Tag: tap

tap

  • Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যায় কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মাদ্রাস গ্রামে টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়েও সেই জল খেতে পারছেনা এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়েই গত কয়েক বছর ধরে ভরসা কেনা জল। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অভাবী পরিবার দূর থেকে পানীয় জল এনে কাজ চালাচ্ছে বাসিন্দারা। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামে এই ভাবেই পানীয় জলের সমস্যায় বছরের পর বছর কাটাচ্ছে কয়েকশো গ্রামবাসী।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Purba Bardhaman)

    পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman)  বাসিন্দা আনন্দ রায় বলেন, “মাটির নিচের পাইপ থেকে জল সংগ্রহ করে সেই জল পান করতাম আমরা। এরপর বাড়ির সকলেই আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর্সেনিকের বিষের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আমার পরিবারের 8 জন। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কলে জল পড়ে না। এলাকার মানুষের জলের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।”

    ২০০৩ সালে ট্যাপ দিলেও জল পড়ে না

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের আর্সেনিক প্রবণ মাদ্রাগ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তর থেকে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত জলের ট্যাপ কল দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে থেকেই সেই ট্যাপ কলে জল পড়ছে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও মিলেছে কোনও রকম সমাধান সূত্র। শুধু প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধানে প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়।। তাই দিন দিন পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে আর্সেনিক প্রবণ এই মাদ্রা গ্রামের গ্রামবাসীদের।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও এলাকার (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জলের পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যার কথা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

    বিজেপির বক্তব্য

    পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকের কাজ হল পাম্প বসিয়ে টাকা খরচের হিসাব দেখিয়ে কাটমানি খাওয়া। এবার নলে জল আসুক আর না আসুক দেখতে যায় না তৃণমূল। রাজ্যে চোরেদের শাসন চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Water: পুকুরের জল পান করেন এই এলাকার বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    Water: পুকুরের জল পান করেন এই এলাকার বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ জল স্বপ্ন প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যের ১৫.৭২ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল (Water) পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে পানীয় জল (Water)  পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্নফেরি করেছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু, বাস্তবে পানীয় জলের অবস্থা কেমন তা হারে হারে টের পাচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের মালঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারিলা গ্রামের বাসিন্দারা। বর্ষাকাল বাদে প্রায় সব সময় জলকষ্ট তীব্র আকার ধারণ করে এই এলাকায়। এলাকায় টিউবওয়েল থাকলেও সরু সুতোর মতো করে জল পড়ে। এলাকাবাসীর চাহিদা মেনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েত থেকে গ্রামে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। কিন্তু, গোটা গ্রামের চাহিদা তাতে পূরণ হয় না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরের জল (Water)  পান করেন। দিনের পর দিন এই এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা পুকুরের জল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য শিল্পী ওড়াও বলেন, গরমে জলকষ্ট এতটাই তীব্র হয় যে পুকুরের জল পান না করা ছাড়া উপায় থাকে না। ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় দরবার করা হয়েছে। কিন্তু, এখনও জলের (Water)  সমস্যার সমাধান হয়নি।

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে কী মিটবে পানীয় জলের সমস্যা? Water

    ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তপন ব্লকে জল সংকট দূর করতে পানীয় জল (Water)  প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। সাত বছর পরও এলাকাবাসী জলের সুবিধা পাননি। পঞ্চায়েত সমিতি ও পিএইচই-র মাধ্যমে তপনের ভারিলার বেশ কিছু এলাকায় মার্ক-টু-টিউবওয়েল এবং জলের ট্যাপ  দেওয়া হয়েছে। তবে, সেগুলি থেকেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল (Water)  পাওয়া যায় না। তাই, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পুকুরের জল ব্যবহার করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কবে, এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, তপন ব্লকের কিছু এলাকায় পানীয় জলের (Water)  সমস্যা রয়েছে। তারজন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করছি, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ওই এলাকার পানীয় জলের (Water)  সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। স্থানীয় বিধায়ক বুধরাই টুডু বলেন, শাসক দলের ইতিবাচক মনোভাবের অভাবের কারণে এই এলাকার মানুষ জল সংকটে ভুগছেন। তবে, বিধায়ক হিসেবে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share