Tag: Terrorists

Terrorists

  • Pakistan: ভারতের আশঙ্কাই সত্যি, নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে পাকিস্তান!

    Pakistan: ভারতের আশঙ্কাই সত্যি, নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ভারতের আশঙ্কাই সত্যি হল। ভারত-পাক সংঘর্ষে যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে (IMF Aid), তাদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করল শাহবাজ শরিফের দেশ (Pakistan)।

    পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ভারত (Pakistan)

    শুক্রবারই আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডারে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল ভারত। ভারতের আপত্তিতে কান না দিয়ে পাকিস্তানকে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ। সন্ত্রাসবাদের সরাসরি সমর্থক দেশকে অর্থ সাহায্য করায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আইএমএফকে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয় নিয়ে পর্যালোচনায় বসে আইএমএফ। সেখানে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তানের মতো সীমান্ত সন্ত্রাসের ঘোষিত পৃষ্ঠপোষককে পুরস্কৃত করা তামাম বিশ্বকে বিপজ্জনক বার্তা দেয়। এমনটা করা হলে আইএমএফ এবং তার সঙ্গে জড়িত অন্যদের সুনাম নষ্ট হয়। আদতে আন্তর্জাতিকস্তরের এই সংস্থার মূল্যবোধকে নিয়েই উপহাস করা হয়। তবে শেষমেশ ভারতের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়েই ইসলামাবাদকে অর্থ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় আইএমএফ।

    নিহত জঙ্গিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ

    ফেরা যাক খবরের গোড়ায়। আইএমএফ থেকে অর্থ সাহায্য মিলছে শুনেই ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ যেসব জঙ্গি নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ইসলামাবাদ (IMF Aid)। ঘটনার সূত্রপাত গত ২২ এপ্রিল। সেদিন দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এর পক্ষকাল পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। পড়শি দেশের ৯টি জায়গায় হামলা চালিয়ে ভারত ধ্বংস করে দেয় ২৪টি জঙ্গি ঘাঁটি। ভারতের ওই অপারেশন খতম হয় বেশ কয়েকজন জঙ্গি এবং তাদের কয়েকজন মাথা। এই জঙ্গিদের কফিনবন্দি দেহ পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়। তাদের দেওয়া হয় শহিদের মর্যাদা। তাদের পরিবারকেই মোটা অঙ্কের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফের সরকার (Pakistan)।

    ক্ষতিপূরণের বহর

    জানা গিয়েছে, অসামরিক শহিদদের পরিবারের জন্য ১ কোটি করে টাকা এবং সাধারণ নাগরিকদের জন্য ১০ থেকে ২০ লাখ করে টাকা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দেওয়া হবে ১ থেকে ১৮ কোটি পর্যন্ত টাকা। এর মধ্যে হয়েছে হোম ফেসিলিটি অ্যালাওয়েন্সও। পদমর্যাদার ওপর ভিত্তি করে সাহায্য করা হবে ১৯ থেকে ৪২ কোটি টাকা পর্যন্ত। যেসব (IMF Aid) সেনা নিহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে তাঁর অবসর গ্রহণের দিন পর্যন্ত পুরো বেতন ও ভাতা দেওয়া হবে। তাঁদের সন্তানদের জন্য স্নাতকস্তর পর্যন্ত নিখরচায় শিক্ষা এবং একটি মেয়ের বিবাহ অনুদান বাবদ দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা। সশস্ত্র বাহিনীর যারা জখম হয়েছেন, তাঁদের আঘাতের গুরুত্ব বিচার করে দেওয়া হবে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ভারতের অপারেশনে যেসব ঘরবাড়ি এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যদিও ভারতের দাবি, কেবল জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করেই আঘাত হানা হয়েছে।), সেগুলি পুনর্নির্মাণ এবং আহতদের চিকিৎসার খরচও দেওয়া হবে। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার শহিদদের পরিবারের যত্ন নেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে।” এই সাহায্য প্যাকেজটি তাঁর মতে, “জাতীয় সংহতির একটি প্রতীক।” ভারত শরিফের এই প্যাকেজের তীব্র নিন্দা করেছে (Pakistan)। নয়াদিল্লির অভিযোগ, এই অর্থ সন্ত্রাসবাদে যুক্ত ব্যক্তি, যেমন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং জামাত-উদ-দাওয়ার সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘অপারেশন সিঁদুরে’ এই সব সংগঠনের জঙ্গিরাই নিহত হয়েছে (IMF Aid)।

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    পাকিস্তান সরকারের এই ক্ষতিপূরণের ঘটনায় ফুঁসছে ভারত। প্রাক্তন বিদেশ সচিব কনওয়াল সিব্বাল এই সিদ্ধান্তকে ভয়ঙ্কর দৃষ্টিভঙ্গি বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আইএমএফের পরিচালনা পদ্ধতি পশ্চিমি শক্তিদের প্রতি পক্ষপাত করে। তাদের দায়বদ্ধতার অভাবও রয়েছে।” জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার প্রশ্ন, “আইএমএফ যখন মূলত পাকিস্তানকে ভারতের ওপর হামলার জন্য অর্থ দিচ্ছে, তখন কীভাবে উত্তেজনা প্রশমন আশা করা যায়?” আফগানিস্তানের প্রাক্তন সাংসদ মারিয়ম সোলাইমানখিল আইএমএফকে রক্তপাতের অর্থদাতা বলে অভিযুক্ত করেন। তাঁর প্রশ্ন, “মানুষ খুন করতে বিশ্ব আর কতদিন অর্থ জোগাবে পাকিস্তানকে (Pakistan)?”

