মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। দেশের সব প্রান্তে তিরঙ্গা পতাকা উড়িয়ে এই বিশেষ দিনটি আড়ম্বরের সাথে পালন করে সাধারণ মানুষ। অনেক সংগ্রাম, রক্তক্ষয় ও অশ্রুজলের মধ্যে দিয়ে প্রায় দুশো বছরের পর পরাধীনতার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। বহু ভারতীয়ের দীর্ঘ এবং কঠিন সংগ্রামের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান কখনও ভোলার নয়। স্বাধীনতা দিবসের মত এই বিশেষ দিনে এমনই কিছু বীরের উক্তি মনে করা যাক একনজরে।
“স্বাধীনতা মানুষের অবিচ্ছিন্ন অধিকার। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে, কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমার চিন্তাকে ওরা কখনও মারতে পারবে না।” – ভগৎ সিং
“প্রথমে তারা তোমাকে উপেক্ষা করবে, তারপর তোমাকে দেখে হাসবে। তারপরে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে। শেষে কিন্তু জয় তোমারই হবে।” – মহাত্মা গান্ধী
“পুঁজিবাদী সমাজের শক্তিগুলিকে যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে ধনীরা আরও ধনী এবং দরিদ্ররা আরও দারিদ্রতার স্বীকার হবে।” – জওহরলাল নেহরু
“কোনও সম্প্রদায়ের অগ্রগতি আমি সেই সম্প্রদায়ের নারীর অগ্রগতির নিরিখে পরিমাপ করি।” – ভীম রাও আম্বেদকর
“তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।” – সুভাষ চন্দ্র বসু
“দুশমন কি গোলিও কা হাম সামনা করেঙ্গে / আজাদ হি রহে হ্যায়, আজাদই রহেঙ্গে।” – চন্দ্রশেখর আজাদ
“এদেশের সমস্ত নাগরিককে মনে রাখতে হবে যে তারা ভারতীয় এবং এই দেশে তাদের সমস্ত অধিকার রয়েছে, সমস্ত কর্তব্যও রয়েছে।” – সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল
“সরফরোশি কি তমন্না অব হামারে দিল মে হ্যায় / দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-ই-কাতিল মে হ্যায়” – রামপ্রসাদ বিশমিল
“স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং আমি সেটা অর্জন করবই” – বাল গঙ্গাধর তিলক
“আমরা গভীর আন্তরিকতা, বক্তৃতায় আরও সাহস এবং কর্মে আন্তরিকতা চাই।” – সরোজিনী নাইডু
“আমি গীতাপাঠ করেছি। আমার মৃত্যুভয় নেই”– ক্ষুদিরাম বসু।
“লক্ষ্যে পোঁছানোর আগে মৃত্যুর হিমশীতল তোমাদের স্পর্শ করলে তোমরা অনুগামীদের হাতে এই অন্বেষণ এর ভার তুলে দেবে-যেমন আমি তোমাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। প্রিয় বন্ধুরা-এগিয়ে চল-কখনও পিছিয়ে যেও না। ওই দেখা যাচ্ছে স্বাধীণতার নবারুণ। উঠে-পড়ে লাগো। কখনও হতাশ হয়ো না। সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত।” – মাস্টারদা সূর্য সেন।
“চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়,
যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
পৌরুষেরে করে নি শতধা, নিত্য যেথা
তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা,
নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ;
ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত॥” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর