Tag: Test Series

Test Series

  • India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ টেস্ট জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের (India vs England) প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। সোমবার দিনের শুরুতেই পর পর দুটি ৪ মেরে ভারতীয় সমর্থকদের মনোবল দুর্বল করে দেন ওভারটন। কিন্তু নাটকের তখন অনেকটা বাকি। নায়কের নাম মহম্মদ সিরাজ। ইংল্যান্ডের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন সিরাজ। ওভালের ঐতিহ্য বজায় থাকল। পরিসংখ্যান বলছে, ওভালে কখনও ২৫৩-এর বেশি স্কোর তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। এদিনও হল না। তীরে এসে ডুবল ব্রিটিশ আর্মাডা। ৬ রানে জিতল ভারত। এই টেস্ট ম্যাচই ভারতের সবথেকে কম রানের ব্যবধানে জেতা টেস্ট ম্যাচ। মাত্র ৬ রানে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জিতেছিল ভারত। ১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতীয় দল এবং ২০১৮ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩১ রানে জয় পেয়েছিল ভারত।

    ‘খলনায়ক’ থেকে নায়ক সিরাজ

    রবিবার যেন হঠাৎ করেই ‘খলনায়ক’ হয়ে গিয়েছিলেন। তারও আগে লর্ডসে (India vs England) আউট হয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছিলেন। সোমবার এক ঘণ্টায় ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের স্বপ্নভঙ্গ করে সিরিজ শেষে সেই সিরাজই নায়ক। লর্ডস টেস্টে ভারত হেরে গিয়েছিল ২২ রানে। সিরাজ আউট হওয়ায় শেষ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজা এবং জসপ্রীত বুমরার নাছোড় লড়াই। সিরাজ নিজেও ৩০ বলের ইনিংসে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন ইংল্যান্ডের জয়। পারেননি। পারেননি সেই হারের পর দু’রাত ঘুমোতে। সেই লন্ডনের মাটিতেই পারলেন। পারলেন ওভালে। ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ ভাঙলেন বল হাতে। শেষ দিন ৩ উইকেট নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় এনেদিলেন ভারতকে। চাপে থাকা দলকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই সোমবার মাঠে নেমেছিলেন সিরাজ। খেলার শেষ হওয়ার পর দীনেশ কার্তিককে বলেছেন, ‘‘খুব সাধারণ পরিকল্পনা ছিল। আলাদা কিছু ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল শুধু সঠিক জায়গায় বল রাখার। তাতে আউট হলে হবে। ছয় হলে হবে। ঠিক জায়গায় বল রেখেই সাফল্য এসেছে।’’

    ‘আশা ছাড়িনি, তাই সাফল্য’ 

    গোটা সিরিজে ভারতীয় দল (India vs England) লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। অপেক্ষাকৃত নতুন একটা দল নিয়ে এবার ইংল্যান্ডে এসেছিলেন শুভমান গিল। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি নতুন। সেই দল কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বেগ দিয়েছে। ম্যাচ শেষে গর্বিত অধিনায়ক তথা সিরিজের সেরা প্লেয়ার শুভমানের কথাতেই পরিষ্কার নব ভারতের মনোভাব। সিরাজ বললেন, ‘‘আমরা কখনওই আশা ছাড়িনি। তাই সাফল্য এসেছে।’’ বুমরাহ না থাকলে সিরাজই ভারতের রক্ষাকর্তা। ওভালে আরও একবার তা প্রমাণিত হল। ওভালে সিরাজ নিলেন চার-চারটি উইকেট। বুমরাহ ছাড়া ভারতের বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ। অনভিজ্ঞতায় মোড়া এই বোলিং শক্তির নেতা মহম্মদ সিরাজই। অধিনায়কও বললেন, ‘‘যে কোনও দলের জন্যই সিরাজ সম্পদ।’’

    দুরন্ত জয় ভারতের

    এই সিরিজে (India vs England) একমাত্র সিরাজ কিন্তু টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এতদিন ছিলেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের সেই বোলারও পঞ্চম টেস্টে ছিটকে যান ওভাল টেস্ট থেকে। ফলে দু’দলের মধ্যে সিরাজ একাই পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। অনেকেই মনে করেন সিরাজ নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাচ্ছেন, শেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তো মহম্মদ সিরাজ। বাইরের কথায় তিনি কর্ণপাত করেন না। তিনি তাঁর কাজ করে চলেন। তাঁর ও প্রসিধ কৃষ্ণার দৌলতেই ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ টেস্টে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। এই জয়ের ফলে সিরিজে ২-২ ব্যবধানে ড্র করল ভারত। পঞ্চম দিনে সিরাজ একাই ৩ উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান প্রসিধ কৃষ্ণা। ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথ, ওভারটন এবং গাস অ্যাটকিনসন আউট হন সিরাজের বলে। জশ টাং-র উইকেট নেন কৃষ্ণা। শেষ টেস্টে সিরাজ ৫টি এবং প্রসিধ কৃষ্ণা ৪টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান আকাশ দীপ। এই সিরিজে সর্বাধিক উইকেটের মালিকও হলেন সিরাজ। তিনি মোট ২৩টি উইকেট নিয়েছেন।

  • India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের (India vs England) আর বেশি দেরি নেই। রাত পোহালেই শুরু হবে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির অন্তিম যুদ্ধ। ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester Test) দুর্দান্ত ড্রয়ের পর সিরিজে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সামনে। কিন্তু তার আগেই ফের বিতর্ক। মঙ্গলবার দুপুরে ওভালের প্রধান পিচ কিউরেটর (Oval Pitch Curator) লি ফোর্টিসের (Lee Fortis) সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir)। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট নাটকীয় লড়াইয়ে ড্র হয়েছে। সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্য ওভালে নামবে গম্ভীর ব্রিগেড। সোমবারই লন্ডনে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন ছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে, মাঠের পরিষেবা নিয়ে অখুশি টিম ইন্ডিয়া। সেই নিয়ে পিচ কিউরেটর ফর্টিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন গম্ভীর।