    এফএটিএফের বৈঠক

    সামনের সপ্তাহেই পরবর্তী বৈঠক রয়েছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (FATF)। তার আগেই খতিয়ে দেখা হবে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সংক্রান্ত নিয়ম পাকিস্তান কেমন মেনে চলছে। কূটনীতিকদের মতে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান মুখে এক কথা বললেও, কাজে করছে ঠিক উল্টোটা। জঙ্গিদের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের অনেক পদস্থ কর্তা। সেই জঙ্গিদের পারিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে আইএমএফের টাকায়। প্রত্যাশিতভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। তাদের প্রশ্ন, পশ্চিমি বিশ্ব কী ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইকে সমর্থন করবে, নাকি সমালোচকদের (IMF Aid) ভাষায় সন্ত্রাসের কারখানায় অর্থায়ন করেই চলবে (Pakistan)?

  • SIA: পহেলগাঁওকাণ্ডে ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে কাশ্মীরের ২০ জায়গায় তল্লাশি এসআইএ-র

    SIA: পহেলগাঁওকাণ্ডে ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে কাশ্মীরের ২০ জায়গায় তল্লাশি এসআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার বিকেলে শুরু হয়েছে ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি। যদিও শনি-রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) গোলাগুলি বর্ষণ করেছে পাকিস্তান। এই আবহে রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের ২০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল কাশ্মীরের স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এসআইএ (SIA)। এই দক্ষিণ কাশ্মীরেরই পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। ওই হামলায় নাম জড়ায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের। তাদের সঙ্গে যে স্থানীয়দের একাংশের যোগ রয়েছে, সে বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্তকারীরা।

    ষড়যন্ত্রীদের খোঁজে হামলা (SIA)

    এদিন সেই ষড়যন্ত্রীদেরই ধরতে চালানো হয় অভিযান। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পাকিস্তানভিত্তিক হ্যান্ডলারদের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ ওঠা জঙ্গি সহযোগী ও ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কারদের ওপর নজরদারি বাড়ার মধ্যেই এই অভিযান চালানো হল।” কাশ্মীরের পুলিশ কর্তাদের মতে, নজরদারি চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই অঞ্চলের একাধিক স্লিপার সেল সীমান্তের ওপারে থাকা জঙ্গি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছিল। এই সেলগুলো হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং সিগন্যালের মতো এনক্রিপ্টেড মেসিজিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোসমূহ সম্পর্কিত সংবেদনশীল ও কৌশলগত তথ্য আদান-প্রদান করছিল।

    অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের উগ্র মতাদর্শ প্রচারে যুক্ত

    সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডারদের নির্দেশে অনলাইনে উগ্র মতাদর্শ প্রচারে যুক্ত ছিল। প্রশাসনের মতে, তাদের এসব কাজ ভারতের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে এবং এর উদ্দেশ্য জনসাধারণের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উসকে দেওয়া। এদিনের তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (SIA)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহভাজনকে। এক পদস্থ কর্তা জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটা স্পষ্ট যে, এটি (পহেলগাঁওকাণ্ড) একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে সন্ত্রাসমূলক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন এবং অনলাইন ও অফলাইনে ভারতবিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছিল।

    এসআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, “যে বা যারা যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে (Kashmir) যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত থাকবে (SIA)।”

  • Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    Birbhum: বীরভূম থেকে ধৃত ২ জামাত সদস্য, জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পশ্চিমবঙ্গ (Birbhum) থেকে গ্রেফতার ২ জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। মূলত মুসলিম তরুণদের মগজধোলাই করে (Militants Arrested) ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার কাজই এরা করত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বীরভূমের নলহাটি এবং মুরারইয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। শুক্রবার রামপুরহাট আদালতে পেশ করা হলে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    বীরভূম থেকে ধৃত ২ (Birbhum)

    বছর আঠাশের আজমল হোসেন ও সাহেব আলি খান দুজনেই বীরভূমের বাসিন্দা। প্রথমজন থাকেন নলহাটিতে, আর অন্যজন মুরারইয়ে। তবে দুজনেই জামাত-উল-মুজাহিদিনের সদস্য। জামাতের যে মডিউলের সদস্য এরা, তাদের দায়িত্ব ছিল মুসলমান যুবকদের মগজধোলাই করা। অশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক বার্তাও ছড়িয়ে দিত এরা। পুরোটাই হত এনক্রিপ্টেড ভার্সানে। দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে বিশেষ বিশেষ জায়গা ও বিশেষ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর হামলার ছকও কষেছিল তারা। সেই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে নিরন্তর মগজধোলাই করে যেত মুসমনান তরুণদের।

