Tag: Suvendu

Suvendu

  • Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পিতৃপক্ষে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করায় মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই একাধিক প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর অভিযোগ, পিতৃপক্ষ চলাকালীন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে হিন্দুদের প্রথায় আঘাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষ হিন্দু চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ১৫ বা ১৬ দিনের একটি সময়কাল। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের মাধ্যমেও অনেকে স্মরণ ও সম্মান জানান পিতৃপুরুষদের। এই পিতৃপক্ষ শেষ হয় মহালয়ায়। পরের দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এদিনই শুরু হয় নবরাত্রি উৎসবের।

    রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন (Suvendu Adhikari)

    পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর প্যান্ডেল উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটি হিন্দু প্রথার ওপর আক্রমণ। আজ পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পিতৃপক্ষ চলাকালীন কোনও শুভ কাজ করা হয় না।” তাঁর অভিযোগ, ছ’মাস পরে নির্বাচন। একে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন। বিজেপির এই নেতার দাবি, মমতার প্রশাসন সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা (সংখ্যালঘুরা) চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষা কিছুই পাননি। তিনি তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাই তিনি ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছেন। তিনি দুর্গাপূজার মতো হিন্দু উৎসবকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যা মোটেই ঠিক নয়।”

    ‘হিজাব’ নিয়ে তোপ

    এদিন মমতা উদ্বোধন করেন হাতিবাগান, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমির প্যান্ডেলের। হাতিবাগান সর্বজনীন মাতৃ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতে যাওয়ার সময় টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। ছাতা না নিয়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একটি চাদর নিয়ে হিজাবের মতো করে পরে নেন। তৃণমূল নেত্রীর এহেন আচরণেও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “হিজাব পরে উনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। এটা সরাসরি হিন্দু আস্থা, হিন্দু রীতিনীতি এবং পরম্পরায় আঘাত।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দুরা যেহেতু বিভক্ত, সবাই যেহেতু ভোট দিতে যান না, ভোট দিতে গেলেও, অনেকে অনেকভাবে ভোট দেন, ভাগ করেন, একটা বিশেষ মেসেজ দিচ্ছেন (Mamata Banerjee) ৩২-৩৩ শতাংশ ভোটারকে যে, আমি সম্পূর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ, আমি নাস্তিক, নাস্তিক নয়, আমি প্রো-মুসলিম লিগ। ভোটব্যাংককে একজোট করতে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু। তার পরের দিনই আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম ফোটার কথা বললেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ২০২৬ সালে রাজ্য থেকে বিদায় হবে তৃণমূল কংগ্রেসের, মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “দেশের যতগুলি রাজ্যেই বিজেপি সরকার গঠন করুক না কেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে যদি বিজেপি না আসে, তাহলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যেকেই বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। এক সময়ের ৩টি আসন যদি পরে ৭৭ হতে পারে, বা ১০ শতাংশ ভোট যখন ৪০ শতাংশে আসতে পারে, তাহলে আসন সংখ্যা ১৭৭, আর ভোট ৪৫ শতাংশ না হওয়ার কোনও কারণ নেই।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় চান। কোনও দলের ঝান্ডা ছেড়ে, সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে প্রশ্ন করলে বহু মানুষ একই উত্তর দেবেন। তাঁরা বলবেন, বিজেপির হাত ধরেই বাংলায় পরিবর্তন চাই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প।”

    বিজেপিই একমাত্র বিকল্প

    রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এটা এমন একটা রাজ্য যেখানে ৯ বছর পরে চাকরির পরীক্ষা হয়, তাও আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এখানে এমনও অনেক যুবক রয়েছেন যাঁরা একটা প্যান্ট তিনবার সেলাই করে পরেন। তাঁরা জানেন বেকারত্বের জ্বালা।” কেন অন্য কোনও দল নয়, বিজেপিই একমাত্র বিকল্প, এদিন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। বলেন, “যে রাজ্যেই বিজেপি সরকার রয়েছে, সেটা যাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হোক না কেন, নজরদারি থাকে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দেশপ্রেম, মমত্ববোধ, জনগণের প্রতি একাত্মতা সর্বজনবিদিত। প্রধানমন্ত্রীর সততা নিয়ে বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলতে পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না।”

