Tag: Terrorists

Terrorists

  • Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    Pakistan: “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন,” তোপ প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আসিম মুনির (Asim Munir) হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন।” পাক (Pakistan) সেনাপ্রধান সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন পেন্টাগন কর্তা মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, “ইসলামাবাদ যুদ্ধোন্মাদ আচরণের মাধ্যমে একটি জঙ্গি রাষ্ট্রের মতো আচরণ করছে।” রুবিন পাকিস্তানের কার্যত সামরিক শাসক মুনিরকে ৯/১১ হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “মুনিরের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি বিশ্বের কাছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    বিতর্কের সূত্রপাত (Pakistan)

    বিতর্কের সূত্রপাত মুনিরের একটি বক্তব্যকে ঘিরে। সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় পাকিস্তানের কনসাল আদনান আসাদ আয়োজিত ব্ল্যাক-টাই ডিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুনির বলেছিলেন, “আমরা একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি আমরা ডুবে যাচ্ছি, তাহলে আমরা বিশ্বের অর্ধেককে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” ভারত মুনিরের পারমাণবিক যুদ্ধের এই হুমকির আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দে করেছে। বিদেশমন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “পারমাণবিক অস্ত্রের ঝনঝনানি পাকিস্তানের চিরাচরিত কৌশল এবং দুঃখের বিষয় হল এ ধরনের মন্তব্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ তৃতীয় দেশের মাটি থেকে করা হয়েছে (Asim Munir)।”

    মুনিরকে ধুয়ে দিলেন রুবিন

    কেবল ভারত নয়, মুনিরকে ধুয়ে দিয়েছেন রুবিনও। তিনি বলেন, “আমেরিকানরা সন্ত্রাসবাদকে ক্ষোভের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তারা অনেক জঙ্গির আদর্শগত ভিত্তি বোঝে না।” এর পরেই তিনি বলেন, “আসিম মুনির হলেন স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন (Pakistan)।” প্রাক্তন মার্কিন আধিকারিক রুবিনের ইঙ্গিত, পাকিস্তানের পারমাণবিক হুমকি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে। তাঁর যুক্তি, পাকিস্তান ঐতিহ্যগত কূটনৈতিক বিরোধের তুলনায় মৌলিকভাবে এক ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করছে। রুবিন বলেন, “মুনিরের বক্তব্য অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি পাকিস্তান একটি রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম?” তিনি বলেন, “একজন ফিল্ড মার্শালের কথাবার্তা আমাদের ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে শোনা বক্তব্যের মতো শোনাচ্ছে।”

    রুবিনের প্রস্তাব

    রুবিনের প্রস্তাব, আন্তর্জাতিক (Asim Munir) সম্প্রদায়ের উচিত পাকিস্তানকে তার ভাষায় পরিকল্পিত পতনের মধ্যে দিয়ে যেতে দেওয়া, যার মধ্যে বালুচিস্তানের মতো বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তিনি এমনকি ভবিষ্যতে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সুরক্ষার জন্য সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, “সময় প্রায় এসে গিয়েছে যখন ভবিষ্যতের কোনও প্রশাসনকে অন্য এসইএএল টিম পাঠিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে তার পারমাণবিক অস্ত্র সুরক্ষিত করতে হবে। কারণ বিকল্পটি এতটাই ভয়াবহ যে সেটি সহ্য করার মতো নয়।”

    পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত

    রুবিনের মতে, এমন (Pakistan) কোনও কারণ নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে একটি প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র হিসেবে বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের হওয়া উচিত প্রথম প্রধান অ-ন্যাটো মিত্র, যাকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে এবং তার আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সদস্য থাকা উচিত নয়।” কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে রুবিন বলেন, “আসিম মুনিরকে আমেরিকার উচিত অবাঞ্ছিত ব্যক্তি ঘোষণা করা এবং যেন কখনওই তিনি আমেরিকান ভিসা না পান। একই সঙ্গে কোনও পাকিস্তানি কর্মকর্তাও নয়, যতক্ষণ না পাকিস্তান নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে এবং মুনিরের এহেন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চায় (Asim Munir)।”

    ওসামা বিন লাদেনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে

    রুবিন বলেন, “আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের এহেন হুমকি মেনে নেওয়া যায় না। ইসালামাবাদের এই হুমকি বিশ্বের সামনে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই দেশ কি আদৌ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে তার দায়িত্ব পালন করবে অথবা শেষ সময় চলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানি (Pakistan) ফিল্ড মার্সালের উসকানিমূলক ধমক ওসামা বিন লাদেনের মুখের কথাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদকে দেখে অভাব-বঞ্চনার চশমা চোখে। তারা বোঝে না বহু জঙ্গির মনে আদর্শগত আক্রোশ চোরা স্রোতের মতো ঘুরে বেড়ায়।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন

    মার্কিন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে মুনিরের এহেন মন্তব্যের পরেও ট্রাম্প কোনও পদক্ষেপ না করায় ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পেন্টাগনের এই প্রাক্তন কর্তা। তিনি বলেন, “আসিম মুনির যখন এই মন্তব্য করেছিলেন, তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে টাম্পা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে গিয়ে আমেরিকা থেকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত ছিল।” একই সঙ্গে ভারতের বক্তব্যকে সমর্থন করে (Asim Munir) পেন্টাগনের এই প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, “পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ঘোষণা করা হোক (Pakistan)।”

  • Operation Akhal: জঙ্গি দমনে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন অখল, তিনদিনে খতম ৬ জঙ্গি

    Operation Akhal: জঙ্গি দমনে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন অখল, তিনদিনে খতম ৬ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) তিনজন জঙ্গির নিহত হওয়া এবং একজন জওয়ানের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে সেখানে “অপারেশন অখল” (Operation Akhal) নামে একটি সন্ত্রাস দমন অভিযান চলছে, যা চলতি বছরের অন্যতম বড় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার এই অভিযান তৃতীয় দিনে পা দিয়েছে, এবং এখনও পর্যন্ত মোট ছয়জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

    শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন জঙ্গি নিহত হয় (Operation Akhal)

    এর আগে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তিনজন জঙ্গি নিহত হয়। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার আখাল বনাঞ্চলে শনিবার রাতে সারারাত বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল এই অভিযান চালাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ওই এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোপন গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পরই নিরাপত্তা বাহিনী চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। আখাল বনাঞ্চলকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসবাদীদের গোপন আস্তানাগুলিতে গুলি চালাতে শুরু করে (Operation Akhal)। শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ।

    শনিবার নিহত জঙ্গিরা “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)”-এর সদস্য ছিল

    প্রাথমিক পর্যায়ে গুলি বিনিময়ের পর, শুক্রবার রাতে সাময়িকভাবে অভিযান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার আবার অভিযান শুরু হলে, নিরাপত্তা বাহিনী তিনজন জঙ্গিকে খতম করতে সমর্থ হয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী (Operation Akhal), শনিবার নিহত জঙ্গিরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা-র শাখা “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)”-এর সদস্য ছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, এই সংগঠন পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। সেই হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।

    অপারেশন মহাদেব

    জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) সন্ত্রাস দমন অভিযানে যৌথ বাহিনী বর্তমানে উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারি ব্যবস্থা, ড্রোন, এবং উন্নত পরিকাঠামো ব্যবহার করছে। এর আগে, “অপারেশন মহাদেব” চালানো হয়, যেখানে শ্রীনগরের দাঁচিগাঁও এলাকায় পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত লস্করের জঙ্গিদের খতম করা হয়। পরদিন, অর্থাৎ ২৯ জুলাই, চালানো হয় আরেকটি অভিযান “অপারেশন শিবশক্তি”, যেখানে আরও দুই সন্ত্রাসীকে নিকেশ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২০ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ৬ ও ৭ মে তারিখে ভারত “অপারেশন সিঁদুর” চালায়, যেখানে পাকিস্তানি সীমান্তে অনুপ্রবেশকারী ১০০-র বেশি সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করা সম্ভব হয় (Operation Akhal)।

  • UNSC: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত টিআরএফ, উল্লেখ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টে, কূটনৈতিক জয় ভারতের

    UNSC: পহেলগাঁও হামলায় জড়িত টিআরএফ, উল্লেখ নিরাপত্তা পরিষদের রিপোর্টে, কূটনৈতিক জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও (UNSC) কূটনৈতিক সাফল্য পেল ভারত। সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) নাম উল্লেখ করেছে সরাসরি। ২৪ জুলাই প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে নিরাপত্তা পরিষদ ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) সংঘটিত জঙ্গি হামলার সঙ্গে টিআরএফকে যুক্ত করেছে। পাক মদতপুষ্ট ওই জঙ্গি হামলায় বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৬ জন নিরপরাধ হিন্দু পর্যটককে।

    টিআরএফ হামলার দায় কবুল করে (UNSC)

    ১২৬৭ নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে উপস্থাপিত ৩৬তম বিশ্লেষণাত্মক সহায়তা ও নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিআরএফ দু’বার ওই হামলার দায় কবুল করে এবং হামলাস্থলের একটি ছবিও প্রকাশ করে। যদিও এর ঠিক চার দিন পর এই দাবি প্রত্যাহার করা হয় এবং তারপর আর কোনও গোষ্ঠীই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানও। এই পাকিস্তানের প্রবল চেষ্টার পরেও টিআরএফের সঙ্গে তার সম্পর্ক অস্বীকার করার এবং নিজেদের নাম এই প্রসঙ্গ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা সত্ত্বেও, শেষমেশ সেটি অন্তর্ভুক্তি করা হয়। এতেই কূটনৈতিক জয় দেখছে ভারত।

