Tag: tihar

tihar

  • Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    Tahawwur Rana Trial: ২০১১ থেকেই মোদির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় তাহাউর রানা, প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সাফল্য দেখছেন নেটিজেনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাল ২০১১। তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি। তাঁর পরিচয় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন থেকেই তাঁর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তাহাউর রানা (Tahawwur Rana Trial)। অবশেষে ২৬/১১-এর ‘মাস্টার মাইন্ড’কে ভারতে এনেছে তাঁর সরকার। রানার প্রত্যর্পণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশবাসী। মুম্বই হামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তাহাউর রানাকে বৃহস্পতিবারই ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপরই মোদির একটি পুরনো পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে আমেরিকার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ভারতে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মোদি (Narendra Modi)।

    কী রয়েছে সেই পোস্টে

    ২০১১ সালে করা সেই পোস্টে তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana Trial) মার্কিন আদালতের দেওয়া ছাড়পত্র নিয়ে নরেন্দ্র মোদি তৎকালীন ইউপিএ সরকারকে দুষেছেন। নরেন্দ্র মোদি সেই পুরোনো পোস্টে লিখেছিলেন, “তাহাউর রানাকে মার্কিন সরকারের নির্দোষ তকমা দেওয়া আদতে ভারতের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা দেশের বিদেশনীতির বিরাট ব্যর্থতা।” নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্ট নেটিজেনদের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাহাউর রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ নিয়েও বিস্তর আলোচনা চলছে। তাহাউর রানাকে ভারতে সফল ভাবে প্রত্যর্পণ করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয়গান গাইছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘আরও এক প্রতিশ্রুতি পূরণ হল।’ আবার কারও কথায়, ‘আপনি করে দেখিয়েছেন স্যার। আপনাকে কুর্নিশ।’ অনেকের পোস্টেই দেখা গিয়েছে, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান।

    অমিত-বার্তা

    ২০১১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রানাকে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন আমেরিকা কিসের ভিত্তিতে মুম্বই জঙ্গি হামলার অপরাধীদের নির্দোষ বলে ঘোষণা করেছে। মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রানাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতে আনা হয়েছে। রানাকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পাটিয়ালা হাউস কোর্টে আনা হয়। আদালত রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, রানাকে দেশে ফেরানো মোদি সরকারের বিরাট কূটনৈতিক সাফল্য। এবং সেই সঙ্গেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তাঁর দাবি, ‘যে সরকারের আমলে ওই হামলা হয়েছিল তারা কিন্তু ওকে দেশে ফেরাতে পারেনি।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মোদি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যারা ভারতের মাটি অপব্যবহার করেছে, দেশের সম্মান অবমাননা করেছে, এমনকি ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ভারতীয় আইনের অধীনে বিচার করার জন্য দেশে ফিরিয়ে আনা হবেই।”

    মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফল

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিরো টলারেন্স নীতির ফলে এই প্রত্যার্পণ সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। মুম্বইয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, “কংগ্রেস সরকার কিছুই করেনি ২০০৮ সালের হামলার পর। একজন মাত্র জঙ্গি ধরা পড়েছিল— আজমল কাসব, তাকেও জেলে বসে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল। আর এখন যারা দেশকে আক্রমণ করেছে, তাদের দেশের মাটিতে এনে শাস্তি দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এই হচ্ছে নতুন ভারতের সংকল্প।”  ইউপিএ আমলে ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে সন্ত্রাসের সঙ্গে সর্বদা নরম মনোভাব দেখিয়েছে কংগ্রেস, দাবি বিজেপির। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “ইউপিএ আমলে যারা সন্ত্রাসকে আশ্রয় দিয়েছে, তাদের ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। আজকের ভারত পাল্টে গেছে। উরি কিংবা পুলওয়ামার মতো ঘটনার জবাব এমএফএন দিয়ে নয়, এমটিজে— ‘মুহ তোড় জবাব’ দিয়ে দেওয়া হয়।”

