Tag: Tamil Nadu

Tamil Nadu

  • Udaynidhi Stalin: “সনাতন ধর্মকে মুছতে” চাওয়া ছেলেকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন এমকে স্ট্যালিন!

    Udaynidhi Stalin: “সনাতন ধর্মকে মুছতে” চাওয়া ছেলেকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন এমকে স্ট্যালিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধিতা নয়, আমাদের প্রথম কাজ হল সনাতন ধর্মের আদর্শকে মুছে ফেলা।” গত বছর সেপ্টেম্বরে এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিন (Udaynidhi Stalin)। ঠিক এক বছরের মাথায় পদোন্নতি হল তাঁর। ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। শনিবার তাঁকেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন বাবা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।

    পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ (Udaynidhi Stalin)

    সনাতন ধর্ম বিরোধী মন্তব্য করে বিরোধীদের নিশানায় ছিলেন উদয়নিধি। এদিন উপমুখ্যমন্ত্রী পদে উন্নীত হওয়ায় উঠল পরিবারতন্ত্রের অভিযোগও। ছেলেকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার পাশাপাশি আরও একটি ‘কাণ্ড’ করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সেন্থিল বালাজি। জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। সেন্থিল যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন তখন তিনি ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। এদিন তাঁকে মন্ত্রী করা হলেও, কোন দফতর দেওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি।

    উদয়নিধির উত্থান

    তামিলনাড়ুর গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজনীতির ময়দানে চলে আসেন উদয়নিধি (Udaynidhi Stalin)। তার পর থেকে দলে রকেটের গতিতে উত্থান হতে থাকে তাঁর। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলে গুরুত্ব বাড়তে থাকে তাঁর। তার আগেই রাজ্যের মন্ত্রী করে দেওয়া হয় উদয়নিধিকে। গত জানুয়ারি মাসেই উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হত তাঁকে। তবে তার আগে সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিতর্ক দানা বাঁধে। তাই সেই সময় ছেলেকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে আর বিতর্কের আগুনে অক্সিজেন জোগাননি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ এমকে। সেই বিতর্ক থিতু হতে এবং সেন্থিলের বন্দিদশা ঘুঁচতে শনিবারের বারবেলায় জোড়া ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “এত ঔদ্ধত্য”! রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভাবিকা মঙ্গলানন্দন

    মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বাপ-ছেলের এই যুগলবন্দিতে বেজায় খেপেছে বিরোধীরা। এআইএডিএমকে-র মুখপাত্র কৌভৈই সাথিয়া বলেন, “উদয়নিধির এই পদোন্নতি গ্রহণযোগ্য নয়। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন নিজে বলেছিলেন, তাঁর পরিবার থেকে কেউ রাজনীতিতে প্রবেশ করবে না। বাবা (করুণানিধি), ছেলে (এমকে স্ট্যালিন) এবং এখন নাতি (উদয়নিধি) – পরিবারতন্ত্র (Tamil Nadu) চলছে।” তিনি বলেন, “ডিএমকের অর্থ একটাই পরিবার, স্ট্যালিন পরিবার (Udaynidhi Stalin)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Foxconn: চিনের উপর আর নির্ভর নয়, ভারতেই স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফক্সকন

    Foxconn: চিনের উপর আর নির্ভর নয়, ভারতেই স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফক্সকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের স্মার্টফোন কোম্পানিগুলির একচেটিয়া আধিপত্য দূর করতে উঠে পড়ে লেগেছে ভারত। মোদি সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের উপর ভর করে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে দেশ। বহু দেশ-বিদেশি সংস্থা ভারতে বিনিয়োগ করছে। এবার ফক্সকন তামিলনাড়ুতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবছে। এই টাকা কাজে লাগিয়ে তারা একটি স্মার্টফোন ডিসপ্লে মডিউল অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই প্ল্যান্ট তৈরি হলে ভারত চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     বিশেষজ্ঞদের মত

    সম্প্রতি, বিখ্যাত বই চিপ ওয়ার-এর লেখক ক্রিস মিলার জানান, ভারতীয় কোম্পানিগুলি খুব সহজে চিনকে হারাতে পারবে। যার জন্য একটি সঠিক কৌশল থাকতে হবে। ক্রিস মিলারের কথায়, ভারত ইলেকট্রিক গাড়ি ও চিকিৎসা প্রযুক্তি খাতে যা করে দেখিয়েছে তার সঙ্গে অন্য কেউ লড়াই করতে পারবে না। তবে এ কথা ঠিক চিনের স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে, ভারত তার জবাব দিতে পারবে না।