    একদম সাফ করে দেব

    এদিকে, সোমবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “যাদবপুরে যারা সংবিধান মানে না, যারা হেরোইন আর চরসের আখড়া করে রেখেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের লালন-পালন করেন। কারণ ভোটের সময় এরা ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান দেয়।” পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বিজেপি (BJP) এলে যে যাদবপুরের হাল বদলে যাবে, এদিন সেই আশ্বাসও দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। বলেন, “বিজেপিকে আনুন, একদম সাফ করে দেব আমরা। যাদবপুরে যত জঞ্জাল আছে, সব পরিষ্কার করে দেব।” তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবং ফের তাকে মূল স্রোতে শামিল করতে হলে বিজেপিকে আনতেই হবে। বিজেপি এলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।”

    বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থার খবর মিথ্যে প্রচার

    ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যে বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এগুলো বেশিরভাগই ভুয়ো প্রচার। হরিয়ানা সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সেখানে আটক হওয়া এক হাজার বাংলাভাষীর মধ্যে ৯১৫ জনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।” তিনি বলেন, “যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ায়, তারা আর যাই হোক না কেন, বাংলা ও বাঙালির রক্ষক হতে পারে না।”

    শাহ সন্দর্শনে শুভেন্দু

    এদিকে, সোমবার হঠাৎই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। নয়াদিল্লিতে শাহের বাসভবনে দু’জনের বৈঠক হয় মিনিট পঁয়তাল্লিশেক ধরে (BJP)। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। শুভেন্দু অবশ্য নিজেই লিখেছেন, ‘তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তবে ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মাস ছয়েক পরেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। শুভেন্দু-সহ (Suvendu Adhikari) বিজেপি নেতাদের দাবি, এবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। চলতি বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা বিহারে। তার পরেই বাংলায় ঘাঁটি গাড়বেন অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, পুজোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যাতায়াত বাড়বে এ রাজ্যে। এই আবহে শাহ-শুভেন্দুর এই বৈঠক (যাকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলছেন ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’) তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (BJP)।

  • Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায়।” মতুয়া ইস্যুতে (Matua Issue) ঠিক এই ভাষায়ই দলবদলু তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বলেছিলেন মহুয়া? (Suvendu Adhikari)

    মহুয়া কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তৃণমূলের টিকিটে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন তিনি। দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরের একটি সভা থেকে মহুয়াকে বলতে শোনা যায়, “সারা বছর ধরে তৃণমূল, আর ভোটের সময় সনাতনী! এটা কী অঙ্ক ভাই?” তিনি আরও বলেন, “কাজের সময় মমতা, রাস্তার সময় মমতা। কাঠের মালা পরে সব তো চলে আসেন ভাই ভাতা নিতে! তখন কী হয়?” তাঁর অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভান্ডারে অন্যদের তুলনায় তফশিলি জাতি, জনজাতির মহিলারা বেশি টাকা পান। তাও মতুয়া প্রধান বিভিন্ন বুথে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, “আমার কথা টিভিতে দেখানো হয়, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না!”

    আক্রমণ শুভেন্দুর

    তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্য (Matua Issue) ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে মতুয়া সমাজে। সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর তীব্র নিন্দে করেন মহুয়ার। এবার তাঁকে নিশানা করলেন শুভেন্দু। মহুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কৃষ্ণনগরেই সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই তৃণমূল সাংসদকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখানকার সাংসদের কত বড় সাহস! একবার নয়, বারেবারে হিন্দু সংস্কৃতি, বৈষ্ণব, নমঃশূদ্র, মতুয়া এবং তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতি, তাঁদের গুরুদেবের দেখানো পথকে অপমান করেন। প্রতিবাদ হয় না কেন? আমাদের সংস্কৃতি আমরাই রক্ষা করব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা এই বাংলা দিয়ে গিয়েছেন আমাদের। এই বাংলা আমরা বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দেব না।” ছাব্বিশের (Suvendu Adhikari) নির্বাচনে হিন্দুদের আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, “করিমপুর হাতে রয়েছে, তেহট্ট যায় যায় করছে, চাপড়া, কালীগঞ্জ, দেবগ্রামের কী অবস্থা, শিবরাত্রির সলতের মতো টিম টিম করে জ্বলছে কৃষ্ণনগরটা। ধুবুলিয়া অবধি এসে গিয়েছে। আর ১৭ কিলোমিটার বাকি রয়েছে।”

