Tag: Terrorists

Terrorists

  • Bengaluru Blast: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    Bengaluru Blast: ২ ঘণ্টা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! দার্জিলিং থেকে দিঘা, ২৮ দিন রাজ্যে ছিল ধৃত আইএস জঙ্গিরা, পাল্টা এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণে (Bengaluru Cafe Blast) অভিযুক্ত দুই জঙ্গিকে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার এক হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ২৮ দিন ধরে তারা বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পরিচয় গোপন করে ঘুরে বেরিয়েছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তারা নাকি বাংলায় দু’ঘণ্টার ‘অতিথি’ ছিল। এ কী বলছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মমতার দাবির যৌক্তিকতা

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বেঙ্গালুরু রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bengaluru Cafe Blast) জড়িত ধৃত ২ আইএস জঙ্গি রাজ্যে নাকি ২ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল। তিনি বলেন, “লোকগুলো কর্নাটকের। এখানকার নয়। আমাদের বাংলায় দু’ঘণ্টা লুকিয়ে ছিল। দু’ঘণ্টার মধ্যে আমরা ধরে দিয়েছি।” কিন্তু, এনআইএ গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে, ২ জঙ্গি বাংলায় ২৮ দিন অর্থাৎ, প্রায় এক মাস আত্মগোপন করেছিল। এই সময় বিভিন্ন সময়ে তারা ডেরা পাল্টে পাল্টে লুকিয়ে ছিল। এনআইএ-র দাবি, কলকাতার ৮টি হোটেলে ১৮ দিন কাটিয়েছে ধৃত জঙ্গিরা। প্রথমে ধর্মতলা, তারপর লেনিন সরণি, সেখান থেকে খিদিরপুর, তারপর একবালপুর এবং সেখান থেকে নিউ দিঘার হোটেলে। ডেরা পাল্টে পাল্টে ২৮ দিন ধরে বাংলায় ঘুরে বেরিয়েছে জঙ্গিরা। শুধু কলকাতা-দিঘা নয়, পুরুলিয়া-দার্জিলিঙেও মিলেছে ধৃত জঙ্গিদের ডেরার খোঁজ। বাংলা জুড়ে তাদের অবাধ বিচরণে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা। 

    রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিদের বিচরণ 

    এনআইএ সূত্রে খবর,  বিগত ২৮ দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গেই গা ঢাকা দিয়ে ছিল এই দুই জঙ্গি। খাস কলকাতায় একের পর এক হোটেলে তারা রাত কাটিয়েছে। হোটেলের রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করানোর সময় ভুয়ো পরিচয় দিয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষকে নাকি দেখিয়েছিল ‘ভুয়ো’ আধার কার্ড। এরই মধ্যে এবার একবালপুরের এক হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে এই দুই জঙ্গির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভাইরাল হওয়ৈা ভিডিও অনুযায়ী, সেই হোটেলে নাকি তারা ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ছিল।  শহরে মোট ১৮ দিন ছিল তারা। 

    আরও পড়ুন: অজয়ের চোখের যাদুতে গোলে বল! ফুটবল প্রেমীদের মন ভরাল ‘ময়দান’

    দার্জিলিং-পুরুলিয়ায় দিন যাপন

    এর আগে, ১৪ মার্চ থেকে ২১ মার্চ দার্জিলিং এবং পুরুলিয়ায় সময় কাটিয়েছিল এই দুই জঙ্গি। দার্জিলিঙে তারা ৩ দিন ছিল এবং পুরুলিয়ায় ছিল ২ দিন। শেষমেশ গত পরশু গভীর রাতে নিউ দিঘার (New Digha) একটি হোটেল থেকে বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে দুই চক্রী আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হোসেন শাজিবকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ।

