Tag: Teachers Day

Teachers Day

  • Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    Teacher’s Day 2025: সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের স্মরণে আজ শিক্ষক দিবস, জেনে নিন তাঁর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day)। দিনটি যাঁর জন্মদিনের স্মরণে পালিত হয়, তিনি হলেন ড. সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan)। শিক্ষা, উন্নয়ন এবং মানব কল্যাণকেই তিনি করে নিয়েছিলেন জীবনের ব্রত। কারণ শিক্ষার জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

    রাধাকৃষ্ণণের শিক্ষাজীবন (Teacher’s Day)

    ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা সর্বপল্লি বীরস্বামী এবং মা সীতাম্মা। লুথার্ন মিশনারি স্কুল, তিরুপতি এবং ভেলোরে প্রাথমিক শিক্ষা (Teacher’s Day)। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তাঁর তেমন মন ছিল না। এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানোই ছিল পয়লা পছন্দের। ছেলের এমন মতিগতি দেখে চিন্তায় পড়ে যান বাবা। তাই তাঁকে ভর্তি করিয়ে দেন ভেলোরের একটি মিশনারি স্কুলে। মন পড়াশোনায় না বসলে কী হবে, স্কুলজীবন থেকেই পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি। বরাবরই সে জন্য তিনি বৃত্তি পেয়ে এসেছেন। এরপর মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। ১৯১৬ সাল থেকে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন।

    বিবেচিত হয়েছিলেন নোবেল পুরস্কারের জন্যও

    জীবনের বড় সময় শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ছিলেন ছাত্র সমাজের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। একবার তাঁকে ফুলসজ্জিত কার্ট নিয়ে স্টেশন থেকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি যে সব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। তাঁর হাতে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক দার্শনিক গ্রন্থ, যা নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছিল। তাঁর ‘অ্যান আইডিয়ালিস্ট ভিউ অফ লাইফ’ বিবেচিত হয়েছিল নোবেল প্রাইজের জন্যও। ১৯৭৫ সালে ‘প্রগতিতে ধর্মের অবদান’ রচনা তাঁকে এনে দিয়েছিল ‘টেম্পলটন’ পুরস্কার। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে— Reign of Religion in Contemporary Philosophy, Philosophy of Rabindranath Tagore, The Hindu View of Life, Kalki or the Future of Civilisation, An Idealist View of Life, The Religion We Need, India and China, and Gautama the Buddha.

    প্রশাসনিক জীবন

    সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণ (Teacher’s Day) ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর মধ্যে, ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৫২ সালে তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ সালে দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।

    কেন পালিত হয় শিক্ষক দিবস? (Teacher’s Day)

    রাধাকৃষ্ণণ (Dr Sarvepalli Radhakrishnan) একজন মহান শিক্ষাবিদ। শিক্ষার প্রসারে তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। শিক্ষাকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরন্তর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। দেশে শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষক দিবস পালন শুরু হয়। সেটা ছিল তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। এই দিনে প্রথমবার শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্কুল-কলেজে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা নাচ, গান, আবৃত্তি সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান জানিয়ে থাকেন।

    আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস

    ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে সম্মান জানিয়ে ১৯৯৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস (Teacher’s Day) পালন করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি বিশেষ সংগঠন ইউনেস্কো (ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে এই দিনটি স্মরণ করা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উদযাপন করার পিছনে একটি বড় কারণ হল, শিক্ষকদের শ্রমকে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি দেওয়া। সমাজ গঠনে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা থাকে। তাই মানুষ গড়ার এই কারিগরদের শ্রমের মর্যাদা দেওয়ার জন্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

  • RG Kar: ‘‘আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি…’’, খোলা চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar: ‘‘আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি…’’, খোলা চিঠি নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর ছিল শিক্ষক দিবস। ওই দিনই মেয়ের হয়ে তাঁর শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানাতে কলম ধরলেন আরজি করের (RG Kar) নির্যাতিতার মা। লিখলেন খোলা চিঠি। এর পাশাপাশি, এই ঘটনায় প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের বিস্ফোরক অভিযোগও এনেছেন তিনি।

    আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি (RG Kar) 

    চিঠির প্রথমেই লেখা রয়েছে, ‘‘আমি হতভাগিনী তিলোত্তমার মা বলছি।’’ এরপরেই শুরু হচ্ছে চিঠির বিষয়বস্তু। চিঠির প্রথমেই শিক্ষক দিবসে মেয়ের হয়ে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রণাম জানিয়েছেন নির্যাতিতা পড়ুয়ার মা (RG Kar Victim’s Mother)। এরপরে তিনি লেখেন, ছোট থেকেই তাঁর মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘তিলোত্তমা’র মা মায়ের মন্তব্য, ‘‘আপনারা সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কান্ডারী ছিলেন। আমরা অভিভাবক হিসেবে পাশে থেকেছি। নিজেও অনেক কষ্ট করেছিল। কিন্তু আমি মনে করি আপনাদের মত ভালো ভালো শিক্ষকদেরকে পাশে পেয়েছিল বলেই মেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সফল করতে পেরেছিল। আমার মেয়ে বলত, মা আমার টাকা পয়সা চাই না। শুধু চাই নামের পাশে অনেকগুলো ডিগ্রি। আর আমি যেন অনেক অনেক রোগীকে ভালো করতে পারি।’’

    দ্বিতীয় প্যারাতে লেখা রয়েছে ওই অভিশপ্ত দিনের কথা

    চিঠির দ্বিতীয় প্যারাতে লেখা রয়েছে ওই অভিশপ্ত দিনের কথা (RG Kar)। নির্যাতিতার মা লিখছেন, বৃহস্পতিবারও বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে গিয়ে অনেক রোগীকে পরিষেবা দিয়েছিলেন মেয়ে এবং ডিউটিরত অবস্থাতেই কিছু দুর্বৃত্তের হাতে বলি হতে হয় তাঁকে। চরম নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতিতার স্বপ্নগুলোকে গলা টিপে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা, এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের। এর ফলে তাঁর মেয়ের অনেক স্বপ্ন অধরা থেকে গেল বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা (RG Kar)। এরপরেই তিনি (RG Kar Victim’s Mother) লেখেন যে, নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক তৎপরতায়।

    মেয়ের সুবিচারের আশায় (RG Kar)

    চিঠির একেবারে শেষ প্যারায় উল্লেখ করা হয়েছে, সকল মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা যদি কোনও তথ্য প্রমাণ জেনে থাকেন, তবে সেগুলোকে অবশ্যই সামনে আনুন। এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা উল্লেখ করেছেন, ‘‘ভালো মানুষের নীরবতা অপরাধীদের সাহস যোগায়।’’ খোলা চিঠির একেবারে শেষে ‘তিলোত্তমা’র মায়ের বার্তা, ‘‘চিকিৎসক সমাজ, সাধারণ মানুষ যে আন্দোলন শুরু করেছে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এবং শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রণাম জানিয়ে মেয়ের সুবিচারের আশায়… তিলোত্তমার মা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ‘জাতীয় শিক্ষক’ সম্মান (National Teacher Awards) পাচ্ছেন হাওড়া জেলার বালির নিশ্চিন্দার রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমির শিক্ষক চন্দন মিশ্র। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন দিল্লিতে তাঁর হাতে জাতীয় শিক্ষক সম্মান তুলে দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের সেরা ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে এ রাজ্য থেকে জায়গা করে নিয়েছেন বালির অভয়নগর এলাকার ওই প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র।

    কে এই চন্দন মিশ্র (National Teacher Awards)? 