    বাজেয়াপ্ত হয়েছে এই জিনিসগুলি

    এসটিএফ সূত্রে খবর, আজমলের বাড়ি থেকে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় বই, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল এবং জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছেন এসটিএফের আধিকারিকরা। আজমল বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ও জেহাদি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল সে। আজমল বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশে যেতে চেয়েছিল বলে খবর। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশি দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল ও সাহেব। জেহাদিদের সঙ্গে টাকা লেনদেনও করত আজমল ও তার দোসর। আজমলের বাবা জার্জেশ মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তাঁর ছেলে কোনওভাবেই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আজমল ছেলে কোনওদিন বাংলাদেশেও যায়নি বলেও দাবি তার। তিনি বলেন (Birbhum), “সাহেব মাঝে মাঝে আমার ছেলের কাছে আসত। সে-ই বইটই দিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার রাতে আড়াই ঘণ্টা ধরে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালায় (Militants Arrested)। মোবাইল, ল্যাপটপ এবং বাংলাদেশি কিছু বই উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে তারা।”

    কী বলছে অপারেশন টিম

    অপারেশন টিমের ওসি ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “এরা দুজনেই সক্রিয় ছিল দেশবিরোধী কাজে। দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এদের জেরা করে সম্পূর্ণ চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” তিনি বলেন, “দেশের বাইরে দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত আজমল এবং সাহেব। তাদের সঙ্গে রীতিমতো টাকার লেনদেনও চলত বলে খবর।” জানা গিয়েছে (Birbhum), ধৃতদের আরও কয়েকজন সহযোগী বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের সাহায্যে আজমল ও সাহেব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল। এর পাশাপাশি ধৃতেরা ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’-এর মতাদর্শ প্রচার ও বিস্ফোরক প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল। ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ শব্দের অর্থ ‘ভারতে সশস্ত্র জেহাদ’ (Militants Arrested)। সূত্রের খবর, চণ্ডীপুর গ্রামের আজমল পেশায় হাতুড়ে ডাক্তার। আর পাইকর থানার রুদ্রনগরের বাসিন্দা সাহেব দর্জির কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাজে লোকজন আসত। সেই সুযোগেই তরুণদের মগজ ধোলাই এবং সংগঠনে নিয়োগের চেষ্টা করত তারা।

    বীরভূমের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়

    বীরভূমের (Birbhum) সঙ্গে জঙ্গি যোগ নতুন নয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তৃণমূল জমানায় বেশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গিদের। যেহেতু মুসলমানদের ভোটে ক্ষমতায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যেহেতু তিনি অবিরাম তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছেন, তাই, বিরোধীদের মতে, পেয়ে বসেছে জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গকে নিরাপদ আশ্রয় ঠাওরে নিয়ে আড়ে বহরে বাড়ছে জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, মগজ ধোলাইয়ের কাজও করে চলেছে অবিরাম। অসমর্থিত সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের হিন্দু বিতাড়নের ঘটনায়ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের উসকানি ছিল।

    জঙ্গি ধরা পড়েছে আগেও

    তবে বীরভূমের এই পাইকর থানা এলাকা নানা সময় খবরের শিরোনামে এসেছে জঙ্গি ধরা পড়ার কারণে। বছর পাঁচেক আগে এই থানারই কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা নাজিবুল্লা হাক্কানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেও জেএমবির সদস্য। নাজিবুল্লার আত্মীয়রা তাকে (Birbhum) নির্দোষ দাবি করলেও, এসটিএফ সেই সময় দাবি করেছিল, অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক প্রচারের সূত্র ধরে গ্রেফতার হওয়া নাজিবুল্লা আদতে জঙ্গি সংগঠনের তাত্বিক নেতা। তার হাত ধরেই বীরভূমে নয়া মডিউল তৈরির কাজ এগোচ্ছিল। তার সপক্ষেও নাজিবুল্লার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন গোয়েন্দারা।

    বর্ধমানের খাগড়গড়কাণ্ডে যে ১৯ জনকে সাজা শুনিয়েছিল আদালত, তাদের মধ্যে ছিল ওই বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল হাকিমও। তার বাড়ি বীরভূমেরই দেউচায় (Militants Arrested)। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে যেসব জেলায় জঙ্গি জাল ছড়ানোর হদিশ পেয়েছিল এনআইএ, সেই তালিকায় ছিল বীরভূমও। ওই কাণ্ডে একাধিক অভিযুক্তের (Militants Arrested) খোঁজ মিলেছিল বীরভূমের (Birbhum) নিমড়া গ্রামে।

  • Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    Jammu and Kashmir: বন্দি হাইপ্রোফাইল জঙ্গিরা, জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জঙ্গিদের টার্গেট (Terror Alert) কি জেল? জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগর ও কোট বালওয়াল কেন্দ্রীয় কারাগারে বড়সড় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। গোয়েন্দা সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এই দুই জেলেই বর্তমানে বন্দি রয়েছে বহু হাই-প্রোফাইল জঙ্গি এবং ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার বা সন্ত্রাসীদের সাহায্যকারীরা। জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা, তাদের লজিস্টিক সহায়তা করেছে, এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে এই দুই জেলে। এই কারণেই হামলা করে তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

