Tag: Sukanta Majumdar

Sukanta Majumdar

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ দেখে নিয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের চাপরাশিও হতে পারবেন না, ভোট পরবর্তী হিংসার দু বছর পূর্তিতে এমনই মন্তব্য করলেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ পুলিশ-তৃণমূল যৌথ সন্ত্রাসের তত্ত্বকে সামনে আনেন এদিন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই তিনি বলেন, ময়নায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আততায়ীরাই।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিনই দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের ব্লক নেতার টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (মাধ্যম এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি), যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যনীতি। প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই জেলা থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তোলাবাজিকে উৎসাহিত করার জন্যই চলছে নবজোয়ার কর্মসূচি, এমনই মন্তব্য করেন বালুরঘাটের সাংসদ। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক দু-হাতে টাকার ব্যাগ তুলে দিচ্ছে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ীকে। সিভিক থেকে কনস্টেবল পদে উন্নীত হওয়ার জন্যই নাকি এই ঘুষ নেওয়া হচ্ছিল, এমনটাই দাবি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির। এই ভাইরাল ভিডিওটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত মজুমদার, তাতে তিনি লেখেন, নবজোয়ারের নামে বস্তা বস্তা টাকা তুলতেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন যুবরাজ। তাঁর আরও সংযোজন, খোদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই টাকা তোলা হচ্ছিল কিনা তা একবার খোঁজ নেওয়া দরকার।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘ভোট-রঙ্গে’ বিশৃঙ্খলা, ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা সুকান্ত  

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘ভোট-রঙ্গে’ বিশৃঙ্খলা, ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা সুকান্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের গা থেকে কেলেঙ্কারির ময়লা ঝেড়ে ফেলতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবজোয়ার যাত্রা করছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর এই রাজ্য সফরে জনতার নাড়িও বুঝতে চান তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তিত্ব। কর্মসূচি শুরু হয় কোচবিহার থেকে। পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে পুরোদস্তুর ভোটের ব্যবস্থা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। তবে কোচবিহার থেকে এখনও পর্যন্ত যেসব জায়গায় ‘ভোট-রঙ্গ’ হয়েছে, সেখানেই দেখা গিয়েছে বিশৃঙ্খলা। লুঠ হচ্ছে ব্যালট পেপার, ছিনতাই হচ্ছে ব্যালট বাক্স। যার জেরে বারংবার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে? এ প্রশ্নের জব্বর ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, জীবন বিজ্ঞানের প্রতিবর্ত তত্ত্বের কারণেই এই গোলমাল। 

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় অশান্তি…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল ২ মে। তখন থেকে রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (Abhishek Banerjee) ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। এই সমাবেশেই ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির অধ্যাপক নেতা বলেন, জীবন বিজ্ঞানে প্রতিবর্ত ক্রিয়া পড়ানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজিয়ে কোনও কুকুরকে দিনের পর দিন খেতে দেওয়ার পর ঘণ্টা না বাজালেও ওই সময় কুকুরের মুখ থেকে লালা পড়তে থাকে। তৃণমূল কর্মীদেরও একই অবস্থা। ব্যালট বাক্স দেখলেই লুঠ করতে ইচ্ছা করে। সত্যি ভোট না কি দলীয় ভোট সেই হুঁশ থাকে না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘শাসকদলের মিছিলে অসুবিধা হয় না?’’ ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে অনুমতি হাইকোর্টের

    রাজ্যের শাসক (Abhishek Banerjee) দলকে এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর পথও বাতলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, অভিষেকবাবুকে বলব, দুজন কর্মীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মতো পোশাক পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখুন। তবে আর ব্যালট বা ব্যালট বাক্স লুঠ হবে না। তৃণমূলের কর্মীরা কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই ভয় পায়। প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি পালনের সূচনার দিনই ব্যালট নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার লড়াই হয়েছিল কোচবিহারের গোঁসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি হয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। হাপ্তিয়াগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে তো আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে নামানো হয় র‌্যাফ। একই ঘটনা ঘটে হরিরামপুরেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাবা-মেয়ে তিহাড়ে গেছে, এবার পিসি-ভাইপোও যাবে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাবা-মেয়ে তিহাড়ে গেছে, এবার পিসি-ভাইপোও যাবে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি সপরিবারে তীর্থ করতে যেত, এখন তৃণমূলের আমলে নেতারা সপরিবারে জেলে যাচ্ছেন। কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। গরু পাচার মামলায় আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এই প্রসঙ্গেই সুকান্তর কটাক্ষ, “সবে তো কলির সন্ধ্যে! বাবা-মেয়ে পাশাপাশি তিহাড় জেলে আছে, এরপর পিসি-ভাইপোও যাবে।”