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চন্দনবাবু বিগত ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন৷ চাকরি সূত্রে হাওড়ার এই স্কুলে থাকলেও তিনি আদতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের বাসিন্দা। কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ২০২২ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করে। তিনি বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাইস্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এরপর স্কটিশ চার্চ থেকে উচ্চ শিক্ষা এবং তারপর বিএড করেন। ২০০১ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন খিদিরপুর অ্যাকাডেমিতে। চার বছর সেখানে পড়ান। এর পর চলে যান হাওড়ার বাগনানের কুলগাছিয়া কামিনা হাইস্কুলে। টানা ১০ বছর সেখানকার শিক্ষক ছিলেন চন্দনবাবু। এর পর নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকতা শুরু। অন্যান্য শিক্ষকদের মতো নিজেকেও চন্দনবাবু মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবেই ভাবতে ভালবাসেন। পুঁথিগত শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রত্যেক পড়ুয়াকে ভাল মানুষ হওয়ার পাঠও সব সময় দিয়ে যান এই শিক্ষক। সেই মানুষ গড়ার কারিগরকেই এই সম্মান (National Teacher Awards) জানাতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি।

    খুশি তিনি, ছাত্রছাত্রী এবং জেলার বাসিন্দারা (National Teacher Awards)

    তাঁদের প্রধান শিক্ষক আদর্শ শিক্ষকের এই সম্মান পাওয়ার খবরে খুশি তাঁর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। এই খবরে খুশি চন্দনবাবু, তাঁর স্কুল ও হাওড়া জেলার বাসিন্দারা। চন্দনবাবু বলেন, আমিও আশা করতাম, একদিন রাষ্ট্রপতি আমাকে জাতীয় শিক্ষকের সম্মান (National Teacher Awards) তুলে দেবেন। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। এটা আমার কাছে যেমন আনন্দের, তেমন গর্বের। ৩ সেপ্টেম্বর আমাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শিক্ষক দিবসে সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার তুলে দেবেন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা সমাজ ও মানুষ গড়ার কারিগর। এই সম্মান তাঁকে আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • SSC Scam: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা 

    SSC Scam: শিক্ষক দিবসের দিন ‘যন্ত্রণা’ দিবস পালন করলেন বিক্ষোভরত হবু শিক্ষকরা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৪০ দিন পার করেছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান। রোদে-ঝড়ে-জলে ঠায় রাস্তায় বসে রয়েছেন একদল শিক্ষিত যুবক- যুবতী। তাও দু বছর হতে চলল। দাবি একটাই। নিজেদের হকের চাকরি। আর তার দাবিতেই বেছে নিয়েছেন এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পথ। কিন্তু সরকারের ঘুম ভাঙেনি। গত দুবছরেও সময় হয়নি তাঁদের সমস্যার সুরাহা করার। 

    আজ শিক্ষক দিবসের দিনে ৫৪০ দিন পার করেছে হবু শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভ। আজকের দিনে‌ তাঁদের অভিযোগ, নিয়োগ ঠিকঠাক হলে আজ তাঁরাও শিক্ষক হতেন। আজ তাঁরাও স্কুলে গিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করতেন। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি তা হতে দেয়নি। তাই কলকাতার আজ পথে আজ প্রায় দু বছর ধরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাস্তার ধারে ঝড়ে-জলে-কাদায় জীবন ওষ্ঠাগত। মায়া হয়নি প্রশাসনের। তাই তারই প্রতিবাদে এই শিক্ষক দিবসকে ‘‌যন্ত্রণা দিবস’‌ (Suffering) হিসেবে পালন করলেন বিক্ষোভরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা।

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর চার দিনের সিবিআই হেফাজত  

    এদিন সকাল থেকেই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন এসএসসি–র (SSC SCAM) চাকরিপ্রার্থীরা। সবার মাথায় বাঁধা রয়েছে কালো কাপড়। হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‌চোখের জলে পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস, আজ হবু শিক্ষকদের যন্ত্রণা দিবস।’‌ 

    যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের স্টেট কো-অর্ডিনেটর সুদীপ মন্ডল বলেছেন, ‘”খুবই কষ্টে কাটছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের প্রতিটি দিন। যাদের নিয়োগ অগ্রাধিকার ছিল,তারা আজ বঞ্চিত হয়েছে। যারা সমাজ গঠনের কারিগর, আজ তাঁরা চোখের জলে ভাসছেন। কবে বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রার্থীরা (SSC SCAM) তাঁদের ন্যায্য চাকরি ফিরে পাবেন।’”

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! আদালতে কী বললেন প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী?

