Tag: sukanta majumder

sukanta majumder

  • Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    Sukanta Majumder: বিজেপির প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার হাজরা মোড়, গ্রেফতার সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন হাজরা মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর নগদ টাকা, সোনা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এর পরেই  চোর ধর, জেল ভর কর্মসূচির ডাক দেয় বিজেপি। শনিবার সেই কর্মসূচি পালন করতে গেলেই গ্রেফতার করা হয় সুকান্তকে।

    এদিনের এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা শাখা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ সেখানে হাজির হন সুকান্ত। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে ধরে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড়ও করতে শুরু করে। সুকান্তের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও হয়। আটক করা হয় সুকান্তকে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    আরও পড়ুন : এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মমতা সরকারের মন্ত্রী, নেতাদের দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে। প্রশাসন ও শাসক দল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ফলে আন্দোলন করলেই গ্রেফতার বা আটক করা হচ্ছে। পুলিশ শাসক দলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে। কিন্তু এতে সত্যকে চাপা দেওয়া যাবে না। সুকান্তের অভিযোগ, মহিলা পুলিশরাও গায়ে হাত দিয়েছেন তাঁর।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৫০ কোটি নগদ সহ বহুমূল্যের সোনা, রুপো, স্থাবর সম্পত্তির দলিল। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছে তাঁর দল তৃণমূল। সাসপেন্ড করা হয়েছে দলীয় সব পদ থেকেও। তৃণমূলের নানা দুর্নীতির প্রতিবাদেই সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যার প্রতিবাদ করতে গিয়েই ‘হেনস্থা’র শিকার হন সুকান্ত।

    এদিকে, সুকান্তকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সভানেত্রী সংঘমিত্রা চৌধুরীকেও আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি,  যেখানে বিজেপির কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল, সেখান থেকে সামান্য দূরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি। এলাকাটি হাই সিকিউরিটি জোন। তাই আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিক্ষোভরত বিজেপি নেতাকর্মীদের।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    Mahua Moitra: মহুয়ার ‘কালী’ মন্তব্যের জের, এফআইআর দায়ের, পথে বিজেপি, সমালোচনার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত মন্তব্যের জের। গোটা দেশে প্রবলভাবে সমালোচিত তৃণমূলের (Trinamool) সাংসদ (MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। মঙ্গলবার মা কালীকে (Smoking Kali Controversy) নিয়ে একটি বিবৃতি দেন সাংসদ। কিন্তু সেই মন্তব্যের দায় নেয়নি দল। অভিমান হয়েছে মহুয়ার। দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করেছেন তিনি। এবার মহুয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫৬ টি এফআইআর দায়ের হল। রবীন্দ্র সরোবর থানা থেকে শুরু করে বউবাজার থানা প্রতিটি জায়গাতেই মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক, হাত ছাড়ল দল, তৃণমূলকে আনফলো মহুয়ার  

    দেবী কালী নিয়ে মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কালীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগে অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে বিজেপি ৷ এই নিয়ে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন দিয়েছে বিজেপির মহিলা মোর্চা।

    সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আজ বিজেপির তরফে বউবাজার থানায় ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় । পাশাপাশি মোট ৫৬ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, সেই সময় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি না থাকায়, আজ বিকেলে বিজেপির তরফে জানানো অভিযোগগুলির নম্বর তাদের দেওয়া হবে। এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী। কালী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মহুয়া মৈত্রকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপির মহিলা কর্মীরা৷ এ দিন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী জানান, “আমরা গোটা রাজ্যজুড়েই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব।”

    লীনা মণিমেকলাইয়ের একটি তথ্যচিত্র ‘কালী’র পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এতে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা গিয়েছে। এই পোস্টারে দেবী কালীর হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি রঙিন পতাকাও দেখা যায়। এই পোস্টার বিতর্কের মাঝেই মহুয়া বলেন, “আমার কাছে মা কালী মাংসভোজী, মদ পান করা একজন দেবী।” মহুয়ার এই মন্তব্যের পরেই তাঁর পাশ থেকে সরে যায় তৃণমূল। সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলে,  মন্তব্যের দায় দলের নয়। এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল ট্যুইটারে আনফলো করেন মহুয়া। 

    মহুয়ার মন্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া, “সবসময় হিন্দু ধর্মকে অপমান করে তৃণমূল। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করি এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পদক্ষেপ নেবেন।”       

    বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য থেকে তৃণমূল দায় এড়াতে পারে না। তৃণমূল যদি সমর্থন না করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মহুয়াকে সাসপেন্ড করা উচিত দল থেকে।

    কৃষ্ণনগরের সাংসদ এদিন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। বিপদ বুঝে নিজের মতামত থেকে সরে এসে একটি ট্যুইট করে লেখেন, ‘আমি কালীর উপাসক। কোনও কিছুতে ভয় পাই না।’ ট্যুইটে মহুয়া আরও লেখেন, ‘জয় মা কালী! যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক এবং শান্ত।’  

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    সাংসদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে ভোপালেও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মহুয়ার মন্তব্যে আপত্তি তোলার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, “মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যে হিন্দু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে এবং হিন্দু দেব-দেবীর অবমাননা কোনও ভাবেই সহ্য করা হবে না।” এরপরই ভোপাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ার খবর জানান ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার শৈলেন্দ্র চৌহান।   

    মহুয়ার এই দুর্দিনে তিনি কাছে পাননি বন্ধু দল কংগ্রেসকেও। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি (Avishek Singhvi) সাংসদের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।    

  • insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    insas rifle snatched: “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলের রাজত্বে বাংলা হয়েছে জেহাদিদের (jihadi) আঁতুড়ঘর। রাজ্যটি জেহাদিদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে।” এমনটাই মনে করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumder)। মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে বিএসএফের (BSF) কর্তব্যরত এক মহিলা কনস্টেবলের কাছ থেকে ইনস্যাস (Insas) রাইফেল ছিনতাই প্রসঙ্গে এমন ট্যুইট করেন সুকান্ত।

    বিএসএফ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে ১৫৩ ব্যাটেলিয়নের এক মহিলা কনস্টেবল পাহারা দিচ্ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh border) ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের কাছে। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় ইনসাস অ্যাসল্ট রাইফেল (Assault rifle) ও ২০ রাউন্ড গুলি। বিএসএফের এক আধিকারিক জানান, প্রহরারত মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা তাঁর সঙ্গে থাকা রাইফেল ও গুলি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।  

    এরপরই এলাকায় চিরুনি-তল্লাশি শুরু করে বিএসএফ। আটক করা হয় এক ডজনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে। তবে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত হদিশ মেলেনি খোয়া যাওয়া রাইফেলের। শেষমেশ বিএসএফের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বসিরহাট থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জোবি টমাস কে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাদের একটি ইনসাস রাইফেল (insas rifle) চুরি গিয়েছে বলে আমরা বিএসএফের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। সেই অনুযায়ী, আমরা মামলা শুরু করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্ত চলছে। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। পুলিশের একটি অংশের মতে, রাইফেলটি ছিনিয়ে নিয়ে দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে গা-ঢাকা দিতে পারে।

    বিএসএফের এক মহিলা কনস্টেবলকে মারধর করে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় যারপরনাই বিস্মিত বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ট্যুইট করেন তিনি। লেখেন, “তৃণমূলের শাসনে পশ্চিমবঙ্গ জেহাদিদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। ঘোজাডাঙার এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ রাজ্য জিহাদিদের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে।”

    [tw]


    [/tw]

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই ট্যুইটের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

     

LinkedIn
Share