    মেক ইন ইন্ডিয়ার সুফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্প আসার পরই নানা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভারতে অ্যাসেম্বেল করা শুরু করেছে। আইফোন, স্যামসাংয়ের মতো জনপ্রিয় কোম্পানি দেশে স্মার্টফোন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় কোম্পানিগুলিও ধীরে ধীরে বাজারে জমি শক্ত করতে শুরু করেছে। রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন হাব হতে চলেছে ভারত। গত বছর,২০২৩ সালে ২৪৫ কোটি স্মার্টফোন তৈরি হয়েছে ভারতে। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক বড় নাম যেমন অ্যাপল, শাওমি, ওপো এবং ভিভো। ২০২৩ সালে স্মার্টফোন তৈরি করে ৪.১ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার। যা ২০১৪-১৫ সালে ছিল ১৮ হাজার,৯০০ কোটি টাকা। 

    চিন নির্ভরতা কমানো লক্ষ্য

    স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে চিন নির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সংস্থা অ্যাপল। তাই ভারতই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্থান তাদের কাছে। পাশাপাশি স্যামসাংও ভারতকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। দুই কোম্পানির ক্ষেত্রেই একটি বড় বাজার ভারত। স্মার্টফোনের পাশাপাশি আরও একাধিক ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস বিক্রি করে তারা। যার মধ্যে স্যামসাং এগিয়ে রয়েছে। আগামীদিনে অ্যাপল এবং স্যামসাং হাই-এন্ড মেক ইন ইন্ডিয়া স্মার্টফোন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে ভারতে আইফোন তৈরি করা শুরু করেছে অ্যাপল। ভারতীয় কোম্পানি টাটা গ্রূপের সঙ্গে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে অ্যাপল।

    আরও পড়ুন: ‘‘রাম রাজ্যের পথে এগোচ্ছে দেশ, নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোদি’’, বললেন ধনখড়

    ফক্সকনের বিনিয়োগ

    আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপলের থেকে বরাত নিয়ে পণ্য তৈরি করে তাইওয়ানের ফক্সকন। তামিলনাড়ুর কারখানাটি ভারতে তাদের বৃহত্তম উৎপাদন কেন্দ্র। এখানেই তারা স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলের কথা ভাবছে। ফক্সকনকে সাহায্য করবে পেগাট্রন এবং টাটা ইলেকট্রনিক্স। কবে থেকে ফক্সকন ভারতে স্মার্টফোন অ্যাসেম্বল বৃদ্ধি করবে তা সঠিকভাবে এখনও বলা না গেলেও কোম্পানিটি “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব” কাজ শুরু করবে। ফক্সকন অরগাডাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড লজিস্টিক্স পার্কে প্রায় ৫০০,০০০ বর্গফুট স্থান বেছে নিয়েছে। এখানেই তারা স্মার্টফোন অ্যাসেম্বলি ইউনিট খোলার কথা ভাবছে। ফক্সকন ভারতে স্মার্টফোন উৎপাদনের উপস্থিতি বিস্তৃত করতে এবং আইসিটি, বৈদ্যুতিক যানবাহন, ব্যাটারি এবং সেমিকন্ডাক্টরের মতো অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। 

    দৌড়চ্ছে ভারত

    ভারতে ডিসপ্লে মডিউলগুলির স্থানীয় অ্যাসেম্বলি করা গুরুত্বপূর্ণ। এখনও এই উপাদানগুলির জন্য ব্যাপকভাবে আমদানির উপর নির্ভরশীল ভারত। যা দেশের খরচ বাড়ায় এবং সরবরাহ চেনে জটিলতা সৃষ্টি করে। প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশ ডিসপ্লে মডিউল চিন থেকে আমদানি করা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করে। সেখান থেকে ২০-২৫ শতাংশ নিয়ে আসা হয়। ভারতে যদি স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোনগুলি অ্যাসেম্বল করা যায়, তাহলে খরচ কমবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vigyan Ratna Award: দেশের প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন

    Vigyan Ratna Award: দেশের প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রখ্যাত বায়োকেমিস্ট গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন উদ্বোধনী বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) প্রাপক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। লিভারের রোগ এবং জিন নিয়ন্ত্রণে তাঁর যুগান্তকারী গবেষণার জন্য তিনি প্রথম বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হতে চলেছেন। এটি এই বছর সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত সর্বোচ্চ বিজ্ঞান পুরস্কার। ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।

    দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মান (Vigyan Ratna Award)