    সপরিবারে তিহাড় যাত্রা

    জনসংযোগ যাত্রায় গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ইডি-সিবিআই-এর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরই পাল্টা দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে না। সত্যি সামনে আসছে। তাতেই অনেকে ভয় পাচ্ছেন। চুরি করলে অপরাধীকে সাজা পেতেই হবে। কারুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে যদি বেহিসেবি টাকা থাকে তাহলে তাঁকেও জেলে যেতে হবে।” এরপরই সুকান্ত বলেন, “আগে তো আমরা সপরিবারে তীর্থে যেতাম, এখন তৃণমূল নেতারা সপরিবারে তিহাড় যাত্রা করেন। আর কদিন পরে অন্য কাউকে দেখবেন। আগে দেখছিলাম নেতাদের সঙ্গে তাঁদের বান্ধবীরা জেলে যাচ্ছেন এখন দেখছি নেতার সঙ্গে তাঁর কন্যাও জেলে গিয়েছেন। এরপর হয়তো পিসি-ভাইপোর পালা।”

    আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে ডেঙ্গি! দ্রুত ভ্যাকসিন আনতে সচেষ্ট গবেষকরা

    তিহাড় কংগ্রেস

    কেষ্টর তিহাড় যাত্রার পরেও জেলা সভাপতি বদল করেনি শাসক দল। সেই বিষয় নিয়েও তৃণমূলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুঁড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা যাওয়ার পর সুকান্তর সংযুক্তি, “আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন, তৃণমূল কংগ্রেস নাম পরিবর্তন হয়ে তিহাড় কংগ্রেস হয়ে যাবে। তৃণমূল কর্মী মানেই চোর। নব চোর বাছতে এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি রোজ নতুন কিছু বলছেন। আজকে দেখুন ব্যালট বাক্সের জায়গায় নতুন কিছু চুরি হয় কিনা। রাজ্যজুড়ে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের কবিতীর্থ স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্যের তালিকায় দণ্ডিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতার নাম। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল বালুরঘাট শহরের ১০টি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিদের নামের তালিকা এসেছে। ওই তালিকাতে তৃণমূল নেতা ও বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল। যা নিয়েও ক্ষোভ ছিল শিক্ষামহলে। এবারে বালুরঘাট ও হিলির ১৫টি স্কুলের পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগীদের নাম এসেছে। ওই কমিটিতে একটি স্কুলে সভাপতি, দুইজন করে শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক, মেডিক্যাল অফিসার, এসআই সহ অনেকেই থাকবে। জেলার ১৫টি স্কুলের পরিচালন সমিতির শিক্ষানুরাগী সদস্যের বেশিরভাগই তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত। তার মধ্যে একটি স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসেবে আনন্দ রায়ের নাম প্রকাশিত হয়েছে। আনন্দ রায় তৃণমূলের যুব নেতা বলেই পরিচিত। সম্প্রতি আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও সে এখন জামিনে মুক্ত। তাই ওই যুব নেতার নাম ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর মত একটা বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। তাকে তৃণমূল শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছে। আদিবাসীদের প্রতি এমন নির্যাতনের পরেও তৃণমূলের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আনন্দ রায় তৃণমূলের, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির এই তালিকায় তার নাম মাস চারেক আগেই শিক্ষা দফতরে গেছিল। যা সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে। দণ্ডিকাণ্ডে তার নাম আসার পর আমরা এবিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। এই নাম পরিবর্তনের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে আর্জি জানাব। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা আনন্দ রায়কে বহুবার ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

    কী বললেন স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক?

    ওই কবিতীর্থ স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্তু রায় বলেন, কারা এই তালিকায় থাকবে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে এই তালিকায় নাম যুক্ত বা বাতিলের বিষয় আমাদের হাতে নেই। সম্পূর্ণ বিষয় রাজ্য শিক্ষা দফতরের হাতে রয়েছে।

