Tag: tmc

tmc

  • TMC: ক্রমেই কমছে লগ্নি, খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি

    TMC: ক্রমেই কমছে লগ্নি, খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর রাজ্যে ঘটা করে হচ্ছে শিল্প সম্মেলন। বিরোধীদের মতে, আদতে যা হচ্ছে, তা হল শিল্পপতিদের (Industrial Incentives) নিয়ে সরকারি অর্থে ‘মোচ্ছব’। কারণ নিয়ম করে শিল্প সম্মেলন হলেও, এ রাজ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প একটাও হয়নি বলে (TMC) অভিযোগ বিরোধীদের। এর কারণ হল গত তিন দশকে প্রদত্ত সব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ বাতিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিতর্কিত আইনটি হল “ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ স্কিমস অ্যান্ড অবলিগেশনস ইন দ্য নেচার অফ গ্র্যান্টস অ্যান্ড ইনসেনটিভস বিল, ২০২৫”।

    ব্যাপক সমালোচনা (TMC)

    চলতি বছরের ২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। এর ফলে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিশ্রুত সমস্ত সুবিধাই কার্যত প্রত্যাহার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনার। কারণ এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে, রাজ্যের অর্থনীতিকে বিপদের মুখে ফেলছে এবং সর্বোপরি, মূলধনের প্রতি বৈরী মনোভাব তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্পোরেট জায়ান্ট ডালমিয়া ও বিড়লা গ্রুপের অনুমান, তাদের সম্মিলিত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা। অন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এখনও পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির হিসেব করে উঠতে পারেনি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তারা একে অসাংবিধানিক ও স্বেচ্ছাচারী আখ্যা দিয়েছে।

    শিল্প-বিরোধী টানাপোড়েনের শেকড়

    পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-বিরোধী টানাপোড়েনের শেকড় বহু পুরনো। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কমিউনিস্ট পার্টির শাসনকালে শিল্পপতিদের সন্দেহের চোখে দেখা হত। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একবার পুঁজিপতিদের শ্রেণিশত্রু বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই মনোভাব প্রতিফলিত হত তাদের নীতিনির্ধারণে, যা প্রায়ই বেসরকারি উদ্যোগকে লগ্নি করতে নিরুৎসাহিত করত (TMC)। ধর্মঘট, শ্রমিক সংগঠনের হিংসা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার জেরে সিংহানিয়া ও বিড়লা পরিবারের মতো বড় ব্যবসায়ীরা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হন তাঁদের ব্যবসা। বস্তুত, তার ফলেই পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের অবনতি (Industrial Incentives) ঘটে।

    তৃণমূলের আমলেও রাজ্যে হা-শিল্প দশা

    ২০১১ সালে বামেদের হটিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও ঘোচেনি রাজ্যের হা-শিল্প দশা। অথচ তৃণমূলের উত্থানই ঘটেছিল শিল্প প্রকল্পগুলির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে, বিশেষ করে সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের বিরুদ্ধে, যার ফলে কোম্পানিটি রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করে করে নেয় তাদের কারখানা। বাংলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে তারা চলে যায় গুজরাটের সানন্দে। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ হাজার ৬০০-এর বেশি কোম্পানি, যার মধ্যে ১১০টি তালিকাভুক্ত সংস্থা রয়েছে, তাদের ব্যবসা গুটিয়েছে এ রাজ্য থেকে। তৃণমূল সরকারের শাসনকালে বাংলায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো পড়েছে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, অনুপ্রবেশ এবং ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। এসবের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভীষণভাবে (TMC)। অর্থনৈতিক তত্ত্ব ইনসেনটিভকে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার হাতিয়ার হিসেবে গুরুত্ব দেয়, বিশেষত সেই সব খাতে যেখানে বাজারের ব্যর্থতা রয়েছে। নেতিবাচক প্রভাব যেমন শ্রমিক অসন্তোষ, প্রতিকূল সামাজিক অবস্থা এবং দুর্বল আইনশৃঙ্খলা বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা দাবি করে। কেইনসীয় অর্থনীতি অর্থনৈতিক মন্দার সময় সক্রিয় সরকারি হস্তক্ষেপকে সমর্থন করে এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় রাজস্ব ইনসেনটিভের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

    পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক হাল

    পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সূচকগুলি একটি অনিশ্চিত আর্থিক পরিস্থিতি প্রকাশ করছে। জানা গিয়েছে, আর্থিক ঘাটতি রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GSDP) ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৬০ সালে ভারতের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। আজ তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের মাত্র ৮৩.৭ শতাংশ, যা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির তুলনায় ঢের পিছিয়ে। দারিদ্র্যের হার এখনও উচ্চ, এবং আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জগুলি ক্রমশ বেড়েই চলেছে (TMC)। নয়া ওই আইনের জেরে আরও অনেক শিল্পপতি রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে পারেন। যার ফলে বেকারত্ব বাড়বে এবং জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। সাধারণ মানুষ, যাঁদের জীবিকা ও কর্মসংস্থান শিল্পোন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা নীতিগত ব্যর্থতার প্রধান শিকার হয়ে উঠবেন (Industrial Incentives)।

    কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতমূলক আচরণ

    পশ্চিমবঙ্গ বারবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতমূলক আচরণ করেছে। মমতার সরকার সরে এসেছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে। সিবিআইয়ের নজরদারি সীমিত করা এবং প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নানা সময় রাজ্য সরকারের বিরোধে জড়ানোও এর উদাহরণ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির অবস্থা বেহাল। এ রাজ্যে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য মাত্র ৯৭.৬৬ জন পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এটি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই। সাম্প্রদায়িক হিংসা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আরও চিড় ধরিয়েছে। তার জেরে বাংলায় এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে (TMC)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রুত পরিবর্তনশীল ভারতীয় অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, পশ্চিমবঙ্গ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। যার জেরে রাজ্যটি চলে যাচ্ছে অর্থনৈতিক খাদের কিনারায়। রাজ্যবাসীকে যুঝতে হচ্ছে নীতি-অব্যবস্থাপনা, অবিশ্বাস ও শিল্পপতিদের পাততাড়ি গুটিয়ে রাজ্য ছেড়ে পালানোর পরিণতির সঙ্গে।

  • Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের উদ্বোধন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পিতৃপক্ষে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করায় মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবারই একাধিক প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর অভিযোগ, পিতৃপক্ষ চলাকালীন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে হিন্দুদের প্রথায় আঘাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষ হিন্দু চান্দ্র ক্যালেন্ডারের ১৫ বা ১৬ দিনের একটি সময়কাল। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। শ্রাদ্ধ ও পিণ্ডদানের মাধ্যমেও অনেকে স্মরণ ও সম্মান জানান পিতৃপুরুষদের। এই পিতৃপক্ষ শেষ হয় মহালয়ায়। পরের দিন থেকে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এদিনই শুরু হয় নবরাত্রি উৎসবের।

    রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন (Suvendu Adhikari)

    পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর প্যান্ডেল উদ্বোধন প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এটি হিন্দু প্রথার ওপর আক্রমণ। আজ পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পিতৃপক্ষ চলাকালীন কোনও শুভ কাজ করা হয় না।” তাঁর অভিযোগ, ছ’মাস পরে নির্বাচন। একে সামনে রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক লাভের জন্য ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগাচ্ছেন। বিজেপির এই নেতার দাবি, মমতার প্রশাসন সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, “তারা (সংখ্যালঘুরা) চাকরি, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষা কিছুই পাননি। তিনি তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। তাই তিনি ধর্মীয় আবেগকে ব্যবহার করছেন। তিনি দুর্গাপূজার মতো হিন্দু উৎসবকে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন, যা মোটেই ঠিক নয়।”

    ‘হিজাব’ নিয়ে তোপ

    এদিন মমতা উদ্বোধন করেন হাতিবাগান, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমির প্যান্ডেলের। হাতিবাগান সর্বজনীন মাতৃ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করতে যাওয়ার সময় টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। ছাতা না নিয়ে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একটি চাদর নিয়ে হিজাবের মতো করে পরে নেন। তৃণমূল নেত্রীর এহেন আচরণেও ক্ষুব্ধ শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, “হিজাব পরে উনি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন। এটা সরাসরি হিন্দু আস্থা, হিন্দু রীতিনীতি এবং পরম্পরায় আঘাত।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “হিন্দুরা যেহেতু বিভক্ত, সবাই যেহেতু ভোট দিতে যান না, ভোট দিতে গেলেও, অনেকে অনেকভাবে ভোট দেন, ভাগ করেন, একটা বিশেষ মেসেজ দিচ্ছেন (Mamata Banerjee) ৩২-৩৩ শতাংশ ভোটারকে যে, আমি সম্পূর্ণভাবে ধর্মনিরপেক্ষ, আমি নাস্তিক, নাস্তিক নয়, আমি প্রো-মুসলিম লিগ। ভোটব্যাংককে একজোট করতে গিয়ে স্পষ্ট বার্তা (Suvendu Adhikari)।”

  • Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে পদ্ম না ফুটলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন শুভেন্দু। তার পরের দিনই আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্ম ফোটার কথা বললেন তিনি। এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছে, ২০২৬ সালে রাজ্য থেকে বিদায় হবে তৃণমূল কংগ্রেসের, মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না (Suvendu Adhikari)

    এদিন শুভেন্দু বলেন, “দেশের যতগুলি রাজ্যেই বিজেপি সরকার গঠন করুক না কেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটিতে যদি বিজেপি না আসে, তাহলে বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে না।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যেকেই বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। এক সময়ের ৩টি আসন যদি পরে ৭৭ হতে পারে, বা ১০ শতাংশ ভোট যখন ৪০ শতাংশে আসতে পারে, তাহলে আসন সংখ্যা ১৭৭, আর ভোট ৪৫ শতাংশ না হওয়ার কোনও কারণ নেই।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদায় চান। কোনও দলের ঝান্ডা ছেড়ে, সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে প্রশ্ন করলে বহু মানুষ একই উত্তর দেবেন। তাঁরা বলবেন, বিজেপির হাত ধরেই বাংলায় পরিবর্তন চাই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিই একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প।”

    বিজেপিই একমাত্র বিকল্প

    রাজ্য সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “এটা এমন একটা রাজ্য যেখানে ৯ বছর পরে চাকরির পরীক্ষা হয়, তাও আবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। এখানে এমনও অনেক যুবক রয়েছেন যাঁরা একটা প্যান্ট তিনবার সেলাই করে পরেন। তাঁরা জানেন বেকারত্বের জ্বালা।” কেন অন্য কোনও দল নয়, বিজেপিই একমাত্র বিকল্প, এদিন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। বলেন, “যে রাজ্যেই বিজেপি সরকার রয়েছে, সেটা যাঁদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হোক না কেন, নজরদারি থাকে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাঁর দেশপ্রেম, মমত্ববোধ, জনগণের প্রতি একাত্মতা সর্বজনবিদিত। প্রধানমন্ত্রীর সততা নিয়ে বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলতে পারেননি, ভবিষ্যতেও পারবেন না।”