    মুখ খুলেছে আমেরিকা

    রানার ভারতে প্রত্যর্পণ নিয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকাও। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “এই ধরনের হামলার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ভারতের উদ্যোগকে দীর্ঘ দিন ধরে সমর্থন করে এসেছে আমেরিকা। এখন উনি (রানা) ভারতের হাতে। আমরা খুশি।” মার্কিন আদালতে রানা বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, ভারতের জেলে তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হবে। তবে ভারত অবশ্য আমেরিকার সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, জেলেও সুরক্ষিত থাকবেন রানা। এদিকে, মুম্বই হামলার চক্রীকে ভারতে আনা হতেই, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। উল্লেখ্য ২ মাস আগে, মোদির মার্কিন সফরের সময়ই রানার প্রত্যর্পণ ইস্যুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছিল। তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। অবশেষে এখন ভারতে রানা। জনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল,অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

     

     

  • Tahawwur Rana: জেরা শুরু! ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে রানা, পাকা চুল, বাদামী পোশাকে দিল্লিতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    Tahawwur Rana: জেরা শুরু! ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে রানা, পাকা চুল, বাদামী পোশাকে দিল্লিতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতের হাতে, এনআইএ হেফাজতে তাহাউর হুসেইন রানা (Tahawwur Rana)। আমেরিকা থেকে বহু প্রতীক্ষিত প্রত্যর্পণের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA) গ্রেফতার করে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রকারীকে। মধ্যরাতে তাঁকে হাজির করানো হয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারকের সামনে। মুম্বই হামলার (26/11 Mumbai Attack) নেপথ্যে থাকা ষড়যন্ত্রের দিকটি খতিয়ে দেখতে রানাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানায় এনআইএ। আর্জি মঞ্জুর করে বিচারক রানাকে ১৮ দিন এনআইএ-র হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালতে কী বলল এনআইএ?

    ২০০৮ থেকে ২০২৫। ১৭ বছর পর তাহাউর (Tahawwur Rana) শাস্তি পেতে পারে মুম্বই হামলার চক্রান্ত করার জন্য, যা নিরাপরাধ ১৬৬ জনের প্রাণ কেড়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন পেশ করা হয় তাহাউরকে, তখন তদন্তকারী সংস্থা একাধিক জোরাল তথ্য প্রমাণ জমা দেয়, যাতে স্পষ্ট মুম্বই হামলায় সরাসরি যোগ ছিল তাহাউরের। জানা গিয়েছে, তাহাউরের পাঠানো একাধিক ইমেল জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এনআইএ আদালতে জানিয়েছে, কীভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল, তা জানার জন্য তাহাউরকে জেরা করা জরুরি। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, খুন, প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও তাহাউরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আদালতে এনআইএ জানায়, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটাতে রানা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অন্য ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে শলা পরামর্শও করেছিলেন। রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ দিনের হেফাজতে নিতে চায় এনআইএ। বিচারক রানার কাছে জানতে চান, তিনি পাল্টা সওয়ালের জন্য নিজে কোনও আইনজীবী নিয়োগ করবেন, না কি আদালতের তরফ থেকে তাঁকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে? রানা জানান, তাঁর কাছে তাঁর পক্ষে সওয়াল করার মতো কোনও আইনজীবী নেই। এরপর জজ জানান, দিল্লি লিগাল অথরিটি সার্ভিসের তরফে একজন আইনজীবী তাঁকে দেওয়া হবে, তাঁর পক্ষে সওয়াল জবাব করার জন্য। রানার বিরুদ্ধে এনআইএ-র হয়ে কেস লড়বেন প্রবীণ ক্রিমিনাল আইনজীবী দয়া কৃষ্ণণ। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নরেন্দ্র মান আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁকে নেতৃত্ব দেবেন।

    কোথায় রানা?

