Tag: Supreme court

Supreme court

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতার ঘোষণায় বিভ্রান্ত যোগ্যরা’’! মুখ্যমন্ত্রীকে তিন প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই নবান্নে এসএসসি ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে ফের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আর এরপরই এই ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতার এমন ঘোষণায় চাকরিহারা যোগ্যরা বিভ্রান্ত বলেও তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন।

    সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন শুভেন্দু?

    নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, আপনি বিগত কয়েক মাস ধরে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নানা রকম আশ্বাস, অভয় দিয়েছেন। কখনও বলেছেন স্কুলে ফিরে যান, কখনও বলেছেন স্কুলে পড়াতে তো কোনও বারণ নেই (তা সে বেতন ছাড়াই হোক না কেন), কখনও বলেছেন সরকার পাশে আছে, ভরসা রাখুন চাকরি যাবে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার নাকি প্ল্যান এ, বি, সি, ডি তৈরি আছে। আজ যখন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করলেন (যেটা সম্পূর্ণ এসএসসি-র এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, আপনার কোনও ভূমিকা হওয়া উচিত নয়), তখন উল্লেখ করলেন না কেন যে, এই ঘোষণা আপনার কত নম্বর প্ল্যানের অংশ।’’

    আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবারই সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হচ্ছে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে পরীক্ষা নিতেই হবে, তাই পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা চাই, পরে যেন আদালত আমাদের দোষ না দেয়।’’ আর এরপরই রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘আপনি আজও চেষ্টা করেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিভ্রান্ত করতে, তবে আর কত দিন ঠকাবেন এই যোগ্য নিরপরাধ চাকরিহারাদের? আজ তারা আপনার এই ঘোষণাকে মৃত্যুপরোয়ানা বলে উল্লেখ করেছে।’’

    বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রেখেছেন

    শুভেন্দুর প্রথম প্রশ্ন

    প্রথম প্রশ্নে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘‘যদি আদালতে পুনর্বিবেচনার আর্জির ফলাফল চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের পুনর্বহাল করার পক্ষে না যায়, তবে আর কোন আইনি পথে এদের সাহায্য করা সম্ভব হবে? কারণ যোগ্যদের তালিকা আদালতে জমা না দিয়ে আপনি নিজে এদের আইনি সম্ভাবনার সমস্ত দরজার শিকলে তালা দিয়েছেন।’’

    শুভেন্দুর দ্বিতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানতে চেয়েছেন, ‘‘পুনরায় পরীক্ষায় বসতে বলে যে উপদেশ আপনি দিচ্ছেন, কি গ্যারান্টি আছে, যে যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরি হারিয়েছেন আপনার সরকারের শিক্ষামন্ত্রী, আপনার দলের নেতাদের ও তৎকালীন এসএসসি কর্তাদের দুর্নীতির ফলে, তারাই আবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি ফিরে পাবেন? হয়তো সম্পূর্ণ নতুন ব্যক্তিরা চাকরি পেলেন। আপনি দায়িত্ব নিয়ে, ১০০% সুনিশ্চিত ভাবে এক জন কারও নাম বলতে পারবেন যে চাকরি ফিরে পাবেই পাবে? হয়তো কিছু জন পাবে, বেশি বা কম, সে তো ফলাফল বেরোলে বোঝা যাবে।’’

    শুভেন্দুর তৃতীয় প্রশ্ন

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃতীয় প্রশ্নে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘যে রিভিউ পিটিশন নিয়ে আপনি এত আশাবাদী, এবং চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভরসা জোগানোর আপনার এক মাত্র সম্বল, সেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করার সময়ে কি যোগ্যদের তালিকা জমা দিয়েছেন সঙ্গে?’’