    একদম সাফ করে দেব

    এদিকে, সোমবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, “যাদবপুরে যারা সংবিধান মানে না, যারা হেরোইন আর চরসের আখড়া করে রেখেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের লালন-পালন করেন। কারণ ভোটের সময় এরা ‘নো ভোট টু মোদি’ স্লোগান দেয়।” পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বিজেপি (BJP) এলে যে যাদবপুরের হাল বদলে যাবে, এদিন সেই আশ্বাসও দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। বলেন, “বিজেপিকে আনুন, একদম সাফ করে দেব আমরা। যাদবপুরে যত জঞ্জাল আছে, সব পরিষ্কার করে দেব।” তিনি বলেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এবং ফের তাকে মূল স্রোতে শামিল করতে হলে বিজেপিকে আনতেই হবে। বিজেপি এলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।”

    বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থার খবর মিথ্যে প্রচার

    ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যে বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এগুলো বেশিরভাগই ভুয়ো প্রচার। হরিয়ানা সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, সেখানে আটক হওয়া এক হাজার বাংলাভাষীর মধ্যে ৯১৫ জনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।” তিনি বলেন, “যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ায়, তারা আর যাই হোক না কেন, বাংলা ও বাঙালির রক্ষক হতে পারে না।”

    শাহ সন্দর্শনে শুভেন্দু

    এদিকে, সোমবার হঠাৎই দিল্লি উড়ে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। নয়াদিল্লিতে শাহের বাসভবনে দু’জনের বৈঠক হয় মিনিট পঁয়তাল্লিশেক ধরে (BJP)। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। শুভেন্দু অবশ্য নিজেই লিখেছেন, ‘তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’ তবে ঠিক কী কী বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মাস ছয়েক পরেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। শুভেন্দু-সহ (Suvendu Adhikari) বিজেপি নেতাদের দাবি, এবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। চলতি বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা বিহারে। তার পরেই বাংলায় ঘাঁটি গাড়বেন অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, পুজোর পর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যাতায়াত বাড়বে এ রাজ্যে। এই আবহে শাহ-শুভেন্দুর এই বৈঠক (যাকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলছেন ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’) তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (BJP)।

  • Yusuf Pathan: শেখ শাহজাহান হোক বা ইউসূফ পাঠান, তৃণমূল আর জবরদখল যেন সমার্থক!

    Yusuf Pathan: শেখ শাহজাহান হোক বা ইউসূফ পাঠান, তৃণমূল আর জবরদখল যেন সমার্থক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনি গেরোয় তৃণমূলের (TMC) সাংসদ ইউসূফ পাঠান (Yusuf Pathan)। প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকাকে ‘দখলদার’ তকমা দিল গুজরাট হাইকোর্ট। আদালতের সাফ কথা, বরোদা পুরসভার জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছেন ইউসূফ। তাই ওই জমি তাঁকে খালি করে দিতে হবে। প্রয়োজনে পুরসভা বুলডোজার চালিয়ে ওই জমি খালি করাতে পারবে। তৃণমূলের আরও এক নেতা সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধেও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মাথায় শাসক দলের আশীর্বাদী হাত থাকায় তিনিও গিলে ফেলেছেন বিঘের পর বিঘে জমি।

    তৃণমূলের সাংসদ ইউসূফ (Yusuf Pathan)

    গুজরাটের বাসিন্দা ইউসূফ। মুসলিম তাস খেলতে গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। তার জেরে গোহারা হেরে যান ওই কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের সাংসদ কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। তৃণমূলের এহেন নেতার গায়েই লাগল দখলদারের তকমা। গুজরাট আদালতের পর্যবেক্ষণ, “ইউসূফ একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি সেলিব্রিটিও। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপের প্রভাব পড়ে সমাজের ওপর। তাই তাঁর আইন মেনে চলা উচিত। উল্টে তিনিই বেআইনি কাজ করছেন।” গুজরাট হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূল সাংসদকে আর নোটিশ পাঠাবে না পুরসভা। এর পর জমি খালি না করলে পুরসভা প্রয়োজনে বুলডোজার চালাতে পারবে।

    জমি দখলের অভিযোগ

    বরোদা পুরসভার অধিকৃত ৯৭৮ স্কোয়ার মিটার জমি নিয়েছিলেন পাঠান। পুরসভার অভিযোগ, ওই জমিতে দেওয়াল তুলে জায়গাটি নিজের সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ। কাজটি বেআইনি। উল্লেখ্য যে, ২০১২ সালে পাঠানকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন বরোদা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা তাঁকে জমিটি কিনে নিতে বলেছিলেন। সেজন্য নিলাম করা হবে না। প্রতি বর্গমিটারে ৫৭ হাজার ২৭০ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে পুরসভার ওই অনুমোদন বাতিল করে দেয় গুজরাট সরকার। পাঠান বেআইনিভাবে জমিটি দখল করে রেখেছেন, এই মর্মে তৎকালীন বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় পাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরেও এত বছর ধরে জমিটি ব্যবহার করে চলেছেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    জমি দখলের অভিযোগ প্রমাণিত

    আদালতে পাঠান (Yusuf Pathan) জানান, বর্তমান বাজারদরে তিনি জমিটি কিনে নিতে ইচ্ছুক (TMC)। এবার আপত্তি জানায় পুরসভা। তাদের দাবি, বিখ্যাত ক্রিকেটার সাংসদ হলেও, জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর জ্ঞান নেই। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে পাঠানের দখল করা জমি পুররুদ্ধারের জন্য পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি মউনা ভট্ট। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, “প্রাক্তন ক্রিকেটার যে ওই জমি দখল করে রেখেছেন, তা প্রমাণিত। তাই আইনত পুরসভা তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে।”

