Tag: Taliban

Taliban

  • Taliban: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    Taliban: উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধ! মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশিক্ষায় ফতোয়া জারি করল তালিবান। মহিলাদের উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হল। অনির্দিষ্ট কালের জন্য মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রক। দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশে নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, কোনও মহিলাই আর ঢুকতে পারবেন না বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। রাজ্যে রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিঠি দিয়ে এই ফরমান জারি করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিমের বক্তব্য , ‘‘যত দিন পর্যন্ত দেশে ইসলামি আবহ তৈরি না-হচ্ছে, তত দিন আমি মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। আগে ইসলাম, পরে অন্য সব কিছু।’’

    তালিবান আছে তালিবানেই

    আফগানিস্তানে ফের ক্ষমতায় আসার পর তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সময় পাল্টেছে। ২০ বছর আগে যেমন নিয়ম ছিল, তেমন না-ও থাকতে পারে। তবে যা-ই হোক না কেন, হবে শরিয়তি আইন মেনে। ক্ষমতায় আসার পরে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অনুমতি দিলেও নানা বিধিনিষেধ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যেমন–ক্লাসঘরে একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করতে পারবে না ছেলেমেয়েরা, স্কুল, কলেজে মেয়েদের পড়াবেন শুধু শিক্ষিকারাই।  তবে শিক্ষার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার তাই হল। পার্ক, জিমের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজাও বন্ধ হয়ে গেল মেয়েদের জন্য। 

    আরও পড়ুন: হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে শাস্তি! গ্রেফতার অস্কারজয়ী সিনেমার অভিনেত্রী

    আফগানিস্তানে (Afghanistan) মহিলাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তাতে যে তালিব (Taliban) শাসকদের কিছু যায় আসে না, তা স্পষ্ট করে দিল তারা। মেয়েদের জন্য শিক্ষার দরজা বন্ধ হওয়ার পর আমেরিকা সাফ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মহিলাদের শিক্ষা নিয়ে নীতি পরিবর্তন প্রয়োজন। তাহলেই তালিবান শাসিত সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব। নাহলে তালিবান প্রশাসনের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তালিবান প্রশাসনের এই ঘোষণায় পর রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড জানিয়েছেন, “তালিবান কখনও আশা করতে পারে না আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্য হব অথচ আফগানদের অধিকার হরণ করব। বিশেষ করে, মহিলা এবং শিশুদের মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার হরণ করা অনুচিত।” তালিবান এই নীতি আত্মনির্ভর এবং সমৃদ্ধ আফগানিস্তান তৈরির পথে আরও একটা বাধা সৃষ্টি করল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি  তালিবানের

    Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি ফিরেছে। দেশে আর নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা নেই। দাবি তালিবানের। প্রায় দু’দশক পর ক্ষমতায় ফিরলেও, এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে বৈধতা পায়নি আফগানিস্তানে (Afghanistan News) পুনরায় কায়েম হওয়া তালিবান (Taliban News) সরকার। সেই আবহে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু (Hindus) এবং শিখদের (Sikhs) দেশে ফেরার আহ্বান জানালেন তালিবান নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, দেশের অন্দরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়েছে। নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেন সংখ্যালঘুরা (Minorities)। 

    আরও পড়ুন: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    আফগানিস্তানের চিফ অফ স্টাফের অফিস ট্যুইট করে জানিয়েছে, ২৪ জুলাই আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে তালিবান মন্ত্রী ডক্টর মোল্লা আবদুল ওয়েসি দেখা করেছেন। আফগানিস্তানে এই কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে দেখা করার পরেই এই দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে সমস্ত ভারতীয় এবং শিখ নিরাপত্তার কারণে দেশ ছেড়েছেন, তাঁরা যাতে আফগানিস্তানে ফিরে আসেন তাও হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছেন আফগান মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    তালিবান সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (ISKP)-কে রুখে দিতে সফল হওয়ায় তালিবান নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিন্দু এবং শিখ নেতৃত্ব। কাবুলে গুরুদ্বার যে হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়নি, তার জন্য তালিবান সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তাঁরা। গত ১৮ জুন জঙ্গি সংগঠন ISKP কাবুলের কর্তে-ই-পারওয়াঁ গুরুদ্বার লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক শিখও। তালিবান প্রশাসনের সৌজন্যে বড়সড় হামলা থেকে রক্ষা পায় গুরুদ্বারটি। এর জন্য শিখ নেতারা তালিব সরকারের প্রশংসা করেছে বলে জানা গেছে। শুধু কাবুলের গুরুদ্বার নয়, সেই সঙ্গে জঙ্গি হামলায় দেশের আরও যেসব গুরুদ্বারের ক্ষতি হয়েছে, তালিব সরকার তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ জন্য ৭.৫ মিলিয়ান আফগানী ব্যয় করবে বলে খবর।

  • Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম (Islam) বিরোধী না হলে তারা আন্তর্জাতিক মহলের (International Community) সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। সম্প্রতি একথা জানিয়ে দিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান (Taliban) শাসক। সে দেশের পাপ-পুণ্যের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি বলেন, আমরা কেবল অনুসরণ করি আল্লাহ, পয়গম্বর মহম্মদ, রাশিদানের খলিফা এবং আমাদের আইন প্রণয়নকারীদের। যা কিছু ইসলামের বিরুদ্ধে, আমরা তা গ্রহণ করব না। সম্প্রতি গজনি সফরে গিয়েছিলেন হানাফি। সেখানেই একথা জানান তিনি। সরকারি কর্মচারীদের শাহরিয়া অনুসারে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি।আফগানিস্তানের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি জানান, ইসলামিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত সমস্ত প্রদেশ, জেলা এবং মন্ত্রিসভায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের। তিনি বলেন, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর একশো শতাংশ মহিলাকে হিজাব পরতে দেখা যাচ্ছে। আগে যা হত না।

    আরও পড়ুন : প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে তুলে ধরা হয়েছে, গত দশ মাসে কীভাবে আফগানিস্তানে লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে এই দশ মাস ধরে আফগানিস্তান শাসন করছে তালিবান শাসক। সেই সময়ই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে প্রকাশ।

    গত বছর অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালিবান। এই সময়সীমার মধ্যে ঠিক কতগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি ওই রিপোর্টে। তবে সে দেশে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই যে সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে নানা ভাবে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, দুর্ব্যবহার, আইন বিরুদ্ধভাবে হত্যা, কোনও কারণ ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার এবং আটক করার ঘটনা ঘটছে আকছার।

    আরও পড়ুন : আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    এদিকে, তালিবান শাসকদের দেশবাসীকে শ্রদ্ধা করার পরামর্শ দিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর মহম্মদ ইশাক আখুন্দাজা। তিনি বলেন, যাঁরা সরকারে রয়েছেন কিংবা জেলা অফিসে চাকরি করেন কিংবা অন্য কোনও দফতরে কর্মরত, তাঁদের উচিত জনগণের সমস্যার সমাধান করা।

     

  • Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে নয়াদিল্লি (New Delhi)-কাবুল (Kabul) সম্পর্কের বরফ? আপাতত এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিদেশমন্ত্রী তালিবান (Taliban) নেতা আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনে অর্গানাইজেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তান উড়ে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বিদেশেমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি বসতে পারেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস চালু করা নিয়ে তালিবান সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যে অবশ্য প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। তখন তড়িঘড়ি ত্রাণ নিয়ে তালিবান সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জয়শঙ্কর-মুত্তাকির বৈঠকে ভারতের মানবিক সাহায্যের বিষয়টিও উঠতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন :মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার

    সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ তারিখে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের  প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। এই সম্মেলনের আগে শুরু হয়েছে এই দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনি সরকারের শাসনকালে সে দেশে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল ভারত। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। সেই কাজগুলি ফের যাতে শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে জয়শঙ্করের কাছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দরবার করতে পারেন বলে খবর। এদিকে, ভারতের তরফেও এই বৈঠকে কয়েকটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হতে পারে কাবুলকে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কোনও কাজ যে নয়াদিল্লি সহ্য করবে না, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হতে পারে দুই দেশ মুখোমুখি হলে।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখল করার পর সেখানকার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। সম্প্রতি তা খোলার ব্যাপারে ফের সক্রিয় হয়েছে ভারত। সে দেশে পাঠনো হয় একটি প্রযুক্তি দলকেও। জুলাই মাসে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠায় ভারত। তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুত্তাকি।

     

  • Afghanistan: আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন, হুঁশিয়ারি আখুন্দজাদার

    Afghanistan: আফগানিস্তানের বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন, হুঁশিয়ারি আখুন্দজাদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক বিশ্ব। দীর্ঘদিন পর জনসমক্ষে এসে এই হুঁশিয়ারি দিলেন আড়ালে থাকা তালিবান (Taliban) শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (Hibatullah Akhundzada)। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে (Kabul) ধর্মগুরুদের একটি সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। সেখানেই দেন হুঁশিয়ারি।