    গম্ভীর-ফর্টিস বিতর্ক

    ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক বলেছেন, ‘‘মাঠে আইস বক্স রাখার সময় ফর্টিস প্রথমে চিৎকার করে আমাদের সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বলার ধরন পছন্দ হয়নি গম্ভীরের। কোচ বিরক্ত হন। তিনি আপত্তি জানান। তা থেকেই প্রথম উত্তেজনা তৈরি হয়।’’ গম্ভীর বলেন, “আমরা কী করব, সেটা আপনি বলার কেউ নন।” জানা যাচ্ছে, ওভালের পিচ কিউরেটর ও অন্যান্য মাঠকর্মীরা গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার হুমকি দেন। যার উত্তরে গম্ভীর বলেন, “যা খুশি করুন। যেখানে অভিযোগ করতে হয় করুন। আপনি একজন মাঠকর্মীর বেশি নন।” এ প্রসঙ্গে কোটাক আরও বলেছেন, ‘‘আমরা যখন পিচ দেখছিলাম, তখন ফর্টিস এক জন মাঠকর্মীকে পাঠান। তিনি আমাদের আড়াই মিটার দূর থেকে পিচ দেখতে বলেন। মানে আমাদের প্রধান কোচকে দড়ির বাইরে থেকে পিচ দেখতে বলা হয়! আমার ক্রিকেটজীবনে এমন কখনও দেখিনি। আমরা জগার্স পরেছিলাম। রবারের স্পাইক পরে পিচের কাছে যাওয়া যায়। আমরা ভুল কিছু করিনি। ওর বক্তব্য আমাদের অদ্ভুত লেগেছে। আমরা মাঠের কোনও ক্ষতি করতে যাইনি। আমরা পিচ দেখছিলাম। প্রাচীন মূল্যবান কোনও সামগ্রী দেখছিলাম না।’’ তিনিও বলেছেন, ‘‘এটা থেকেই উত্তেজনার শুরু। গম্ভীর এমন একজন মানুষ, যে খুব বেশি কথা বলে না। কারও সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় কথাও বলে না। আমরা সব জায়গায় খেলতে যাই। সব পিচ প্রস্তুতকারকই আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। হয়তো অনেক সময় আমরা ঘাস কাটা হবে কি না জানতে চাই। তাঁরা তাঁদের মতো করে ভাল ভাবে উত্তর দেন।’’

    টেস্টে অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের

    সিরিজে (India vs England) হার এড়াতে ওভালে জিততেই হবে শুভমন গিলদের। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনায় ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারতীয় শিবির। সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম একাদশ নিয়েও ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন গৌতম গম্ভীরেরা। ভারতীয় শিবির সূত্রে খবর, ওভালে অভিষেক হতে পারে এক ক্রিকেটারের। ব্যাটিং ভাল হলেও বোলিং নিয়ে ভারতীয় শিবিরে উদ্বেগ রয়েছেই। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া যাচ্ছে না। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অংশুল কম্বোজ, শার্দূল ঠাকুরেরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বল হাতে। তাই অন্য একজনকে খেলানোর কথা ভাবছেন গম্ভীর। তিনি অর্শদীপ সিং। সব কিছু ঠিক থাকলে ম্যাঞ্চেস্টারেই অভিষেক হতে পারত বাঁহাতি জোরে বোলারের। অর্শদীপ বাঁহাতি হওয়ায় ভারতের বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্য বাড়বে। তিনি খেলতে না পারলে প্রথম একাদশে ফিরবেন আকাশদীপ। খেলবেন মহম্মদ সিরাজ। কম্বোজের জায়গায় অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের। ভারতের ৩১৯ নম্বর ‘টেস্ট ক্যাপ’ তুলে দেওয়া হবে ২৬ বছরের বোলারের হাতে। অর্শদীপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দেশের হয়ে এক দিনের ম্যাচও খেলেছেন।

  • India vs England: দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত! একাধিক নজির, শুভমনের শতরানে ভালো জায়গায় ভারত

    India vs England: দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত! একাধিক নজির, শুভমনের শতরানে ভালো জায়গায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে দলকে জয় দিতে না-পারলেও ব্যাট হাতে এসেছিল শতরান। ইংল্যান্ড (India vs England) সফরের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাট হাতে দুরন্ত গিল। লিডস টেস্টের পর বার্মিংহ্যামেও ধ্রুপদী শতরান এল ভারত অধিনায়কের ব্যাটে। আর ক্যাপ্টেনের ব্যাটেই পাঁচ উইকেটের ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথমদিন ঘুরে দাঁড়াল ভারত। অপরাজিত ষষ্ঠ উইকেটে ৯৯ রানের জুটি। ২১১ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধসে পড়তে পারত ভারতের ইনিংস। বিশেষ করে প্রথম টেস্টে যে ভাবে মিডল এবং লোয়ার-মিডল অর্ডার ব‍্যর্থ হয়েছিল। সেখান থেকে পরিস্থিতি সামলালেন অধিনায়ক শুভমন গিল (Shubhman Gill) ও রবীন্দ্র জাদেজা। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ৫ উইকেটে ৩১০। দিনের শেষে ১১৪ রান করে শুভমন এবং ৪১ রান করে জাদেজা অপরাজিত রয়েছেন।

