Tag: TMC MLA

TMC MLA

  • TMC: তৃণমূল বিধায়িকার নেতৃত্বে ব্যালট ছিনতাই? ফের ভোট সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে

    TMC: তৃণমূল বিধায়িকার নেতৃত্বে ব্যালট ছিনতাই? ফের ভোট সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে নতুন করে ভোট করানোর নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ওই বুথগুলিতে ভোটের দিন ব্যালট পেপার ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় বিধায়িকা প্রিয়া পালের (TMC) বিরুদ্ধে। এমনকী ওই বুথগুলির ব্যালট ছিনতাই করে ভোট গণনা লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়। সেই সব ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। ওই বুথগুলিতে ভোটের দিনের রিপোর্ট চাওয়া হয় বিডিও-র কাছ থেকে। তারপর বিডিও-র  রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওই ১৫টি বুথে নতুন করে ভোটের নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

    কী কারণে ফের ভোটের নির্দেশ?

    ৮ জুলাই ভোটের দিন ডোমজুড় ও উলুবেড়িয়া এলাকায় কয়েকটি ঘটনা ছাড়া মোটের উপর হাওড়ায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণই ছিল বলা যায়। বড় কোনও অশান্তি বা রক্তপাতের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথে সকাল থেকেই বিরোধীরা ব্যালট লুট (TMC) হওয়ার অভিযোগ করছিলেন। মানিকপুর দর্জিপাড়া প্রাথমিক স্কুলের সাতটি বুথ, রশ্মি মহল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের একটি বুথ, সারেঙ্গা হাইস্কুল ও পল্লিশ্রী পাঠাগারের কয়েকটি বুথ থেকে এই ভোট লুটের (Panchayat Vote 2023) অভিযোগ আসে। এমনকী ভোট গণনার দিনেও বিধায়িকার নেতৃত্বে গণনা কেন্দ্রে ঢুকে বিরোধী এজেন্টদের মেরে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদিও বিরোধীদের মতে, কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক বুথ ধরে ধরে অভিযোগ জমা পড়ে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা এই বুথগুলিতে পুনরায় নির্বাচন করতে বাধ্য হল।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    যদিও সাঁকরাইলের বিজেপি নেতা প্রভাকর পণ্ডিত বলেন, ভোট গণনার দিন সেকেন্ড রাউন্ডের সময় বিধায়িকা (TMC) কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। তার ফলে এই বথগুলির গণনার রেজাল্ট এখনও প্রকাশ হয়নি এবং সার্টিফিকেটও ইস্যু হয়নি। এরপর তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানান। তার পরেই পুনরায় এই বুথগুলিতে ভোটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনাতেও ভোট, তবে কোথাও এখনই নয়

    পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ। তবুও হিংসা থামেনি গোটা রাজ্যে। বুধবার বিকেলে নির্বাচনী বিধি তুলে নেয় নির্বাচন কমিশন (Panchayat Vote 2023)। এরপরই এক নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল তিনটি জেলার ২০ টি বুথের ভোটকে বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার সংশ্লিষ্ট এই বুথগুলিতে ফের নির্বাচন হবে। যখন আবার উপ নির্বাচন ঘোষণা হবে, তখন একসঙ্গে এই বুথগুলিতে নির্বাচন হবে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে গণনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল সেখানে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। এর পরই গতকাল রাতে জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশ। ফলে এখনই হচ্ছে না আর নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    TMC: “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”, বিস্ফোরক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বেসুরো মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। এবার নিজের দলের কর্মীদেরই চোর, ডাকাত, খুনির সঙ্গে তুলনা করলেন মগরাহাট পশ্চিমের এই বিধায়ক। শিরাকল অঞ্চলে দলীয় প্রার্থীদের (TMC) সমর্থনে এক সভায় উপস্থিত হয়ে এমনই সব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। এমনিতেই গোষ্ঠী কোন্দলে দীর্ণ তৃণমূল। ভোট ঘোষণার পর থেকেই দলের মধ্যে বিবাদের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। বিধায়করা পর্যন্ত প্রকাশ্যে দল-বিরোধী মন্তব্য করছেন। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।

    ঠিক কী বললেন তিনি?