    আদালতের নির্দেশ

    পুরসভার তরফেও জমি জবরদখলের জন্য পাঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল একাধিকবার। প্রতিবারই তাঁকে খালি করতে বলা হয় জমিটি। তার পরেও তিনি ছাড়েননি জমির দখলদারি। উল্টে পুরসভার নোটিশের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পাঠান। আদালতের নির্দেশ, পাঠানকে আর কোনও নোটিশ পাঠানো হবে না। তিনি যদি নিজেই জমিটি খালি না করেন, তবে পুরসভা নিজে থেকেই ব্যবস্থা নেবে। অথচ জমিটি (Yusuf Pathan) পেতে কীই না করেছেন তৃণমূলের (TMC) এই সাংসদ। আস্তাবল করতে ওই প্লটটি কিনে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। দাবির স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, তিনি ও তাঁর ভাই ইরফান পাঠান দু’জনেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। তবে তার পরেও যে চিঁড়ে ভেজেনি, এদিন গুজরাট হাইকোর্টের রায়েই তা স্পষ্ট।

    পশ্চিমবঙ্গের ছবি

    গুজরাট থেকে এবার চোখ ফেরানো যাক খোদ তৃণমূল-শাসিত পশ্চিমবঙ্গে। এখানেও জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের আরও এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, তিনিও মুসলিম। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তৃণমূল জমানায় তিনি ও তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন গায়ের জোরে ফসলের খেত দখল করে বদলে দিয়েছেন জমির চরিত্র। যে জমি এক সময় সবুজ সবজিতে ভরে উঠত, সেই জমির চরিত্র বদলেই বানানো হয়েছে মাছের ভেড়ি। শোনা যায়, ঘনিষ্ঠ (Yusuf Pathan) মহলে শাহজাহান প্রায়ই বলতেন ‘নোনা জলে সোনা ফলে’। সেই ‘সোনা’ ফলাতে গিয়েই তৃণমূলের (TMC) এই নেতা গায়ের জোরে দখল করে নিয়েছেন স্থানীয়দের জমি-জিরেত। রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডের জেরে শাহজাহান গারদে যেতেই মুখ খুলতে শুরু করেন স্থানীয়দের অনেকেই। বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমি হালদার সেই সময় বলেছিলেন, “আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। শ্বশুরমশাইকে মেরেছে। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘে কৃষিজমি লিখিয়ে নিয়েছে। বাচ্চা দুটোর প্রাণের আশায় আমি কিছু বলিনি।”

    পাঠানকাণ্ডের গুজরাট (Yusuf Pathan) হাইকোর্টের রায়ের পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূল (TMC) আর জবরদখল যেন সমার্থক!

  • Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে”, মতুয়া ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহুয়া জানেন, ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায়।” মতুয়া ইস্যুতে (Matua Issue) ঠিক এই ভাষায়ই দলবদলু তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বলেছিলেন মহুয়া? (Suvendu Adhikari)

    মহুয়া কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তৃণমূলের টিকিটে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন তিনি। দিন কয়েক আগে কৃষ্ণনগরের একটি সভা থেকে মহুয়াকে বলতে শোনা যায়, “সারা বছর ধরে তৃণমূল, আর ভোটের সময় সনাতনী! এটা কী অঙ্ক ভাই?” তিনি আরও বলেন, “কাজের সময় মমতা, রাস্তার সময় মমতা। কাঠের মালা পরে সব তো চলে আসেন ভাই ভাতা নিতে! তখন কী হয়?” তাঁর অভিযোগ, লক্ষ্মীর ভান্ডারে অন্যদের তুলনায় তফশিলি জাতি, জনজাতির মহিলারা বেশি টাকা পান। তাও মতুয়া প্রধান বিভিন্ন বুথে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, “আমার কথা টিভিতে দেখানো হয়, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না!”

    আক্রমণ শুভেন্দুর

    তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্য (Matua Issue) ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে মতুয়া সমাজে। সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর তীব্র নিন্দে করেন মহুয়ার। এবার তাঁকে নিশানা করলেন শুভেন্দু। মহুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় কৃষ্ণনগরেই সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই তৃণমূল সাংসদকে নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখানকার সাংসদের কত বড় সাহস! একবার নয়, বারেবারে হিন্দু সংস্কৃতি, বৈষ্ণব, নমঃশূদ্র, মতুয়া এবং তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতি, তাঁদের গুরুদেবের দেখানো পথকে অপমান করেন। প্রতিবাদ হয় না কেন? আমাদের সংস্কৃতি আমরাই রক্ষা করব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা এই বাংলা দিয়ে গিয়েছেন আমাদের। এই বাংলা আমরা বাংলাদেশি মুসলমান, রোহিঙ্গাদের হাতে তুলে দেব না।” ছাব্বিশের (Suvendu Adhikari) নির্বাচনে হিন্দুদের আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, “করিমপুর হাতে রয়েছে, তেহট্ট যায় যায় করছে, চাপড়া, কালীগঞ্জ, দেবগ্রামের কী অবস্থা, শিবরাত্রির সলতের মতো টিম টিম করে জ্বলছে কৃষ্ণনগরটা। ধুবুলিয়া অবধি এসে গিয়েছে। আর ১৭ কিলোমিটার বাকি রয়েছে।”