    রবিবারই এনিয়ে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক (Terror Alert)

    সম্প্রতি, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, জম্মুর শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেল ও কোট বালওয়াল জেল- এই দুই কারাগারে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিরা হামলার ছক কষছে। এরপরেই দুই জেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রবিবারই শ্রীনগরে সিআইএসএফ-এর ডিজির নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সম্পন্ন হয়। বহু শীর্ষ আধিকারিক এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এখানেই নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হয়। এরপরেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ২০২৩ সাল থেকে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে

    প্রসঙ্গত, দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিআইএসএফ জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কারাগারগুলির নিরাপত্তার দায়িত্ব সিআরপিএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে। এরপর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই অঞ্চলগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিস পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়। ধর্ম বেছে বেছে পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এরপরেই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে জঙ্গি নিকেশ অভিযান তীব্র করে প্রশাসন। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। ভাঙা হয় জঙ্গিদের বাড়ি। এরই মধ্যে জম্মুর দুই জেলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার খবর সামনে এল।

  • India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    India Pakistan Relation: পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত, বিরাট ক্ষতির মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে আরও এক পদক্ষেপ ভারতের। পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিল ভারত (India Pakistan Relation)। বুধবার রাতে নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত সরকারের এই ঘোষণার জেরে এখন থেকে পাক সংস্থার কোনও বিমান (Pakistani Flights) আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। কেন্দ্রের তরফে এদিন একটি ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত কোনও বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! (India Pakistan Relation)

    প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। এর পরেই সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। বুধবার কেন্দ্রের এই ঘোষণা সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করার পরপরই পদক্ষেপ করে পাকিস্তানও। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। পাক সরকারের সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যেই একই পদক্ষেপ করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’

    বুধবার রাতে ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জারি করে ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’। এটি প্রযোজ্য হবে ২৩ মে পর্যন্ত। বিমানবন্দরের এক কর্তার মতে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ‘নোটিশ টু এয়ারম্যান’ হল একটি নোটিশ যাতে বিমান পরিচালনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। আর এক কর্তা জানান (India Pakistan Relation), পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল ভারত। পাকিস্তানে নিবন্ধিত বিমানের পাশাপাশি পাকিস্তান বিমান সংস্থা এবং অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত, মালিকানাধীন বা লিজ নেওয়া বিমানগুলির জন্য ভারতীয় আকাশসীমা উপলব্ধ থাকবে না (Pakistani Flights)।

    বিশেষ নজরদারি

    পহেলগাঁওকাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকেই দুষছে নয়াদিল্লি। তবে ইসলামাবাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের হাত নেই। মুখে এ কথা বললেও, ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান। ভারত যে কোনও দিন তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কোনও অভিযান করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পাকিস্তানের আকাশসীমায়। ভারতের বিমান তো সেখানে নিষিদ্ধই, তবে ভারতের আকাশসীমা দিয়ে যদি কোনও বিদেশি বিমানও পাক আকাশে প্রবেশ করে, তাতেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনুমতি ছাড়া পাক আকাশে কোনও বিমান প্রবেশ করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে (India Pakistan Relation)। বুধবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    গোদের ওপর বিষফোঁড়া

    মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিতে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের বিমান যাতায়াত করে ভারতের ওপর দিয়ে। সেই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে ইসলামাবাদকে। কারণ ওই বিমানগুলিকে অনেকটা ঘুরে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যাত্রাপথ দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিমানে জ্বালানিও লাগবে আগের চেয়ে ঢের বেশি। সেই সঙ্গে লাগবে বেশি সময়ও। তাই বাড়তে পারে টিকিটের দাম। কমে যেতে পারে যাত্রী সংখ্যা। এমনিতেই পাক অর্থনীতির হাঁড়ির হাল।  অধিকাংশ ফ্লাইট মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় যায়। ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়াগামী বিমানগুলিকে হয় চিন নয়তো শ্রীলঙ্কা হয়ে যেতে হবে। তাই এই সময় (Pakistani Flights) গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে পড়েছে ইসলামাবাদ (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান চলাচল করে না।

    অর্থনৈতিক যুদ্ধ!