    টিআরএফ লস্কর-ই-তৈবার সমার্থক

    নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান আগে এপ্রিল মাসে পরিষদের এক প্রেস বিবৃতি থেকে টিআরএফের নাম উল্লেখ করা বাদ দেওয়াতে পেরেছিল। তবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা মনিটরিং টিমের এই প্রতিবেদন পাকিস্তানের এই চেষ্টা সফল হতে দেয়নি। সেখানে স্পষ্টভাবেই টিআরএফের নামোল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে টিআরএফের পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে অপারেশনাল সংযোগ সম্পর্কেও একাধিক সদস্য রাষ্ট্রের মতামত উঠে এসেছে। রাষ্ট্রসংঘের নথি অনুযায়ী, এক সদস্য রাষ্ট্র বলেছে যে পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হত্যাকাণ্ড হামলা লস্কর-ই-তৈবার সাহায্য ছাড়া ঘটতেই পারত না। অন্য এক রাষ্ট্র আবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি টিআরএফকে লস্কর-ই-তৈবার সমার্থক বলে আখ্যা দিয়েছে (UNSC)। যদিও একমাত্র রাষ্ট্র পাকিস্তানই এই দাবি অস্বীকার করে জানিয়েছে যে, লস্কর-ই-তৈবা এখন নিষ্ক্রিয়। বস্তুত, পাকিস্তানের এই দাবি নিরাপত্তা পরিষদে আদৌ পানি পায়নি।

    নিরাপত্তা পরিষদের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা পরিষদের এই পর্যবেক্ষণগুলি এসেছে ভারতের পক্ষ থেকে এপ্রিল ও মে মাসে কমিটিকে দেওয়া গোপন ব্রিফিংয়ের পর। সেখানে টিআরএফের উদ্ভবকে লস্কর-ই-তৈবার একটি ছদ্মপ্রতিনিধি সংগঠন হিসেবে এবং একটি নতুন নামে সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
    যদিও পাকিস্তান বারবার অস্বীকার করেছে যে টিআরএফ বা পিপলস এগেইনস্ট ফ্যাসিস্ট ফ্রন্টের মতো সংগঠনগুলি নিষিদ্ধ। এরা লস্কর-ই-তৈবা বা জইশ-ই-মহম্মদের শাখা হয়ে কাজ করে। এদের নিরপেক্ষ নাম শুধুমাত্র তাদের আসল পরিচয় ঢাকতে ব্যবহৃত হয়। তবে এখন টিআরএফের নাম নিরাপত্তা পরিষদের একটি আনুষ্ঠানিক মনিটরিং রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পাকিস্তানের এই অবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

    ভারতের জয়

    এর আগে পাকিস্তান তার জাতীয় সংসদে গর্ব করে বলেছিল, তারা টিআরএফের নাম নিরাপত্তা পরিষদের প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দিতে পেরেছে। কিন্তু মনিটরিং টিমের এই রিপোর্ট এখন প্রেস বিবৃতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ এটি ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ভিত্তি হিসেবেই ব্যবহৃত হবে (UNSC)। টিআরএফের এই নামোল্লেখের মাধ্যমে ভারত টিআরএফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা হবে নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটিতে, যেখানে ভারত এই গোষ্ঠীকে একটি বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণার জন্য চাপ দিচ্ছে। ভারতের এই প্রচেষ্টা সফল হলে টিআরএফের সদস্য এবং সংশ্লিষ্টদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল, অস্ত্র সরবরাহ এবং ভ্রমণের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে পাকিস্তান কূটনৈতিকভাবে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে (Pahalgam Attack)।

    সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন

    উল্লেখযোগ্যভাবে ২০১৯ সালের পর এই প্রথম রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনটিতে লস্কর-ই-তৈবা  এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলির নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে। এটি জম্মু ও কাশ্মীরে পাক-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পুনরুত্থানকে নির্দেশ করে (UNSC)। সংসদে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগেই বলেছিলেন, রাষ্ট্রসংঘের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগে টিআরএফের নামোল্লেখ না করতে পাকিস্তান যথাসাধ্য চেষ্টা করছিল। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রসংঘের পর্যবেক্ষণ দল যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তা ভারতের কূটনৈতিক (Pahalgam Attack) প্রচেষ্টার একটি স্বীকৃতি। কারণ এতে রেকর্ড করা হয়েছে যে, সীমান্ত পারাপারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান-ভিত্তিক এই গোষ্ঠীর সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে (UNSC)।