    ১০ বার সিম বদল

    এই সময়ে ১০ বার সিম পাল্টেছে তারা। এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে এনআইএ জানতে পেরেছে, সম্ভবত কর্নাটক (Karnataka) থেকেই একাধিক ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়েছিল জঙ্গিরা। কমপক্ষে ১০টি ফোন নম্বর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল ওই ভুয়ো আধার কার্ড। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পরপর দু’জন চেন্নাইয়ে (Chennai) চলে যায়। সেখান থেকে সড়ক-রেলপথে তারা পৌঁছোয় কলকাতায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Terrorist Died: পাকিস্তানে ফের রহস্যমৃত্যু মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির

    Terrorist Died: পাকিস্তানে ফের রহস্যমৃত্যু মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক জঙ্গির (Terrorist Died) রহস্য মৃত্যু। শনিবার মোস্ট ওয়ান্টেড ওই জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয় খাইবার পাখতুনওয়ার অ্যাবটাবাদে। মৃত ওই জঙ্গির নাম শেখ জামিল উর রহমান। ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ছিল সে। তেহরিক উল মুজাহিদিনের আমিরও ছিল। এই সন্ত্রাসবাদীর আদত বাড়ি কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। ২০২২ সালে রহমানকে জঙ্গি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    জঙ্গির রহস্য মৃত্যু

    রহমানের মৃত্যু ঠিক কীভাবে হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জম্মু-কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল সে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল (Terrorist Died) তার। জম্মু-কাশ্মীরের যুবকদের জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ানোর কাজ, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পাকিস্তান থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর কাজই মূলত করত রহমান। ভারত থেকে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল পাকিস্তানে। সেখান থেকেই সে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালাত। নয়ের দশকে জম্মু-কাশ্মীরে মাথাচাড়া দিয়েছিল তেহরিক উল মুজাহিদিন। ১৯৯১ সালে মৃত্যু হয় এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ইউনিস খান। তার পর আর সেভাবে মাথাচাড়া দিতে পারেনি এই জঙ্গি সংগঠন।

    একাধিক ওয়ান্টেড জঙ্গির মৃত্যু

    গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে রহস্য মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন ওয়ান্টেড জঙ্গির। গত নভেম্বরে আততায়ীর গুলিতে খুন হয় লস্কর কমান্ডার আক্রম গাজি। খাইবার পাখতুনখোয়ায় খুন হয় সে। এর মাসখানেক পরে ফের খুন হয় লস্কর কমান্ডার আনদান আহমেদ। করাচিতে গুলি করে খুন করা হয় তাকেও। মুম্বই হামলার মূল চক্রী জঙ্গি নেতা আজম চিমার মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রহস্য মৃত্যু হয় এই লস্কর নেতার।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা ভোটের আগে ফের ধাক্কা খেল বিরোধীরা, নীতীশের পরে জোট ছাড়লেন জয়ন্ত

    পাকিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন, যারা জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করে চলেছে, তাদের এক ছাতার তলায় আনতে গড়ে উঠেছিল ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল। এই কাউন্সিলে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, আল বদর, হিজবুল মুজাহিদিন এবং আরও অনেক। এই কাউন্সিলেরই প্রধান ছিল মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রহমান (Terrorist Died)। রহমানের তেহরিক উল মুজাহিদিনের সিংহভাগ সদস্যই পাকিস্তানের। পদাতিক কিছু যোদ্ধাও রয়েছে যারা জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানে গিয়েছে। তেহরিক উল মুজাহিদিনকে অর্থ জোগায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সৌদি আরব, ব্রিটেন, আমেরিকা এবং গলফ দেশগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Manipur Violence: পুলিশের কনভয়ে জঙ্গি হামলা! মণিপুরে রুদ্ধশ্বাস অভিযান অসম রাইফেলসের

    Manipur Violence: পুলিশের কনভয়ে জঙ্গি হামলা! মণিপুরে রুদ্ধশ্বাস অভিযান অসম রাইফেলসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর পুলিশের কমান্ডোদের একটি দলকে রক্ষা করতে এগিয়ে এল অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দাবি করা হচ্ছে,ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ অক্টোবর। মণিপুর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিককে জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করার পর থেকে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল রাজ্য পুলিশের কমান্ডো বাহিনী। ওই দলটি ইম্ফল থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। সেই সময় হাইওয়ের উপর কমান্ডো বাহিনীর কনভয়কে লক্ষ্য করে পাহাড়ের উপর থেকে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। 