    ফের চাকরি বিক্রির সুযোগ পাবে নেতারা, তৃণমূলকে খোঁচা শুভেন্দুর

    এর পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি জারি করার ঘোষণা আজ করলেন এবং যার ফলে পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষকতার চাকরির শূন্যপদে আবার নিয়োগ হবে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার ব্যাপারে সব থেকে খুশি হয়েছে আপনার দলের নেতারা, কারণ তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি করার সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে ৩০ মে। তারপর ১৬ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ হবে ১৫ নভেম্বর। কাউন্সেলিং ২০ নভেম্বর। মমতা সরকারের এমন ঘোষণার তীব্র বিরোধ করতে দেখা গিয়েছে চাকরিহারা যোগ্য আন্দোলনকারীদের।

  • Supreme Court: বিচারক হতে হলে ৩ বছরের কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: বিচারক হতে হলে ৩ বছরের কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য স্নাতক হওয়া আইনের পড়ুয়ারা বিচারক হতে চাইলে এবার থেকে তাঁদের তিন বছরের প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবেই। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কোর্ট প্র্যাকটিসের অভিজ্ঞতা না থাকা আইন স্নাতকরা বিচারক হলে আদালতের কাজকর্মে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই সুপ্রিম কোর্ট তিন বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করল। এতদিন পর্যন্ত যেভাবে আইন পাশ করার বছর থেকেই জুডিশিয়াল সার্ভিস দেওয়া যেত, তা এবার সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশিকায় বন্ধ হল।

    ২০০২ সাল পর্যন্ত থাকা নিয়মকেই পুনরায় ফিরিয়ে আনল শীর্ষ আদালত

    প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের আগে পর্যন্ত ন্যূনতম তিন বছর প্র্যাকটিস করলে তবেই বিচারক (Judicial Service) হওয়ার পরীক্ষায় বসা যেত। ২০০২ সালে সেই নিয়ম তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরবর্তীকালে আবার ২৩ বছর পরে তা ফের একবার লাগু হল। মঙ্গলবারই দেশের প্রধান (Supreme Court) বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি এজি মাসিহ এবং বিচারপতি কে বিনোদচন্দ্রনের এই বেঞ্চ এমন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে।

    বর্তমানে যে নিয়োগ চলছে সেখানে কার্যকর হবে না নয়া নিয়ম

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, আইনে স্নাতক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জুডিশিয়াল সার্ভিসে বসা যাবে না। এর জন্য তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তার কারণ কোর্টের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিন এমন নির্দেশিকা দেওয়ার পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্য সরকারকে নিয়ম সংশোধন করতেও নির্দেশ দিয়েছে। যাতে সিভিল জজ জুনিয়র ডিভিশনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ যাঁরা করবেন, তাঁদের ন্যূনতম তিন বছরের প্র্যাকটিস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে তার উপরে কোন প্রভাব ফেলবে না এই নির্দেশিকা (Judicial Service)। পরবর্তীকালে যে নিয়োগগুলি হবে সেখানেই লাগু হবে এই নয়া নিয়ম।

  • Supreme Court: ‘‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’’, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের এদেশে থাকার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘‘ভারত কোনও ধর্মশালা নয়’’, শ্রীলঙ্কার নাগরিকের এদেশে থাকার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lankan National) এক নাগরিক ভারতে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সোমবার তা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, ভারত কোনও ধর্মশালা নয়। এদিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, আবেদনকারীকে শ্রীলঙ্কায় সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলপ্রটিটিই)-এর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ২০১৫ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয় ওই ব্যক্তি (Supreme Court)

    ২০১৮ সালেই, ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্ত এই শ্রীলঙ্কার নাগরিককে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর তার ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০২২ সালে, মাদ্রাজ হাইকোর্ট তাঁর সাজা কমিয়ে সাত বছর করে। এর পাশাপাশি নির্দেশে উল্লেখ ছিল যে, সাজা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দোষীকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। তবে ওই দোষী দিন কয়েক একটি শরণার্থী শিবিরে থাকার সুযোগ পাবেন।

    কী বললেন বিচারপতি?

    আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছিলেন যে- নিজের দেশে তাঁর জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকায় তিনি ভিসা নিয়েই ভারতে এসেছিলেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা ভারতেই রয়েছেন। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে এখানে আটক রয়েছেন বলেও জানান ওই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। এরপরেই তিনি ভারতে থাকার আবেদন জানান। জবাবে, বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘ভারত কি সারা বিশ্ব থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে? এ দেশে এমনিতেই ১৪০ কোটি মানুষের বসবাস। এটি কোনও ধর্মশালা নয় যেখানে আমরা সারা বিশ্বের বিদেশি নাগরিকদের আতিথেয়তা দিতে পারি।’’ এক্ষেত্রে আবেদনকারীর আইনজীবী সংবিধানের ২১ (জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষা) এবং অনুচ্ছেদ ১৯ ধারা উল্লেখ করেন। এই ধারা গুলির মাধ্যমে যেকোনও ভারতীয় বাকস্বাধীনতা এবং চলাফেরার স্বাধীনতা-সহ মৌলিক অধিকার ভোগ করেন। এক্ষেত্রে বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘‘আবেদনকারীর আটক ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে না কারণ তাঁকে আইন অনুসারে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।’’

  • Supreme Court: সুপ্রিম নির্দেশে চাপে মমতা সরকার, চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের দিতে হবে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ

    Supreme Court: সুপ্রিম নির্দেশে চাপে মমতা সরকার, চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কর্মীদের দিতে হবে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে ব্যাপক চাপে মমতা সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ-র আবেদন জানিয়ে আন্দোলন করছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সরকারি কর্মীরা। ডিএ মামলায় শুক্রবার শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলে, অন্তত ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘‘এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না আমার কর্মীদের। এত টাকা দিলে আমরা চালাতেই পারব না।’’ এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, অন্তত ২৫ শতাংশ ডিএ দিতেই হবে। একইসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অগাস্ট মাসে ধার্য করা হয়েছে।

    কী বলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

    বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ছিল এদিনের ডিএ মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতিরা এদিন বলেন, ‘‘আমরা সব রায় দেখেছি। হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতি টাকা দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা সত্যি, যে এটা কোনও অধিকার নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে টাকা দেব না। অন্তত ২৫ শতাংশ দিন।’’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথম বারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। এরপর ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বরের পর থেকে বার বার এই সংক্রান্ত শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। মোট ১৮ বার শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে শুক্রবার মামলাটি ওঠে শীর্ষ আদালতে।

    সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য, রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত (Supreme Court)

    জানা গিয়েছে, ডিএ মামলায় আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal)। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় দিতে কোনওভাবেই রাজি হয়নি। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা দরকার, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পান, রাজ্য সরকারি কর্মীরা পান ১৮ শতাংশ ডিএ। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মীদের তফাৎ ৩৭ শতাংশ।

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দু অধিকারী

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই নির্দেশ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বিশাল জয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ডিএ কারও অধিকার নয়। সুপ্রিম নির্দেশে সিলমোহর পড়ল যে, ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। আশা করব, সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ দিন বঞ্চিত রাখার নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন।’’ ডিএ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘৫০ শতাংশ দিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য তাতে রাজি হয়নি। অথচ এর থেকে অনেক বেশি খরচ করা হয় রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্পে।’’ তবে এই নির্দেশকে আন্দোলনের নৈতিক জয় বলে মনে করছেন ভাস্কর ঘোষ।

  • Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে বহিষ্কারের মুখোমুখি রোহিঙ্গা মুসলমান অভিবাসীদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারতের আইনে তারা বিদেশি হিসেবে গণ্য হওয়ায় বিদেশি আইন অনুযায়ী তাদের ডিপোর্টেশন অপরিহার্য (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং এন কোটিশ্বর সিংয়ের তিন সদস্যের বেঞ্চ ৮ মে নির্ধারিত বহিষ্কার বন্ধে দায়ের করা জরুরি আবেদনের শুনানি করেন। বিষয়টির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৩১ জুলাই।

