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কালিয়াগঞ্জ যাচ্ছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি টিম। চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতা ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।

    বিজেপি-র প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ

    বিজেপির প্রতিনিধি দল বেরিয়ে যেতেই শনিবার দুপুরে পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা মোড় এলাকা। আশেপাশের গ্রামবাসীরা জমায়েত হয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় দোকানপাটগুলিতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।  বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আছে। মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    Sukanta Majumdar: ‘শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন’! সুকান্তর নিশানায় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই তথা সাগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বপন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar)। সোমবার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরের সভা থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধানকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত।

    সুকান্তের দাবি 

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) বলেন, ‘এখানকার সবথেকে বড় মহাপুরুষ মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা ও তাঁর জামাই স্বপন প্রধান লুটেপুটে খাচ্ছেন। সাগরে স্নানঘাটের জন্য ৫৬ কোটি টাকা এসেছিল। কিন্তু ৫৬টি ইট পর্যন্ত গাঁথা হয়নি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শ্বশুর-জামাই মিলে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। আপনাদের কাছে কোনও তথ্য থাকলে আমাদের জমা দিন। আমরা সেগুলি নিয়ে আদালতে যাব। ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।’

    আরও পড়ুন: ‘কে পুরুষ, কে মহিলা, তা শুধু যৌনাঙ্গ দিয়ে বিচার করা যায় না!’ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Mazumdar) বক্তব্য, ‘এই জামাই আর শ্বশুর মিলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছে, আমার কাছে খবর এসেছে। আপনারা তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে, আমার কাছে জমা করুন। আমি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করব এই জামাই আর শ্বশুরের বিরুদ্ধে সিবিআই করানোর জন্য, ইডি করানোর জন্য। আমরা নাটবোল্টু টাইট দেব, আর সিবিআই আসবে। সিবিআই দেখলে এখন নেতা-মন্ত্রীরা পাঁচিল টপকে পালাচ্ছে। ও তো সমুদ্রের মধ্যে কুমিরের সামনে ঝাঁপ দেবে। তা ছাড়া উপায় থাকবে না।’ পাল্টা সাগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেছেন, ‘পার্টিকুলারলি আমাকে নিশানা করেছে। সাহস থাকলে প্রমাণ করুক। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Mazumdar) যে অভিযোগ করেছেন, তা পুরো মিথ্যা, ভিত্তিহীন।’ বিধায়কের জামাই স্বপন প্রধানও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্য সরকার ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে কেন্দ্রকে প্ররোচনা দিচ্ছে’, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্য সরকার ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে কেন্দ্রকে প্ররোচনা দিচ্ছে’, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থেকে শুরু হয়েছে বিজেপি যুব মোর্চার গ্রাম সম্পর্ক অভিযান। কর্মসূচিটির উদ্বোধন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ (Sukanta Majumdar) একাধিক রাজ্য নেতৃত্ব। কিছুদিন আগেই একটি জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে হঠাৎ করেই মারিশদায় গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই একই জায়গায় সুকান্তকে মানুষ কাছে টেনে নিলেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে এদিন কথাও বলেন তিনি। মারিশদা থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগের লক্ষ্যে বিজেপি যুব মোর্চার অন্যতম বড় কর্মসূচি শুরু করল। এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে বাংলায় ৩৫৬ ধারা বলবত করতে প্ররোচনা দিচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এসে দেখলাম এখানে রাস্তা নেই। এত শ্রী প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য, তাতে শ্রী-ই উধাও হয়ে গিয়েছে।”

    সাগরদিঘির উপনির্বাচনে ভোট লুটের অভিযোগ (Sukanta Majumdar)?

    মানুষ সুকান্তর সঙ্গে ভাগ করে নেন সুখদুঃখের কথা। সুকান্তের (Sukanta Majumdar) কাছে রাস্তা, বাড়ি, শৌচালয়-সহ একাধিক না পাওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে। সাগরদিঘিতে সোমবার ছিল উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনে তৃণমূল ভোট লুঠের চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “রবিবার রাতেও বহরমপুর পুরসভার এক তৃণমূল নেতা আমাদের লোকজন হাতেনাতে ধরেন। এলাকার লোক না হয়েও ঘুরছিলেন।”

    ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ই রাষ্ট্রপতি শাসনের সমর্থনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “রাজ্য সরকার ৩৫৬ ধারা জারি করতে কেন্দ্রকে প্ররোচনা দিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি না নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে জোর করে ফেলে দিয়ে ক্ষমতা দখলে। নেতার বাড়ি ঘেরাও করতে হবে, সে নীতিতেও আমরা বিশ্বাস করি না। কোনওদিন করিওনি। তৃণমূল সেটা করতে বাধ্য করছে। একটা দেউলিয়া, অসভ্য, বর্বর দল। একজন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর উপর যদি হামলা হয়, এই রাজ্যে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা  কোথায়?”

    আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি-এর ওয়েটিং লিস্টও গঙ্গাজলের মতো স্বচ্ছ্ব নয়! অভিমত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর 

    এদিন মারিশদাতে সারপ্রাইজ ভিজিটে যান সুকান্ত। এপ্রিল মাসের শেষে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা করতে পারে কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই রাজ্যজুড়ে দিদির দূত কর্মসূচি পালন করছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। জেলায় জেলায় তারা মানুষের বিক্ষোভের মুখেও পড়েছেন। এবার তার পাল্টায় জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করল পদ্ম শিবির (Sukanta Majumdar)। নাম ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযান। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের গ্রামে গ্রামে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি যুব মোর্চা।    

    সোমবার মারিশদার রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে পুজো দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি তিনটি বুথ এলাকা ঘুরে দেখেন। গ্রামের এক সাধারণ ব্যক্তির বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষের আবহে আজ, মঙ্গলবার কোচবিহারের দিনহাটায় পৌঁছলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিনহাটা পৌঁছেই পুলিশের উদ্দেশে ঝাঁঝালো বার্তা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সরাসরি পুলিশের নাম করে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বার্তা, ‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে। সেই সংবিধান মনে করাতেই এখানে আসা।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ”দিনহাটায় আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার পথে বাধা দিলে সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়া হবে।”

    পুলিশকে বিঁধলেন সুকান্ত, নিশীথ

    দিনহাটার বুড়িরহাটে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় সরব সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গত শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় যাওয়ার সময় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকা। চলে গুলি, বোমাবাজি। মন্ত্রীর গাড়িতে হামলাও হয় বলে অভিযোগ। মন্ত্রীর দাবি, তাঁর গাড়িতেও গুলি লাগে। গণ্ডগোলের ঘটনায় দিনহাটা শহর মণ্ডল সভাপতি অজয় রায় সহ ২৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর নামে মামলা করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। সোমবার রাতে ওই সমস্ত বিজেপি নেতা-কর্মীর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের মনোবল বাড়ান।

    সুকান্ত-দিলীপ একমত

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও নিশীথ প্রামাণিকের মতোই দিনহাটার ঘটনা প্রসঙ্গে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে আমরা নির্বাচনে না যাই, না লড়ি। লোক যাতে ভোট না দেয় পঞ্চায়েতে। ফাঁকা মাঠে জিততে চাইছে। ওটা হবে না। মানুষ তৈরি আছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আক্রমণ তো আমাদের উপর বহুবার হয়েছে। এটা সারা দেশ দেখছে, এমন একটা রাজ্য যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও সুরক্ষিত নয়। মাননীয় নাড্ডাজিকেও আক্রমণ করা হয়েছিল। সরকার বলে কিছু নেই। প্রশাসন বলে কিছু নেই।’’

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে বিজেপিকেই এগিয়ে রাখছে বুথ ফেরত সমীক্ষা, মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু!

    রাজ্য প্রশাসনকে এক হাত নেন নিশীথও। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ একতরফা কাজ করছে। পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্যে পুলিশ পোশাকধারী তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। তারা কী উদ্দেশে আসতে চাইছিল আমাদের কাছে সন্দেহ রয়েছে। পুলিশ যারা এসেছিলেন তাদের কারোর পায়ে হাওয়াই চপ্পল, কেউ বা মাফলার পরে। আবার কারোর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ এই অবস্থায় আসতে পারে না।” পুলিশ এভাবে অত্যাচার করতে পারে না, বলে অভিমত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজিমদারেরও (Sukanta Majumdar)। আজ দিনহাটার বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। দলের কোচবিহারের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও সুকান্ত মজুমদার বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mominpur-Ekbalpur Clash: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    Mominpur-Ekbalpur Clash: উত্তপ্ত মোমিনপুর! বাইক ভাঙচুর, দোকানে আগুন, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুজোর দিন দক্ষিণ কলকাতার মোমিনপুরের (Mominpur Violence) কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। একাধিক বাইক ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে। এরপরই ভাঙচুর চালানো হয় ইকবালপুর থানা এলাকায়। রাতে এই নিয়ে ট্যুইট করে প্রতিবাদ জানান একাধিক বিজেপি নেতারা (BJP Leaders)। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), তরুণজ্যোতি তিওয়ারিরা ধিক্কার জানিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার খিদিরপুর এলাকায় যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যত শীঘ্র সম্ভব কলকাতার মোমিনপুর, ইকবালপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: মোমিনপুরের ঘটনায় শাহকে চিঠি শুভেন্দুর! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি বিরোধী নেতার

    লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন রাত থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। একটি বিশেষ ধর্মের পতাকা লাগানো হয় ওই এলাকার কয়েকটি বাড়িতে। কিন্তু ওই বাড়ির আবাসিকরা সেই পতাকা খুলে দেন। তাঁদের কথায়, ওই পতাকা তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। । কিন্তু এর জেরে শুরু হয় হিংসা। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মোমিনপুরের ইকবালপুর থানা এলাকায়। এরপর রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী একের পর এক মোটরবাইক এবং দোকান ও রাস্তার পাশে থাকা গুমটিতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায়। ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

    ট্যুইটবার্তায় সুকান্ত মজুমদার জানান, ‘মোমিনপুর-খিদিরপুরের পরিস্থিতি জানতে পেরে খুবই চিন্তিত। সেখানকার পরিবারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমি আবেদন জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের কমিশনার কখন পদক্ষেপ করবেন এই নিয়ে?’এই ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ফের দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে, কেন জানেন?

    Lok Sabha Election 2024: ফের দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্ঘণ্ট। নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতি মধ্যেই তিন দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। তবে বাকি রয়ে গিয়েছে বাংলার ২৩টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা। এই ২৩টি আসনের মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়িও। যে আসনে নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায়।

    দিল্লিতে তলব সুকান্ত-শুভেন্দুকে (Lok Sabha Election 2024)

    এমতাবস্থায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফের দিল্লিতে তলব করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বাংলার বকেয়া প্রার্থিতালিকা নিয়ে শনিবার আবারও বৈঠকে বসতে পারেন পদ্ম নেতৃত্ব। বাংলার প্রার্থিতালিকা নিয়ে গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকান্ত ও শুভেন্দুকে। সেখানেই আলোচনার পর গেরুয়া নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, এবার প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ফেলা হবে।

    তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা

    বৃহস্পতিবার তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা (Lok Sabha Election 2024) প্রকাশ করেছে বিজেপি। তবে তাতে বাংলার কোনও আসনের নামগন্ধও নেই। এদিন যে ৯টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলির সবই তামিলনাড়ুর। জানা গিয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক এখনও হয়নি। শুক্র বা শনিবার সেই বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগেই তলব করা হল বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতৃত্বকে।

    কেন এই অবস্থা? জানা গিয়েছে, লোকসভার কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে পদ্ম নেতৃত্বকে। কারণ খোদ প্রধানমন্ত্রী বাংলা সফরে এসে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলার ৪২টি আসনেই এবার পদ্ম ফোটাতে হবে। সেই কারণেই বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন মেদিনীপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, জলপাইগুড়ি, বারাসত, দক্ষিণ কলকাতা, ডায়মন্ড হারবারের (এখানে তৃণমূলের প্রার্থী দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) মতো আসনে হেভিওয়েট কোনও প্রার্থী দিতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যাতে করে এই আসনগুলিতে বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায়ও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রেও এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। অথচ জলপাইগুড়ির মতো এই আসন দুটির রশিও রয়েছে বিজেপির হাতে। তাই প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিতে গিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন (Lok Sabha Election 2024) গেরুয়া নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সেই কারণেই বাংলায় বিলম্ব হচ্ছে প্রার্থী ঘোষণা করতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। সেই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “সেই সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের নাম দুর্নীতিতে বার বার জড়িয়েছে, তাঁদের বলব, দুর্নীতি থেকে সরে থাকুন। তাঁরাও পদে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হতে পারেন।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “পশ্চিমবঙ্গেও আমরা এই ছবি দেখতে পারি।”

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতির নজির নেই বলেও দাবি করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বলেন, “আমি বলব, তৃণমূলের ভাগ্য ভাল যে এত দিন পরেও মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো জেলের বাইরে রয়েছেন… ভালো জ্যোতিষী দেখান মনে হচ্ছে। না হলে এত দিনে জেলে থাকার কথা ছিল।” এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে উঠে এসেছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের প্রসঙ্গও। সুকান্ত বলেন, “হেমন্ত সোরেন হোন বা মণীশ সিসোদিয়া (দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী) দু’জনেই তো জামিন পাওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করছেন। পাচ্ছেন না কেন? কারণ ইডি বার বার আদালতকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ইডি এনেছে, তার সত্যতার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সত্যতার প্রমাণ রয়েছে বলেই তো আদালত জামিন দিচ্ছে না।”