  • Al Qaeda: গুজরাটে গ্রেফতার আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চার জঙ্গি

    Al Qaeda: গুজরাটে গ্রেফতার আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চার জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে গ্রেফতার চার জঙ্গি। জানা গিয়েছে, এই চারজনই আল কায়েদার (Al Qaeda) সঙ্গে যুক্ত। জাল টাকা চালানোর কারবারের সঙ্গেও এরা জড়িত। বৈশ্বিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার মতাদর্শ ছড়ানোর কাজে লিপ্ত ছিল এই চারজন। গুজরাট (Gujarat) অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) তাদের গ্রেফতার করে। এটিএস জানিয়েছে, তিনজনকে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করা হলেও, একজনকে ধরা হয়েছে অন্য রাজ্য থেকে।

    গুজরাটে ধৃত ৪ জঙ্গি (Al Qaeda)

    ধৃতেরা হল মহম্মদ ফায়েক, মহম্মদ ফারদিন, সেফুল্লাহ কুরেশি এবং জিশান আলি। সূত্রের খবর, ধৃতেরা সোশ্যাল মিডিয়া এবং সন্দেহজনক কিছু অ্যাপের মাধ্যমে আল কায়েদার মতাদর্শ প্রচার করছিল। তারা ব্যবহার করত ‘অটো-ডিলিট’ অ্যাপ। তাই তারা যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত কিংবা যেসব বিষয়ে কথাবার্তা বলাবলি করত, তার কোনও প্রমাণ থাকত না। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতে আল কায়েদার জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। গুজরাট এটিএসের কর্তারা জানিয়েছেন, এই চার অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত। তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এই চারজনের কথাবার্তায় রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপের ইঙ্গিত পাওয়ার পরই তারা নজরে পড়ে এটিএসের। গুজরাট এটিএস জানিয়েছে, তারা এখন অভিযুক্তদের চ্যাট ও সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে।

    গ্রেফতার হয়েছিল ৩ বাঙালিও

    প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে (Al Qaeda) এই গুজরাটেই আল কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাংলার তিন যুবককে। রাজকোটের সোনিবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা গ্রেফতার করেছিল তাদের। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল এবং ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এই তিনজনও ইসলামপন্থী। এদের মধ্যে আবদুল শুকার আলি শেখ এবং সইফ নওয়াজ বর্ধমানের বাসিন্দা। আর আমন মালিকের বাড়ির হুগলির তারকেশ্বরে। সূত্রের খবর, বাংলার ওই তিন যুবক আট মাস ধরে রাজকোটের সোনি বাজারে থাকত। স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাই করার চেষ্টা করত তারা।

    ২০২১ সালে মধ্যপ্রদেশে ধরা পড়ে আল কায়েদার জঙ্গি মডিউল। বাংলার ওই তিনজন সেই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করেছিল গুজরাট পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে গ্রেফতার (Gujarat) করা হয় আবু তালহা নামের এক হ্যান্ডলারকে। তাকে জেরা করেই বাংলার ওই তিনজনের হদিশ পায় গুজরাট পুলিশ (Al Qaeda)।

  • Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    Terrorists: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, সতর্ক করল কাঠমাণ্ডু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন (Terrorists), বিশেষত লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ। এই মর্মে ভারতকে সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। নেপালি আধিকারিকদের সতর্কবার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নেপাল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট আয়োজিত একটি সেমিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতকে এই বার্তা দেন নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা সুনীল বাহাদুর থাপা।

    ভারত-নেপাল সীমান্ত (Terrorists)

    ভারতের সঙ্গে নেপালের স্থলসীমান্ত বিস্তৃত ১ হাজার ৭৫১ কিলোমিটার। এটি একটি উন্মুক্ত সীমান্ত, ভিসা ছাড়াই যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে দুই দেশের নাগরিকরাই নিয়মিতভাবে চাকরি কিংবা অন্য কোনও কাজে নিত্য সীমান্ত পারাপার করেন। এই দুই দেশের মধ্যে একটি দৃঢ় সাংস্কৃতিক সম্পর্কও রয়েছে।  নেপালের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টার আশঙ্কা, এটাকেই কাজে লাগাতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। পরিচয় গোপন করে কিংবা ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে ভায়া নেপাল হয়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে তারা।

    পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গ্রেফতার

    ২০১৭ সালে সশস্ত্র সীমা বল পাক মদতপুষ্ট এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। নেপালের রুট ব্যবহার করেই ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। নয়াদিল্লির এই সামরিক ও কৌশলগত সাফল্যের প্রেক্ষিতে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান ছাড়াও ভারতের সব সীমান্তেই সতর্কতা বজায় রাখা প্রয়োজন, যাতে অনায়াসেই রোধ করা যায় কোনও অবৈধ কার্যকলাপ এবং সুরক্ষিত থাকে জাতীয় নিরাপত্তা (Terrorists)।

    মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও অস্থির শাসন ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিবেশও ভারতের যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ। এহেন আবহে এল নেপালি প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সতর্কবার্তা। কাঠমাণ্ডুর ওই সেমিনারে নেপালের কর্তারা এবং বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দেন, সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদত সার্ক-এর ঐক্য ও সমগ্র অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নেপালি কর্তাদের এহেন মন্তব্যে ফের একবার মান্যতা পেল ভারতের দাবি। প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লি বরাবারই দাবি করে আসছে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান (Terrorists)।

  • Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    Mali: কারখানা থেকে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করে নিয়ে গেল জঙ্গিরা, মালির ঘটনায় উদ্বেগে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে (Mali) তিন ভারতীয় নাগরিকের অপহরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। বর্তমানে এই দেশটির একাধিক অঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রক ঘটনাটিকে ‘নিন্দনীয় হিংসা’ অভিহিত করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। অপহৃতদের উদ্ধার ও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে মালির সরকারকে (Al Qaeda)।

    বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য (Mali)

    বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির কায়েসে অবস্থিত ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন  ভারতীয় শ্রমিককে ১ জুলাই অপহরণ করা হয়। ওইদিন একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী ওই ফ্যাক্টরিতে হামলা চালিয়ে অপহরণ করে তিন ভারতীয় নাগরিককে। খবর পাওয়ার পরেই অপহরণকারীদের উদ্ধার করতে তৎপর হয় নয়াদিল্লি। ভারত মালির সরকারকে আহ্বান জানায় যাতে অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের “নিরাপদ ও দ্রুত” মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে “মালি প্রজাতন্ত্রের কায়েস শহরের ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের ঘটনায় বিদেশ মন্ত্রক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ঘটনাটি ঘটে ২০২৫ সালের ১ জুলাই, যখন একদল সশস্ত্র হামলাকারী কারখানাটিতে হামলা চালায় এবং জোর করে ওই তিন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় (Mali)।”

    যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে আল-কায়েদার সঙ্গে যোগ রয়েছে জামাআত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (JNIM) নামে এক সংগঠনের।  মঙ্গলবার এরাই মালির বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালির রাজধানী বামাকোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের পরিবারের সঙ্গেও দূতাবাসের তরফে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার এই নিন্দনীয় সহিংস ঘটনার কঠোর নিন্দা করছে (Al Qaeda) এবং মালি সরকার যাতে দ্রুত ও নিরাপদে অপহৃত ভারতীয়দের মুক্তির জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়, সেই আহ্বানও জানাচ্ছে (Mali)।”

  • Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে মিলেছে বড়সড় সাফল্য। খতম হয়েছে তাদের শীর্ষ নেতা বাসবরাজু। দেশের ভিতরে উগ্র বামপন্থাকে (Communist) এমন যোগ্য জবাব দেওয়ার পরে সেনা জওয়ানরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সামনে এসেছে সেই ভিডিও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বামপন্থী দলগুলির অবস্থান তা একবার ফের তাদের দেশদ্রোহিতার মুখোশকেই উন্মোচন করল। সিপিআই ও সিপিএমের মতো দলগুলির বিবৃতিতেই স্পষ্ট যে তার ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ জাতীয় জীবনের বিরোধী।

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী। মাওবাদী দমন অভিযানের পরেও তাদের বিবৃতিতেও স্পষ্ট হয়ে উঠল যে তারা এখনও পর্যন্ত ভারতীয় হয়ে উঠতে পারেনি। এভাবেই তারা নিন্দা জানাল বাহিনীর গুলিতে খতম হওয়া নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর। প্রসঙ্গত, বাসবরাজু ছিলেন মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (Communist)। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সাধারণ মানুষদের হত্যা, সেনা জওয়ানদের হত্যা একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল। এই ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, সেই সিপিআই (মাওবাদী) নেতাকে যখন খতম করা হল, তখন তারই সমর্থনে এগিয়ে এল এবং নিন্দা জানাল সিপিআই ও সিপিএম।

    কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতিতে জাতীয়তা-বিরোধিতার ছায়া (Communist)

    এদের মধ্যে সিপিএম তাদের নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, অমানবিক নীতি গ্রহণ করেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সিপিআই এটাকে ‘বিচার বহির্ভূত’ পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছে। ‘‘ঠান্ডা মাথায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বদাই অধিকারের কথা বলে। খুব সত্যি কথা বলতে তারা এ নিয়ে ভন্ডামি করে। কমিউনিস্ট পার্টি অধিকারের কথা মাওবাদীদের জন্য বলে কিন্তু মাওবাদী হামলায় মৃতদের জন্য অধিকারের কথা বলে না। প্রসঙ্গত, বামপন্থীদের এমন বিবৃতি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়। এর মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে সেই শত শত জওয়ানদেরকে। যাঁরা তাঁদের নিজেদের উৎসর্গ করেন দেশের জন্য!

    ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন জওয়ান শহিদ হন, বাসবরাজু ছিল হামলার মূলচক্রী

    একথা বলা দরকার, বাসবরাজু (Basavaraju) শুধুমাত্র একজন নেতা নয়, সে ছিল অপারেশনাল হেড এবং মাস্টারমাইন্ড। ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন শহিদ হন। বাসবরাজু ছিল এই মাওবাদী হামলার মূলচক্রী। বাসবরাজুর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ের ঝিরানকাটে গণহত্যা ঘটানো হয়। সেখানেও অজস্র রাজনৈতিক নেতাকে খুন করা হয়। যদি কমিউনিস্ট নেতারা মনে করেন, বাসবরাজুকে খতম করার ঘটনা বিচার বহির্ভূত, তাহলে তারা মাওবাদী গণহত্যাকে কোন চোখে দেখেন? প্রসঙ্গত, দেশের বামপন্থী দলগুলি ভারতীয় সেনাকে লেঠেল বলেও সম্বোধন করে। কমিউনিস্ট পার্টি (Communist) কখনও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের আত্মত্যাগকে মর্যাদাও দেয় না। এভাবেই ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মর্যাদার ওপরে আঘাত করে তারা। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে কমিউনিস্টরা প্রশ্ন তুলছে। যাঁরা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করছেন, দেশের ঐক্যকে রক্ষা করছেন, অখণ্ডতাকে রক্ষা করছেন।

    নাগরিক হত্যার সময় চুপ থাকে বামপন্থী দলগুলি (Communist)

    এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে যেই রাজনৈতিক দলগুলি সংবিধানের আওতায় থেকে কাজ করছে। কিন্তু তারা সেই ধরনের কথাই বলছে যা সংবিধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারণ দেশের সংবিধানের কথা কমিউনিস্ট দলগুলির (Communist) তখনই মনে পড়ে যখন তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করতে পারে। নিরীহ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালায়। যখন নাগরিকদেরকে হত্যা করা হয় তখন সংবিধানের কথা এই বামপন্থী দলগুলোর মনে পড়ে না। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদ-লেনিনবাদ) তারা সরাসরি এই অপারেশনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছে। প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের উপস্থিতি ভারতবর্ষের অনুন্নয়নের একটি বড় কারণ।

    অনুন্নয়নকে কাজে লাগায় মাওবাদীরা

    দেখা যাচ্ছে, সড়কের অভাব, রেল যোগাযোগের অভাব, অনুন্নয়ন- এইগুলোই বেকারত্ব বাড়ায় যা মাওবাদীরা ব্যবহার করে। এভাবেই নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে কাজে লাগায় তারা। মোদি জমানায় উন্নত হচ্ছে মাওবাদী প্রাভাবিত অঞ্চলগুলি। সেখানে পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছে তাই মাওবাদীরা। বাসবরাজুর মতো গুরুত্বপূর্ণ মাওবাদী নেতাকে খতম করা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বড় মাইলস্টোন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্টে ২৭ জন মাওবাদীকে খতম করা গিয়েছে। সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।

  • S Jaishankar: “দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা, সব জানে পাক সরকার”, বিস্ফোরক জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা, সব জানে পাক সরকার”, বিস্ফোরক জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কুখ্যাত জঙ্গিরা সকলে পাকিস্তানেই (Pakistan) রয়েছে। দিনের আলোয় তারা বড় শহরগুলিতে সক্রিয়। তাদের ঠিকানা সকলেই জানেন। তাদের কাজকর্মও সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে, তাও সকলের জানা। তাই পাকিস্তান জড়িত নয়, এটা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। এই রাষ্ট্রও জড়িত। তাদের সেনাও জড়িত।” এক নিঃশ্বাসে কথাগুলি বলে গেলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তার পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, “পাকিস্তান এই জঙ্গি হামলা বন্ধ না করলে ফল ভুগতে হবে।”

    জয়শঙ্করের প্রশ্ন (S Jaishankar)

    পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, বিশ্বের দরবারে তা তুলে ধরতে পৃথিবীর ৩৩টি দেশে ঘুরবে ভারতের ৭টি প্রতিনিধি দল। এহেন আবহে নেদারল্যান্ডসে রয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানকার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের শহরে দিনের আলোয় জঙ্গিরা ঘুরে বেড়ায়। সে দেশে জঙ্গিদের ঠিকানা সকলেই জানেন। পাকিস্তান সরকারের অজান্তে এটা কি আদৌ সম্ভব?” ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে দেশগুলির সঙ্গে ভারত বাণিজ্য করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হল নেদারল্যান্ডস। দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতেই নেদারল্যান্ডস সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে ভারতীয় সেনার অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র। আমি এ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি না, বিবৃতি দিচ্ছি।” এ বিষয়ে পাক সরকার যে অবহিত, তাও ফাঁস করে দেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ধরা যাক, “আমস্টারডামের মতো শহরের মধ্যভাগে সেনাকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ সেনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আর আপনার সরকার কিছু জানে না, এটা কি বলতে পারেন? অবশ্যই নয়।”

    পহেলগাঁও হামলার কথা

    জয়শঙ্করের সাক্ষাৎকারে অনিবার্যভাবেই উঠে আসে পহেলগাঁও হামলার কথা। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ওই ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। বেশিরভাগই পর্যটক। জঙ্গিরা কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে নিশানা করেছে। নিজেদের স্বার্থে তারা কাশ্মীরের জিনিস ধ্বংস করছে। ইচ্ছা করেই হামলার সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ও জড়িয়ে দিয়েছে। এ ধরনের কাজকে গোটা বিশ্বের মেনে নেওয়া উচিত নয়।”

    তবে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কাশ্মীর বিষয়ক আলোচনার যে কোনও সম্পর্ক নেই, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। ভারত যে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মানবে না, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বসে আমরাই কথা বলব।”

  • PM Modi: ২৯ মে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মোদি

    PM Modi: ২৯ মে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী, আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসছেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচন। তাই সোমবার তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (PM Modi)। নামে প্রশাসনিক সফর হলেও, আদতে এর নেপথ্যে ছিল রাজনীতির গভীর অঙ্ক।

    আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে (PM Modi)

    মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজনীতির আঁক কষতে ব্যস্ত, তখন সেই উত্তরবঙ্গেরই আলিপুরদুয়ারে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দিতে ২৯ মে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশাসনিক সভায় যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি জনসভাও করবেন। বৃহস্পতিবার সকালে সভাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ এবং আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির অন্য নেতারাও। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রশাসনিক সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করবেন। তবে প্রশাসনিক সভাটি কোথায় হবে, তা স্পষ্ট নয়। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা তথা ফালাকাটার বিধায়ক বলেন, “অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখানে একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজনৈতিক সভাটির প্রস্তুতির দায়িত্বে আমরা রয়েছি। সেই প্রস্তুতি আমরা আজ থেকেই শুরু করে দিলাম।”

    কেন আলিপুরদুয়ারই?

    প্রশ্ন হল, কেন আলিপুরদুয়ারকেই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)? দীপক বলেন, “আলিপুরদুয়ারের এক দিকে সেভেন সিস্টার্স অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য রয়েছে। অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ চিকেন’স নেকও এই অঞ্চলেই। আলিপুরদুয়ারই উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ পথ। তাই আন্তর্জাতিকভাবে এই অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে হয়।” মনোজ বলেন, “অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর সেনাকে সম্মান জানাতে আগামী ২৯ মে উত্তরবঙ্গে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্যই আমরা মাঠ দেখতে এসেছিলাম। কোন জায়গায় মঞ্চ করা যায়, সেই সব খতিয়ে দেখা হয়েছে।” তিনি জানান, অপারেশন সিঁদুরের পর দেশের একাধিক জায়গায় জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী (West Bengal)। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে সভা করবেন তিনি (PM Modi)।

  • India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    India: পাকিস্তানের পাশে থাকার মাশুল! তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক ভারতীয় পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেইমানির জবাব পাচ্ছে তুরস্ক! পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত (India) যখন পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়, তখন পাকিস্তানের পাশে (Pakistan Support) দাঁড়িয়েছিল ইসলামিক রাষ্ট্র তুরস্ক। অথচ, বছর দুয়েক আগের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে যখন তছনছ হয়ে গিয়েছিল তুরস্কের বিস্তীর্ণ অংশ, তখন সবার প্রথমে ত্রাণ নিয়ে সে দেশে হাজির হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সেই কারণে অন্তত ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ছিল তুরস্কের। তা না করে তারা সমর্থন করল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে আর একটি ইসলামিক দেশ আজারবাইজান।

    ‘অপারেশন সিঁদুর’ (India)