    রেকর্ড বুকে শুভমন

    অধিনায়ক (India vs England) হিসেবে প্রথম দু’টি টেস্টে সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়ে বুধবার বার্মিংহ্যামে গিল স্পর্শ করলেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর এবং বিরাট কোহলিকে। এই তালিকার শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা অ্যালিস্টার কুক (পাঁচ)। তারপর আছেন স্টিভ স্মিথ (তিন)। আর তারপর যুগ্মভাবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দুটি টেস্টে শতরান হাঁকানোর খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন বিজয় হাজারে, জ্যাক ম্যাকগ্লিউ, সুনীল গাভাসকর, বিরাট কোহলি এবং গিল। চতুর্থ ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টানা তিনটি টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি এল গিলের ব্যাটে। ধর্মশালা (2024) এবং লিডসে (2025) এর আগের দু’টি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন অঙ্কের রান করেছিলেন পাঞ্জাব ক্রিকেটার। এই নজির গড়ে গিল মহম্মদ আজহারউদ্দিন, দিলীপ বেঙ্গসরকর এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বসে পড়লেন একাসনে। আর বার্মিংহ্যামে শতরান করা ভারতের দ্বিতীয় অধিনায়ক হলেন শুভমন গিল। এর আগে একমাত্র ভারত অধিনায়ক হিসেবে ২০১৮ সালে এই ভেন্যুতে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডে প্রথম দিনেই দু’বার শতরান হাঁকানোর নজির গড়লেন শুভমন।

    ঝলমলে যশস্বীর ব্যাটও

    ইংল্যান্ডের (India vs England) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। ১৩ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হলেও একটি নজির গড়েছেন তিনি। তরুণ ওপেনার ব্যাটারের ব্যাটে ভেঙে গিয়েছে ৫১ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৭৪ সালে এজবাস্টনে মাইক ডেনেসের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সুধীর নায়েক। এত দিন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের এই মাঠে কোনও ভারতীয় ওপেনিং ব্যাটারের খেলা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল সেটাই। বুধবার ৮৭ রানের ইনিংস খেলে সুধীরের সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন যশস্বী। এজবাস্টনে টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ওপেনারদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন যশস্বী। দ্বিতীয় স্থানে চলে গেলেন সুধীর। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৯৭৯ সালে সুনীল গাওস্করের ৬৮ রানের ইনিংস।

    বুমরাহীন দলে ভরসা ব্যাটাররাই

    টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে প্রথম দু’ম্যাচে শতরান করলেও, টস হারলেন শুভমন গিল (Shubhman Gill)। ইংল্যান্ড (India vs England) টসে জিতে প্রত্যাশিতভাবেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লিডসে পরাজয়ের পর এজবাস্টনে সমতা ফেরানোর লড়াই টিম ইন্ডিয়ার। যদিও দ্বিতীয় ব্যাট করা দল এজবাস্টনে শেষ চারটি টেস্টের প্রতিটিতেই জিতেছে। এখানে ভারতের অতীতও ভালো নয়। তার ওপর দলে নেই ভারতের ব্রহ্মাস্ত্র বুমরা। টসের পর এদিন অধিনায়ক শুভমন জানিয়েছেন, তাঁদের মনে হয়েছে লর্ডসে তৃতীয় টেস্টে পিচ থেকে বেশি সাহায্য পাবেন বুমরা। তাই তাঁকে সেখানে খেলানো হবে। কিন্তু লর্ডসে যাওয়ার আগে যদি ভারত ০-২ পিছিয়ে পড়ে, তা হলে বুমরা তৃতীয় টেস্টে একা কী করবেন? সে ক্ষেত্রে তো সিরিজ জিততে হলে বাকি তিনটে টেস্টই জিততে হবে ভারতকে।

    অভিজ্ঞতার অভাব প্রকট

    এজবাস্টন টেস্টে (India vs England) প্রথম দিনের শেষে আরও ভালো জায়গায় থাকা উচিত ছিল ভারতীয় দলের। বার্মিংহামের ২২ গজে ব্যাট করা কঠিন নয়। বল পিচে পড়ে ভালো ভাবে ব্যাটে আসছে। আকাশও মেঘলা ছিল না। পরিবেশ ব্যাটারের জন্য কঠিন ছিল না। তবু অকারণে পরিস্থিতি কঠিন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। করুণ নায়ার (৩১) দ্বিতীয় টেস্টেও ভরসা করার মতো খেলতে পারলেন না। নীতীশ কুমার রেড্ডি (১) ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে আউট হলেন বলের লাইন-লেংথ বুঝতে না পেরে। অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুলও এ দিন ব্যর্থ (২)। সহ-অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (২৫) উইকেট উপহার দিলেন অহেতুক আগ্রাসী হতে গিয়ে। শুভমন-যশস্বী-জাদেজা ধরে না খেললে দিনের শেষে কোহলি-রোহিতদের অভিজ্ঞতার অভাব ফের প্রকট হত ভারতীয় দলের সাজঘরে।

  • India vs England: গিল জমানার ‘শুভ’ সূচনা হল না! হতশ্রী বোলিং, জঘন্য ফিল্ডিং, ইংল্যান্ডের কাছে কেন হার ভারতের?

    India vs England: গিল জমানার ‘শুভ’ সূচনা হল না! হতশ্রী বোলিং, জঘন্য ফিল্ডিং, ইংল্যান্ডের কাছে কেন হার ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, সকাল বুঝিয়ে দেয় সারা দিনটা কেমন যাবে। ভারতের শুরুটা ভয় ধরাচ্ছে সমর্থকদের মনে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৫টি শতরান করেছেন ভারতীয় ব্যাটারা, তারপরও হার মানতে হল শুভমনদের। হেডিংলেতে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলেন বেন স্টোকসেরা। এখনও চারটে টেস্ট বাকি। প্রথম টেস্টে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ফেরা কঠিন ভারতের। হেডিংলে টেস্টের শেষ দিন নাটকীয় একটা লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিন বেন স্টোকসের দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৫০ রান। আর ভারতের জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ১০টি উইকেট। কিন্তু শেষটা ভালো হল না ভারতের। ইংরেজদের হাতে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করল ভারতের বোলার-ফিল্ডাররা।

