Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Seikh Shajahan: সিআইডির হেফাজতে শেখ শাহজাহান, জেরার মুখে কী বললেন জানেন?

    Seikh Shajahan: সিআইডির হেফাজতে শেখ শাহজাহান, জেরার মুখে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তকারীদের প্রশ্নের সামনে মুখে যেন কুলুপ এঁটেছেন একদা সন্দেশখালির স্বঘোষিত বাঘ। শারীরিক ভাষায় ঝরে পড়ছে সেই এক ঔদ্ধত্য। ভেড়ি দখল, জমি দখল, শ্লীলতাহানি, ইডির ওপর হামলা, খুনের অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে তাঁকে গতকালই দেখা গিয়েছিল পুলিশের সামনে স্পর্ধার সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে কোর্টে ঢুকছেন। সিআইডি অফিসারদের সামনে এমনই স্পর্ধা দেখাচ্ছেন তিনি, খবর সূত্রে। শুধুই উত্তর দিচ্ছেন, ‘‘এক কথা বারবার বলব না।’’

    আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সারারাত ঘুমোননি তিনি। খাননি রাতের খাবারও। গত ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনা ঘটে। তোলপাড় হয় সারা রাজ্য। এখানে নিজের ভূমিকার কথা মেনে নিয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে স্বীকার করেছেন যে, ইডির বিরুদ্ধে জনতাকে উস্কানি দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছিল। এর পাশাপাশি সিআইডি-এর সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন বলেই সূত্রের খবর রয়েছে। 

    লোকদেখানো সাসপেন্ড!  

    বৃহস্পতিবার ভোররাতেই মিঁনাখা থেকে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালত গতকালই দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল ভবন থেকে শাহজাহানকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এটা নিছকই লোকদেখানো। শাহজাহানের এতদিনের অপকর্মের খতিয়ান রাজ্য নেতাদের কাছে নেই, এমনটা হতে পারেনা।

    কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপি তরফ থেকে গতকালই দাবি করা হয়েছে, গ্রেফতারির পর রাজকীয় কায়দায় আদালতে ঢুকতে দেখা যায় সন্দেশখালির কালপ্রিট শাহজাহানকে। তৃণমূল নেতার শারীরিক ভঙ্গি, পোশাক দেখলে মনে হবে না তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতি  সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশ মাথা নীচু করে হাঁটছে, আর শাহজাহান তাঁদের মাঝখান দিয়ে গটগট করে মাথা উঁচু করে এজলাসে ঢুকলেন! যেন অলিম্পিকে পদক জিতে এসেছেন।’’ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘পুলিশ যে শাহজাহানের কথাতেই চলে, তা এই দিন ওঁর আদালতে ঢোকা বা বেরনোর ছবি থেকেই স্পষ্ট। পুলিশই এতদিন শেল্টার দিয়ে রেখেছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাজ্যে এসে ৭২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    PM Modi: রাজ্যে এসে ৭২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাজ্যে এসে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে একই মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই মঞ্চে ছিলেন।

    কোন কোন প্রকল্পের উদ্বোধন 

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) এদিনের সরকারি কর্মসূচির তালিকায় ছিল সিলিন্ডারে এলপিজি গ্যাস ভরার প্রকল্প (এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট), কলকাতা বন্দরের নতুন বেশ কয়েকটি প্রকল্প, কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের আধুনিকীকরণের প্রকল্প। এদিন রাজ্যের তিনটি রেল প্রকল্পেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করার পরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ‘‘বাংলায় রেলের উন্নয়ন এমন হওয়া দরকার, যেমনটা দেশের অন্য রাজ্যে হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিকশিত ভারত গড়ার যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে গরিব, মহিলা এবং যুবদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকবে। দেশের ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিকাশের জন্য সাত হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। এর ফলে রেল, পেট্রল এবং জলশক্তির উন্নতি হবে।’’

    বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি হবে বাংলায়

    পশ্চিম মেদিনীপুরে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট চালু হলে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। হাওড়া, হুগলি, কামারহাটি, বরানগর প্রভৃতি এলাকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে কেন্দ্রের উদ্যোগে চালু হতে চলা প্রকল্পগুলিতে। এমনটাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের উন্নয়ন সম্পর্কে মোদি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দ অতীতের তুলনায় তিন গুণ বেড়েছে। বাংলায় ১০০ স্টেশনকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে।’’ পশ্চিমবঙ্গ পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বলেও নিজের ভাষণে উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সহযোগিতায় বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্য পূর্ণ হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ। প্রতিদিন সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহিলারা। আজ তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশে পেয়েছেন বিরোধী দল বিজেপিকে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের প্রতিবাদ রুখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির তিন দিনের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এবার ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আদালতের দ্বারস্থ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অনুমতি মেলেনি। এরপরই হাইকোর্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। গত শুক্রবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। ধর্না কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অবশ্য সেনার তরফে ধর্নার অনুমতি পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। 

    আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ময়দান এলাকা সেনার অধীন

    উল্লেখ্য, ময়দান এলাকার মালিক সেনা। তাই সেখানে ধর্না করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন পড়ে। তবে বিজেপির দাবি, সেনার অনুমতি থাকলেও পুলিশি ছাড়পত্র মেলেনি। পুলিশ নাকি বিজেপিকে বলেছে, সেই এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো মানা। তাই ধর্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপির পালটা যুক্তি, কয়েকদিন আগেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না করেন। এই আবহে ধর্নার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শাসকের অত্যাচারে নাভিশ্বাস উঠছে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের। বাধ্য হয়ে পথে নেমেছেন মহিলারা। এবার সন্দেশখালি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এমনকী শনিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করবেন সুকান্ত। 

    সন্দেশখালি নিয়ে কর্মসূচি

    গত কয়েক দিন ধরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে একের পর এক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ধর্নায় বসার পরিকল্পনা করছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপি সূত্রে খবর, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনাও নিয়েছে দল। আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এই ধর্না চলবে। ওই ধর্না কর্মসূচিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু নেতৃত্ব দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এর পরে ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমাবেশে সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’ মহিলাদের নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে।  এরই মধ্যে সন্দেশখালি নিয়ে অভিযোগ জাতীয় স্তরে পৌঁছে দিতে দিল্লি যাচ্ছেন সুকান্ত। 

    আরও পড়ুুন: নেপালে ফের জোরালো হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দাবিসনদ পেশ জনতার

    সন্দেশখালি নিয়ে কর্মসূচি

    বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করবেন সুকান্ত। সঙ্ঘ পরিবারের শিক্ষা সংগঠন এবিভিপি শনিবারের সম্মেলনের আয়োজন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতরেই শিপ্রা হস্টেলের হলঘরে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে বক্তৃতা করবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এরপর, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালির পরিস্থিতি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলা সফর নিয়েও আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটের আগে সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) এবার রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তুলে আনা হবে। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বিশেষ রণকৌশল বিজেপির। রাজ্যে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, সন্দেশখালির নিপীড়িত মহিলাদের নিয়ে ধর্নায় বসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিপীড়িত মানুষের অধিকার নিয়ে টানা তিন দিন ধর্না করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, এবং জোর করে জমি দখলের প্রতিবাদে জনরোষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে খোঁজ নেই।

    ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে ধর্না (Sandeshkhali)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্নায় বসা হবে। ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলবে এই ধর্না। এই ধর্নামঞ্চে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। অত্যাচারের নির্মম কথা তাঁদের মুখে উপস্থাপন করে রাজ্যের শাসক দলের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করা হবে। শাসক দলকে লাগাতার চাপে রাখতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা ছিল, কিন্তু আপাতত ফোকাস সন্দেশখালি এবং আগামী লোকসভার দিকেই থাকুক, সেই কথা ভেবেই তাঁর সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।

    আন্দোলনের রেশ ধরে রাখতে লাগাতার কর্মসূচি

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের অতাচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনজাগরণ ঘটেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে দিল্লি সদর দফতর থেকে লাগাতার সাংবাদিক সম্মলেন করে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূলকে। ইতিমধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় কমিশন, এসসি, আদিবাসী, মহিলা, মানবাধিকারের মতো সংস্থাগুলি পরিদর্শনে এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছে এই কমিশনগুলি। সেই সঙ্গে বার বার চিঠি দিয়ে সন্দেশখালি সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ফলে তৃণমূল যে সন্দেশখালিকাণ্ডে বেকফুটে, সেকথা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। অপর দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান, এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন বণ্টনে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং ক্যাগ রিপোর্ট সহ একাধিক বিষয়ে ব্যাপক ভাবে আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে হবে। এই রাজ্যের লোকসভার আসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই আন্দোলন ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই সন্দেশখালির বিষয়কে কলকাতার রাজপথে এনে আন্দোলন করা প্রয়োজন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি থানার সামনে টানা দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ তাদের নৌকায় তুলল। পুলিশের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে নিয়ে নৌকা অনেকক্ষণ মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে আলোও জ্বালানো ছিল না। ফলে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

    উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে পৌঁছান সুকান্ত। বিজেপি কর্মী বিকাশ সিং-এর বাড়িতে দেখা করে সন্দেশখালি থানায় যান তিনি। কিন্তু ঢুকতে বাধা দিলে থানার সামনে অবস্থান করেন। এরপর তিনি বলেন, “শাহজাহান শেখ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে রাতভর চলবে বিক্ষোভ।” সরস্বতী পুজোর দিন যাত্রা শুরু করলেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। পথেই নিগ্রহের শিকার হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। 

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এলাকার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে শেখ শাহজাহান-উত্তম-শিবুর নাম জেনে গিয়েছেন সকলে। ওঁরা মাথা। কিন্তু ওঁদের নিচে একটা পরিকল্পিত টিম রয়েছে। পুরো কাজ করা হয়েছে এখানে পরিকল্পিত ভাবে। এলাকার আদিবাসীদের বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। জমির মালিকদের জমির উপর কোনও অধিকার নেই। নিচুতলার জিয়াউদ্দিন, সিরাজ, আল্মগীর এঁরাই হলেন আসল লোক। সকল দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। ভেড়ির লিজের টাকা কোথায় যাচ্ছে, কারা আদায় করছে জানতে হবে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা সরে গেলেই আবার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”

    উলুধ্বনিতে স্বাগত সুকান্তকে (Sukanta Majumdar)

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে যাত্রা শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তাঁকে একাই যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। অবশ্য এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অবশ্য দলের একজনকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে অনুমতি চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। এরপর একাই লঞ্চে ওঠেন। তারপরে সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর পর তাঁকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বাগত জানায় এলাকার মানুষ। এরপর এলাকার নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য শোনেন।

    উপসংশোধনাগারে বিজপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বসিরহাট উপসংশোধনাগারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে দেখা করতে না দিলে পরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন শাসক নিরো। প্রায় একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবাংলায়ও। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাহিনীর অত্যাচারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে, তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় একটি রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেবেন তিনি। সেই শোয়েরই শ্যুটিং চলছে হাওড়ায়।

    শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত!

    জানা গিয়েছে, এই শোয় নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না সেখানকার নির্যাতিতাদের কথা শুনতে। তিনি দিদি নং ১ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।” ‘দিদি নম্বর ১’ শীর্ষক রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিয়ে জীবন সংগ্রাম কিংবা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মহিলারা। দিন কয়েক আগে রচনাকে নবান্নে দেখা যায়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দিদি নম্বর ওয়ানে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে? এ ব্যাপারে অবশ্য রচনা কিছু বলেননি (Sukanta Majumdar)। মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রীও।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বিলিকাণ্ডে কেলেঙ্কারির জেরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি শাহজাহান। পরে শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। চারজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর পরে পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    শাহজাহান এলাকা ছাড়তেই তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোচ্চার হন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। পরে বাছাই করা কয়েকজনকে রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত। যাঁদের রেখে দেওয়া হত, তাঁদের হয় পার্টি অফিসে, নয় বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিতেন না, তাঁদের বাড়িতে সাদা থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হত। নির্যাতিতাদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার বদলে শ্যুটিং করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সুপ্রিমো।

    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ (পড়ুন রাজ্য)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ, এই অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জাতীয় মহিলা কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছেন, রাজ্য পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে সন্দেশখালির নির্যাতিতার পরিচয় গোপন না-রেখে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন সুকান্ত।

    জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি

    সন্দেশখালিতে এক নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ শাহজাহান অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন, তার ভিত্তিতেই ওই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করেছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেআইনি। রাজ্য পুলিশের এই কাজের তীব্র নিন্দা করে সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে চিঠি দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, মহিলা কমিশন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের দাবি 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা এক মহিলার নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মহিলার একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ার আপলোড করা হয়েছে ৷ জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। তার আগে পুলিশ তার একটি ছোট্ট ভিডিও বানায়। গোপন জবানবন্দির জন্য পুলিশ তাকে নিয়ে গিয়েছে। এই কথা পুলিশ তাকে বলতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে। এই কাজ সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে গুরুতর অপরাধ করেছে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ কখনও করা যায় না। কিন্তু সেই কাজ করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    Sukanta Majumdar: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সুকান্ত, আজই যেতে পারেন দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চলতি সপ্তাহের বুধবার, সরস্বতী পুজোর দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। শনিবার সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সুকান্তবাবু বের হতেই পুষ্পবৃষ্টি শুরু করেন অনুরাগীরা। এদিন ছুটি পাওয়ার পর হুইল চেয়ারে করে বের হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বের হতেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তোলেন। রাজ্য সভাপতি ধরে গাড়িতে তোলা হয়। দেখা যায় সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়েই এদিন গাড়িতে ওঠেন সুকান্ত।

    বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে সুকান্তর। সেসময় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শনিবার থেকেই দিল্লিতে বসছে বিজেপির দু’দিনের রাষ্ট্রীয় অধিবেশন। আজ শনিবার এবং আগামীকাল রবিবার হবে বিশেষ অধিবেশন। মূলত, দিল্লিতে দলের রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে যোগ দেওয়ার প্রবল ইচ্ছের কারণেই চিকিৎসকদের কাছে ছুটির আবেদন জানিয়েছিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।  বিজেপি সূত্রে খবর, শনিবারেই বিমান ধরে দিল্লি রওনা যেতে পারেন তিনি।

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে

    বুধবার প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। পরে সন্ধ্যায় সুকান্তবাবুকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বিজেপির রাজ্য নেতারা তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন। রাজ্যপালও হাজির হন সেখানে সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) দেখতে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও হাজির হন হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, প্রথমদিন তাঁকে নিউরো আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ডে-কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumdar)।

    বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন

    সারা দেশের প্রতিটি রাজ্য থেকে দলের সাংসদ বিধায়ক-সহ জেলা ও রাজ্যস্তরের পদাধিকারীরা যোগ দিচ্ছেন দিল্লিতে। বাংলা থেকেও বিধায়ক সাংসদ-সহ বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্ব ও কয়েকশো পদাধিকারী যোগ দিতে ইতিমধ্যে রওনা হয়েছেন দিল্লি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শনিবারই পৌঁছে যাবেন দিল্লিতে, এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির মুখরাও উপস্থিত থাকবেন দলের এই বিশেষ অধিবেশনে। রবিবার বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী সুর বেঁধে দেবেন লোকসভা ভোটের প্রচারের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘দলদাস পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে’’, সুকান্তর ভূয়সী প্রশংসায় তথাগত

    Sukanta Majumdar: ‘‘দলদাস পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে’’, সুকান্তর ভূয়সী প্রশংসায় তথাগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে সুকান্ত অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপি নেতা (Tathagata on Sukanta)। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতির (Sukanta Majumdar) ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    কী বলেছেন তথাগত?

    তথাগত (Tathagata on Sukanta) বলেন, ‘‘এই বিষয়ে বিশেষ করে বলতে চাই, সুকান্ত অসাধারণ সাহসের পরিচয় দিয়েছে৷ জঙ্গি নেতা হিসেবে ওর রূপান্তর হয়েছে৷ সুকান্তকে (Sukanta Majumdar) আমাদের দল প্রেসিডেন্ট করেছিল৷ বিচক্ষণ, অল্পবয়সি কার্যকর্তা হিসেবে৷ কিন্তু আজ ওর অন্য একটা পরিচয় পাওয়া গিয়েছে৷ দলদাস পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো, এটা খুব বেশি লোকের সাহস থাকে না৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা নিয়ে সবাই ধন্য ধন্য করছে৷ আমিও করছি৷ আগামিদিনে এটা বিজেপির সব কার্যকর্তাদের, বিজেপির সমর্থক, সবাইকে সাহস দেবে৷’’

    আরও পড়ুন: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    কেমন আছেন সুকান্ত?

    বুধবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) গিয়ে পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তারপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ সন্ধ্যায় কলকাতায় নিয়ে এসে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে৷ সেদিন রাতে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) নিউরো আইসিইউ থেকে ডে-কেয়ার বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়৷ আপাতত তাকে হাসপাতালের ডে কেয়ার বিল্ডিংয়ের ৬ তলায় ৩৬১২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির স্বাভাবিক হয়েছে শ্বাস প্রক্রিয়া। তাঁকে হালকা খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। 

    সুকান্তকে ফোন ওম বিড়লার

    সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) দেখতে গতকাল হাসপাতালে যান অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে৷  বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী যাদব এবং আসানসোলের বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পালও। তার আগে, সকালে ফোন করে বালুরঘাটের সাংসদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share