    দলের নেতাদের চোর-ডাকাতদের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “যারা চোর-ডাকাত, তাদের টিকিট দিয়েছে দল”। একই সঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষীকান্তপুর এলাকায় এমন এক জনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে, যিনি তাঁর দুজন ছেলেকে খুন করেছেন। বিধায়কের (TMC) দাবি, “বাড়ি ভাঙচুর, পুকুর লুট করা ব্যক্তিদেরকেও টিকিট দিয়েছে দল”। আর এই ভাবেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন তাঁকে চিনিয়েছে, ঠিক তেমনি এই সকল কর্মীদেরকেও তিনিই রাজনীতির পথ দেখিয়েছেন। এখন তারাই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করে বাড়িঘর, জায়গ্‌ জমি কিনেছে। পাশাপাশি তিনি এও জানান, দলে নতুনদের জায়গা দিতে হবে, যারা নতুন দল করছে।

    অস্বস্তিতে শাসক দল (TMC)

    এর আগেও ভোটের টিকিট প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের প্রাক্তন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। এমনকী দলে তাঁর গুরুত্ব কমেছে বলেও জানিয়েছিলেন। ৫০ শতাংশ টিকিট দল তাঁকে দিয়েছে, এমনও দাবি করেছিলেন বিধায়ক (TMC)। আর এবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশকেই চোর, ডাকাত, খুনির সঙ্গে তুলনা করলেন মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিযংউদ্দিন মোল্লা। আর তাঁর এই বক্তব্যে নির্বাচনের আগে অনেকটাই অস্বস্তিতে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সাক্ষাৎ হল বিধায়ক ও জেলা সভাপতির। অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশমতো রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এদিন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলীতে তিক্ততার সূত্রপাত হলেও, অবশেষে তার অবসান ঘটল বলে আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিবাদ কি আদৌ মিটল? সন্দিহান জেলার মানুষই।

    কীভাবে বিবাদে জড়িয়েছিল দু-পক্ষ?

    রবিবার রাতে ইসলামপুরের গোলঘরে বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কের সংঘাতের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় গত ৩০ শে এপ্রিল অভিষেক ব্যানার্জি ইসলামপুরে সভা করলেও সেখানে আমন্ত্রণ পাননি বিধায়ক। এরপর বিধায়কের বাড়িতে অভিষেক ব্যানার্জির আসার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তা হয়নি। যা নিয়ে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি। গত ২রা মে রায়গঞ্জ থানার দুর্গাপুরে অভিষেক ব্যানার্জির ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকেও আব্দুল করিম চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁকে বিদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করাতেই এই বৈঠক বয়কট বলে দাবি করেছিলেন বিধায়ক। এই বৈঠকেই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে ররিবার বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল। 

    বৈঠক নিয়ে কে কী বললেন?

    সেখানে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, আগেরদিন ইটাহারে যে সমাবেশ হয়েছিল, সেখানে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি একবার করিম সাহেবের বাড়ি যান। আমাকে নির্দেশ দেওয়াতেই আমি করিম সাহেবের বাড়ি যাই। গত পরশু আমি উনাকে ফোন করি এবং তারপর গতকাল উনার বাড়িতে যাই। সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে, এটুকুই শুধু। অন্যদিকে জেলা সভাপতির আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তিনিও। পাশাপাশি জেলায় দল (TMC) পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের মতামত ও প্রস্তাবনা জেলা সভাপতির সামনে তুলে ধরেছেন, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Avishek Banerjee: লাল কার্পেট, এলাহি আয়োজন, তবুও তৃণমূল বিধায়কের বাড়িমুখো হলেন না অভিষেক

