Tag: Taliban

Taliban

  • Indian Officials in Kabul: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    Indian Officials in Kabul: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তার পর প্রায় সাড়ে ন’মাস পরে এই প্রথম তালিবান-শাসিত আফগানিস্তান সফরে গেল ভারত (India) সরকারের কোনও প্রতিনিধি দল।

    বিদেশমন্ত্রকের (MEA) এক শীর্ষকর্তার নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলটি পৌঁছেছে কাবুলে (kabul)। এই সফরের বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তালিবানের ঊর্ধ্বতন সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। আফগানিস্তানের জনগণের জন্য ভারতের মানবিক সহায়তা নিয়েও আলোচনা করবে এই প্রতিনিধি দল।

    জানা গিয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক  যুগ্মসচিব জে পি সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কাবুল পৌঁছে দেখা করেছেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল সহ কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : সন্ত্রাসমুক্ত আফগানিস্তান গড়তে, মানুষের পাশে সর্বদা থাকবে ভারত, বার্তা ডোভালের

    বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি আফগানিস্থানে গিয়েছে। দলটি মানবিক সহায়তা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবে। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এমন জায়গাগুলি পরিদর্শন করবেন, যেখানে ভারতীয় প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে এও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের জনগণের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ভারত এপর্যন্ত ২০ হাজার মেট্রিক টন গম, ১৩ টন ওষুধ, ৫ লক্ষ ডোজ অ্যান্টি-কোভিড ভ্যাকসিন, শীতপোশাক ইত্যাদি পাঠিয়েছে। এই ত্রাণসামগ্রীগুলি কাবুলের ইন্দিরা গান্ধী চিলড্রেন হাসপাতাল, ডব্লিউএইচও, ডব্লিউইপির মতো সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এদিন ভারতীয় কূটনীতিকরা ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থে গিয়ে কথা বলেছেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। পরে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার তৈরি চিটমালা ইলেকট্রিসিটি সাব-স্টেশনও পরিদর্শন করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন : রাজস্থানে ভাঙা পড়ল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিব মন্দির, ‘তালিবান’ রাজ চালাচ্ছে কংগ্রেস দাবি বিজেপির

    আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াকুব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে আমরা সম্প্রীতির সম্পর্ক চাই। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। আমরা আশা করব, ভারতও একইভাবে আমাদের দেখবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগেও খুবই ভাল ছিল। আমি ভারতকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং আমাদের দরজা খুলে রাখছি। আশা করব, আমাদের সম্পর্ককে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হবে ভারতও।

    গত বছর আফগানিস্তানের রাশ তালিবানদের হাতে চলে যাওয়ার পরেই সে দেশে নিজেদের সব কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভারতীয় দূতাবাসের কাজকর্মও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ১৫ অগাস্টের পর আফগানিস্তান থেকে ভারতের সব কর্মীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছিলেন। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক এবং সামজিকভাবে আবদ্ধ। সেই সূত্রে ধরেই আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বজায় থাকবে।

     

  • Taliban New Rule: ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না, নয়া ফতোয়া তালিবানের

    Taliban New Rule: ছেলে-মেয়েরা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না, নয়া ফতোয়া তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময়ে গোটা বিশ্বকে তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, গত বারের থেকে অনেক বেশি ‘উদার’ নীতি নিয়ে দেশ শাসন করবে। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, আসল ছবিটা ধীরে ধীরে বিশ্বের সামনে আসছে। সরকার গড়ার পরেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপরে কোপ পড়েছে, সরকারি চাকরি থেকেও বাদ পড়েছেন মহিলারা,  মহিলাদের গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে হিজাবে চলবে না, জনসমক্ষে পরতে হবে বোরখা।  এবার ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম হেরাট প্রদেশে এই নতুন ফতোয়া জারি করা হয়েছে।

    সূত্রের খবর, হেরাট প্রদেশের পুরুষদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে তাঁরা পরিবারের মহিলা সদস্যদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হলেও একসঙ্গে বসা যাবে না। তালিবানের ‘প্রমোশন অব ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইস অ্যাপ্লাই’ মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রেস্তোরাঁগুলিতে খেতে গেলে সেখানকার ম্যানেজারেরা আলাদা টেবিলে বসার নির্দেশ দিচ্ছেন। তালিবান আধিকারিক রিয়াজুল্লাহ সিরাত জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রেস্তোরাঁই নয়, পার্কগুলিতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। মহিলা ও পুরুষেরা আলাদা আলাদা দিনে পার্কে যাবে। মহিলারা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার পার্কে যেতে পারবেন। বাকি দিনে আফগান পুরুষেরা শরীরচর্চার জন্য পার্কে যাবেন।

