Tag: terrorist attack

terrorist attack

  • NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    NIA: হামলায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট, পহেলগাঁওয়ের তদন্তভার নিল এনআই, ২০ এপ্রিলের আগে রেইকি করে জঙ্গিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Aerror Attack) ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানের মদতে সংঘটিত হওয়া এই হত্যাকাণ্ডে লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ এই হত্যা লীলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এবার পেহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তভার নিল এনআইএ (NIA)। রবিবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। নিজেদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র উন্মোচনের জন্য পুরো এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পাকিস্তান যোগের প্রমাণও মিলেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ২০ এপ্রিলের আগেই জঙ্গিরা হামলার স্থান রেকি করে যায়।

    জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকে পর্যবেক্ষণ করছে এনআইএ (NIA)

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে এনআইএ। এনআইএ-র (NIA) ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারের নেতৃত্বে একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং একজন পুলিশ সুপারিটেনডেন্টের সমন্বয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এরপরেই এনআইয়ের দল পেহেলগাঁওয়ে অবস্থিত বৈসরনে যেখানে হামলা চালানো হয় সেখানে তদন্তে নামে। এনআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। যাঁরা নিজেদের চোখের সামনে এই হত্যালীলা সংঘটিত হতে দেখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার জন্য তদন্তকারী দলগুলি বৈসারনে জঙ্গিদের প্রবেশ ও প্রস্থান পথকেও পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে ফরেনসিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ দল সেখানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করছে, যাতে সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্রকে উন্মোচন করা যায়।

    ২০ এপ্রিলের আগেই পহেলগাঁওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জঙ্গিরা

    এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে যে সমস্ত পর্যটক পহেলগাঁও হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বর্তমানে জেলে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জৈশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য মৌলবাদী সংগঠনের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। আতস কাচের তলায় রয়েছে অসংখ্য সহযোগী, তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলায় জড়িতদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই কাজে একসঙ্গে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এনআইএ-র তরফ থেকে তদন্তে উঠে এসেছে যে ২০ এপ্রিলের আগেই পেহেলগাঁওয়ের (Pahalgam Aerror Attack) বৈসরনে এবং আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরে নজরদারি চালিয়েছিল ওই জঙ্গিরা।

    পাকিস্তান যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে

    ইতিমধ্যে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুজাফফরবাদ এবং করাচির কিছু জায়গায় যোগ রয়েছে এই সন্ত্রাসী হামলায়। তাই স্বাভাবিকভাবে এখানে পাকিস্তানের হাত স্পষ্টভাবেই রয়েছে। ঠিক যেমনটা ২৬/১১ তে মুম্বাই হামলার সময় পাকিস্তান করেছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে যে তথ্য অনুযায়ী, চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসবাদি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের কাছে অত্যাধুনিক মাধ্যমের যোগাযোগ যন্ত্র ছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক পোশাকও পরেছিল এবং হাতে ছিল একে-৪৭। গোয়েন্দাদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জানতে পারা যাচ্ছে পাকিস্থানে বসে থাকা এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ডদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীদের। মুজাফফরবাদ এবং করাচিতে বেশ কিছু জায়গায় এমনই ডিজিটাল প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

    স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে

    শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের আরও দাবি, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং আইএসআই এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভারতে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এবং মার্চ মাসে এনআইএ জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক তল্লাশি চালায় তখনই উঠে আসে এমন তথ্য।
    এনআইএ-র সন্দেহ ভারতে প্রবেশের পরে স্থানীয় মাঠকর্মীরাই ওই সন্ত্রাসবাদীদের খাদ্য আশ্রয় এবং অন্যান্য ব্যবস্থা করে। জানা গিয়েছে, এনআইয়ে নিজেই মার্চ মাসে একটি বিবৃতি জারি করেছিল। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসীরা কাঠুয়া, উধমপুর, ডোডা, কিস্তোয়ার এবং পুঞ্চে উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

    চিহ্নিত আরও ১৪ সন্ত্রাসবাদী

    ইতিমধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ গত শুক্রবারই তিনজন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। যাদের মধ্যে দুজনকে পাকিস্তানি বলে জানা গিয়েছে। এরা হল আলি ভাই এবং হাসিম মুসা। স্থানীয় জঙ্গি আদিলের নাম রয়েছে। এদের প্রত্যেকের মাথার দাম কুড়ি লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে যে মুসা জম্মু কাশ্মীরের আগে তিনটি সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কনভয়ের ওপর অতর্কিত হামলাতেও সে জড়িত ছিল। এর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি আরও ১৪ জন সন্ত্রাসবাদীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ৮ জন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন জৈশ-ই-মহম্মদের এবং ৩ জন হিজবুল মুজাহিদিনের।

  • Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    Pahalgam Massacre: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ‘পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ’, ঘোষণা ভিএইচপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে খুন হন অন্তত ২৮ জন পর্যটক (Pahalgam Massacre)। এঁরা প্রত্যেকেই হিন্দু। বেছে বেছে কেবল হিন্দু ধর্মাবলম্বী পর্যটকদেরই খুন করা হয়েছে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। জঙ্গিদের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে পাকিস্তানের জিহাদি যুদ্ধ ঘোষণা বলে আখ্যা দিয়েছে ভিএইচপি (VHP)। তারা ভারত সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় প্রতিশোধ গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে।

    ভিএইচপির বক্তব্য (Pahalgam Massacre)

    ভিএইচপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডঃ সুরেন্দ্র জৈন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “এই বর্বর ঘটনা কেবল একটি সন্ত্রাসী হামলা নয়, এটি পাক-মদতপুষ্ট ইসলামি জিহাদি শক্তির খোলাখুলি যুদ্ধ। নয়ের দশকে উপত্যকায় যে সন্ত্রাসের ছায়া নেমে এসেছিল, এটি তারই ভয়াবহ একটি স্মৃতিচারণ। কাশ্মীরে পুনরায় মাথা তোলার সাহস দেখানো ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদকে আমাদের মূলোৎপাটিত করতেই হবে।” পহেলগাঁওয়ের এই হামলার ঘটনায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হামলাকারীরা পর্যটকদের প্যান্ট খুলিয়ে, কালমা পাঠ করতে বাধ্য করে এবং তাঁদের আইডি পরীক্ষা করে অমুসলিম নিশ্চিত হওয়া ব্যক্তিদের গুলি করে হত্যা করে। জৈন বলেন, “এই পদ্ধতিগত টার্গেটিং স্পষ্ট প্রমাণ করে যে হামলাটির পিছনে ধর্মীয় উসকানি কাজ করেছে।”

    টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড

    তিনি আরও বলেন, “এটি পাক-মদতপুষ্ট জিহাদি ও তাদের স্থানীয় স্লিপার সেলের পরিকল্পিত, টার্গেটেড হত্যাকাণ্ড। তাদের অ্যাজেন্ডা স্পষ্ট— উপত্যকা থেকে হিন্দুদের বিতাড়িত করা, নয়ের দশকের ভয়াবহতা ফের সৃষ্টি করা (Pahalgam Massacre)।” বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) এক নেতা পহেলগাঁওয়ের এই হামলাকে রাজনৈতিক বক্তব্য ও পাকিস্তানি সামরিক বক্তব্য-সহ একটি ডিস্টার্বিং ইকোসিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। তিনি একজন ভারতীয় সংসদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের উদাহরণ দেন। ওই সাংসদ কাশ্মীরে পর্যটন ও জমি কেনাকে ‘সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশ’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ওই সাংসদের বক্তব্যের সঙ্গে পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বক্তব্যকে যুক্ত করেছেন। পাক সেনা প্রধান সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ‘কাশ্মীরই একমাত্র অবশিষ্ট অ্যাজেন্ডা’। জৈনের অভিযোগ, এই যে মতাদর্শগত সমর্থন, এটাই পহেলগাঁওয়ে রক্তপাতের পথ প্রশস্ত করেছিল। তিনি বলেন, “এই পরিবেশ — ক্ষমতার করিডর থেকে পাকিস্তানের সেনা সদর দফতর পর্যন্ত — এই কাজগুলিকে সম্ভব করছে। এখন দ্বিধাহীনচিত্তে এটিকে ধ্বংস করার সময় এসে গিয়েছে (VHP)।”

    জনরোষ চরম আকার নিতে পারে!

    সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুসলমানদের একাংশ। পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনার পর তারা আর মুখ খোলেনি। ভারতীয় মুসলিম নেতারা কেন এই নৃশংস ঘটনা নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করছেন, সে প্রশ্ন তোলেন জৈন। তিনি বলেন, “ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে তাঁরা জাতীয় অস্থিরতা সৃষ্টি করেন, কিন্তু নিরীহ হিন্দু তীর্থযাত্রীদের হত্যার নিন্দা করতে তাঁরা এগিয়ে আসেন না? এই নির্বাচিত ক্ষোভ মেনে নেওয়া যায় না (Pahalgam Massacre)।” সরকার যদি দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে জনরোষ চরম আকার নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন জৈন। তিনি বলেন, “ভারতের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এখনই যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, এই ক্ষোভ আরও তীব্র হবে। সরকারের এখন জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করার সময় এসেছে।”

    ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন

    পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে বিজেপি ও বজরং দল ২৫ এপ্রিল সারা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে বলে ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি, নির্যাতিতদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক নির্মূল করা এবং পাকিস্তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখানো। জৈন বলেন, “এটাই সেই মুহূর্ত যখন ভারতকে বিশ্বকে দেখাতে হবে যে আমাদের মাটিতে ধর্মীয় নির্মূলকরণ আমরা আর কখনও সহ্য করব না।”

    বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে

    এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বনধ পালিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। কেন্দ্র শাসিত এই অঞ্চলের সমস্ত বাজার, স্কুল-কলেজ, পরিবহণ পরিষেবা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উপত্যকার (VHP) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় সংগঠন এবং বাণিজ্যিক সংগঠনগুলি সর্বতোভাবে এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে (Pahalgam Massacre)।

    মিরওয়াইজ উমর ফারুকের বক্তব্য

    মুতাহিদা মজলিস উলেমার প্রধান মিরওয়াইজ উমর ফারুক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “যে কেউ যদি একজন নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করে, সে আসলে সম্পূর্ণ মানবজাতিকেই হত্যা করে। কাশ্মীরের রক্তাক্ত ইতিহাসে আর একটি হত্যাকাণ্ড। ইসলামে এই ধরনের নৃশংসতা ঘৃণ্য। আমরা জম্মু কাশ্মীরের জনগণের কাছে বন‍্‍ধ পালনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এই জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদ করার আবেদন করছি।” পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতিও শোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি সকল কাশ্মীরিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে তাঁরা যেন পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলায় নিহত (VHP) নিরীহ মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই বন‍্‍ধকে সমর্থন করেন। এটি কেবল কয়েকজনের ওপর আক্রমণ নয় – এটি আমাদের সকলের ওপর আক্রমণ (Pahalgam Massacre)।”

  • Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    Pahalgam Attack: পাকিস্তানেই অস্তিত্বের সঙ্কটে পাক সেনা, তাই কি নজর ঘোরাতেই পহেলগাঁও হামলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) নিহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার পর্যটকদের ভিড়ে মিশেছিল জঙ্গিরা (Pakistan)। পরে স্বমূর্তি ধারণ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। গুলি চালানোর আগে পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয়ও জানতে চায় জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, এদিন যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই হিন্দু। বৈসরন এলাকার এই হত্যালীলা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়াবহ অসামরিক হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি প্রক্সি গোষ্ঠী।

    হতাশার বহিঃপ্রকাশ! (Pahalgam Attack)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাহেলগাঁওয়ে এই হামলা একটি বৃহত্তর ও আরও উদ্বেগজনক ধারার অংশ। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লোপ হওয়ার পরে নির্বাচনও হয়েছে সুষ্ঠুভাবে। ক্ষমতায় এসেছে ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার। এর পরেই কৌশল বদলায় পাকিস্তান। তারা কাশ্মীর থেকে তাদের ফোকাস ঘোরায় শান্ত এবং হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর পার্বত্য জেলাগুলিতে। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নিশ্চিন্তে বসবাস করছিলেন রাজৌরি, রেয়াসি এবং পুঞ্চের বাসিন্দারা। এই জায়গাগুলিকেই ফোকাস করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এভাবে তারা যেমন একদিকে ভারতের প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করতে চেয়েছে, তেমনি অন্যদিকে ভারতের দুর্বলতাও খুঁজতে চেয়েছে। এসব অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক সুবিধাও নিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও অনুপ্রবেশের নিরন্তর চেষ্টাও চালিয়ে গিয়েছে পাক সেনা। সম্প্রতি জে সেক্টরে তারা এলওসি অতিক্রম করেছিল। যদিও ভারতীয় সেনা তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করে। পাক সেনাদের এহেন কাজকর্ম একাধিক ফ্রন্টে ভারতের কৌশলগত অবস্থানের একটি পরীক্ষাও বটে।