    Avishek Banerjee: লাল কার্পেট, এলাহি আয়োজন, তবুও তৃণমূল বিধায়কের বাড়িমুখো হলেন না অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সামনের রাস্তা লাল কার্পেটে মোড়া। খাওয়ার জন্য এলাহি আয়োজন। সকাল থেকে পিল পিল করে কর্মী- সমর্থক এসে বা়ড়ির সামনে ভিড় করছেন। মোতায়েন পুলিশও। একেবারে সাজ সাজ রব। আর হবে নাই বা কেন, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) আসার কথা রয়েছে দলের বর্ষীয়ান বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর ইসলামপুর গোলঘরের বাড়িতে। রবিবার দুপুরে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে খাওয়ার কথা ছিল দলের এই শীর্ষ নেতার। শনিবার তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই কথাও। কিন্তু, সকাল থেকেই কয়েকশো কর্মী-সমর্থককে নিয়ে করিমসাহেব প্রতীক্ষা করলেও কথা রাখেননি অভিষেক।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক করিমসাহেবের খাসতালুক ইসলামপুরে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) রবিবার সভা ছিল। সেই সভায় তৃণমূল বিধায়ক আমন্ত্রিত ছিলেন না। যা নিয়ে দলের অন্দরেই চর্চা চলছিল। বিধায়কের অভিমান ভাঙাতে উদ্যোগী হন অভিষেক (Avishek Banerjee) । তিনি রবিবার করিমসাহেবের বাড়িতে দুপুরে খাওয়াদাওয়া করবেন বলে বার্তা পাঠান। ভিভিআইপি যাবেন বলে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও একই খবর ছিল। সকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ফলে, করিমসাহেব ধরে নিয়েছিলেন অভিষেক তাঁর বাড়িতে আসছেন। এই খবর জানাজানি হতেই তাঁর বাড়িতে প্রচুর কর্মী-সমর্থক ভিড় করতে শুরু করেন। অবশেষে অভিষেক (Avishek Banerjee) করিমসাহেবের বাড়িতে না গিয়ে সোজা ইসলামপুরের কোর্ট ময়দানে দলীয় সভায় যোগ দেন। সভাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে করিমসাহবেবের বাড়ি। তিনি অভিমানে দলের সভায় যোগ দেননি। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকশো কর্মী-সমর্থকও এদিন সভামুখো হননি। তৃণমূল নেতা মহম্মদ কফিরুউদ্দিন বলেন, করিমসাহেব আমাদের নেতা। তাঁকে অপমান করা হয়েছে। আমরাও তাই মিটিংয়ে যাইনি।

    অভিষেক (Avishek Banerjee) বাড়িতে না আসায় কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

     এদিন দিনভর অপেক্ষা করার পর অভিষেক (Avishek Banerjee)  না আসায় ক্ষোভ উগরে দিলেন করিমসাহেব। তিনি বলেন, আমি তো অভিষেককে আসতে বলিনি। তিনি নিজেই আসবেন বলেছিলেন। তাই, লাল কার্পেট সহ সব কিছুর আয়োজন করেছিলাম। কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক এখানে জমায়েত হয়েছিলেন। সকলকেই তিনি হতাশ করলেন। আসলে আমি তো তাঁকে চিনি না। উনিও আমাকেও চেনেন না। রাজীব গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই আমার আশীর্বাদ নিয়েছেন। অভিষেক (Avishek Banerjee) আমার আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হলেন। আর দলীয় সভায় আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই আমি যাইনি। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে দলীয় বিভিন্ন ইস্যুতে প্রকাশ্যেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক। এমনকি জেলা নেতৃত্বের প্রতিও তাঁর বিদ্রোহী মনোভাব সকলের জানা। এমনিতেই দলীয় সভায় ডাক না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন তিনি,  এবার অভিষেক (Avishek Banerjee) তাঁর বাড়িতে না আসায় তিনি জেলা রাজনীতিতে কার্যত ব্রাত্য হয়ে গেলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Raid: পুকুর থেকে উদ্ধার একটি মোবাইল, তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কোন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই?

    CBI Raid: পুকুর থেকে উদ্ধার একটি মোবাইল, তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে কোন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সেই পুকুরের দিকে শুধু এলাকাবাসী নয়, রাজ্যের মানুষের নজর ছিল। ওই পুকুরের জল তুলে মোবাইল উদ্ধার করা কী সম্ভব, তা নিয়ে শনিবার দিনভর চর্চা হয়েছে। সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরাও তিনটে পাম্প নামিয়ে পুকুর থেকে জল তোলার উদ্যোগ নেন। আর এই কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয় ৪ জন শ্রমিক এবং একজন মত্স্যজীবী। দুদিন ধরে টানা কাজ করার পর রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পুকুরের ভিতর থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও একটি মোবাইল পুকুরে রয়েছে বলে সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন। সেই মোবাইলের খোঁজে এদিন সকাল থেকে পুকুরে তল্লাশি চলছে।

    মোবাইল উদ্ধারের পর কী করল সিবিআই (CBI Raid)?