    মতুয়া সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ

    প্রসঙ্গত, এই বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন মহুয়া। তিনিও দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় ১০০টি ভোটের মধ্যে ৮৫টি যায় বিজেপিতে, আর বাকি ১৫টি যায় অন্য দলে (Matua Issue)। মহুয়ার ওই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মতুয়ারা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক সুকেশচন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, মহুয়ার মন্তব্য মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজের ধর্মীয় অনুভূতি ও আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। চিঠিতে তাঁর দাবি, ‘আচারমালা নিয়ে কটাক্ষ করে মহুয়া কাঠের মালা বলে যা বলেছেন, তা ঘোরতর অবমাননাকর।’ এত কিছুর পরেও (Suvendu Adhikari) ক্ষমা চাননি মমতা। কেন তিনি ক্ষমা চাননি, সেই প্রশ্নের উত্তরই এদিন দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মহুয়া ক্ষমা চাননি কেন? কারণ তিনি মমতার ছোট বোন। তিনি ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই জানেন, সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায় (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকলে, আমি মর্গে থাকতাম,” কোচবিহারে কনভয়ে হামলায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে মর্গে থাকতাম।” মর্মস্পর্শী কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। কোচবিহারে কনভয়ে হামলার ঘটনায় গর্জে উঠলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এর শেষ দেখে ছাড়ব।” ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে আসা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” তিনি বলেন, “গতকাল গভীর রাতে রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপিকে মেল করে বিচারপতি মান্থার ২টি অর্ডার জানিয়ে সমস্ত তথ্য দিয়ে এসেছি। বাগডোগরা থেকে সকাল ১০টায় কোচবিহারের উদ্দেশ যাত্রা করি। শ্রাবণ মাস, বাবা মহাদেবের আশীর্বাদ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি।”

    মমতাকে হারিয়েছি, তাই এত রাগ (Suvendu Adhikari)

    এর পরেই তিনি বলেন, “মমতাকে হারিয়েছি। তাই ওদের এত রাগ। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে এসেছি। বাংলাদেশ থেকে হু হু করে লোক ঢোকাচ্ছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যেই খাগড়াবাড়ি ঢুকেছি, অমনি উন্মত্ত হায়নার দল, উদয়ন গুহের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমি যদি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না থাকতাম, তাহলে আমার মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে ফুল দিতে হত আপনাদের। প্রত্যক্ষ খুনি যদি উদয়ন গুহ হন, তাহলে পরোক্ষ রাজীব কুমার। এর শেষ দেখে ছাড়ব।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমি মমতাকে হারানো লোক। সত্যিকারের সনাতনী হয়ে থাকলে, এর হিসেব আমি নেব। বদলও হবে, বদলাও হবে। উদয়ন গুহ, তোমার সঙ্গে আমার হিসেব হবে।” এসআইআর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “কোনও হিন্দুর সমস্যা হবে না, কোনও রাজবংশীরও সমস্যা হবে না। একটাও বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় থাকবে না।”

    শুভেন্দুর কনভয়ে হামলা

    প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়কদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় পৌঁছন তিনি। পরে রওনা দেন কোচবিহারের উদ্দেশে। শুভেন্দুর কনভয় খাগড়াবাড়িতে পৌঁছতেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয়, গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। শুভেন্দুর গাড়ির কাচও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “গাড়ির সামনের কাচ ভাঙতে পারেনি। পাথর দিয়ে পিছনের কাচ ভেঙেছে। এটা তো সাধারণ গাড়ি নয়। কনভয়ে হামলা নয়, মেরে ফেলার জন্যই পাথর ছুড়েছিল। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে, কিছু থাকত নাকি (Udayan Guha)!”

