Tag: teacher

teacher

  • Primary TET: রাজ্যের সব প্রাইমারি শিক্ষককে টেট পাশ করতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary TET: রাজ্যের সব প্রাইমারি শিক্ষককে টেট পাশ করতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সব প্রাইমারি শিক্ষককে টেট (Primary TET) পাশ করতেই হবে। অন্তত এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী দু’বছরের মধ্যেই টেট পাশ করতে হবে সমস্ত প্রাইমারি শিক্ষককে। মহারাষ্ট্রের মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম নির্দেশ গোটা দেশেই প্রযোজ্য বলে দাবি আইনজীবীদের। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘যাঁদের ৫ বছরের কম চাকরি রয়েছে, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ না হলেও চলবে। তবে পদোন্নতি চাইলে টেট পাশ করতেই হবে। ৫ বছরের বেশি যাঁদের চাকরি রয়েছে, তাঁদের টেট পাশ বাধ্যতামূলক। পরীক্ষায় যদি পাশ না করেন কিংবা পরীক্ষায় বসতে না চান, তাহলে তাঁদের চাকরি ছাড়তে হবে। যদিও অবসরকালীন সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন তাঁরা।’

    প্রাইমারি টেট (Primary TET)

    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে দেশে লাগু হয়েছে শিক্ষার অধিকার আইন। ২০১২ সাল থেকে এ রাজ্যে প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগে চালু হয়েছে টেট-এর ব্যবস্থা। তার আগে বহু শিক্ষক চাকরি পেয়েছিলেন টেট (Primary TET) না দিয়েই। দিব্যি চাকরিও করছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারি শিক্ষক রয়েছেন প্রায় দেড় লাখ, তাঁদের মধ্যে ৫০ হাজার শিক্ষক টেট চালু হওয়ার আগে থেকেই চাকরি করছেন।

    পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চিঠি

    এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা জানতে পেরেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই প্রত্যেক শিক্ষকের জন্মতারিখ, জয়েনিং ডেট, এমপ্লয়ি আইডি, তাঁর রিটায়ারমেন্টের তারিখ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা – সব জানাতে হবে।

    দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর পর্ষদের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেক প্রাইমারি শিক্ষক-শিক্ষিকাই। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “শিক্ষার অধিকার আইন এবং এনসিটিই রুলে কোথাও বলা বলেই একথা। তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় দিয়েছে (Primary TET)।”

  • UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    UDISE Report: দেশে স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়াল এক কোটি, কমেছে ড্রপ আউট, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪-’২৫ প্রতিবেদন (UDISE Report) প্রকাশ করেছে। সেখানেই তুলে ধরা হয়েছে ভারতের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক (Dropouts) উন্নতির দিকটি। জানা গিয়েছে, ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস চালু হয়েছে ২০১৮-’১৯ শিক্ষাবর্ষে। তার পর এই প্রথম দেশে শিক্ষকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে এক কোটির গণ্ডি। এটি ২০২২-’২৩ সালের তুলনায় ৬.৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

    শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার (UDISE Report)

    শিক্ষকের এই বৃদ্ধির জেরে উন্নত হয়েছে শিক্ষার্থী-শিক্ষকের আনুপাতিক হার। ২০২৪–’২৫ সালের হিসেবে প্রাথমিক স্তরে প্রতি শিক্ষক ১০ জন শিক্ষার্থী, প্রিপারেটরি স্তরে ১৩ জন, মিডিল লেভেলে ১৭ জন এবং মাধ্যমিক স্তরে ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০-এর সুপারিশ করা সর্বোচ্চ ৩০ শিক্ষার্থী প্রতি শিক্ষক সীমার অনেক নীচে। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত হওয়ায় এবং ছাত্র অনুপাতে শিক্ষকের হার বেড়ে যাওয়ায় ২০২২–’২৩ সালের তুলনায় ড্রপআউটের হারও কমেছে। প্রিপারেটরি স্তরে ড্রপআউটের হার ২০২২–’২৩ সালের ৩.৭ শতাংশ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। মধ্য স্তরে এই হার ৫.২ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশে আর মাধ্যমিক স্তরে ১০.৯ শতাংশ থেকে ৮.২ শতাংশে নেমে এসেছে। এর ফলে শিক্ষার্থী ধরে রাখার হার বেড়েছে।