    এই বছরের শুরুর দিকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গবেষক, প্রযুক্তিবিদ এবং উদ্ভাবকদের অসামান্য এবং অনুপ্রেরণাদায়ক বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত এবং উদ্ভাবনী অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) চালু করেছিল কেন্দ্র। সেই নিরিখে প্রখ্যাত জৈব রসায়নবিদ গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন ২০২৪ সালের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান সম্মান পেতে চলেছেন। 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের

    ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার

    কেন্দ্রীয় সরকার ৭ অগাস্ট ৩৩টি রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার (Vigyan Ratna Award) ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে তরুণ বিজ্ঞানীদের জন্য ১৮টি বিজ্ঞান যুব পুরস্কার, ১৩টি বিজ্ঞান শ্রী পুরস্কার এবং একটি বিশেষ বিজ্ঞান দল পুরস্কার রয়েছে। টিম চন্দ্রযান-৩ তাদের যুগান্তকারী চন্দ্র অভিযানের জন্য পুরস্কৃত হতে চলেছে। গোবিন্দরাজন পদ্মনাভন বর্তমানে তিরুভারুরের তামিলনাড়ুর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISC), বেঙ্গালুরুর একজন সাম্মানিক অধ্যাপক। যকৃতের রোগ, প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং তাঁর অগ্রগামী গবেষণার জন্য বিজ্ঞান রত্ন দিয়ে তিনি সম্মানিত হতে চলেছেন। 

    রাজনৈতিক নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছেন

    তামিলনাড়ুর বিজেপি নেতা কে আন্নামালাই বিজ্ঞান ও শিক্ষায় তাঁর অবদানের প্রশংসা করে পদ্মনাভনকে তার কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইভাবে তামিল মানিলা কংগ্রেস (মুপানার) সভাপতি জি কে ভাসানও পদ্মনাভনের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছেন। ৪ অগাস্ট জারি করা একটি বিবৃতিতে, ভাসান বিজ্ঞান রত্ন পুরস্কারের জন্য পদ্মনাভনকে নির্বাচিত করায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর অসামান্য বৈজ্ঞানিক অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের প্রশংসা করেছেন।

    পুরস্কার প্রাপক বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা

    পদ্মনাভন ছাড়াও বিজ্ঞান শ্রী পুরস্কারের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিজ্ঞানীদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন, জ্যোতির্পদার্থবিদ অন্নপুরিণী সুব্রামানিয়ান, তামিলনাডুর কৃষিবিদ আনন্দরামকৃষ্ণান সি, অ্যাটমিক এনার্জি থেকে আভেশ কুমার ত্যাগী, প্রফেসর উমেশ বার্শনি এবং প্রফেসর জয়ন্ত ভালচন্দ্র উদগাঁওকর (জীব বিজ্ঞান), প্রফেসর সৈয়দ ওয়াজিহ আহমদ নকভি (পৃথিবী বিজ্ঞান), প্রফেসর ভীম সিং (ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সেস), প্রফেসর আদিমূর্তি আদি এবং প্রফেসর রাহুল মুখোপাধ্যায় (গণিত এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান), অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় বিহারী (মেডিসিন), প্রফেসর লক্ষ্মণ মুথুসামী এবং প্রফেসর নব কুমার মণ্ডল (পদার্থবিদ্যা), অধ্যাপক রোহিত শ্রীবাস্তব (প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন)। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি প্রথম জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে চন্দ্রযান-৩-এর সফল চাঁদে অবতরণ উদযাপনের দিন হিসেবে ২৩ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madras High Court: ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ মন্দির খোলার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    Madras High Court: ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ মন্দির খোলার নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মন্দির খোলা নিয়ে যুগান্তকারী রায় দিল তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন মাদুরাই জেলার উথাপুরম গ্রামে শ্রী মুথালাম্মন এবং শ্রী মারিয়াম্মান মন্দির পুনরায় খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কারণে এই মন্দির ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল।

    “দেবতাকে কারারুদ্ধ করার সমান” (Madras High Court)

