Tag: TMCP

TMCP

  • Kamarhati: তোলার টাকা না পেয়ে কামারহাটিতে অটো চালকসহ তিনজনকে বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা

    Kamarhati: তোলার টাকা না পেয়ে কামারহাটিতে অটো চালকসহ তিনজনকে বেধড়ক মার! কাঠগড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  রাস্তায় অটো চালাতে গেলেও তোলা দিতে হবে। কামারহাটি (Kamarhati) এলাকায় রানা বিশ্বাস নামে এক তৃণমূলের ছাত্র নেতার এটাই নিদান। আর যে তাঁর কথার খেলাপ করেছে তাঁর কপালে জুটেছে মার। কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সন্দীপ রায়। তিনি পেশায় অটো চালক। রথতলা রুটে তিনি অটো চালান। আর তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। তাঁর কাছেও রানা ও তার দলবল গিয়ে তোলা চায়। সন্দীপ তা দিতে অস্বীকার করে। এটাই তাঁর অপরাধ। শনিবার রানা ও তাঁর দলবল মিলে সন্দীপ ও তাঁর দুই বন্ধুকে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। সন্দীপসহ দুজনের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সন্দীপের পরিবারের পক্ষ থেকে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ইন্দ্রজিত্ মহান্তি এবং অক্ষয় শর্মাকে গ্রেফতার করেছে।

    হামলা নিয়ে কী বললেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন?

    রানা বিশ্বাস কামারহাটির (Kamarhati) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। আর শাসকদলের না ভাঙিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এমনই অভিযোগ আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর আত্মীয় বাবু রক্ষিতের। তিনি বলেন, রানা বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি করে। আমার শ্যালক সন্দীপ রথতলায় অটো চালায়। ওর নিজের অটো। ওর কাছে থেকে রানা তোলা চেয়ে ছিল। ও তা দিতে রাজি হয়নি। এটাই ওর অপরাধ। শনিবার রানা তার দলবল নিয়ে এসে আমার শ্যালক আর তাঁর সঙ্গে দুই বন্ধুকে বেধড়ক মারধর করেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত অটো চালকের মা বলেন, রানা একজন গুন্ডা। তৃণমূলের নাম করে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। সবার কাছে তোলা চায়। আমার ছেলেকে ও খুব মেরেছে। আমরাও তৃণমূল করি। আমরা কী বিচার পাব না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে রানাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

    কী বললেন কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এই ঘটনা নিয়ে কামারহাটি (Kamarhati)  পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, বিষষয়টি শুনেছি। তবে, তোলাবাজি না অন্য কোনও কারণে মারধর করা হয়েছে তা জানি না। ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনা দলীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। কামারহাটি (Kamarhati)  তার ব্যতিক্রম নয়। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    Suvendu Adhikari: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিকুঞ্জের সামনে অশান্তি পাকাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP)! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাড়ির সামনে জমায়েত করছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের হাতে লাল গোলাপ ও গ্রিটিংস কার্ড। কার্ডে লেখা, ‘গেট ওয়েল সুন…!’ ঘটনার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। চাইলেন সিবিআই (CBI) তদন্তও।

    ঘটনার সূত্রপাত…

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) একটি ট্যুইট প্রসঙ্গে তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, শুভেন্দু মানসিকভাবে সুস্থ নেই। তাঁর আরোগ্য কামনা করে চিঠি পাঠানো হবে। সেই কর্মসূচির নাম হবে গেট ওয়েল সুন। কুণালের এই মন্তব্যের পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা- কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করতে থাকেন শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে।

    ঘটনা প্রসঙ্গে একটি ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। লেখেন, মমতার পুলিশ পাঁচ পয়সার মতো দু মুখো ও অপদার্থ। এক দিকে চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্য দিকে যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গন্ডগোল বাঁধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়ার পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল। এটা জেনেই যে, ওই সময় বাড়িতে আমার ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মা গায়ত্রী অধিকারী আছেন। ওদের উদ্দেশ্য ছিল, বাড়ির বাইরে অশ্রাব্য স্লোগান দিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বিরক্ত করা।

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কাঁথির বাড়ি থেকে বের হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্রিটিংস কার্ড ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে ভিড় করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন কয়েকজন। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশই তাঁদের কাছ থেকে শুভেন্দুকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গ্রিটিংস কার্ড নেয়।

    এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। অথচ তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে জমায়েত করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। এতে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের হোস্টেল পাওয়ার নিয়ম বাড়ির দূরত্ব অনুযায়ী। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন নিয়ম তৈরি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা না দিলে হোস্টেলের ঘর পাওয়া যাবে না। প্রতিবাদ করলে জুটছে শারীরিক হেনস্থা। এমনই অভিযোগ উঠেছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Hospital)। অভিযোগ, প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি হতেই হোস্টেলের জন্য আবেদন জমা পড়ে। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, সেই আবেদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই ঠিক করে,কার হোস্টেলের আবেদন মঞ্জুর হবে। 

    সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের (Sagar Dutta Hospital) প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে তাদের জানানো হয়, ছাত্র নেতাদের ৩০০০ টাকা দিতে হবে। তবেই তাদের আবেদন মঞ্জুর হবে। ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা অধ্যক্ষ ও ডিনের কাছে অভিযোগ করেন। যদিও এর কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই ‘ঘুষ’ নেওয়ার প্রতিবাদ করলে শারীরিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা  যে হোস্টেলে থাকেন,তাঁদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করা হচ্ছে, তাঁদেরকে শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

    অভিযোগ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। ভুক্তভোগী এক পড়ুয়ার অভিযোগ, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরাও পাশে থাকছেন না। তাই ডিনকে বারবার সমস্ত ঘটনা জানালেও তিনি কোনও সাহায্য করছেন না। এরকম হেনস্থা চললে পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে কোর্স শেষ করব জানি না। প্রতি রাতে হোস্টেলের ঘরে ঢুকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। ” 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    হাসপাতাল প্রশাসন রাজ্যের শাসক দলের হয়েই পরোক্ষে কাজ করে এ অভিযোগ ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতাল প্রশাসন এখন শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলে। আর তাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে অধ্যক্ষের ঘরেই শাসকের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে নীরব থাকছে কর্তৃপক্ষ। সবকিছুই চলছে অবাধে। কোথাও প্রশাসনের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পেয়েই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। সেই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছে। কমিটি মিটিং করেছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্যি হলে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। ” যদিও এই তদন্ত কমিটির উপর আস্থা নেই ভুক্তভোগীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক মেডিক্যাল কলেজেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জুলুম চলছে। এরকম তদন্ত কমিটি তৈরি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটিতেও অধ্যক্ষ উপস্থিত থাকছেন না। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যেরা ভুক্তভোগীদের জানিয়ে দিচ্ছেন, প্রত্যেক মুহূর্তে সকলকে নিরাপত্তা দেওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। 

  • Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মমতা। সেখানেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। এদিন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। 

    দলের হেভিওয়েট দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam)। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case)। দুজনকেই প্রথমে তলব করেছিল সিবিআই। পরে করা হয় গ্রেফতার। এদিনের সমাবেশে সেই প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনব। তারা চায়, তৃণমূলের অন্য নেতাদেরও গ্রেফতার করতে। এর পরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেন, এসো, আমাকে গ্রেফতার কর, যদি পার। আমি জেল থেকে বিজেপিকে গোহারা হারাব। তৃণমূল নেত্রী বলেন, এর পর ওরা মলয় (ঘটক) এবং ফিরহাদ (হাকিম)কে গ্রেফতার করতে চায়। অভিষেককেও…। মমতা বলেন, অভিষেককে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছে, নোটিশ পাঠিয়েছে তার স্ত্রীকেও। আমি বলছি, এমনকী তাদের ছেলেকেও নোটিশ পাঠাবে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    দিল্লি দখল যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য এদিন তাও গোপন করেননি মমতা। বলেন, আমার মূল লড়াই দিল্লির জন্য। দিল্লি থেকে বিজেপিকে তাড়াব। ২০২৪ সালে বিজেপিকে আমরা দিল্লি থেকে দূর করব। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি লোকসভা নির্বাচন জিততে চায় প্রত্যেকে জেলের ভিতরে রেখে। আমি বলছি, তোমার যদি ধৃষ্টতা থাকে, তাহলে আমাকেও জেলে ঢোকাও। আমরা দেখব, নির্বাচনের ফল কী হয়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমরা লড়াই করব, এবং আমরা জিতব এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করব।           

    তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, বিজেপি তৃণমূলের জনবিরোধী নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং মহিলাদের ওপর নৃশংসতার বিরোধী। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁর রাজ্যেই মহিলা পাচারের ঘটনা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share