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও

    গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও (GER) বা মোট ভর্তি অনুপাতও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪–’২৫ সালে মধ্য স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও দাঁড়িয়েছে ৯০.৩ শতাংশ এবং মাধ্যমিক স্তরের গ্রস এনরোলমেন্ট রেশিও পৌঁছেছে ৬৮.৫ শতাংশে, যা শিক্ষায় প্রবেশাধিকারের উন্নতির দিক নির্দেশ করে। এছাড়া প্রাথমিক থেকে প্রিপারেটরি, প্রিপারেটরি থেকে মধ্য এবং মধ্য থেকে মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শিক্ষা ব্যবস্থার ভেতর শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির শক্তিশালী ধারা নির্দেশ করে (Dropouts)। রিপোর্টে এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয় এবং ছাত্র শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এক শিক্ষক বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২০২২–’২৩ সালে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৭১ থেকে ২০২৪–’২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ০৪ হাজার ১২৫-এ। পড়ুয়া শূন্য বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২ হাজার ৯৫৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৯৯৩-এ (UDISE Report)।

    ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে

    পরিকাঠামোগত উন্নতিও ছিল উল্লেখযোগ্য। ডিজিটাল সুবিধা বেড়েছে। বিদ্যালয়ের ৬৪.৭ শতাংশে কম্পিউটার এবং ৬৩.৫ শতাংশে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছেছে ৯৩.৬ শতাংশে, বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রাপ্যতা বেড়ে হয়েছে ৯৯.৩ শতাংশ, এবং হাত ধোয়ার সুবিধা ৯৫.৯ শতাংশে। র‌্যাম্প ও হাতল-সহ সহজ প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যালয়ের ৫৪.৯ শতাংশে। শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা উন্নতির দিকেও অগ্রগতি হয়েছে। নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.২ শতাংশে, আর মেয়েদের ভর্তি সামান্য বেড়ে ২০২৪–’২৫ সালে হয়েছে ৪৮.৩ শতাংশে। ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস ২০২৪–’২৫ রিপোর্ট ভারতে বিদ্যালয় শিক্ষায় প্রবেশাধিকার, মান ও অন্তর্ভুক্তির উন্নতিকেও তুলে ধরেছে, যা সম্ভব হয়েছে লক্ষ্যভিত্তিক উদ্যোগ এবং পরিকাঠামো ও মানবসম্পদে বিনিয়োগের মাধ্যমে।

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস

    ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাস প্রতিটি অনবোর্ডেড স্কুলকে একটি অনন্য ১১-সংখ্যার ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড এবং লগইন শংসাপত্র প্রদান করা হয় যাতে রিয়েল-টাইমে ডেটা এন্ট্রি এবং এর পরিবর্তন সম্পন্ন করা যায় (Dropouts)। স্কুল ব্যবহারকারী ডিরেক্টরি মডিউল স্কুলগুলিকে অনবোর্ডিং এবং ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসে ডেটা জমা দিতে পারে এমন মনোনীত ব্যবহারকারীদের পরিচালনা করে। এই মডিউলটি ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন প্লাসের (UDISE Report) ব্লক, জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের ব্যবহারকারীদের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করে। স্কুল প্রোফাইল, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের তথ্য তিনটি স্বতন্ত্র কিন্তু সমন্বিত মডিউলে রিপোর্ট করা হয়েছে।

    স্কুল প্রোফাইল এবং সুযোগ-সুবিধা, এই মডিউলে স্কুলগুলিতে উপলব্ধ পরিকাঠামোগত বিবরণ এবং পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থী মডিউল প্রতিটি শিক্ষার্থীর সাধারণ এবং অ্যাকাডেমিক প্রোফাইল, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ-সহ এই মডিউলে স্থায়ী শিক্ষা নম্বর (Dropouts) ব্যবহার করে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। শিক্ষকের প্রোফাইল, এই মডিউলে সকল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের সাধারণ, অ্যাকাডেমিক এবং নিয়োগের বিবরণ পৃথকভাবে রেকর্ড এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় (UDISE Report)।

  • Teachers Recruitment Case: বাতিল ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    Teachers Recruitment Case: বাতিল ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল সুপ্রিম কোর্টে (Teachers Recruitment Case)। বাতিল হয়ে গেল রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি। বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বলল, পুরো প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালে এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা চাইলে পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবেন।

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ (Teachers Recruitment Case)