    জানা গিয়েছে, আবেদনকারীর নাম পান্ডি। তিনি জেলা কালেক্টর, রাজস্ব বিভাগীয় আধিকারিক (আরডিও), তহসিলদার এবং পুলিশ পরিদর্শককে মন্দিরগুলি পুনরায় চালু করতে এবং প্রতিদিনের পুজো এবং উত্সব উদযাপন শুরু করার নির্দেশ চেয়ে আদালতে (Madras High Court) গিয়েছিলেন। বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন মন্দির খোলার রায় দিতে গিয়ে বলেন, প্রথাগত পুজো না করে মন্দিরগুলি বন্ধ করা দেবতাকে বন্দি করার সমান। বিচারপতি যুক্তি দিয়েছেন, এই ধারণাটিকে এখন প্রসারিত করা উচিত যাতে দেবতারা তাঁদের উপাসনা এবং যথাযথ যত্নের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। বিচারপতি স্বামীনাথন অধ্যাপক নানজুন্দা শাস্ত্রীর “দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ এইচএইচ শ্রী চন্দ্রশেখর ভারতী” বই থেকে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন। সেখানে বর্ণনা করা হয়েছে, একজন শিষ্য শ্রী চন্দ্রশেখর ভারতীকে একটি পুজোর ঝুড়ি উপহার দিয়েছিলেন। একটি শালগ্রাম শিলা পরীক্ষা করার পরে, সাধু দেখেন যে সাত বছর ধরে দেবতা তার প্রয়োজনীয় দৈনিক পুজো থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সাধক শিষ্যকে দেবতার প্রাপ্য বিশেষ উপাসনা এবং নৈবেদ্য সম্পাদন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    কেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মন্দির?

    জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে পিল্লাইমার এবং পাল্লার (তফশিলি জাতি) সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধের কারণে উথাপুরম মন্দির বন্ধ হয়ে যায়। যা “অস্পৃশ্যতার প্রাচীর” নামে পরিচিত হয়েছিল। মন্দিরটি ২০১৪ সাল থেকে একটি বিরোধের কারণে বন্ধ ছিল। তফশিলি জাতি সম্প্রদায়ের সদস্যরা উপাসনার নতুন ধরন প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিল। যার ফলে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এলুমালাই থানায় একটি ফৌজদারি মামলা হয়। দ্বন্দ্ব আইনি লড়াইয়ের দিকে নিয়ে যায়। রিট পিটিশন (Madras High Court) দাখিল করা হয় এবং অবশেষে দুপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। তবে, মন্দিরগুলিতে নিয়মিত পুজো  বন্ধ ছিল। বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন তাঁর ১১-পৃষ্ঠার বিস্তারিত আদেশে জোর দিয়েছেন, একটি মন্দিরের প্রথাগত পুজো না করে বন্ধ করা দেবতাকে কারারুদ্ধ করার সমান।

    ১৯২২ সালের মামলার উদ্ধৃতি

    রামব্রমা চট্টোপাধ্যায় বনাম কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্যদের ১৯২২ সালের মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে, বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথনের ব্যাখ্যা, একজন দেবতাকে জীবন্ত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিনের আচার-অনুষ্ঠান এবং অর্ঘ্য এমনভাবে করা হয় যেন দেবতা বাড়ির কর্তা। তিনি জোর দেন, জেলের কয়েদিদের যেমন মৌলিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হয়, দেবতাকেও অবশ্যই তাঁর প্রাপ্য নৈবেদ্য দেওয়া দরকার। বিচারপতি বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য দেবতাকে অস্বীকার করা কারাদণ্ডের সমতুল্য।

    মন্দির খোলার নির্দেশ

    বিচারপতি (Madras High Court) স্বামীনাথন বলেন, অস্পৃশ্যতা বা অন্যের অধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ না থাকলে, একটি মন্দির অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা যাবে না। তিনি তুলে ধরেন, ভক্তদের উপাসনার অধিকার, প্রথাগত আচার পালনে দেবতার অধিকারের মতোই তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, প্রতিদিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যাতে বাধা ছাড়াই সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। বিচারপতি স্বামীনাথন মন্দিরের বর্তমান অবস্থাকে “দুঃখজনক” বলে বর্ণনা করেছেন। এটি অবিলম্বে পুনরায় চালু করার এবং নিয়মিত পুজোর সময় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি পুলিশকে এফআইআর নথিভুক্ত করার এবং আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিলে যে কোনও অপরাধীর বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্দির যাতে উপাসনার জন্য উন্মুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। বিচারক পুনঃনিশ্চিত করেছেন যে সমস্ত পক্ষকে অবশ্যই মন্দিরের ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে পূর্বে প্রতিষ্ঠিত চুক্তিগুলি মেনে চলতে হবে, যাতে দেবতা এবং ভক্ত উভয়ের অধিকারকে সম্মান করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    Wayanad Landslides: কুর্ণিশ! টানা ৩ ঘণ্টা ভারতনাট্যম নেচে উপার্জিত অর্থ ওয়ানাড় ত্রাণ তহবিলে দান কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিণী শ্রী নামে ১৩ বছর বয়সি তামিলনাড়ুর এক কিশোরী টানা তিন ঘণ্টা ভরতনাট্যম নৃত্য পরিবেশন করেছে। কেন জানেন? নিজের জন্য সে এই নাচ করেনি। শুধুমাত্র কেরলের (Kerala) ওয়েনাড়ে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করতেই সে এই উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার জমানো অর্থ সহ ১৫ হাজার টাকা সে ত্রাণ তহবিলে দান করেছে। তার এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানিয়েছে দেশবাসী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ওই কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে তাকে আশীর্বাদ করেছেন।