    পাকিস্তানের মুখে চুনকালি

    উনিশ সালে (Pahalgam Attack) ভূস্বর্গ থেকে লুপ্ত করা হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে ভারতের কাশ্মীরের ওপর থেকে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণ আলগা হতে থাকে। অথচ মোদি সরকার যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করে, তখন থেকে কূটনৈতিক, সামরিক কিংবা বাকযুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঢের চেষ্টা করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। যদিও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের মুখে পড়েছ চুনকালি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ছিল নির্বিকার। ওআইসি কেবল আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েই খালাস। ৩৭০ ধারা লোপ পাওয়ার পর কাশ্মীরে বয়ে গিয়েছে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। শান্তির ভূস্বর্গে ক্রমেই নামছিল পর্যটকদের ঢল। অর্থনীতি চাঙা হয়েছিল ভূস্বর্গের। অবাধে হয়েছে নির্বাচন। জম্মু-কাশ্মীরের রাশ গিয়েছে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত একটি সরকারের হাতে। রাওয়ালপিন্ডি এক সময় যে স্বাভাবিকতার প্রতীকগুলিকে উপহাস করত, সেগুলিই ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে কাশ্মীরে। তাই স্থানীয় কাশ্মীরিদের খেপিয়ে তোলার সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে পাক সেনার।

    পাক সেনার ইন্ধন

    এহেন প্রেক্ষাপটে (Pahalgam Attack) ইন্ধন জুগিয়েছে পাক সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ঘোষণা (Pakistan)। তিনি কাশ্মীরকে ‘পাকিস্তানের জীবনরেখা’ বলে উল্লেখ করেছেন। জিয়া আমলের পর থেকে এমন শব্দবন্ধ ব্যবহার করেননি কোনও পাক রাজনীতিক। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এটি কোনও কৌশলগত সংকেত নয়, বরং পাকিস্তানের গলায় হতাশার সুর স্পষ্ট, যে নিজের চোখের সামনে তার নিজের আদর্শিক পরিচয়ের মূলস্তম্ভকে হাতছাড়া হতে দেখছে। পাক সেনার বক্তব্য যতই জোরালো হচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে রাওয়ালপিন্ডি আর কাশ্মীরের ডিসকোর্স নির্ধারণ করছে না, বরং পরোক্ষে তাদের পরাজয়েরই মোকাবিলা করছে।

    কেন প্ররোচনা?

    আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, একের পর এক সমস্যায় যখন জর্জরিত পাকিস্তান, তখন পাক সেনার এহেন প্ররোচনা (কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ কিংবা হামলার ছক) অযৌক্তিক বলে মনে হতে পারে। উপজাতীয় অঞ্চলে তেহরিক-ই-তালিবান-পাকিস্তান তাদের ওপর আধিপত্য বজায় রাখছে। বালোচ বিদ্রোহীরা সৈন্যদের আস্ত একটি ট্রেনকে পণবন্দি করেছিল। পড়শি দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গেও পাকিস্তানের সম্পর্ক এখন তলানিতে। দৃশ্যতই দেশটি বর্তমানে গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে দেশের এই দুঃসময়ে ভারতের কাশ্মীর নিয়ে মাতল কেন পাকিস্তান? এর (Pahalgam Attack) এক এবং একমাত্র উত্তর হল, দেশে যখনই ভয়ঙ্কর কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন পাকিস্তানিরা যাতে সরকার কিংবা সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ উগরে না দেন, তাই ভারতকে চিরশত্রু হিসেবে তাক করা। কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা, হামলা চালানো, প্রতিশোধের ঝুঁকি নেওয়া – এসবই বিভ্রান্তি তৈরি করতে পাক সেনার পুরানো চাল। এদিক থেকে বিচার করলে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলাও যুক্তিসঙ্গত হয়ে ওঠে। কারণ ‘ভারত-কার্ড’ খেলে দিয়ে পাক সেনা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি আদতে দেশের অভ্যন্তরীণ (Pakistan) সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গী ঘোরানোরই চেষ্টা করেছে (Pahalgam Attack)।

  • Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    Dattatreya Hosabale: “পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলা জাতির ঐক্যের ওপর আঘাত”, বললেন হোসাবলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলাকে জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছে আরএসএস (RSS)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) এক বিবৃতিতে এই হামলায় প্রাণহানির জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