    গত ১৫ আগস্ট আফিগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তার পর থেকে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দেখা মিললেও আখুন্দজাদা রয়ে গিয়েছিলেন পর্দার আড়ালেই। জনসমক্ষে এলেন এদিন, কাবুলের এই ধর্মগুরুদের সভায় যোগ দিতে। শুধু তাই নয়, ঘণ্টাখানেক ধরে বক্তৃতাও করেন তিনি। সম্মেলন স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি। তবে তাঁর ভাষণ সম্প্রচারিত হয়েছে সে দেশের রেডিওতে। ওই ভাষণ দিতে গিয়েই আফগানিস্তানের বিষয়ে বহির্বিশ্বের নাক গলানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন আখুন্দজাদা। বলেন, কেন বিশ্ব আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামায়? তারা কেন বলে, তোমরা এটা করো না, কেন করো না? কেন আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করে বিশ্ব?

    আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি ফের চালু ভারতের, কী প্রতিক্রিয়া তালিবানের?

    আখুন্দজাদা বলেন, তালিবান আফগানিস্তানের জন্য জয়লাভ করেছে। ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা কীভাবে শরিয়ত আইন প্রয়োগ করা যায়, সে ব্যাপারে নয়া শাসকদের পরামর্শ দেবে। আখুন্দজাদা বলেন, ইসলামি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা সহজে মেনে নেবে না বর্তমান বিশ্ব। হাজার তিনেক ধর্মগুরুর এই সমাবেশে কোনও মহিলা যোগ দেননি। তবে তালিবানের একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন মেয়েদের শিক্ষার মতো কণ্টকাকীর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও এই সমাবেশে আলোচনা হবে।

    প্রসঙ্গত, তালিবান দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা দখলের মাস দুয়েক পরে একবার প্রকাশ্যে এসেছিলেন আখুন্দজাদা। সেই সময় কান্দাহারে দারুল উলুম হাকিমা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। তার পর এই এলেন প্রকাশ্যে। হুঁশিয়ারি দিলেন গোটা বিশ্বকে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে প্রবল ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তান। মৃত্যু হয়েছিল হাজারেরও বেশি মানুষের। জখমও হয়েছিলেন বহু মানুষ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তখনও গোপন ডেরা থেকে বের হননি আখুন্দজাদা। এলেন এদিন, কেবল ধর্মগুরুদের সভায়।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরে জি-২০, পাকিস্তানের পরে এবার আপত্তি চিনেরও

  • Kabul Explosions: ফের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকা, আহত তিন

    Kabul Explosions: ফের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকা, আহত তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আফগানিস্তানে (Afghanistan) বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Explosions)। পরপর দুটো বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি (Dasht-e-Barchi) এলাকা। তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে বিস্ফোরণ যেন একটি নতুন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই বিস্ফোরণের ফলে খবরের শিরোনামে উঠে আসে আফগানিস্তানের নাম। জানা গিয়েছে গতকাল, শনিবার বিকেলের দিকে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকায় হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। আর এই জায়গাতেই প্রথম বিস্ফোরণটি সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে একটি জনাকীর্ণ বাণিজ্যিক বাজারের সামনে ঘটে এবং পরে পুল-ই-খুশক (Pul-e-Khushk) নামক বাস স্টপে আরেকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়।

    তালিবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিবৃতি অনুসারে, বিস্ফোরণটি সাইকেলে রাখা স্টিকি বোমার ফলে হয়েছিল, এতে ৩ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পরপরই আহতদের ওই এলাকার নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য বিগত কয়েক বছর ধরেই কাবুলের পশ্চিমে শিয়া উপশহর এলাকাকে বারবার লক্ষ্য করা হয়েছে। ফলে অসংখ্য  হামলায় শত শত হাজারা সম্প্রদায়ের লোক নিহত হয়েছেন এবং এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতনও অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীই এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    সম্প্রতি কিছুদিন আগেই রাশিয়ান দূতাবাসের সামনে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় দূতাবাসের দুই কর্মীসহ ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগেও, গত শুক্রবারে একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। নামাজের সময় উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে অন্তত ২০জন নিহত হয়েছিল।