    আবেদন উত্থাপন (Supreme Court)

    প্রবীণ আইনজীবী কলিন গনসালভেস এবং প্রশান্ত ভূষণ এই আবেদনগুলি উত্থাপন করেন। তাঁরা বলেন, “মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার তাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।” গনসালভেস আদালতের এই অবস্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করে একে চরম সীমা অতিক্রম আখ্যা দেন। পূর্ববর্তী রায়ে আদালতের এই জনগোষ্ঠীকে রক্ষার ভূমিকাকেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। ভূষণ এও উল্লেখ করেন, মণিপুরের পক্ষ থেকে দাখিল করা একটি হলফনামায় বলা হয়েছে, মায়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। কারণ তারা রাষ্ট্রহীন।

    বিচারপতি দত্তের মন্তব্য

    আবেদনকারীদের ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর নির্ভরতার প্রেক্ষিতে বিচারপতি দত্ত মন্তব্য করেন, “আদালত এই বিষয়টি অস্বীকার করে না যে অভিবাসীরা শুধুমাত্র এই নথির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কোনও স্বস্তি দাবি করতে পারেন না।” ভূষণ রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গৃহীত গণহত্যা কনভেনশনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, যা ভারত দ্বারা অনুমোদিত, এবং আদালতকে এর বিধানগুলি বিবেচনার আহ্বান জানান। তবে বিচারপতি কান্ত সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের মাটিতে অভিবাসীদের থাকার অধিকার আছে কি না, সে বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। যদি ভারতের আইনের অধীনে তাদের থাকার কোনও অধিকার না থাকে, তাহলে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী বহিষ্কার করা হবে।” বিচারপতি দত্তের গলায়ও এই মতেরই প্রতিধ্বনি শোনা যায়। তিনিও বলেন, “ফরেনার্স অ্যাক্টের আওতায় আসা বিদেশিদের মতো রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    সরকারের যুক্তি

    সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং আইনজীবী কানু আগরওয়াল আবেদনকারীদের যুক্তির বিরোধিতা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়গুলির উল্লেখ করেন তাঁরা। ওই রায়গুলিতে অসম এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া থামানোর আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। তারা ফের কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্বেগের কথা বলেন, যে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগের অন্যতম বড় কারণ (Supreme Court)।সলিসিটর জেনারেল বলেন, “ভারত রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ভারত রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের সদস্যও নয়। সেই প্রেক্ষাপটে ইউএনএইচসিআরের শরণার্থী স্বীকৃতি প্রশ্নের মুখে।” তিনি বলেন, “বহিষ্কারের বিরুদ্ধে অধিকারটি মূলত বসবাসের মৌলিক অধিকারটির সঙ্গে যুক্ত, যা শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের জন্যই সংরক্ষিত।”

    সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ

    ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রোহিঙ্গা অভিবাসীদের জীবনের অধিকার প্রযোজ্য বলে স্বীকার করলেও, বেঞ্চ তাদের বিদেশি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করে। ফলে আদালত জানিয়ে দেয়, তাদের অবস্থা বিদেশি আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে, যা দেশে অবৈধভাবে বসবাসরত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ, আটক ও বহিষ্কারের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় অভিবাসন এবং বিদেশিদের সঙ্গে আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় আইনের প্রাধান্যকে তুলে ধরে (Supreme Court)। ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর আবেদনকারীদের নির্ভরতার প্রতিফলন ঘটিয়ে বিচারপতি দত্তের পর্যবেক্ষণ, “ইউএনএইচসিআর কার্ডের ওপর ভিত্তি করে আবেদনকারীরা ত্রাণ দাবি করতে পারবেন না, এমন কোনও কিছুই অস্বীকার করা হয়নি।”

    গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত

    ভূষণের যুক্তি, ভারত কর্তৃক অনুমোদিত গণহত্যা কনভেনশনটিও বিবেচনা করা উচিত। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি কান্ত একটি চূড়ান্ত রায়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেছিলেন, “যদি তাদের (রোহিঙ্গাদের) এখানে থাকার অধিকার থাকে, তবে তা স্বীকার করা উচিত। এবং যদি তারা তা না করে, তারা পদ্ধতি অনুসরণ করবে এবং আইন অনুসারে নির্বাসন দেবে।” বিচারপতি দত্তের মন্তব্য, তারা (রোহিঙ্গারা) সকলেই বিদেশি এবং যদি তারা বিদেশি আইনের আওতায় আসে, তাহলে তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে বিদেশি আইন অনুসারেই। এদিন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, ভারতের যে কোনও জায়গায় বসবাসের অধিকার কেবলমাত্র তার নাগরিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যা ইঙ্গিত দেয় যে অ-নাগরিকদের বিদেশি আইন অনুসারে পরিচালিত করা হবে (Supreme Court)।

  • Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    Supreme Court: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন,” বিচারপতি ভার্মাকে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হয় পদত্যাগ করুন, নয়তো ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হোন।” বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার (Justice Yashwant Varma) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অভ্যন্তরীণ প্যানেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একথা বললেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তকারী তিন সদস্যের কমিটি রবিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

    ভার্মার বাসভবনে অগ্নিকাণ্ড (Supreme Court)

    ১৪ মার্চ হোলির সন্ধ্যায় দিল্লিতে দুর্ঘটনাক্রমে অগ্নিকাণ্ডের সময় বিচারপতি ভার্মার বাসভবনে প্রচুর পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধারের অভিযোগ ওঠায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। চলতি বছরের ২২ মার্চ গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির দায়িত্ব ছিল ভার্মার সরকারি বাসভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করা। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জিএস সন্ধাওয়ালিয়া এবং কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অণু শিবরামের সমন্বয়ে গঠিত ওই কমিটি ২৫ মার্চ তদন্ত শুরু করে। ৪ মে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। সূত্রের খবর, কমিটি বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে অসদাচরণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে এবং উক্ত নগদ টাকার উৎস ও উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।

    তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে

    বিচারপতি ভার্মার দাবি, আগুন লাগার সময় তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভোপালে ছিলেন। তাই নগদ টাকার বিষয়ে তাঁর জানা নেই। পুরো ঘটনাটিকে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ফ্রেম করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন (Supreme Court)। বার অ্যান্ড বেঞ্চের একটি সূত্রের খবর, “প্রতিবেদনে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে তলব করেছেন (Justice Yashwant Varma)। তাঁকে প্রথম যে বিকল্প দেওয়া হয়েছে তা হল পদত্যাগ করতে হবে। যদি তিনি পদত্যাগ করেন, তাহলে ভালো। যদি না করেন, তাহলে ইমপিচমেন্টের সুপারিশ করে রিপোর্ট পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।” এজন্য বিচারপতি ভার্মাকে ৯ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে (Supreme Court)।

  • Road Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় জাতীয় নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র, জারি বিজ্ঞপ্তি

    Road Accident: সড়ক দুর্ঘটনায় জাতীয় নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র, জারি বিজ্ঞপ্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সড়ক দুর্ঘটনার (Road Accident) শিকার ব্যক্তিদের জন্য একটি জাতীয় নগদবিহীন চিকিৎসা প্রকল্প চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার (Govt Notification)। এক্ষেত্রে প্রতিটি দুর্ঘটনায় প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হবে। এই সুবিধা পাওয়ার জন্য ঘটনার সাত দিনের মধ্যেই সরকারি নির্দেশিত হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তির। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের যে কোনও সড়কে মোটরযান সংক্রান্ত দুর্ঘটনার শিকার যে কোনও ব্যক্তি (জাতি, শ্রেণি বা অন্য কোনও বিভাগ নির্বিশেষে) এই নগদবিহীন চিকিৎসার আওতায় আসবেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্ঘটনার তারিখ থেকে সর্বোচ্চ সাত দিনের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচে ক্ষতিগ্রস্তরা যে কোনও নির্ধারিত হাসপাতালে নগদবিহীন চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন। এই পরিকল্পনার অধীনে নির্ধারিত নয় এমন হাসপাতালে চিকিৎসা শুধুমাত্র রোগীকে স্থিতিশীল করার ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, যা পরিকল্পনার নির্দেশিকায় বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে।

    জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (Road Accident)

    জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ (এনএইচএ) এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে কাজ করবে, যা পুলিশ, হাসপাতাল এবং রাজ্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালিত হবে। প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রাজ্য সড়ক নিরাপত্তা পরিষদ তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নোডাল সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এতে একটি পোর্টালের মাধ্যমে চিহ্নিত হাসপাতালগুলিকে যুক্ত করা, দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা, হাসপাতালে অর্থপ্রদানের প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এছাড়াও, বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই জাতীয় কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন তদারকি ও পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করবে।

    পাইলট প্রকল্প চালু

    প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক ইতিমধ্যে ১৪ মার্চ, ২০২৪-এ সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের নগদবিহীন চিকিৎসার জন্য (Govt Notification) একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছিল (Road Accident)। কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি গত বছর এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এপর পর গত বছরের ১৫ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে চণ্ডীগড়ে এই প্রকল্প শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, এই সুবিধা পেতে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশকে বিষয়টি জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, হিট অ্যান্ড রানের ক্ষেত্রেও মৃতের পরিবারকে দু’লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। মঙ্গলবারের বৈঠকে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গড়করি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষের। হেলমেট না পরায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়া, স্কুলে ঢোকা-বেরনোর যথাযথ পথ না থাকায় মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার শিশুর (Road Accident)।

    কী বললেন গড়করি?

    জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড়ে পাইলট প্রজেক্ট চালু হলেও, পরে এই প্রজেক্টে আরও ছটি রাজ্যকে যুক্ত করা হয়। দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন বাণিজ্যিক গাড়িতে চালকের ক্লান্তির কারণেও দেশে অসংখ্য পথ দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিষয়টিতেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে মন্ত্রক। গড়করি জানিয়েছেন, শ্রম আইনের অধীনে বাণিজ্যিক গাড়ি চালকদের কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। তিনি বলেন, “দেশে ২২ লাখ প্রশিক্ষিত চালকের ঘাটতি রয়েছে। সার্বিকভাবে দেশের সড়ক পরিবহণ ক্ষেত্রকে আমূল পরিবর্তনের রূপরেখা তৈরি করতে ৬ ও ৭ জানুয়ারি দুদিন ব্যাপী ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছিল মন্ত্রক।” অভিজ্ঞ মহলের মতে, শুধু চালকের দোষে নয়, খারাপ রাস্তাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়ী পথ দুর্ঘটনার জন্য (Govt Notification)। সেই বিষয়টির দিকেও নজর দিতে হবে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজ্যগুলির সড়ক পরিবহণমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন গডকরী। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি এবং পরিবহণ সংক্রান্ত নীতিগুলি নিয়ে আলোচনা করা। সেই বৈঠকেই নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়েছিলেন তিনি (Road Accident)।

  • Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: সেনার মনোবল ভাঙবেন না! পহেলগাঁওকাণ্ডে বিচারবিভাগীয় কমিশনের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় বিচারবিভাগীয় কমিশন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থে মামলা। বৃহস্পতিবার ১ মে তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু আর্জি জানানো উচিত নয় যা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়। বিচারপতিদের বেঞ্চ মামলাকারীদের ভর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘কবে থেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠলেন সন্ত্রাসের মতো বিষয় তদন্ত করার বিষয়ে?’’

    এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন

    সুপ্রিমকোর্ট (Supreme Court) এদিন আরও বলে, ‘‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়, যখন আমাদের দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাঁদের এমন লড়াইকে কখনও খাটো করা উচিত নয়। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ইস্যু।’’ বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আগে দায়িত্বশীল হোন। দেশের প্রতিও আপনার কিছু কর্তব্য রয়েছে। এটি এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় যখন প্রতিটি ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাত মিলিয়েছে। বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতা খতিয়ে দেখুন।’’

    তিন মামলাকারী হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার

    এক আবেদনকারী দাবি করেন যে, পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হামলা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনি যা আবেদন করছেন সে সম্পর্কে আপনি কি নিশ্চিত?’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্ত হোক সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে। এমনই আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীরের তিন নাগরিক। বৃহস্পতিবারই তা খারিজ করল শীর্ষ আদালত। এই তিন মামলাকারীরা হলেন ফতেশকুমার শাহু, মহম্মদ জুনায়েদ এবং ভিকি কুমার। জানা গিয়েছে, তিন জনেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। এই তিন ব্যক্তি পহেলগাঁওয়ের ঘটনার তদন্ত করতে চেয়েছিলেন একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনের তদারকিতে। তাঁদের আর্জি ছিল কমিশনের মাথায় থাকবেন শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতি। কিন্তু এমন আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।

  • Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের মুখ পুড়ল বিরোধীদের। পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) ব্যবহারকাণ্ডে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, নাগরিক সমাজকে নিশানা করা না হলে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়। ২০২১ সালে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার প্রসঙ্গে জমা পড়া রিট পিটিশনের শুনানি হয় মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। পেগাসাস নিয়ে এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন এমনই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।

    আড়ি পাতার অভিযোগ (Pegasus Spyware)

    প্রসঙ্গত, পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এনিয়ে বিশদ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তা নিয়ে একটি কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও সেই তদন্তের রিপোর্ট আজও দেখেনি দিনের আলো।

    কী বলল বেঞ্চ

    এদিন মামলাটির শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চের প্রশ্ন, “দেশ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করলে সমস্যা কোথায়? বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার, স্পাইওয়্যার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করাই ভালো। কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, অবশ্যই সে প্রশ্ন উঠবে।” এর পরেই বেঞ্চ বলে, “নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে, অবশ্যই দেখা হবে।” বিচারপতি সূর্যকান্ত (Supreme Court) বলেন, “আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি, তাতে সাবধানী হতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

    তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবি

    আবেদনকারীর হয়ে এদিন আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান পেগাসাস (Pegasus Spyware) তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানান। সে প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমিকতার প্রশ্ন জড়িয়ে যে রিপোর্টের সঙ্গে, তা ছোঁয়া যাবে না। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি জানতে চান, তাঁর নাম আছে কি না, আলাদাভাবে তাঁকে তা জানানো যাবে। এদিন মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন দীনেশ দ্বিবেদী নামেও এক আইনজীবী। তিনি বেঞ্চকে বলেন, পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেন্দ্রীয় সরকার কিনেছে না কেনেনি, সেটা আমাদের সমস্যা নয়। আমার মামলাকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে যদি সত্যই এটা থাকে, তবে তাদের এটা ব্যবহার করা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ নেই। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি সূর্যকান্তের পর্যবেক্ষণ, “সরকার যদি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেও, তাহলে সমস্যাটা কোথায়? স্পাইওয়্যার রাখায় কোনও সমস্যা নেই। আমরা কোনও মতেই দেশের নিরাপত্তাকে সঙ্কটে ফেলতে পারি না।”

    সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য

    কেন্দ্রের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের গোপনীয়তা রক্ষার কোনও অধিকার নেই (Supreme Court)।” এদিকে, অন্য কয়েকজন মামলাকারীর তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের রায় তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওদের আদালত আগেই বলেছিল, ভারত অন্যতম যেখানে পেগাসাস (Pegasus Spyware) ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।”