    এদিকে, ফতোয়া ঘিরে তালিবানের দ্বিচারিতাও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন স্বীকার করেন যে বাকি মেয়েদের মেয়েদের জন্য স্কুল নিষিদ্ধ করা হলেও, তাঁর দুই মেয়ে দিব্যি স্কুলে যায়। সুহেল জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে হিজাব পরে স্কুলে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুহেলের এই বক্তব্য প্রকাশ পেতেই হইচই পডডে গিয়েছে। অনেক নেটাগরিক সুহেলের কন্যার সম্পর্কে একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছেন। এমনই এক নেটিজেন লিখেছেন, সুহেলের মেয়ে কাতার ফুটবল দলে খেলে। কাতারি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। অথচ, আফগান মেয়েরা ষষ্ঠ শ্রেণির বেশি পড়তে পারে না। খেলাধুলো করতে পারে না।

     

     

  • Kerala BJP: ‘তালিবানি’ হয়ে যাচ্ছে বাম-শাসিত কেরালা! বললেন বিজেপি নেতা

    Kerala BJP: ‘তালিবানি’ হয়ে যাচ্ছে বাম-শাসিত কেরালা! বললেন বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম (Left Front) শাসিত কেরালা (Kerala) ক্রমেই “তালিবানি” (Talibanized) হয়ে যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ করলেন কেরালা বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন (K Surendran)।

    সম্প্রতি, ওই রাজ্যের এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক ছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। তাতে বাধ সাধেন এক মুসলিম ধর্মগুরু। তাঁর নিদান, প্রকাশ্যে মঞ্চে উঠে কোনও মুসলিম ছাত্রী পুরস্কার নিতে পারবে না। ওই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি মাধ্যম।

    সূত্রের খবর, কেরালার একটি অনুষ্ঠানে মাশিদা নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংবর্ধন দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। ক্লাসে প্রথম হওয়ার কারণে মাশিদাকে পুরস্কার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এক মুসলিম ধর্মগুরু (Muslim creric)। পুরস্কার নিতে ওই ছাত্রীকে মঞ্চে আসার অনুরোধ জানান আয়োজকরা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মঞ্চে উপস্থিত ওই ধর্মগুরু আয়োজকদের তিরস্কার করছেন। তিনি বলছেন, যদি কোনও মেয়েকে সম্মান দেওয়া হয়, তবে তাকে নয়, তার বাবা-মা বা অভিভাবকদের মঞ্চে ডাকতে হবে।

    এক ধর্মগুরুর এহেন মন্তব্যে ক্ষোভ উগরে দেয় কেরালা বিজেপি। পদ্ম শিবিরের কেরালা রাজ্য সভাপতি সুরেন্দ্রন বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) একজন ছাত্রের ক্ষেত্রে এমন আচরণ হওয়া সত্ত্বেও কোনও মন্তব্য করেননি। একটি ধর্মীয় সংগঠন ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে অপমান করেছে। তার পরেও মামলা দায়ের হয়নি। শিশু অধিকার কমিশনও নীরব। কেরালায় এসব কী হচ্ছে? তালিবানাইজড হচ্ছে।

    আরও পড়ুন : অফিসে ঢুকে গুলি করে খুন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে, ফের অশান্ত ভূস্বর্গ

    এখানেই থেমে না থেকে সুরেন্দ্রন আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে এবং তাঁর জ্ঞাতসারেই তালিবানদের অনুসরণ করা হচ্ছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকার সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিভাগ কেরালায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষ মহলের সব স্বার্থ রক্ষা করছেন। অন্য শ্রেণির অপব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, খ্রিষ্টানরাও এখানে সংখ্যালঘুর মতো অনুভব করছে।

    কেরালা হাইকোর্ট লাভ জেহাদ নিয়ে ২০০৯ সালের একটি পর্যবেক্ষণের রাশ টেনে মাস কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, কেরালাকে মুসলিম রাজ্যে পরিণত করতে চাইছে একদল ষড়যন্ত্রকারী। সরকারে থাকা বাম জোট এই বিষয়ে কিছুই করছে না। এবার সেই একই অভিযোগ শোনা গেল আরও এক বিজেপি নেতার গলায়। এবং খোদ কেরালারই!

     

LinkedIn
Share