    ওয়েনাড়ে চলছে অভিযান (Wayanad Landslide)

    কেরলে (Kerala) ওয়েনাড়ে ব্যাপক ভূমিধসের কারণে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ৩০০ বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এদিকে সেনাবাহিনীর কর্মী, এসওজি কর্মকর্তা এবং বন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল বৃহস্পতিবার থেকে বনের অভ্যন্তরে সুজিপ্পাড়ার সানরাইজ ভ্যালিতে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। দশ দিনের উদ্ধার অভিযান শেষ করার পরে ফেরার পথে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এরপর, উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, ফায়ার ফাইটার্স ফোর্স এবং কেরল পুলিশের বাহিনীকে হস্তান্তর করা হবে। তিরুবনন্তপুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ৫০০ সদস্য নিয়ে গঠিত ভারতীয় সেনা একটি ব্যাটালিয়ন ফিরে আসতে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা অস্থায়ীভাবে নির্মিত বেইলি ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি দল এলাকায় থাকবে।

    আরও পড়ুন: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে নাগ পঞ্চমী, জানুন পৌরাণিক কাহিনী

    কেরলের মুখ্যমন্ত্রী ওই কিশোরীকে দেখা করে আশীর্বাদ করেছেন

    ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি এখন অনুসন্ধান অভিযানে সহায়তা করছে। ৩০ জুলাই ওয়েনাড় (Wayanad Landslide) বিপর্যয়ের শিকার হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০ কেজিরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী, ৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের দলগুলিকে হেলিকপ্টার দ্বারা এয়ারলিফ্ট করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড় পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kangaroo Lizard: ভারতে আবিষ্কৃত হল ক্যাঙ্গারু টিকটিকির নতুন প্রজাতি

    Kangaroo Lizard: ভারতে আবিষ্কৃত হল ক্যাঙ্গারু টিকটিকির নতুন প্রজাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল ভারতের কেরল রাজ্যের আগামিডে টিকটিকির একটি নতুন প্রজাতির কথা বর্ণনা দিয়ে সন্ধান দিয়েছেন। নতুন শনাক্ত করা এই প্রজাতিটি হল আগস্তিয়াগামার অন্তর্গত। এটি আগামিডে প্রজাতির স্থলজ, কীটনাশকারী টিকটিকির একটি পূর্ববর্তী প্রজাতি বলে জানা গিয়েছে। এই প্রজাতির টিকটিকিকে মূলত ভারতের তামিলনাড়ু এবং কেরল রাজ্যের ক্যাঙ্গারু টিকটিকির (Kangaroo Lizard) প্রজাতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    গবেষকদেরর মতামত

    কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সন্দীপ দাস এই প্রজাতির সম্পর্কে বলেছেন, “দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলঙ্কার বনাঞ্চলের স্থলভাগে এই আগামিডগুলিকে জিনগত এবং রূপগত ভিত্তিতে দুটি পৃথক শ্রেণী যথা-অগাস্থ্যাগামা এবং ওটোক্রিপ্টিসের শ্রেণীতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছিলেন যে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ক্যাঙ্গারু টিকটিকিগুলি (Kangaroo Lizard) পশ্চিমঘাটের টিকটিকির সঙ্গে একত্রিত ছিল। নতুন এই প্রজাতির টিকটিকি ৩ থেকে ৪.৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ছোট আকারের হয়ে থাকে। এটি সামগ্রিক আকৃতি, আকার এবং রঙে অগস্ত্যগামা বেডডোমির মতোই দেখতে হয়।”

    চিরহতিৎ বনে বাসস্থান

    বর্তমানে ভারতের কেরল রাজ্যের ইদুক্কি জেলার চিরহরিৎ বনের ৬৩৬-৮৩৫ মিটার উচ্চতার গাছের মধ্যে দেখা যায় এই টিকিটিকির প্রজাতি। রাস্তার পাশে লাগানো গাছপালার মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। মার্চ থেকে মে মাস হল এদের প্রজননের সময়। পুরুষদের গলায় ক্রিমি দাগ দেখা যায়। জুন এবং জুলাই মাসে সদ্য জন্ম নেওয়া এই প্রজাতির ক্যাঙ্গারু টিকটিকিকে (Kangaroo Lizard) পর্যবেক্ষণ করা যায়। অগাস্থ্যগামার দ্বিতীয় প্রজাতির এই টিকটিকিগুলি সরীসৃপ প্রজাতির হয়ে থাকে।

    গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় দেখা যায়

    অগস্ত্যগামা বেডডোমিগুলি বিভিন্ন প্রকারের আবাসস্থলে বাস করে থাকে। যেমন দক্ষিণ ভারতের পাহাড়ের চূড়ায় ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বন, পশ্চিম উপকূলীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ বন এবং পশ্চিম উপকূলীয় গ্রীষ্মমন্ডলীয় আধা-চিরসবুজ বনে লক্ষ্য করা যায়। তবে এখন কেবলমাত্র দক্ষিণ ভারতের আর্দ্র মিশ্র পর্ণমোচী বন, গ্রীষ্মমন্ডলীয় আধা-চিরসবুজ এবং চিরহরিৎ বন থেকেই সমীক্ষা করে ক্যাঙ্গারু টিকটিকি (Kangaroo Lizard) প্রজাতির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: তামিলনাড়ুতে ডিএমকে সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও ব্যাপক সফল সঙ্ঘের র‌্যালি

    RSS: তামিলনাড়ুতে ডিএমকে সরকারের বিরোধিতা সত্ত্বেও ব্যাপক সফল সঙ্ঘের র‌্যালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯৯তম প্রতিষ্ঠা বর্ষ চলছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS)। ঠিক এই সময়ে সন্ত রামালিঙ্গ স্বামীগালের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বামী বিবেকানন্দ এবং বি আর আম্বেদকরের ভাবাদর্শকে প্রচার করতে গত ১৯ নভেম্বর তামিলনাড়ুতে সম্পন্ন হল সঙ্ঘের রুটমার্চ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তামিলনাড়ু শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ৫৫টি স্থানে এই রুট মার্চ সম্পন্ন হয়।

    আইনি লড়াইয়ে সম্পন্ন হল সঙ্ঘের রুচ মার্চ (RSS) 

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) রুটমার্চে অনুমতি প্রদান করেনি তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার। মামলার জল গড়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট পর্যন্ত। উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের রুটমার্চ অক্টোবর মাসের ২২ এবং ২৯ তারিখ সম্পন্ন করতে হবে। তবে ডিএমকে সরকার উচ্চ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়। সুপ্রিম নির্দেশে সঙ্ঘের রুটমার্চের দিনক্ষণ স্থির হয় ১৯ নভেম্বর। এই দিন সারা রাজ্যজুড়ে সঙ্ঘের শান্তিপূর্ণ এই রুটমার্চ যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

    জেলায় জেলায় রুট মার্চ (RSS) 

    চেন্নাইতে হাজারেরও বেশি সংখ্যায় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) ইউনিফর্মে রাস্তায় নামেন এবং রুটমার্চে অংশগ্রহণ করেন। চেন্নাই মহানগরে প্রায় তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে এই রুটমার্চ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দু’পাশে মানুষ জড়ো হয়েছিলেন সঙ্ঘের র‌্যালি দেখতে। এর পাশাপাশি মহিলারা দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই রুট মার্চকে স্বাগত জানাতে এবং তাঁরা স্বয়ংসেবকদের উপর পুষ্প বৃষ্টি করেন। বাজনার ধ্বনিতে, গেরুয়া পতাকা সহযোগে চলতে থাকে রুট মার্চ। চেন্নাইতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন এই পথ সঞ্চালনে। রুটমার্চ সম্পন্ন হয় চেন্নাই-এর বিবেকানন্দ স্কুলে। কারাকুডি জেলায় সঙ্ঘের র‌্যালি শুরু হয় মগর ননবাই থিডাল নামক স্থানে এবং সম্পন্ন হয় থিভার স্ট্যাচুতে। এই জেলায় ৪০০-এর বেশি স্বয়ংসেবককে রুট মার্চে হাঁটতে দেখা যায়। সামনে গৈরিক ধজ নিয়ে হাঁটছিলেন আইনজীবী অরুণ স্বামীনাথন। ত্রিপুর জেলায় র‌্যালি শুরু হয় আলাঙ্গাডু নটরাজ থিয়েটার থেকে এবং তা সম্পন্ন হয় চিল্লার নগরে। নীলগিরি জেলাতে র‌্যালি শুরু হয় পান্ডালুর এরুমাডু অঞ্চল থেকে। নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশাক। থাঞ্জাভুর জেলাতেও র‌্যালিতে ব্যাপক উন্মাদনা চোখে পড়ে। অন্যদিকে সালাম জেলা থেকেও র‌্যালিতে পাঁচশোর বেশি কার্যকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সালাম জেলারই ভাজাপাদি অঞ্চলে সঙ্ঘের তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ স্থানে সম্পন্ন হওয়া এই র‌্যালি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DMK: ফের টিকিট না পেয়ে কীটনাশক খেলেন ডিএমকে নেতা, কী বলছে দল?