    এক বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীর কথায়, তাঁদের জীবন থেকে ৬টা বছর নষ্ট হয়ে গেছে। সামনে দুর্গাপুজো আসছে। বাংলার ঘরে ঘরে খুশির উৎসব পালিত হবে, শুধু চোখের জলে ভাসবেন তাঁরাই। তাঁদের দাবি, দুর্গাপুজোর আগেই মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত সকলকেই নিয়োগপত্র দিতে হবে।  

    বৃষ্টি-রোদ মাথায় নিয়েও চলছে ধর্না। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। নেই পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা। নেই মহিলা টয়লেট। চাকরির দাবিতে তবুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। পুজোর আগেই নিয়োগের দাবিতে সোচ্চার তাঁরা। 

    এছাড়া আরও এক অনন্য প্রদিবাদে শামিল হলেন হবু শিক্ষকরা। শিক্ষক দিবসের দিন আন্দোলনে শিক্ষকরা। বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানকারী চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা হাওড়া স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বাটি হাতে ভিক্ষা করে প্রতিবাদ করলেন। বিভিন্ন সরকারি ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে কারিগরি শিক্ষা দেন এই শিক্ষকরা। এজেন্সি মারফত রাজ্য সরকারের কারিগরি দপ্তর থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এই শিক্ষকদের এই আন্দোলন পথচারীদের নজর কেড়েছে। ১৩০০ জন কর্মীর মধ্যে ৩৫০ জন ল্যাব কর্মীকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে নিয়মমতো বেতন না মেলার অভিযোগ।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Teachers’ Day 2022: শিক্ষক দিবসে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন

    Teachers’ Day 2022: শিক্ষক দিবসে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় শিক্ষক দিবস (Teachers’ Day)। আজকের দিনে ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের ( Sarvepalli Radhakrishnan) জন্মদিনও, আর এই দিনটিকেই শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কারণ শিক্ষার জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি, দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন। 

    আজকের এই দিনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কারণ শিক্ষকরা শুধু শিক্ষা দানই করেন না, জীবনের প্রথম শিক্ষার আলো যেন তাঁদের হাত ধরেই পড়ুয়াদের জীবনে আসে। এছাড়াও তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে পথ চলতে শেখান, প্রতিটি পদক্ষেপে সাহস দেন। একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে শিক্ষকদের অবদান কখনও ভোলার নয়। তাই এই দিনটিকে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য উৎসর্গ করা হয়।

    তবে তাঁর জন্মদিনকে কেন শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়, এর কারণ জানেন কী?

    শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর অগাধ ভালবাসাই বারবার টেনে নিয়ে গেছে বিশ্বের নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তিনি একজন নিষ্টাবান শিক্ষক ছিলেন তো বটেই এবং তিনি যখন রাষ্ট্রপতি হন তখন তাঁর ছাত্র ছাত্রীরা তাঁর জন্মদিন পালন করার অনুমতি চাইলে তিনি তাঁর জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করার কথা বলেন। এরপর ১৯৬২ সাল থেকেই ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

    ডঃ রাধাকৃষ্ণনের সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নিন

    • ডঃ রাধাকৃষ্ণণ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৮ সালে তামিলনাড়ুর তিরুত্তানি শহরের একটি তেলেগু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর পড়াশোনা শুরু করেন তিরুপতির একটি স্কুলে এরপর ভেলোরে চলে যান।
    • এরপর তিনি মাদ্রাজের খ্রিস্টান কলেজে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন। তাঁকে আজ পর্যন্ত ভারতের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক বলে মনে করা হয়।
    • ডক্টর রাধাকৃষ্ণণ তাঁর ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর, তিনি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে দর্শনের অধ্যাপক হন এবং তারপর মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক হন।
    • ডঃ রাধাকৃষ্ণণ ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।
    • তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে Reign of Religion in Contemporary Philosophy, Philosophy of Rabindranath Tagore, The Hindu View of Life, Kalki or the Future of Civilisation, An Idealist View of Life, The Religion We Need, India and China, and Gautama the Buddha.

     

LinkedIn
Share