    কী বলছেন আরএসএস কর্তা (Dattatreya Hosabale)

    হোসাবলে তাঁর বিবৃতিতে বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার এই জঘন্য কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং হৃদয়বিদারক। আমরা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং এই হামলায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। এটি আমাদের জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার ওপর একটি আক্রমণ। সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে তাদের মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে এই সন্ত্রাসী কাজের নিন্দা করতে হবে।” হোসাবলে বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি যাতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সাহায্য পায় সরকারের উচিত তা নিশ্চিত করা। এই হামলার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তিও যেন দেওয়া হয়।”

    ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’

    পহেলগাঁওয়ের যে এলাকায় জঙ্গিরা পর্যটকদের নিশানা করে, সেই বৈসরন উপত্যকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ‘মিনি সুইৎজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত। ফি বছর কয়েক লাখ পর্যটক বেড়াতে আসেন ভূস্বর্গে। শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মঙ্গলবার পর্যটকদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠন। এটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি (Dattatreya Hosabale) প্রক্সি গোষ্ঠী। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিরা সংখ্যায় ছিল ৪ থেকে ৬ জন। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় কাশ্মীরি। বাকিরা পাকিস্তানের নাগরিক।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলাকে জঘন্য কাণ্ড বলে নিন্দা করেছেন। সৌদি আরব সফর কাটছাঁট করে বুধবার ভোরেই দেশে ফিরে এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতেই শ্রীনগরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই হামলার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “পাকিস্তানিরা যেন তাদের সন্তানদের (RSS) হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে চরম পার্থক্য রয়েছে, তা শেখান (Dattatreya Hosabale)।”

  • Ansarullah Bangla Team: রাজ্যের তিন পর্যটনকেন্দ্রে হামলার ছক বাংলাদেশি জঙ্গিদের, সতর্ক করে অসম পুলিশ

    Ansarullah Bangla Team: রাজ্যের তিন পর্যটনকেন্দ্রে হামলার ছক বাংলাদেশি জঙ্গিদের, সতর্ক করে অসম পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের গোড়াতেই পশ্চিমবঙ্গের তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (Ansarullah Bangla Team)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পুলিশকে সতর্ক করে অসম পুলিশ। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটন কেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিগোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (সংক্ষেপে এবিটি)। জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে এমনটাই জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে কীভাবে হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা, তাও জানতে পেরেছে পুলিশ। হামলার দায়িত্ব কোন কোন জঙ্গিকে দেওয়া হয়েছিল, তা-ও জানা গিয়েছে। অসম পুলিশের হেফাজতে থাকা ধৃত সাজিবুল স্বীকার করেছে হামলার পরিকল্পনার কথা।

    হামলার ছক (Ansarullah Bangla Team) হাজারদুয়ারিতে

    অসম পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসটিএফ) জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি এবং আরও একটি পর্যটনকেন্দ্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল আনসারুল্লাহের। একইসঙ্গে মালদার একটি পর্যটন কেন্দ্রেও হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল! অসম পুলিশের জেরায় ধৃত জঙ্গি জানিয়েছে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশের ভারত লাগোয়া একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে আনসারুল্লাহ বাংলা দলের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করেছিল শাব। প্রসঙ্গত, জঙ্গি শাবকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করে পুলিশ। অসম পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিল আব্বাস আলি ও সাজিবুল। সেখানেই হামলার দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছিল।

    কোন জঙ্গি কোন দায়িত্বে (Ansarullah Bangla Team)

    অসম পুলিশের জেরায় সাজিবুল জানিয়েছে, মহিলাদের মধ্যে আনসারুল্লাহ বাংলা দলের প্রভাব বিস্তার করার দায়িত্ব ছিল তার উপর। এ ছাড়াও, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ফান্ডিং-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাজিবুলকে। আইএস জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণের পরিকল্পনাও করে আনসারউল্লাহ বাংলা টিম, এমন আত্মঘাতী মডিউলের সদস্যদের বাছাইয়ের দায়িত্ব ছিল আব্বাসের ওপর। জানা গিয়েছে, ধর্মীয় শিক্ষার আড়ালে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকার কিশোরদের মগজধোলাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয় মণিরুল শেখকে। মুস্তাকিনের কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সংগঠন বিস্তারের। অসম পুলিশের এসটিএফের সদস্য প্রধান মহন্তের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভিত্তি করে আনসারুল্লাহ বাংলা দল সারা দেশে জাল তৈরি করছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • USA: নববর্ষে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাক চালিয়ে জঙ্গি পিষল ১৫ জনকে, মিলল আইসিস পতাকা