    শুক্রবার বেলা ১২ টা নাগাদ সিবিআই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে আচমকা হানা দেয়। বাড়িতে চলে তল্লাশি। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিধায়ককে। আর সিবিআইয়ের (CBI Raid) নজর এড়িয়ে কীভাবে কৌশলে নিজের দুটি মোবাইল পুকুরে তৃণমূল বিধায়ক ফেলেছিলেন? কীভাবে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন? এদিন তৃণমূল বিধায়ককে বাড়ির ছাদে তুলে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সিবিআই (CBI Raid)। এমনকী পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি বিধায়ককে দেখিয়ে সনাক্ত করেন সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা।  আর পুনর্নির্মাণের সমস্ত কিছু সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখেন। সেই সংক্রান্ত নথিতে তৃণমূল বিধায়ককে স্বাক্ষর করানো হয়।

    পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলে তথ্য সংরক্ষণ নিয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কী বললেন?

    প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইলে হার্ডওয়্যার যদি ঠিকঠাক থাকে, তথ্য পেতে কোনও সমস্যা হবে না। আর মোবাইল চালু অবস্থায় কাদায় ফেলা হলে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মোবাইলে একাধিক আইসি ও ইন্টার্নাল স্টোরেজ নষ্ট হয়ে গেলে তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা বেশ কষ্টকর। তবে, জানা গিয়েছে, মোবাইল জলে ডুবে থাকলেও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মোবাইল থেকে তথ্য পেতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। এক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা উদ্ধার হওয়া মোবাইল খতিয়ে দেখছেন। আরও একটি মোবাইল কখন উদ্ধার হয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সিবিআই (CBI Raid) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Corruption: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে

    Recruitment Corruption: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র দাবদাহে মানুষ পথে বের হতে পারছেন না। ঠিক এরকমই একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সিবিআই-এর তদন্ত কিন্তু থেমে নেই। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলার শিকড়ে পৌঁছতে ঠা ঠা রোদের মধ্যেও সিবিআই আচমকা হানা দিল তৃণমূলের এক বিধায়কের বাড়িতে। বাড়ির দরজা বন্ধ করে চলল জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি। তল্লাশি চলে তাঁর অফিসেও। যাঁর বাড়িতে এই তল্লাশি চলল, তিনি হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞ্চার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও সিবিআইয়ের একটি টিম পৌঁছে যায় বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে জড়াল তৃণমূল বিধায়কের নাম

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সামগ্রিক পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। উঠে আসে তৃণমূলের তাবড় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের বিষয়। উঠে আসে কৌশিক ঘোষ বলে একজনের নাম, যিনি আবার জীবনকৃষ্ণ সাহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানতে পারে সিবিআই। শুধু তাই নয়, কৌশিকের সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠতার নানা প্রমাণও সিবিআই-এর হাতে আসে। সিবিআই জানতে পারে, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং কৌশিক ঘোষ-দুজনে মিলেই চাকরি বিক্রির একটা চক্র গড়ে তুলেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, তাদের মধ্যে জীবনকৃষ্ণ সাহার আত্মীয় যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কৌশিকের আত্মীয়রাও। প্রথমে কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে সিবিআই জানতে পারে কৌশিক ঘোষের নাম। আর তাঁর নাম উঠতেই স্বাভাবিকভাবে চলে আসে তৃণমূল বিধায়কের নাম। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে এদিনের এই সিবিআই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। 

    অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল বিধায়কের 

    এদিন অভিযান চলাকালীন জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়িতেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Corruption) মামলায় কৌশিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হওয়ায় অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। ফলে কারও সঙ্গে ছবি দেখালে এটা প্রমাণ হয় না, ওই ব্যক্তি তাঁর ঘনিষ্ঠ। যদিও এলাকার মানুষের দাবি, দুজনের ঘনিষ্ঠতার কথা কারোরই অজানা নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ‘পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা পাঠাব! ছাড়পত্র না মিললে…’ মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

    Panchayat Poll: ‘পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা পাঠাব! ছাড়পত্র না মিললে…’ মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠাব। ছাড়পত্র না মিললে সবাই নির্দলে দাঁড়িয়ে লড়াই করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক দাবি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর।  তৃণমূল বিধায়কের হুঁশিয়ারি শুনে তাঁকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল।