    ২০১৬ সালের এসএসসির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। দীর্ঘ শুনানির পর সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ আদালতে শেষ হয়েছিল এই মামলার শুনানি। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট যে তালিকা প্রকাশ করে, তাতে বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সেই মতোই ঘোষণা করা হল রায়।

    যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি

    ঘোষিত রায়ে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালের এসএসসি পেয়ে যাঁরা চাকরি করছিলেন, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত সবাই বেতন পাবেন (Teachers Recruitment Case)।ফেব্রুয়ারিতেই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। তবে রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। বুধবার জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সেই মতোই ঘোষিত হয় রায়।

    সিবিআইয়ের বক্তব্য

    সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে (Supreme Court)। অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন। তাই ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের এই মামলায় হাইকোর্টের রায় বহাল থাকা উচিত। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, এতজন শিক্ষকের চাকরি এক সঙ্গে বাতিল করা হলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিলের রায়ে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বালিল করে রায় দিয়েছিল। যাঁরা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছিল (Teachers Recruitment Case)।

    মামলায় নানা জটিলতা

    হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দফায় দফায় মামলা করেন চাকরিহারারাও। প্রাথমিক শুনানির পরে গত বছরের ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চাকরি বাতিলের নির্দেশের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল (Supreme Court)। চাকরি বাতিলের এই মামলায় নানা জটিলতা ছিল। এর মধ্যে অন্যতম হল যোগ্য ও অযোগ্যদের বাছাইয়ের সমস্যা। কারা যোগ্য, অযোগ্যই বা কারা, সেটা কীভাবে বাছাই করা হবে, সেই প্রশ্নের উত্তরও মেলেনি। শুনানির শেষ দিন পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এই মামলায় আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু আসল উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করা যায়নি। তাই কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এসএসসিকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘র‌্যাঙ্ক জাম্প’ ও প্যানেল-বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই (Teachers Recruitment Case)।

    নিয়োগ দুর্নীতির ‘স্পনসর’ খোদ রাজ্য সরকার!

    গত ২৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জিজ্ঞেস করেছিল নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কিনা। নতুন করে পরীক্ষা নিতে হলে কী কী সমস্যা হতে পারে, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় প্রধান বিচারপতির এজলাসে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, যাঁরা চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। সেই সময় তিনি নিয়োগের পুরো প্যানেলই (Supreme Court) বাতিল করতে সওয়াল করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, এই দুর্নীতি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে কেউ অবৈধ নিয়োগ খুঁজে বের করতে না পারে। এত বড় নিয়োগ দুর্নীতির ‘স্পনসর’ খোদ রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে, তা এখন আর শুধরে নেওয়ার অবকাশ নেই তাই নতুন করে পরীক্ষার কথাও বলা হয়েছে (Teachers Recruitment Case)।

  • RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ, ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান ফেরাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) বিচার চেয়ে দিকে দিকে চলছে প্রতিবাদ। কোথাও কোনও শিল্পী সরকারি কমিটির পদ ছেড়েছেন, কোথাও শিক্ষক ফিরিয়েছেন পুরস্কার। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার রাজ্য সরকার প্রদত্ত শিক্ষারত্ন সম্মান ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এক স্কুলশিক্ষক। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে জেলাশাসক এবং স্কুল শিক্ষা দফতরে ইমেল করেছেন বলে জানিয়েছেন হরিহরপাড়া হাজি আলমবক্স সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা সরকার।

     রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদ (RG Kar Protest)

    ২০১৬ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন গোলাম সাহেব। স্মারকের সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন তিনি। এখন সাম্মানিক অর্থমূল্য এবং স্মারক, দুটোই সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, আরজি করের (RG Kar Protest) ঘটনায় প্রেক্ষিতে সরকারের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, “আরও বৃহত্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জায়গা ছিল। রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে এই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গোটা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়ে দিয়েছি।” তাঁর সংযোজন, “আমি হালকা হতে চাইছি। আমাদের মেয়ের মতো ওই মহিলা ডাক্তার। ওঁকে ধর্ষণ, খুন করার প্রতিবাদে আমার এই পদক্ষেপ।” তাঁর আরও অভিযোগ, ‘প্রশাসনিক ভাবে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা ভয়ানক ব্যাপার। এর প্রতিবাদে ২৫ হাজার টাকা এবং পুরস্কার ফেরত দিতে চাই আমি।’