    অবসরপ্রাপ্ত এক ভারতীয় কূটনীতিকের মতে, “এটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্থনৈতিক যুদ্ধ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারত পাকিস্তানের জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করেছিল। এবার পাকিস্তানের বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি আরও বেশি।” ইউরোপীয় এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নিষেধাজ্ঞার (চার বছর পর গত বছর প্রত্যাহার করা হয়) মধ্যেই সঙ্কটে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) সামনে এখন নতুন অস্তিত্ব সঙ্কট। সর্বসাকুল্যে মাত্র ৩২টি বিমান রয়েছে পিআইএ-র। সেখানে ভারতের সব মিলিয়ে হাজারের বেশি। এক বিমান বিশেষজ্ঞের মন্তব্য, “এটি পিআইএ-র কফিনে শেষ পেরেক হয়ে উঠতে পারে (Pakistani Flights)।”

    পাকিস্তানের বড় ক্ষতি

    পাকিস্তানের আকাশসীমা দিয়ে আগে সপ্তাহে ৮০০-এরও বেশি ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল করত, যার মাধ্যমে তারা দৈনিক প্রায় ১,২০,০০০ মার্কিন ডলার আয় করত। এটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস ছিল। কিন্তু তাদেরই প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় এখন এই আয় বন্ধ হয়েছে। এক ভারতীয় ঊর্ধ্বতন বিমান কর্তৃপক্ষের কথায়, “ভারতীয় এয়ারলাইন্স বন্ধের পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারার শামিল। এখন তাদের আরও বড় ধাক্কার জন্য প্রস্তুত হতে হবে (India Pakistan Relation)।”

  • Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    Pahalgam Attack: পহেলগাঁওকাণ্ডের জের! নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদের মাথায় বসানো হল ‘র’-এর প্রাক্তনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ড (Pahalgam Attack) ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে পুনর্গঠন করা হল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (NSA Board)। ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশীকে ওই পর্ষদের প্রধান করা হয়েছে।

    নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন (Pahalgam Attack)

    গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এছাড়া স্থানীয় এক মুসলিম যুবক সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় এক খ্রিস্টান পর্যটকেরও। এই প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের আবহ। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার পুনর্গঠন করল নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।

    কারা রয়েছেন পর্ষদে

    এই পর্ষদের সদস্য সংখ্যা সাত। এই সদস্যরা হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কিংবা সিভিল সার্ভিস আধিকারিক। রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল পিএম সিং, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল একে সিং এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্নাও রয়েছেন এই পর্ষদে।

    অলোক ছাড়াও রয়েছেন দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিং। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছ। অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টার কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ (Pahalgam Attack)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পাল্টা যদি পাকিস্তান কোনওভাবে হামলা চালায় বা পাকিস্তানের বন্ধু বলে পরিচিত দেশগুলি ভারতে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে, সেজন্যও প্রস্তুত থাকা দরকার। সম্ভবত সেই কারণেই উপদেষ্টা বোর্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে, প্রাক্তন গোয়েন্দাপ্রধানকে শীর্ষে রেখে।

    ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় যে জঙ্গিরা, তাদের একজনেরও খোঁজ মেলেনি। ওই ঘটনার জেরে উত্তেজনা বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের। সেই সঙ্গে উপত্যকাজুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনার দায় স্বীকার (NSA Board) করে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (Pahalgam Attack)।

  • India: ‘একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’! হাতিয়ার পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, রাষ্ট্রসংঘে ইসলামাবাদকে তুলোধনা ভারতের

    India: ‘একটা দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’! হাতিয়ার পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, রাষ্ট্রসংঘে ইসলামাবাদকে তুলোধনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিশ্বের দরবারেও মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) পাকিস্তানের তীব্র নিন্দা করে তাকে ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করল। সম্প্রতি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ টেলিভিশনে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সমর্থন ও অর্থায়নের কথা কবুল করেছেন। ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। জঙ্গিদের ওই হামলায় রক্তাক্ত হয় ভূস্বর্গ। হত্যা করা হয় ২৮ জনকে। এঁদের মধ্যে ২৬ জনই হিন্দু। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিম যুবকও। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন এক খ্রিস্টানও।

    জঙ্গিদের মদত (India)

    সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাসোসিয়েশন নেটওয়ার্ক (ভোটান) চালুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি যোজনা প্যাটেল সরাসরি স্কাই নিউজকে সাক্ষাৎকারে দেওয়া পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, “সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ কীভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও সমর্থন করার পাকিস্তানের ইতিহাস স্বীকার করেছেন, তা গোটা বিশ্বই শুনেছে।”

    খাজা আসিফের স্বীকারোক্তি

    প্যাটেলের এই মন্তব্যের আগে (India) স্কাই নিউজে খাজা আসিফের স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা প্রায় তিন দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে এই নোংরা কাজ করেছি। এবং ব্রিটেনসহ পশ্চিমি দেশগুলির (United Nations)। এটা ছিল একটি ভুল। এজন্য আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যদি আমরা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং পরে ৯/১১-পরবর্তী যুদ্ধে যোগ না দিতাম, তাহলে পাকিস্তানের রেকর্ড ছিল সম্পূর্ণ নির্দোষ।”

    ভারতের প্রতিনিধি পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিতে বারবার প্রচার ছড়ানো এবং ভারতের বিরুদ্ধে অকারণ অভিযোগ তোলার অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পহেলগাঁও হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এটি ২০০৮ সালের ভয়াবহ ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর থেকে সর্বাধিক সংখ্যক বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনা (India)।”

    এই ঘটনার পর বৈশ্বিক সমর্থন ও সংহতি প্রকাশের জন্য পটেল কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, “এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জিরো টলারেন্সের প্রমাণ। আমরা আবারও জানাচ্ছি, যে সন্ত্রাসবাদের যে কোনও রূপকে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করতে হবে (United Nations)।”

