Tag: tet

tet

  • Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া। সোমবার তলব করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের প্রাইমারি স্কুলের চার শিক্ষককে। টাকা দিয়ে চাকরি কেনার (Recruitment Scam) অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এবার তলব করা হল বাঁকুড়ার প্রাইমারি স্কুলের সাত শিক্ষককে। বুধবার নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।

    হাজিরায় আসতে হবে নথি নিয়ে 

    বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, জেলার এই সাত শিক্ষককে তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছে সিবিআই। এই শিক্ষকদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, জাতিগত শংসাপত্র সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেও ওই সাত শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকদের নথিগুলি মিলিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ টেটে

    জানা গিয়েছে, যে সাত শিক্ষককে বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব (Recruitment Scam) করেছে সিবিআই, তাঁরা প্রত্যেকেই চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট পাশ করে। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সিবিআই সাত শিক্ষককে তলব করেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই জেলায়। সিবিআই কাকে, কখন তলব করবে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা ২০১৪ সালের টেট পাশ করে চাকরি পাওয়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের একটা অংশ। প্রসঙ্গত, সোমবার যে চার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জাহিরউদ্দিন শেখ, সায়গর হোসেন, সীমার হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতি, দিনভর অবস্থানে কোভিড যোদ্ধারা

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ২৪ পাতার ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, চাকরি বিক্রির এজেন্ট ও চাকরি প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে তাপস নেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। আর চাকরি বেচে ৭১ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছিলেন ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। চাকরি করে দিয়ে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শিক্ষকের কাছ থেকে তাপস মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে ধৃত সায়গর দিয়েছিলেন ছ’ লক্ষ টাকা। জহিরউদ্দিন ও সৌগত দেন সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা। সীমার দিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা। ওই চার্জশিটের প্রথমেই নাম রয়েছে আশিক আহমেদের। তিনি অবশ্য এখনও অধরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে সল্টলেক। দুপুরে হাজরা মোড়। ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকে (আপার প্রাইমারি) চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড শহরের দুই প্রান্তে। 

    বৃহস্পতিবার সকাল সকাল চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় সল্টলেকে। এদিন সল্টলেকে এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল গণ্ডগোল বাধে। বিনা অনুমতিতে কলকাতার করুণাময়ী এলাকায় আচার্য সদনের গেটের সামনে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।  চাকরিপ্রার্থীদের দাবি একটাই, প্রকাশ করতে হবে আপার প্রাইমারির প্যানেল৷ 

    সকাল সকাল বিক্ষোভ 

    বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে পৌঁছন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক এবং এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ তারপরে সামনে থালা রেখে, কালো ব্যাজ পরে, প্ল্যাকার্ড হাতে চলে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ৷ বিক্ষোভের খবর পেয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ব বিধাননগর থানার পুলিশ৷ আসে র‌্যাফের একটি বাহিনীও। পুলিশের দাবি, কোনও বৈধ অনুমতি না থাকলেও আচার্য সদনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা৷ সেই সময়েই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খানিক ধাক্কাধাক্কি হয় পুলিশের৷ পরে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷

    আরও পড়ুুন: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৪ হাজার ৩৩৯ শূ্ন্যপদ থাকলেও দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর যাবৎ তাঁরা চাকরি পাননি। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও প্যানেল গঠন করা হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ২৪৪ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও দাবি করেছেন।  ২০১৪ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তির পর ২০১৫ সালে পরীক্ষায় বসেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৬ সালে ইন্টারভিউয়ের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও পান তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার এমএলএ হস্টেলের বাইরে রাস্তায় বসে পড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ 

    দুপুরে হাজরা মোড়ে তুলকালাম

    করুণাময়ী থেকে সরে আন্দোলনকারীরা হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, মেট্রো করে এসে হাজরায় জমায়েত করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়া। সেই মতো, হাজরায় জড়ো হন তাঁরা। চাকরি প্রার্থীদের একাংশ যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনে নামার পরেই তাঁদের অনেককে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ সরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। মেট্রোর ভিতরে ঢুকেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের একাংশকে। বেআইনি ভাবে জমায়েত এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনের অভিযোগ হাজরা মোড় এবং সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ৪০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে কালীঘাট এবং ভবানীপুর থানার পুলিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের (TET) সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর নিয়ে ভিন্ন মত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। তাই মামলাটি গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সেখান থেকে যাবে তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর কত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের টেট পাশের জন্য পেতে হবে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর। যার অর্থ, ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় পেতে হবে ৮২.৫। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে ধরা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-র মধ্যে ৮২ নম্বর পাওয়া মানে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ নম্বর হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবেই তা শতাংশের বিচারে হত ৫৫.৩৪। কেবল সেক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হত ৫৫ শতাংশের নিয়ম। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য ৮২ নম্বর পাওয়া টেট প্রার্থীদের মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায়দানকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ এবং এনসিটিই-র রিপোর্টেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কয়েকজন প্রার্থী।

    ডিভিশন বেঞ্চে ভিন্ন মত

    বুধবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই ভিন্ন মত পোষণ করেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে সঠিক বলে মত দেন। কিন্তু বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের দাবি, ৮২.৫ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। সেক্ষেত্রে তা ৮৩-ও হতে পারে। নম্বরের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে রাজি নন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করায় মামলাটি গিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। তিনি সেটি পাঠাবেন তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে উত্তীর্ণ মান কত – ৮২ না ৮৩?

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারা দেশেই ৮২ নম্বরকেই উত্তীর্ণ মান ধরা হয়। এই বিষয়টি নজরে রেখেই যাতে সিঙ্গল বেঞ্চ নম্বরের বিষয়টি বিবেচনা করে, এমনই আবেদন করেছিলেন আবেদনকারীরা। ৮২ নম্বরকেই পাশ মার্ক হিসেবে মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Primary Teacher Recruitment: ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justic Abhijit Ganguly) ৩,৯২৯ প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher) পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ থাকবে। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    কেন এই নিয়োগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের টেট-এর ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু, পরবর্তীকালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে। জানা যায় যে, ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, ৩,৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। 

    কী রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    যার প্রেক্ষিতে গত ৮ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে টেটে প্রশ্ন ভুলের দরুণ মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। পরে ১১ নভেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।কিন্তু এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং ২০১৭ সালের টেট উর্ত্তীর্ণদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: সকাল ১১টায় সিবিআই দফতরে হাজিরা অভিষেকের! দূর্গে পরিণত নিজাম প্যালেস

    কেন এই স্থগিতাদেশ?

    ২০১৭-য় টেট উত্তীর্ণদের প্রশ্ন, কেবল ২০১৪-র উত্তীর্ণরা কেন সুযোগ পাবেন? এক মামলায় শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, যে কোনও নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণরা। অন্যদিকে, পর্ষদের দাবি, কেবল ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে নিয়োগ করা অনেক জটিল। দু-পক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩,৯২৯ পদে নিয়োগের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি খোয়ালেন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এঁদের। এঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এঁরা অপ্রশিক্ষিতও। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়, এঁরা আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসেবে। রাজ্যকে তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। তিনি জানান, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেক ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে এত বিপুল পরিমাণ চাকরি আগে বাতিল হয়নি।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা বিজেপি নেতার…

    টেটের মাধ্যমে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে ন’ বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তবে তিনি বলেছিলেন, “এই প্যানেলের ৪২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। তবে সবাই যে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তা নয়। কেউ কেউ পরীক্ষা দিয়ে মেধার ভিত্তিতেও চাকরি পেয়েছেন।” তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত করা হোক। তার পরেই এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।”

    ওই বছর চাকরি না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থী। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে যে নম্বর বিভাজন সহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court) জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করে দেবেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।”

    আরও পড়ুুন: প্রথমবার অফিসিয়াল স্টেট ভিজিটে আমেরিকা যাচ্ছেন মোদি, জানুন সফরের গুরুত্ব

