Tag: Suvendu

Suvendu

  • Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ওবিসির নয়া তালিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কুড়োতে নয়া ওবিসি তালিকা তৈরি করে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের সেই প্রচেষ্টায় আপাতত জল ঢেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালত সাফ জানিয়ে (Calcutta High Court) দিল, ওবিসির (OBC Case) নয়া তালিকা-সহ রাজ্য এ সংক্রান্ত যত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেগুলির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ওবিসি সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ জুলাই। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবারই পোর্টাল চালু করে সমস্ত দফতরে কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আবেদন করতে বলেছিল রাজ্য। তাতেও স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

    বিচারপতি মান্থার বক্তব্য (Calcutta High Court)

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, “রাজ্যের তরফে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে যে চার-পাঁচটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তার মাধ্যমে সরাসরি আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি যে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত ৬৬টি সম্প্রদায়কে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “আপনারাও (রাজ্য) বলছেন যে, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। আমরাও বলেছি যে, ঠিক আছে তাহলে সেই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” বিচারপতি মান্থা বলেন, “আপনারা (রাজ্য) অর্ধেক কাজ করেছেন ২০১২ সালের ওবিসি আইন অনুযায়ী। তারপর আবার ১৯৯৩ সালের আইনে ফিরে গিয়েছেন। এটা কেন হবে? আপনারা কেন ২০১২ সালের আইনে সংশোধনী আনলেন না?” এর পরেই খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন।

    আবেদনকারীদের দাবি

    প্রসঙ্গত, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে এবং তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়।মামলাকারীদের মূল বক্তব্য, কোথায় কত জনসংখ্যা রয়েছে (Calcutta High Court), তার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্যই রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্যই সঠিক সমীক্ষার প্রয়োজন (OBC Case)। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটাও করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন জানান মামলাকারীরা।

    ওবিসি শংসাপত্র বাতিল

    ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    শুভেন্দুর কড়া প্রতিক্রিয়া

    এদিন আদালতের রায় প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “ভোট ব্যাংকের স্বার্থে ওবিসি সংরক্ষণে অপব্যবহার করতে চেয়েছিল রাজ্য। বহু সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে রাজ্যের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থ হল।” সরকারি চাকরিতে ওবিসিদের জন্য ১৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছিল রাজ্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় রাজ্যের সংরক্ষণ নির্দেশ বাতিল করে আগেও (Calcutta High Court) হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ‘ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যায় না’।

    তোষণের রাজনীতি!

    ট্যুইট-বার্তায় বিরোধী দলনেতা আরও লেখেন, “আদালতের রায়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম না মেনে তোষণের রাজনীতি করছিল।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের আমলে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে ওবিসির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (OBC Case)।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনজাতিকে ওবিসি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, তার একটি নির্দিষ্ট তালিকা কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। সেখানে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল (Calcutta High Court)।

     

  • Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    Suvendu Adhikari: পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ৮০ শতাংশই হিন্দু মালিকানাধীন! তাই কি খিদিরপুর বাজারে আগুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গোটা খিদিরপুর (Khidirpur) বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” মঙ্গলবার কলকাতার খিদিরপুরে দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় খিদিরপুর বাজার। মঙ্গলবার সকালেই সেখানে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পোড়া বাজারে দাঁড়িয়েই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর তোপ (Suvendu Adhikari)

    বলেন, “কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ও দামি জমিগুলিতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে সেগুলি গরিব ব্যবসায়ীদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বড় বড় প্রমোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার।” এদিন তিনি নাম করেই আক্রমণ শানান রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুজিত বসুকে। শুভেন্দু বলেন, “রাত ১টায় আগুন লাগে, দমকল আসে ভোর ৪টেয়। মুখ্যমন্ত্রী সব জানতেন। কিন্তু আগুন নেভাতে নয়, পুলিশ ও দমকলকে বলেছেন ঘর ভেঙে দাও।” এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গোটা খিদিরপুর বেচে দিয়েছে সরকার। আলিপুর সেন্ট্রাল জেল বেচে দিয়েছে, চিড়িয়াখানা বেচে দিয়েছে।” টিএমসির অর্থ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “টিএমসি এখন টাকা মারা কোম্পানি। কলকাতার ভালো ভালো জায়গায় আগুন লাগিয়ে বেচে দাও। আর মুখ্যমন্ত্রী বলে দেন, জায়গা ঠিক হয়েছে, এক লাখ দিলাম। কী হবে ওই জায়গায়? শপিং মল, বিউটি পার্লার! গরিব মানুষ তাড়িয়ে দাও।”

    মমতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা তো বলেছিলেন, বাংলার মেয়ে মুখ্যমন্ত্রী হোক। তাহলে কেন তাঁকে হাজার পুলিশ দিয়ে আপনাদের ধমকাতে হয়েছে? তিনি গরিব ব্যবসায়ীদের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। জমি রক্ষার আন্দোলনে আমি ডক্টরেট। নন্দীগ্রামে আমি সিপিএমকে হারিয়ে দিয়েছিলাম। মমতাকে হারিয়ে ভবানীপুরে পাঠিয়ে দিয়েছি।” শুভেন্দু বলেন, “বগটুই হোক বা ঢাকুরিয়া সরকারি ভ্রান্তনীতির জন্যই আগুন লাগছে (Khidirpur)। সরকারি কোনও পদক্ষেপ নেই, সিস্টেম ভেঙে পড়েছে। টালিগঞ্জ-ঢাকুরিয়ার জমিও বিক্রি করে দিচ্ছে। খালি শপিং মল, ফ্ল্যাট, আর গরিব মানুষের উচ্ছেদ!” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। জমি রক্ষার লড়াইয়ে যা যা করার, করব।” জমি ও গরিব ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনের বার্তাও দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “কোনও ঝান্ডা নয়, কোনও রাজনৈতিক দল নয়, হকের দাবিতে সবাইকে এক সঙ্গে লড়াই করতে হবে।” তিনি বলেন, “বিকল্প জায়গা ঠিক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আসলে গোটা এলাকাটাই বেচে দিয়েছেন।”

    ৮০ শতাংশই হিন্দু ব্যবসায়ী

    এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকার প্রায় ৮০ শতাংশ দোকান হিন্দু ব্যবসায়ীদের দ্বারা পরিচালিত হত। মুসলমান অধ্যুষিত খিদিরপুরের এই দোকানপট্টির হঠাৎ এবং সম্পূর্ণ ধ্বংস হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, কে এই ঘটনা থেকে লাভবান হচ্ছে? এই অগ্নিকাণ্ড কি আদৌ দুর্ঘটনা জনিত (Suvendu Adhikari)? বিজেপির মুখপাত্র অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “এই জমি কালিম গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হবে – একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, যারা তৃণমূলের নেতাদের (Khidirpur) ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারদের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, বাজারটি একটি কৌশলগত বাণিজ্যিক অঞ্চলে অবস্থিত, সেটি বহুবার পুনর্গঠনের প্রস্তাবের বিষয় ছিল – এমন প্রস্তাবগুলি বহু দশক ধরে হিন্দু ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধ করে আসছিলেন, কারণ তাঁরা জায়গা খালি করতে অস্বীকার করেছিলেন।” মালব্যর অভিযোগ, বামপন্থীরা চেষ্টা করেছিল এবং ব্যর্থ হয়েছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তত্ত্বাবধানে পরিকল্পনাটি সফল হতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে (Suvendu Adhikari)।

    ব্যবসায়ীদের দোষারোপ!

    মালব্যর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্ত্রীকে জবাবদিহি করেননি, যদিও ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যার দাবি উঠেছে। বিশেষ করে অগ্নিনির্বাপণ মন্ত্রী সুজিত বসুকে দু’ঘণ্টা দেরি ও প্রস্তুতির অভাব সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, যাঁর পুরসভার আওতায় বাজারটি পড়ে, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এই বাজারের অগ্নি নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বরং, খবরে বলা হচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করেছেন (Khidirpur), তাঁরা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করেননি বলে (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikary: “ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব,” মহেশতলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না। আমরা যখন দরকার যাব। প্রত্যেকটা বাড়ি থেকে এফআইআর করানো, নিরাপত্তা দেওয়া, হিন্দুদের জন্য আমরা আছি। ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়িতেও যা করেছি, এখানেও তাই করব।” মহেশতলাকাণ্ডের (Maheshtala Chaotic Situation) প্রেক্ষিতে এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)।

    রণক্ষেত্র মহেশতলা (Maheshtala Chaotic Situation)

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাথর। রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক পুলিশকর্মী। রবীন্দ্রনগর থানার সামনে রাখা পুলিশের একটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। ইট-পাথর ছুড়ে ভাঙা হয়েছে পুলিশের গাড়ির কাচ।

    মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মহেশতলার পরিস্থিতিতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ শুভেন্দু। এলাকায় আধাসেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) প্রশ্নোত্তর-পর্বের পর বিধানসভা চলতে দেওয়া হবে না। এদিন সন্ধ্যায় ভবানীভবনে ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান শুভেন্দু। মহেশতলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার নিন্দাও করেন তিনি। এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ফেল, মমতা ফেল। ওখানে আইন-শৃঙ্খলা কাজ করছে না।” শুভেন্দু বলেন, “মহেশতলার মেটিয়াবুরুজ। পুলিশের গাড়িও ভেঙেছে। প্রচুর পুলিশ রক্তাক্ত। হিন্দুরা রক্তাক্ত। আমি ও আমার পাঁচ কলিগ দেখা করতে এসেছিলাম মহামান্য ডিজির সঙ্গে। উনি থেকেও মিট করেননি। মিট করেননি মমতার নির্দেশে। কারণ আমরা জানি, সবাই ল্যাম্পপোস্ট। একটা পোস্ট। হিন্দু বিরোধী সরকার। মুসলিম লিগের সরকার। অত্যাচারীর সরকার। ধূলিয়ান, শামসেরগঞ্জ, মোথাবাড়ির পরে কলকাতার কাছে ১০ কিলোমিটার দূরে অত্যাচার।”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikary) বলেন, “রাজীব কুমার ঠান্ডা ঘরে বসে আছে। পুলিশকেই নিরাপত্তা দিতে পারে না। ৩৫টা পুলিশ মার খেয়েছে। পুলিশের ১২টা গাড়ি ভেঙেছে। মুসলমানদের সরকার। জঙ্গিদের সরকার। জেহাদিদের সরকার।” শুভেন্দু বলেন, “আগামী বছর রাজীব কুমার চাকরি করতে হবে। পালাতে তোমাকে দেব না। মমতা মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। এই সময়, ২০২৬, আজ ১১ জুন লিখে রাখুন মমতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তিনি বলেন, “এই সরকার মহম্মদ আলি জিন্না, সুরাবর্দির আদর্শের সরকার। কমপ্লিট মুসলমানের সরকার (Maheshtala Chaotic Situation)। এক চোখ বন্ধ। আর আমার পুলিশ ভাইরা মার খাচ্ছেন। পুলিশের ছেলেরা মার খাচ্ছে। মহিলারা মার খাচ্ছেন (Suvendu Adhikary)।”

  • Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি?,” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানাতে এই অভিযান নিয়েই আলোচনা হয়। আনা হয় প্রস্তাবও। তবে প্রস্তাবে ‘সিঁদুর’ শব্দটি ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ শানাতে দ্বিধা করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব আনায় আমরা খুশি। বিজেপির সদস্যপদ নিতে গেলে প্রথমেই উল্লেখিত হয় নেশনস ফার্স্ট। দেশ ক্ষতবিক্ষত হলে সবাই এক সঙ্গে প্রতিবাদ করে। তাই এই প্রস্তাবকে আমরা সমর্থন করব।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “আপনার প্রস্তাবে সিঁদুর শব্দটি নেই কেন? কীসের আপত্তি? সেনাকে কুর্নিশ জানাবেন। আমরা সমর্থন করব, আর আপনারা একটা লাইন রাখবেন না?” তিনি বলেন, “আমার আবেদন প্রস্তাবে অপারেশন সিঁদুর যুক্ত করুন। অতীতে আমার প্রস্তাব আপনারা নিয়েছেন। আর এটা তো দেশের প্রশ্ন।” এই সময় শাসক দলের বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন, “সিঁদুর কি সবাই পরে?” সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, সিঁদুর পরে না মাকুরা। ওরা চিনকে সমর্থন করে। যারা ধর্ম মানে না, তারা পরে না।”

    লড়াই পাকিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে

    শুভেন্দুর দাবি, তাঁদের লড়াই কোনও নির্দিষ্ট জাতি-ধর্ম কিংবা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। লড়াইটা যারা জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “যারা এখানে থেকে পাকিস্তানের কথা বলে, আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে (Operation Sindoor)। যারা এখানে জঙ্গি সংগঠন আনাসুরুল্লা বাংলাকে সমর্থন করে, লড়াইটা তাদের বিরুদ্ধে।” কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের প্রসঙ্গও টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন (Suvendu Adhikari), “এপিজে আবদুল কালামকে রাষ্ট্রপতি করেছিল এনডিএ সরকার। জাতের ওপরে উঠে নাজমা হেপতুল্লা, আরিফ খানকে রাজ্যপাল করেছেন নরেন্দ্র মোদিজি।”

    সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা

    ভারতীয় সেনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভারত মাতা যখন ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তখন আমাদের বীর সেনারা ১০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে মাসুদ আজহার ছাড়া বাকি প্রায় সব জঙ্গিকে নির্বংশ করেছে। বিএসএফ-সহ প্যারা মিলিটারি, সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।” ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে একাধিক বিরূপ মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “তিন-চারজন যারা হাউসের সদস্য তাঁরা অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বাইরে নানা কথা বলেছেন। আমি চাই এঁরা ক্ষমা চান।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের এই মন্তব্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিধানসভায়। সেই সময় তৃণমূলের উদয়ন গুহকে উদ্দেশ্য করে তাঁকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেন শুভেন্দু।

    ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি

    এদিকে, রাজ্যের (Operation Sindoor) ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে ফের নিশানা করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে গিয়ে ওবিসি সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করেছে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “যাঁরা প্রকৃত ওবিসি নন, তাঁদের অবৈধভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৈরি হয়েছে, যাতে মুসলিম ভোট ধরে রাখা যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, রাজ্য সরকার বিধানসভায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেখানে ১৮০টি সম্প্রদায়কে ওবিসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা আছে। এই ১৮০টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ১১৯টি মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁর অভিযোগ, সংরক্ষণের বিষয়ে হিন্দু ওবিসিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। পদ্মপার্টির অভিযোগ, ওই রিপোর্টটি পক্ষপাতদুষ্ট। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। তাঁদের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে কিছু না জানিয়ে চোরের মতো এসে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিরোধী দলকে কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিধানসভা মুলতুবি করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওবিসি সংরক্ষণ বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে।” তাঁর প্রশ্ন, “বিচারাধীন বিষয়ে (Operation Sindoor) কীভাবে সংরক্ষণ করা হল?” ওবিসি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিজেপি আন্দোলনে নামবে বলেও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: নাম না করে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর, কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Suvendu Adhikari)। সরকারি কোষাগার থেকে এক কাঁড়ি টাকা খরচ করে তৈরি মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মুসলিমরা হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। প্রাণভয়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন হিন্দুরা। ওই ঘটনায় হিন্দুরা যে ক্ষুব্ধ, তা বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে এদিন উদ্বোধন করা হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। উদ্বোধনের দুদিন আগেই দিঘায় প্রায় হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন করলেন মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করছেন, তখনই এই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাম না করেই শুভেন্দু নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য সরকারের সমালোচনায়ও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, “বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। তবে মৃতের সংখ্যা ২৫ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই সময় পুরো সরকারকে দিঘায় তুলে আনা হয়েছে। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সবাই আমাদের অতিথি ছিলেন। ঘটনাটি আমি এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি ৯টা ১০ মিনিটে। আর সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওঁর অনীহা! চটি চাটাদের নিয়ে ফূর্তি করতে গিয়েছেন।”

    রাজ্য সরকারকে নিশানা

    দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “পুরো সরকার দিঘায় তুলে এনে ২৮ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিয়ে মন্দির নাম দিয়েছেন। শ্রী জগন্নাথদেবকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাধারমনের আসল নাম রাহুল যাদব।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “টিকি রাখলেই সবাই ইসকন হয় না। সনাতনী কাজ সকলকে দিয়ে হয় না। জগন্নাথ তো সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। ধর্ম বিরোধী কাজ করলে ঈশ্বর মেনে নিতে পারেন না।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “অনুষ্ঠান তো শেষ হয়ে গেল। এ জ্বালা বিশাল জ্বালা। সাজতে এসেছিল (Jagannath Temple) হিন্দু, আমরা বানিয়েছি জালি হিন্দু। রেড রোডে হিজাব পরে হিন্দু ধর্মকে গান্ধা ধর্ম বলে (Suvendu Adhikari)! জালি কোথাকার!”

  • Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু,” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু।” রবিবার ঠিক এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হয় বলে অভিযোগ। তার জেরে জেলা ছেড়ে রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে মালদায় আশ্রয় নেন বহু হিন্দু।

    মমতা ভণ্ড হিন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তোলেন শুভেন্দু। দিঘায় নয়া জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন। সে প্রসঙ্গেই সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হিন্দু বিরোধী বলেও অভিহিত করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ভণ্ড হিন্দু। হিন্দু সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করবেন না। হিন্দুরাই হিন্দু মন্দির তৈরি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী। তাঁর জন্যই মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবারগুলি এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।” এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, রাজ্যে হিন্দুরা হুমকির মুখে রয়েছেন। মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তও দাবি করেছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য রাজ্য পুলিশকে দায়ীও করেন শুভেন্দু। একে তিনি ‘নৃশংস হত্যাকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু

    সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা আমাদের সংস্কৃতি ও ধর্মকে সজীব রাখতে নিরন্তর কাজ করছি। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা হুমকির মুখে। আমরা এনআইএ তদন্ত চাই। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য রাজ্য পুলিশ সম্পূর্ণ দায়ী। এখানে সবাই চায় এনআইএ এখানে এসে মামলার দায়িত্ব নিক।” হিংসার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। অখিলেশের এহেন মন্তব্যকে শুভেন্দু বলেন, “অখিলেশ যাদবের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে প্রেরিত।”

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনের জেরে খুন করা হয় দুই হিন্দু প্রতিমা শিল্পীকে। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর (Mamata Banerjee) করা হয়। প্রাণভয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে মালদায় আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এখনও ভিটেয় ফেরেননি মুর্শিদাবাদ ছেড়ে যাওয়া সব হিন্দু (Suvendu Adhikari)।

  • Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে গণতান্ত্রিক সরকার চলছে। অথচ সরকার সংবিধান, সংসদীয় ব্যবস্থা মানে না। সরস্বতী পুজোয় বাধা নজিরবিহীন। সশস্ত্র পুলিশ, আইপিএসদের দিয়ে পুজো করাতে হয়েছে। বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের হয়ে সওয়াল করায় আমায় এক মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।” সোমবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হাউসে আসবেন। তবে বিজেপি থাকবে না। বিধানসভার গেটে আগামিকাল বেলা ১২টা থেকে বিধানসভার আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না দেব।” তিনি বলেন, “কাল বিধানসভার বাইরে থেকে বক্তৃতা দেব। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবে বিজেপি। আগামী এক মাস আমি ভাতা নেব না।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে মোক্ষম বাণটি ছোঁড়েন শুভেন্দু। বলেন, “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার। এই সরকার মুসলমানের সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি, কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে দিয়েছি।”

    শুভেন্দুদের সাসপেন্ড

    প্রসঙ্গত, সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন পদ্ম বিধায়করা। এর পরেই এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারককে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমায় যাতে বলতে না দেওয়া হয় এবং উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যাতে ফাঁকা মাঠে বক্তৃতা দিতে পারেন, সেই জন্যই পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে আমাদের সাসপেন্ড করা হল।” তিনি বলেন, “এখন থেকে বিজেপি বিধায়করাও মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবেন। উনি যেদিন বিধানসভায় আসবেন, ওঁকে গেটে দাঁড়িয়ে আমাদের বিধায়করা ধিক্কার জানাবেন এবং ওঁর উপস্থিতি আমরা বয়কট করব।” শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে অগণতান্ত্রিক সরকার চলছে। বাংলাদেশে ইউনূস যা করছে, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল একই কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না (Suvendu Adhikari)। হিন্দুদের জন্য বলতে গিয়ে আমাকে ১ মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।”

  • Suvendu Adhikari: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা (Rohingyas)।” রবিবার ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন মুম্বইয়ের দাদরে বিজেপি অফিসে প্রবাসী বাঙালিদের সামনে বক্তব্য রাখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে তুলোধনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দুর অভিযোগ, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য বিএসএফকে জমি দেয়নি রাজ্য সরকার। শুভেন্দু বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্তের ৭২টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। জমি না পাওয়ায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বললেও, বাংলার সরকার বিএসএফকে জমি দেয়নি। এসব সীমান্ত দিয়ে দলে দলে বাংলায় ঢুকছে রোহিঙ্গারা। তারপর ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে।”

    রোহিঙ্গারা ঢুকছে ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রেও

    তিনি বলেন, “বাংলা দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকে ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলার ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ করছে। এটা ঝাড়খণ্ডে হচ্ছে, মহারাষ্ট্রেও চেষ্টা চলছে।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এরা আপনাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে রেশন, জমি, কাজ সব নিয়ে নিচ্ছে।” বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে, তাও জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা হবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “বাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার তৈরি করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ভারতকে সুরক্ষিত করব, বাংলাকে সুরক্ষিত করব।”