  • Pahalgam Attack: রাত দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন! ভারতের ভয়ে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাদের

    Pahalgam Attack: রাত দেড়টায় সাংবাদিক সম্মেলন! ভারতের ভয়ে ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাস হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কাশ্মীরে আরও বড় ধরনের হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা। মঙ্গলবার জঙ্গি দমনে সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বস্তুত, তার পরেই আতঙ্কে ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত-সহ পাঁচ পদক্ষেপের জেরে এমনিতেই বেকায়দায় পড়েছে দুর্বল অর্থনীতির দেশ পাকিস্তান। এবার ভারত সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড খেলতে দেওয়ায় আক্ষরিক অর্থেই ঘুম উবে গিয়েছে পাক কর্তাদের। যার জেরে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, “আমরা নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছি, যা থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক হামলা চালাতে পারে।”

    মধ্যরাতে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট (Pahalgam Attack)

    মধ্যরাতে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি পোস্টও করেন। লেখেন, “পাকিস্তান বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েছে ভারত চাইছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনা সংক্রান্ত অ্যাকশনে নামতে পারে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার ভিত্তিহীন ও সাজানো অভিযোগের অজুহাতে তা হতে চলেছে।” পাকিস্তানের ওই মন্ত্রী তাঁর পোস্টে দাবি করেন, “একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান খোলাখুলিভাবে সত্য নিরূপণের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি নিরপেক্ষ কমিশন দ্বারা একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ এবং স্বাধীন তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, যুক্তির পথ অনুসরণ করার পরিবর্তে ভারত স্পষ্টতই অযৌক্তিকতা এবং সংঘাতের বিপজ্জনক পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার পরিণতি সমগ্র অঞ্চল এবং তার বাইরেও ভয়াবহ হবে।”

    কী বললেন পাক মন্ত্রী

    বরাবরের মতো এবারও ‘ভিকটিম কার্ড’ খেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তারার বলেন, “পাকিস্তান নিজেও বহুবার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে। তাই এই বিষয়ের যন্ত্রণা আমরা ভালোই জানি। আমরা সব সময়ই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সেটা যেখানেই হোক না কেন।” তিনি বলেন (Pahalgam Attack), “ভারত এখন বিচারক, জুরি আর শাস্তিদাতা হয়ে গিয়েছে। অথচ আমরা চাই, নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা স্বচ্ছ তদন্ত হোক। এতে (Pakistan) সত্যিটা সামনে আসবে।” পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের মন্ত্রী। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা যে কোনও মূল্যে রক্ষা করতে আমরা আমাদের দৃঢ় সঙ্কল্পের কথা ফের মনে করিয়ে দিচ্ছি ভারতকে।”

    মোদির হুঙ্কারে থরহরি কম্প পাকিস্তানের

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিহার থেকে পহেলগাঁওকাণ্ডে হুঙ্কার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “জঙ্গিদের বেঁচে-বর্তে থাকা জমিও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় চলে এসেছে।” এরপর মঙ্গলবার রাতে তিনি সেনাবাহিনীকে ফ্রিহ্যান্ড খেলার অনুমতি দিয়ে দেন। তার পরেই প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। ভারত যে ক্রমেই পাকিস্তানের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে, তা সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলে ফেলেছেন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খ্বজা মহম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, “যে কোনও দিনই পাকিস্তানে ঢুকে পড়তে পারে ভারতীয় সেনা। বিষয়টা অবশ্যম্ভাবী পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সেই কারণে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে পাকিস্তানও।”

    রাষ্ট্রসংঘের কাছে কান্না পাকিস্তানের

    সোমবার ইসলামাবাদে নিজের কার্যালয়ে বসে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বজা মুহম্মদ আসিফ বলেন, “আমাদের সেনা সামরিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। কারণ এটা (ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ) এমন একটা বিষয়, যা এখন অবশ্যম্ভাবী। তাই এমন সময় কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, সেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে (Pahalgam Attack)।” এদিকে, ভারতের হামলা করার পরিকল্পনার পর পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, “এ সংক্রান্ত স্পষ্ট তথ্য পাওয়া গিয়েছে।” পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের হস্তক্ষেপও চেয়েছে (Pakistan)।

    অন্যদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমেরিকা উভয় দেশকে পরিস্থিতি আরও জটিল না করতে অনুরোধ জানিয়েছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিও পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করবেন বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে তাদের বন্ধুদেশগুলিকেও অনুরোধ জানিয়েছে (Pahalgam Attack)।

  • Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Pegasus Spyware: “জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ফের মুখ পুড়ল বিরোধীদের। পেগাসাস স্পাইওয়্যার (Pegasus Spyware) ব্যবহারকাণ্ডে দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, নাগরিক সমাজকে নিশানা করা না হলে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা অন্যায় নয়। ২০২১ সালে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার প্রসঙ্গে জমা পড়া রিট পিটিশনের শুনানি হয় মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। পেগাসাস নিয়ে এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন এমনই মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।