    হতশ্রী বোলিং-ফিল্ডিং

    ভারতের বোলিং ও ফিল্ডিং নিয়ে যেন যত কম বলা যায় ততই ভালো! এ কথা বলার জায়গা আসতই না, যদি টিম ইন্ডিয়ার বোলাররা মান রাখতে পারতেন। যদি টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা ফিল্ডিংয়ে কিছুটা গোছানো হতেন। যে টিমের ফিল্ডারদের নিয়ে এত প্রশংসা হয়, সেখানে এমন ফিল্ডিং দেখে, ক্যাচের পর ক্যাচ মিস দেখে হতবাক অনেকে! গোটা ম্যাচে সাতটা ক্যাচ ফসকেছে ভারত। এর মধ্যে চারটি ফেলেছেন যশস্বী, দুটি পন্থ। যে জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে এত আলোচনা, যিনি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন, সেই তিনিই কি না দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেটের দেখাও পেলেন না। স্টোকসদের বিরুদ্ধে হেডিংলে টেস্টের শেষ দিন বোলিংয়ে বুমরার ঝাঁঝ দেখাই গেল না। যার ফল চোখের সামনে বেন ডাকেটের ১৪৯, জ্যাকের ৬৫, রুটের ৫৩ নট আউট! সেই সুবাদে ৮৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জয় ইংল্যান্ডের।

    কোহলি-হীন ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ লোয়ার-অর্ডার

    ইংল্যান্ডে রওনা হওয়ার আগে কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, সেরা দল নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই যদি সেরা দলের নমুনা হয়, তা হলে খারাপ দল কোনটা? চারটে ব্যাটার (যশস্বী, শুভমন, রাহুল ও পন্থ) আর দেড়খানা বোলার (বুমরা ও জাডেজা) নিয়ে আর যা-ই হোক, টেস্ট ম্যাচ জেতা যায় না। সিরিজ তো অনেক দূরের কথা। দুই ইনিংসেই ভারতের লোয়ার অর্ডার হতাশ করেছে। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পড়েছে শেষ ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ৬ উইকেট পড়েছে ৩১ রানে। সেই কারণেই দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচটা শতরানের পরেও হারতে হয়েছে ভারতকে। ব্যাটিংয়ের এই রোগ সারাতে না পারলে পরের টেস্টেও ফেরা মুশকিল। কারণ মার্ক উড, জফ্রা আর্চাররা ফিরলে আর করুণ দশা হবে বিরাট হীন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের।

    মনে পড়ল অধিনায়ক রোহিতকে

    প্রশ্ন উঠতে বাধ্য অধিনায়ক শুভমনের নেতৃত্ব নিয়েও। দেখে মনে হল না, প্ল্যান বি, সি রয়েছে তাঁর কাছে। একই গতে বল করিয়ে গেলেন। প্রসিদ্ধ রান দিচ্ছেন দেখেও তাঁকে সরালেন না। রানের গতি কম থাকলে হয়তো এই ম্যাচ ড্র হতে পারত। শার্দূল নতুন বলে উইকেট নিতে পারেন। তাঁকে প্রথম ইনিংসে নতুন বল দিলেনই না শুভমন। প্রশ্ন উঠল তাঁর ফিল্ডিং সাজানো নিয়েও। রান বাঁচাবেন, না উইকেট তুলবেন, সেই ধন্দ কাটিয়ে উঠতে পারলেন না। টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব যে কতটা কঠিন তা হয়তো বুঝতে পারলেন শুভমন। ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীরা বারবার মিস করলেন অধিনায়ক রোহিতকে।

  • India vs England: ‘আ সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার’! রাহুল-পন্থের শতরান, হেডিংলিতে দুই ভিন্ন চরিত্রের যুগলবন্দি

    India vs England: ‘আ সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার’! রাহুল-পন্থের শতরান, হেডিংলিতে দুই ভিন্ন চরিত্রের যুগলবন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেডিংলি টেস্টের চতুর্থ দিনে এক অনন্য ব্যাটিং মহাকাব্যের সাক্ষী থাকল ক্রিকেট বিশ্ব। ভিন্ন মেজাজের দুই ব্যাটার—কেএল রাহুল ও ঋষভ পন্থ, লিখলেন ইতিহাস। ১৯৫ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ, ভারতকে নিয়ে গেল শক্তপোক্ত অবস্থানে। একদিকে বরফের মতো ঠান্ডা মাথার রাহুল অন্যদিকে, আগুনের মতো তেজী পন্থ। একদিক, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার রাহুল অন্যদিকে, পন্থের ব্যাটিং কখনোই প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেটের ছাঁচে ফেলা যায় না। এই দুই চরম ভিন্ন স্বভাবের ব্যাটার মিলে গড়ে তুললেন ‘আ সং অফ আইস অ্যান্ড ফায়ার’-এর মতো এক অনবদ্য কাহিনি—ঠিক যেন জর্জ আর আর মার্টিনের কাল্পনিক রাজ্য ওয়েস্টেরস-এর দুই ত্রাতা মিলে এক নতুন রাজাকে সিংহাসনে বসাতে যুদ্ধ করছে।

