Tag: terrorism

terrorism

  • Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    Kanthapuram: সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের পাশে আছি, মোদিকে বললেন শেখ আবুবকর আহমেদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন কান্তাপুরম এপি আবু বকর মুসালিয়ার (Kanthapuram)। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। দুজনকেই পাঠানো চিঠিতে তিনি জানায়েছেন, সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে দেশ যে লড়ছে, সেই লড়াইয়ের পাশে রয়েছেন তিনিও। ভারত সরকারের গৃহীত কঠোর অবস্থানকে নিঃসংশয়ে সমর্থন করেন তিনি। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি। আবু বকর মুসালিয়ারের মতে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা কেবলমাত্র জাতীয় অখণ্ডতার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তির জন্যও এক গুরুত্ব অবদান।

    কী লিখেছেন চিঠিতে (Kanthapuram)

    প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, “সন্ত্রাসবাদ শুধু জাতীয় স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বৈশ্বিক শান্তি ও মানব মর্যাদার জন্যও একটি গুরুতর হুমকি। উগ্রপন্থী শক্তির কার্যকলাপ দমন করতে ভারতের সক্রিয় পদক্ষেপগুলি নিরীহ প্রাণ রক্ষায় এবং ন্যায় ও মানবতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। চরমপন্থী মতাদর্শের মোকাবিলায় ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভারতের কৌশলগত হস্তক্ষেপ ও কূটনৈতিক নেতৃত্ব একটি রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। নীতিনিষ্ঠ (Kanthapuram) কূটনীতিক দৃঢ় সংকল্প ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের দেশ এক অস্থির বিশ্বে স্থিতিশীলতার একটি বাতিঘর হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।”

    দেশবাসীকে আহ্বান

    তিনি দেশের সকল নাগরিককে ধর্ম বা পটভূমি নির্বিশেষে এই জাতীয় উদ্যোগগুলির সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আমি সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি – এই জাতীয় প্রচেষ্টার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ান। আমরা সবাই বিশ্বাস বা পটভূমি নির্বিশেষে এমন মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে কাজ করব, যা আমাদের একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ অথচ সঙ্গতিপূর্ণ জাতি হিসেবে একত্রিত করে। মহান সৃষ্টিকর্তা ভারতের নেতৃত্বকে শান্তি ও নিরাপত্তার এই মহৎ প্রচেষ্টায় দিকনির্দেশনা ও শক্তি দান করুন।”

    প্রসঙ্গত, মুসালিয়ার শেখ আবুবকর আহমেদ নামেও পরিচিত। তিনি ভারতের দশম ও বর্তমান গ্র্যান্ড মুফতি এবং সর্বভারতীয় সুন্নি জামিয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদক। তিনি এপি সুন্নিদের সামস্থ কেরলের (PM Modi) জেম আইয়্যাতুল উলেমার সাধারণ সম্পাদকও (Kanthapuram)।

  • UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন।” শনিবার এ কথা জানালেন ব্রিটেনের (UK) সচিব লিসা নন্দী। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ভারত সফরে (Terrorism)। তিনি মনে করিয়ে দেন, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত দীর্ঘ ও অত্যন্ত গভীর। সংবাদ মাধ্যম সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ব্রিটেনের সংস্কৃতি, মিডিয়া, ক্রীড়া বিষয়ক রাষ্ট্রীয় সচিব লিসা নন্দী।

    কী বললেন লিসা নন্দী (UK)

    তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সরাসরি সমবেদনা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করেছেন। এই মর্মান্তিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ব্রিটেন যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকবে। আমরা জানি, এই হামলার কারণে সমগ্র ভারতবাসী ব্যথিত। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক বহুদিনের ও গভীর। আপনাদের ব্যথায় আমরাও ব্যথিত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সমর্থন ও সম্মান জানাতে মৌনতা মেনে নীরবতা পালন করতে পেরে আমি গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, হৃদয়ের। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতীয় ভাইবোনদের সঙ্গে আছি।” তিনি জানান, তাঁর এই সফরটি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি নতুন সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রতীকও।

    ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ

    নন্দী বলেন (UK), “সৃজনশীল শিল্পের সর্বক্ষেত্রেই, ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ, তা সিনেমা হোক, ফ্যাশন, টিভি, সঙ্গীত কিংবা গেমিং (Terrorism)। আমরা এসব ক্ষেত্রে সত্যিই দক্ষ, এবং বিশ্বজুড়ে এই পণ্যগুলো রফতানি করি। কিন্তু আমরা জানি, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি অর্জন করতে পারি এবং এক সঙ্গে আরও বড় সাফল্য পেতে পারি। আমাদের সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপ এখানকার ন্যাশনাল মিউজিয়াম সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা, যৌথ প্রদর্শনী আয়োজন, বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য সফর করানো-সহ নানা কাজ করছে, যাতে ভারত ও ব্রিটেনের মানুষ প্রকৃত এর সুফল পেতে পারে। আমরা মনে করি, অন্যান্য সকল সৃজনশীল শিল্পেও এই মডেলের মাধ্যমে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারব।”

    ভারতের প্রতি তাঁর উৎসাহ প্রকাশ করে তিনি বলেন (UK), “এই গ্রীষ্মে ভারতীয় মহিলা দল পুরুষ দলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফর করবে।” তাঁর আশা, ভারতীয় খেলোয়াড়রা ব্রিটেনের তরুণীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে, ঠিক যেমন ইংল্যান্ড লায়নসেস ফুটবল দল তাদের দেশে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করেছে (Terrorism)।

  • Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    Hyderabad Twin Blast Case: হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণ মামলায় ৫ আইএম জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, জয়পুরকাণ্ডে চার দোষীর যাবজ্জীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনওরকম আপোষ নয়। মোদি সরকারের নীতি মেনেই চলছে দেশের আদালত। মঙ্গলবার দেশের দুই প্রান্তের দুই আদালতে সন্ত্রাসের শাস্তি ঘোষিত হল। হায়দরাবাদ জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) পাঁচ দোষীর ফাঁসির সাজা বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে ২০০৮ সালের ১৩ মে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রাণ গিয়েছিল অন্তত ৮০ জনের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৭০ জন। সেই নাশকতা সংক্রান্ত একটি মামলায় মঙ্গলবার চার দোষীর আজীবন জেলের সাজা দিল জয়পুরের বিশেষ আদালত।

    হায়দরাবাদে জোড়া বিস্ফোরণ মামলা

    হায়দরাবাদে ২০১৩ সালের জোড়া বিস্ফোরণকাণ্ডে (Hyderabad twin blast case) দোষী পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। জোড়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন, আহত হয়েছিলেন ১৩১ জন। এই মামলায় এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) কোর্ট দোষীদের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত (Telangana High Court) সেই সাজা বহাল রাখল। এনআইএ-র তদন্তে জানা গিয়েছিল, দোষী পাঁচ জন নিষিদ্ধ সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম)-এর সদস্য। ২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের দিলসুখনগরে বাস স্ট্যান্ড এবং বিখ্যাত একটি খাবারের দোকানের কাছে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের কারণে অনেক মানুষ হতাহত হন। এই ঘটনায় একে একে গ্রেফতার করা হয় আইএম সদস্য মহম্মদ আহমেদ সিদিবাপা ওরফে ইয়াসিন ভাটকল, জিয়া-উর-রহমান ওরফে ওয়াকাস, আসাদুল্লা আখতার ওরফে হাড্ডি, তেহসিন আখতার এবং আইজাজ শেখকে।

    দোষীদের বিরুদ্ধে রয়েছে পোক্ত প্রমাণ

    ভাটকল আইএমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য। ওয়াকাস পাকিস্তানের নাগরিক। ২০১৩ সালের অগাস্টে ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে ধরা পড়ে ইয়াসিন এবং হাড্ডি। এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানায়, তারা বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ২০১৪ সালের মার্চে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার হয় ওয়াকাস এবং তেহসিন। তেহসিন বিহারের বাসিন্দা। তার পরে পুণের আইজাজও ধরা পড়ে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। সেই সময় পাঁচজনকেই এনআইএ আদালত ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই ফেরার ছিল বিস্ফোরণের ঘটনায় ষষ্ঠ অভিযুক্ত রিয়াজ ভাটকল। তেলঙ্গানা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, পোক্ত প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। দোষীরা যা করেছে তা বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই এনআইএ আদালতের রায়েই বহাল রাখল তেলঙ্গানা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়দানের আগে গোটা কোর্ট চত্বরদের ছিল কড়া নিরাপত্তা। হায়দরাবাদেও মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী। যদিও এখনও সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হতে পারবে ওই পাঁচ জন।

    জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ড

    অন্যদিকে, ২০০৮ সালের জয়পুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Jaipur blast) ৪ দোষীর আজীবন কারাবাসের সাজা শোনাল জয়পুরের বিশেষ আদালত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সরওয়ার আজমি, শাহবাজ হুসেন, সাইফুর রহমান এবং মহম্মদ সইফকে ‘ভারতীয় ন্যায়সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’র বিভিন্ন ধারা, বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক আইনে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। জয়পুর বিস্ফোরণকাণ্ডের ১৭ বছর পর চাঁদপোল বাজারে বোমা রাখা সংক্রান্ত ওই মামলায় চার অভিযুক্তেরই সাজা হল আদালতে। গত ৪ এপ্রিল বিচারক রমেশ যোশি চার অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০০৮ সালের এই বিস্ফোরণে প্রাণ যায় ৭১ জনের। জখম হন ১৮৫ জন। ১৭ বছর পর এই মামলার শুনানি চলছে।

    দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক

    ১৩ মে ২০০৮। রাজস্থানের জয়পুরে (Jaipur blast) সন্ধে ৭টা ২০ মিনিট থেকে ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। জয়পুরের ত্রিপোলিয়া বাজার, মানস চক, হনুমান মন্দির, চটি চৌপল জেহেরি বাজার-সহ আটটি জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দফায় দফায় বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা জয়পুরে। চাঁদপোল বাজারের কাছে একটি বোমা পাওয়া যায়। তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিস্ফোরণে বাইসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতেই বোমা রাখা ছিল। এদিকে এই গোটা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নেয় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এটিএস-কে তদন্তভার দেওয়া হয়। তদন্ত থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে ১২ জন সন্ত্রাসবাদী বোমা নিয়ে বাসে করে দিল্লি থেকে জয়পুরে আসে। সেখানে ৯টি সাইকেল বোমা ফিট করা হয়। তারপর তা আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। এরপর শতাব্দী এক্সপ্রেসে করে সন্ত্রাসবাদীরা দিল্লি ফিরে আসে। তাদের পরিকল্পনা মতো ৮টি বোমা ফাটলেও নবম বোমাটি ফাটেনি। সেটিকেই উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছিল জয়পুর পুলিশের ‘বম্ব স্কোয়াড’।

  • Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    Amit Shah: “সন্ত্রাসবাদ শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে,” বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদ (Terrorism) শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” শুক্রবার রাজ্যসভায় এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি পাঞ্জাবে উগ্রপন্থী অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে তাঁর মন্ত্রক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা দেশে সন্ত্রাসবাদকে বিকশিত হতে দেবেন না।

    শাহ উবাচ (Amit Shah)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা কোনও রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা চালিত সন্ত্রাসবাদকে দেশে বিকশিত হতে দেব না। এটি শেকড় গাড়ার আগেই নির্মূল করা হবে।” তিনি বলেন, “পাঞ্জাবের বিচ্ছিন্নতাবাদী জার্নাল সিং ভিন্দ্রাওয়ালের পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁরা এখন অসমের জেলে রয়েছেন।” প্রসঙ্গত, অমৃতপাল সিং ও তাঁর সহযোগীরা গত দু’বছর ধরে এনএসএ-র অধীনে অসমের ডিব্রুগড় জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। খাদুর সাহিব আসন থেকে জয়লাভও করেছিলেন।

    পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের সমালোচনা

    এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মোগার রোডে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন গারদে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে নিরাপদ।” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথাও এদিন তুলে ধরেন শাহ। তিনি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ, বামপন্থী চরমপন্থা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। এগুলি চার দশকে ৯২ হাজার নাগরিকের জীবন কেড়ে নিয়েছে।” শাহ (Amit Shah) বলেন, “সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করতে এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারের প্রয়োজন সাহস ও দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকা।” জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি পূর্বতন বিভিন্ন সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেন।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এক সময় ছিল যখন বোমা বিস্ফোরণ নিয়মিত ঘটনা ছিল। আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই, গত ১০ বছরে, এমন বোমা বিস্ফোরণ বন্ধ হয়েছে। এখন কেউ আর বিস্ফোরণ ঘটানোর সাহস পায় না। নরেন্দ্র মোদীর অধীনে দেশ নিরাপদ। আমরা সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”  তিনি (Amit Shah) বলেন, “মোদিজির দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং শক্তিশালী ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ এখন নিরাপদ। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধী দলগুলির চিন্তিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনাদের (বিরোধী দল) এবং দেশকে নিরাপদ রাখব (Terrorism)।”

  • Ansarullah Bangla Team: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    Ansarullah Bangla Team: জেএমবি-র সদস্যরাই এখন এবিটি-তে সক্রিয়, কবুল করল মুর্শিদাবাদে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরাই এখন আর এক জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের (Ansarullah Bangla Team), যা সংক্ষেপে এবিটি নামেও পরিচিত, খাতায় নাম লিখিয়েছে বলে আগেই জানতে পেরেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এবার রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারাও জানালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তথ্যই ঠিক। সোমবার মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে গ্রেফতার হওয়া সাজিবুল ইসলাম ও মুস্তাকিন মণ্ডল ওরফে মোস্তাকিম শেখকে জেরা করেই এই তথ্যের সত্যতা মিলেছে। এসটিএফের দাবি, কয়েক বছর আগে সাজিবুল ও মুস্তাকিন জেএমবির স্লিপার সেলের সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেছিল। বছর খানেক ধরে তারা কাজ করছে এবিটির হয়ে।

    এসটিএফের দাবি (Ansarullah Bangla Team)

    এসটিএফের দাবি, এলাকায় ঘুরে ঘুরে ওই দুই জঙ্গি স্থানীয় যুবকদের জঙ্গিদলে ভিড়িয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বাংলায় আসা এবিটির নেতা ফারহান ইসরাক-সহ দুই জঙ্গি সংগঠনের মাথাদের থাকার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব ছিল ধৃতদের ওপর। আর্থিক দিক থেকে সংগঠনকে চাঙা করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাদের। গোয়েন্দারা জেনেছেন, নানা জায়গা থেকে টাকা জোগাড় করে সাজিবুলরা পাঠাত ধরা পড়া শাদ রাডি ওরফে শাব শেখকে। তারা ঠিক কত টাকা সংগ্রহ করেছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জেএমবি এবং এবিটি এই দুই সংগঠনের সদস্যদের গোপন বৈঠক এবং শিবিরের আয়োজনের দায়িত্বও ছিল সাজিপুলদের ঘাড়ে। এই সাজিবুল (Ansarullah Bangla Team) শাবের পিসতুতো ভাই। ফারহান বাংলাদেশ থেকে শাবকে কোনও নির্দেশ দিলে, শাব তা জানাত সাজিবুলকে।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব রেমিট্যান্স তালিকায় শীর্ষে মোদির ভারত, বহু পিছনে চিন, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ১২ জন এবিটি সদস্য গ্রেফতার

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বাংলার দুই সহ মোট ১২ জন এবিটি সদস্যকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। অসমে গিয়ে গোয়েন্দারা শাব এবং নুর ইসলাম মণ্ডলকে জেরা করে জানতে পারে সাজিবুল ও মুস্তাকিনের নাম। রবিবার রাতে নওদা থানা এলাকা থেকে আটক করা হয় এই দুজনকে। পরে করা হয় গ্রেফতার। তাদের জেরা করে কয়েকজন বাংলাদেশির নামও জেনেছেন গোয়েন্দারা। তারা কতজনকে সংগঠনের কাজে যুক্ত করেছে, তারও তত্ত্বতালাশ করছেন গোয়েন্দারা। সাব বহুবার নওদায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে এলেও, জেলা পুলিশ কেন কিছুই জানতে পারল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মুর্শিদাবাদে বাংলাদেশিদের একাধিক ডেরা থাকলেও, জেলা পুলিশ কেন কিছুই টের পাচ্ছে না নাকি জানার চেষ্টা করছে না, সে প্রশ্নও উঠছে (Ansarullah Bangla Team)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    BRICS Summit: “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না”, চিনকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার দিয়ে বসে রয়েছেন ৩৬ জন রাষ্ট্রনেতা। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তেমনি রয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। ব্রিকসের (BRICS Summit) এই হাটেই হাঁড়িটা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। নাম না করে নিশানা করলেন চিনকে। বললেন, “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদিচ্ছা নির্ধারণের কোনও দ্বৈত মাপকাঠি থাকতে পারে না। দ্বিচারিতা চলতে পারে না।”

