Tag: Taliban

Taliban

  • Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষায় একাধিক ফতোয়া জারি করেছে তালিবান সরকার। এর আগেই তালিবান (Taliban) সরকার দেশের মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর এবারে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফেব্রুয়ারিতেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা। কিন্তু তার আগেই এই পদক্ষেপ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

    নোটিশ জারি তালিবান সরকারের

    আফগানিস্তানে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের এক মাসের মধ্যেই ফের এক নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। তালিবান নিয়ন্ত্রিত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একটি নোটিশ জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মেয়েরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে না। মহিলাদের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার ওপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

    সে দেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী নিদা মোহাম্মদ নাদিম বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এইসব নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, কিছু বিষয় পড়ানো হচ্ছে যা ইসলাম নীতিকে লঙ্ঘন করে। ফলে সেই দিক যতদিন না ঠিক করা হচ্ছে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মহিলাদের জন্য পুনরায় চালু করা হবে বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    আদেশ অমান্য করলে আইনি পদক্ষেপ…

    উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশমি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, মহিলারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট স্তরের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারবেন না এবং যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই আদেশ অমান্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিবান সরকার পরিচালিত মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় নারীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধের কথা বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মহিলা, জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সে দেশে গিয়েছিলেন। এর পর এই সপ্তাহের শুরুতেও জাতিসংঘের মানবিক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এবং দুটি প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতারা আফগানিস্তান সফর করেন। এই সফরের একই লক্ষ্য ছিল- নারী ও মেয়েদের উপর তালিবানের দমন-পীড়ন সহ, জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবিক সংস্থার জন্য কাজ করা আফগান মহিলাদের উপর থেকে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Taliban: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    Taliban: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে থাকা পাক তালিবানকে (Taliban) নিকেশ করতে সামরিক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লা। তার পরেই পাকিস্তানকে একহাত নিয়েছেন আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব। তালিবান নেতা আহমেদ ইয়াসির পাকিস্তানকে মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশ যুদ্ধে কেমন বেহাল দশা হয়েছিল পাক সেনার। সেই সঙ্গে শাহবাজ শরিফের দেশকে তালিবানের হুঁশিয়ারি, তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালে ফের লজ্জার মুখে পড়তে হবে পাক সেনাকে।

    পাক তালিবান…

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লা বলেছিলেন, সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পাক তালিবান। আফগানিস্তান আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাই এই বিষয়টি নিয়ে প্রথমে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। কিন্তু তাতে কাজ না হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন বলে কোনও শক্তি যদি আক্রমণের পরিকল্পনা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অধিকার রয়েছে।

    এর পরেই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেন তালিবান (Taliban) নেতা আহমেদ ইয়াসির। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, এটা আফগানিস্তান। বহু শক্তিশালী রাজবংশ এখানে রাজত্ব করে গিয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান করার কথা ভাবতে যাবেন না। কারণ আমাদের আক্রমণ করলে লজ্জার মুখে পড়তে হবে আপনাদের। ভারতের সঙ্গে যেভাবে লজ্জাজনক চুক্তি সই করতে হয়েছিল, সেই একই দশা হবে আবার।

    আরও পড়ুুন: ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’! ‘‘পাকিস্তান নিয়ে আরও কড়া কথা বলতে পারি’’, বললেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ হয় ভারত-পাকিস্তানের। ওই যুদ্ধে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। ভারতের (India) সেনা প্রধান জগজিৎ সিং অরোরার সঙ্গে চুক্তি সই করে আত্মসমর্পণের কথা ঘোষণা করেন পাক সেনা প্রধান আমির আবদুল্লা নিয়াজি। চুক্তি সইয়ের সেই ঐতিহাসিক ছবিটিও ট্যুইট করেছেন তালিবান (Taliban) নেতা।  

    এদিকে, সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সামরিক অভিযানের সবুজ সংকেত দিল পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। ওই কমিটির মাথায় রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সোমবার বৈঠকে বসে ওই কমিটি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় সামরিক অভিযান হবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Afghanistan: তালিবানি ফতোয়ায় বন্ধ মেয়েদের পড়াশোনা, প্রতিবাদে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত ছাত্রদের

    Afghanistan: তালিবানি ফতোয়ায় বন্ধ মেয়েদের পড়াশোনা, প্রতিবাদে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত ছাত্রদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরও অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার (Taliban)। এই ফতোয়া ঘিরে উত্তাল গোটা বিশ্ব। আর এবারে এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) ছাত্ররাও। তালিবান সরকারের এই ফতোয়াকে নিন্দা করেছেন আফগান ছাত্ররা। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার জন্য আফগান ছাত্ররা ক্লাস বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাঁরা তালিবান শাসকের ফতোয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন, মেয়েরা ক্লাস করতে না পারলে তাঁরাও ক্লাস করবেন না। আর যতদিন এই নিষেধাজ্ঞা না সরানো হবে, ততদিন এই বয়কট চলবে।

