Tag: tet

tet

  • Primary TET: রাজ্যের সব প্রাইমারি শিক্ষককে টেট পাশ করতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary TET: রাজ্যের সব প্রাইমারি শিক্ষককে টেট পাশ করতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সব প্রাইমারি শিক্ষককে টেট (Primary TET) পাশ করতেই হবে। অন্তত এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী দু’বছরের মধ্যেই টেট পাশ করতে হবে সমস্ত প্রাইমারি শিক্ষককে। মহারাষ্ট্রের মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম নির্দেশ গোটা দেশেই প্রযোজ্য বলে দাবি আইনজীবীদের। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘যাঁদের ৫ বছরের কম চাকরি রয়েছে, তাঁদের টেট উত্তীর্ণ না হলেও চলবে। তবে পদোন্নতি চাইলে টেট পাশ করতেই হবে। ৫ বছরের বেশি যাঁদের চাকরি রয়েছে, তাঁদের টেট পাশ বাধ্যতামূলক। পরীক্ষায় যদি পাশ না করেন কিংবা পরীক্ষায় বসতে না চান, তাহলে তাঁদের চাকরি ছাড়তে হবে। যদিও অবসরকালীন সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন তাঁরা।’

    প্রাইমারি টেট (Primary TET)

    প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে দেশে লাগু হয়েছে শিক্ষার অধিকার আইন। ২০১২ সাল থেকে এ রাজ্যে প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগে চালু হয়েছে টেট-এর ব্যবস্থা। তার আগে বহু শিক্ষক চাকরি পেয়েছিলেন টেট (Primary TET) না দিয়েই। দিব্যি চাকরিও করছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রাইমারি শিক্ষক রয়েছেন প্রায় দেড় লাখ, তাঁদের মধ্যে ৫০ হাজার শিক্ষক টেট চালু হওয়ার আগে থেকেই চাকরি করছেন।

    পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চিঠি

    এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা জানতে পেরেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই প্রত্যেক শিক্ষকের জন্মতারিখ, জয়েনিং ডেট, এমপ্লয়ি আইডি, তাঁর রিটায়ারমেন্টের তারিখ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা – সব জানাতে হবে।

    দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর পর্ষদের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেক প্রাইমারি শিক্ষক-শিক্ষিকাই। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “শিক্ষার অধিকার আইন এবং এনসিটিই রুলে কোথাও বলা বলেই একথা। তা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় দিয়েছে (Primary TET)।”

  • TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    TET: টেট পাশ না করলে শিক্ষকদের চাকরি যাবে, সুপ্রিম নির্দেশে কাদের ছাড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতায় পদোন্নতি বা চাকরি চালিয়ে যেতে হলে টেট উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক – এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পাঁচ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেও টেট পাশ না করলে শিক্ষকতায় থাকা যাবে না। তবে যে সব শিক্ষক ২০০৯ সালের শিশুদের বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষা অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার আগে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের টেট পাশ করার জন্য ২ বছরের সময় দেওয়া হয়েছে।

    টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যে শিক্ষকরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন না, তাঁরা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন বা টার্মিনাল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের জন্য আবেদন করতে পারেন। আসলে ২০১১-র ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ঘোষণা করেছিল শিক্ষকপদে নিয়োগে যোগ্য হতে টেট বাধ্যতামূলক। কিন্তু বাস্তবের কথা মাথায় রেখে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে, যাঁদের অবসর পেতে আর পাঁচ বছর বাকি, তাঁদের জন্য ছাড়। তাঁরা টেট না পাশ করলেও চাকরি করে অবসর নিতে পারবেন। কিন্তু এই সময়ে পদোন্নতি পাবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এসেছে একাধিক মামলার প্রেক্ষিতে। তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য সরকারও এই বিষয়ে মামলা করেছিল। প্রশ্ন ছিল – শিক্ষকতার জন্য টেট আদৌ বাধ্যতামূলক কিনা। এনসিটিই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য যখন ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করেছিল, তখনই টেট চালু হয়।

    সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে করণীয়

    তবে সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও টেট বাধ্যতামূলক হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, স্কুলের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য কয়েকটি ন্যূনতম শর্ত তৈরি করেছিল ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (এনসিটিই)। তারপর চালু করা হয়েছিল টেট। পশ্চিমবঙ্গেও টেট পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়। যদিও পরীক্ষার পর দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া না এগোনো এবং দুর্নীতির অভিযোগে একাধিকবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