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু

    জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান শুভেন্দু। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতার কনভয়ে হামলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের দাবি, পুলিশি নিরাপত্তা ঢিলেঢালা ছিল। কোচবিহারে হামলার মুখে পড়ার পর শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিপিকে চিঠি দিচ্ছেন। নিরাপত্তা নিয়ে আদালতের নির্দেশ মনে করিয়েই চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সোমবারই শুভেন্দুর আইনজীবী অনীশ মুখোপাধ্যায় রাজ্য পুলিশের ডিজিপি, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে চিঠি দিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ মেনেই কর্মসূচি করেছেন শুভেন্দু। কিন্তু সেই নির্দেশ ঠিকঠাক কার্যকর হয়নি বলেই অভিযোগ। জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তার অধিকারী একজন রাস্তা গিয়ে গেলে কীভাবে চারপাশে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি।

    ভাইপোর নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালানো হয়েছিল। ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, উদয়ন গুহ আক্রমণ করেছেন।” রাজ্যের (Udayan Guha) বিরোধী দলনেতার দাবি, এই হামলার পেছনে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে কাঠের ডান্ডা ও পাথর দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তাঁর কনভয়ে ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে।

    কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “যখন কোচবিহারে আমাদের (Suvendu Adhikari) গাড়ি ঢোকে, তখন খুব ভালো করেই জানতাম, উদয়নবাবুর এই ধরণের পরিকল্পনা আছে। উনি স্থানীয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে বসে রয়েছেন।  সেখানেই আমাদের কনভয় থামানো হয়।” তিনি বলেন, “আমরা বারংবার আমাদের দেহরক্ষীদের বলে দিয়েছিলাম, ওরা যা করে করুক, গাড়ি ভেঙে ফেলে, ফেলুক। আপনারা গাড়ি থেকে নামবেন না। বা কোনও ধরণের প্ররোচনায় পদক্ষেপ করবেন না। তা-ই হয়েছে। একেবারে গাড়ির ভিতর থেকে ভিডিও আছে (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের পাল্টা জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশ করে তৃণমূল। যুব কংগ্রেসের ব্যানারে রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান করতে গিয়ে (Suvendu Adhikari) বাম আমলে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল কয়েকজন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তাঁদেরই ‘শহিদ’ (যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দেন, তাঁদের শহিদ বলে। এটা তো ছিল পার্টির প্রোগ্রাম!) আখ্যা দিয়ে ফি বছর ঘটা করে ২১ জুলাই পালন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল গঠন করলেও, নিয়ম করে শহিদ দিবস পালন করে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক (Suvendu Adhikari)

    এবারও পালিত হবে ২১ জুলাই। তৃণমূল যেদিন ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে, সেদিনই উত্তরকন্যা অভিযানের (Uttarkanya Abhiyan) ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কসবা গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার যুব মোর্চার এক কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানালেন, ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সদর দফতর উত্তরকন্যার উদ্দেশে অভিযান করবে বিজেপি যুব মোর্চা। পাশাপাশি ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাকও দিলেন তিনি।

    হবে নবান্ন অভিযানও

    গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার, যিনি ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই দিনটির স্মরণেই এবার হবে নবান্ন অভিযান।  শুভেন্দু বলেন, “অভয়ার চোখ দিয়ে সেদিন জল নয়, রক্ত বেরিয়েছে। হাঁসখালি থেকে বগটুই – এই সরকার ও তার বাহিনী ধর্ষকদের রক্ষাকারী। তাই এদের ক্ষমতা থেকে সরাতেই হবে।” এদিন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বৃষ্টি তো দূরের কথা, এই সরকারকে সরাতে গুলি খেতেও রাজি আছি। আমাদের লড়াই চলবে। ২১ জুলাই ওরা কলকাতায় ডিম-ভাত খাবে, আর আমরা উত্তরকন্যায় যাব। কর্মীদের বলছি, নিজের খরচে যাবেন, ভালো করে লড়তে হবে (Uttarkanya Abhiyan)।”

    নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, নবান্ন অভিযানের আগে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের কাছে যাবেন অনুমতি নিতে। নবান্ন অভিযানে তাঁরা যাতে যোগ দেন, সেই অনুরোধও করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সেদিন পতাকা ছাড়াই আন্দোলনে যাব। অভয়ার স্মৃতিতেই হবে এই প্রতিবাদ। ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানে মমতার সরকারের পতন ঘটানোর ডাকও দেওয়া হবে।” বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “আগামিকালই (বৃহস্পতিবার) নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানাব। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে আসবে নতুন লড়াইয়ের কর্মসূচি।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শেষ নয়, এটা ওদের শেষের শুরু।”

    গণধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল

    কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে প্রথম বর্ষের (Suvendu Adhikari) ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বুধবার মিছিল ও জনসভা করেন শুভেন্দু। রাসবিহারী মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মিছিল এগিয়ে গিয়েছে কসবার দিকে। মিছিলে বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায় ঝাঁটা হাতে নিয়ে হাঁটতে। ছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকরাও। ‘কন্যা বাঁচাও’ স্লোগান তুলে সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় (Uttarkanya Abhiyan) সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কাছে। সেখানেই হয় সমাবেশ। সেই সমাবেশেই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে শানিত আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বাঙালি হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ হয়। এ রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধ হয়। তবে কোনও প্রতিকার হয় না।” সমাবেশ থেকে অনেক স্লোগান দেন শুভেন্দু। তার মধ্যে রয়েছে, ‘ঝাড়ু মেরে করো সাফ, মমতার সরকার’। ‘এক হাজার ঝাড়ু, এক হাজার মা মিছিল করেছেন।’ ‘কন্যা বাঁচাও, মমতা হটাও।’ ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মমতার পতন দেখতে চাই।’ ‘বিজেপি কর্মীরা গুলি খেতেও তৈরি।’

    জোড়া কর্মসূচির কথা ঘোষণা

    এই সমাবেশেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেন জোড়া কর্মসূচির কথা। ২১ জুলাই উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন চোরেরা কলকাতায় ডিম-ভাত খেতে আসে। আর আমরা উত্তরকন্যা নড়িয়ে দেব (Uttarkanya Abhiyan)।” এর পরেই তিনি জানান, ৫ অগাস্ট তিনি যাবেন অভয়ার বাবা ও মায়ের কাছে, অনুমতি নিতে। শুভেন্দু বলেন, “৫ তারিখে পানিহাটিতে উল্টো রথে যাব। ওই দিন আমি অনুমতি নিতে অভয়ার বাবা-মায়ের কাছে যাব। তাঁদের বলব, পতাকা ছাড়া ৯ অগাস্ট অভয়ার ধর্ষণ-খুনের বর্ষপূর্তিতে নবান্ন অভিযান করতে হবে।”

    মাস আটেক পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Suvendu Adhikari)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার আগে ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের নামে তৃণমূল ফের একবার নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করিয়ে নিতে চাইছে। বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে দেখিয়ে দিতে চাইছে (Uttarkanya Abhiyan), তাদের শক্তি কতটা।

  • Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কুড়োতে নয়া ওবিসি তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সেই প্রচেষ্টায় আপাতত জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে (Calcutta High Court) দিল, ওবিসির (OBC Case) নয়া তালিকা-সহ রাজ্য এ সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেগুলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ওবিসি সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জুলাই। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবারই পোর্টাল চালু করে সমস্ত দফতরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল রাজ্য। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতি মান্থার বক্তব্য (Calcutta High Court)

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, “রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে যে চার-পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি যে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারাও (রাজ্য) বলছেন যে, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে, ঠিক আছে তাহলে সেই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” বিচারপতি মান্থা বলেন, “আপনারা (রাজ্য) অর্ধেক কাজ করেছেন ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফিরে গিয়েছেন। এটা কেন হবে? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?” এর পরেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন।

    আবেদনকারীদের দাবি

    প্রসঙ্গত, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়।মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে (Calcutta High Court), তার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যই রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্যই সঠিক সমীক্ষার প্রয়োজন (OBC Case)। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটাও করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানান মামলাকারীরা।

    ওবিসি শংসাপত্র বাতিল

    ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিন আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোট ব্যাংকের স্বার্থে ওবিসি সংরক্ষণে অপব্যবহার করতে চেয়েছিল রাজ্য। বহু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে রাজ্যের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হল।” সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে আগেও (Calcutta High Court) হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’।

    তোষণের রাজনীতি!

    ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মেনে তোষণের রাজনীতি করছিল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (OBC Case)।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনজাতিকে ওবিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। সেখানে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল (Calcutta High Court)।

     

  • Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গোটা খিদিরপুর (Khidirpur) বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” মঙ্গলবার কলকাতার খিদিরপুরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় খিদিরপুর বাজার। মঙ্গলবার সকালেই সেখানে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পোড়া বাজারে দাঁড়িয়েই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর তোপ (Suvendu Adhikari)

    বলেন, “কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ও দামি জমিগুলিতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে সেগুলি গরিব ব্যবসায়ীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বড় বড় প্রমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার।” এদিন তিনি নাম করেই আক্রমণ শানান রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুজিত বসুকে। শুভেন্দু বলেন, “রাত ১টায় আগুন লাগে, দমকল আসে ভোর ৪টেয়। মুখ্যমন্ত্রী সব জানতেন। কিন্তু আগুন নেভাতে নয়, পুলিশ ও দমকলকে বলেছেন ঘর ভেঙে দাও।” এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গোটা খিদিরপুর বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” টিএমসির অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “টিএমসি এখন টাকা মারা কোম্পানি। কলকাতার ভালো ভালো জায়গায় আগুন লাগিয়ে বেচে দাও। আর মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, জায়গা ঠিক হয়েছে, এক লাখ দিলাম। কী হবে ওই জায়গায়? শপিং মল, বিউটি পার্লার! গরিব মানুষ তাড়িয়ে দাও।”

    মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা তো বলেছিলেন, বাংলার মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। তাহলে কেন তাঁকে হাজার পুলিশ দিয়ে আপনাদের ধমকাতে হয়েছে? তিনি গরিব ব্যবসায়ীদের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। জমি রক্ষার আন্দোলনে আমি ডক্টরেট। নন্দীগ্রামে আমি সিপিএমকে হারিয়ে দিয়েছিলাম। মমতাকে হারিয়ে ভবানীপুরে পাঠিয়ে দিয়েছি।” শুভেন্দু বলেন, “বগটুই হোক বা ঢাকুরিয়া সরকারি ভ্রান্তনীতির জন্যই আগুন লাগছে (Khidirpur)। সরকারি কোনও পদক্ষেপ নেই, সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। টালিগঞ্জ-ঢাকুরিয়ার জমিও বিক্রি করে দিচ্ছে। খালি শপিং মল, ফ্ল্যাট, আর গরিব মানুষের উচ্ছেদ!” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। জমি রক্ষার লড়াইয়ে যা যা করার, করব।” জমি ও গরিব ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনের বার্তাও দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কোনও ঝান্ডা নয়, কোনও রাজনৈতিক দল নয়, হকের দাবিতে সবাইকে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে।” তিনি বলেন, “বিকল্প জায়গা ঠিক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আসলে গোটা এলাকাটাই বেচে দিয়েছেন।”

    ৮০ শতাংশই হিন্দু ব্যবসায়ী

    এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ দোকান হিন্দু ব্যবসায়ীদের দ্বারা পরিচালিত হত। মুসলমান অধ্যুষিত খিদিরপুরের এই দোকানপট্টির হঠাৎ এবং সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, কে এই ঘটনা থেকে লাভবান হচ্ছে? এই অগ্নিকাণ্ড কি আদৌ দুর্ঘটনা জনিত (Suvendu Adhikari)? বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই জমি কালিম গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হবে – একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, যারা তৃণমূলের নেতাদের (Khidirpur) ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, বাজারটি একটি কৌশলগত বাণিজ্যিক অঞ্চলে অবস্থিত, সেটি বহুবার পুনর্গঠনের প্রস্তাবের বিষয় ছিল – এমন প্রস্তাবগুলি বহু দশক ধরে হিন্দু ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ করে আসছিলেন, কারণ তাঁরা জায়গা খালি করতে অস্বীকার করেছিলেন।” মালব্যর অভিযোগ, বামপন্থীরা চেষ্টা করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে পরিকল্পনাটি সফল হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে (Suvendu Adhikari)।

    ব্যবসায়ীদের দোষারোপ!