    এদিন যাঁরা চাকরি খোয়ালেন তাঁরা ছিলেন ৪২ হাজার ৫০০ জনের মধ্যেই। এঁরা যে সময় টেট দিয়েছিলেন, সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। পরে তাঁকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছিল, ওএমআর শিট জালিয়াতিতে আসল মাস্টারমাইন্ড মানিকই। দেখা গেল, তাঁর সময়ে হওয়া টেটের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই চাকরি গেল ৩৬ হাজার জনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোবাইলে আচমকা এসএমএস পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেটা ছিল ২০১৭ সালের মে মাস। টেট উত্তীর্ণ নন বলে তাঁরা কেউই চাকরির আবেদন করেন’নি, অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে বিকাশ ভবনে তাঁদেরকে দেখা করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরে আবার ওই বছরেই ডিসেম্বর মাস নাগাদ জেলা প্রাথমিক পর্ষদ থেকে প্রতিটি প্রার্থীকে ফোন করে জানানো হয়েছিল যাবতীয় নথি যাচাই করা হবে। অভিযোগ এরপরে কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই ওই সমস্ত টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যান (Recruitment Scam)। এই গোটা ঘটনায় এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘কেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই প্রার্থীদের এসএমএস পাঠিয়েছিল? কেনই বা তাদেরকে ফোন করা হল?’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ টেট পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে মামলা করা হয় এবং তার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরবর্তীকালে। সুপ্রিম কোর্টের আরও প্রশ্ন, ‘‘সেই নম্বরের ভিত্তিতে টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন যাঁরা, সেই তালিকা তখনও তৈরি হয়নি তাহলে কেন বাছাই করা কয়েকজনকে নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হলো?’’ দেখা যাচ্ছে, ২৬৯ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল যারা বাড়তি এক নম্বর নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতে জয়েন করেছিলেন, কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে জালিয়াতি (Recruitment Scam)। কারণ টেট পরীক্ষা হয় মোট দেড়শো নম্বরের। যেখানে একজন সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীকে পেতে হয় ৯০ নম্বর। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ৬৮ বা ৭১ নম্বর পেয়েও জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ তাদের এক নম্বর করে বাড়ার ফলে যে নম্বর দাঁড়াচ্ছে, তা কখনোই যোগ্যতামানে পৌঁছাচ্ছে না। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও একজন প্রার্থী ১৪১ নম্বর পেয়ে আগে চাকরি পাননি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অবশ্য তাদের এই দুর্নীতি কিছুটা হলেও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় এদিন। যেখানে তারা বলছে যে, ‘‘২৬৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সেই  ১৮ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন, যাঁরা সত্যিই টেট উত্তীর্ণ নন।’’ এখানেই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘একশোর বেশি নম্বর পেয়েও প্রথমে চাকরি না পাওয়ার উত্তরও জানা দরকার।’’

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি গিয়েছিল ২৬৯ জনের

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। তাঁরাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং যুক্তি খাড়া করেছিলেন যে প্রশ্নে এক নম্বর বাড়তি পেয়ে তাঁরা চাকরিতে জয়েন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন আরও প্রশ্ন তোলেন যে, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৪২ হাজারের বেশি শূন্য পদ ছিল তা সত্ত্বেও সেখানে দুই হাজারের বেশি পদ খালি রেখে দেওয়া হল কেন?’’ অভিযোগ উঠছে, এই দুই হাজার পদ বিক্রির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগকারীদের দাবি সমস্ত রকমের নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতেই নথি গুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: প্রাথমিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব সিবিআই-এর

    TET Scam: প্রাথমিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তদন্তে এবার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব করল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগেই অবগত করিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ বার ধাপে ধাপে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে পর্ষদ।

    দ্রুত তথ্য পাঠাতে নির্দেশ

    এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। তথ্যগুলি এক্সেল সিট ১ এবং ২-তে পাঠাতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাকরির নিয়োগপত্র, অ্যাডমিট কার্ড, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্র, কেস সার্টিফিকেট, এক্সট্রা কারিকুলাম সার্টিফিকেট এবং টেট পরীক্ষায় পাশ করা শংসাপত্র-সহ মোট ছটি জিনিস চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি, জেলা স্তরের স্কুলের সাব ইন্সপেক্টরদের এই তথ্যগুলি পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলা তাদের তথ্য পর্ষদের কলকাতার দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    পর্ষদ সূত্রে খবর, সিবিআই তথ্য তলব করার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দিলে পর্ষদও দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভুম জেলা থেকে তথ্য পর্ষদ কর্তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ঝাড়গ্রাম, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলায় পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করে চলতি মাসেই তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে যাবতীয় তথ্য কলকাতায় সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এই তথ্য সিবিআই-এর হাতে জমা পড়লে তদন্ত গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের প্রাথমিকে (2016 TET Examination) যে হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, পর্ষদকে তার মেধাতালিকার বিশদ তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। পর্ষদকে তাঁর নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পর্ষদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ২০১৬ সালের শেষ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। আদালতকে সে বিষয়ে জানাতেও হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে প্রার্থীর জেলা, জাতি, শ্রেণি সহ সমস্ত তথ্য। বোর্ডকে জেলা অনুযায়ী তালিকায় শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর জানানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ…