    নতুন রাজার জন্য নয়া যোদ্ধা

    শুভমান গিলের নেতৃত্বে লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের ‘নতুন যুগের সূচনা’ করলেন রাহুল-পন্থ। শুরুর দিকে পন্থ নিজের স্টাইলে দ্বিতীয় বলেই ডাউন দ্য ট্র্যাকে এসে বাউন্ডারি হাঁকালেন। আর রাহুল খেললেন টেস্ট বইয়ের আদর্শ উদাহরণ—আউটসাইড অফ স্টাম্পে বল হলে ব্যাট লুকিয়ে রাখলেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখলেন। তবে পন্থের আগ্রাসন ছিল একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনার ফল। স্টোকস-কার্সের অসাধারণ স্পেলের মাঝেও তিনি ধৈর্য ধরলেন, কিন্তু যখন সময় এলো, তখন ছুটে বেরোলেন যেন আগুনের ড্রাগন। ওয়েস্টেরসের যোদ্ধাদের মতোই ইংল্যান্ডের প্রতিরোধকে ছিন্ন করে দিলেন ব্যাট হাতে। চেতেশ্বর পূজারা তাদের ইনিংসের প্রশংসা করে বললেন, “প্রথম সেশনটা খুব কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডের বোলাররা দারুণ বল করছিল—বিশেষ করে ব্রাইডন কার্স। কিন্তু রাহুল আর পন্থ সেই সময়টা সামলে নিল খুবই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ঋষভকে বেশিক্ষণ চুপ করিয়ে রাখা যায় না, এটা আমি জানি। কিন্তু আজ সে দারুণ সময়জ্ঞান দেখিয়ে আগ্রাসন চালিয়েছে। রাহুল সবসময়ের মতো ধৈর্য দেখিয়েছে, আর পন্থ সেটা মেনেই এগিয়েছে।”

    ভিন্ন দুই চরিত্রের মিশেল

    রাহুলের সৌন্দর্য্যপূর্ণ ড্রাইভ আর পন্থের হঠাৎ বিস্ফোরণের এই মিশেলই ভারতীয় ব্যাটিংকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল। তাঁরা যেন নাইটস ওয়াচের রেঞ্জার হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ‘উইন্টার’ মোকাবিলায়। এখনও সিরিজের অনেকটা বাকি, আরও আটটি ইনিংস পড়ে আছে। কিন্তু এই জুটি যে এক রাজ্য রক্ষার প্রতিজ্ঞা নিয়েছে, তা হেডিংলির যুদ্ধেই প্রমাণ হয়ে গেল। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা—শুভমন গিলের রাজত্বে আরও কতবার এই দুই ‘যোদ্ধা’ ব্যাট হাতে অস্ত্র তুলে নেবে, সেটাই দেখার। ম্যাচটা ভারতের দিকে ঝুঁকেছিল তৃতীয় দিনের শেষেই। প্রথম ইনিংসে তিনটে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসটাও ছিল ব্যাটারদের। শুরুটা করেন কেএল রাহুল। ২০২ বলে তিনি সেঞ্চুরি করেন। এরপর পন্থের সেঞ্চুরি ছিল সময়ের অপেক্ষা, রাহুলের সেঞ্চুরির পরে পন্থ সেঞ্চুরি পেলেন। চলতি টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ১৩০ বলে সেঞ্চুরি পেলেন পন্থ। সঙ্গে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে এক ম্যাচে পরপর দুটো সেঞ্চুরি করলেন পন্থ। সঙ্গে রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়ে ফেললেন।

    পন্থের রেকর্ড

    আইপিএলে তাঁকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। তবে ইংল্যান্ডে গিয়ে সমালোচনার জবাব গুনে গুনে দিচ্ছেন ঋষভ পন্থ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও শতরান করলেন তিনি। একাধিক নজির তৈরি করলেন ভারতীয় উইকেটকিপার হিসেবে। বিশ্বের দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে দুই ইনিংসেই শতরান করার নজির গড়লেন পন্থ। ২০০১ সালে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জ়িম্বাবোয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ১৪২ এবং অপরাজিত ১৯৯ করেছিলেন। পন্থ ১৩৪ এবং ১১৮ রান করলেন। বিশ্বের প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে ইংল্যান্ডে একই টেস্টে জোড়া শতরান করলেন তিনি। এক টেস্টে জোড়া শতরানের নজির রয়েছে অনেক ভারতীয়েরই। বিজয় হজারে প্রথম এই নজির গড়েন। ১৯৪৮ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই শতরান করেছিলেন। যদিও ম্যাচটি হেরেছিল ভারত। এর পর এই নজির গড়েন সুনীল গাভাস্কর। তিন বার একই টেস্টে জোড়া শতরান করেছেন তিনি। দু’বার এই কীর্তি রয়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের। এক বার করে এই নজির গড়েছেন বিরাট কোহলি, অজিঙ্ক রাহানে, রোহিত শর্মা। সোমবার পন্থ সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন। এ ছাড়া, একটি টেস্টে ন’টি ছক্কা মারলেন পন্থ। এই কীর্তি রয়েছে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ (২০০৫, বনাম অস্ট্রেলিয়া) এবং বেন স্টোকসের (২০২৩, বনাম অস্ট্রেলিয়া)।

    রেকর্ড-বুকে রাহুল

    লিডসে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান করেছেন কেএল রাহুল। প্রথম ইনিংসে ভাল খেললেও ৪২ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে অভাব মিটিয়ে দিলেন তিনি। ১৮ মাস পর শতরান এল টেস্টে। নজিরও গড়েছেন ভারতের ক্রিকেটার। প্রথম ভারতীয় ওপেনার হিসাবে ইংল্যান্ডে গিয়ে তিনটি শতরান করলেন তিনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৮টি ইনিংস খেলে তিন নম্বর শতরান করেছেন রাহুল। তার আগে রাহুল দ্রাবিড়, সুনীল গাওস্কর, বিজয় মার্চেন্ট এবং রবি শাস্ত্রীর দু’টি করে শতরান ছিল। টেস্টে এই নিয়ে নবম শতরান হল রাহুলের। আগেও ইংল্যান্ডে দু’টি শতরান রয়েছে তাঁর। তাঁর ১৩৭ রানের ইনিংসের গুরুত্বও কম নয়। ওপেন করতে নেমে ৮৫তম ওভার পর্যন্ত ২২ গজের এক প্রান্ত আগলে রাখলেন। দলকে নির্ভরতা দিলেন। যতটা সম্ভব ঝুঁকিহীন থাকার চেষ্টা করেছেন। দলের অভিজ্ঞতম ব্যাটারের ভূমিকা যেমন হওয়া উচিত, ঠিক সেটাই করেছেন। ২৪৭ বলের ইনিংসে নিজে রান তোলার গতি বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি পন্থকে সামলে রেখেছেন। দায়িত্বশীল রাহুল সম্পদ হয়ে উঠতে পারেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মাহীন ভারতীয় শিবিরের। চতুর্থ উইকেটে তাঁদের ১৯৫ রানের জুটি একটা সময় দিশেহারা করে তুলেছিল বেন স্টোকসদের।