  • Partha Chatterjee: প্রাথমিক টেটে অযোগ্যদের তালিকা আমলাকে পাঠান স্বয়ং পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের

    Partha Chatterjee: প্রাথমিক টেটে অযোগ্যদের তালিকা আমলাকে পাঠান স্বয়ং পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা (TET) আমলাকে পাঠান স্বয়ং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঠিক এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নথি দেখার পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। এই তথ্যের উপর নির্ভর করে তাঁকে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।

    তালিকাভুক্তদের অনেকেই অযোগ্য (Partha Chatterjee)

    গত জুন মাসে বিকাশ ভবনে টানা অভিযান চালায় সিবিআই। সেখানে ২০১৪ সালের অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে টেট (TET) দুর্নীতির প্রত্যক্ষ যোগসূত্র রয়েছে। বিকাশ ভবনের গুদামঘর থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি নথিপত্র। তার মধ্যে ছিল, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার টেট প্রার্থীদের তালিকা। মোট ৭৫৩ জনের একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ওই বছর ৩১০ জনের চাকরি হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকাভুক্তদের অনেকেই অযোগ্য। বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে, পার্থ অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন এক সরকারি আমলাকে। ওই তালিকা থেকে কয়েক জনের চাকরি হয়। এই নথির মধ্যে প্রভাবশালী কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।

    ২০২২ সালে গুদামটি সিল করেছিল সিবিআই

    শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করেছিল সিবিআই। এই গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেই নথিতে ছিল পরীক্ষার্থী এবং চাকরি প্রাপ্তদের নামের তালিকাও।

    আরও পড়ুনঃ ১৮ অক্টোবর সিঙ্গুরে রতন টাটার ছবি নিয়ে মৌন মিছিলের ডাক শুভেন্দুর

    নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন পার্থ

    ২০২২ সালের ২২ জুলাই তারিখে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশির পর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এরপর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৎকালীন এই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতাকেও গ্রেফতার করেছিল। যদিও আলাদা করে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয়নি পার্থকে। বর্তমানে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে, পার্থর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে হাইকোর্টে।         

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TET Case: ‘টেটের শংসাপত্র দিন’, পর্ষদ-সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    TET Case: ‘টেটের শংসাপত্র দিন’, পর্ষদ-সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে যাতে আবেদনকারীরা টেটের (TET Case) শংসাপত্র পান, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সোমবার টেট মামলায় এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি সিবিআইকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রাইমারি টেটে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী শংসাপত্র না পেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। তাঁদের অভিযোগ, ২০১৪ সালের টেটের শংসাপত্র পাননি তাঁরা। সিবিআই ও পর্ষদের দ্বন্দ্বের কারণে আটকে ছিল বিষয়টি। সেই দ্বন্দ্বের গেরোই কাটল এদিন, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে।

    পর্ষদের বক্তব্য (TET Case)

    প্রাইমারি টেট মামলার শুনানিতে পর্ষদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল আদালত। পর্ষদ জানায়, টেটের কোনও শংসাপত্র তাদের কাছে নেই। এই শংসাপত্র মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সব নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। সিবিআই অবশ্য গত সপ্তাহেই আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, সব নথিই পর্ষদকে দেওয়া হয়েছে।

    আদালতের প্রশ্ন

    এদিন আদালতের প্রশ্ন, এরা পাশ করেছে, আর বোর্ডের কাছে কোনও তথ্য নেই! বোর্ড কী করে বুঝতে পারছে যে এরাই পরীক্ষার্থী? এদিন নির্দেশে বিচারপতি সিনহা আদালতকে জানান, সিবিআইকে অবিলম্বে ওই সব শংসাপত্র পর্ষদের হাতে তুলে দিতে হবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে তারা সেই সব শংসাপত্র তুলে দেবে আবেদনকারীদের হাতে। বিচারপতির নির্দেশ, ২০১৪ সালের টেটের ১ লাখ ২৬ হাজারের শংসাপত্র পর্ষদকে ফের দিতে হবে সিবিআইকে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    এক সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ (TET Case) শেষ করতে হবে সিবিআইকে। তার পর দুসপ্তাহের মধ্যে আবেদনকারীদের সব শংসাপত্র দেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে পর্ষদকে। পর্ষদ জানিয়েছে, তাদের কাছে কিছু তথ্য রয়েছে। সেই তথ্য থেকেই সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে, সিবিআই জানিয়েছে, ওরিজিনাল কপি দিলে (Calcutta High Court) তদন্ত বাধা পেতে পারে। তাই ওয়ার্কিং কপি দেওয়া হবে (TET Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    Supreme court: টেটের শূন্যপদ নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার বড় নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্যানেলের মেয়াদ শেষে কোনও নিয়োগ নয়, নির্দেশে সাফ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ ২০২০ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রয়ে যাওয়া শূন্যপদে নতুন করে কোনও নিয়োগ নয়, এমনটাই নির্দেশ বিচারপতি হৃষীকেশ রায়ের বেঞ্চের।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Supreme court) 