    কী ঘটেছিল

    জানা গিয়েছে, মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরেহের দিকে যাচ্ছিল পুলিশের একটি কনভয়। টেংনোপাল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের সাইবোলের কাছে হঠাৎ পুলিশের কনভয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলিবর্ষণ করতে থাকে তারা। পুলিশের কনভয়ের উপর জঙ্গিদের হামলার খবর পান অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানদের একটি দল ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। জঙ্গিদের পালটা জবাব দেয় তারা। পুলিশের দলটিকে অতর্কিত হামলার হালার হাত থেকে রক্ষা করলেও, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

    কী বলছে পুলিশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে নতুন করে মণিপুরের হিংসায় এক পুলিশ অফিসারের মৃ্ত্যু হয়েছিল। এরপর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য মনিপুর সরকার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিল। সাইবোলের কাছে হেলিপ্যাডের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যই পাঠানো হচ্ছিল মণিপুর পুলিশের একটি বিশেষ দলকে। জঙ্গিরা পাহাড়ের উপরে থাকায় বেশি সুবিধা পাচ্ছিল। কমান্ডোদের সব গতিবিধি নজর রেখে তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছিল। সেই সময় ওই হাইওয়েতেই টহল দিচ্ছিল অসম রাইফেলসের মাইন প্রতিরোধী গাড়ি। কমান্ডোদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে বিষয়টি চোখে পড়তেই অসম রাইফেলসের জওয়ানরা তাঁদের ‘কভার’ করতে এগিয়ে যান। মাইন প্রতিরোধী গাড়ি থেকে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। আর সেই সুযোগেই একের পর এক কমান্ডোদের উদ্ধার করেন তাঁরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Terrorism: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! কাশ্মীরি পণ্ডিতের পর সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় নিহত ২ পরিযায়ী শ্রমিক

    Kashmir Terrorism: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! কাশ্মীরি পণ্ডিতের পর সোপিয়ানে জঙ্গি হামলায় নিহত ২ পরিযায়ী শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যুর দুদিন পরেই ফের রক্তাক্ত উপত্যকা। দু’দিন আগেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের। এবার ফের রক্ত ঝড়ল ভূস্বর্গে। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সোপিয়ান (Shopian) জেলার হারমেন এলাকায় ফের গ্রেনেড হামলা (grenade attack) চালায় জঙ্গিরা। আর এতে প্রাণ হারালেন উত্তরপ্রদেশের দুই শ্রমিক। তাঁদের নাম মনীশ কুমার ও রাম সাগর। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কনৌজ (Kanooj) জেলায়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে সোপিয়ান জেলার হারমেন (Harmen) এলাকায় একটি টিনের শেডের তলায় শুয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের দুই শ্রমিক। আচমকা সেসময় তাঁদের উপর গ্রেনেড ছোঁড়ে অভিযুক্ত জঙ্গি। এর জেরে গুরুতর জখম হন মনীশ কুমার (Manish Kumar) ও রাম সাগর (Ram Sagar)। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ২ জনের।

    আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরি পন্ডিতের রক্তে ভিজল উপত্যকা

    কাশ্মীরের জোন পুলিশ মঙ্গলবার ট্যুইটে জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদীরা সোপিয়ানের হারমেন এলাকায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। সেই হামলায় উত্তর প্রদেশের দুই শ্রমিক মণীশ কুমার ও রাম সাগর জখম হয়েছে। উভয়েই উত্তর প্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।’ তাঁরা ট্যুইটে আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যুইটে লিখেছেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এলইটি-র হাইব্রিড জঙ্গি হারমেনের ইমরান বশির গনি যে গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী তাকে গ্রেফতার করেছে সোপিয়ান পুলিশ। তদন্ত ও অভিযান জারি রয়েছে। ফলে পুলিশরা অনুমান করেছে যে, এই হামলার পিছনে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা-র হাত রয়েছে।