    মতুয়া সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ

    প্রসঙ্গত, এই বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন মহুয়া। তিনিও দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় ১০০টি ভোটের মধ্যে ৮৫টি যায় বিজেপিতে, আর বাকি ১৫টি যায় অন্য দলে (Matua Issue)। মহুয়ার ওই বিতর্কিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মতুয়ারা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক সুকেশচন্দ্র চৌধুরী অভিযোগ করেন, মহুয়ার মন্তব্য মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজের ধর্মীয় অনুভূতি ও আত্মসম্মানে আঘাত করেছে। চিঠিতে তাঁর দাবি, ‘আচারমালা নিয়ে কটাক্ষ করে মহুয়া কাঠের মালা বলে যা বলেছেন, তা ঘোরতর অবমাননাকর।’ এত কিছুর পরেও (Suvendu Adhikari) ক্ষমা চাননি মমতা। কেন তিনি ক্ষমা চাননি, সেই প্রশ্নের উত্তরই এদিন দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মহুয়া ক্ষমা চাননি কেন? কারণ তিনি মমতার ছোট বোন। তিনি ক্ষমা চাইলে ৩৫ শতাংশ রেগে যাবে। তাই জানেন, সনাতনীদের যত খুশি আক্রমণ করা যায় (Suvendu Adhikari)।”

  • TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    TMC: কসবার পর এবার হরিদেবপুর, গণধর্ষণকাণ্ডে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) নেতা। একুশে জুলাই তৃণমূলের পোস্টারেও তাঁকে দেখা গিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তৃণমূলের সেই তরুণ তুর্কি নেতা দেবাংশু বিশ্বাস (Debangshu Biswas) ওরফে দীপই এবার গণধর্ষণের অভিযোগে কাঠগড়ায়। অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় বছর কুড়ির এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন দেবাংশু ও তাঁর সহকারী চন্দন মালিক। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত পার্টিতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

    ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (TMC)

    দু’জনেই পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সরল বিশ্বাসে ওই তরুণী হাজির হন দেবাংশুর ফ্ল্যাটে। সেখানে তখন উপস্থিত কেবল দেবাংশু। অভিযোগ, এর পরেই দেবাংশু ও চন্দন তাঁকে ধর্ষণ করেন। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার ওই তরুণীর জন্মদিন ছিল। ওই দিন অভিযুক্ত চন্দন ও দেবাংশু তাঁকে দেবাংশুর ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে তারা এক সঙ্গে খাবার খায়। খাওয়া শেষে তরুণী চলে যেতে চাইলে অভিযুক্তরা তাঁকে যেতে বাধা দেয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে গ্যাং-রেপ করে ওই তরুণীকে।” পরের দিন ওই তরুণী অভিযোগ দায়ের করেন হরিদেবপুর থানায়। ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার সহকারী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের ধরতে চলছে তল্লাশি অভিযান।

    দেবাংশুর আরও একটি পরিচয়

    দেবাংশু কেবল তৃণমূলের নেতাই নন, তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি সংস্কার বিভাগে রেভেনিউ ইনসপেক্টর হিসেবে কর্মরত। যে ফ্ল্যাটে দেবাংশু ও তাঁর সহকারী এই দুষ্কর্মটি করেছেন বলে অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটের মালিক জানান, তিনি নীচের তলাটা তৃণমূল কর্মী দেবাংশু বিশ্বাসকে ভাড়া দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দেবাংশু নিজেকে সরকারি কর্মচারী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে সেখানে থাকবেন (TMC)।

    ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ কসবায়ও 

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতর রক্ষীর ঘরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের তিন নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কলেজেরই দুই ছাত্র এবং এক প্রাক্তনীকে। গ্রেফতার করা হয়েছিল কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও। ওই ঘটনায় মূল তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি। নির্যাতিতা নিজেও টিএমসিপির সদস্য ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ জুন বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন ‘জে’ নামে। অভিযোগ দায়ের করা হয় ‘এম’ এবং ‘পি’ নামের দু’জনের বিরুদ্ধেও। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, প্রথমে ইউনিয়ন রুমের ভেতর তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে রক্ষীর ঘরে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ‘জে’। বাইরে পাহারায় ছিলেন বাকি দু’জন (Debangshu Biswas)। কলেজের মেন গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ছাত্রীকে বেরতে দেওয়া হয়নি। রক্ষীর কাছে সাহায্য চেয়েও তিনি পাননি (TMC)।

    কাঠগড়ায় সেই তৃণমূলের তিন তুর্কি

    সেই সময় নির্যাতিতা জানিয়েছিলেন, শাসকদলের ছাত্র পরিষদের নেতা হওয়ায় কলেজে দাপট ছিল অভিযুক্তদের। তাই কলেজের রক্ষীও ছিলেন অসহায়। অভিযোগ, ধর্ষণের কথা পুলিশকে জানালে তাঁর প্রেমিককে খুন করিয়ে দেওয়ার এবং বাবা-মাকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় নির্যাতিতাকে। তৃণমূলের ওই তিন অভিযুক্ত এও জানিয়েছিলেন, এ সব তাঁরা আগেও করেছেন। ইউনিয়ন রুমে সেদিন হকি স্টিক দিয়ে নির্যাতিতাকে মারধরের চেষ্টাও করা হয়েছিল। পরে রক্ষী-সহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তদন্তকারীরা এই (Debangshu Biswas) ঘটনার চার্জশিটও জমা দিয়েছেন। কসবার পর এবার হরিদেবপুরেও উঠল গণধর্ষণের অভিযোগ। এবং কাঠগড়ায় সেই শাসক দলেরই নেতা (TMC)।