    রানাকে ভারতে ফেরানোর পরে একটি বিবৃতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা! বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, “২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হানার মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানাকে বৃহস্পতিবার ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০০৮ সালের ওই ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রীকে বিচারের আওতায় আনার জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চলছিল।” ভারতে বিমানটি অবতরণের পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। পাকা চুল, মাঝে পড়েছে টাক। গাল ভর্তি লম্বা পাকা দাড়ি। বাদামী রঙের ওভারঅলে দেখা মেলে তাহাউর রানার। তবে তাঁকে প্রকাশ্যে আনা হলেও, তাঁর মুখ প্রকাশ করা হয়নি। তাঁকে কোথায় রাখা হবে, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। একটি সূত্রের খবর, রানাকে দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা যুক্ত জিজ্ঞাসাবাদ কুঠুরিতে রাখা হবে তাঁকে।

    জিজ্ঞাসাবাদের তোড়জোর

    রানাকে ১৮ দিনের এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতেই, তাহাউরকে (Tahawwur Rana) নিয়ে প্রিজন ভ্যান এনআইএ হেডকোয়ার্টারে পৌঁছয়। জানা যাচ্ছে, আপাতত ওই ১৮ দিনে এনআইএর তরফে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড রানাকে জেরা করা হবে। সেখানে রানার জন্য প্রস্তুত ছিল স্পেশ্যাল সেল। গোটা ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস করার চেষ্টায় চলবে রানার লাগাতার জেরা। জানা যাচ্ছে, সিজিও কম্প্লেক্সে ‘অ্যান্টি টেরর এজেন্সি’র হেড অফিসে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হবে রানাকে। জানা যাচ্ছে এনআইএর আইজি, ডেপুটি ইনসপেক্টর সহ পদস্থ একাধিক দাপুটে কর্তারা জেরা করতে চলেছেন রানাকে। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে ১২ জন আধিকারিক পাক বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান ব্যবসায়ীকে জেরা করবেন। এই ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন এনআইএ-র ডিজি সদানন্দ দাতে, আইজি আশিস বাত্রা, ডিআইজি জয়া রায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তাহাউরকে জেরা করছে এনআইএ। নয়া দিল্লিতে এনআইএ-র সদর দফতরে তৃতীয় তলায় তাহাউর রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা এনআইএ আইজি, ডিআইজি স্তরের কর্মকর্তাদের। ২৪ ঘণ্টাই তাহাউরকে সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হবে। উপস্থিত থাকবেন স্পেশাল সেল কমান্ডোরাও।

  • Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    Tahawwur Rana: ভারতে নামলেন তাহাউর রানা, কড়া নিরাপত্তায় এনআইএ-র বিশেষ আদালতে মুম্বই হামলার মূল চক্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ভারতেই ফিরতে হল ২৬/১১ সন্ত্রাস হামলার মূল চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। বুধবারই তাঁকে বিশেষ বিমানে চড়িয়ে আমেরিকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। অনুমান ছিল বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতে নামবে সেই বিমান। তবে তা পৌঁছল বেলা গড়িয়ে বিকেলে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, দুপুর ২টো ৩৯ মিনিটের দিকে পালাম বিমানবন্দরে রানাকে নিয়ে অবতরণ করে বিশেষ বিমান। অবশেষে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে আমেরিকায় গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ১৬ বছর পর ভারতে নিয়ে আসা হল তাহাউর রানাকে।

    রানার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা

    এনআইএ সূত্রে খবর, তাহাউরের প্রত্যপর্ণ নিয়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তা রাজধানী জুড়ে। বেশ কিছু এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। এছাড়াও বিমানবন্দরে আগে থেকেই দাঁড় করানো হয়েছে সোয়াট কমান্ডাদের। পাশাপাশি, যে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে রানাকে নিয়ে রওনা দেবে পুলিশ, তার আগুপিছুতে রাখা হবে অস্ত্র বোঝাই বিশেষ সাঁজোয়া গাড়ি। এছাড়াও রাখা হবে মার্কসম্যান গাড়ি। এই গাড়িতে থাকে সেনার বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কমান্ডোরা। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ এনআইএ। তাই একইরকম দেখতে একাধিক ডিকয় (ভুয়ো) গাড়িও রাখা হয়েছে। ফলে, কোন গাড়ি করে, কোন রুট দিয়ে রানাকে নিয়ে যাওয়া হবে, তা একেবারে গোপন রাখছেন গোয়েন্দারা।