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে একটি ২০১৬ সালে এবং অপরটি ২০২০ সালে। ২০২০ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের তরফে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু, বিভিন্ন কারণের জন্য ৩৯২৯ টি পদ শূন্যই থেকে গিয়েছিল। এই প্রায় ৪ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার কাদের রয়েছে? এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা ২০১৪ সালে টেট পাশ করে তাঁদের দাবি ছিল বাকি পদগুলিতে রয়েছে তাঁদের অগ্রাধিকার। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা গিয়েছিল তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। তিনি সেই সময় মেধার উপর ভিত্তি করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court) সেই নির্দেশকে মান্যতা দিল না। 

    শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ 

    বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে (Supreme court) উঠতে সেখানেই এই দাবি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগের (Primary Recruitment) ক্ষেত্রে যে পদগুলি বাকি রয়েছে সেগুলি আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে বলে জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme court) তরফে। অর্থাৎ ২০২২ সালের যে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল তার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই করা হবে নিয়োগ।

    আরও পড়ুন: ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমেছে ৮ শতাংশ, তরতরিয়ে বেড়েছে সংখ্যালঘুরা

    অন্যদিকে আবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জলও গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই বাতিল করে দেয়। আর এই নির্দেশে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি যায়। আর অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের সুদ সমেত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সেই মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Primary Tet 2022: প্রাথমিক টেটের প্রশ্নে ভুল, খতিয়ে দেখেতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চাইল হাইকোর্ট

    Primary Tet 2022: প্রাথমিক টেটের প্রশ্নে ভুল, খতিয়ে দেখেতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্য চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট (Primary Tet 2022) পরীক্ষার ভুল প্রশ্নপত্র নিয়ে পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশ্নপত্র যাচাইয়ে  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দিয়ে বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিল আদালত। এর আগে ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার তদন্তে বিশ্বভারতী বিশ্বিবিদ্যালয়ের সাহায্য চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

    কী বলল আদালত

    ২০২২ সালে টেট (Primary Tet 2022) পরীক্ষায় মোট ২৩টি প্রশ্ন নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই ২৩ টি প্রশ্নের উত্তর নতুন করে যাচাই করতে যাদবপুরের উপাচার্যকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে যাবতীয় নথি উপাচার্যকে দিতে হবে। তিনি কমিটিকে দিয়ে ওইসব প্রশ্নের সঠিক জবাব কি হতে পারে সে ব্যাপারে নিজেদের মতামত এক মাসের মধ্যে কোর্টকে জানাবেন। ১৯ জুন পরবর্তী শুনানিতে এই ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। ২০১৭ সালের মতো ২০২২ সালের প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার তাঁদের হয়েই আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম, বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    আগেও প্রশ্নে ভুল

    ২০১৭ সালের টেটে (Primary Tet 2022) ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল কি না, তা নিয়ে বুধবারই কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। তিনি জানান, টেটে প্রশ্নপত্র ভুল ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই কমিটি গঠন করবেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। প্রাথমিকভাবে, প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় ১৩টি প্রশ্নে ভুল আছে বলে জানা গিযেছিল। এরপর জানা যায়, ১৩ নয় ১৫টি প্রশ্নে ভুল আছে। সেই সংখ্যা বেড়ে ২১টি হয়ে যায়। সবশেষে এখন নতুন করে যে মামলা হয়েছে, তাতে প্রশ্ন ভুলের সংখ্য়া বলা হচ্ছে ২৩টি। ১৫০টি প্রশ্নের মধ্যে ২৩টি প্রশ্নেই ভুল কী করে হয়, বিষয়টি নিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের প্রশ্নপত্রে সত্যিই ভুল ছিল কিনা, তা জানতে বিশ্বভারতীকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান-সহ মোট তিনটি বিষয়ে ২১টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রশ্ন ভুল থাকলে ওই একুশটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দিতে হবে তাঁদের।