    নেত্রীর আস্কারা!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীর আশীর্বাদী হাত মাথায় থাকায় বার বার অপরাধ করতে সাহস পাচ্ছেন দলের নেতারা। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে বিতর্কের জেরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, “আমরা অযোগ্যদের পাশে আছি”। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, খোদ দলনেত্রীর এই অস্কারা পেয়েই নানা ক্ষেত্রে একের পর এক কুকীর্তি করে চলেছেন তৃণমূলের ছোট-বড়-মেজ নেতারা। কারও নাম জড়িয়েছে কয়লা কেলেঙ্কারিতে, কেউ আবার কাঠগড়ায় উঠেছেন রেশনসামগ্রী পাচারের অভিযোগে। বালি চুরির কলঙ্কও লেগেছে কারও গায়ে। ধর্ষণে অভিযুক্তের সংখ্যা তো বোধহয় গুণেও শেষ করা যাবে না। খুন-জখম-রাহাজানির ঘটনায়ও (Debangshu Biswas) অভিযুক্ত বহু তৃণমূল নেতা। এই তালিকায়ই সর্ব শেষ সংযোজন হরিদেবপুরের দেবাংশু বিশ্বাস ও তাঁর সাগরেদ (TMC)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না! ভবানীপুরেই হারাব’’, মমতাকে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না,  ভবানীপুরেই হারাবো’’, মমতাকে হুঙ্কার দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবারে বিধানসভায় তুমুল হইচই-হট্টগোল বেঁধে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আজ যা হল তার নিন্দা করি। এই তানাশাহী, স্বৈরাচারী রাজত্বের পতন হবে বলে বিশ্বাস করি। আজ স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়করা যেভাবে লড়াই চালালেন তাতে আরও একবার প্রমাণিত বাংলার ২ কোটি ২৭ হাজার ভোটার প্রকৃত লোকদের জনপ্রতিনিধি করেই বিধানসভায় পাঠিয়েছেন।’’

    উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন, ভবানীপুরে হারবেন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘উনি নন্দীগ্রামে হেরেছেন। ভবানীপুরে হারবেন। ওঁর ভাইপোর কোম্পানি তিন অঙ্ক পেরোবে না। মমতাকে ভবানীপুরেই হারাব। ওঁকে বলব মেটিয়াবুরুজে যাবেন না। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বঙ্কিম ঘোষের দুটি স্টেন্ট বসানো বুকে, তিনিও হাসপাতালের পথে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নাড্ডা সকলের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। বলেছেন, লড়তে রহো। ন্যাশনাল বিজেপিও আমাদের সাপোর্ট করছে।’’

    চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে ভাষায় দেশভাগের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে, বিজেপি সম্পর্কে বিচারধারাকে আক্রমণ করেছে, মুসলিম তোষণ করতে গিয়ে, বাংলাদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে গিয়ে তার নিন্দার ভাষা নেই। অমিত শাহ, মোদিকে চোর বলেছেন! যে ভাষা শুনতে হল তা মানতে পারি না। মোদি একটি পদবি। এই পদবির লোকজন গুজরাটে বেশি। সারা বিশ্বে আছেন, বাংলাতেও আছেন। ‘মোদি চোর’ বলায় রাহুল গান্ধীর মেম্বারশিপ গিয়েছিল। ফলে বিএনএসের ধারা অনুযায়ী এফআইআর করতে বলব চোর মমতার বিরুদ্ধে। ‘চাকরি চোর মমতা, জেলে যাবে মমতা’ (Mamata Banerjee) স্লোগানও দেন শুভেন্দু।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি মুসলিমদের প্রোটেকশন দিয়ে, বাংলা, বাঙালির অস্মিতার কথা বলে আইপ্যাকের বুদ্ধিতে ভাষার নামে গোল করে চলে যাবে ভেবেছিল। ১০ গোল খাইয়ে আমরাই ওঁকে বাড়ি পাঠিয়েছি। ১৪ বছর ৫ মাসে এমন বিরোধিতার সামনে পড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। এলওপি বাইরে থাকলেও আজ ৬৪ জন বিজেপি বিধায়ক যেভাবে এলওপির ভূমিকা নিয়েছেন তাতে কৃতজ্ঞতা জানাই।’’

  • Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: নজিরবিহীন! চ্যাংদোলা করে বার করা হল বিজেপি বিধায়কদের, ”ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা” বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তপ্ত বিধানসভা, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পর এবার বিধানসবার বিশেষ অধিবেশনে সাসপেন্ড বিজেপির শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। নজিরবিহীন ঘটনা বিধানসভায়। চলল শাসকের তুঘলকি শাসন। মার্শাল ডেকে বিধানসভা (West Bengal Assembly) থেকে বার করে দেওয়া হল শঙ্কর ঘোষকে। শঙ্কর ঘোষের পর সাসপেন্ড করা হয় অগ্নিমিত্রা পাল। তারপর মিহির গোস্বামী, অশোক দিন্দা, বঙ্কিম ঘোষকেও সাসপেন্ড করা হয়। মিহির গোস্বামীকে কার্যত চ্যাংদোলা করে বার করা হয়। প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা।

    নেত্রীর নির্দেশেই হেনস্থা!