    চিনকে খোঁচা! (BRICS Summit)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই বাক্যবাণের নিশানায় যে চিন-ই, তা জলের মতো স্পষ্ট। কারণ, গত গত কয়েক বছরে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেশ কয়েকজন পাক জঙ্গির বিরুদ্ধে ভারত প্রস্তাব আনলেও, ভেটো প্রয়োগ করে স্থায়ী সদস্য চিন। তাই পাশ হয়নি সেই প্রস্তাব। সেই ‘শোধ’ তুলতেই প্রধানমন্ত্রী এদিন বেছে নিলেন ব্রিকসের সম্মেলন মঞ্চ। যে মঞ্চে হাজির চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও।

    প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা

    ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে রাশিয়ার কাজানে। সেই সম্মেলনে যোগ দিতেই মঙ্গলবার রাশিয়ায় পা রেখেছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি সোচ্চার হন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের মোকাবিলায় আমাদের সংকল্প নিতে হবে। এক সঙ্গে ঐক্যের সঙ্গে কাজ করতে হবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “এমন গুরুতর বিষয়ে দ্বিমুখী মানদণ্ডের কোনও জায়গা নেই।”

    আরও পড়ুন: ফের লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন, এবার শিলিগুড়িতে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে চরমপন্থা প্রতিরোধের জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। রাষ্ট্রসংঘে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ সম্মেলন নিয়ে যে বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, তা সমাধানের জন্য আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” তিনি বলেন (BRICS Summit), “ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।” মুদ্রাস্ফীতি রোধ এবং খাদ্য, শক্তি, জল এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়েও বিশ্বের সব দেশকে উদ্যোগী হতে হবে বলেও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো গ্লোবাল প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার সাধন প্রয়োজন বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি (BRICS Summit)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দুই জওয়ান

    Jammu Kashmir: ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত উপত্যকা, কিস্তওয়ারে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত দুই জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে দফায় দফায় উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। শুক্রবার কিস্তওয়ারে (Kishtwar) জঙ্গিদের গুলিতে ভারতীয় সেনার দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আরও দু’জন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এদিন রাতেই কাঠুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর। সেখানেও গুলির লড়াই চলেছে দীর্ঘ ক্ষণ। এ ছাড়া, বারামুলায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেখানেও রাতভর জঙ্গিদের সঙ্গে জওয়ানদের গুলির লড়াই চলেছে। সকালেও চলছে তল্লাশি অভিযান।

    রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের আগে উপত্যকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ জেলার পাশাপাশি কিস্তওয়ারকে সংযোগকারী ছাতরু বেল্টের নাইদঘাম এলাকায় একটি কর্ডনে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর মেলে৷ এর পরই, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়৷ গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছিল বাহিনী। তাদের দেখে জঙ্গলের দিক থেকে গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। তখনই চার জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। এঁরা হলেন নায়েব সুবেদার বিপন কুমার এবং জেসিও সিপাহি অরবিন্দ সিং৷ বাকি দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আকাশপথে সেনা হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেনার তরফে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টের সময় জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের খবর জানানো হয়৷ 

    বিক্ষিপ্ত অভিযান

    ভোটের মুখে উপত্যকা (Jammu Kashmir) ক্রমে উত্তপ্ত হচ্ছে। প্রায় প্রতি দিনই জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। জঙ্গি কার্যকলাপ বেড়ে গিয়েছে কাশ্মীরে। পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাও চলছে। শুক্রবার রাতেই কাঠুয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দু’জন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। সেখানে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে গুলির লড়াই চলছে। উত্তপ্ত বারামুলাও। জম্মু ও কাশ্মীরে শেষ বার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার সেখানে ভোট হতে চলেছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু। তার আগে উপত্যকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দিয়েছে সেনা।