    আরও পড়ুন: সমাধানসূত্র অধরা! “সরাসরি সম্প্রচারে রাজ্য সরকারের কীসের ভয়?’’ প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের

    ফেরতের তালিকায় রয়েছেন আরও অনেকে

    আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Protest) প্রতিবাদে এর আগে বঙ্গরত্ন ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন সাহিত্যিক তথা শিক্ষক পরিমল দে। শিক্ষারত্ন ফিরিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার রামশঙ্করপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক মজুমদার। সংশ্লিষ্ট পুরস্কার ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অরূপকুমার দাস। বর্তমানে তিনি কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক। ওই তালিকায় নয়া সংযোজন গোলাম মোস্তাফা সরকার। এছাড়াও বিদ্যাসাগর পুরস্কার ফিরিয়েছিলেন কৃত্যপ্রিয় ঘোষ ও আশিস লাহিড়ি। সনাতন দিন্দা-সহ একাধিক শিল্পী পদ ছেড়েছেন, পুরস্কারও ফিরিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    North 24 Parganas: স্কুলের ভিতরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! রাজ্যে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলের ভিতরেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয়। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। স্কুলের শিক্ষকের হাতেই যদি ছাত্রী নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে পড়ুয়াদের সুরক্ষা কোথায়? এইরকম মন্তব্য শোনা গেল অভিভাবকদের মুখে।

    পুলিশ সূত্রে খবর (North 24 Parganas)

    বনগাঁ (North 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার রাতে বনগাঁ থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় যে স্কুলের মধ্যে স্কুলেরই এক শিক্ষক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ছাত্রীর বাড়ি বনগাঁ স্টেশনের কাছেই। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি বনগাঁ শহরে। শিক্ষককে গ্রেফতার করে আজ বুধবার আদালতে তোলা হয়েছে। বিচারক তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার কথা জানিয়েছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার সূত্রে বলা হয়, “ওই কিশোরী সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। গত মঙ্গলবার স্কুলের ভিতরেই এক ক্লাসরুমে তাকে নির্যাতন করা হয়। আমরা অত্যন্ত অসুরক্ষিত বোধ করছি। যে স্কুলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার জন্য পাঠাই, সেখানেই আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। দোষী অপরাধী শিক্ষকের কঠোর শাস্তি চাই। ঘটনার দিন রাতেই স্থানীয় বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে আজ বুধবার আবার অভিযুক্ত শিক্ষককে বনগাঁ (North 24 Parganas) কোর্টে তোলা হয়।” যদিও ঘটনায় স্কুলের তরফ থেকে এখনও কিছু মন্তব্য পাওয়া যায়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও ঘটনায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আগেও ঘটেছে ঘটনা

    উল্লেখ্য দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একই রকম ভাবে কিছুদিন আগে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাথরুমের ভিতরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। নির্যাতনের পরও ছাত্রীকে বাইরে বের হতে দেয়নি। বাথরুমেই আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখানেও অভিযুক্ত ছিলেন স্কুলের এক শিক্ষক। আবার এই জেলার ঢোলাহাট থানার এক স্কুলের শিক্ষক ফয়জুদ্দিন মোল্লাকে স্কুলের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়। ঠিক একই রকম ভাবে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) ফের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। স্কুলে ছাত্রীদের নিরপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, স্কুলে চলল ব্যাপক মারধর, ভাঙচুর

    South 24 Parganas: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, স্কুলে চলল ব্যাপক মারধর, ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষক তারক দাসের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র স্কুল চত্বরে বিরাট গোলমাল বাধে। প্রায় ৫০-৬০ জন বহিরাগত লোক ঢুকে একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনা ঘটায়। ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ পৌঁছে উত্তেজনার পরিস্থিতিকে সামাল দেয়।

    স্কুলের আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার বক্তব্য(South 24 Parganas)?