    ফলে এই কয়েক মাসেই রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, যাতে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের এক বছরের মাথায় এই বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে। ফলে এর থেকে আন্দাজ করা যেতেই পারে যে, পরবর্তীতে আরও কত বিস্ফোরণ হতে চলেছে পুরো দেশ জুড়ে।

    তবে শুধুমাত্র বোমা বিস্ফোরণ নয়, তালিবানরা আসার পর থেকেই মানব ও নারীর প্রতি একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত বছরের অগাস্টে কাবুল দখল করার পর, ইসলাম ধর্মের নারী ও মেয়েদের অধিকারের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সংবাদমাধ্যমকে দমন করেছে, নিরপরাধ ব্যক্তিদের আটক করেছে, নির্যাতন করেছে এবং সমালোচক ও বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে। ফলে গত বছরের অগাস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই বিস্ফোরণ বেড়েই চলেছে ও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট।

    শের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Indian Officials in Kabul: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    Indian Officials in Kabul: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তার পর প্রায় সাড়ে ন’মাস পরে এই প্রথম তালিবান-শাসিত আফগানিস্তান সফরে গেল ভারত (India) সরকারের কোনও প্রতিনিধি দল।

    বিদেশমন্ত্রকের (MEA) এক শীর্ষকর্তার নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটি পৌঁছেছে কাবুলে (kabul)। এই সফরের বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তালিবানের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ভারতের মানবিক সহায়তা নিয়েও আলোচনা করবে এই প্রতিনিধি দল।

    জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক  যুগ্মসচিব জে পি সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কাবুল পৌঁছে দেখা করেছেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল সহ কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি আফগানিস্থানে গিয়েছে। দলটি মানবিক সহায়তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এমন জায়গাগুলি পরিদর্শন করবেন, যেখানে ভারতীয় প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে এও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারত এপর্যন্ত ২০ হাজার মেট্রিক টন গম, ১৩ টন ওষুধ, ৫ লক্ষ ডোজ অ্যান্টি-কোভিড ভ্যাকসিন, শীতপোশাক ইত্যাদি পাঠিয়েছে। এই ত্রাণসামগ্রীগুলি কাবুলের ইন্দিরা গান্ধী চিলড্রেন হাসপাতাল, ডব্লিউএইচও, ডব্লিউইপির মতো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এদিন ভারতীয় কূটনীতিকরা ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থে গিয়ে কথা বলেছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। পরে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার তৈরি চিটমালা ইলেকট্রিসিটি সাব-স্টেশনও পরিদর্শন করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : রাজস্থানে ভাঙা পড়ল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির, ‘তালিবান’ রাজ চালাচ্ছে কংগ্রেস দাবি বিজেপির

    আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াকুব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে আমরা সম্প্রীতির সম্পর্ক চাই। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। আমরা আশা করব, ভারতও একইভাবে আমাদের দেখবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগেও খুবই ভাল ছিল। আমি ভারতকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং আমাদের দরজা খুলে রাখছি। আশা করব, আমাদের সম্পর্ককে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হবে ভারতও।

    গত বছর আফগানিস্তানের রাশ তালিবানদের হাতে চলে যাওয়ার পরেই সে দেশে নিজেদের সব কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয় দূতাবাসের কাজকর্মও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ১৫ অগাস্টের পর আফগানিস্তান থেকে ভারতের সব কর্মীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছিলেন। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সামজিকভাবে আবদ্ধ। সেই সূত্রে ধরেই আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বজায় থাকবে।

     

  • Taliban New Rule: ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না, নয়া ফতোয়া তালিবানের

    Taliban New Rule: ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না, নয়া ফতোয়া তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময়ে গোটা বিশ্বকে তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গত বারের থেকে অনেক বেশি ‘উদার’ নীতি নিয়ে দেশ শাসন করবে। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, আসল ছবিটা ধীরে ধীরে বিশ্বের সামনে আসছে। সরকার গড়ার পরেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপরে কোপ পড়েছে, সরকারি চাকরি থেকেও বাদ পড়েছেন মহিলারা,  মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে হিজাবে চলবে না, জনসমক্ষে পরতে হবে বোরখা।  এবার ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম হেরাট প্রদেশে এই নতুন ফতোয়া জারি করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, হেরাট প্রদেশের পুরুষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে তাঁরা পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হলেও একসঙ্গে বসা যাবে না। তালিবানের ‘প্রমোশন অব ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইস অ্যাপ্লাই’ মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেস্তোরাঁগুলিতে খেতে গেলে সেখানকার ম্যানেজারেরা আলাদা টেবিলে বসার নির্দেশ দিচ্ছেন। তালিবান আধিকারিক রিয়াজুল্লাহ সিরাত জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রেস্তোরাঁই নয়, পার্কগুলিতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। মহিলা ও পুরুষেরা আলাদা আলাদা দিনে পার্কে যাবে। মহিলারা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পার্কে যেতে পারবেন। বাকি দিনে আফগান পুরুষেরা শরীরচর্চার জন্য পার্কে যাবেন।