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ”, সোজাসাপটা জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ”, সোজাসাপটা জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ।” পাকিস্তানের প্রতি ভারতের বর্তমান অবস্থান বোঝাতে গিয়ে এ কথাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি বলেন, “কর্মের ফল ভোগ করতে হবে।” পাকিস্তান স্পনসর্ড সন্ত্রাসবাদের প্রতি ইঙ্গিত করে নয়াদিল্লির অবস্থান ফের স্পষ্ট করে দিলেন তিনি। বললেন, “সন্ত্রাস এবং আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর? (S Jaishankar)

    এর পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনার যুগ শেষ। কর্মের ফল আছে।” শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পাকিস্তান সম্পর্কে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন বিদেশমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, “যেহেতু জম্মু-কাশ্মীর এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। তাই এখন ইস্যু হল, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কীরকম সম্পর্ক স্থাপন করব।” সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা যে এক সঙ্গে চলতে পারে না, এবং ভারত যে এর সঙ্গে কোনও কম্প্রোমাইজ করবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)। 

    সন্ত্রাসের সঙ্গে আপোস নয়

    একইভাবে, পাকিস্তানের সঙ্গে ডিল করার ক্ষেত্রে ভারত যে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকবে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আমি আপনাদের এটা বলতে চাই যে, আমরা নিষ্ক্রিয় নই। ইতিবাচক বা নেতিবাচক, ঘটনাপ্রবাহ যেদিকেই গড়াক না কেন, আমরা প্রতিক্রিয়া দেব।” এর আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেছিলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টায় কেন্দ্র সন্ত্রাসবাদকে উপেক্ষা করতে পারে না।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ শিল্পের পর্যায়ে চলে গিয়েছে।” ভারত আর এসব সহ্য করবে না বলেও জানান তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানের কৌশল হল ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনতে গেলে হাতিয়ার করতে হবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসকে। কিন্তু ভারত এই শর্তে রাজি নয়। ভারত ওই নীতিকে বর্তমানে বাতিল করে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে এসসিও সম্মেলন, মোদিকে আমন্ত্রণ শরিফের, যোগ দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী?

    এই অনুষ্ঠানেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন জয়শঙ্কর। বলেন, “বর্তমানে সে দেশে যে সরকার রয়েছে, আমরা তার সঙ্গেই ডিল করব।” দুই পড়শি দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার ওপরও জোর দেন তিনি। বলেন, “প্রতিবেশীরা সব সময়ই প্রহেলিকা। আমায় এমন একটা দেশের উদাহরণ আপনারা (Pakistan) দিতে পারেন, যেখানে দুই পড়শি দেশের মধ্যে চ্যালেঞ্জ নেই (S Jaishankar)?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ (Infiltration) রুখে দিল ভারতীয় সেনা। জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) কুপওয়ারা জেলার কেরন সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে ভিনদেশিরা। সূত্র মারফৎ খবর পেয়ে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। তাতে তিন জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কী বলছেন ব্রিগেডিয়ার? (Jammu & Kashmir)

    সেনার এক আধিকারিক জানান, ১৩-১৪ জুলাই রাতে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে অনুপ্রবেশকারীরা সচরাচর যেসব রাস্তায় এ দেশে ঢোকে, সেই সব রুটে তল্লাশি চালানো হয়। তখনই গুলি ছুড়তে শুরু করে অনুপ্রবেশকারীরা। পাল্টা গুলি চালায় সেনাও। তাতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ২৬৮তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড, কেরন সেক্টরের ব্রিগেডিয়ার এনআর কুলকার্নি বলেন, “গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম এলাকায় অশান্তি পাকাতে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল জঙ্গিকা এলাকায় অশান্তি পাকানোর পাশাপাশি অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা চালাতে পারে। ১২ জুলাই আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে নিশ্চিত খবর দেয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশও এ বিষয়ে খবর পায়। তার পরেই চালানো হয় অভিযান।”

