মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ম হল ভারতের (Bharat) আত্মা। ধর্ম শাশ্বত, নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের প্রতীক। এটি কোনও নির্দিষ্ট পুজো-পদ্ধতি নয় বরং একটি জীবনবোধ। কর্তব্য, দায়িত্ব ও উৎসর্গের প্রতীক। ধর্ম ও সংস্কৃতি একে অপরকে প্রতিফলিত করে এবং এই সংস্কৃতি হল যে কোনও সভ্যতার ভিত্তিপ্রস্তর। সংস্কৃতি থেকেই জন্ম নেয় মানুষের মর্যাদা, সামাজিক মূল্যবোধ এবং জাতির পরিচয়।
ধর্ম আসলে কী? (Sanatan Dharma)
প্রাচীন ভারতীয় ধর্মশাস্ত্রগুলিতে উল্লেখ আছে ধারয়তি ইতি ধর্মঃ —অর্থাৎ যা ধারণ করে, সেটাই ধর্ম। ধর্ম ব্যক্তি, সমাজ, প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। সনাতন ধর্ম কোনও বিশেষ জাতি বা সম্প্রদায়কে বোঝায় না এটি শাশ্বত এবং এর দর্শন বিজ্ঞানসম্মত। ধর্ম পরিবর্তিত হয় মানুষের জীবনধারা, সময় এবং পরিস্থিতির উপর। পরিবারের প্রতি কর্তব্যবোধ, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক কর্তব্য, এসবই ধর্মের অংশ।
ভারত একটি সনাতন রাষ্ট্র (Sanatan Dharma)
জাতি, সমাজ বা আধ্যাত্মিকতার সংকটের সময় মানুষের কর্তব্যই হয়ে ওঠে ধর্ম। যে কোনও সংকট মোকাবিলায় সমাজকে জাগ্রত হতে হয়, সংঘবদ্ধ হতে হয়, শক্তিশালী হতে হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সনাতন ধর্মকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করা মানেই দেশের ঐক্য ও সংহতিকে রক্ষা করা। সনাতন রাষ্ট্র শঙ্খনাদ মহোৎসব, যা বর্তমানে (Sanatan Dharma) গোয়াতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানেই স্বামী গোবিন্দ দেবগিরি মহারাজ বলেন, ‘‘ভারত একটি সনাতন রাষ্ট্র। আমাদের প্রয়োজন একে স্বীকৃতি দেওয়া ও পুনরায় গঠন করা। তাঁর মতে, সনাতন ধর্ম কোনও বিশেষ সম্প্রদায় নয়, এটি জীবনের (Bharat) মূল্যবোধ।’’
শাস্ত্র এবং শস্ত্র দিয়ে করতে হবে ধর্ম রক্ষা
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে শাস্ত্র এবং শস্ত্র, এই উভয় দিয়েই আমাদের সনাতন ধর্মকে রক্ষা করতে হবে। অর্জুনের মতো আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হতে হবে। একটি জাতি গড়ে ওঠে ভূমি, সমাজ এবং প্রচলিত প্রথার ভিত্তিতে আর এইগুলিই সনাতন ধর্মের (Sanatan Dharma) ভিত্তিপ্রস্তর এবং মূল্যবোধ।’’