    প্রসঙ্গত, জঙ্গি নিশানায় রয়েছে কাশ্মীরি (Kashmir Terrorism) পণ্ডিত ও পরিযায়ী শ্রমিক। তার প্রমাণ অনেক দিন থেকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। কারণ গত কয়েক মাসে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক শ্রমিক ও কাশ্মীরি পণ্ডিত। গত ১৬ অক্টোবরেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত পূরণ কৃষ্ণন ভাট। তিনি দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার চৌধুরী গুন্ড এলাকার বাসিন্দা। এই ঘটনার পরেই উপত্যকায় প্রতিবাদে নেমেছেন কাশ্মীরা পণ্ডিতরা। পুনর্বাসনের দাবিতে ফের গর্জে উঠেছেন তাঁরা। গোটা এলাকায় মোতায়েন কড়া নিরাপত্তা। অভিযুক্ত জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি। আর তারই মধ্যে এমন ঘটনা।

  • Encounter in Rajouri: “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা”! আর ফেরা হল না, জঙ্গিদের গুলিতে হত ক্যাপ্টেন শুভম

    Encounter in Rajouri: “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা”! আর ফেরা হল না, জঙ্গিদের গুলিতে হত ক্যাপ্টেন শুভম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির সময় মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। মাকে কথা দিয়েছিলেন শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু  জীবিত অবস্থায় আর বাড়ি ফেরা হল না ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্তর। জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন শুভম। বুধবার থেকে হওয়া ওই গুলির লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। এই লড়াইয়ে বুধবারই সেনার দুই ক্যাপ্টেন-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন আরও তিন জন। সেই লড়াইয়ে আহত এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বৃহস্পতিবার।

    স্কুলের ‘টপার’ থেকে সেনায়

    মাস ছয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের আগরায় বাড়িতে ২৬তম জন্মদিন পালন করেছিলেন ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্ত। আগরার তাজ নগরীর বাসিন্দা শুভম। তাঁর বাবা বসন্ত কুমার গুপ্ত আগরার ডিস্ট্রিক্ট গভর্নমেন্ট কাউন্সেল (অপরাধ)। ২০১৫ সালে সেনায় যোগ দেন শুভম। ২০১৮ সালে সেনার বিশেষ বাহিনী ৯ প্যারা এসএফ-এ সুযোগ পান। ক্যাপ্টেনের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, শুভম বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিল তাঁর পরিবার। বিয়ের তোড়জোড়ও চলছিল। শুভমের ভাই ঋষভ জানান, ফোনে তাঁদের জানানো হয় যে, একটি অভিযানে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন শুভম। দীপাবলির সময় পরিবারের সঙ্গে শেষ বার কথা হয়েছিল তাঁর। সেই সময় মাকে ক্যাপ্টেন বলেছিলেন, “আগামী সপ্তাহেই বাড়ি ফিরব মা।” কিন্তু তা হল না আক্ষেপ শুভমের ভাই-এর। স্কুলের ‘টপার’ ছিলেন শুভম। সেনায় যোগদানের জন্য প্রথমে তিনি সেন্ট্রাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি এবং পরে দেরাদুন মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে পড়াশোনা করেন। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই গির্ট ওয়াইল্ডার্স হতে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী!

    খতম দুই জঙ্গি

    সেনা সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টা ধরে লড়াইয়ের পর জম্মু-কাশ্মীরের দুই জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা। নিহতদের মধ্যে এক জন লস্কর-ই-তইবার শীর্ষ কমান্ডার কারি। পাকিস্তানের নাগরিক লস্করের এই কমান্ডার গত এক বছর ধরে রাজৌরি-পুঞ্চে সক্রিয় ছিল। কারি, ডাংরি এবং কান্দিতে হামলার মূলচক্রী বলেও মনে করা হচ্ছে। সেনা সূত্রে খবর, কারি ছাড়াও আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে এই লড়াইয়ের। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই জওয়ান, চক্রব্যূহে আটকে ২ জঙ্গি