    যৌথ অভিযানেই মিলল সাফল্য

    তিনি বলেন, “বিদেশি জঙ্গিরা কেরন সেক্টর দিয়ে এ দেশে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। এই অঞ্চলটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা। অনেকগুলি নালাও রয়েছে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়ে (Jammu & Kashmir) অনুপ্রবেশ করার তালে ছিল জঙ্গিরা।” তিনি বলেন, “সেনা, বিএসএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানেই মিলেছে সাফল্য। ১৩-১৪ জুলাই চালানো হয় অভিযান। কয়েকজন খতম হয়। বাকিরা সম্ভবত ফিরে গিয়েছে।” ব্রিগেডিয়ার বলেন, “ওই এলাকায় আমরা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। ঘন জঙ্গল এবং কম দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা।“

    আরও পড়ুন: নয়া প্রধানমন্ত্রী ওলি, কোন খাতে বইবে ভারত-নেপাল সম্পর্কের জল?

    পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গিরা অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত ছিল বলেও জানান কুলকার্নি। তিনি বলেন, “ওদের ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সুসজ্জিত ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে।” তিনি বলেন, “বেশ খানিকক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়। ওই এলাকায় কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা (Infiltration) জানতে চলেছিল অভিযান। প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে এই অভিযানে (Jammu & Kashmir)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In Austria: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    PM Modi In Austria: “এটা যুদ্ধের সময় নয়, সমর্থনযোগ্য নয় সন্ত্রাসবাদও”, অস্ট্রিয়ায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া সফর সেরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Austria)। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভিয়েনায় পা রেখেছিলেন ১৯৮৩ সালে। আর ২০২৪ সালে সেখানে (Terrorism War) পদার্পণ করলেন নরেন্দ্র মোদি।

    ‘বন্দে মাতরম’-এ স্বাগত মোদিকে (PM Modi In Austria)

    বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন অস্ট্রিয়ার বিদেশমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ-ও। উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রিয়ান শিল্পীরাও। তাঁদের কণ্ঠে ‘বন্দে মাতরম’ গান শুনে মুগ্ধ মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অস্ট্রিয়া তার প্রাণবন্ত সঙ্গীত ও সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। বন্দে মাতরম-এর আশ্চর্যজনক পরিবেশনে আমি তার আভাস পেয়েছি।”

    কী বললেন অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর?

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ভারত-অস্ট্রিয়া বন্ধুত্বের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার। দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিপুল উন্নতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” এদিকে, এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর সঙ্গে মোদির একটি ছবি পোস্ট করেছেন অষ্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর। লিখেছেন, “ভিয়েনায় স্বাগত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অস্ট্রিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাতে পারাটা আনন্দ ও সম্মানের। অস্ট্রিয়া ও ভারত বন্ধু এবং অংশীদার। আপনার সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি।”

    এই এক্স হ্যান্ডেলেই অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লিখেছেন, “আগামিকাল আমাদের বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা এক সঙ্গে বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করব।” অন্য একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi In Austria) লিখেছেন, “ভিয়েনায় আপনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভালো লাগছে কার্ল নেহামার। ভারত-অস্ট্রিয়ার বন্ধুত্ব দৃঢ় ও ভবিষ্যতে আরও মজবুত হবে।”

    আর পড়ুন: নারী থেকে পুরুষ হয়ে ইতিহাস গড়লেন আইআরএস আধিকারিক

    বুধবার অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ, চ্যান্সেলর নেহামার এবং আমি ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা মজবুত করতে নয়া সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করেছি। আমাদের সম্পর্ককে একটা স্ট্র্যটেজিক ডিরেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্তও আমরা নিয়েছি। আগামী দশকে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে আমরা ব্লুপ্রিন্টও ছকেছি।” তিনি বলেন, “চ্যান্সেলর নেহামার এবং আমি বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় যে দ্বন্দ্ব চলছে, তা নিয়েও কথা বলেছি। এটা ইউক্রেনের দ্বন্দ্বই হোক কিংবা (Terrorism War) পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি। আমি আগেও বলেছি, এটা যুদ্ধের সময় নয় (PM Modi In Austria)।” তিনি বলেন, “ভারত এবং অস্ট্রিয়া দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের কড়া সমালোচনা করেছে। সন্ত্রাসবাদ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share