    USA: নববর্ষে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাক চালিয়ে জঙ্গি পিষল ১৫ জনকে, মিলল আইসিস পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। সে দেশের নিউ অরলেন্সে নববর্ষ পালন করছিলেন নাগরিকরা, সেই ভিড়ের মধ্যে ট্রাক চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যা করল শামসুদ্দিন জব্বর নামের এক জঙ্গি। পরে ট্রাক থামিয়ে গুলি চালাতে থাকে এই সন্ত্রাসী। এর পর ৪২ বছরের এই জঙ্গি পুলিশ এনকাউন্টারে (Terrorist Attack) খতম হয়। শামসুদ্দিনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আইসিসের পতাকা। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) জন্ম হওয়া এই জঙ্গি সেদেশের সেনাকর্মী হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছে। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সে সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্য ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে কাজ করে শামসুদ্দিন। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

    বর্তমানে টেক্সাসের হিউস্টনে (USA) রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল শামসুদ্দিন 

    নববর্ষের ভোররাতে নিউ অরলিন্সের জনগণ বর্ষবরণের আনন্দ উৎসব পালন করছিলেন এমনই সময় সেই ভিড়ের মধ্যে দিয়ে ট্রাক চালিয়ে দেয় শামসুদ্দিন। এফবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন সেনায় আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এক সময় কাজ করেছিল শামসুদ্দিন। আর বর্তমানে টেক্সাসের হিউস্টনে (USA) রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিল সে। জানা গিয়েছে, এর আগে শামসুদ্দিন জব্বরের বিরুদ্ধে দু’টি ছোটখাটো অপরাধের অভিযোগ ছিল। ২০০২ সালে চুরি এবং ২০০৫ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানোর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা কাহিনীও উঠে এসেছে।

    এফবিআইয়ের ওপর সম্পূর্ণ তদন্তভার 

    জব্বর দু’বার বিয়ে করেছিল বলে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ২০২২ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শামসুদ্দিন জব্বরের। এফবিআই এখনও শামসুদ্দিন জব্বরের অতীত জানার চেষ্টা করছে বলে জানা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, তাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনার তদন্তভার সম্পূর্ণভাবে এফবিআইয়ের হাতেই দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। শামসুদ্দিন অন্য কোনও দেশ থেকে সম্প্রতি আমেরিকায় ফিরেছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। আইসিস-এর সঙ্গে তার যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    Terrorist Attack: ভূস্বর্গে দুই ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করে খুন, সেনার হামলায় নিকেশ দুই জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্ত ঝরল জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। গত ৯ দিনের মধ্যে পর পর দুবার জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল। আর এবার জঙ্গিদের (Terrorist Attack) হামলায় জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তেওয়ার থেকে দুই ভিলেজ ডিফেন্স গার্ডকে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের হত্যাও করে জঙ্গিরা। পরিযায়ী শ্রমিকদের পর এবার নিশানায় নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে উপত্যকায়।

    চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি পোস্ট (Terrorist Attack)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজির আহমেদ ও কুলদীপ কুমার নামক দুই নিরাপত্তারক্ষীকে মুঞ্জলা ধর জঙ্গল থেকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তারা গরু চড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের অপহরণ করে খুন করে জঙ্গিরা (Terrorist Attack)। সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা বাড়ি না ফেরায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। জইশ-ই-মহম্মদের শাখা কাশ্মীর টাইগারস এই হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবিও পোস্ট করেছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এই এলাকাটিতে গত কয়েক মাস ধরে জঙ্গি-হামলা হয়েই চলেছে। একজন সিনিয়র অফিসার বলেছেন, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের সময় অন্তত দুবার এলাকায় জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছে। দিন কয়েক আগেই শ্রীনগরের বাজারে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছিলেন। ২৯ শে অক্টোবর, সেনাবাহিনী জম্মু জেলার বাটাল এলাকায় একটি অ্যাম্বুল্যান্সে হামলাকারী তিন জঙ্গিকে হত্যা করে।