    এনিয়ে স্কুল (School) পরিদর্শকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা দফতর স্কুল (School) পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, রাজ্য থেকে ওই তালিকা এসেছে, সেই তালিকা আমরা স্কুলগুলিকে পাঠিয়েছি। যা করার রাজ্য থেকেই করে। বাকি বিষয়ে জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একটা বড় অংশ পানীয় জল সংকটে ভুগছে। আমাদের রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত আমলাতন্ত্র, বিশেষ করে উচ্চস্তরের আমলাতন্ত্রের একটি অংশ গ্রামের দরিদ্র মানুষের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। ফলে যাঁরা হর ঘর জলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। এই ভাষায়ই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে নিজের দত্তক নেওয়া গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার। সেখানে জল নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তার ঠিক পরের দিনই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    হর ঘর নলসে জল…

    ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন, ‘হর ঘর নলসে জল’ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে ৩.৮ কোটি পরিবার। প্রতি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পে (Suvendu Adhikari) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩.৮ কোটি পরিবারের জন্য বিপুল বরাদ্দ করা হল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন সাধনে সব রকমভাবে নজর দিয়েছে সরকার। এমন সব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা আবাসন, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস এবং পানীয় জলের পরিষেবা প্রদান করেছে। প্রতি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সফলতা এসেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে রাস্তা ও পানীয় জলের দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও, তা দিয়ে জল (Suvendu Adhikari) পড়ে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, যেহেতু আমার দত্তক নেওয়া গ্রাম, তাই এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    Abhijit Ganguly: ‘‘সুপ্রিম রায় ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে…’’! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা থেকে অপসারণের সুপ্রিম নির্দেশকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একটি নির্দিষ্ট বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে তিনি ওই মামলাগুলি অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।

    সুকান্তর অভিমত

    এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এই রায় অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন তা থামবে না। উনি যে স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়েছেন তাতে আলোকিত হয়ে অন্যরা এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে তৃণমূল নেতাদের আনন্দিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের জেলে যেতেই হবে। দু দিন আগে, আর দু দিন পরে। জেলে যেতেই হবে।’ বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে এতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” বিজেপি নেতা শুঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোথাও বলা নেই, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলিতে যে রায় দিয়েছে, তা ঠিক ছিল না। প্রসেডিংয়ে সমস্যা ছিল।”

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ মামলা সরানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    আর কে কী বললেন?

    বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে মামলা থাকবে কী থাকবে না, সেটা বিতর্কের বিষয় নয়। তবে তাতে এটা প্রমাণ হয় না যে দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতি তো দৃশ্যমান।” অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ শুভময় মৈত্র বলেন, “এই রায় বাংলার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার দ্বন্দ্বটা হচ্ছে, এই রায়ে সামাজিক ন্যায়বিচারে কোনও অসুবিধা হবে কিনা? সে তো আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। এর বিরুদ্ধেও কেউ আদালতে যেতে পারেন। রায় সদ্য হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়ে অনুসিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে না।”

    পুর নিয়োগেও সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

    পুর-দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এক সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, ২১ এপ্রিল পুর-দুর্নীতি মামলায় একযোগে সিবিআই-ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২২ এপ্রিল এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। সেই তদন্তে এদিন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারকে রিভিউ পিটিশন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। রিভিউ পিটিশন দাখিলের এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Strike: ‘‘বন‍্‍ধ স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল’’! সাড়া দেওয়ায় উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    BJP Strike: ‘‘বন‍্‍ধ স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল’’! সাড়া দেওয়ায় উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ (BJP Strike) স্বতঃস্ফূর্ত ও অত্যন্ত সফল বলে জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাধারণ মানুষ তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাড়া দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এর জন্য উত্তরবঙ্গবাসীকে ধন্যবাদ জানান সুকান্ত। উত্তরবঙ্গ বিজেপির পাশে ছিল, আছে, থাকবে বলেও মত তাঁর।

    বন‍্‍ধ আটকানোর ব্যর্থ চেষ্টা

    বন‍্‍ধ সফল করতে শুক্রবার সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন বিজেপি (BJP Strike) কর্মী, সমর্থকরা। বালুরঘাট, রায়গঞ্জ থেকে শুরু করে মালদা সর্বত্রই বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে পিকেটিং শুরু করে দিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও সমস্ত কিছু সচল রাখতে সর্বতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যেই কোচবিহারে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জন বিজেপি সমর্থককে, বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফুঁসছে কালিয়াগঞ্জ। উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। সাধারণ মানুষ নিজেদের ইচ্ছায় সাড়া দিয়েছে। তৃণমূল জোড় করে বন‍্‍ধ আটকানোর চেষ্টা করছে।”

