Tag: Sunil Bansal

Sunil Bansal

  • BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    BJP: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায় ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দিতে কলকাতায়  ‘লাখো মহিলার সমাবেশ’ করতে রাজ্য বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চাকে বললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল (Sunil Bansal)। অবশ্য ঘোষণা নয়, এই কর্মসূচির কথা প্রস্তাব আকারে পেশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্য নেতাদের তা বিবেচনাও করতে বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বনসল।

    ‘নারী শক্তি সম্মেলন’ (BJP)

    সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরির প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করা হয়েছিল ‘নারী শক্তি সম্মেলনে’র। রাজ্য মহিলা মোর্চা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বনশল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, মাফুজা খাতুন এবং মীনাদেবী পুরোহিত। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন হতে আর মাস ছয়েক (পুজোর মাস এবং অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে) দেরি বলে স্মরণ করিয়ে দেন বনশল। এই কয়েক মাসে মহিলা মোর্চাকে কোন কোন জনসংযোগ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে, তা উল্লেখ করার পর বনশল বলেন, “আমি চাই ব্রিগেডে যেমন জনসভা হয়, সেই রকম ভাবে কলকাতায় এক লাখ মহিলার জমায়েত করা হোক। কারণ এই মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই মহিলাদের ওপরে অত্যাচার হচ্ছে সব চেয়ে বেশি। তাই মহিলারাই পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীকে সরানোর ডাক দেবেন।” তিনি বলেন, “এখানে শুভেন্দুদা রয়েছেন। তিনি এবং অন্য নেতারা যদি আমার সঙ্গে সহমত হন, তাহলে আমার মনে হয় একটা কর্মসূচির ডাক দেওয়া যেতেই পারে। জনসভা নয়। সারা বাংলা থেকে এক লাখ মহিলা এসে নামবেন কলকাতার রাস্তায় আর মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর পতনের ডাক দেবেন (BJP)।”

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, “যদি আমরা এক লাখ মহিলাকে নিয়ে এই মহিলা ব্রিগেড করতে পারি, তাহলে সেটা হবে ঐতিহাসিক ব্রিগেড। আপনারা যাঁরা আজ এখানে রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকে ২০০ জন করে মহিলাকে আনতে পারলেই সংখ্যাটা এক লাখ ছাপিয়ে যাবে। আজ থেকেই খাতায় নাম লিখতে শুরু করুন যে, আমি এই ২০০ জনকে আনব।” মহিলা মোর্চার এক পদাধিকারী বলেন, “ব্রিগেডেই হোক বা কলকাতার রাজপথে, লক্ষাধিক মহিলাকে নিয়ে কলকাতার বুকে এই কর্মসূচি রূপায়িত (Sunil Bansal) হলে, তাহলে তা সত্যিই ইতিহাস হয়ে থাকবে (BJP)।”

  • Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    Sunil Bansal: কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র জায়গায় বাংলার দায়িত্বে সুনীল বনসল, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় যখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই পর্যবেক্ষক বদল করে ফেলল বিজেপি (BJP)। রাজ্য বিজেপিতে নয়া পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীল বনসলকে (Sunil Bansal)। সুনীল বনসলকে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যোগী রাজ্যের সংগঠন সামলানো সুনীল বনসলকে বাংলা বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। সেইসঙ্গে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওড়িশা ও তেলঙ্গনার। ঘটনাচক্রে এই তিনটিই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য।

    একুশের ভোটে বাংলায় পরাজয়ের পর থেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সেভাবে দেখা যায়নি। তবুও বাংলা বিজেপির দায়িত্বে খাতায় কলমে ছিলেন ইন্দোরের নেতা। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। বাংলার সঙ্গে যোগ না থাকা কাউকে আর দায়িত্ব দিতে চায়নি বিজেপি। এই রাজ্য সম্পর্কে সম্যক ধারণা রয়েছে, এমন কোনও ব্যক্তিকেই দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মতো দায়িত্ব বণ্টন করা হল। সুনীল বনসলের পৈতৃক বাড়ি দুর্গাপুরে। তবে দীর্ঘদিন তিনি সঙ্ঘের কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকতেন। আরএসএসের প্রচারক ছিলেন সুনীল। অনেকের বক্তব্য, বাংলা যোগের কারণেই এই নেতাকে সুকান্ত, শুভেন্দুদের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার সিবিআইয়ের

    কেন সুনীল? বিজেপি নেতাদের মতে, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে দারুন কাজ করেছেন তিনি। দলের দাবি, সুনীল ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীনই দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দখল করেছিল এবিভিপি (ABVP)। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে জেতানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সুনীল বনসলের। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিতে এ বার গুরুত্বপূর্ণ পদে সেই সুনীল। ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি জে পি নাড্ডার নির্দেশে বাড়তি দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা এবং তেলেঙ্গানায় দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সুনীলেরর কাঁধে। সেই সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদেও সতীশ বনসলকে নিযুক্ত করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

    উত্তরপ্রদেশ বিজেপির এক নেতা জানাচ্ছেন, অমিত শাহ প্রচারের সামনে থাকলেও উত্তরপ্রদেশে সাফল্যের নেপথ্যে ছাত্র-নেতা সুনীলের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য ছিল। তাঁর কৌশল এবং অমিত শাহের মস্তিষ্কের জোরেই বিজেপি লোকসভা ভোটের নিরিখে এখন ওই রাজ্যে ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩২৭টি-তে এগিয়ে ছিল। বাংলায় সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর লোকসভা। এই দুই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হল সুনীলকে।

LinkedIn
Share