    আজই এনআইএ আদালতে রানা

    বৃহস্পতিবার ভারতে পা রাখা মাত্রই তাঁকে তোলা হবে এনআইএ-এর বিশেষ আদালতে। আর ওই বিশেষ আদালতে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের যেন অভাব না হয়, সেই কারণে আগেভাগেই মুম্বই হামলা ও তাহাউরের যোগসাজোশ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কেস ফাইল ও রের্কড করা বয়ান আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারীরা। রানাকে (Tahawwur Rana) প্রথমে এনআইএ হেফাজতে রাখা হতে পারে। সেখানেই মুম্বই হামলা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাকে। এনআইএ- হেডকোয়ার্টারে একটি সেল রানার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র ১২ জন সদস্য যেতে পারবেন। এনআইএ ডিজি সদানন্দ দত্ত, আইজি অনীশ বাতরা ও ডিআইজি জয় রায় রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।

    রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে

    অহেতুক কাল বিলম্ব নয়। ভারতে পা রাখার পরই যাতে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে মোদি সরকার। সেই লক্ষ্যে রানা ভারতে পা রাখার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মানকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রানা ভারতে নামলে সরকারিভাবে তাঁকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কুখ্যাত ওই জঙ্গিকে রাখা হবে দিল্লির তিহাড় জেলে। প্রাথমিকভাবে রানার জন্য দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দুটি জেলে দুটি হাই সিকিউরিটি সেল প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু রানার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে হবে, তাই এখনই তাকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হবে না। পরে তদন্তের প্রয়োজনে ওই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিকে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সূত্রের খবর, রানা দিল্লিতে নামার পরই দিল্লির বিশেষ এনআইএ কোর্টে তার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। দিল্লির পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ এনআইএ আদালতে রানাকে পেশ করা হবে। ওই বিচারপ্রক্রিয়ায় এনআইএ’র হয়ে সওয়াল করবেন বিখ্যাত আইনজীবী নরেন্দ্র মান। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সিবিআই এবং এনআইএর হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। আগামী ৩ বছরের জন্য রানার বিরুদ্ধে সওয়াল করার জন্য মানকে নিয়োগ করেছে সরকার।

    প্রস্তুত তিহাড়

    দিল্লির তিহাড় জেলের একটি হাই-সিকিউরিটি ওয়ার্ডে তাঁকে রাখা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ, তবে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী। ইতিমধ্যেই জেলের ভিতরে ও বাইরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রানাকে যে সেলে রাখা হবে সেখানে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা রাখা হবে। থাকবে হাই অ্যালার্ট ক্যামেরা। রানার ওয়ার্ডে আরও ২ বন্দি থাকবে। তবে রানাকে কারুর সঙ্গে মিশতে, কথা বলতে দেওয়া হবে না। রানা কোন সেলে থাকবে নিরাপত্তার স্বার্থে তা প্রকাশ্যে আনতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ।

    দূরত্ব তৈরির চেষ্টা পাকিস্তানের

    আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরানো হল ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana)। এই আবহে তাহাউর প্রসঙ্গে প্রথম বিবৃতি দিল পাকিস্তান সরকার। পাক বংশোদ্ভূত তাহাউরের থেকে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। বিবৃতিতে পাকিস্তান বোঝাতে চাইছে, ভারতে প্রত্যর্পিত হওয়া তাহাউর বর্তমানে পাকিস্তানের নাগরিক নন। পাক বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “তাহাউর রানা গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানি নথিপত্র পুনর্নবীকরণ করেননি। তিনি যে কানাডার নাগরিক, তা স্পষ্ট।” বস্তুত, তাহাউরকে ভারতে আনার পরে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে তাহাউরের মুখ থেকে মুম্বই হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ভারতের জয়

    উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসতেই বড় কূটনৈতিক জয় পায় ভারত। তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। ভারত-মার্কিন বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে তাঁকে দিল্লির হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সিলমোহর দিয়েছিল আমেরিকার শীর্ষ আদালত। এনআইএ আধিকারিকদের হাতে বুধবার রানাকে তুলে দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও।

     

     

     

     