    মানুষ বিজেপির পাশে

    বন‍্‍ধ (BJP Strike) মোকাবিলায় পতাকা হাতে সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মিছিল করছে তৃণমূল। কোচবিহারেও শাসক দল পাল্টা মিছিল করে বন‍্‍ধ ব্যর্থ করতে চাইলে উত্তেজনা ছড়ায়, বলে জানান সুকান্ত। সকাল থেকে কোচবিহার, রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি সহ একাধিক জায়গায় মিছিল করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুকান্ত বলেন, “কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা হত্যা ও রাধিকাপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আমরা তাদের পাশে আছি। এটা প্রমাণ করে কালিয়াগঞ্জের মানুষ পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছে। যে পুলিশ অপরাধীদের আটকাতে পারে না সেই পুলিশ একটা মায়ের কোল খালি করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাধিকাপুরে এক এসআই-এর গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের।” কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) নাবালিকাকে গণধর্ষণ-খুনের অভিযোগের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের আইজি (উত্তরবঙ্গ), উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে তলব করেছে জাতীয় তফশিলি জাতি কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সুকান্ত। 

    আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় দিল্লিতে তলব জেলাশাসক, পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের

    বন‍্‍ধ-এর প্রভাব

    শিলিগুড়িতে বন‍্‍ধ-এর মিশ্র প্রভাব পড়েছে। দোকান বাজার বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাটে বাস গাড়ি চললেও তার সংখ্যা অনেকটাই কম। তবে পাহাড়ে কোনও প্রভাব পড়েনি বন‍্‍ধ-এর। জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ-এ (BJP Strike) বালুরঘাট সহ জেলায় কোনও বেসরকারি যানবাহন ও বাস চলাচল করছে না। ঘুঘুমারিতে বিজেপির অবরোধ তুলতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মীদের দিকে বাঁশ নিয়ে তাড়া করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মালদা জেলার বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা শহরের রথবাড়ি মোড়, মঙ্গলবাড়ী মোড়, সাহাপুর, ডিস্কো মোড় সহ আরও একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই পথ অবরোধ করেছে। সকাল থেকেই বেসরকারি বাস রাস্তায় চলতে দেখা যায়নি। মালদা জেলার প্রায় দেড়শোটি বেসরকারি বাস আজ চলাচল করেনি। গৌরকন্যা বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাসস্ট্যান্ড জনশূন্য। একই চিত্র উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্র পরিবহনের বাসস্ট্যান্ডে, নেই কোনও যাত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বুধবার ওই মামলায়ই গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা। প্রত্যাশিতভাবেই খুশি বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগেই ভবিদ্ব্যাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, এবার তিহাড়েই নয়া ইউনিট খুলবে তৃণমূল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal ) সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী…

    সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ বারবার ইডি, সিবিআই ডাকলেও তিনি যাননি। তাঁর কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বিশেষত ইডি। বারবার উচ্চ আদালতে গিয়ে সেটাকে বাইপাস করার চেষ্টা করেছেন। ফলে ইডি এখন বাধ্য হয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা। খুব অল্প বয়স্কা। ফলে তাঁর এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকতে পারে না। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রোজগারের কোনও হদিশ আমরা পাইনি। যদিও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছি। আয়ের দিক থেকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তাঁকে উত্তর দিতে হবে।

    সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একজন জেলা সভাপতি। একজন জেলা সভাপতির পক্ষে এত বড় পাচারের মতো ঘটনা, গরু পাচার বা কয়লা পাচারের মতো বিষয়কে পুরোপুরি সামলানো সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের কালীঘাটের নেতাদের সঙ্গে এর যোগাযোগ রয়েছে। তাই ততক্ষণ পর্যন্ত এই বৃত্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মাথাগুলো ধরা পড়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বে। তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ইউনিট টিটিএমসি।

    আরও পড়ুুন: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় ইডি  গ্রেফতার করে সুকন্যাকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা। তাই করা হয়েছে গ্রেফতার।

    বিজেপি নেতা তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, এই গ্রেফতার একদম সঠিক গ্রেফতার। এর মাধ্যমে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এই দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ সারা বাংলার মানুষ চাইছেন। যত এজেন্ট আছে, গ্রেফতার হোক। আর এদেজেন্টদের নেতাও গ্রেফতার হোক। এটাই বাংলার মানুষের আকাঙ্খা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা লন্ডন না হলেও তৃণমূলের রাজত্বে মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। বুধবার মালদার স্কুলে পড়ুয়াদের পণবন্দি করে বন্দুকবাজের শাসানির প্রতিক্রিয়ায় এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    সুকান্তর দাবি