    DMK: ফের টিকিট না পেয়ে কীটনাশক খেলেন ডিএমকে নেতা, কী বলছে দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ডিএমকের (DMK) বিদায়ী সাংসদ। এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। সূত্রের খবর, তার জেরেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণেই কীটনাশক খেয়ে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অনুমান দলীয় কর্মীদের একাংশের।

    হতাশায় ভুগছিলেন সাংসদ (DMK)

    ডিএমকের বিদায়ী সাংসদ অবিনাশী গণেশমূর্তি। তিনি ইরোড কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন। ডিএমকে সূত্রে খবর, লোকসভায় না পাঠিয়ে দল তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করবে বলে ভেবে রেখেছিল। নিজে টিকিট না পাওয়ার পরে তিনি ভেবেছিলেন ইরোড কেন্দ্রে দল (DMK) প্রার্থী করবে তাঁর ছেলেকে। তা না করে ওই কেন্দ্রে অন্য একজনের নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। শেষমেশ খান কীটনাশক।

    কী বলছে পরিবার?

    গণেশমূর্তির পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাংসদ। ঘন ঘন বমি করতে শুরু করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের টানা জেরায় জানিয়ে দেন, কীটনাশক খেয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাঁর লোকসভা কেন্দ্র এরোডেরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ছিলেন আইসিইউতে। দিতে হয়েছিল ভেন্টিলেশন সাপোর্টও। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কোয়েম্বাটোর হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিএমকে সাংসদের শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। ৪৮ ঘণ্টা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদিন সঙ্কটাপন্ন বিদায়ী সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে যান শাসক, বিরোধী সব দলের নেতারাই। তামিলনাড়ুর মন্ত্রী এস মুথুস্বামী, বিজেপি নেতা সি সরস্বতী, এআইএডিএমকে নেতা ভি রামলিঙ্গম-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাংসদকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। গণেশমূর্তির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তাঁরা। তামিলনাড়ুর এমডিএমকের সাধারণ সম্পাদক দুরই বাইকোও হাসপাতালে গিয়েছিলেন সঙ্কটাপন্ন সাংসদকে দেখতে।

    তিনি বলেন, “দল ওঁকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার কথা ভেবে রেখেছিল। সেই কারণেই লোকসভায় টিকিট দেওয়া হয়নি। কিন্তু উনি চরম পদক্ষেপ করে ফেলেছেন।” প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ডিএমকের প্রার্থী হয়েছিলেন গণেশমূর্তি। এবার ডিএমকে এবং তার সহযোগীদের ছাড়া হয়েছে কেবল তিরুচিরাপল্লি আসনটি। সেখানে (DMK) প্রার্থী করা হয় ভাইকোর ছেলে দুরাই ভাইকোকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, নেই বাংলার কোনও আসন

    Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির, নেই বাংলার কোনও আসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে (Lok Sabha Election 2024) সামনে রেখে চতুর্থ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। তামিলনাড়ুর ১৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির একমাত্র লোকসভা আসনের প্রার্থীর নাম রয়েছে এই তালিকায়। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তালিকার মতো চতুর্থতেও ঠাঁই হয়নি পশ্চিমবঙ্গের কোনও প্রার্থীর। দলীয় সূত্রে খবর, ভোটের দিন ও হাতে কত সময় রয়েছে তা দেখেই প্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী আগে তামিলনাড়ুর প্রার্থী ঘোষণা করা হল।

