Tag: sukanta majumder

sukanta majumder

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে’’, নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিংসা কবলিত সামশেরগঞ্জে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি এদিন পৌঁছে যান জাফরাবাদে খুন হওয়া হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতেও। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার সহ হিন্দু সমাজের উদ্দেশে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভয় পাবেন না, ভয় পেলে বেশি ভয় দেখাবে। আমরা পাশে আছি। প্রয়োজনে আবার আসব।’’ এই সময়েই জাফরাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার দাবি করে, ‘‘বিএসএফের স্থায়ী ক্যাম্প চাই।’’ এজন্য তাঁরা নিজেরাও জমি দিতে ইচ্ছুক বলে জানান। সুকান্ত মজুমদার আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলবেন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে (Sukanta Majumder) কাছে পেয়ে নিগ্রহ, ঘরছাড়ারা এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের কথা শুনলে শিউরে উঠবেন। সারা রাত তাণ্ডব চলেছে। ঘর বাড়ি সব শেষ কিচ্ছু নেই। কী করে বাঁচব আমরা?’’ পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এক মহিলা বলেন, ‘‘আমরা কেঁদে কেঁদে মরে গিয়েছি। পুলিশ সব জানে, তাও পুলিশ একটি বারের জন্যও আসেনি। আমরা যখন মারা যাব, তখন কি পুলিশ আসবে।’’

    কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) তাঁদের আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ‘‘রিফিউজি ক্যাম্পে গিয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকেরই দাবি ছিল, এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প দরকার। রাজ্য পুলিশের ওপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নেই। আমি রাজ্য সরকারকে আবেদন করব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার রাজ্য যাতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করে।’’ সংবাদমাধ্যমের সামনে সুকান্ত আরও বলেন, ‘‘চিফ সেক্রেটারিকে আমি নিজে আমার প্যাডে চিঠি লিখব, যে ৫৬ খানা দোকানের মালিককে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করা হয়। মূর্তি-বিগ্রহ ভাঙা হয়েছে। যারা অন্যের ধর্মকে সম্মান করতে পারে না, নিজের ধর্মকেও সম্মান করেনা।’’

    প্রসঙ্গ এনআইএ তদন্ত

    সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিজেপির (BSF) রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, ‘‘আমরা জনগণের দাবির সঙ্গে আছি। কিছু লোক এনআইএ তদন্তের জন্য আদালতে গিয়েছেন। আমাদের সকলের চোখ এখন আদালতের দিকে। যদি কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের অনুমতি দেয়, তাহলে সরকার তা অনুসরণ করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন যাতে তাদের (ভুক্তভোগীদের) ফেরত পাঠানোর হয়। কিন্তু তারা কোথায় যাবে? তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’’

  • Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumder: রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর পুলিশ কি ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad Incident) যে হিংসা ও অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে, তার কোনওটাই স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষের কারণে নয়। বরং সেখানকার সূতি, ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জের বিভিন্ন অংশকে উপদ্রুত বানানোর ব্লু-প্রিন্ট তিন মাস আগেই তৈরি হয়েছিল। তদন্ত করে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তারা কেবল একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। ওয়াকফ আইন পাশ হয়ে যেতেই তাকেই ইস্যু করা হয়। তাই যদি হয়, তাহলে সব জানার পরেও কেন আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ করলেন না পুলিশমন্ত্রীর গোয়েন্দারা? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ (Sukanta Majumder)

    বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ঘরছাড়াদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেন সুকান্ত। তার পরেই মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ-প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দাবিভাগ বলে তো একটা বিভাগ ছিল। তারা কী করছিল? সবাই তো শুনলাম ওরা জানত, বলছে তিন মাস ধরে মুর্শিদাবাদে অশান্তির ছক কষা হয়েছে। তুরস্ক থেকে নাকি টাকা এসেছে। তা যদি এতদিন ধরে ছক কষা হয়েই থাকে, তাহলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকা গোয়েন্দা বিভাগ কী করছিল? ওয়েব সিরিজ বানাচ্ছিল? নাকি বসে বসে ফ্যাক্ট চেক করছিল? ওদের তো এখন কাজই হল ফ্যাক্ট চেক করা।” ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দেন, “এঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু তারপর কী হল? পুলিশের সামনেই ঘর লুট হল, নির্যাতনের শিকার হলেন। এর দায় কার (Murshidabad Incident)?”