    এদিকে, ফতোয়া ঘিরে তালিবানের দ্বিচারিতাও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন স্বীকার করেন যে বাকি মেয়েদের মেয়েদের জন্য স্কুল নিষিদ্ধ করা হলেও, তাঁর দুই মেয়ে দিব্যি স্কুলে যায়। সুহেল জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে হিজাব পরে স্কুলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুহেলের এই বক্তব্য প্রকাশ পেতেই হইচই পডডে গিয়েছে। অনেক নেটাগরিক সুহেলের কন্যার সম্পর্কে একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছেন। এমনই এক নেটিজেন লিখেছেন, সুহেলের মেয়ে কাতার ফুটবল দলে খেলে। কাতারি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। অথচ, আফগান মেয়েরা ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়তে পারে না। খেলাধুলো করতে পারে না।

     

     

  • Kerala BJP: ‘তালিবানি’ হয়ে যাচ্ছে বাম-শাসিত কেরালা! বললেন বিজেপি নেতা

    Kerala BJP: ‘তালিবানি’ হয়ে যাচ্ছে বাম-শাসিত কেরালা! বললেন বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম (Left Front) শাসিত কেরালা (Kerala) ক্রমেই “তালিবানি” (Talibanized) হয়ে যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ করলেন কেরালা বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন (K Surendran)।

    সম্প্রতি, ওই রাজ্যের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক ছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। তাতে বাধ সাধেন এক মুসলিম ধর্মগুরু। তাঁর নিদান, প্রকাশ্যে মঞ্চে উঠে কোনও মুসলিম ছাত্রী পুরস্কার নিতে পারবে না। ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি মাধ্যম।

    সূত্রের খবর, কেরালার একটি অনুষ্ঠানে মাশিদা নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংবর্ধন দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। ক্লাসে প্রথম হওয়ার কারণে মাশিদাকে পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এক মুসলিম ধর্মগুরু (Muslim creric)। পুরস্কার নিতে ওই ছাত্রীকে মঞ্চে আসার অনুরোধ জানান আয়োজকরা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মঞ্চে উপস্থিত ওই ধর্মগুরু আয়োজকদের তিরস্কার করছেন। তিনি বলছেন, যদি কোনও মেয়েকে সম্মান দেওয়া হয়, তবে তাকে নয়, তার বাবা-মা বা অভিভাবকদের মঞ্চে ডাকতে হবে।

    এক ধর্মগুরুর এহেন মন্তব্যে ক্ষোভ উগরে দেয় কেরালা বিজেপি। পদ্ম শিবিরের কেরালা রাজ্য সভাপতি সুরেন্দ্রন বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) একজন ছাত্রের ক্ষেত্রে এমন আচরণ হওয়া সত্ত্বেও কোনও মন্তব্য করেননি। একটি ধর্মীয় সংগঠন ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে অপমান করেছে। তার পরেও মামলা দায়ের হয়নি। শিশু অধিকার কমিশনও নীরব। কেরালায় এসব কী হচ্ছে? তালিবানাইজড হচ্ছে।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    এখানেই থেমে না থেকে সুরেন্দ্রন আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে এবং তাঁর জ্ঞাতসারেই তালিবানদের অনুসরণ করা হচ্ছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকার সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিভাগ কেরালায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষ মহলের সব স্বার্থ রক্ষা করছেন। অন্য শ্রেণির অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, খ্রিষ্টানরাও এখানে সংখ্যালঘুর মতো অনুভব করছে।

    কেরালা হাইকোর্ট লাভ জেহাদ নিয়ে ২০০৯ সালের একটি পর্যবেক্ষণের রাশ টেনে মাস কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, কেরালাকে মুসলিম রাজ্যে পরিণত করতে চাইছে একদল ষড়যন্ত্রকারী। সরকারে থাকা বাম জোট এই বিষয়ে কিছুই করছে না। এবার সেই একই অভিযোগ শোনা গেল আরও এক বিজেপি নেতার গলায়। এবং খোদ কেরালারই!

     

LinkedIn
Share