  • India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টে কালো ‘আর্মব্যান্ড’, আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা

    India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টে কালো ‘আর্মব্যান্ড’, আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেডিংলেতে কালো ‘আর্মব্যান্ড’ পরে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামলেন ভারত এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা। ‘আর্মব্যান্ড’ পরেছেন আম্পায়ারেরাও। গত ১২ জুন আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কালো আর্মব্যান্ড পরেছেন সকলে। এ ছাড়া খেলা শুরুর আগে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    ম্যাচ শুরুর আগে শ্রদ্ধা

    গত ১২ জুন আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ‘এআই১৭১’। কিন্তু রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ২৭৪। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় ছিলেন ১৬৯ জন। এ ছাড়া ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিন খেলা শুরু হয়। উল্লেখ্য, টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালের তৃতীয় দিনও অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারেরা একই কারণে কালো বাহুবন্ধনী পরে খেলতে নেমেছিলেন। প্রথম টেস্টে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতে ইংল্যান্ডের আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে থাকে। রোদ-বৃষ্টির খেলা চলে সেখানে। তাই মাঝে মাঝেই খেলায় বিঘ্ন ঘটে। তবে প্রথমদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। কিন্তু গোটা দিনই আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। তবে দ্বিতীয়দিন থেকে পঞ্চমদিন বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকবে বলে পূর্বাভাস। ‘ওভারকাস্ট কন্ডিশনে’র সুবিধা পেতে পারেন পেসাররা।

    অভিষেকে শূন্য, ইতিহাসের পাতায় সুদর্শন

    অভিষেক টেস্ট ভুলে যেতে চাইবেন সাই সুদর্শন। প্রথম ম্যাচেই শূন্য রানে ফিরলেন। মাত্র ৪ বল উইকেটে টেকেন। বেন স্টোকসের লেগ সাইডের বলে খোঁচা মেরে আউট হলেন বাঁ হাতি তরুণ ক্রিকেটার। যা মেনে নেওয়া যায় না। অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাঁকে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল। কিন্তু প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়ার রান ৯২। শেষ দশ মিনিট বাদ দিলে বাকি সময়টা ছিল ভারতের। এদিন দারুণভাবে নতুন বল সামলান যশস্বী জয়সওয়াল এবং কেএল রাহুল। খুব বেশি সুযোগ দেয়নি তাঁরা। প্রথম উইকেটে ৯১ রান যোগ করে ওপেনিং জুটি। রাহুলকে শুরুতে নামানো সঠিক সিদ্ধান্ত। ঠাণ্ডা মাথায় ইংল্যান্ডের বোলারদের সামলান। ভারতের ব্যাটিংয়ের ভীত শক্ত করেন। যেভাবে খেলছিলেন অর্ধশতরান নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ৭৮ বলে ৪২ রান করে আউট হন। ইনিংসে রয়েছে ৮টি চার। কার্সের বলে খোঁচা মেরে প্রথম স্লিপে রুটের হাতে ধরা পড়েন। ৪২ রানে অপরাজিত যশস্বী। লিডসে ভারতের ৩১৭ নম্বর ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পেলেন পেলেন সাই সুদর্শন। সাই সুদর্শনের টেস্ট অভিষেকের মধ্য দিয়ে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হলো আরেকটি স্মরণীয় অধ্যায়। ব্যাটিং করতে নামার আগেই ইতিহাসের পাতাতেও নাম তুলে ফেললেন সাই সুদর্শন। ঐতিহাসিক দিনে টেস্ট অভিষেক হল তাঁর। ১৯৯৬ সালে ২০ জুন লর্ডসে অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল দ্রাবিড়ের। ২০১১ সালে ঠিক একই দিনে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলির। এবার সেই ২০ জুন টেস্ট ক্যাপ মাথায় তুললেন সাই সুদর্শন।

  • India vs Australia: ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই ভারতের, সিডনিতে কি আর বল করতে পারবেন বুমরা?

    India vs Australia: ম্যাচ বাঁচানোর লড়াই ভারতের, সিডনিতে কি আর বল করতে পারবেন বুমরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিডনিতে (India vs Australia) অপ্রত্যাশিত পিচ। যেখানে মূলত স্পিন সহায়ক পিচ দেখা যায়। এ বার পেস বাউন্সি গ্রিন টপ। ভারত অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৮৫ রানেই অলআউট। তখনও মনে হয়েছিল, এক তরফা ম্যাচ হতে চলেছে। যদিও দ্বিতীয় দিন খেলা ঘুরে গেল পুরোপুরি। এখান থেকে যে কেউ জিততে পারে। তবে বুমরার চোটে কিছুটা হলেও পাল্লা ভারি অজিদের।

    দুরন্ত বোলিং সিরাজদের

    প্রথম দিনের শেষ ডেলিভারিতে উসমান খোয়াজার উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন ভারতের দাপট। বোলাররা যেমন দুর্দান্ত তেমনই ক্যাচিং। স্লিপ কর্ডনে লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি এবং গালিতে যশস্বী জয়সওয়াল দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। স্টিভ স্মিথ অনবদ্য ব্যাটিং করছিলেন। ৫ রানের জন্য টেস্টে দশ হাজার ক্লাবে ঢোকা হয়নি স্মিথের। হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে সেই কীর্তি গড়বেন। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা বিউ ওয়েবস্টারের হাফসেঞ্চুরি। তাতেও অবশ্য লিড নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৮১ রানেই শেষ তাদের ইনিংস।