    সুকান্তের কথায়, কালিয়াগঞ্জের ভিডিওতে দেখা গেল, পুলিশকে জনতা পেটাচ্ছে। এখানে দেখা গেল স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। মালদার এক স্কুলে (Malda School) বুধবার পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি (Gunman in School)। সটান ক্লাসরুমে। হাতে পিস্তল। টেবিলে রাখা দুটি বোতল। বোতলের মাথাগুলি সাদা কাপড়ে মোড়া। পিস্তল উঁচিয়ে ভরা ক্লাসরুমে ছোট ছোট পড়ুয়াদের সামনে শাসক দল তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। অতীতে মার্কিন মুলুকে এমন স্কুলের ভিতের বন্দুকবাজের হানার কথা বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু এ দৃশ্য বাংলার কোনও স্কুলে অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। কর্নাটকে প্রচার সেরে কলকাতায় ফিরেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কলকাতাকে লন্ডন করবেন। তা আদতে স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে। তবে কলকাতা লন্ডন না হলেও মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। আমেরিকাতে এরকম বন্দুকবাজের তাণ্ডব হয়। এখন সেটা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামেগঞ্জেও হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখুন বাংলার আইন-শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি!”

    আরও পড়ুন: স্কুলব্যাগে বিশ্ব বাংলা লোগো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    দিলীপ ঘোষের মন্তব্য

    মালদায় স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে দিল্লির চক্রান্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই মন্তব্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলার পাড়ায় পাড়ায় যে খুন-ধর্ষণ হচ্ছে, সেটা কি দিল্লি করাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যখনই কোনও কাজে ব্যর্থ হন তখনই অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলেন। উনি পুলিশমন্ত্রী হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। তাই এখন দিল্লির ঘাড়ে দায় ঠেলার চেষ্টা করছেন। এটা অযোগ্যতার প্রাথমিক লক্ষ্মণ। এভাবে উনি পার পাবেন না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুকান্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কেমন দেখতে উনি আগে কোনওদিন দেখেননি। তাই এসি বাস, এসি তাঁবু দেখতে যাচ্ছেন’। শুভেন্দুর দাবি, সরকারি অর্থ অপচয় করে এই যাত্রার ডাক দেওয়া হচ্ছে।

    তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রা

    সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘তৃণমূলের নব জোয়ার’ যাত্রা। টানা ২ মাস ধরে, কোচবিহার থেকে সাগর….জনসংযোগ যাত্রা (Trinamoole Nabo Jowar) করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক যেখানে রাত্রিবাস করবেন, তার মধ্যে রয়েছে এমন ১৩টি বিধানসভা, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, মালদা, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর, বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ছাতনা, পুরুলিয়ার কাশিপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হুগলির গোঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ। অভিষেকের কথায়, ‘এত বড় একটা কর্মসূচি কোনওদিন ভারতবর্ষে কেউ নেয়নি, বাংলা তো ছেড়ে দিন।’

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই’ বলে মত শুভেন্দুর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘প্রথমত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এই প্রচারে। ডিসি পদমর্যাদার ৫ জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে যাতে, কয়লা ভাইপোকে চোর স্লোগান শুনতে না হয়।’ অভিষেককে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ‘গাড়ির স্পিড একশোর নিচে নামাবেন না, তাহলেই চোর স্লোগান শুনতে হবে।’

    সুকান্তর অভিমত

    সোমবার অভিষেকের প্রচার-যাত্রাকে কটাক্ষ করেই, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য ও জেলা স্তরে কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, ‘তার মানে এতদিন গ্রামের মানুষের মতামত না নিয়ে চলেছেন। তারা গ্রামের মানুষের মতামত কোথা থেকে নেবেন, গ্রামের মানুষের মতামত দেওয়ার সাহস নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সম্বন্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে ধরনের গুন্ডামি করেন কোনও মানুষ সাহস দেখাতে পারবেন না। এক সে এক চোর বসে আছে তৃণমূল কংগ্রেসে’। 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাবো এই নির্দেশকে। প্রত্যেকটি পুরসভায় তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশ কিছু চোর এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরোবে এবং জেলে থাকবে’। মমতা-নীতীশ বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আবার জোট পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগেরবার চেষ্টা হয়েছিল নীতিশ কুমার একবার ধোঁকা দিয়েছে এনডিএ-কে। আরও একবার দিল। নীতিশ কুমারের রাজত্ব বিহার থেকে শেষ হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব শেষ করব’।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share