    “দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন”

    সুকান্ত বলেন, “বোঝাই যাচ্ছিল যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকে যাচ্ছিল ইডি। এই ঘটনা চোখ খুলে দিল যে কর্মরত অবস্থায়ও মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা যায়।” এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমি সেই সব মুখ্যমন্ত্রীদের বলব যে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন। আর সাবধানে থাকুন। যাঁদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে তাঁরাও গ্রেফতার হতে পারেন।” প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি মামলায় ৯ বার সমন পাঠানো হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। কোনওবারই সাড়া দেননি তিনি।

    আরও পড়ুুন: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    গ্রেফতারি এড়াতে বৃহস্পতিবার কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পরেই তাঁর দিল্লির বাসভবনে হানা দেয় ইডি। তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় কেজরিওয়ালকে। ততক্ষণে কেজরির তরফে দ্রুত শুনানির আর্জি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মধ্যরাতে শুনানি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরেই গ্রেফতার করা (Sukanta Majumdar) হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: “চোর ও শিক্ষক বিতর্কে বসতে পারে না”, অভিষেককে নিশানা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোর ও শিক্ষক বিতর্কে বসতে পারে না”, অভিষেককে নিশানা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চোর আর শিক্ষক কখনও এক সঙ্গে বিতর্কে বসতে পারে না।” মঙ্গলবার অভিষেককে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা পদ্ম শিবিরের অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার হিসেব নিয়ে বিতর্ক আহ্বান করেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আহ্বান প্রত্যাখান করতে গিয়ে অভিষেককে নিশানা করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    অভিষেকের চ্যালেঞ্জ (Sukanta Majumdar)

    সোমবার বালুরঘাটে জনসভা করেন অভিষেক। এই বালুরঘাটেরই বিদায়ী সাংসদ সুকান্ত। এদিনের সভায় সুকান্তকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “আমি সুকান্তবাবুকে বলব, আপনার লোকসভা কেন্দ্রে এসে আর একবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গেলাম। আপনি জায়গা ঠিক করুন, সময় ও সঞ্চালক ঠিক করুন। একদিকে আপনি থাকবেন, একদিকে আমি থাকব। এই তিন বছরে আবাস যোজনায় ১০ পয়সার শ্বেতপত্র আর ১০০ দিনের কাজে ১০ পয়সার হিসেব বিজেপি দিতে পারলে রাজনীতির আঙিনায় আমি পা রাখব না।”

    সুকান্তর মোক্ষম জবাব

    অভিষেকের এই চ্যালেঞ্জেরই জবাব মঙ্গলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, “বসা তো যায়ই। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতিতে বলে, শ্রাস্তার্ধ বা যুক্তির লড়াই সব সময় সমকক্ষ লোকেদের মধ্যে হওয়া উচিত। চোর আর শিক্ষক তো এক সঙ্গে এক ফ্রেমে তর্ক করতে পারে না। তাহলে তো শিক্ষকদের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে!” লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে পড়ে গিয়েছে কাঠি। দেশজুড়ে নির্বাচন হবে সাত দফায়। নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন নির্বাচন হবে ১০২টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলার তিন আসনও – জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার।

    আরও পড়ুুন: “ফটফট করবেন না, গরু পাচারে আপনার নাম আছে”, তৃণমূল বিধায়ককে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    নির্বাচনের আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই নেতার অভিযোগ, বঞ্চনার। যেহেতু মোদি সরকারের গায়ে কালির ছিটে দেওয়া যায়নি, তাই প্রতিটি জনসভায় তৃণমূল নেতারা ফাটা রেকর্ডের মতো আউড়ে চলেছেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। বিজেপির দাবি, গত ১০ বছরে মোদি সরকারের আমলে দেশজুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছে, তাতে বিচলিত তৃণমূল নেতারা।

    এই উন্নয়নের কারণেই বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি বেশি আসন পাবে তৃণমূলের চেয়ে। প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষার পাশাপাশি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরও জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় একক বৃহত্তম দল হবে বিজেপি। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে মাত দিতে চাইছেন অভিষেক। যার জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে ‘ভাইপো’কে চোর আখ্যা দিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share