    নরেন্দ্রপুরের (South 24 Parganas) বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে শিক্ষক শিকিকাদের বক্তব্য হল, স্কুলে বহিরাগতরা ঢুকে বেধড়ক মারধর করে। পাশাপাশি স্কুলের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের মদতে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলেন। আক্রান্ত এক শিক্ষার বক্তব্য, প্রধানশিক্ষকের দুর্নীতির তথ্য আমরা সামনে এনেছি। উনি পালটা চাপ সৃষ্টি করতে এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ধর্ষণের বিষয় এখানে অন্য প্রসঙ্গ। কান্না করে আরও এক শিক্ষিকা জানান, আমাদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।

    স্কুলে ঢুকতেই দেখা যায়, স্কুলের স্টাফ রুমে শিক্ষিকারা ভীত মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কাগজপত্র। শিক্ষিকা অভিযোগের সুরে জানিয়ে বলেন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।’ যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। ঘটনা স্থলে নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। কার্যত স্কুলের ভিতরেই আটকে পড়ে রয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

    প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    স্কুলের (South 24 Parganas) প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “বিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। যে শিক্ষক অভিযুক্ত তিনি স্কুল আসছেননা। স্কুল পরিচালন কমিটির সঙ্গে মিটিং করে তাঁকে আমরা চিঠি দেব।” এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর হামলার ঘটনা একটা জনরোষের প্রকাশ মাত্র। পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে যা করণীয় তাই করবো।” পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য

    নরেন্দ্রপুর (South 24 Parganas) স্কুলের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘১০০ শতাংশ কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমি আগে বিষয়টা জানতাম না। কোনও আক্রমণকারীদের ছাড়া হবে না। এখনই রিপোর্ট তলব করব। যা পদক্ষেপ করার করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের স্কুলে ঢোকার সময় এবার বেশ খানিকটা এগিয়ে আসছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে জানুয়ারিতেই। তখন সকাল ১০ টা ৫০ নয়, সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের মধ্য়েই স্কুলে চলে আসতে হবে শিক্ষকদের (Teacher)। নন-টিচিং স্টাফদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। সমস্ত ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নয়া নিয়মবিধি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। জুনিয়র হাইস্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল (সরকার ও সরকার পোষিত)-সহ বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

    ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে

    নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে স্কুলের সমস্ত স্টাফকে (টিচিং, নন-টিচিং) প্রার্থনায় থাকতে হবে। ১০ টা ৪০ থেকে ১০ টা ৫০ পর্যন্ত প্রার্থনার জন্য সময় বরাদ্দ থাকছে। ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে। শুধু তাই নয়, ১১ টা ১৫ মিনিটের পর যদি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা (Teacher) স্কুলে আসেন, তাহলে তাঁকে সেদিনের জন্য ‘অনুপস্থিত’ হিসাবে গণ্য করা হবে।

    সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে

    নতুন শিক্ষাবর্ষে (Teacher) সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের। ক্লাসের ভিতর মোবাইল ফোনের অযথা ব্যবহার অথবা ব্লু টুথ ডিভাইস ব্যবহার করে গান শোনা কোনওভাবেই চলবে না। ‘টিচিং এইড’ হিসাবে যদি মোবাইল বা স্মার্ট ফোন ক্লাসে ব্যবহার করতে হয়, সে ক্ষেত্রে লিখিত অনুমতি নিতে হবে আগে থেকে। নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শিক্ষকেরা কে কতক্ষণ ক্লাস নিচ্ছেন, কতগুলো ক্লাস নিচ্ছেন, তা নিজেরাই ডায়েরিতে লিখে রাখবেন। প্রধান শিক্ষকের নজরেও থাকবে বিষয়টি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারা সপ্তাহের জন্য শিক্ষকদের রুটিন তৈরি করবেন। ওই রুটিন পাঠানো হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    South 24 Parganas: নদীর চর দখল করে পাকা বাড়ি! অভিযুক্ত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের  শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন নদীর চরে গড়ে উঠছে পাকা বাড়ি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষক তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। মূলত, তৃণমূলের মদতেই সবুজকে ধ্বংস করে চলছে বেআইনি কারবার। এসবের জন্যই দেখেও দেখছে না প্রশাসন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    নদীবাঁধ রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বেশি করে ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বলছেন, সেখানেই এমন ছবি ধরা পড়ল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের শিবশক্তি ব্রিজ সংলগ্ন অপর পাড়ের নদীর চরের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নদী চরের গাছ কেটে তৈরি করছেন পাকা বাড়ি। এই স্কুলশিক্ষক স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শ্যামসুন্দর ডাকুয়া বলেন, বাড়ি তৈরি করার কাগজপত্র রয়েছে, সেই কারণেই তিনি ঘর তৈরি করছেন। তবে, বাড়ি তৈরির কোনও কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। কোনও অনুমতি ছাড়াই কী করে ঘর তৈরি হচ্ছে বা জলা জমিতে বাড়ি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কীভাবে সরকারি নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকার কাগজপত্র থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান প্রভাতকুমার সেনাপতি বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার কোনও অনুমতি কেউ নেয়নি। কেউ নিজের ইচ্ছে মতো এসব বেআইনি কাজ করতে পারেন। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের বিএলআরও অপূর্ব পান্ডা বলেন, চর দখল করে বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ পেয়েছি। এটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ওই শিক্ষকের কাছে কী কাগজ রয়েছে তা জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই শিক্ষকের এত সাহস!