    Jammu and Kashmir: সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে শহিদ দুই জওয়ান, চক্রব্যূহে আটকে ২ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী-নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে শহিদ এক মেজর সহ দুই জওয়ান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ভর্তি করা হয়েছে নিকটবর্তী সেনা হাসপাতালে। বুধবার সকালে কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় শুরু হওয়া ওই সংঘর্ষ চলছে এদিন সন্ধে পর্যন্ত (Jammu and Kashmir)। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। যদিও এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি নিরাপত্তা বাহিনী।

    চিরুনি তল্লাশি জঙ্গির খোঁজে

    জানা গিয়েছে, রাজৌরি জেলার ধর্মশালের বাজিমাল এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে বলে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। নিজস্ব গোয়েন্দা মারফত খবর মেলায় এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বাহিনীর কর্তারা। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এদিন সকালে এলাকা ঘিরে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের একটি দল। এর পরেই শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি (Jammu and Kashmir)। বেগতিক দেখে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাহিনী ও পুলিশ।

    তুমুল গুলির লড়াই 

    জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন বাহিনীর দুই জওয়ান। এঁদের মধ্যে একজন মেজর। বুধবার সন্ধে পর্যন্তও গুলির লড়াই চলছে বলে খবর। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে এখনও আটকে রয়েছে দুই জঙ্গি। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা যাতে পালাতে না পারে, তাই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বাড়তি বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, এই হামলার জন্য দায়ী পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সহযোগী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’।

    আরও পড়ুুন: “ডিপফেকের বিপদ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে”, জি২০-র বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ফি বার শীতকালে প্রবল ঠান্ডার সুযোগ নিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। বছর কয়েক আগে ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা রদ করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে উপত্যকায় কমেছে জঙ্গি উপদ্রব। যদিও ভূস্বর্গে অশান্তি জারি রাখতে বদ্ধপরিকর পাকিস্তান। সেই কারণেই চলছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ। যে জঙ্গিদের খতম করতে বদ্ধ পরিকর সেনা। তা করতে গিয়েই এদিন শহিদ হন দুই জওয়ান (Jammu and Kashmir)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান! কাশ্মীরে খতম ৫ লস্কর জঙ্গি 

    Jammu and Kashmir: সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযান! কাশ্মীরে খতম ৫ লস্কর জঙ্গি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখতে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাচিলে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যৌথ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। সেই অভিযানেই বৃহস্পতিবার পাঁচজন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছিল কুপওয়ারা জেলার পুলিশ। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এদিন সকালে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। তারা এলাকায় পৌঁছতেই বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। 

    জঙ্গি দমনে অভিযান

    বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর), এদিন সকালে, প্রথমে ২ জঙ্গির মৃত্যুর খবর দিয়েছিল পুলিশ। পরে আরও তিন জঙ্গির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করকা হয়। তারা আরও জানিয়েছে, এই অভিযান এখনও চলছে। ওই এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী। শ্রীনগরে মোতায়েন ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কুপওয়ারা সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিরা। কুপওয়ারা পুলিশের কাছে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ছিল। এরপরই যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালায়। ঠিক কতজন জঙ্গি ওই এলাকায় লুকিয়ে আছে, তারা কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত – এই বিষয়গুলি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, সেনার অনুমান, নিহত জঙ্গিরা লস্কর-ই-তৈবার সদস্য।

    জম্মু ও কাশ্মীরের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানান, এতদিন ভারতীয় সেনা একা এই ধরনের অনুপ্রবেশ বিরোধী অভিযান চালালেও ক্রমশ সেই অভিযানে সামিল করা হচ্ছে পুলিশকেও। চলতি বছরে জম্মু-কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন সন্ত্রাসবাদীকে শেষ করেছে সেনা ও পুলিশ। এদের মধ্যে ৩৭ জন পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, বর্তমানে এই উপত্যকায় ১৩০ জন জঙ্গি সক্রিয় রয়েছে যাদের মধ্যে অর্ধেকই বিদেশি। তাদের নিকেশ করতে এবার সক্রিয় প্রশাসনও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    Jammu And Kashmir: কাশ্মীরে ফের জঙ্গি নিশানায় হিন্দু! এবার হত্যা ভিন রাজ্যের সার্কাস কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে জঙ্গিদের শিকার হল হিন্দুরা। এবার জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক সার্কাসকর্মীর (Circus Performer)। জম্মু-কাশ্মীরের (Jaamu & Kashmir) অনন্তনাগ (Anantnag) জেলায় সোমবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

    জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দীপক কুমার। বাবার নাম মাসুক কুমার। উধমপুরের বাসিন্দা দীপক একটি সার্কাসদলে কাজ করতেন। তাঁকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। জানা গেছে, অনন্তনাগের (Jammu And Kashmir) একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সামনে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পর পর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানান, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনার পরই এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশিও শুরু হয়েছে।  যদিও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত জঙ্গিদের হদিশ মেলেনি। 

    আরও পড়ুন: বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার পথে বাস খাদে পড়ে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর, আহত অন্তত ৫৭ জন

    এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং ওমর আবদুল্লা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি-২০ বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। যদিও বাঠক নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর মে মাসে বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিককে খুনের ঘটনা ঘটে কাশ্মীরে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন আবার কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের। কুলগামে বিনয় কুমার নামে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে কুলগামের স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। বিহারের কয়েকজন শ্রমিককেও গুলি করে খুন করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    NIA Raid: পাকিস্তান থেকে অস্ত্রপাচার, রয়েছে আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগ! দেশের ৭২ টি জায়গায় তল্লাশি এনআইএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে বড় ধরণের অভিযানে নামল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিভ এজেন্সি। এবারে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের পর্দা ফাঁস করল এনআইএ। গোপন সূত্রে খবর পেতেই দেশের একাধিক জায়গায় হানা দেয় এনআইএ। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান সহ দেশের ৭২টি জায়গায় মঙ্গলবার একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।

    আটটি রাজ্যে এনআইএ অভিযান

    এনআইএ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে তল্লাশির সময় একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি পাকিস্তান থেকে ভারতে পাচার করা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং নীরজ বাওয়ানা গ্যাংয়ের বেশ কয়েক জন সদস্যকে দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর তাঁদের জেরা করেই দেশের বেশ কয়েকটি জায়গার হদিশ পেয়েছিল এনআইএ। আর তার পরই আজ, মঙ্গলবার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারী সংস্থাটি।

    এদিন সকালে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি, চণ্ডীগড়, উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশে এনআইএ অভিযান শুরু করে। পাঞ্জাবের অন্তত ৩০ টি জায়গায় অভিযান চালানো হয়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবের গিদ্দারবাহায় তল্লাশি চালাচ্ছেন এনআইএ আধিকারিকরা।

    উল্লেখ্য, আইএসআই-গ্যাংস্টার যোগসাজশের মামলায় এই নিয়ে চতুর্থ বার অভিযানে নামল এনআইএ। তদন্তকারী সংস্থাটির এক সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে আইএসএআই এবং গ্যাংস্টারদের যোগসাজশের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই ধৃত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেও ওই সূত্রের দাবি।

    এর আগেও গত বছরের অক্টোবর মাসে সন্ত্রাসী, গ্যাংস্টার এবং মাদক পাচারকারীদের যোগসাজশ লক্ষ্য করে দেশের পাঁচটি রাজ্যের ৫০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। এনআইএর তরফে তখনই জানানো হয়েছিল যে, এই নেটওয়ার্ক যত দিন না ভেঙে ফেলা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।

  • Delhi: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে কথা হত জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত ২ সন্ত্রাসীর! দাবি দিল্লি পুলিশের