    কী বলল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    আবেদনকারীদের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কমিটি গঠন করতে বলেছেন বিশ্বভারতীকে। আদালতের নির্দেশ, উপাচার্য তাঁর পছন্দ মতো কমিটি গড়বেন। সেই কমিটি সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে আগে চিহ্নিত করবে সঠিক উত্তরগুলি (Calcutta High Court)। পরে খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষার্থীদের উত্তরও। তার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের কোন কোন উত্তর বেছে নেওয়া হবে, সেটা নির্ধারণ করবেন এই কমিটির বিশেষজ্ঞরা। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে মতামত দিতে হবে কমিটিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুন। সেদিন বিশ্বভারতীর কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    মামলাকারীদের দাবি

    ২০১৭ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল ছিল এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, ওই বছরের টেটের প্রশ্নপত্রে ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে যদি ভুল থাকে, তাহলে সবাইকে নম্বর দেওয়া হোক। এই মামলার আগের শুনানিতে কিছুটা অসন্তোষের সুরেই বিচারপতি বলেছিলেন, “একটা প্রশ্নে এত ভুল থাকে কী করে? পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন হয়ে ভুল প্রশ্ন খুঁজে বের করে সঠিক উত্তর দেবেন? বুধবার এই মামলারই শুনানিতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সেই ভুল খুঁজে বের করতেই বিশ্বভারতীকে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। এঁরা সবাই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে ছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ওই হাজার চব্বিশেক মানুষ। সোমবারের সেই নজিরবিহীন রায়ের পর বুধবার ২০১৭-র টেটে ভুল প্রশ্ন নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ সেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।

    আবারও কি একবার মুখ পুড়বে এসএসসি কর্তৃপক্ষের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: “আসল ওএমআর শিট না পেলে ২০১৪ টেট বাতিল”, হুঁশিয়ারি বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে না পেলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাই বাতিল করে দেব।” মঙ্গলবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, “ডিজিটাল তথ্য সহজে নষ্ট হয় না। মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। পৃথিবী থেকে মঙ্গলে গেলেও, ওই তথ্য পাওয়া যেতে বাধ্য। তার পরেও যদি তথ্য হাতে না আসে, তাহলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করতে বাধ্য হবে আদালত।”

    ‘ফুটপ্রিন্ট কোথায়?’ (Calcutta High Court)

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থা (Calcutta High Court) বলেন, “ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজে বার করুন। ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কোথায় রয়েছে তার সন্ধান করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবারের মধ্যে অতিরিক্ত রিপোর্ট দিয়ে সংক্ষেপে জানাতে হবে, নিয়োগ কীভাবে হয়েছিল? দুর্নীতিই বা হয়েছে কোথায়।”

    কী বলছে পর্ষদ?

    ২০১৪ সালের টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করা হয়েছে। তার পরিবর্তে ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে ওই সব তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারপতি মান্থা বলেন, “পর্ষদের দাবি সব ওএমআর শিট ডিজিটাইজড ডেটা হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে হেমন্ত চক্রবর্তী নামে এক পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিটের প্রতিলিপি দেওয়া হয়। অর্থাৎ ডিডিটাল ফুটপ্রিন্ট থাকার কথা।” তাঁর প্রশ্ন, “তার পরেও ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যাবে না কেন?” সিবিআইকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, “তথ্যপ্রযুক্তি বিজ্ঞান বলছে তথ্য মুছে ফেললেও, তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। অর্থাৎ, ওএমআর শিটের তথ্য পাওয়া যেতে পারে। আর ওই সব তথ্য সিবিআইকে খুঁজে বার করতে হবে। তার জন্য যদি হার্ড ডিস্ক বা অন্য কোনও সূত্রের প্রয়োজন হয়, তবে প্রয়োজনে পর্ষদ অফিসেও যেতে পারবে সিবিআই।”

    আরও পড়ুুন: স্কুল বন্ধ করে দেবের ভোটপ্রচার! কমিশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিজেপির

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইলও করা হয়েছে। বিচারপতি মান্থা জানান, এই মামলায় সিবিআইয়ের অনেক রিপোর্ট আদালতে পৌঁছায়নি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সব রিপোর্ট তাঁর এজলাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

    Murshidabad: বহরমপুরে চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর স্টেডিয়ামে ৩৯ তম রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রত্য বসু এবং প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল উপস্থিত ছিলেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন মঞ্চের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখালেন চাকরিপ্রার্থীরা। উল্লেখ্য রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী, পর্ষদ সভাপতি এবং বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন।

    কী বললেন পর্ষদ সভাপতি(Murshidabad)?