    বুমরার চোট নিয়ে চিন্তা

    সিডনির টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংকে। তবে এই ইনিংস চিন্তায় রেখেছে ভারতকেও। মধ্যাহ্নভোজের পর এক ওভার বল করেই চোটের জন্য মাঠ ছাড়তে হয় বুমরাকে। স্ক্যান করাতে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। আর বল করতে পারেননি। মাঠ ছাড়ার আগে ৩৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তাঁর পরিবর্তে দলের কঠিন সময়ে এদিন ফের ক্যাপ্টেন ব্যান্ড হাতে নেন কোহলি। বুমরার অভাব এদিন অবশ্য বুঝতে দিলেন না সিরাজেরা। হায়দ্রাবাদের জোরে বোলার ৫১ রানে ৩ উইকেট নিলেন। কাঁধে কাঁধ দিয়ে লড়লেন প্রসিদ্ধ (৪২ রানে ৩ উইকেট) এবং নীতীশও (৩২ রানে ২ উইকেট)। অস্ট্রেলিয়াকে বাড়তে দিলেন না বোলারেরা। 

    মান বাঁচানোর লড়াই

    সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৮০ ওভার খেলা হল। উঠল ৩১৩ রান। আর উইকেট পড়ল ১৫টি। সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার। পন্থের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৪১ রান তুলে নিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে লিড ১৪৫। ক্রিজে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। এখন প্রশ্ন একটাই বুমরা কি পারবেন বল করতে? বোলারদের হাতেই যে এখন ভারতের মান বাঁচানোর লড়াই।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India vs Australia: ব্রিসবেনে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ ভারতের, দেড় ঘণ্টা নেটে অনুশীলন কোহলির

    India vs Australia: ব্রিসবেনে ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ ভারতের, দেড় ঘণ্টা নেটে অনুশীলন কোহলির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে শুরু পারথে দ্বিতীয় ইনিংস বাদে অস্ট্রেলিয়াতেও (India vs Australia) তিনটি ইনিংসেই ব্যর্থ ভারতের ব্যাটিং। তাই ব্রিসবেন টেস্টের আগে দলের ব্যাটিংয়ের দিকে বেশি নজর দিয়েছেন ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর। বিরাট কোহলি দেড় ঘণ্টা ব্যাট করেছেন। অনেক ক্ষণ ব্যাট করেছেন রোহিত শর্মাও। যে কোনও মূল্যে ব্রিসবেনে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে চান রোহিত ও বিরাট।

    পুরোদমে অনুশীলন শুরু

    ব্রিসবেনে পৌঁছেই পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেছে ভারত। বুধবার অনুশীলনের শুরুতে ক্রিকেটাররা গোল হয়ে দাঁড়ান। সেখানে কথা বলেন কোহলি। ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করেন। তার পরে শুরু হয় অনুশীলন। প্রথমে গা গরম করেন ক্রিকেটাররা। তার পরে শুরু হয় ফিল্ডিং অনুশীলন। স্লিপে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ধরতে দেখা যায় কোহলি, সরফরাজ খান, লোকেশ রাহুলদের। ইনিংসে ওপেন করার মতোই নেটেও সকলের আগে নামেন যশস্বী জয়সওয়াল ও রাহুল। বেশ কিছু ক্ষণ ব্যাট করেন তাঁরা। মাঝে মাঝে কোচ গম্ভীরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় রাহুলকে। রোহিত নেটে ব্যাটিং শুরু করেন স্পিনারদের বিরুদ্ধে। এর থেকেই স্পষ্ট ব্রিসবেনেও মিডল অর্ডারে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে। 

    দীর্ঘ অনুশীলন বিরাটের

    নেটে সবচেয়ে বেশি ক্ষণ ব্যাট করেন কোহলি। প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছাড়ার দিকে বেশি নজর দিচ্ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ব্যাকফুটে খেলার চেষ্টাও করছিলেন। বেশ কয়েকটি কাট-পুল খেলেন তিনি। থ্রো-ডাউন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে দলের বোলারদের সামনে ব্যাট করেন কোহলি। শেষ আধ ঘণ্টা কোহলি নিজের শট খেলার দিকে জোর দেন। বেশ কয়েকটি কভার ড্রাইভ মারতে দেখা যায় তাঁকে। দেড় ঘণ্টা পরে নেট থেকে বেরিয়ে গম্ভীরের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে।

    স্পিনার বুমরা

    ব্রিসবেনে অনুশীলনে স্পিনার বুমরাকে দেখা যায়। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অফ স্পিনের পাশাপাশি লেগ স্পিন করতে থাকেন বুমরা। তখন অবশ্য কেউ ব্যাট করছিলেন না। কয়েকটি স্পিন বল করার পর নিজের স্বাভাবিক পেস বল করেন বুমরা। চলতি সিরিজে প্রথম টেস্টে ১২টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন বুমরা। রোহিত শর্মা না থাকায় সেই টেস্টে ভারতের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টে ৪টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ব্রিসবেনেও বুম বুম বুমরা শো- দেখাতে চান তিনি। উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর, শনিবার থেকে ব্রিসবেনে তৃতীয় টেস্ট শুরু। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে হলে এই সিরিজ দু’দলের কাছেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) সিরিজ আপাতত ১-১ রয়েছে। সেই কারণে ব্রিসবেনে জেতার লক্ষ্যে নামবে দু’দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Vs Bangladesh: বাংলাদেশকে ক্লিন স্যুইপ! ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় ভারতের

    India Vs Bangladesh: বাংলাদেশকে ক্লিন স্যুইপ! ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যে পাকিস্তান নয় তা সহজে প্রমাণ করে দিল রোহিত ব্রিগেড। বৃষ্টি বিঘ্নিত কানপুর টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারাল টিম ইন্ডিয়া। ২-০ টেস্ট সিরিজে পরাজিত শাকিবরা। এই সিরিজ খেলতে নামার আগে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে এসেছিল আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার তাদেরই হোয়াইটওয়াশ করল টিম ইন্ডিয়া। এর ফলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবলেও শীর্ষস্থান আরও মজবুত হল ভারতের।