    স্পাইওয়্যার পেগাসাস

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতানেত্রী এবং কয়েকজন সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর-সহ একাধিক নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ফোনেও আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল সেই সময়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন। সেই মামলারই শুনানি হল এদিন।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার

    পেগাসাসকে আড়িপাতার অভিযোগে দায়ি করেছিল আমেরিকার একটি আদালত। সেই সময় জানা গিয়েছিল, ১৪০০ ডিভাইসে তাদের স্পাইওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছিল। মার্কিন আদালতের সেই রায়ের কপিও এদিন দেখতে চায় আদালত। ব্যক্তিবিশেষের উদ্বেগের কারণ থাকলেও, সেই সংক্রান্ত নথি রাস্তায় মুখরোচক আলোচনার বিষয় হতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত এদিন এও জানিয়ে দেয়, যাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে, তাঁদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হবে সংবিধানের আওতায়। ডিভিশন বেঞ্চ এটাও জানিয়ে দেয়, দেশের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত কোনও রিপোর্টে হাত দেওয়া যাবে না। তবে ব্যক্তিগত আশঙ্কার সমাধান করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এও জানিয়ে দিয়েছে, টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের কতটা অংশ কাউকে দেওয়া হবে, সেটা খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত (Pegasus Spyware)।

  • Supreme Court: শরিয়ত এবং কাজি আদালতের নেই কোনও আইনি ক্ষমতা, গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শরিয়ত এবং কাজি আদালতের নেই কোনও আইনি ক্ষমতা, গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনত বৈধ নয় ইসলামি আদালতের রায়। শরিয়ত এবং কাজি আদালতেরও নেই কোনও আইনি ক্ষমতা। এক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়ে একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শরিয়ত আদালত (Sharia Court) এবং কাজি আদালত আইনতভাবে স্বীকৃত নয়। তাই তাদের দেওয়া সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই আইন দ্বারা প্রয়োগ করা যাবে না। ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে চলা বিতর্কের মাঝে সুপ্রিম কোর্টের এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?

    সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, কাজির আদালত, কাজিয়তের আদালত (দারুল কাজা) বা শরিয়ত আদালতের মতো ইসলামি আদালতগুলির কোনও আইনগত স্বীকৃতি নেই। অর্থাৎ ইসলামি আদালতের রায় এ দেশে কোনও সরকারি ক্ষমতা রাখে না।প্রসঙ্গত, এক মহিলার খোরপোষ নিয়ে দায়ের করার মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি আহসানাউদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। এমন পর্যবেক্ষণের সময় শীর্ষ আদালত ২০১৪ সালের একটি রায়ের উদ্ধৃতি দেয় এবং জানায়, শরিয়ত আদালত এবং ফতোয়ার আইনি স্বীকৃতি নেই।

    ভরণপোষণের জন্য প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা করে দিতে নির্দেশ

    উল্লেখ্য, একটি ইসলামিক পারিবারিক আদালত ওই মহিলাকে ভরণপোষণ বা খোরপোষ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টও এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান ওই মহিলা। শুনানিতে পারিবারিক আদালতের পদ্ধতির সমালোচনা করেন বিচারপতি আমানউল্লাহ। তিনি জানান, কাজি আদালত, দারুল কাজা বা কাজিয়ত আদালত, শরিয়ত আদালতগুলির আইনগত কোনও স্বীকৃতিই নেই। তাদের সিদ্ধান্ত বাধ্যতামূলক নয়। এই সঙ্গেই ওই মহিলাকে ভরণপোষণের জন্য প্রতিমাসে ৪ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য আদালত তাঁর প্রাক্তন স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ইসলামিক নিয়ম মেনে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীকালে ২০০৫ সালে মহিলার স্বামী ভোপালের একটি ‘কাজি আদালতে’ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুরু করেন।

LinkedIn
Share