    আফগান ছাত্রীদের পাশে ছাত্ররা

    নারীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতা করে মুজামেল নামে এক ছাত্র বলেছেন, “আমরা আমাদের বয়কট অব্যাহত রাখব এবং যদি মেয়েদের জন্য ক্লাস পুনরায় চালু না করা হয়, আমরা আমাদের ক্লাস বয়কট করব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ বন্ধ রাখব।” নাভিদুল্লাহ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের বোনদের জন্য বন্ধ। আমরাও সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাই না।” মোহেবুল্লাহ নামে আরেক ছাত্র বলেছেন, “আমার দুই বোনও উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, কিন্তু তাঁদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আমিও পড়াশোনা করব না।”

    আরও পড়ুন: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    আবার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক তালিবানকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা দুর্ভাগ্যজনক। তৌফিকুল্লাহ নামে একজন শিক্ষক বলেন, “আমরা ইসলামিক এমিরেটকে আমাদের ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবার চালু করার অনুরোধ জানিয়েছি।”

    আফগান নারীদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা

    প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শুরুতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের (Afghanistan) উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক প্রতিবাদ করা হয় ও বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। কিছুদিন আগেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ছেড়ে বেরিয়ে যান আফগান ছাত্ররা। ছাত্ররা জানিয়েছিলেন, আফগান ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর এবারে ক্লাস বয়কটেরও ডাক দিয়েছে তাঁরা। 

  • Taliban Ban: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    Taliban Ban: মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তালিবানরা জারি করে চলেছে একের পর এক ফতোয়া, কেড়ে নেওয়া হচ্ছে নারীদের অধিকার। মৌলবাদী শাসকদের আমলে খর্ব হচ্ছে মহিলাদের স্বাধীনতা। এবার গত মঙ্গলবার মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরও অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার (Taliban Ban)। আর এই ফতোয়া ঘিরে উত্তাল গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের যুক্তি দিলেন তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম।

    মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা

    গত কয়েকমাস ধরেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছিল মহিলাদের উপর। মিডল স্কুল ও হাই স্কুলে যাওয়াও নিষেধ করে দিয়েছে তালিবানরা (Taliban Ban)। একা রাস্তায় বেরনো থেকে স্বাধীনভাবে পোশাক পরা, শিক্ষা, পেশা বেছে নেওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে ধাপে ধাপে। আর এবারে মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়াতেও নিষেধ করল তালিবানরা। এমনকী মুসলমান অধ্যুষিত দেশগুলিতেও এই সিদ্ধান্তকে ইসলাম বিরোধী, এমনকী ‘মানবিকতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় তালিবান সরকার।

    নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তি দিলেন তালিবান উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী

    যখন তালিবানদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। আর সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে দেখা গেল তালিবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিমকে। তিনি জানিয়েছেন, মহিলা পডুয়ারা সরকারের নিয়মবিধি অনুসরণ করছে না। পোশাকবিধি থেকে শুরু করে একাধিক নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে। সেই কারণেই আপাতত মহিলাদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    “১৪ মাস কেটে গেলেও মহিলাদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যে সব নিয়মগুলি রয়েছে তা মানা হচ্ছে না।” সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন নাদিম। তিনি আরও বলেন, “মহিলারা এমন পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয় আসেন, দেখে মনে হয় যেন কোনও বিয়েবাড়িতে যাচ্ছেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিতে আসা মহিলারা বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার নিয়মও মানেন না।” নাদিম আরও জানিয়েছেন, বিজ্ঞানের মত বিষয় মহিলাদের জন্য নয়। তিনি বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি সহ বেশ কিছু বিষয় মহিলাদের সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আফগানিস্তানের সংস্কৃতিও তাই বলে।” এখানেই শেষ নয়, নাদিম আরও জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ মহিলাদের শিক্ষার জন্য তৈরি মাদ্রাসাগুলিকেও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে (Taliban Ban)।

    নিষেধাজ্ঞার পর আন্দোলন আফগান মহিলাদের

    গত বছরের অগাস্ট থেকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে তালিবান সরকার। তাঁরা ক্ষমতায় আসার পর একাধিকবার নারী অধিকার নিয়ে বিক্ষোভ হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম বড় আকারে আন্দোলন হতে দেখা গেল কাবুলে। উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কাবুলের রাস্তায় বিক্ষোভে সামিল হন মহিলারা। জমায়েত করেন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকজন আফগান মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশরা। পরে তাঁদের কয়েকজনকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের হেফাজতে নিয়েছে তালিবান পুলিশ।