    তৃণমূলের ফাটল বৃদ্ধি

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll) যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের ফাটল আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। ১১ বারের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর মন্তব্য সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, এলাকায় পরিচিত এবং শিক্ষিত পুরুষ–মহিলাকে প্রার্থী করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। সেখানে কারও হুঁশিয়ারি বরদাস্ত করা হবে না। তাই প্রত্যেক জেলার সঙ্গে বৈঠক করতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর ৮ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা সফর করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিধায়ক।

    কী বললেন বিধায়ক

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll) ইসলামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন প্রসঙ্গে করিম চৌধুরী বলেন, ‘‘আমার ব্লকের প্রার্থিতালিকা বানিয়ে পাঠিয়ে দেব। সেই তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি পুরোপুরি অনুমোদন না দেন, তা হলে আমার প্রার্থীরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াবে।’’ ওই প্রার্থীদের অবশ্য ‘গোঁজ প্রার্থী’ বলতে নারাজ তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘জনগণের অধিকার আছে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার। কারণ, কেউ কাজ করতে চাইলে তাঁকে আমি টিকিট না দিয়ে বসিয়ে দেব কেন?’’ পঞ্চায়েত ভোটে নিজের লক্ষ্যও স্পষ্ট করে দিয়েছেন আব্দুল করিম। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার চেষ্টা করব আমি।’’

    আরও পড়ুুন: একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের সন্ধান! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রীকে ডাকতে পারে ইডি

    দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল এই প্রসঙ্গে বলেন, বিধায়কের বা জেলা সভাপতির দল হয় না, দলেরই বিধায়ক বা জেলা সভাপতি হন। সুতরাং টিকিটের (Panchayat Poll) বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। তাঁর মতে, প্রস্তাব তো যে কেউ পাঠাতে পারে, তবে দলের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। এই বিষয়ে বিজেপির দাবি, জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে মানুষ এদের জবাব দেবে বলেই মনে করছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস বিশ্বাস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    Sukanta Majundar: ‘‘সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না’’! মদনকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর, কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আগের দিন দায়িত্ব পেয়েই পরের দিন পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা, আর ঠিক তার পরের দিন থেকেই নমিনেশন। অন্যদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পাচ্ছেন না ফর্ম। বিডিও বলছেন, আমরা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারেনি। তাই যদি হয়, তাহলে কেন এতো তাড়াতাড়ি ভোট ঘোষণা? প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

    কোথায় বলেন বিজেপি (BJP) নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    হুগলির পুরশুড়ার চিলাডিঙ্গি এলাকায় একটি জনসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি যোগ দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং তৃণমূল নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন। সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্নও তোলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি নাম না করে বলেন – শুধু মাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) বাঁচানোর জন্য বিশেষ কৌশল! নাকি বিজেপির সভা বন্ধ করার জন্য এতো তাড়াতাড়ি করে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা? সভা থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দলদাস বলে কটাক্ষ করেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    সাংবাদিকদের প্রশ্ন উত্তরে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এইদিন হুগলির খানাকুলেও আরও একটি জনসভা করেন বিজেপির (BJP) এই নেতা। খানাকুলে বিজেপির এই জনসভায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি সরাসরি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন, যা রাজনৈতিক মহলে বেশ সরগরম করে দিয়েছে। প্রশ্ন-উত্তর গুলি হল,

    প্রশ্ন – মনোনয়নের পয়লা দিনেই বিরোধীশূন্য করার হুশিয়ারি মদন মিত্রের (Madan Mitra)।

    উত্তর – মদন দার বয়স হয়ে গেছে এখন, সন্ধ্যেবেলা বলেছেন না সকালে বলেছেন, সেটা আগে জানতে হবে, তার উপর নির্ভর করবে; সন্ধ্যাবেলা বললে সিরিয়াসলি নেবেন না।

    প্রশ্ন – মাঠে বিরোধী কোনও খেলোয়াড় নেই, তাই তিনি খেলতে পারবেন না, সেই কারণে মনমরা হয়ে যাচ্ছে, বলছেন মদন মিত্র।