    বাঙালি হেনস্থার প্রতিবাদে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন চলছিল। প্রশ্নত্তোর পর্ব এর আগে বয়কট করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সময় সরব হয়ে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। দু পক্ষই একে অপর পক্ষকে চোর চোর স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সময় বিরোধীদের উদ্দেশে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেন, বিধানসভার মর্যাদা রক্ষা করতে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে আসনে ফিরে যেতে নির্দেশ দেন স্পিকার। ‘শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গোটা অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হল, এমন প্রশ্নই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তুলেছিলেন শঙ্কর ঘোষ। পরিস্থিত জটিল দেখে বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে অধ্যক্ষ বলেন, তারা যেন বিধানসভার বাইরে গিয়ে স্লোগান তোলেন। শুধু স্পিকার নন নিজের দলের বিধায়কদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”বিজেপি বিধায়করা যখন বলবে তখন কাউকে বলতে দেবে না।” তাই হয়, গণতন্ত্র বিসর্জন দিয়ে দলনেত্রীর কথামতো চলতে থাকে বিধানসভা।

    বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড অযৌক্তিক

    এদিন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাসপেনশন নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’রকমের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় বিজেপি। শুভেন্দু এ প্রসঙ্গে বলেন, “স্পিকারের ভয়েস রেকর্ডিংও তো তাই বলেছে যে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাসপেনশন। পরে টাইপ করে দিয়েছে। আসলে নেত্রীর নির্দেশ বিরোধী দলনেতাকে বাইরে রাখবেন। আমাদের বিধায়করা ভিতরে ঢুকবে, বুঝিয়ে দেবে, বিজেপিতে একজন শুভেন্দু নেই।” বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার অধিবেশনের শেষ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট ওই দিনের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু পরে স্পিকার বাইরে এসে জানান, এই সেশন যতদিন চলবে, ততদিন পর্যন্তই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়। বিজেপির বক্তব্য, স্পিকার কীভাবে বিধানসভার ভিতরে এক কথা বলতে পারেন, বাইরে আরেক কথা বলতে পারেন? এই গোটা বিষয়টিই পরিষ্কার নয়। । যদিও বিধানসভার তরফ থেকে স্পষ্ট করেই বলে দেওয়া হয়েছে এবার, কেবল ওই দিনের জন্য নয়, গোটা অধিবেশন পর্বের জন্যই শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    গণতন্ত্রের হত্যা!

    বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভা (West Bengal Assembly) কক্ষে পৌঁছনোর আগে থেকেই বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে পৌঁছনোর পরে বিরোধিতা আরও জোরাল হয় বিজেপির। শঙ্কর ঘোষকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা হয়। পড়ে যান তিনি। বিধানসভা কক্ষে অশান্তি যখন তুঙ্গে, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্লোগান দিতে হলে বাইরে বেরিয়ে যান, বাইরে গিয়ে স্লোগান দিন। মার্শালকে অধ্যক্ষ নির্দেশ দেন, যাঁরা অশান্তি করছেন, তাঁদের বাইরে বের করে দিতে হবে। এর পরেই মার্শালের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। প্রবল অশান্তি, ঠেলাঠেলিতে পড়ে যান শঙ্কর ঘোষ। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মেঝেতে শুয়ে পড়েন শঙ্কর। শঙ্কর ঘোষের পড়ে যাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গণতন্ত্রকে হত্যা করলো মমতা ও তাঁর প্রশাসন।’ শঙ্কর ঘোষের মাথায় চোট লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । বিরোধী দলনেতা বলেন, ওরা মার্শাল নয়, তৃণমূলের গুন্ডা। জানা গিয়েছে, শঙ্করকে জে এন রায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    Indian Army: তাঁকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল দুশো সেনা, বিতর্কিত মন্তব্য মমতার, পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরোধিতায় নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Indian Army)। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় মঞ্চ খোলা ইস্যুতে তিনি দাবি করেছেন, প্রায় ২০০ জন সেনা সদস্য নাকি তাঁকে দেখে ছুটে পালিয়েছিলেন। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র বিতর্ক। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে স্তম্ভিত কমবেশি সব মহলই। তিনি আরও বলেন, বিজেপির নির্দেশেই সেনাবাহিনী এই কাজ করছে। তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিরোধী দল বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছে। তাঁকে পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট বিবৃতি। অনেকেই বলছেন, দেশের সেনাবাহিনী আমাদের সুরক্ষা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনা যেভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে, তা গোটা দেশের গর্ব। সেই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজন সাংবিধানিক পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্য কি মানায়?

    মঞ্চ খোলা ইস্যুতে সেনার বিবৃতি (Indian Army)

    ভারতীয় সেনা (Indian Army) মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগেই তাঁদের মঞ্চ সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কর্ণপাত করেনি উদ্যোক্তারা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় সেনাবাহিনী (স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষ, কলকাতা) ময়দান এলাকায় দুই দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। ৩ দিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২ দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তবে মঞ্চটি প্রায় এক মাস ধরে স্থাপন করা হয়েছে, অস্থায়ী কাঠামো অপসারণের জন্য আয়োজকদের কাছে বেশ কয়েকবার অনুস্মারক পাঠানো হয়েছে কিন্তু এটি অপসারণ করা হয়নি। এরপর কলকাতা পুলিশকে অবহিত করা হয় এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী কাঠামোটি সরিয়ে ফেলেছে।’’

    পাকিস্তানে পাঠানোর প্রস্তাব বিজেপির

    অন্যদিকে, সেনাবাহিনীকে (Indian Army) এভাবে অপমান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি মন্তব্য করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।” সুকান্ত এই ইস্য়ুতে বলেন, ‘‘দিদি ভারতে কী করছেন? ওঁর পাকিস্তানে গিয়ে আসিফ মুনিরকে সাহায্য করা উচিত। ভারতীয় সেনা যদি দিদিকে দেখে দৌড়ায়, তাহলে ওঁর প্রয়োজন এখানে নেই, ওঁকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। দিদির অপব্যবহার হচ্ছে।’’