    বহরমপুরে (Murshidabad) পর্ষদের সভাপতি তিনি মঞ্চের নিচে নেমে এসে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের বিপদে ফেলতে চাই না আগামী ১৬ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে, তার আগে কোনও কিছু করা যাবে না। আমি তো দেশের প্রধানমন্ত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের উপরে যেতে পারি না। টেট মানেই সবাই চাকরি পাবেন না। আপনারা আপনাদের মতো করে মেধার লড়াই করুন। নিয়োগ হবে শূন্যপদের উপর নির্ভর করে। নোটিফিকেশন দেয়ার পর প্রার্থীরা যাঁরা টেট পাস করেছেন তাঁরা আবেদন করতে পারবেন। ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে যোগ্যতার মাধ্যমে চাকরি হবে। টেট পাশ করলেই যে চাকরি পাবেন এরকম কোনও গ্যারান্টি নেই। আবার টেট পাস করার সাথে সাথেই ইন্টারভিউতে ডাকতে হবে এমন কোনও কথা নেই। আমরা বলে দিয়েছি টেট পাশের সার্টিফিকেটটা চাকরির জন্য কোনও গ্যারান্টি সার্টিফিকেট নয়।”

    প্রার্থীদের প্রশ্নের উত্তরে কী বলেন?

    কবে নিয়োগ হবে এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এদিন প্রার্থীদের বহরমপুরে (Murshidabad) বলেন, “টেটে পাঁচ নম্বর আছে, তার ভিত্তিতে প্রার্থীরা যখন ইন্টারভিউ দেবেন তখন তাঁরা ৫ নম্বর পাবেন। সমস্ত ক্রাইটেরিয়ার মোট নম্বর হচ্ছে ৫০ আর তার উপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা তৈরি হবে। মেধার ক্রমাঙ্ক অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়। হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টে মামলা যতদিন না মীমাংসা হবে, ততদিন আমরা নিয়োগের পদ্ধতি করতে পারব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bibhas Adhikari: অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারীকে ফের তলব করল সিবিআই

    Bibhas Adhikari: অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারীকে ফের তলব করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারীকে (Bibhas Adhikari) ফের তলব করল সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় নতুন তথ্য পেতেই কি এবার ডাক? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। উল্লেখ্য রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতারের পর থেকেই বিভাসের নামের গুঞ্জন উঠেছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা এবার চলতি সপ্তাহেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডেকেছেন তাঁকে। যদিও অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।

    কুন্তলের মুখে নাম উঠেছিল বিভাসের (Bibhas Adhikari)

    তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আগেই গ্রেফতার করেছে। জেরায় প্রথম তাঁর মুখেই প্রকাশ হয় বিভাসের নাম। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরপর বিভাসের নাম নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলেছিল। রাজ্যের বেসরকারি বিএড-ডিএড কলেজগুলির সংগঠনের সভাপতি ছিলেন বিভাস (Bibhas Adhikari)। তিনি মানিক ভট্টাচার্যের খুব কাছের বলে পরিচিত। শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় তাঁকে আগেও বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দিতে হয়েছিল। গত ১৫ নভেম্বর তারিখে শেষ বার সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    কেষ্ট গ্রেফতার হতেই তৃণমূল ছেড়ে দেন

    প্রাথমিক মামলার তদন্তে বিভাসের (Bibhas Adhikari) নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতায় শিয়ালদা অফিসের ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে নলহাটিতেই নিজস্ব বিএড এবং ডিএড কলেজ রয়েছে। এমনকী কালজেগুলির মালিকানা সত্ত্বা তাঁর নিজের নামেই। এক সময় বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে খুব সখ্যতা ছিল। কিন্তু গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফেতার হতেই কেষ্টর সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। এমনকী তৃণমূল করাও বন্ধ করে দিয়েছেন। এরপর নিজের উদ্যোগে ‘অল ইন্ডিয়া আর্য মহাসভা’ নামে একটি নতুন দল তৈরি করেন। গতকাল আমাদের সংবাদ মাধ্যম বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কোনও সাড়া দেননি।

      

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share