    গোয়েন্দাদের হাতে বিস্ফোরক তথ্য

    দু’দিন আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদের ওই তিন অংশে যে কায়দায় হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলার ছাপ স্পষ্ট। শুক্রবার অশান্তি শুরুর দিনও সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গিপুর মহকুমায় ফোন এসেছিল ৩০টিরও বেশি। গোয়েন্দাদের দাবি, আন্দোলনকে ঢাল করে কীভাবে হিংসাশ্রয়ী হতে হবে, তার নির্দেশ দেওয়া আরও ৭০টি ঘরোয়া মোবাইল কলকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তদন্তকারীরা এমন ৫০ জনের হদিশ পেয়েছেন (Sukanta Majumder), যাঁরা এই হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। জানা গিয়েছে, রেললাইনের পাথর মজুত করা, দোকানপাট লুট, বাছাই করে কিছু বাড়িতে হামলা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, সড়ক ও রেল যোগাযোগ থমকে দেওয়া – সবই পূর্ব পরিকল্পিত।

    মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল

    এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়ে দেন, আজ, বৃহস্পতিবারই মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দিচ্ছেন তিনি। এদিন রাজভবনে ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের যেসব জায়গায় অশান্তি হয়েছে, শুক্রবার সেই সব জায়গা ঘুরে দেখবেন তিনি। তিনি বলেন, “সত্যিই যদি শান্তি ফেরে তার চেয়ে ভালো খবর আর কিছুই হতে পারে না।” তবে কী পরিস্থিতি সেখানকার, গ্রাউন্ড জিরো ঘুরে চাক্ষুষ করতে চান তিনি। সেই মতো রিপোর্টও তৈরি করবেন বলে জানান রাজ্যপাল।

    মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

    প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কার্যত তাঁকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন এখনই সেখানে না যান। মমতা বলেন, “আমি আবেদন করব কিছুদিন অপেক্ষা করুন। মহিলা কমিশনও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে বলেছি।” তিনি বলেন, “বাইরে থেকে কেউ কেউ এসে অত্যাচারটা করেছে। তারা ভয় দেখাচ্ছে। হোম মিনিস্টারকে ত্রিপুরায়, মণিপুরে যেতে বলুন।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এলাকায় যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে, প্রশাসন যে কনফিডেন্সটা বিল্ড আপ করেছে, আমরা কেউ যেন গিয়ে সেটা নষ্ট না করি (Sukanta Majumder)।”

    সুকান্তর নিশানায় মমতা

    মমতার এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনি যাচ্ছেন না কেন, উনি তো ইমামদের নিয়ে মিটিং করছেন। আর ওখানে গেলেই অসুবিধা হবে রাজ্যপালকে কেন বারণ করছেন? তিনি কী লুকোতে চাইছেন? পুরো সত্যটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে যেহেতু যেতে পারেননি, তাই তিনি সেখানে যেতে বারণ করছেন। এদের সবার বাড়িঘর, দোকান, মন্দির তৈরি করে দিতে হবে, চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, সব থেকে বড় কথা বিএসএফ ক্যাম্প তৈরি করতে হবে (Murshidabad Incident)।”

    সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যেবাদী। আপনি যে কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। পুলিশকে বলছে হাতে চুড়ি পরে থাকুন। আর বিএসএফকে বলছে ভগবান। ওখানকার মানুষই এসব কথা বলছেন।” সুকান্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন (Sukanta Majumder)।”

  • Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    Ram Navami: ‘‘যারা পাথর ছুড়েছিল, তাদের বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী করছি’’, হাওড়াতে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ধাতব অস্ত্র ছাড়াই সম্পন্ন হয় হাওড়ায় রামনবমীর (Ramnavami 2025) মিছিল। মিছিলের আয়োজন করেছিল অঞ্জনিপুত্র সেনা। সেখানেই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই মিছিল থেকেই বিরোধীদের কার্যত হুঙ্কার দিলেন তিনি। তিনি বললেন, অতীতে যাঁরা তাঁদের মিছিলে বাধা দিয়েছিল, আজ তাঁদেরই বুকের ওপর দাঁড়িয়ে রামনবমী পালন করছেন তাঁরা!

    সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি (Ramnavami 2025)

    প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তে রামনবমীর মিছিল বের হয়। সব মিলিয়ে রবিবার কার্যত গেরুয়া রঙে ছেয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। অনেক জায়গার মতো হাওড়াতেও এদিন রামনবমীর মিছিল হয় এবং তাতেই যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। গতবারই এই অঞ্চলে মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তিনি বলেন, ‘‘গতবার যারা পাথর মেরেছিল, এবার তাদের বুকের ওপর দিয়ে হেঁটে আমরা রামনবমী করেছি। আমাদের যারা বাধা দেবে তাদের উচিত শিক্ষা এভাবেই দেওয়া হবে।’’

    নিশানা তৃণমূল কংগ্রেসকে

    অন্যদিকে রামনবমীর মিছিলে এবারেও সওকত মোল্লা ও কুণাল ঘোষদের হাঁটতে দেখা যায়। এনিয়ে সুকান্তর কটাক্ষ, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য রামনবমী পালন করতে হচ্ছে শাসক শিবিরকে। এমনি সময় তো জয় শ্রীরাম স্লোগানে তাঁদের সমস্যা হয়। তবে আমরা শুরু থেকেই হিন্দু এবং রামনবমী পালন করে আসছে।’’ বিজেপি (Ramnavami 2025) নেতার কথায়, তিনি পাগল হিন্দু! যতদিন শরীরে শক্তি থাকবে, প্রতিবছর রামনবমী পালন করবেন।

    পুলিশের ওপর ভরসা নেই সুকান্তর (Sukanta Majumder)

    সুকান্ত অবশ্য পুলিশের ওপর বিশেষ ভরসা রাখতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ আমাদের থামাতে চায়। অথচ আমরা দেশের আইন মেনেই চলি। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই মিছিল হচ্ছে। তবুও অনেক জায়গায় পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করেছে তাঁদের।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরকার সবসময় রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে।’’ প্রসঙ্গত, রামনবমী নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে। এই আবহে রাজ্যজুড়ে রামনবমীর মিছিলে ঢল নামতে দেখা গেল।

  • Byelection Results 2024: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি”, প্রত্যয়ী সুকান্ত

    Byelection Results 2024: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি”, প্রত্যয়ী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।” শনিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “উপনির্বাচনে (Byelection Results 2024) এমনই ফল হয়। কারণ বহু এলাকায় ভোটই দিতে দেওয়া হয়নি।” এর পরেই প্রত্যয়ী সুকান্ত বলেন, “২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।” তিনি বলেন, “কালিয়াগঞ্জের উপনির্বাচনে হেরেও জিতেছি।”

    ভোটের ফল (Byelection Results 2024)

    রাজ্যের পাঁচ জেলায় ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। শনিবার বের হল ফল। দেখা গেল, ছ’টি আসনেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। মাদারিহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। যে মেদিনীপুর এক সময় ছিল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, সেখানেই এখন পতপত করে উড়তে চলেছে তিরঙ্গা ঝান্ডা। মেদিনীপুর ছাড়াও যে আসনগুলিতে ভোট হয়েছিল এবং এদিন ফল গণনা চলছে, সেগুলি হল নৈহাটি, কোচবিহারের সিতাই। উত্তর ২৪ পরগনায় হাড়োয়ার ফলও এদিন গণনা হয়েছে। অকাল নির্বাচন হয়েছে, বাঁকুড়ার তালডাংরায়ও।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিকে, এদিনই ঘাটালে বিজেপির (Byelection Results 2024) সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই ফল কোনও বিপর্য়য় নয়। বাংলায় উপনির্বাচন হয় না। কিছুদিন আগে ধূপগুড়িতে আমাদের জেতা আসনে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: বিহার উপনির্বাচনে এনডিএ জোট চারে চার, শূন্য ‘ইন্ডি’, যোগীরাজ্যেও জয় ৭টিতে

    লোকসভা নির্বাচনে জয়ন্ত রায় কুড়ি হাজার ভোটে জিতেছিলেন সেখানে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।” দলের হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলায় উপনির্বাচনে ভোটই হয় না। তাই কোনও বিপর্যয় হয়নি।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “এবার থেকে নির্বাচনমুখী সংগঠন, আন্দোলনমুখী দল বা মোর্চা করতে হবে। সব সময় রাস্তায় থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমি যুক্ত থাকি না। তবে কোন কোন জিনিসের প্রয়োজন রয়েছে, তা আমি নিজের উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি।”