    কবে বাংলার প্রার্থী তালিকা

    গত ২ মার্চ বিজেপির প্রথম প্রার্থিতালিকায় ঘোষিত ১৯৫ জন প্রার্থীর মধ্যে রাজ্যের ২০ জন ঠাঁই পেয়েছিলেন। কিন্তু ১৩ মার্চ ৭২ জন প্রার্থীর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কারও নাম ঘোষিত হয়নি। একই ভাবে বৃহস্পতিবার ঘোষিত ৩৯ জনের তৃতীয় তালিকাতেও বাংলার কেউ ছিলেন না। শুক্রবার, ২২ মার্চেও বাংলার কোনও আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। নাম ঘোষণার পরে আসানসোল কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী পবন সিং নিজেই নাম তুলে নেন। যদিও, পরে তিনি জানান যে, লড়াই করবেন। তবে, কোন আসন থেকে, তা খোলসা করেননি। ফলে বাংলার ২৩টি লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে গেরুয়া শিবির। শনিবার সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেই সম্ভবত ২৩টি আসনের নাম চূড়ান্ত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তার পরই রাজ্যের বাকি আসনগুলির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। 

    আরও পড়ুুন: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

    কোন কোন আসনে প্রার্থী

    শুক্রবার প্রকাশিত প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024) তালিকায় দুই রাজ্যের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তালিকায় মোট ১৫টি নাম রয়েছে। যার মধ্যে একটি পুদুচেরির, বাকি ১৪টি নাম রয়েছে তামিলনাড়ুর। এই ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে দুজন মহিলা প্রার্থীর নামও রয়েছে। তামিলনাড়ুতে বিজেপির প্রার্থিতালিকায় রয়েছেন চিত্রতারকা শরথকুমারের স্ত্রী রাধিকা। পুদুচেরিতে শাসকদল এনআর কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে রয়েছে বিজেপি। সেখানকার একমাত্র আসনটি ‘পদ্ম’কে ছেড়েছে মুখ্যমন্ত্রী এন রঙ্গস্বামীর দল। পুদুচেরিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ নমশিবায়নকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: চিনা-ঝান্ডা বিতর্কের জের! স্ট্যালিনকে মান্দারিন ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিজেপির

    BJP: চিনা-ঝান্ডা বিতর্কের জের! স্ট্যালিনকে মান্দারিন ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা-ঝান্ডা বিতর্কের জেরে সরগরম তামিলনাড়ুর রাজনীতি। এমতাবস্থায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাল বিজেপি (BJP)। তবে তামিল ভাষায় নয়, পদ্ম শিবিরের তরফে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে চিনের সরকারি ভাষা মান্দারিনে। ১ মার্চ জন্মদিন ছিল স্ট্যালিনের। সেদিনই ডিএমকে নেতাকে মুখের মতো করে চিন-প্রীতির জবাব দিল পদ্ম শিবির।

    জন্মদিনের শুভেচ্ছা

    বিজেপির (BJP) তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, “এখানে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী থিরু এমকে স্ট্যালিন আভরগলকে তাঁর পছন্দের ভাষায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। তিনি দীর্ঘজীবী হোন, সুস্থ জীবন যাপন করুন।” কথাগুলি লেখা হয়েছে মান্দারিন ভাষায়। তামিলনাড়ু বিজেপির ইউনিট প্রেসিডেন্ট ডিএমকে নেতার চিন-প্রেমের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “ডিএমকের এই কাজ আমরা সমর্থন করি না। এটি ইসরোর বিজ্ঞানী ও দেশের ভাবমূর্তির পক্ষে অপমানজনক। এটি ডিএমকের সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচায়ক।”

    ইসরোর লঞ্চপ্যাডের উদ্বোধন

    সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে ইসরোর একটি লঞ্চপ্যাডের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে একটি রকেট দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, তাতে রয়েছে চিনের পতাকার চিহ্ন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই এক্স হ্যান্ডেলে এই বিজ্ঞাপনের বিরোধিতা করে লেখেন, “ভারতের সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করেছে।”

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “এই বিজ্ঞাপন দেখায়, ডিএমকে চিনের প্রতি কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই দলটি দুর্নীতিতে সিদ্ধ। ইসরো যেদিন থেকে দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাডের কথা ঘোষণা করেছে, সেদিন থেকে ডিএমকে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অতীতের ত্রুটি ধামাচাপা দিতেই ওরা এতটা মরিয়া।” তিনি বলেন, “প্রথম লঞ্চিং প্যাডের জন্য ইসরো তামিলনাড়ুকেই প্রথমে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু সে সময় রাজ্য সরকারের অপদার্থতা দেশের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর মুখ পুড়িয়েছিল। সেই ডিএমকে এখনও বদলায়নি। বরং আরও খারাপ হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “স্বাধীনতার পর বাংলা আর এগোয়নি”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের দুই বহুল প্রচারিত দৈনিকে বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছিল। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি ও বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের কৃতিত্ব প্রচার করাই ছিল বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য। বিতর্কের সূত্রপাত সেই বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করেই (BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     

     

     

LinkedIn
Share