    দেশের সেনাবাহিনীকে চরম অপমান করেছেন, বললেন শুভেন্দু

    অন্যদিকে, এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। আমরা সবাই জানতাম, আপনি একজন জাতীয়তাবাদ-বিরোধী। তবে যেভাবে আপনি বলেছেন, ‘ময়দানে পৌঁছানোর পর ২০০ জন সাহসী সেনা সদস্য পালিয়ে গেছেন আপনাকে দেখে’, এটা শুধু একটি বড় মিথ্যেই নয়—বরং দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি চরম অপমান। যে সেনাবাহিনীর সাহস ও আত্মত্যাগের কোনও তুলনা হয় না, যাঁরা আমাদের সীমান্ত রক্ষা করেন এবং সংকটের সময় আমাদের সুরক্ষা দেন, তাঁদের নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করা লজ্জাজনক।”

    ক্ষমতার লোভে অন্ধ মমতা

    শুভেন্দু আরও বলেন, “ময়দানে তৃণমূলের অস্থায়ী কাঠামো এক মাস ধরে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী (Indian Army) বারবার তা সরানোর কথা বললেও তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ‘উদ্যোক্তা’র পরিচয় দিয়ে কখনোই সেই কাঠামো সরায়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী এখন নিজের মুখ রক্ষার জন্য মিথ্যা গল্প বানাচ্ছেন। এটা নিছক নির্লজ্জতা। ক্ষমতার লোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এতটাই অন্ধ করে দিয়েছে যে তিনি দেশের জওয়ানদের অসম্মান করছেন। এটা শুধু সেনাবাহিনীর নয়, প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অপমান। মুখ্যমন্ত্রীর এমন অপমানজনক মন্তব্য দেশের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে অবমূল্যায়ন করছে।”

    ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল

    প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির কাছে তৃণমূলের মঞ্চ খুলতে শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মঞ্চের ত্রিপল, বাঁশ ইত্যাদি খুলে সরিয়ে ফেলা হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেন। মুখ্যমন্ত্রী দিন বলেন, ‘‘বিজেপির কথায় চলছে সেনাবাহিনী। সেনাকে দিয়ে কাজ করালে দেশটা কোথায় যাবে? সেনাবাহিনীর অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০০-র মতো সেনা আমাকে দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। যখন বিজেপি থাকবে না তখন পালাবে কোথায়? আমরা শনি-রবিবার কর্মসূচি করি। আমরা টাকাও দিয়েছি। আপত্তি থাকলে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারত। রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর অপব্যবহার হচ্ছে। আমি এই ঘটনার তীব্রভাবে নিন্দা জানাচ্ছি।’’

  • Jiban Krishna Saha: ভোটে ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ!

    Jiban Krishna Saha: ভোটে ২৫ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। অথচ তাঁরই অ্যাকাউন্টে কিনা জমা রয়েছে লাখ লাখ টাকা! এই টাকা তৃণমূল নেতা জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) অ্যাকাউন্টে এল কোথা থেকে আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর (Poll Campaign) হাতড়ে বেড়াচ্ছেন ইডির আধিকারিকরা। তৃণমূলের এই বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে এল জীবনকৃষ্ণের ভোট-খরচের হিসেব। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই তিনি নির্বাচনী কাজে ব্যয় করছিলেন ২৫ লাখ টাকা। যা জেনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারী আধিকারিকদের। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়কের দাবি, এই টাকা তাঁর জমানো টাকা। তদন্তকারীদের একাংশের প্রশ্ন, একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কত মাইনে যে সংসার খরচ সামলেও, ব্যাংকে জমা হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা!

    জীবনকৃষ্ণের পিসি (Jiban Krishna Saha)

    তৃণমূলের এই বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তদন্তকারীরা জীবনকৃষ্ণের পিসি মায়া সাহা-সহ একাধিক ঘনিষ্ঠের নামে প্রচুর জমি কেনার নথি উদ্ধার করেছেন। তার পরেই বীরভূমে বিধায়কের পিসির বাড়িতেও সেদিন তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এই পিসিও তৃণমূলেরই কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট মায়াকে সিজিওতে তলব করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মায়া। মায়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় ঢুকতে গিয়েছিলেন সাঁইথিয়া থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর দীনেশ মুখোপাধ্যায়। তাঁকে প্রথমে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরে দীনেশের বডি ক্যাম খুলিয়ে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয় মায়ার বাড়িতে।

    তৃণমূল নেত্রীর দাবি

    তৃণমূল নেত্রীর দাবি, সাড়ে ৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েও তাঁর বাড়ি থেকে কিছুই পাননি ইডির আধিকারিকরা। ভাইপো জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কেও কিছু জানেন না বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর মায়া। যদিও জীবনকৃষ্ণের (Jiban Krishna Saha) বাবা কিন্তু প্রথম থেকেই ছেলে এবং বোনের বিরুদ্ধে তুলেছিলেন অভিযোগের আঙুল। এদিকে, ৬ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। গ্রেফতারির আগে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টাও করেছিলেন তৃণমূলের এই কীর্তিমান নেতা। সূত্রের খবর, চাকরি বিক্রির জন্য কাদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তার উল্লেখ রয়েছে ইডির নথিতে। ইডির দাবি, আমরা যা-ই জিজ্ঞাসা করেছি (Poll Campaign), তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি জীবনকৃষ্ণ, দেখাতে পারেননি প্রয়োজনীয় নথিও (Jiban Krishna Saha)।

LinkedIn
Share