    আরও পড়ুন: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    শুভেন্দুর মতে, মহারাষ্ট্রের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলার বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডি জোটের কংগ্রেস মাত্র ৯৯টি আসন পেয়েছে। ইন্ডি জোটের মোট আসন এনডিএ জোটের চেয়ে কম। তার পরেও ওরা যে ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছিল, তাতে যারা ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভালোবাসি, সম্মান করি, আমরা যারা সনাতনী, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।” শুভেন্দু বলেন, “কাশ্মীরে বিজেপি সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। গতবার ২৫টি পেয়েছিল, এবার (Rohingyas) পেয়েছে ২৯টি। এককভাবে বিজেপি ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “দেশ এগোচ্ছে বিকশিত ভারতের দিকে। মহারাষ্ট্রে অনেক আসনে বাঙালিরা নির্ণায়ক শক্তি। আপনাদের প্রতিটি ভোট দেশকে সমৃদ্ধ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য”, ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেচে চড় খেয়েছে রাজ্য।” ১ অক্টোবর ডাক্তারদের মিছিলে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কেউ যদি যেচে (Mamata Banerjee) চড় খেতে চায়, তো খাবে। সুপ্রিম কোর্ট তো আগেই বলে দিয়েছিল, ডাক্তারদের কেন, যে কোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধা দিতে পারবে না সরকার।”

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    তিনি বলেন, “এর আগে ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানও আটকাতে গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা শোনেইনি। ডিভিশন বেঞ্চও তো তা গ্রাহ্য করেনি। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার এসব করতে যায়। যদি লেগে যায়। ফাটকা খেলতে যায় আর কি!” তৃণমূল সুপ্রিমোকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “আরজি কর, সাগর দত্ত, তারপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের ওপর নিগ্রহ হয়েছে। সব সমস্যার মূলে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “ওঁকে প্রাক্তন করা না হলে, কোনও সমস্যা মিটবে না। কারণ পুলিশের যে কাজ করার কথা, সেটা তারা করে না। পুলিশ দলের কাজ করে, টাকা তোলে।”

    মিছিলের ডাক চিকিৎসকদের

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আজ, ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায় মিছিলের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের ৫৫টি সংগঠন। উদ্যোক্তা জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। মিছিল হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। মিছিলের জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও, পুলিশ তা দেয়নি। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উদ্যোক্তারা।

    আরও পড়ুন: মাওবাদীদের সঙ্গে সম্পর্ক! নজরে দুই মহিলা, পানিহাটিসহ রাজ্যের সাত জায়গায় এনআইএ হানা

    শর্ত সাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত। আদালতের শর্ত হল, নির্দিষ্ট রুটেই মিছিল হবে। নামাতে হবে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকও। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বলেন, “এক কাজ করুন। গোটা শহরেই আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করুন (Mamata Banerjee)।” আদালতের এহেন মন্তব্য প্রসঙ্গেই ‘যেচে চড়’ খাওয়ার উপমা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

       

  • Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কার্শিয়ংয়ের কন্যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিবাহের আসরে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পর কলকাতায় নিউটাউনের একটি হোটেলে ভোজের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ের এলাহি আয়োজন নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর কথায়, ‘আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।’ শুভেন্দু দাবি করছেন, আগামী রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠানের এই কয়টা দিন কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে দুই শিফটে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশক কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজবৈদ্যদের নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম, এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে ‘মিড-ডে মিল’ পরিবেশন করা হয়েছে, তা দেখে লজ্জা হয়।’ 

    এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকেও শুভেন্দু বলেন, ‘উনি নাকি গরীবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে এই রকমের আয়োজন। মানুষ তো সব দেখছে।’ তাঁর কথায়, ‘পিসির পরিবার, জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল’ তবে অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মোতায়েন করার বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘এলাহি আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।’ এরই সাথে খাবারের একটি ছবিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    উল্লেখ্য, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তার পুত্র আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abesh Banerjee)। পারিবারিক সূত্রে খবর, নিজের সহপাঠী প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি। বরকর্তা হচ্ছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের এই রাজ-বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই বিয়েতে সাহায্য করা সাধারণ কর্মীদের হাল নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share