  • Taliban: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    Taliban: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশিক্ষায় ফতোয়া জারি করল তালিবান। মহিলাদের উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, কোনও মহিলাই আর ঢুকতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। রাজ্যে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিঠি দিয়ে এই ফরমান জারি করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিমের বক্তব্য , ‘‘যত দিন পর্যন্ত দেশে ইসলামি আবহ তৈরি না-হচ্ছে, তত দিন আমি মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। আগে ইসলাম, পরে অন্য সব কিছু।’’

    তালিবান আছে তালিবানেই

    আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতায় আসার পর তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সময় পাল্টেছে। ২০ বছর আগে যেমন নিয়ম ছিল, তেমন না-ও থাকতে পারে। তবে যা-ই হোক না কেন, হবে শরিয়তি আইন মেনে। ক্ষমতায় আসার পরে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অনুমতি দিলেও নানা বিধিনিষেধ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যেমন–ক্লাসঘরে একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করতে পারবে না ছেলেমেয়েরা, স্কুল, কলেজে মেয়েদের পড়াবেন শুধু শিক্ষিকারাই।  তবে শিক্ষার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার তাই হল। পার্ক, জিমের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজাও বন্ধ হয়ে গেল মেয়েদের জন্য। 

    আরও পড়ুন: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে শাস্তি! গ্রেফতার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী

    আফগানিস্তানে (Afghanistan) মহিলাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তাতে যে তালিব (Taliban) শাসকদের কিছু যায় আসে না, তা স্পষ্ট করে দিল তারা। মেয়েদের জন্য শিক্ষার দরজা বন্ধ হওয়ার পর আমেরিকা সাফ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মহিলাদের শিক্ষা নিয়ে নীতি পরিবর্তন প্রয়োজন। তাহলেই তালিবান শাসিত সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব। নাহলে তালিবান প্রশাসনের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তালিবান প্রশাসনের এই ঘোষণায় পর রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড জানিয়েছেন, “তালিবান কখনও আশা করতে পারে না আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্য হব অথচ আফগানদের অধিকার হরণ করব। বিশেষ করে, মহিলা এবং শিশুদের মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার হরণ করা অনুচিত।” তালিবান এই নীতি আত্মনির্ভর এবং সমৃদ্ধ আফগানিস্তান তৈরির পথে আরও একটা বাধা সৃষ্টি করল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি  তালিবানের

    Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি ফিরেছে। দেশে আর নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা নেই। দাবি তালিবানের। প্রায় দু’দশক পর ক্ষমতায় ফিরলেও, এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে বৈধতা পায়নি আফগানিস্তানে (Afghanistan News) পুনরায় কায়েম হওয়া তালিবান (Taliban News) সরকার। সেই আবহে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু (Hindus) এবং শিখদের (Sikhs) দেশে ফেরার আহ্বান জানালেন তালিবান নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, দেশের অন্দরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়েছে। নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেন সংখ্যালঘুরা (Minorities)। 

    আরও পড়ুন: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    আফগানিস্তানের চিফ অফ স্টাফের অফিস ট্যুইট করে জানিয়েছে, ২৪ জুলাই আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে তালিবান মন্ত্রী ডক্টর মোল্লা আবদুল ওয়েসি দেখা করেছেন। আফগানিস্তানে এই কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে দেখা করার পরেই এই দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে সমস্ত ভারতীয় এবং শিখ নিরাপত্তার কারণে দেশ ছেড়েছেন, তাঁরা যাতে আফগানিস্তানে ফিরে আসেন তাও হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছেন আফগান মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    তালিবান সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (ISKP)-কে রুখে দিতে সফল হওয়ায় তালিবান নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিন্দু এবং শিখ নেতৃত্ব। কাবুলে গুরুদ্বার যে হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়নি, তার জন্য তালিবান সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তাঁরা। গত ১৮ জুন জঙ্গি সংগঠন ISKP কাবুলের কর্তে-ই-পারওয়াঁ গুরুদ্বার লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক শিখও। তালিবান প্রশাসনের সৌজন্যে বড়সড় হামলা থেকে রক্ষা পায় গুরুদ্বারটি। এর জন্য শিখ নেতারা তালিব সরকারের প্রশংসা করেছে বলে জানা গেছে। শুধু কাবুলের গুরুদ্বার নয়, সেই সঙ্গে জঙ্গি হামলায় দেশের আরও যেসব গুরুদ্বারের ক্ষতি হয়েছে, তালিব সরকার তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ জন্য ৭.৫ মিলিয়ান আফগানী ব্যয় করবে বলে খবর।

  • Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম (Islam) বিরোধী না হলে তারা আন্তর্জাতিক মহলের (International Community) সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। সম্প্রতি একথা জানিয়ে দিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান (Taliban) শাসক। সে দেশের পাপ-পুণ্যের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি বলেন, আমরা কেবল অনুসরণ করি আল্লাহ, পয়গম্বর মহম্মদ, রাশিদানের খলিফা এবং আমাদের আইন প্রণয়নকারীদের। যা কিছু ইসলামের বিরুদ্ধে, আমরা তা গ্রহণ করব না। সম্প্রতি গজনি সফরে গিয়েছিলেন হানাফি। সেখানেই একথা জানান তিনি। সরকারি কর্মচারীদের শাহরিয়া অনুসারে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি।আফগানিস্তানের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি জানান, ইসলামিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত সমস্ত প্রদেশ, জেলা এবং মন্ত্রিসভায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের। তিনি বলেন, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর একশো শতাংশ মহিলাকে হিজাব পরতে দেখা যাচ্ছে। আগে যা হত না।

    আরও পড়ুন : প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে তুলে ধরা হয়েছে, গত দশ মাসে কীভাবে আফগানিস্তানে লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে এই দশ মাস ধরে আফগানিস্তান শাসন করছে তালিবান শাসক। সেই সময়ই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে প্রকাশ।

    গত বছর অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালিবান। এই সময়সীমার মধ্যে ঠিক কতগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি ওই রিপোর্টে। তবে সে দেশে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই যে সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে নানা ভাবে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, দুর্ব্যবহার, আইন বিরুদ্ধভাবে হত্যা, কোনও কারণ ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার এবং আটক করার ঘটনা ঘটছে আকছার।

    আরও পড়ুন : আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    এদিকে, তালিবান শাসকদের দেশবাসীকে শ্রদ্ধা করার পরামর্শ দিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর মহম্মদ ইশাক আখুন্দাজা। তিনি বলেন, যাঁরা সরকারে রয়েছেন কিংবা জেলা অফিসে চাকরি করেন কিংবা অন্য কোনও দফতরে কর্মরত, তাঁদের উচিত জনগণের সমস্যার সমাধান করা।

     

  • Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে নয়াদিল্লি (New Delhi)-কাবুল (Kabul) সম্পর্কের বরফ? আপাতত এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিদেশমন্ত্রী তালিবান (Taliban) নেতা আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনে অর্গানাইজেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তান উড়ে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বিদেশেমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি বসতে পারেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস চালু করা নিয়ে তালিবান সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যে অবশ্য প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। তখন তড়িঘড়ি ত্রাণ নিয়ে তালিবান সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জয়শঙ্কর-মুত্তাকির বৈঠকে ভারতের মানবিক সাহায্যের বিষয়টিও উঠতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন :মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার

    সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ তারিখে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের  প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। এই সম্মেলনের আগে শুরু হয়েছে এই দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনি সরকারের শাসনকালে সে দেশে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল ভারত। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। সেই কাজগুলি ফের যাতে শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে জয়শঙ্করের কাছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দরবার করতে পারেন বলে খবর। এদিকে, ভারতের তরফেও এই বৈঠকে কয়েকটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হতে পারে কাবুলকে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কোনও কাজ যে নয়াদিল্লি সহ্য করবে না, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হতে পারে দুই দেশ মুখোমুখি হলে।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখল করার পর সেখানকার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। সম্প্রতি তা খোলার ব্যাপারে ফের সক্রিয় হয়েছে ভারত। সে দেশে পাঠনো হয় একটি প্রযুক্তি দলকেও। জুলাই মাসে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠায় ভারত। তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুত্তাকি।

     

  • Afghanistan: আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন, হুঁশিয়ারি আখুন্দজাদার

    Afghanistan: আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন, হুঁশিয়ারি আখুন্দজাদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক বিশ্ব। দীর্ঘদিন পর জনসমক্ষে এসে এই হুঁশিয়ারি দিলেন আড়ালে থাকা তালিবান (Taliban) শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (Hibatullah Akhundzada)। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে (Kabul) ধর্মগুরুদের একটি সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই দেন হুঁশিয়ারি।

    গত ১৫ আগস্ট আফিগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তার পর থেকে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দেখা মিললেও আখুন্দজাদা রয়ে গিয়েছিলেন পর্দার আড়ালেই। জনসমক্ষে এলেন এদিন, কাবুলের এই ধর্মগুরুদের সভায় যোগ দিতে। শুধু তাই নয়, ঘণ্টাখানেক ধরে বক্তৃতাও করেন তিনি। সম্মেলন স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। তবে তাঁর ভাষণ সম্প্রচারিত হয়েছে সে দেশের রেডিওতে। ওই ভাষণ দিতে গিয়েই আফগানিস্তানের বিষয়ে বহির্বিশ্বের নাক গলানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন আখুন্দজাদা। বলেন, কেন বিশ্ব আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামায়? তারা কেন বলে, তোমরা এটা করো না, কেন করো না? কেন আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করে বিশ্ব?

    আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি ফের চালু ভারতের, কী প্রতিক্রিয়া তালিবানের?

    আখুন্দজাদা বলেন, তালিবান আফগানিস্তানের জন্য জয়লাভ করেছে। ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা কীভাবে শরিয়ত আইন প্রয়োগ করা যায়, সে ব্যাপারে নয়া শাসকদের পরামর্শ দেবে। আখুন্দজাদা বলেন, ইসলামি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা সহজে মেনে নেবে না বর্তমান বিশ্ব। হাজার তিনেক ধর্মগুরুর এই সমাবেশে কোনও মহিলা যোগ দেননি। তবে তালিবানের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন মেয়েদের শিক্ষার মতো কণ্টকাকীর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও এই সমাবেশে আলোচনা হবে।

    প্রসঙ্গত, তালিবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের মাস দুয়েক পরে একবার প্রকাশ্যে এসেছিলেন আখুন্দজাদা। সেই সময় কান্দাহারে দারুল উলুম হাকিমা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। তার পর এই এলেন প্রকাশ্যে। হুঁশিয়ারি দিলেন গোটা বিশ্বকে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে প্রবল ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। মৃত্যু হয়েছিল হাজারেরও বেশি মানুষের। জখমও হয়েছিলেন বহু মানুষ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তখনও গোপন ডেরা থেকে বের হননি আখুন্দজাদা। এলেন এদিন, কেবল ধর্মগুরুদের সভায়।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

  • Kabul Explosions: ফের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকা, আহত তিন

    Kabul Explosions: ফের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকা, আহত তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আফগানিস্তানে (Afghanistan) বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Explosions)। পরপর দুটো বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি (Dasht-e-Barchi) এলাকা। তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে বিস্ফোরণ যেন একটি নতুন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই বিস্ফোরণের ফলে খবরের শিরোনামে উঠে আসে আফগানিস্তানের নাম। জানা গিয়েছে গতকাল, শনিবার বিকেলের দিকে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকায় হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। আর এই জায়গাতেই প্রথম বিস্ফোরণটি সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে একটি জনাকীর্ণ বাণিজ্যিক বাজারের সামনে ঘটে এবং পরে পুল-ই-খুশক (Pul-e-Khushk) নামক বাস স্টপে আরেকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়।

    তালিবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিবৃতি অনুসারে, বিস্ফোরণটি সাইকেলে রাখা স্টিকি বোমার ফলে হয়েছিল, এতে ৩ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পরপরই আহতদের ওই এলাকার নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য বিগত কয়েক বছর ধরেই কাবুলের পশ্চিমে শিয়া উপশহর এলাকাকে বারবার লক্ষ্য করা হয়েছে। ফলে অসংখ্য  হামলায় শত শত হাজারা সম্প্রদায়ের লোক নিহত হয়েছেন এবং এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতনও অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীই এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    সম্প্রতি কিছুদিন আগেই রাশিয়ান দূতাবাসের সামনে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় দূতাবাসের দুই কর্মীসহ ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগেও, গত শুক্রবারে একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। নামাজের সময় উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে অন্তত ২০জন নিহত হয়েছিল।

    ফলে এই কয়েক মাসেই রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, যাতে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের এক বছরের মাথায় এই বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে। ফলে এর থেকে আন্দাজ করা যেতেই পারে যে, পরবর্তীতে আরও কত বিস্ফোরণ হতে চলেছে পুরো দেশ জুড়ে।

    তবে শুধুমাত্র বোমা বিস্ফোরণ নয়, তালিবানরা আসার পর থেকেই মানব ও নারীর প্রতি একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত বছরের অগাস্টে কাবুল দখল করার পর, ইসলাম ধর্মের নারী ও মেয়েদের অধিকারের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সংবাদমাধ্যমকে দমন করেছে, নিরপরাধ ব্যক্তিদের আটক করেছে, নির্যাতন করেছে এবং সমালোচক ও বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে। ফলে গত বছরের অগাস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই বিস্ফোরণ বেড়েই চলেছে ও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট।

    শের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share