    আড়ি পাতার অভিযোগ (Pegasus Spyware)

    প্রসঙ্গত, পেগাসাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এনিয়ে বিশদ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তা নিয়ে একটি কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও সেই তদন্তের রিপোর্ট আজও দেখেনি দিনের আলো।

    কী বলল বেঞ্চ

    এদিন মামলাটির শুনানি হচ্ছিল বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চের প্রশ্ন, “দেশ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করলে সমস্যা কোথায়? বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার, স্পাইওয়্যার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস না করাই ভালো। কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে, অবশ্যই সে প্রশ্ন উঠবে।” এর পরেই বেঞ্চ বলে, “নাগরিক সমাজের কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হলে, অবশ্যই দেখা হবে।” বিচারপতি সূর্যকান্ত (Supreme Court) বলেন, “আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি, তাতে সাবধানী হতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গেই তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

    তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবি

    আবেদনকারীর হয়ে এদিন আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান পেগাসাস (Pegasus Spyware) তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানান। সে প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমিকতার প্রশ্ন জড়িয়ে যে রিপোর্টের সঙ্গে, তা ছোঁয়া যাবে না। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি জানতে চান, তাঁর নাম আছে কি না, আলাদাভাবে তাঁকে তা জানানো যাবে। এদিন মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেছিলেন দীনেশ দ্বিবেদী নামেও এক আইনজীবী। তিনি বেঞ্চকে বলেন, পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেন্দ্রীয় সরকার কিনেছে না কেনেনি, সেটা আমাদের সমস্যা নয়। আমার মামলাকারীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে যদি সত্যই এটা থাকে, তবে তাদের এটা ব্যবহার করা থেকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো কেউ নেই। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি সূর্যকান্তের পর্যবেক্ষণ, “সরকার যদি এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেও, তাহলে সমস্যাটা কোথায়? স্পাইওয়্যার রাখায় কোনও সমস্যা নেই। আমরা কোনও মতেই দেশের নিরাপত্তাকে সঙ্কটে ফেলতে পারি না।”

    সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য

    কেন্দ্রের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “জঙ্গিদের গোপনীয়তা রক্ষার কোনও অধিকার নেই (Supreme Court)।” এদিকে, অন্য কয়েকজন মামলাকারীর তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের রায় তুলে ধরে তিনি বলেন, “ওদের আদালত আগেই বলেছিল, ভারত অন্যতম যেখানে পেগাসাস (Pegasus Spyware) ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে।”

    স্পাইওয়্যার পেগাসাস

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতানেত্রী এবং কয়েকজন সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর-সহ একাধিক নেতা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ফোনেও আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল সেই সময়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন। সেই মামলারই শুনানি হল এদিন।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার

    পেগাসাসকে আড়িপাতার অভিযোগে দায়ি করেছিল আমেরিকার একটি আদালত। সেই সময় জানা গিয়েছিল, ১৪০০ ডিভাইসে তাদের স্পাইওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছিল। মার্কিন আদালতের সেই রায়ের কপিও এদিন দেখতে চায় আদালত। ব্যক্তিবিশেষের উদ্বেগের কারণ থাকলেও, সেই সংক্রান্ত নথি রাস্তায় মুখরোচক আলোচনার বিষয় হতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত এদিন এও জানিয়ে দেয়, যাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে, তাঁদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হবে সংবিধানের আওতায়। ডিভিশন বেঞ্চ এটাও জানিয়ে দেয়, দেশের সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত কোনও রিপোর্টে হাত দেওয়া যাবে না। তবে ব্যক্তিগত আশঙ্কার সমাধান করা হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এও জানিয়ে দিয়েছে, টেকনিক্যাল কমিটির রিপোর্টের কতটা অংশ কাউকে দেওয়া হবে, সেটা খতিয়ে দেখবে শীর্ষ আদালত (Pegasus Spyware)।

  • Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    Pahalgam Attack: হামলার পর সক্রিয় একাধিক স্লিপার সেল! বন্ধ করা হল জম্মু-কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন স্থল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে বন্ধ করে দেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ৪৮টি পর্যটন স্থল। সব মিলিয়ে এখানে রয়েছে ৮৭টি পর্যটন স্থান। তারই একটা বড় অংশ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। গত মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে গিয়ে খুন হন স্থানীয় এক মুসলিমও। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২৮। জঙ্গিদের খোঁজে উপত্যকায় চলছে চিরুনি তল্লাশি। এমন আবহে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, পহেলগাঁওয়ে হামলা সফল হওয়ায় উৎসাহিত হয়েছে জঙ্গিরা। তাই সক্রিয় হয়েছে উপত্যকায় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কিছু স্লিপার সেল। তাদের অপারেশন শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওপর মহল থেকে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, অদূর ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি কাশ্মীরি নন, এমন ব্যক্তিদেরও লক্ষ্য করে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র মারফত এমন খবর পেয়ে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। তার জেরেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৪৮টি পর্যটনস্থলের দ্বার।

    বাড়ছে জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা! (Pahalgam Attack)