    তার পরেই এই দুই দেশের ওপর খেপে গিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। সেই সময়ই ওই দুই ইসলামিক রাষ্ট্র পাশে দাঁড়ায় পাকিস্তানের। তার জেরে ওই দুই দেশ ভ্রমণে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পর্যটকদের একটা বড় অংশ। শুধু তা-ই নয়, অন্যান্য পর্যটকরাও যাতে ওই দুই দেশ বয়কট করেন, সেই ডাকও দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশের বদলে পর্যটকরা বেছে নিয়েছে ভারতের মিত্র দেশ গ্রিস এবং আর্মেনিয়াকে।

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন

    পর্যটকদের বয়কট আন্দোলন ব্যাপক সমর্থন কুড়িয়েছে দেশবাসীর। তার পরেই ভারতের (India) বেশ কয়েকটি বড় ট্রাভেল এজেন্সিও তাঁদের সঙ্গে সুর মেলায়। ট্রাভোমিন্ট, ইজিমাইট্রিপ এবং কক্স অ্যান্ড কিংসের মতো কোম্পানিগুলি তুরস্ক ও আজারবাইজান ভ্রমণের সব প্যাকেজ স্থগিত করার কথা জানিয়ে দেয়। পর্যটক ও ট্রাভেল এজেন্সির এই সিদ্ধান্তগুলি একটি প্রবণতা নির্দেশ করে। সেটি হল, আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের আচরণ গঠনে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দিন দিন আরও প্রভাব ফেলছে।

    তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ

    পর্যটকদের সফরের তালিকা থেকে তুরস্ক এবং আজারবাইজান বাদ যাওয়ায় সেই লিস্টে ঢুকে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং গ্রিস। এই দুই দেশই কূটনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, বলা ভালো, ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তার জেরেই এবার এই দুই দেশে কার্যত ঢল নামবে ভারতীয় পর্যটকদের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে বিপাকে পড়েছিল দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। শেষমেশ ভুল কবুল করে ভারতে (India) এসে পর্যটকদের সে দেশে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন মলদ্বীপের মন্ত্রী। তুরস্ক এবং আজারবাইনের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটবে (Pakistan Support) কিনা, তা বলবে সময়। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, জাতীয়তাবাদী বোধ জাগ্রত হওয়ায় পর্যটকরাও এখন ভারতের মিত্র দেশগুলিতে ভ্রমণ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।

    ভিড় বাড়ছে আর্মেনিয়ায়    

    দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে আর্মেনিয়া এখন ভারতের অন্যতম ঘনিষ্ঠ অংশীদার হয়ে উঠেছে। ২০২০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আর্মেনিয়া ভারতের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম কিনেছে এবং যৌথ সামরিক উদ্যোগেও অংশ নিয়েছে। এই কৌশলগত বন্ধুত্ব এখন নাগরিক পর্যায়েও প্রতিফলিত হচ্ছে, বিশেষত পর্যটনে। ভারতীয় পর্যটকরা, আর্মেনিয়ার ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, দেশটির প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ইউরোপ ও এশিয়ার মাঝে অবস্থিত এই দেশটির ভৌগোলিক আকর্ষণ যেমন আছে, তেমনি এর ভূরাজনৈতিক নির্ভরযোগ্যতাও ভারতীয় পর্যটকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক গির্জা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য — সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ — ভারতীয় পর্যটকদের এমন একটি গন্তব্যে আকৃষ্ট করছে, যা তাঁদের সাংস্কৃতিক কৌতূহল ও জাতীয় অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ (India)।

    গ্রিসেও ভারতীয় পর্যটকদের ঢল

    আর্মেনিয়ার পাশাপাশি ভারতীয় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ছে গ্রিসের প্রতিও। সংস্কৃতি ও কূটনৈতিক আদান-প্রদানের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ধারা রয়েছে ভারত ও গ্রিসের মধ্যে। দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তৃত প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং জ্বালানি সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি ও কূটনৈতিক কার্যকলাপ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে, যা আরও বেশি ভারতীয় পর্যটকদের ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ঘুরে দেখতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রাচীন অ্যাথেন্সের ধ্বংসাবশেষ থেকে শুরু করে সান্তোরিনির বিখ্যাত নীল গম্বুজযুক্ত ছাদ পর্যন্ত, গ্রিস এক অনন্য ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিশ্রণ উপস্থাপন করে পর্যটকদের কাছে। দেশটির গভীর ঐতিহাসিক শেকড়, রঙিন উপকূলীয় শহর এবং আতিথেয়তাপূর্ণ মানুষ — এইসব উপাদান ভারতীয় মূল্যবোধ ও নান্দনিকতার (Pakistan Support) সঙ্গে গভীরভাবে মিলে যায়। তার জেরেই ভারতীয় পর্যটকদের কাছে দিন দিন বাড়ছে গ্রিসের জনপ্রিয়তা (India)।

LinkedIn
Share