    উত্তর – বাঁকুড়া সহ বিভিন্ন জেলাতে ডিসিয়ার তোলার জন্য সব থেকে ভীড় বিজেপি কর্মীদেরই ছিল।

    প্রশ্ন – টুকটাক অশান্তি না হলে হয়, আগে সিপিএমের আমলে বোমা ছিলো আর এখন আমাদের আমলেও আছে।

    উত্তর – আমরা তো সেটাই বলছি সিপিএম আর তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।

    প্রশ্ন – ১০০ শতাংশ ভোট না মেরে দিলে হয়? ইঙ্গিতে ছাপ্পা ভোটের কথাই বলা হচ্ছে।

    উত্তর – ওনার দল কী করতে পারে, উনি সেটা ভালো জানেন, যখন তাঁকে সামান্য মুখ খুলার পর বলতে হয়, যা করার আমার সাথেই করুক আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসা মূলক কাজ করবেন না। এর থেকেই প্রমাণ তৃণমূল প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে কী কী করতে পারে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।” রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও লাভলী মৈত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর নাম করে তিনি বলেন, “সব দলই ঝান্ডা তুলবে, মানুষ যাকে গ্রহণ করবে সে ক্ষমতায় থাকবে। আপনারা কত বড় মস্তান? আপনাদের থেকে অনেক বড় মস্তান কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছে। আপনারা থাকবেন, অন্য কেউ থাকবে না, তা চলতে পারে না। অন্যায়, দুর্নীতি, চুরির প্রতিবাদ হবে না, এটা হতে পারে না। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না, জেনে রাখুন মমতা। বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।”

    সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে সোনারপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে, প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৫৮ টাকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৬০ টাকা। ২০২১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। রকেটের থেকেও বেশি গতিতে বেড়েই চলেছে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। এর থেকেই প্রমাণিত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দুর্নীতি করে হয়েছে। এই চোরেদের উৎখাত করতে হবে।”

    শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের যোগ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অন্য দুই দল কংগ্রেস ও সিপিএমের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “শাসক দলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে দুই দলের। ২০১১ সালে বিরোধী দলনেতা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তখনও বিরোধিতার কোনও ছবি ধরা পড়েনি। ২০১৬ সালে বিরোধী দলনেতা হন আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরাও কোনও আন্দোলন করেননি। বর্তমানে বিরোধী দল বিজেপি। দুর্নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি বার বার সোচ্চার হয়েছে। তাই আগামী দিনে এই পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের (CBI) আতস কাচের তলায় ছিলেন নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) তাপস সাহা (Tapas Saha)। দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়ি ও কার্যালয়ে টানা তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। তার জেরেই বুধবার তাপসকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে। কেবল সিবিআই নয়, তাপসের দিকে নজর রয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিরও। সিবিআইয়ের এফআইআরের সূত্র ধরেই তাপসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে ইডিও। যদিও সিবিআই তল্লাশির পর এই তৃণমূল নেতা জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তৃণমূল নেতা তাপস সাহার (Tapas Saha) দাবি…

    তিনি এও দাবি করেছিলেন, তৃণমূলেরই একাংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কোনও টাকা নেননি বলেও দাবি করেছিলেন তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর পর দলীয় কর্মীরা যাতে তাঁর পাশ থেকে সরে না যান সেজন্য তদন্তকারীরা চলে যাওয়ার পরেই বাড়িতে দলীয় কর্মীদের মহাভোজ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তাপস। দলের নেতা-কর্মীদের ডেকে খাইয়েছিলেন মাংসভাত। এহেন তৃণমূল নেতাকেই এবার দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠাল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাপসেরও (Tapas Saha)। তাঁর বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তাপসের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সেই সময় তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ জেরাও করেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে তেহট্টের বিধায়কের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও। বেঙ্গালুরুতে ফ্ল্যাট রয়েছে তাপসের ছেলের। সেই ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাপসের বাড়িতে তল্লাশির পর তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তাপসের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে তিনজনেই রয়েছেন গরাদ-বন্দি। এবার তাপসকে (Tapas Saha) ডাকল সিবিআই। তাহলে কি তাঁরও পরিণতি হবে দলীয় তিন বিধায়কের মতোই? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share