    Delhi: পাক জঙ্গিদের সঙ্গে কথা হত জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত ২ সন্ত্রাসীর! দাবি দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে সন্ত্রাসী ধরা পড়ার ঘটনায় এল নয়া মোড়। জাহাঙ্গিরপুরী থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে দিল্লি পুলিশের কাছে। ধৃত ওই দুই জঙ্গি নওশাদ আলি ও জগজিৎ সিংকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তারা পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিল ও সেখানকার জঙ্গিদের সঙ্গে রীতিমত যোগাযোগও ছিল তাদের। এদিন তারা দিল্লি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, তারা দুবার নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু তারা দু’বারই ব্যর্থ হয়। এছাড়াও নওশাদ পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বড় কিছু করাjই পরিকল্পনা ছিল তাদের। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছিল নওশাদ ও জগজিৎকে।

    পাকিস্তানি জঙ্গি ও সন্ত্রাস সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ নওশাদের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নওশাদ ও জগজিৎ হরকাত-উল আনসার সংগঠন এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে দেখা করেছিল। এই দুই সংগঠনকে ভারত থেকে জঙ্গি সংগঠন বলে মনোনীত করা হয়েছে। এমনকী পাকিস্তানি সন্ত্রাসী তথা লস্কর জঙ্গি আসফাক ওরফে আরিফের সঙ্গেও নওশাদের যোগাযোগ ছিল। এই আসফাক ও সুহেল নামক জঙ্গির থেকেই নির্দেশ পেত নওশাদ। সূত্রের খবর, “আরিফই নওশাদকে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সুহেলের সঙ্গে দেখা করতে বলেছিল। সুহেলও সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটি-এর সদস্য, বর্তমানে সে পাকিস্তান থেকে কাজ করছে।” সূত্রের খবর, সুহেল পাঞ্জাবের কিছু বড় নেতাকে টার্গেট করার পরিকল্পনা করেছিল।

    জেলে থাকাকালীন নওশাদ সন্ত্রাসী নাদিমের সঙ্গে দেখা করেন

    নওশাদ তদন্তের সময় প্রকাশ করেছে যে, সে যখন জেলে ছিল, তখনই নাদিমের সঙ্গে দেখা করেছিল, সে সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাত-উল-আনসারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সূত্রের খবর, “জেল থেকে প্যারোলে বেরিয়ে আসার পর, জিহাদের জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য নাদিম নওশাদকে হরকাত-উল-আনসার সংগঠনে যুক্ত করেছিল।” 

    আরও পড়ুন: মায়াপুরে ইস্কনের মন্দিরে পুজো দিয়ে নদিয়ায় সভা! বাংলায় প্রচারে জেপি নাড্ডা

    ২০১৮ সালে জেল থেকে মুক্তি পায় নওশাদ

    নওশাদ আরও জানিয়েছে, হত্যার দায়ে সে ২৫ বছর জেলে বন্দি ছিল ও ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ও তার পরেই নাদিমের সঙ্গে কাজ শুরু করে। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও দুবারই তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। যে নেপালি কর্মকর্তার মাধ্যমে সে তার নেপালি পাসপোর্ট তৈরি করছিল তাকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। নওশাদ প্রায় ২৭ বছর ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ছিল এবং সেই সময়ে সে পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠনের জঙ্গিদের সঙ্গে দেখা করত,  তারপরে সে তাদের হয়ে কাজ শুরু করে।

    দিল্লি পুলিশের দাবি

    এর আগে, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছিল, দুই ধৃত সন্ত্রাসী কমপক্ষে চারজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিল যাদের পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হরকাত-উল আনসার এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। এই তথ্যগুলি দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের কয়েকদিন পাওয়া গিয়েছে, ফলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ জানতে পেরেছে যে এই দুজন সুনীল রাঠি, নীরজ বাওয়ানা, ইরফান চেনু, হাশিম বাবা, ইবাল হাসান এবং ইমরান পেহলওয়ানের মত কয়েকজন গ্যাংস্টারেরও সংস্পর্শে ছিল। দিল্লি পুলিশ বলেছিল যে, গ্রেফতার হওয়া দুই সন্ত্রাসীকে “ডানপন্থী হিন্দু নেতাদের” লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share