    সিতাই উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দীপক রায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখানে আশা বা নিরাশার কিছু নেই (Sukanta Majumder)। জয়-পরাজয় আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। নতুন করে…এটা নিয়ে এখন আর কী বলব (Byelection Results 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে”, দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী সেই রাজ্যের নারীরা কি সুরক্ষিত? তৃণমূলের শাসনে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে। দোষীরা শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। নির্যাতিতারা ন্যায় বিচার পায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেবল মাত্র চেক দিয়েই ধামাচাপা দিতে চান। একাধিক অভিযোগের বাণে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছে বিজেপি। একদিনের দলীয় কর্মশালায় বক্তব্য রেখে আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। তিনি বলেন, “চেক নয়, ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার (Bulldozer) দাঁড়িয়ে থাকবে।”

    মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন (Sukanta Majumder)?

    পূর্ব বর্ধমানের কালনায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যান বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। সেখানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের কর্মশালায় মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা-মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও।” সুকান্তর মুখে বাংলার বুলডোজার (Bulldozer) নীতিতে যেন উত্তর প্রদেশের যোগীরাজের ছায়া দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুনঃ ধৃত সিভিককে নিয়োগ করেছিলেন পুলিশ সুপারই! শীর্ষ আদালতে জানাল রাজ্য

    কেন্দ্রের অন্নপূর্ণা প্রকল্প

    এদিন এই সভামঞ্চ থেকে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বিজেপির মহিলা কর্মীদের জন্য অন্নপূর্ণা প্রকল্পের কথা বলেন। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার মহিলাদের তিন হাজার করে টাকা দেবে বলে জানানো হয়। তাঁরা কীভাবে ফর্ম ফিলাপ করবেন সেই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই ভাবে রাজ্যের নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ দিয়ে মুখ খোলেন তিনি। কীভাবে বাংলায় নারীরা নিগৃহীত, নির্যাতিত হচ্ছেন সেই কথাও তুলে ধরেন। তবে নারী নির্যাতন রুখতে যোগী বাবার বুলডোজার (Bulldozer) অন্যতম প্রধান অস্ত্র সেই দিকটার ইঙ্গিত দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    কয়েকমাস ধরে অব্যাহত নারী নির্যাতন

    উল্লেখ্য রাজ্যে গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। প্রতিবাদে রাজ্য, দেশ তথা বিদেশেও আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। শুধু তাই নয় গত কয়েক মাসে জয়নগর, কৃষ্ণনগর, মালদা, চাঁচল, ভূপতিনগর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, সন্দেশখালি সহ একাধিক জায়গায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিশেষ বিল পাশ করলেও এখনও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তাই বিজেপি এবার বুলডোজারের (Bulldozer) কথা তুলতেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত সুকান্ত, ভাবছেন এখন মার্জিন নিয়ে

    Balurghat: জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত সুকান্ত, ভাবছেন এখন মার্জিন নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনে বিজেপির (BJP) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে বালুরঘাট শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন সুকান্ত মজুমদার এবং তার সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)।

    সুকান্তর মনোনয়নপত্র জমা (Balurghat)

    এছাড়াও উপস্থিত বিজেপির গঙ্গারামপুর, তপন, বালুরঘাট বিধানসভা বিধায়করা। বালুরঘাট শহরের বিজেপি মোড় এলাকা থেকে মিছিল করে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব জেলা শাসকের দপ্তরে এসে পৌঁছান। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। বিজেপি পার্টির সূত্রের খবর আজকের এই মিছিলে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। বিশাল মিছিল ও কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে স্পষ্টতই খুশি বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।

    কী বললেন সুকান্ত?

    মনোনয়ন পত্র জমা করে বাইরে বেরিয়ে এসেই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আগেরবারের তুলনায় এবারে ভোটের ফলাফল আরও ভালো হবে এবং বালুরঘাটের আসনে বিজেপির জয়লাভ করবে। উন্নয়নের মিছিলে যেভাবে মানুষের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে তাতে এটাই প্রমাণ করে যে এবারেও এই আসলে বিজেপিরই জয় সুনিশ্চিত।” এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা এই আসনে বিপুল ভোটে জিতব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমরা এই আসন উপহার দেব আজকে মানুষের উচ্ছাস দেখে বোঝায় যাচ্ছে এই সিটটা কে দখল করবে। আজকে আমার সঙ্গে মনোনয়ন জমাতে উপস্থিত ছিল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনিও আমাদের সাথে এই রোদের মধ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটেছে।” প্রসঙ্গত লোকসভার সেরা সাংসদের পুরষ্কার পেয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্র সরকারের বহু প্রকল্প বালুরঘাটকে উপহার দিয়েছেন সুকান্ত বাবু। সেই কারণে তার জয়ের ব্যাপারে সন্দেহ নেই বালুরঘাটবাসীর।
     