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাবা-মেয়ে তিহাড়ে গেছে, এবার পিসি-ভাইপোও যাবে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাবা-মেয়ে তিহাড়ে গেছে, এবার পিসি-ভাইপোও যাবে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি সপরিবারে তীর্থ করতে যেত, এখন তৃণমূলের আমলে নেতারা সপরিবারে জেলে যাচ্ছেন। কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। গরু পাচার মামলায় আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এই প্রসঙ্গেই সুকান্তর কটাক্ষ, “সবে তো কলির সন্ধ্যে! বাবা-মেয়ে পাশাপাশি তিহাড় জেলে আছে, এরপর পিসি-ভাইপোও যাবে।”

    সপরিবারে তিহাড় যাত্রা

    জনসংযোগ যাত্রায় গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ইডি-সিবিআই-এর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরই পাল্টা দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে না। সত্যি সামনে আসছে। তাতেই অনেকে ভয় পাচ্ছেন। চুরি করলে অপরাধীকে সাজা পেতেই হবে। কারুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে যদি বেহিসেবি টাকা থাকে তাহলে তাঁকেও জেলে যেতে হবে।” এরপরই সুকান্ত বলেন, “আগে তো আমরা সপরিবারে তীর্থে যেতাম, এখন তৃণমূল নেতারা সপরিবারে তিহাড় যাত্রা করেন। আর কদিন পরে অন্য কাউকে দেখবেন। আগে দেখছিলাম নেতাদের সঙ্গে তাঁদের বান্ধবীরা জেলে যাচ্ছেন এখন দেখছি নেতার সঙ্গে তাঁর কন্যাও জেলে গিয়েছেন। এরপর হয়তো পিসি-ভাইপোর পালা।”

    আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে ডেঙ্গি! দ্রুত ভ্যাকসিন আনতে সচেষ্ট গবেষকরা

    তিহাড় কংগ্রেস

    কেষ্টর তিহাড় যাত্রার পরেও জেলা সভাপতি বদল করেনি শাসক দল। সেই বিষয় নিয়েও তৃণমূলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুঁড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা যাওয়ার পর সুকান্তর সংযুক্তি, “আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন, তৃণমূল কংগ্রেস নাম পরিবর্তন হয়ে তিহাড় কংগ্রেস হয়ে যাবে। তৃণমূল কর্মী মানেই চোর। নব চোর বাছতে এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি রোজ নতুন কিছু বলছেন। আজকে দেখুন ব্যালট বাক্সের জায়গায় নতুন কিছু চুরি হয় কিনা। রাজ্যজুড়ে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জারিজুরি সার। অবশেষে তিহাড় যাচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে মঙ্গলবার তিহার জেলেই পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ আদালত। এদিন ইডি হেফাজত শেষে আদালতে পেশ করা হলে বীরভূমের দাপুটে নেতা কেষ্টকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কোর্ট। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। 

    ১৩ দিনের জেল হেফাজত

    অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির পর এবার গরু পাচারকাণ্ডে (cattle smuggling case) অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তিহারে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ৭ মার্চ থেকে ইডি হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইডির সদর দফতরে অনুব্রতকে লাগাতার জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু আদালত ১৩ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করে অনুব্রতকে ৩ মার্চ ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওই দিন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে হাজির করানো হবে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।

    জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা

    এদিন আদালতে নিজের ওষুধপত্র সঙ্গে রাখার আবেদন জানান অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত জানিয়েছে, প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধগুলির উল্লেখ রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলিই সঙ্গে রাখতে পারবেন অনুব্রত। চিকিৎসা করাতে পারবেন জেল হাসপাতালে। অনুব্রতকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এদিন আদালতে অনুব্রত বলেন, তিনি বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বলতে পারেন না। বিচারক তখন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জন্য জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোভাষীর সঙ্গে কথা বলবেন কেষ্ট।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ জন তিহাড় জেলে গেলেন। এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। তারপর একে একে এই মামলায় এনামুল হক, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলকেই তিহাড় জেলে পাঠানো হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

LinkedIn
Share