    আরও পড়ুন: ৯৭ বছরে পা দিলেন লালকৃষ্ণ আডবানি, জন্মদিনে বর্ষীয়ান নেতাকে শুভেচ্ছা মোদি-শাহের

    যৌথ অভিযানে দুই জঙ্গি নিকেশ

    ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের অধীনে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর শুক্রবার বারামুল্লা জেলার সোপোর এলাকায় দুই জঙ্গি (Terrorist Attack) নিহত হয়েছে। কাশ্মীর জোন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বারামুল্লার সোপোর এলাকার পানিপোরায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কিত একটি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা একটি যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছিল। তল্লাশি চালানোর সময় গুলি বিনিময় হয়। তাতে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। সনাক্তকরণ এবং সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অপরাধমূলক উপকরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও বিশদ বিবরণ অনুসরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০ অক্টোবর গান্দেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়কে একটি টানেল নির্মাণের জায়গায় জঙ্গিরা হামলা চালালে একজন ডাক্তার এবং ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu Kashmir: আখনুরে সেনা কনভয়ে হামলায় ব্যবহৃত স্টিল-বুলেট, পাল্টা অভিযানে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সীমান্তঘেঁষা আখনুর সেক্টরে ভারতীয় সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলার (Akhnoor Terror Attack) ঘটনার পর জওয়ানদের প্রত্যাঘাতে তিন হামলাকারী খতম হয়েছে। এখনও তল্লাশি-অভিযান চলছে। সেনা অভিযানে বেশ কিছু অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে বলেও খবর। এখানেই দেখা যায়, হামলায় সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এমন আধুনিক স্টিলের গুলি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। এই অভিযানে বীর বিক্রমে লড়াই করে শহিদ হয়েছে সেনা-সারমেয় ফ্যান্টম।

    বানচাল জঙ্গিদের ছক

    সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৭টা নাগাদ এই জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটে। বালতাল এলাকায় তিন জন জঙ্গি আচমকাই সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। স্থানীয়দের দাবি, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল তিন জন। সেনাবাহিনীর কনভয়ে ছিল একটি অ্যাম্বুল্যান্স, যার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর পরেই জঙ্গিদের ধরতে পাল্টা অভিযান শুরু করে সেনা। দ্রুত গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। জঙ্গিদের খোঁজে জঙ্গলেও তল্লাশি চালানো হয়। জঙ্গিদের অবস্থান বুঝতে জঙ্গলে যায় সেনার ‘কে-৯’ ব্রিগেডের সদস্য ফ্যান্টম। তাকে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা। গুলি এসে লাগে ফ্যান্টমের। কিন্তু, ততক্ষণে জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে জেনে যায় বাহিনী। শহিদ হয় ফ্যান্টম। গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় সেনা সারমেয় ফ্যান্টম। এর পর শুরু হয় জঙ্গি-বাহিনীর গুলির লড়াই। প্রায় ২৪-ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পর খবর মেলে যে তিন জঙ্গিই বাহিনীর অভিযানে খতম হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করেছে।

    দীপাবলি উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা

    দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) নিরাপত্তার কড়াকড়ি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তারই মধ্যে ঘটে গেল এই হামলার ঘটনা। জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত গোলা-বারুদের মধ্যে বেশ কিছু ছিল অত্যাধুনিক। সহজেই সেনার সাঁজোয়া গাড়ি ভেদ করতে সক্ষম এরকম স্টিলের বুলেট ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। মঙ্গলবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়, সোমবার সারাদিন তল্লাশি অভিযান চলে আখনুরে। অবশেষে তিন জঙ্গি নিহত হয়।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন?

    গত কয়েক দিন ধরেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গ থেকে কিছু দূরে সেনার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। নিহত হন দুই জওয়ান এবং সেনাবাহিনীর দুই মালবাহক। আরও এক মালবাহক এবং জওয়ান ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। জঙ্গিদের ধরতে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সেনা। এর আগে ২০ অক্টোবর গান্ডেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ্ জাতীয় সড়কে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের কাছে জঙ্গি-হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ছয় নির্মাণ শ্রমিকের। তাঁরা সকলেই ভিন্‌রাজ্যের বাসিন্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    Terrorist Attack: গুলমার্গের পর আখনুর, জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনার গাড়ির ওপর হামলা জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উপত্যকায় জঙ্গি হামলা (Terrorist Attack)। সোমবার সাত সকালে সেনাবাহিনীর গাড়ির (Army Vehicle) ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জম্মু কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের বাতাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এরপরে পাল্টা গুলি চালাতেই পিছু হঠে জঙ্গিরা। সংঘর্ষে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এরপরেই গোটা এলাকা ঘিরে ধরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও চলছে এই অভিযান। প্রসঙ্গত, দুদিন পরেই দীপাবলি, তার আগে এমন জঙ্গি হামলা উদ্বেগ বাড়িয়েছে উপত্যকায়।