    গোয়েন্দা সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই শ্রীনগর ও গান্ডেরবাল জেলায় বিশেষ করে স্থানীয় নন এমন ব্যক্তি, সিআইডি কর্তা-কর্মচারী এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করেছে (Jammu and Kashmir)।পহেলগাঁওকাণ্ডের পর কাশ্মীরে ৯ জন জঙ্গির বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর পরেই জঙ্গিদের প্রতিশোধ স্পৃহা আরও জোরালো হয়েছে। সেই কারণেই এবার তারা শুরু করেছে আরও বড় ধরনের হামলা চালানোর সলতে পাকানোর কাজ। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, রেল পরিকাঠামোর সংবেদনশীলতা ও উপত্যকায় স্থানীয় নন এমন রেলকর্মীদের ব্যাপক (Pahalgam Attack) উপস্থিতির কারণে রেলওয়েকে লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই কারণে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের তাঁদের নির্ধারিত ক্যাম্প ও বারাকের বাইরে যাতায়াত না করার পরামর্শ দিয়েছে।

    এই জায়গাগুলি ঝুঁকিপূর্ণ

    কাশ্মীর প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হল পর্যটকদের নিরাপত্তা। সে কথা বিবেচনা করেই আগেভাগে পদক্ষেপ করা হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই ৪৮টি জায়গাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলি হল, শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদ, বাদামওয়ারি, রাজোরি কাদল হোটেল কানাজ, আলি কাদল জেজে ফুড রেস্তোরাঁ, আইভরি হোটেল, পদশপাল রিসর্ট এবং রেস্তোরাঁ, চেরি ট্রি রিসর্ট (ফকির গুজরি), নর্থ ক্লিফ ক্যাফে এবং স্টে প্যাটার্ন দ্বারা রিট্রিট, ফরেস্ট হিল কটেজ, ইকো ভিলেজ রিসর্ট, আস্তানমার্গ ভিউ পয়েন্ট, আস্তানমার্গ প্যারাগ্লাইডিং, মামনেথ এবং মহাদেব পাহাড়, বৌদ্ধ মঠ, দাচিগাম – বিয়ন্ড ট্রাউট ফার্ম / ফিশারিজ ফার্ম এবং আস্তানপোরা (বিশেষ করে কায়াম গাহ রিসর্ট এবং লাচপাত্রি)।

    দ্বার বন্ধ

    বারমুল্লা জেলার যে পর্যটন স্থলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার স্বার্থে, তার মধ্যে রয়েছে, উলার / ওয়াটল্যাব, রামপোরা এবং রাজপোরা, চেয়ারহার, মুন্ডিজ-হামাম-মারকুট জলপ্রপাত, খাম্পু, বসনিয়া, ভিজিটপ, বাবরেশি, শ্রুঞ্জ জলপ্রপাত, কামানপোস্ট, নাম্বলান জলপ্রপাত (Pahalgam Attack), ইকোপার্ক খাদনিয়ার, গোগলদারা, হাব্বা খাতুন পয়েন্ট, রিঙ্গাওয়ালি এবং বদরকোট। বদগাঁও জেলায় যেসব স্পট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল ইউসমার্গ, তৌসিময়দান এবং দুধপাথরি (Jammu and Kashmir)। অনন্তনাগ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সূর্য মন্দির, ভেরিনাগ গার্ডেন, সিন্থান টপ, মারগানটপ এবং আকদ পার্ক। কুলগাঁও জেলায় বন্ধ করা হয়েছে আহরবাল এবং কাউসারনাগের দরজা। কুপওয়াড়া জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঙ্গুস, কারিওয়ান ডুবুরি চান্দিগাম এবং বাঙ্গুস ভ্যালি। গান্ডেরবাল জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাং পার্ক এবং নারানাগ। পুলওয়ামা জেলায় বন্ধ করা হয়েছে একটিমাত্র পর্যটনস্থল। সেটি হল সাঙ্গারওয়ানি।

    এনআইএ-র তদন্ত

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেও ভূস্বর্গে আসছেন পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়েও বেড়াতে আসছিলেন পর্যটকরা। নিরাপত্তা রক্ষীরা রাজ্যজুড়ে জোরালো জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করে। আটক করা হয় শতাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং জঙ্গিদের প্রতি সহানুভূতিশীলকে (Pahalgam Attack)। গোয়েন্দারা জেনেছেন, পহেলগাঁওকাণ্ডে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের রাস্তা চিনিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় এক জঙ্গি। সেই কারণেই আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজনদের। দুরমুশ করে দেওয়া হয়েছে ৯ জঙ্গির বাড়ি। এদিকে, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণ করেছে। এনআইএর আধিকারিকরা স্থানীয় কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন। গুজরাটি পর্যটক ঋষি ভট্টের মতো যাঁরা সেদিন বেঁচে ফিরেছেন পহেলগাঁও থেকে এবং যাঁর (Jammu and Kashmir) ভিডিও ফুটেজে জঙ্গিদের ছবি ধরা পড়েছে, তাঁদেরও জেরা করা হবে বলে এনআইএ সূত্রে খবর (Pahalgam Attack)।

LinkedIn
Share