    মালব্যর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্ত্রীকে জবাবদিহি করেননি, যদিও ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপণ মন্ত্রী সুজিত বসুকে দু’ঘণ্টা দেরি ও প্রস্তুতির অভাব সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, যাঁর পুরসভার আওতায় বাজারটি পড়ে, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এই বাজারের অগ্নি নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং, খবরে বলা হচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করেছেন (Khidirpur), তাঁরা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করেননি বলে (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না। আমরা যখন দরকার যাব। প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে এফআইআর করানো, নিরাপত্তা দেওয়া, হিন্দুদের জন্য আমরা আছি। ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব।” মহেশতলাকাণ্ডের (Maheshtala Chaotic Situation) প্রেক্ষিতে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)।

    রণক্ষেত্র মহেশতলা (Maheshtala Chaotic Situation)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাথর। রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে রাখা পুলিশের একটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ইট-পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ।

    মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মহেশতলার পরিস্থিতিতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। এলাকায় আধাসেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) প্রশ্নোত্তর-পর্বের পর বিধানসভা চলতে দেওয়া হবে না। এদিন সন্ধ্যায় ভবানীভবনে ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শুভেন্দু। মহেশতলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার নিন্দাও করেন তিনি। এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না।” শুভেন্দু বলেন, “মহেশতলার মেটিয়াবুরুজ। পুলিশের গাড়িও ভেঙেছে। প্রচুর পুলিশ রক্তাক্ত। হিন্দুরা রক্তাক্ত। আমি ও আমার পাঁচ কলিগ দেখা করতে এসেছিলাম মহামান্য ডিজির সঙ্গে। উনি থেকেও মিট করেননি। মিট করেননি মমতার নির্দেশে। কারণ আমরা জানি, সবাই ল্যাম্পপোস্ট। একটা পোস্ট। হিন্দু বিরোধী সরকার। মুসলিম লিগের সরকার। অত্যাচারীর সরকার। ধূলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়ির পরে কলকাতার কাছে ১০ কিলোমিটার দূরে অত্যাচার।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikary) বলেন, “রাজীব কুমার ঠান্ডা ঘরে বসে আছে। পুলিশকেই নিরাপত্তা দিতে পারে না। ৩৫টা পুলিশ মার খেয়েছে। পুলিশের ১২টা গাড়ি ভেঙেছে। মুসলমানদের সরকার। জঙ্গিদের সরকার। জেহাদিদের সরকার।” শুভেন্দু বলেন, “আগামী বছর রাজীব কুমার চাকরি করতে হবে। পালাতে তোমাকে দেব না। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। এই সময়, ২০২৬, আজ ১১ জুন লিখে রাখুন মমতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তিনি বলেন, “এই সরকার মহম্মদ আলি জিন্না, সুরাবর্দির আদর্শের সরকার। কমপ্লিট মুসলমানের সরকার (Maheshtala Chaotic Situation)। এক চোখ বন্ধ। আর আমার পুলিশ ভাইরা মার খাচ্ছেন। পুলিশের ছেলেরা মার খাচ্ছে। মহিলারা মার খাচ্ছেন (Suvendu Adhikary)।”

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Suvendu Adhikari)। সরকারি কোষাগার থেকে এক কাঁড়ি টাকা খরচ করে তৈরি মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন হিন্দুরা। ওই ঘটনায় হিন্দুরা যে ক্ষুব্ধ, তা বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এদিন উদ্বোধন করা হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের দুদিন আগেই দিঘায় প্রায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন করলেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করছেন, তখনই এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাম না করেই শুভেন্দু নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের সমালোচনায়ও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা ২৫ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই সময় পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে আনা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি ছিলেন। ঘটনাটি আমি এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি ৯টা ১০ মিনিটে। আর সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওঁর অনীহা! চটি চাটাদের নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়েছেন।”

    রাজ্য সরকারকে নিশানা

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুরো সরকার দিঘায় তুলে এনে ২৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন। শ্রী জগন্নাথদেবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাধারমনের আসল নাম রাহুল যাদব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “টিকি রাখলেই সবাই ইসকন হয় না। সনাতনী কাজ সকলকে দিয়ে হয় না। জগন্নাথ তো সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। ধর্ম বিরোধী কাজ করলে ঈশ্বর মেনে নিতে পারেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। এ জ্বালা বিশাল জ্বালা। সাজতে এসেছিল (Jagannath Temple) হিন্দু, আমরা বানিয়েছি জালি হিন্দু। রেড রোডে হিজাব পরে হিন্দু ধর্মকে গান্ধা ধর্ম বলে (Suvendu Adhikari)! জালি কোথাকার!”

LinkedIn
Share