    সম্প্রতি জঙ্গিদের গুলিতে (Terrorist Attack) ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে 

    জঙ্গিদের গুলিতে ২ জওয়ান সহ মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে সম্প্রতি। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর বারামুল্লার গুলমার্গে একই কায়দায় সেনাবাহিনীর গাড়িতে (Terrorist Attack) হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সে সময় সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুইজন জওয়ান। তার আগে গত ২০ অক্টোবর সোনমার্গে হামলা চলে শ্রমিকদের ওপরে। সেই সময় ৬ জন শ্রমিক ও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয় জঙ্গিদের গুলিতে।

    চলছে লাগাতার তল্লাশি (Terrorist Attack) 

    জঙ্গি হামলা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জোরকদমে তল্লাশি শুরু করে (Army Vehicle) সেনাবাহিনী। তল্লাশি অভিযানে নামে পুলিশের ‘কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স উইং’। শ্রীনগর, গান্ডেরবাল, কুলগাম, বদগাম, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায় শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। জানা গিয়েছে, লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে বুধবারই পুঞ্চে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র একটি শাখা সংগঠনের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী। তবে তার পরও একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনা উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে প্রশাসনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist attack: নাশকতার ছক বানচাল! রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আহত ১ জওয়ান

    Terrorist attack: নাশকতার ছক বানচাল! রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আহত ১ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝরল রক্ত। ফের অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir)। সোমবার সাতসকালে রাজৌরির সেনাঘাঁটিতে বড়সড় জঙ্গিহানার (Terrorist attack) খবর মিলল। ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই গোটা এলাকায় নেমেছে সেনা, চলছে তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা এ দেশে ঢুকে কাশ্মীরে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। তাদের খুঁজে বার করতে জম্মুতে মোতায়েন করা হয়েছে প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের ৫০০ জন কমান্ডোকে। শুধু তাই নয়, উপত্যকায় বাহিনী পুনর্বিন্যাসের কথাও ভাবছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Terrorist attack) 

    নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, সোমবার ভোরে প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ নিয়ে একদল জঙ্গি জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির সেনাছাউনিতে অতর্কিতে হামলা চালায়। ভোর চারটে নাগাদ প্রথমে গুলি চালানো শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানেরাও। প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে গুলির লড়াই। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক জওয়ান জখম হয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পেরে না উঠে পিছু হটতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। বানচাল হয় জঙ্গি নাশকতার ছক। এ প্রসঙ্গে সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বার্টওয়াল বলেন, ”রাজৌরির একটি দূর প্রান্তের গ্রামের সেনা ঘাঁটিতে বড়সড় হামলা চালিয়েছে সেনারা। জঙ্গিদের ধরতে অপারেশন চলছে।”
    প্রসঙ্গত, শনিবারই সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী জম্মুতে গিয়েছিলেন। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ও অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আলোচনা করেছেন উপত্যকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সেই বৈঠকের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সেনা ছাউনিতে হামলা (Terrorist attack) চালাল জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারে ১০ লাখ ডলার দেবে ভারত! ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

    একের পর এক জঙ্গি হামলা 

    এটাই প্রথম নয়, এর আগেও গত কয়েক বছরে একের পর এক জঙ্গি হামলার (Terrorist attack) খবর মিলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে রাজৌরি জেলার মাঞ্জাকোটে সেনা ক্যাম্পের কাছে গুলি চালানোর খবর এসেছিল। সে সময় জঙ্গিরা মাঞ্জাকোটের ওই সেনা ক্যাম্পে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানোর ছক কষে। সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষে আহত হয় এক জওয়ান। এর দিন ছয়েক আগে ডোডা জেলাতেও নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ চলে। প্রাণ হারান একজন ভারতীয় সেনা অফিসার সহ চারজন নিরাপত্তারক্ষী। ফলে সব মিলিয়ে জম্মু এলাকায় ৩২ মাসে ৪৮ জন সেনা শহিদ হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share