     
     
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Drug Connection: তৃণমূলের সম্পদদের মাদক যোগ! তদন্ত এগোলে সব পরিষ্কার হবে বলছে বিজেপি

    Sandeshkhali Drug Connection: তৃণমূলের সম্পদদের মাদক যোগ! তদন্ত এগোলে সব পরিষ্কার হবে বলছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রসঙ্গে সন্দেশখালি (sandeshkhali), আর শেখ শাহাজাহান। সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে নতুন নতুন অভিযোগ উঠতে থাকে শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের (sheikh shahjahan) বিরুদ্ধে। এবার শাহজাহানের ড্রাগ ব্যবসার অভিযোগ উঠল। তবে এর অনেক আগে শাহজাহানদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০২২ সালে সুকান্ত মজুমদার(sukanta majumder) ও জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (jagannath chaterjee) সাংবাদিক বৈঠক করে উত্তর ২৪ পরগনায় ড্রাগ পাচারের একটি অভিযোগ করেছিলেন।

    সন্দেশখালির হেরোইন চক্র

     সেখানেই উঠে এসেছিল সন্দেশখালির দুই দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান ও শিবু হাজরার নাম। বলা হয়েছিল, প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন শরিফুল এন্টারপ্রাইজের (sariful enterprise) নামে কলকাতা বন্দরে এসেছিল। তখনই শরিফুল নামটি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে হেরোইন চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে জেলিয়াখালির তৃণমূল নেতা শরিফুল মোল্লার (Sariful Molla)বিরুদ্ধে। দেড় বছর আগেই হেরোইন মামলার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ।

    শরিফুলের বিরুদ্ধেই যৌথ অভিযান চালিয়েছিল গুজরাট এটিএস ও ডিরেক্টরেট অব্ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স

     সেই তদন্তের ফলাফল হিসেবেই সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সমান্তরালভাবে উঠে এসেছে শেখ শরিফুলের নাম। মাদক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত জানা গেছে , শরিফুলের বিরুদ্ধেই একটা সময়ে যৌথ অভিযান চালিয়েছিল গুজরাট এটিএস ও ডিরেক্টরেট অব্ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। তখন শরিফুলের বাড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রাংশের সরঞ্জামের মধ্যে থেকে প্রায় ৪০ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এই বিপুল পরিমাণ মাদকের দাম ছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

    কী বলছে বিজেপি নেতৃত্ব?

    বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছে সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে প্রতি দিনই নতুন নতুন অভিযোগ উঠছে। এরই মাঝে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, “শরিফুল মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আমরাই সবার আগে অভিযোগ করেছিলাম। এখন তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। ধীরে ধীরে সব দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত বিজেপির একাধিক নেতা আগেই দাবি করেছেন যে সংস্থার মাধ্যমে হেরোইন চক্র চলত ওই সংস্থার মালিক শরিফুল ইসলাম মোল্লা তৃণমূলের ‘ঘনিষ্ঠ’। সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শিবু হাজরা(shibu hazra) এবং শাহজাহানের সঙ্গে শরিফুলের যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষে। সেই সূত্রেই শাহজাহানের মানহানির মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    Sukanta Majumder: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। তাতে অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ। বুধবার থেকে দু’দিনের ধর্নায় অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতির নির্দেশ, সর্বাধিক দেড়শো জনের জমায়েত নিয়ে ধর্না করতে হবে। মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কোনও সমস্যা হলে দায় বর্তাবে মামলাকারীর ওপরই। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, জমায়েত হওয়া ও ধর্না সাংবিধানিক অধিকার। একমাত্র উপযুক্ত (Sukanta Majumder) কারণ থাকলে তবেই এই অধিকার খর্ব করা যায়। বুধবার থেকে আগামী দু’দিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে ধর্নায় বসবেন সুকান্ত মজুমদার।

    সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে তিন দিনের ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। রাজ্যে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সে কথা জানিয়ে সুকান্তকে ধর্নায় বসার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। পদ্ম শিবির জানিয়ে দেয়, যে এলাকায় ধর্নায় বসা হবে, তার আশপাশে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সেনাবাহিনীর তরফে অনুমতি মিলেছে বলেও জানিয়ে দেয় বিজেপি। এর পরেই শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে বসার অনুমতি দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে বাধা! সন্দেশখালির পথে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি

    রেশন বিলি কেলেঙ্কারিকাণ্ডে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। তার পরেও কার্যত কর্পূরের মতো উবে যান এই তৃণমূল নেতা। এর পরেই শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ওঠে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। তাঁদের আন্দোলন দমন করতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাগ-বিতণ্ডা হয়। ধস্তাধস্তির জেরে গাড়ি থেকে নীচে পড়ে যান সুকান্ত। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। টানা তিন দিন বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এর পর সুস্থ হয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চান তিনি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘অজুহাতে’ তাতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ আদালতে মিলল অনুমতি (Sukanta Majumder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে পদক্ষেপের আবেদন, অমিত শাহকে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে পদক্ষেপের আবেদন, অমিত শাহকে চিঠি দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বঙ্গ বিজেপি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিন দিন ধরে অশান্ত সন্দেশখালিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ব্যর্থ বলে চিঠিতে জানান সুকান্ত। চিঠিতে সুকান্ত অভিযোগ করেছেন যে সন্দেশখালির আদিবাসীদের উপর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীর আক্রমণ করছে ৷ সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে ৷ 

    সুকান্তর চিঠির বয়ান

    চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘‘আমি পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি অঞ্চলে ঘটে চলা হিংসার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি আপনার অবিলম্বে নজরে আনতে এই চিঠি লিখছি। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার এবং অন্যান্য তৃণমূলী গুন্ডাদের দ্বারা স্থানীয় আদাবাসী সম্প্রদায়ের উপর জঘন্য হামলার জেরে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের কাছ থেকে জরুরি পদক্ষেপ দাবি করে।’’ সুকান্তর অভিযোগ, শাহজাহানের জন্য সন্দেশখালির ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে৷ স্থানীয় মানুষকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার৷ অমিত শাহের কাছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের আবেদন, ‘‘আমি আপনাকে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে, পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে ব্যাপক অনাচার মোকাবিলায় দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করছি। নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং এই অঞ্চলে হিংসা ও সন্ত্রাস অব্যাহত রাখার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: সরকারি চাকরির নিয়োগে ‘চিটিং’ করলেই শাস্তি! নতুন বিল আনছে কেন্দ্র

    সন্দেশখালিতে জনজাগরণ 

    তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বুধবার থেকে কার্যত জনজাগরণ হয়েছে সন্দেশখালিতে। আক্রান্ত হয়েছেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য উত্তম সরদার। জনরোষের মুখে ভাঙচুর হয়েছে তাঁর বাড়ি, পোল্ট্রি ফার্ম ও বাগানবাড়ি। বাদ যাননি সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি শিবু হাজরাও। ভাঙচুর করা হয় শিবু হাজরার মদের দোকানে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শিবু হাজরার বাড়ি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, উত্তম আর শিবু এলাকায় শয়ে শয়ে বিঘা জমি দখল করেছে। সেই জমিতে মাছের ভেড়ি করেছে তারা। মাছ চাষের লভ্যাংশ চাইতে গেলে মারধর করে শিবু ও উত্তমের লোকেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি।” বুধ-দুপুরে ‘শাহি’ মঞ্চে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন সভা ছিল বিজেপির। সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত?

    শাহি-ভাষণের আগে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “অমিত শাহের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন, ধরে নিয়ে যাবে। পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিয়েছে। এদের চিনে রাখুন। ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের ৩৫ লক্ষ্যমাত্রা পার করব। এই বার, ৩৫ পার।” সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি জিতবে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি। ২০২৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    শাহি-বচন 

    বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভোট-হিংসা সব চেয়ে বেশি হয় বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেননি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “এক সময় যে বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে কেবলই শোনা যায় বোমার শব্দ। আমি গুজরাটে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি। যে বাংলা এক সময় গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন দিদি।” তিনি বলেন, “মোদিজির পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছেন। ভোট দিয়ে বিজেপি কর্মীরা বদলা নেবেন এই প্রতিটি রাজনৈতিক হত্যার।” শাহ বলেন, “মোদিজিকে উন্নয়ন করতে (Sukanta Majumder) দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

LinkedIn
Share