Tag: swadeshi adoption

  • Zoho India: মাইক্রোসফট বা গুগল নয়, অশ্বিনী বৈষ্ণব শুরু করলেন ভারতীয় অ্যাপ জোহো-র ব্যবহার

    Zoho India: মাইক্রোসফট বা গুগল নয়, অশ্বিনী বৈষ্ণব শুরু করলেন ভারতীয় অ্যাপ জোহো-র ব্যবহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। জনপ্রিয় বিদেশি সফটওয়্যার যেমন মাইক্রোসফট অফিস ও গুগল ওয়ার্কস্পেস ছেড়ে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি জোহো সফটওয়্যার (Zoho India) ব্যবহার শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। ২৪ সেপ্টেম্বর বুধবার, ক্যাবিনেট ব্রিফিং করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর তখনই তৈরি হল ইতিহাস। সেই ব্রিফিংয়ে তিনি ব্যবহার করলেন জোহো। এবং সেই ব্রিফিংয়ের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করলেন, এদিনের যে পিপিটি তৈরি করা হয়েছে, সেটা জোহোতেই তৈরি করা হয়েছে।

    জোহো-তে স্থানান্তরের ঘোষণা

    গত ২২ সেপ্টেম্বর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) ঘোষণা করেন যে ডকুমেন্ট, স্প্রেড শিট ও প্রেজেন্টেশনের জন্য তিনি এবার থেকে ব্যবহার করবেন জোহো। তিনি লেখেন, ‘‘আমি এবার জোহোতে চলে যাচ্ছি। আমাদের নিজেদের প্ল্যাটফর্ম।’’ অর্থাৎ তিনি সেদিনই জানিয়ে দেন অফিসের যে একাধিক কাজের জন্য এবার থেকে মাইক্রসফট অফিস বা গুগলের ডকস তিনি আর ব্যবহার করবেন না। এটি ছিল কার্যত এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার ঘোষণা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রেরণা

    প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের জনগণকে লেখা একটি চিঠিতে উৎসবের মরসুমে মেড-ইন-ইন্ডিয়া পণ্যগুলিকে সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানানোর ঠিক পরেই এই আবেদন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই পদক্ষেপকে ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’-এর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যে স্বদেশি পণ্য কেনা কেবল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে না বরং স্থানীয় কারিগর, শ্রমিক এবং শিল্পকেও সহায়তা করে। তাঁর কথায়, ‘‘যখনই আপনি আমাদের কারিগর, শ্রমিক এবং শিল্পের তৈরি পণ্য কিনবেন, তখন আপনি পরিবারগুলিকে তাদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করছেন এবং আমাদের যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছেন।’’

    জোহো আসলে কী?

    ১৯৯৬ সালে শ্রীধর ভেমবু ও টনি টমাস জোহো (Zoho India) তৈরি করেন। এই সংস্থার সদর দফতর চেন্নাইয়ে। জোহো একটি সফটওয়্যার কোম্পানি, যা ব্যবসায়ী ও পেশাদারদের জন্য ৫৫টির বেশি ক্লাউড-ভিত্তিক টুল সরবরাহ করে। ইমেল, অ্যাকাউন্টিং, এইচআর বা প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্টের মতো সব ধরনের কাজের জন্য সফটওয়্যার রয়েছে জোহোর। আমেরিকায় এই সংস্থা নথিবদ্ধ হলেও সংস্থার বেশিরভাগ কাজই হয় তামিলনাড়ু থেকে। ১৫০টিরও বেশি দেশে জোহোর ১০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। ফলে, এই সংস্থা যে কেবলমাত্র স্বনির্ভর ভারতের প্রতীক, এমনটা নয়। এই সংস্থা প্রমাণ করে যে ভারতীয় সংস্থাগুলোও পারে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে পারবে।

    স্বদেশির টান

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশিয়ানায় জোর দেওয়ার এই ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নতুন করব্যবস্থাকে ‘জনবান্ধব সংস্কার’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উৎসবের মরসুমে আসুন আমরা সকলে ঠিক করি, দেশীয় পণ্যকেই সমর্থন করব। এর অর্থ হচ্ছে, যে কোনও ভারতীয় শিল্পী, শ্রমিক বা কারখানার ঘাম-রক্তে তৈরি সামগ্রী কেনা। সেটা যে ব্র্যান্ড বা সংস্থাই তৈরি করুক না কেন।’ এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকানদারদেরও বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে বলি, যা কিনছি তা স্বদেশি। আমরা গর্বের সঙ্গে বলি, যা বিক্রি করছি তা স্বদেশি।’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অশ্বিনী বৈষ্ণব দেশের মানুষের কাছে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের অনুরোধ জানালেন। তিনি নিজেও স্বদেশি প্রযুক্তিকে আপন করে নিয়েছেন।ডেটা প্রাইভেসি ও মূল্য?

    ডেটা প্রাইভেসিতে জোর

    জোহোর (Zoho India) অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল ব্যবহারকারীর ডেটা প্রাইভেসিতে জোর দেওয়া। তারা বিজ্ঞাপন থেকে রাজস্ব উপার্জন করে না, এবং ব্যবহারকারীর তথ্য গোপন রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বিভিন্ন দেশের আইন মেনে ডেটা হোস্ট করা হয়। এছাড়াও, জোহো ওয়ার্ক স্পেসের মূল্য সাধারণত মাইক্রোসফট ও গুগলের তুলনায় অনেকটাই কম, যা বিশেষ করে ভারতের ছোট ও মাঝারি ব্যবসার মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

LinkedIn
Share