    ২০১৪ সালে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। অভিযোগ, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছিল নিয়োগ। প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি এই টেস্ট না হয়, সেক্ষেত্রে কীভাবে নিয়োগ করা সম্ভব? তাঁর পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় অ্যাপটিটিউড টেস্ট না করে একটি নম্বর গড়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কোচবিহার, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং হাওড়ার যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদেরও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের রাহা খরচও দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে। তবে এখনও তাঁর হাতে রয়েছে প্রাথমিকের অন্যান্য মামলা। তারই একটিতে এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা চলাকালীন একটি বিষয়ের ওপর এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার জেরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই মতো মঙ্গলবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুটি মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সেই আবহেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হল এক ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী (Fake Candidate)। জানা গিয়েছে ওই চাকরি প্রার্থীর নাম বাপ্পা দেবনাথ। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙায়। সূত্রের খবর, জাল নথি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন এদিন তিনি (Fake Candidate)। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পর্ষদ কর্তারা। ধৃতকে (Fake Candidate) বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে ধরা পড়ল এই ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ?

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ একাংশের ইন্টারভিউ চলছে এখন। মঙ্গলবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ইন্টারভিউ চলছিল। তার জন্য ইন্টারভিউ দিতে দুপুরের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন ওই প্রার্থী (Fake Candidate)। ইন্টারভিউয়ে তাঁর যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আধিকারিকরা জানতে পারেন ওই প্রার্থীর ডিএলএড সার্টিফিকেট জাল করা। ওই সার্টিফিকেটটি ২০১৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করা। তাঁর ডিএলএডের অ্যাডমিট, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সব জাল ছিল বলে খবর পর্ষদ সূত্রে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিকের জানান, নথি যাচাইয়ের সময়ই ওই ভুয়ো টেট উত্তীর্ণকে ধরে ফেলা হয়। তাঁকে ইন্টারভিউ অবধি পৌঁছতে দেওয়া হয়নি, যাঁরা নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন, বাপ্পা দেবনাথের সার্টিফিকেট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়, সঙ্গে সঙ্গে পিটিটিআই সেল ইনচার্জকে পুরো বিষয়টি বলা হয়। এরপর নথির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়, সেখানেই ধরা পরে যায় আসল সত্য। জানা গেছে, ওই প্রার্থীর (Fake Candidate) রেজিস্ট্রেশনে যে নম্বর রয়েছে আসলে ২০১৬ সালে ওই নম্বরের কোনও রেজিস্ট্রেশনের অস্তিত্ব নেই।’ আপাতত পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে, এর পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে।

    ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ কী বলছে?

    ভুয়ো প্রার্থীর (Fake Candidate) অবশ্য দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি ডিএলএড কলেজ থেকে তিনি ডিএলএড করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে ডিএলএড সার্টিফিকেটটি ল্যামিনেশন করা থাকায় এবং তার রং আলাদা থাকায় আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: বিএড উত্তীর্ণরাও চলতি টেট নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET: বিএড উত্তীর্ণরাও চলতি টেট নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড (B ed Training) উত্তীর্ণরা প্রাথমিকে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সোমবার  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে যে সব চাকরিপ্রার্থী বিএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তাঁদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে পোর্টাল খুলতেও নির্দেশ দেন বিচারপতি। ৩ সপ্তাহের মধ্যে পোর্টাল খুলে পরীক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও আদালতের পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া ওই প্রার্থীদের ফলপ্রকাশ করা যাবে না। তবে যাঁরা আগে আবেদন করেছিলেন, একমাত্র তাঁরাই চলতি টেটে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। নতুন করে আবেদন করা যাবে না। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    গত বছর প্রাথমিক স্কুলে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা পর্ষদের। গত ২৯ সেপ্টেম্বর তারা নিয়োগ-বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে জানানো হয়, ডিএলএড প্রশিক্ষণরতরাও অংশ নিতে পারবেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। পরে এই পর্ষদের এই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরতরা নন, যাঁরা প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন একমাত্র তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

    চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাওয়ার জন্য মৃন্ময় সরকার-সহ ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ডিএলএড প্রশিক্ষণ শুধুমাত্র প্রাথমিক স্কুলের জন্য। কিন্তু অনেকে বিএড সম্পূর্ণ করে আবার ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ডিএলএড যোগ্যতায় আবেদন করেন তাঁরা। তখন প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করার কথা বাধ্যতামূলক বলা হলে বিএড উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারতেন। পর্ষদের ত্রুটির কারণে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। ওই মামলায় সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যাঁরা আবেদন করেছেন সেই সব বিএড উত্তীর্ণরা চলতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share