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির মথুরাপুর সংগঠনিক জেলা কনভেনর অরুণাভ দাস বলেন, এই সমস্ত বিষয়ের সঙ্গে শাসকদল জড়িত। ওই শিক্ষক শাসকদলের ঘনিষ্ঠ না হলে এত বড় সাহস তিনি দেখাতে পারতেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপিকাকে ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের টিএমসিপি’র সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এই ফোনের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রের নাম বিভাস হালদার। প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।

    শাস্তির দাবিতে এবিবিপির বিক্ষোভ (Nadia)

    অধ্যাপিকার ওপর এহেন আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মাজদিয়া (Nadia) কলেজের সামনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দাবি একটাই তৃণমূল ছাত্র নেতার শাস্তি চাই। আর এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণগঞ্জ থানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে, এভিবিপি ছাত্রছাত্রীরা জোর করে কলেজে ঢুকতে গেলে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখার্জী।

    প্রিন্সিপালের বক্তব্য

    কলেজ (Nadia) প্রিন্সিপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আই কার্ড থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।” এরপর প্রিন্সিপালের হস্তক্ষেপে যারা আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে এসেছিল, সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল আরও বলেন, “ফোনে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় অধ্যাপিকা নিজে বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।”

    টিএমসিপি ছাত্রনেতার শাস্তির দাবি

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে কলেজের (Nadia) অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও স্টাফদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রিন্সিপাল। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় কোনও মতেই অধ্যাপিকার উপর এই অসভ্য আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত ছাত্র যাতে শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshineswar: স্কুলে ঢুকে অভিভাবকদের দাদাগিরি! ব্লেড হাতে ছাত্রীদের শাসানি, কেন জানেন?

    Dakshineswar: স্কুলে ঢুকে অভিভাবকদের দাদাগিরি! ব্লেড হাতে ছাত্রীদের শাসানি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) সারদাদেবী বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে রীতিমতো দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠল অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। এমনকী প্রধান শিক্ষিকার চেয়ারে বসে এক অভিভাবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে রীতিমতো হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কেন বিক্ষোভ? (Dakshineswar)

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার কারণে একাদশ শ্রেণির ৬ জন ছাত্রীকে টেস্ট পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর সেই ঘটনা জেনে স্কুলে এসে সেই ছাত্রীর অভিভাবকেরা দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar) ওই স্কুলের ভিতর শিক্ষিকাদের হুমকি দিতে থাকেন। স্কুলের ভিতরে ছাত্রীরা ব্লেড নিয়ে আত্মহত্যারও হুমকি দেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে চেয়ার থেকে তুলে, সেই চেয়ারেই এক অভিভাবক বসে প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের হুমকি দিতে থাকেন। স্কুলের মধ্যেই অভিভাবকদের এই দাদাগিরি দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অন্যান্য পড়ুয়ারা হতবাক হয়ে যান। যদিও প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, যা করেছেন নিয়ম মেনে করেছেন। স্কুলে অনিয়মিত আসার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিভাবকরা এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলের কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar) ওই শিক্ষাঙ্গনে অভিভাবকদের দাদাগিরির ঘটনায় সরব হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, তৃণমূলের আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্যে শিক্ষায় তৃণমূলের অপসংস্কৃতি ও অপসাশন চলছে। শিক্ষা দফতর পুরোটাই জেলে। তাই শিক্ষাঙ্গনে এই ছবি ছাড়া আর কী ছবি দেখবে বাংলার মানুষ। পাশাপাশি বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাদের ওপর অভিভাবকদের এই ধরনের ঘটনা খুবই লজ্জাজনক। অভিভাবকরা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা ঘটান, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা কী শিখবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share