    টাইগারদের স্বপ্ন চুরমার

    চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশকে ২৮০ রানে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। কানপুরে বৃষ্টির কারণে প্রথম তিন দিন মাত্র খেলা হয়নি বললেই চলে। মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হওয়ার পর অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, এই টেস্ট ম্যাচটা হয়ত ড্র হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও নিজেদের সম্মান বাঁচাতে পারত। কিন্তু, শেষ ২ দিন রোদ ঝলমলে আকাশে টাইগারদের সেই স্বপ্নটাও কার্যত চুরমার হয়ে গেল রোহিত-যশস্বী-জাদেজা-অশ্বিনদের হাতে। জোড়া অর্ধ শতরান করে ম্যাচের সেরা হলেন যশস্বী জয়সওয়াল।

    দুরন্ত ভারত

    কানপুরে ভারত টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায়। প্রথমদিন ৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল তিন উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করেছিল। এরপর চতুর্থদিন তারা ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ভারতীয় ক্রিকেট দল প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ভারতীয় বোলারদের সামনে কার্যত নতিস্বীকার করে। ১৪৬ রানে তারা অলআউট হয়ে যায়। ভারতের সামনে জয়ের জন্য ৯৪ রানের টার্গেট ছিল। রোহিত-গিল দ্রুত ফিরলেও দ্বীতিয় ইনিংসেও স্বপ্রতিভ ছিলেন যশস্বী। তিনি অর্ধ শতরান করেন। কোহলির অপরাজিত ২৯-এর সুবাদে ভারত সহজেই জয় হাসিল করে। এর ফলে, দুম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Vs Bangladesh: ৩ ওভারে ৫১, ১০ ওভারে ১০০! রোহিত-যশস্বী-গিলের যাদুতে জোড়া রেকর্ড ভারতের

    India Vs Bangladesh: ৩ ওভারে ৫১, ১০ ওভারে ১০০! রোহিত-যশস্বী-গিলের যাদুতে জোড়া রেকর্ড ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্ট চলছে না টি২০, বোঝা দায়। ইংল্যান্ডের বাজবলের ছোঁয়া রোহিত-যশস্বীর ব্যাটে। ওপেনিং জুটিতে তাঁদের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে কানপুরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে জোড়া রেকর্ড করল ভারত। ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভারে ৫১ রান করলেন রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল। ১০.১ ওভারে হল ১০০ রান। টেস্টে দ্রুততম শতরানের রেকর্ড করল ভারত। এর আগে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১২.২ ওভারে ১০০ করেছিল ভারত। নিজেদেরই নজির ভেঙে দিল টিম ইন্ডিয়া। 

    দ্রুত রান তোলাই লক্ষ্য

    কানপুরে বৃষ্টি ও তার জেরে মাঠ ভিজে থাকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের খেলা হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ ২য় টেস্টের প্রথম দিন  বাংলাদেশ ব্যাট করার পর ফের চতুর্থ দিন নামে। ২৩৩ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। জিততে হলে ভাল শুরু করতে হত ভারতকে। দ্রুত রান তুলতে হত। সেটাই করেন রোহিত ও যশস্বী। প্রথম ওভার থেকে বড় শট খেলা শুরু করেন দু’জনে। প্রথম ওভারে ওঠে ১২ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দু’টি ছক্কা মারেন রোহিত। তিনিও হাত খোলেন। সেই ওভারে ওঠে ১৭ রান। তৃতীয় ওভারে আরও ভয়ঙ্কর দেখায় দুই ব্যাটারকে। ২২ রান তোলেন তাঁরা। ৩ ওভারে ৫১ রান করে ভারত। রোহিত ৬ বলে ১৯ ও যশস্বী ১৩ বলে ৩০ রান করেন। টেস্টের ইতিহাসে প্রথম কোনও দল এত কম বলে ৫০ রান করল।

    বুদ্ধিমত্তার সঙ্গেই ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড নেয় ভারতীয় দল। যেখানে আজকের আগে পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ৮ রান রেটে কখনও ১০০ রানই ওঠেনি, সেখানে ভারতীয় দল ২৮৫ রান তুললে ৩৪.৪ ওভারে, অর্থাৎ রান রেট ৮.২২। গত বছর পোর্ট অব স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল নিজেদের সর্বোচ্চ ৭.৫৪ রান রেটে করেছিল ২ উইকেটে ১৮১ রান। ২৪ ওভারে সেই রান তুলে ডিক্লিয়ার করেছিল টিম ইন্ডিয়া। এবার ভারতীয় দল সেই রান রেটকেও ছাপিয়ে গেল।

    জাদেজার রেকর্ড

    বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টে এক জোড়া মাইলফলক স্পর্শ করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। বাংলাদেশের খালেদ আহমেদকে আউট করে টেস্টে ৩০০ উইকেট পূর্ণ করলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ভারতের সপ্তম ক্রিকেটার হিসাবে এই নজির গড়লেন তিনি। টেস্টে তিন হাজার রান করার পাশাপাশি ৩০০ উইকেটও নিলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। আপাতত রবীন্দ্র জাদেজা এশিয়ার অলরাউন্ডারদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে সবথেকে দ্রুত ৩,০০০ রানের পাশাপাশি ৩০০ উইকেট শিকার করলেন। তবে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে জাদেজা এই কৃতিত্ব কায়েম করলেন। রবীন্দ্র জাদেজার থেকে দ্রুত এই রেকর্ড কায়েম করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন বোলার ইয়ান বোথাম। ৭২ টেস্ট ম্য়াচেই বোথাম এই রেকর্ড কায়েম করেন। সেখানে জাদেজা ৭৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share